#যে_বর্ষণে_প্রেমের_ছোঁয়া
#আনিশা_সাবিহা
পর্ব ৩১
মাত্র মেইন গেইট পেরিয়ে কংক্রিটে তৈরি রাস্তা দিয়ে সবে বাড়ি ঢুকতেই বাড়ির সদর দরজা দিয়ে বের হওয়া এক ব্যক্তির সাথে ধা/ক্কা খেয়ে সবুজ ঘাসে পা পড়ল সৌমিত্রের। নিজেকে সামলে নিয়ে ভ্যাবাচেকা খেয়ে পাশ ফিরে তাকাতেই অগোছালো চুলে সম্পূর্ণ শ্যাম বর্ণের লোকটাকে চিনতে ভুল হলো না সৌমিত্রের। দ্রুত সে শুধাল,
“ইয়াকীন না?”
ইয়াকীন উসখুস করে। কোনোরকমে এখান থেকে বের হওয়া তার উদ্দেশ্য। সরোয়ার সাহেব কড়া করে বলেছেন বের হওয়ার সময় যেন কেউ না দেখে। কিন্তু সৌমিত্রের চোখে পড়েই গেল সে। হালকা কেশে সম্মতি জানিয়ে ছোট্ট করে ইয়াকীন উত্তর দিল,
“জি।”
“হঠাৎ বাড়িতে কী করছ? বাবা ডেকেছিল নাকি কোনো কাজে?”
ইয়াকীন আবারও মাথা নেড়ে বলল,
“জি।”
সৌমিত্র হাসল হালকা। ইয়াকীনের কাঁধ চাপড়ে বলল,
“গুণ্ডামি, মা/রামা;রি তো ছেড়ে দিয়েছ তাই না?”
“জি। ছেড়ে দিছি। ওসব আর করব না।”
সৌমিত্র বেশ খুশি হলো। দুয়েকটা কথা বলে চলে এলো বাড়ির ভেতরে। ইয়াকীন দ্রুত নিজের পা চালিয়ে প্রস্থান করল মন্ত্রী সাহেবের বাড়ি থেকে।
স্বচ্ছের হাতে জ্বরের ট্যাবলেট ধরিয়ে দিলো মোহ। তার শুকনো মুখে আতঙ্ক। জানা নেই কতক্ষণ দাদীজানের সাথে লুকোচুরি খেলে উঠতে পারবে সে। বারবার মনে হচ্ছে এই বুঝি ধরা খেলো! মোহ দ্রুত গ্লাসের পানি দিয়ে বলল,
“তাড়াতাড়ি খেয়ে নিন। জ্বর অনেকটা কমে এসেছে মনে হয়। একটু আগে আপনার দেওয়া নম্বরে আপনার ভাইকে কল করেছিলাম।”
“কী বলল সে?”
স্বচ্ছের প্রশ্নের উত্তরটা দিতে গিয়ে ভ্রু কুঁচকায় মোহ। বিভ্রান্ত হয়ে বলে,
“আপনার ভাই এমন অদ্ভুত কেন? কেমন উদ্ভট তার কথাবার্তা! বলে কিনা এখানে যেন আপনাকে আর কয়দিন রেখে দিই। আপনি নাকি এখন নিজের বাড়ি থেকে এখানে থাকতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন।”
স্বচ্ছ অবাক হলো না। সে জানে তার ছোটো ভাইয়ের কথাবার্তা আর কাণ্ড সম্মন্ধে। বিরক্তির শ্বাস ফেলে শুধু বলল,
“ও এগুলো বলেছে? সিরিয়াসলি নেওয়ার দরকার নেই। কারণ ওর সাথে পাগলের কোনো পার্থক্য নেই। পাগলের কথা যেমন ধরতে নেই সৌমিত্রের কথাও ধরা বোকামি।”
“নিজের ভাইকে পাগল বললে আপনি নিজে কী? পাগলের বড়ো ভাই? মহা পাগল?”
