#কি_নেশায়_জড়ালে
#পর্ব_১২
লেখিকা #Sabihatul_Sabha
রূপা মোবাইল বন্ধ করে পাশে রেখে আকাশের দিকে তাকালো।
চার বছরে একটা মানুষকে ভুলে যাওয়া কি স্বাভাবিক ব্যাপার নয়…?
রূপার পাশে সোহা বসলো।
রূপাকে রাজি করানোর জন্যই সোহাকে পাঠিয়েছে সাজ্জাদ ।
নাহিদা আসেনি হয়তো নতুন করে আবার কারো মন ভেঙেছে৷
সাজ্জাদ রূপাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে এটা যেনো হাওয়ায় ভেগে ছড়িয়ে পরলো সবার মাঝে।
সোহা রূপার মাথায় হাত রাখলো।
রূপা সোহার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো, ‘ আমি তাকে ভুলে গেছি আপু। তার প্রতি আমার কোনো ফিলিংস কাজ করে না৷ তার দেওয়া সেই আঘাত গুলো তাকে দেখলে চোখের সামনে ভেসে ওঠে৷ আমি ভুলতে পারি না সে এক একটা দিনের কথা, মুহূর্তের কথা। একটা বার সে আমার খোঁজ খবর নেয়নি।হয়তো সে চেয়েছিলো না থাকি।
সোহাঃ তোর মন যা বলে তাই শুন, অন্য সব কিছু বাদ।
রূপা চোখ বন্ধ করে নেয়। কি আজব সাজ্জাদের হাসি মাখা মুখটা ভেসে উঠছে।
সাথে সাথে রূপা চোখে খুলে নিলো।
একি বাড়িতে প্রাক্তন প্রেমিক এর ভাইয়ের বউ হয়ে যাওয়াটা কতটা জগন্ন্য দেখায়।
রূপা অনেক ভেবেছে কিন্তু সব কিছু থেমে যাচ্ছে একটি জায়গায় আহনাফ আর সাজ্জাদ ভাই।
এদিকে মা বাবাকেও বুঝাতে পারছে না। রূপা কি হারিয়ে যাবে সেই চার বছর আগের মতো। সে কখনো চায় না ওর জন্য আহনাফ আর সাজ্জাদ এর সম্পর্কে ফাটল ধরুক। ওর রাগ আহনাফ এর সাথে সাজ্জাদের সাথে নয়।
আহনাফ এর চোখ মুখ অস্বাভাবিক লাল হয়ে আছে।
সে বার বার সাজ্জাদের রুমের সামনে এসেও ফিরে যাচ্ছে । সে যে সাহস করে সাজ্জাদের কাছে গিয়ে রূপার কথা বলবে সে সাহস খুঁজে পাচ্ছে না। তবে শুনেছে রূপার বাড়ি থেকে এখনো কোনো উত্তর আসেনি।
আহনাফ নিজের কাজে নিজেই রেগে বললো,’ আমি কেনো ভাইকে এক বার জিজ্ঞেস করলাম না মেয়ের নাম কি..??আমি নিজেই বাড়ির সবাই কে রাজি করালাম আর এখন নিজের কাজের জন্য নিজেই আফসোস করছি। কেনো বার বার ভুল কাজ করি আমি। কেনো ভেবে চিন্তে কিছু করি না..?? সব সময় নিজের কাজের জন্য নিজেকে পস্তাতে হয়….
আহনাফ সাজ্জাদের রুমের সামনে থেকে সরে যেতেই সাজ্জাদ হাসলো৷
মানুষ নিজের ভালোবাসার জন্য কতো কিছু করে, দরকার হলে পরিবারের সাথে লড়াই করে। কিন্তু আহনাফ তো সাজ্জাদের কাছেই হার মেনে নিচ্ছে আর পরিবারের কথা না হয় বাদ।
রূপার আম্মু রূপার সামনে বসে আছে।
~ রূপা বয়স তো কম হয়নি। বিয়ে আর কবে করবে..? আর কয়েক বছর গেলে তো বুড়ি হয়ে যাবে।
রূপাঃ আম্মু এতো ভাবে ঘুরিয়ে পেচিয়ে না বলে ডিরেক্টরি বলে দিতে পারো আমাকে আর তোমাদের সহ্য হচ্ছে না। বুঝা হয়ে গেছি।
~ তুমি সব সময় আমাদের ভুল বুঝো রূপা।
রূপাঃ আপনি এখন আসেন আম্মু আমি এখন আপনার সাথে কথা বলতে চাচ্ছি না।
রূপার আম্মু দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন। মেয়েকে বুঝিয়ে লাভ নেই।
রূপার ফোন বেজে উঠতেই সে মোবাইল হাতে নিলো। অচেনা নাম্বার।
রূপা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে বলে উঠলো, ‘ রূপা প্লিজ একবার নিচে আসবে। বেশি না পাঁচ মিনিট এর জন্য । প্লিজ রূপা।
রূপা কিছু না বলে কল কেটে দিলো।
দুইঘন্টা হয়ে গেছে রূপা কল কেটেছে আহনাফ এখনো নিচে দাঁড়িয়ে আছে।
রূপা জানালা দিয়ে একবার তাকিয়ে ওড়নাটা ভালো করে শরীরে জড়িয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।
রূপা আহনাফ এর সামনে দাঁড়াতেই আহনাফ বলে উঠলো, ‘ আমি জানতাম তুমি আসবে রূপা। ‘
রূপাঃ এইসব এর মানে কি..?
