#অমানিশায়_সেই_তুমিই
#লেখায়_তেজস্মিতা_মর্তুজা
১২.
অপেক্ষা করতে করতে মেঘালয়ার একসময় অভিমান জাগল। গাল ফুলিয়ে আব্বুর কোলে মাথা রাখে। সেই পুরনো দিনের মতো আজও হেলাল সাহেব মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। এতদিন পর এই আদরমাখা ভালোবাসার স্পর্শে মেঘালয়া সব ভুলে যায়। আজ আর চিন্তা ভাবনার মাঝেও রাত জাগা গেল না। ঘুমিয়ে পড়ল ওভাবেই।
সকাল ন’টার দিকে ঘুম ভাঙল মেঘালয়ার। ঘুম ভেঙে দেখল আব্বু ওকে বিছানায় ঘুমোতে দিয়ে নিজে রকিং চেয়ারে হেলান দিয়ে ঘুমিয়েছে। আজও বেলা হয়ে গেছে ঘুম থেকে জাগ্রত হতে। মেঘালয়ার রাতের ঘটনা মনে পড়ে যায়। আবারও মনটা গুমোট হয়ে উঠল। তবে সিদ্ধান্ত নিলো আবারও একবার কল দেবে। আব্বুর ফোন থেকে ইরাজের কাছে কল করে। প্রথম দুবার বাজল তবে ওপাশ থেকে রিসিভ হলো না। তৃতীয়বার কল যেতেই লাইন কেটে দিল ওপাশ থেকে। মেঘালয়া অবাক হয়। কাল তো শেষবার যখন দেখা হয়েছিল এমন প্রায় ঠিকই ছিল সবটা। ফোনটা হাত থেকে নামিয়ে রেখে এক দীর্ঘশ্বাস টেনে নিল। কিছুক্ষন ওভাবে বসে থেকে ঘুমন্ত আব্বুর মুখের দিকে তাকাল। অজানা এক প্রশান্তিতে বুক ভরে ওঠার সাথে সাথে আবার এক শঙ্কায় ভিতরটা আন্দোলিত হয়ে উঠল। ওই বাড়িতে যাওয়ার ইচ্ছেটুকু কোথাও খুঁজে পেল না। তবে আবার মনে পড়ল, কাল থেকে মেঘালয়ার অভিযোগ গুলো শোনার পর থেকে হেলাল সাহেব মেয়ের সামনে হাসছেন তো ঠিকই, তবে ভেতর ভেতরে তিনি কতটা অস্থির তা মেঘালয়ার দৃষ্টি এড়ায় নি। সে আর চাইল না আব্বুর অস্থিরতা বাড়াতে।
নিজেকে বুঝাল, যে আব্বুকে খুশি করতে সে এই বিষ পান করেছে, সেই আব্বুর খুশির জন্য নাহয় তা হজমও করে ফেলবে! এ মানুষটিকে আর কষ্ট দেবার সাধ্যি নেই মেঘালয়ার। মুখের অভিব্যাক্তি পরিবর্তন করে নিজের স্বভাবসুলভ চঞ্চলতায় ফিরতে সচেষ্ট হলো। সে কাল উত্তেজনায় যা বলেছে, যে ভাবনায় ফেলেছে আব্বুকে তা আজকের হাসিমুখের ঝলকে মিটিয়ে দিয়ে বিদায় নিতে চায়। আবারও তৈরী হয়ে নিলো। আব্বুকে ডাকল। হেলাল সাহেব চোখ মেলে দেখলেন, মেয়ে প্রায় তৈরী। হন্তদন্ত উঠে বসলেন। বললেন,
‘কিরে মা! রাজ এসেছে?’