স্বচ্ছ অন্য সময় হলে হয়ত রেগে যেত। তর্ক করত। এখন তার মন চাইল না। বরং প্রতিত্তোরে হাসি দিলো সে। মোহ বলল,
“ঔষধ খান দ্রুত। হাতে ধরে রেখেছেন যে!”
“এত তাড়া দিচ্ছো যে? আমাকে তাড়ানোর জন্য খুব তাড়া?”
মোহ এবার প্রতিত্তোরে শক্ত এবং কঠিন জবাব দিলো,
“থাকারই কথা৷ আপনার মন্ত্রী বাবাকে আমি জিততে দেব না৷ কখনোই না।”
স্বচ্ছ এর উত্তরে কিছু বলার মতো পেল না। সে লজ্জিত। মাথা নত হলো তার। অন্য সময় বাবার জন্য গলা উঁচিয়ে কথা বলেছে, ঝগড়া করেছে, তর্ক করেছে। আজ করতে পারছে না। অনুতপ্ত হতে হচ্ছে। তাও শুধু তারই বাবার জন্য। এসব ভেবেও মাথায় র;ক্ত চড়ে যাচ্ছে স্বচ্ছের। তাকে চুপ থাকতে দেখে মোহ আবারও বলে,
“ঔষধ কি হাতে ধরে রাখার জন্য দিয়েছি আপনাকে?”
স্বচ্ছ ভাবনার মাঝে মোহের কণ্ঠে খানিকটা চমকে তাকায়। একপলক মোহের চোখের দৃষ্টি পর্যবেক্ষণ করে বলে,
“যদি আমার অসুস্থতা বেড়ে যায় আর জ্বর আরো বেড়ে যায় তবে কী করবে?”
মোহ কিছুটা চুপ থেকে স্বচ্ছের প্রশ্নটা ঠিকভাবে বোঝার চেষ্টা করল। তারপর ভেবে উত্তর করল,
“কী করব আবার? নেগেটিভ কথাবার্তা কোত্থেকে শিখেছেন? নিজের সুস্থতা কামনা করবেন।”
“কেন জানি না তবে নিজের সুস্থতা কামনা করতে মোটেও ইচ্ছে করছে না মিস মোহ! অসুস্থ থাকতে ইচ্ছে করছে।”
“আপনার সব আজগুবি ইচ্ছে।”
কথা শেষ হতে না হতেই পাশের ঘর থেকে রাবেয়া বেগমের ডাক শোনা গেল। মোহ ঘেমে যাওয়া কপালের দুপাশে কোঁকড়া চুল নিজ হাতে অন্যপাশে ঠেলে দিতেই দাদীজানের কণ্ঠে নেত্রপল্লব বড়ো বড়ো হলো। ঘাবড়ে গিয়ে বলল,
“আপনি বসুন চুপচাপ। আমি আসছি।”
মোহ ছুটল দাদীজানের ঘরে। স্বচ্ছ মুঠোয় থাকা ঔষধ একবার দেখে নিয়ে জানালার দিকে ছুঁড়ে মারল নিশানা করে। আধশোয়া হয়ে পড়ল চৌকিতে। মনে মনে ভাবল, অসুস্থতা বাড়ানোর ইচ্ছের পেছনে আসল কারণটা যদি মেয়েটা জানত! বিড়বিড়িয়ে নিজে নিজে আওড়াল,
“আমার এই অসুস্থতায় তোমায় আমার সংলগ্নে নিয়ে আসে মিস. মোহ! এটা যেন অসুস্থতা নয়, এটা তোমায় নিকটে আনার এক বিশেষ জাদু!”
রাবেয়া বেগমের ঘরে পা রাখতেই মোহ দেখল তার দাদী লাঠি নিয়ে ঘর থেকে হম্বিতম্বি করে বের হচ্ছে। মোহ অবাক হলো ভীষণ। প্রশ্ন করল,
“আমাকে ডেকে কোথায় যাচ্ছো এভাবে?”