আহনাফঃ প্লিজ রূপা তুমি ভাই কে বিয়ে করো না বিয়েটা ভেঙে দাও।’
রূপাঃ এখনো তো ঠিক হয়নি। আপনি আমাকে না বলে আপনার ভাইকে বলতে পারেন।
আহনাফ চুপ করে গেলো।
আহনাফ এর চুপসে যাওয়া মুখটা দেখে রূপা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললো,’ যখন তখন বাসার নিচে এসে বসে থাকবেন না এটা ভদ্রলোকের বাসা।’
আহনাফঃ অনেক খুঁজেছি তোমায় রূপা।
রূপাঃ আপনার খুঁজার দৌড় কি শুধু আমার বাসার গেইট অবদ্ধি সীমাবদ্ধ..? মন থেকে চাইলে যত দূরত্ব হোক,নিজেকে আড়াল করে রাখা যায় না।
আহনাফঃ আমি তোমাকে মন থেকে খুঁজেছি রূপা।
রূপাঃ কোথায় খুঁজেছেন..?? এই চার বছর আপনি যদি একটা বার খুঁজ নিতেন তাহলেই আমাকে পেয়ে যেতেন আমি তো ঢাকা ছেড়ে কোথাও যাইনি। আর আপনি এখন বলতে এসেছেন কোথায় কোথায় না খুঁজেছেন আমায় অভিনয়ে যোগ দেন। খুব ভালো অভিনয় করতে পারেন।
আহনাফ চুপ করে গেলো। সে খুঁজেছে তবে ওতোটা গুরুত্ব দিয়ে নয়। কলেজ থেকে বাসা অবদ্ধি ওর খোঁজা সীমাবদ্ধ ছিলো।
আহনাফঃ আমি তোমাকে ভালোবাসি রূপা আর যাই হোক তুমি ভাইকে বিয়ে করতে পারো না। আমি জানি তুমিও আমাকে ভালোবাসো।চলো আমরা পালিয়ে যাই।
রূপা রেগে আহনাফ এর দিকে তাকালো।
আহনাফঃ প্লিজ রূপা আমাকে ফিরিয়ে দিও না। আমাদের সম্পর্ক এখন হয়তো কেউ মেনে নিবে না ধীরে ধীরে সবাই মেনে নিবে৷।
রূপা হাসলো কতোটা বীরপুরুষ তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। পালিয়ে যেতে বলছে কারন সে ভালোবাসার কথা বলতে পারে কিন্তু তার পরিবারের কাছে সে বলতে পারে না।
রূপা রেগে চিৎকার করে বলে উঠলো, ‘ আমি তোমাকে ভালোবাসি না। তুমি তো আমার কাছে সে দিন ম’রে গেছো। যখন লোকজন আমার মজা নিতে ব্যাস্ত আর তুমি আমার দিকে তিক্ত কার থাগুলো ছুড়ে মারতে ব্যস্ত ছিলে। আমি তোমার চোখে তখন শুধু আমার জন্য ঘৃণা আর প্রতিশোধ দেখেছি। তোমার চোখে সেদিন ভালোবাসা খুঁজতে আমি ব্যর্থ। আজ এতো গুলো বছর পর তোমার সেই ভালোবাস হাওয়ার বেগে কেমনে বেড়ে গেলো..??
আহনাফ রূপার দিকে তাকিয়ে চোখ মুখ শক্ত করে বলে উঠলো, ‘ তোমার জন্য আমার ভাই আমাকে ছেড়ে চলে গেছে।’
রূপাঃ এখনো তোমার আমাকে দোষী মনে হয়..?