মেঘালয়া যেন মিথ্যেটা জিহ্বার ডগায় সাজিয়ে রেখেছিল, তা উৎফুল্লতা হিসেবে ফুটিয়ে তুলল আব্বুর সম্মুখে,
‘উহু, তবে কল করেছিল। কাল বৃষ্টির জন্য আটকে গিয়েছিল। সকাল হতেই কল করেছে, সেই কলেই তো আমার ঘুম ভেঙেছে, আব্বু।’
এই সাবলীল মিথ্যাচারের পেছনের বাস্তবতাটুকু গোপন হয়ে গেল বাবার কাছে। হেলাল সাহেব চাইছেন মেয়ে থাক আর কিছু সময় তার কাছে। তবে পরিস্থিতির প্রতিকূলতায় তিনিও হাসিমুখে মেয়েকে বিদায় জানাতে তৎপর। বললেন,
‘যা খেতে বস। আমি হাত-মুখ ধুয়ে আসছি।’
মেঘালয়া চলে যায়। মনটা সামান্য হলেও হালকা লাগল। ওই মা হারা পাগলিটা যে তার বেঁচে থাকার অবলম্বন। ওই পাগলির একটু ভালো থাকা হেলান সাহেবের গোটা ভালো থাকার চাবিকাঠি।
_
আসতে চাইলেও যেন আসা হয় না। আব্বুর থেকে বিদায় নিয়ে আসতে আসতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যার একটু আগে বের হলো মেঘালয়া। হেলাল সাহেবের গাড়িটি কিছুদিন যাবত নষ্ট হয়ে থাকায় তিনি পরিচিত এক গাড়ি রিজার্ভ করে মেঘালয়াকে তুলে দিয়েছেন। গাড়ি এসে নামিয়ে দিল ইমতিয়াজ সাহেবের বাড়ির সামনে। বইয়ে বোঝাই করা প্রকাণ্ড ব্যাগটি নিয়ে মেঘালয়া নেমে দাঁড়াল। এ বাড়ির ভেতরটা তার আতঙ্ক, বাড়ির মানুষগুলো তার আতঙ্ক, তবে তাকে এই সবটা মানিয়ে নিয়ে এ বাড়িতেই বসবাস করতে হবে। আব্বুর খুশির জন্য হলেও তাকে ভালো থাকার চেষ্টা করতে হবে।
বাড়ির ভেতরে এমনিতেও সদস্য সংখ্যা কম। তবে আজ যেন আরও গম্ভীর লাগছে বাড়ির ভেতরটা। আনতারা খানমকে নিচে পেল না মেঘালয়া। ওপরে উঠে গেল। নিজের রুমের সামনে গিয়ে দাঁড়াল। ঢুকতে একটু ইতস্তত হচ্ছে। হয়ত ইরাজের ওপর জমায়িত ক্ষোভই এর কারন। দরজা চাপিয়ে রাখা আছে। তা ঠেলে ভেতরে ঢূকেই সর্বপ্রথম নজর গেল রুমের কেন্দ্রে বিছানার দিকে। নজর ওদিকেই আটকে যায় মেঘালয়ার।
ইরাজ বেহুশের মতো পড়ে আছে। মাথার শিথানে বসে তার মাথায় জলপট্রি লাগাচ্ছেন আনতারা খানম। তার উপস্থিতি টের পেয়ে একবার তাকালেন ফিরে। মেঘালয়াকে দেখে প্রচণ্ড অনীহার সঙ্গে নজর ঘুরিয়ে নিজের কাজে মনোনিবেশ করলেন আবার। মেঘালয়া অবাক হয়। কি হয়েছে ইরাজের এই এক রাতের মাঝে? সে ব্যাগটা একপাশে রেখে দ্রুত রুমের ভেতরে প্রবেশ করল। খানিক দুরত্ব বজায় রেখে বিছানার কাছে গিয়ে দাঁড়াল। শক্তপোক্ত ক্ষ্যাপা ইরাজ কেমন মিইয়ে গেছে। ঠোঁটের চামড়া শুকনো খড়খড়ে। তীর্যক চোখদুটো বসে গেছে, শরীরটা বিছানার সাথে মিশে আছে যেন। শরীরে লাল ছোপ ছোপ দাগ। মাথার চুল উশকো-খুশকো। ওভাবেই চোখ দুটো অর্ধবোজা অবস্থায় টান হয়ে শুয়ে আছে ইরাজ।
মেঘালয়া এসেছে, তা কি টের পেয়েছে ইরাজ? পেলেও বা কি? সে তো আর মেঘালয়ার ভুক্তভোগী নয়! এটুকু ভেবে সেখান থেকে সরে আসতে চায় মেঘালয়া। অথচ কিসের টানে যেন আটকে দাঁড়িয়ে রইল। পা উঠল না তার। রুমের নিস্তব্ধতা ভেঙে আনতারা খানম শক্ত স্বরে বললেন,
‘কোথায় নিয়ে গিয়েছিলে রাজ কে? কোথাও বের হতে তোমারও যে কারও প্রয়োজন হয় তা জানা ছিল না। তুমি তো একাই চলে যাও বাড়ি থেকে। তবে এবার আমার ছেলেটাকে নিয়ে গিয়ে বৃষ্টিতে ভেজানোর কি দরকার ছিল?’