“ওই পোলার অনেক সেবা করতেছিস কাল রাত থাইকা। এহন মাইর না খাইলে যাইব না। শিক্ষা দিতে যাইতেছি।”
পিলে চমকে গেল মোহের। ধড়ফড়িয়ে উঠল বুক। এ কী সে ঠিক শুনল? স্বচ্ছের কথা দাদীজান জানল কী করে? এ তো মহাবিপদ! মোহ আশ্চর্য হয়ে ভাবতে ভাবতেই রাবেয়া বেগম ইতিমধ্যে তার ঘরের দরজা খুলে ফেলেছে। চিন্তা ভাবনা বাদ দিয়ে সে ছুটল তার ঘরের দিকে।
চোখ বুঁজে থাকতেই হঠাৎ লাঠির শক্ত আ/ঘাত যখন এসে স্বচ্ছের বাহুতে লাগে তৎক্ষনাৎ চোখ মেলে চকিতে তাকায় স্বচ্ছ। বয়স্ক মহিলাকে দেখে একরাশ বিস্ময় নিয়ে ভালো করে দেখতেই যখন হাতেও রাবেয়া বেগম আ/ঘা;ত করেন হুড়মুড়িয়ে সরে চৌকির কণায় গিয়ে দাঁড়ায় স্বচ্ছ। রাবেয়া বেগম লাঠি নিয়ে এগিয়ে এসে বলেন,
“আমার বাড়িতে থাইকা আমারই সুন্দরীর সেবা নিচ্ছিস! ফাজিল কোনেকার!”
স্বচ্ছ দ্রুত রাবেয়া বেগমের লাঠি চেপে ধরে কোনোরকমে। রাবেয়া বেগম দমেন না। লাঠি ছাড়ানোর চেষ্টা করেন। তবে এমন শক্তপোক্ত যুবকের সাথে কি পারা যায়? মোহ ততক্ষণে ঘরে উপস্থিত হয়েছে। হতভম্ব হয়ে কী করবে সেসব জ্ঞান হারিয়েছে সে। স্বচ্ছ দুম করে বলে দিলো,
“আরে দাদীমা! আমি আপনার সুন্দরীর কাছে আসব কেন বলুন তো? আসল সুন্দরী তো আপনি। আমি তো আপনার কাছে এলাম।”
রাবেয়া বেগম কিছুটা ঠাণ্ডা হলেন এবার। ফ্যালফ্যাল করে তাকালেন স্বচ্ছের দিকে। তার বুদ্ধিটা কাজে দিয়েছে ভেবে খানিকটা স্বস্তি পায় সে। মোহ ভাবে, তার বলা কথাগুলো কাজে দিয়েছে। কেননা, সে বলেছিল যদি তার দাদীজান কিছু জেনে যায় তবে উনার রূপের প্রশংসা করতে। রাবেয়া বেগমের ভাষ্যমতে তিনি যৌবনকালে ভীষণ সুন্দরী ছিলেন। তার পেছনে অনেক পুরুষ ঘুরেছে। পাত্তা পায়নি একমাত্র মোহের দাদা ছাড়া। অবশ্য সেটা এখনো রাবেয়া বেগমকে দেখলেই বোঝা যায়। চামড়া কুঁচকে গেলেও গায়ের রঙটা বেশ সুন্দর রয়েছে। মোহের ন্যায় কোঁকড়ানো চুল যদিও অনেকটা পড়ে গিয়েছে। রাবেয়া বেগম ক্ষ্যান্ত হতেই ফের কপাল কুঁচকে কাঠকাঠ গলায় বলেন,
“ফাইজলামি পাইছ তুমি আমার লগে? তুমি আমার কাছে আইছো কইলেই আমি বিশ্বাস করুম?”
“সত্যি দাদীমা! আমি আমার বন্ধুর কাছ থেকে আপনার কথা শুনেছি। বন্ধুর দাদু নাকি আপনার পেছন পেছন ঘুরত। তাই অনেক খুঁজে আপনার দেখা পেতে এলাম বিশ্বাস করুন।”
রাবেয়া বেগম যেন এবার কিশোরীর ন্যায় লজ্জা পেলেন। স্বচ্ছ ততক্ষণে বসে পড়েছে। স্বচ্ছের কাঁধে আলতো ধা/ক্কা দিয়ে বলেন,
“আজকাল পোলাপাইন তোমরা অনেক দুষ্টু!”