এই সকল কটুক্তি! মেঘালয়ার সয়ে যাওয়ার কথা। তবুও চেনা মানুষগুলোর অচেনা রূপে সে আজও নিত্য-নতুন ভাবে কষ্ট পায় এই তিরস্কার গুলোতে। আজও পেল, তবে তা লুকিয়ে গেল। এবং কোন জবাবও দিল না। সে তো কিছুই জানে না এসবের, তা নিয়েও যদি কথা শুনতে হয়, সেখানে বলার থাকে না কিছু।
‘রাজের এলার্জি আছে জানো তুমি?’
আনতারার ধমকে কিঞ্চিত কেঁপে উঠল মেঘালয়া। আনতারা আবারও বলে ওঠেন, ‘বৃষ্টি রাজের সহ্য হয় না জানতে না তুমি? কি করে ভিজল রাতভর বৃষ্টিতে? বায়না ধরেছিলে তুমি নিশ্চয়ই? এবার তবে সেবা করো।’
আরও কিছু বলতে চেয়েও চুপ করে গেলেন যেন! সবটা গিলে ফেলে রুম থেকে বেড়িয়ে যান তিনি। মেঘালয়া যেন কিছু লক্ষ্য করল– আনতারার চোখ চিকচিক করছিল, কণ্ঠস্বর কেঁপে উঠছিল। তবে কি তিনি কাঁদছিলেন!
ইরাজের দিকে তাকিয়ে, ক্ষোভে দুঃখে ইরাজের এই অবস্থার ওপর খুশি হওয়ার কথা থাকলেও মেঘালয়ার তেমন লাগল না। মিশ্র অনুভূতি নিয়ে চেয়ে রইল ইরাজের পাংশুটে চেহারার দিকে। তখনই ইরাজ ঘাঁড় ঘুরিয়ে নিচের দিকে ঝুঁকে পড়ে। মেঘালয়া নিজের অজান্তেই দ্রুত ইরাজকে ধরল। ইরাজ মেঘালয়া গলগল করে বমি করে দেয়। তা মেঘালয়ার শরীরেও লেগেছে। মেঘালয়ার ছিটকে সরে পড়ার কথা, তবে এমন কিছু করল না সে বরং আরও আঁকড়ে ধরল ইরাজকে। ইরাজ নিভু নিভু চোখে তাকায় মেঘালয়ার পানে। মেঘালয়ার ব্যাথিত কণ্ঠে বলে ওঠে,
‘খুব খারাপ লাগছে আপনার? এভাবে উল্টো হয়ে থাকলে আবারও বমি হতে পারে। আপনি সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন তো। নিন..
অপর হাতে বালিশটা ঠিকঠাক করে ইরাজকে ধরে শুইয়ে দিল। ইরাজ শরীর কেঁপে উঠল আদ্ভুত ভাবে। অস্পষ্ট স্বরে কিছু বলতে চায় ইরাজ। মেঘালয়া ইরাজের হাত চেপে ধরল। মুখটা মুছিয়ে দিল সযত্নে। আচমকা খেয়াল করল ইরাজের হাত বেশ ঠাণ্ডা। সে দ্রুত আশপাশে তাকায়। পাশেই টি-টেবিলের ওপর সরিষার তেলের কৌটা। বুঝল, তার অনুপস্থিতিতেও এমন হয়েছিল, তেল মালিশ করা হয়েছিল। সে খানিকটা তেল হাতে মেখে ইরাজের হাত এবং পায়ে অনবরত নাড়তে থাকল। দ্রুত উঠে গিয়ে আলমারি থেকে পাতলা একটি কম্বল বের করে এনে ইরাজের গায়ে দিল। মেঘালয়ার এই ছুটাছুটি ইরাজ নিমজ্জিত চোখে নিরবে কেবল দেখে যাচ্ছে।
কিছুসময় বাদে মেঘালয়ার মনে পড়ে, ইরাজ বমি করেছে। তাতে নিশ্চয়ই ঔষধও বেরিয়ে গেছে! তবে কি আবার ঔষধ খাইয়ে দেবে! ইরাজের দিকে তাকাল সে। কিছুক্ষন আগে খুব ছটফট করলেও এখন তুলনামূলক শান্ত সে। মেঘালয়া চিন্তিত মুখে বসে রইল পাশেই। আরও খানিকটা সময় পার হলে দেখল, ইরাজ চোখ বুজে ঘন ঘন নিঃশ্বাস ফেলছে। মেঘালয়া ধীর কণ্ঠে শুধায়,
‘কেমন লাগছে আপনার? মামনি কে ডাকব?’
ইরাজ চোখ খুলে তাকাল। অর্ধবোজা চোখের দৃষ্টি। আস্তে করে ঘাঁড় নেড়ে না বোঝাল। পাশেই রাখা অনেকগুলো ঔষধ। মেঘালয়া ভাবল, একদিনে এত ঔষধ কোথা থেকে এলো? নাকি এমনটা আগেও হয়েছে ইরাজের? তখনই মনে পড়ল সেদিন বাবাই বলেছিল, ইরাজের এলার্জি আছে। আজ মামনিও তাই বলেছে। তবে তা জেনেশুনে ইরাজ বৃষ্টিতে ভিজল কেন? এলার্জি থাকলে তা থেকে অ্যাজমার সৃষ্টি হয়। আর এ কারনেই বৃষ্টির পানি ইরাজের সহ্য হয়নি, ঠাণ্ডা লেগে গিয়েছে। পুরো শরীর দাগ ত্বকের ওপর। মেঘালয়া শান্ত পরিশ্রান্ত চোখে কেবল অসুস্থ ইরাজের পানে চেয়ে রইল। এই মানুষটি কত তর্জন-গর্জন করে বেড়ায়। আশেপাশে থাকলেই মেঘালয়ার আতঙ্কের শেষ থাকে না। আজ কেমন স্তব্ধ, দুর্বল শরীরে পড়ে রয়েছে!
এক পর্যায়ে ইরাজের শরীর প্রচুর ঘামতে শুরু করে। ইরাজ ছটছট করতে শুরু করল কেমন। ক্ষীণ স্বরে বলল,
‘এসি অন কর, গরম লাগছে।’
মেঘালয়া আপত্তি জানায়, ‘ঘামলে শরীর থেকে জ্বর বেড়িয়ে যাবে। শুয়ে থাকুন এভাবেই।’
প্রত্যুত্তরে ইরাজ নিরব রইল। ঘাঁড় ঘুরিয়ে চারদিকে কিছু খুঁজল। মেঘালয়া বোঝে, ইরাজ কী খুঁজছে। আক্ষেপের স্বরে বলল, ‘সবকিছুতেই জিদ দেখিয়ে জিতে যাওয়া যায় না। এসির ঠাণ্ডা হাওয়ায় অসুখ বাড়লে ভোগান্তিটা কার হবে?’