মোহের হাসি পায় এসব কথোপকথন শুনে। স্বচ্ছ যেন হাফ ছেড়ে বাঁচে। রাবেয়া বেগম চৌকিতে বড়ো শ্বাস নিয়ে ক্লান্ত হয়ে বসে বলেন,
“মোহ সুন্দরী! গিয়া আমার লাইগা পানি লইয়া আয় তো। আর হ্যাঁ ঠাণ্ডা টিউবওয়েল থেকে নিয়া আসবি।”
মোহ যেতে না চেয়েও যেতে হলো পানি আনতে। স্বচ্ছ চুপ থাকতে থাকতে হঠাৎ আগ্রহ নিয়ে শুধাল,
“দাদিমা? আপনি কী করে জানলেন যে আপনার সুন্দরী লুকিয়ে আমার সেবা করছে?”
রাবেয়া বেগম ফিক করে হেসে বলে উঠলেন,
“জানমু না আবার? কালকে তো এদিকে আইছিলাম রাতে। বারান্দা দিয়া যখন যাইতেছিলাম তখন ফ্যান চলার আওয়াজ শুইনা ঘর খুইলা দেখি তুমি ঘুমাইতাছো। প্রথমে মনে ভুল ভাইবা আইসা ঘুমাইছিলাম। সকালে মোহের খাবার নিয়া কাণ্ড দেইখা নিশ্চিত হইছি। বয়স বাড়ছে মানে এই না আমি কিছু বুঝি না। বুঝছ?”
“আপনি তো সুন্দরীর সাথে সাথে বেশ বুদ্ধিমতীও দাদিমা!”
রাবেয়া বেগম এবার সরু দৃষ্টিতে স্বচ্ছকে দেখলেন। কণ্ঠের স্বর কড়া করে বললেন,
“হইছে ঢপ কম দেও। তুমি কেন আসছো এইহানে আমি জানি। তুমি মন্ত্রীর ওই পোলাডা না? সত্যি কইবা!”
স্বচ্ছ উপায়ন্তর না পেয়ে স্বীকার করে,
“জি দাদিমা।”
“তোমার আর তোমার বাপের ব্যাপারে সব শুনছি আমি। দেখো, তুমি কেন আমার নাতনির জন্য এতদূর আইছো আমি জানি না। জানতেও চাইতেছি না। কিন্তু আমার নাতনির সাথে নিজের পায়ের তাল মেলাতে চেষ্টা কইরো না। তোমার বাপ এইডা হইতে দেবে না। আর আমার নাতনির পথচলাও খুব একটা সহজ না। ওর লগে তুমি চলতে পারবা না।”
স্বচ্ছ রাবেয়া বেগমের কথাগুলো শুনে নীরব হয়। প্রথম কথাগুলোর মানে বুঝলেও পরবর্তী কথাগুলোর মানে ঠিক বুঝে উঠতে পারে না। সে নির্বিকারে চেয়ে থাকে রাবেয়া বেগমের দিকে। দাদীজান আবারও বলেন,
“তোমার সাথে এসব কথা বলার জন্যই মোহরে বাহিরে পাঠাইলাম। তুমি তাড়াতাড়ি এখান থাইকা চইলা যাও। এমনি আমার নিরপরাধ সুন্দরীর মেলা বদনাম এই গ্রামে। তাও তোমার বাপের জন্য সে এইহানে চইলা আইছে। তুমি এখানে আইসা আমার নাতনিডারে অশান্তি দিও না। বুঝছ?”