ইরাজ কিছুক্ষন নিরবে ছাদের দিকে অদ্ভুত দৃষ্টিতে চেয়ে রইল। নিরবতা ভেঙে গম্ভীর স্বরে বলল,
‘এখানে বসে থাকার প্রয়োজন দেখছি না তোর। উঠে যা।’
মেঘালয়া নিরস মুখে তাকাল ইরাজের দিকে। তার দৃষ্টি উপরের দিকে। আস্তে করে উঠে গিয়ে বেলকনিতে দাঁড়াল। ইরাজ এবার তাকাল সেখানে, যেখানে মেঘালয়া বসেছিল এতক্ষন। বুক ফুলিয়ে শ্বাস নিয়ে, চোখদুটো বুজে নিল। মুখে মলিনতার ছাপ স্পষ্ট।
রাত প্রায় আটটা। মেঘালয়া সোফার ওপরে বসে অগোছালো কাপড় ভাজ করতে বসেছে। মাঝেমধ্যে আড়চোখে খেয়াল করছে অসুস্থ জেদি মানুষটিকে। ইরাজ ক্ষীণ আওয়াজে ডেকে ওঠে, ‘মেঘ!’
তৎক্ষনাৎ মেঘালয়া তাকাল সেদিকে। চোখের ইশারায় জানাল, ‘কী?’
উঠে গিয়ে কাছে দাঁড়াল। ইরাজের অভিব্যাক্তি শান্ত, ‘দুটো ডিম সিদ্ধ করে নিয়ে আয়। পারিস তো?’
মেঘালয়া কপাল কুঁচকে তাকাল। এটা কে পারে না? সবসময় খুঁত ধরার ছুতো না খুঁজলে হয় না? মুখে কিছু বলল না তবুও, কেবল মৃদূ মাথা ঝাঁকাল।
রান্নাঘরে যাওয়ার পথে ড্রইং রুমের সোফাতে আনতারা খানমের সঙ্গে দেখা হলো। মেঘালয়া মাথাটা ঝুঁকিয়ে রান্নাঘরে ঢুকে যায়। আনতারাকে দেখতে বড়োই বিষন্ন আর অস্থির লাগছে। মেঘালয়াকে রান্নাঘরে ঢুকতে দেখে কলিজার ভিতরে পুড়ে উঠল যেন! ইরাজের ভয়ানক এলার্জি আছে বৃষ্টির পানিতে। আগে কিছুসময় এমনও হয়েছে, ইরাজ এলার্জিজনিত ঠাণ্ডায় শ্বাস আটকে পড়ে থেকেছে। গ্যাস দেওয়ার মাধ্যমে শ্বাসকষ্ট রোধ করা হয়েছে। এবার ঠাণ্ডার সঙ্গে ব্লাড প্রেসার লো। এমন হলে আনতারা খানম ছেলেকে সিদ্ধ ডিম, গরম দুধসহ আমিষ জাতীয় খাবার বানিয়ে বাচ্ছা ছেলের মতো পেছনে ঘুরে ঘুরে খাওয়াতেন। ইরাজ বরাবরই দুধ খেতে চায়না। এত বড়ো হওয়ার পরেও দুধ নিয়ে ইরাজের পেছনে দৌড়েছেন তিনি।
সেসব ভেবে, চোখ ভিজে উঠল যেন! মেঘালয়া যাওয়ার পানে চেয়ে রইলেন। ছেলে কি সত্যিই পর হয়ে গেল! আজ মায়ের প্রয়োজনীয়তা কি তবে ফুরিয়েছে? দেখাশুনা করার নতুন কেউ এসেছে তার পুত্ররত্নের জীবনে!
চলবে..
[রিচেইক করিনি। ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন❤️]