স্বচ্ছ এবারও কোনো জবাব দিলো না। নিজেকে আরো ছোটো মনে হলো তার। ঠোঁটে ঠোঁট চেপে সব কথা হজম করতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে তার। তবে সহ্য করতে হচ্ছে। এবার রাবেয়া বেগম বললেন,
“যদি কোনোদিন মনে করো, আমার সুন্দরীর সবকিছু মাইনা নিয়া তার পাশে থাকতে চাও তাহলে সেদিন আমার সব কথা ফিরাইয়া নিমু। আমার নাতনির বদনামও নিজের মনে করতে যেদিন পারবা সেদিন আমার কাছে আইসো আবার।”
স্বচ্ছ সেদিন বিনা জবাবে সৌমিত্রের সাথে বিকেলে চলে গিয়েছিল। যাওয়ার পথে বারংবার মোহের ঘরের জানালার দিকে দেখেছিল। মোহ দাঁড়িয়ে ছিল সেখানেই। তার দৃষ্টি ছিল মলিন।
পরদিন সকাল সকাল প্রচণ্ড রোদের মাঝে গ্রামের মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে মোহ। উদ্দেশ্য একটা গাড়ি নিয়ে বাসস্ট্যান্ড অবধি যাওয়া। আজই ঢাকা শহরের দিকে যাবে সে। তবে একা। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে বিরক্ত হলো মোহ। মাথায় থাকা আকাশী ওড়নার মাধ্যমে চেষ্টা করছে নিজেকে রোদের তাপ থেকে বাঁচাতে। এমন সময় তার সামনে হুট করে একটা কালো বোরখা পরিহিত মহিলা এসে দাঁড়ালেন। চোখ দুটোও দেখা যাচ্ছে না উনার। মোহ বিস্মিত হয়ে চেয়ে উনাকে চেনার চেষ্টা করেও পারল না। মহিলাটি আরো এগিয়ে একটা কাগজ বের করে বিনয়ী সুরে বললেন,
“আমাকে এই ঠিকানাটা বলে দিতে পারবেন?”
মোহ মানা করতে পারল না। জানতে চাইল,
“কোনটা দেখি?”
মহিলাটি আরেকটু এগিয়ে মোহের সংলগ্নে দাঁড়িয়ে কাগজটি এগিয়ে দিলো। মোহের নাকে ঠেকল উদ্ভট এক গন্ধ। প্রথমে তেমন কিছু মনে না হলেও কড়া সেই গন্ধে মুহূর্তেই কাগজে থাকা লেখাগুলো অস্পষ্ট হয়ে গেল তার কাছে। জোর করে চোখ মেলতে চেয়েও মেলতে পারল না আর। মাথায় ঘুরে উঠল তার। পড়ে গেল সে মাঝরাস্তায়। মহিলাটি দ্রুত নিজের কাগজ লুকিয়ে চিৎকারে লোকজন জড়ো হলো।
“আপুটার এই রোদে মাথা ঘুরে গেছে।”
মোড়ে পিচঢালা রাস্তায় পড়ে গিয়ে কপালের বাম দিকে হালকা কেটে গেল মোহের। র:ক্তের দেখা মিলল সেখানে। সকলে বলে উঠল,
“একে তো আগে হসপিটাল নিয়ে যাওয়ার দরকার মনে হচ্ছে। এই কেউ গাড়ি ডাকো।”
সামনেই হঠাৎ উপস্থিত হলো একটি অটো। সেখানে থাকা ড্রাইভার তাড়া দিয়ে বলল,
“আপারে তাড়াতাড়ি উঠান। সময় নষ্ট করা যাইব না।”
অবচেতন মোহকে ধরে কোনোরকমে অটোতে তুলে দেওয়া হলো। অনেক মায়া করে বোরখা পরা মহিলাটি সাহায্য করতে চাইলেন। মোহকে ধরে বসলেন অটোতে। সঙ্গে সঙ্গে ড্রাইভার অটো নিয়ে যেতে শুরু করল নিজের গন্তব্যে। আয়না দিয়ে মহিলাটির দিকে শব্দহীন হাসি দিয়ে বলল,
“কাজটা ভালোভাবেই করতে পেরেছিস।”
চলবে…
[বি.দ্র. লোডশেডিং-এ অবস্থা খারাপ। এত গরমের মাঝে জীবনযাপন করাও দায় হয়ে পড়ছে। আপনাদের কী অবস্থা? ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক।]