আহনাফঃ এটা তুমি ও জানো আমিও জানি আমার ছোটো ভাই তোমার জন্য মা’রা গেছে। আমি এতো কিছুর পরেও তোমার কাছে এসেছি তোমাকে খুঁজেছি এটা কি অনেক নয়??। আমি সব কিছুর জন্য ক্ষমা চেয়েছি তা কি বেশি নয়??। তোমার সাথে যা হয়েছে তা খুব কম রূপা।
রূপার চোখ ছলছল করে উঠলো, ‘ এতো কিছুর পড়েও কম হয়েছে..? আমি কলেজ ছাড়তে হয়েছে তোমার জন্য! সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়া, সবার হাসাহাসি কটুকথা শোনা।আর সব থেকে বড় কথা আমি তো তোমার ভাইকে ভালোবাসার ফাঁদে ফেলিনি। অভিনয় করিনি উচিত শিক্ষা দিয়ে ছিলাম যা তোমরা দিতে পারোনি। তোমার ভাই আদর পেয়ে এতোটায় নষ্ট হয়ে গিয়ে ছিলো যে কলেজে মেয়েদের সাথে নোংরামো করতেও দ্বিতীয় বার ভাবেনি। এটাই যদি আমার অপরাধ হয় তাহলে এমন অপরাধ আমি বার বার করবো।
রূপা চিৎকার করে বললো,’ তুমি আমাকে কতোটা আঘাত করেছো একবার ভেবে দেখেছো তুমি..? তোমার মন বলতে কিছু নেই আহনাফ । এতো কিছু করে তুমি কম বলছো..?
আহনাফঃ বেঁচে তো আছো।
রূপা রেগে আহনাফ এর কলার চেপে ধরে বলে উঠলো, ‘ তাহলে তুমি চেয়ে ছিলে আমি আত্ম*হত্যা করি..-?আমি নতুন করে আর কি আত্মহত্যা করবো তুমি নিজেই সেই দিন আমাকে কথায় আঘাতে হ*ত্যা করে ফেলেছো। ভালোবাসার মায়ায় জড়িয়ে ময়লা আবর্জনার মতো দূরে ছুড়ে ফেলেছো। এখন আমি তোমাকে যে শাস্তি দিবো তাই কম হয়ে যাবে। আমি তোমার মতো অমানুষ নই যে কুকুর কামড় দিয়েছে বলে কুকুর কেও কামড় দিতে যাবো!
আহনাফঃ তুমি আমাকে শাস্তি দিবে!!..? আমাকে শাস্তি দেওয়ার মতো তোমার কি আছে..?? তোমার সাথে আমি তর্কে যেতে চাচ্ছি না, নিজের ভালো চাইলে তুমি ভাইকে বিয়ে করো না। যদি তাও বিয়েতে রাজি হও পরিনাম এর থেকে অনেক খারাপ হবে।
রূপা কিছু না বলে আহনাফ এর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলো। আজও আহনাফ রূপাকে তার ভাইয়ের খু’নী ভাবে..? আজও আহনাফ ঠিক হয়নি। রূপা ভেবেছে হয়তো ভুল বুঝাবুঝি শেষ কিন্তু না। আহনাফ এর প্রতিটা কথা আবারও রূপাকে ভেঙে দিলো কিন্তু রূপা বুঝতে দিবে না । আবারও আহনাফ বুঝিয়ে দিলো রূপা একজন খু’নী আর খু’নীকে কখনো ভালোবাসা যায় না। আহনাফ এর কথার প্রতিটা উত্তর দিবে রূপা।হ্যাঁ রূপা শাস্তি দিবে তবে নিরবে, দূর থেকে।
রূপা ভাবলো সেই এক একটা দিনের কথা। কতো নির্ঘুম রাত কেটেছে, কতো বার নিজেকে শেষ করতে গিয়েছে রূপা।কিছুই জানেনা আহনাফ জানলে হয়তো মজা নিতো।
আহনাফ পেছন ফিরে সাজ্জাদ কে দেখে অবাক হলো সাথে ভয়ও পেলো।
সাজ্জাদ এর মুখে না আছে হাসি আর না আছে রাগের ছাপ।
সাজ্জাদ আহনাফ এর কাছে এসে বললো,’ তুই এখানে..? ‘
আহনাফ কিছু বলতে নিলে সাজ্জাদ আবার থামিয়ে দিয়ে বললো গাড়িতে গিয়ে বস আমি আসছি।
আহনাফ একবার রাগী দৃষ্টিতে রূপার দিকে তাকিয়ে গিয়ে গাড়িতে বসে পরলো।
সাজ্জাদ রূপার চোখের পানি মুছে দিতে গেলে রূপা দূরে সরে গলো।
সাজ্জাদ হাসলো রূপার হাত ধরে রূপাকে কাছে নিয়ে আসলো যত্ন করে চোখের পানি মুছে বলে উঠলো, ‘ এই চোখে যেনো আর পানি ঝরতে না দেখি।’
রূপাঃ আপনি এখানে..?
সাজ্জাদ দুষ্ট হেসে বললো,’ খুব সখ ছিলো বিয়ের আগে বউয়ের সাথে প্রেম করবো তাই চলে আসলাম।’
রূপা সাজ্জাদ এর দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো,’ আমাকে বিয়ে কেনো করতে চাচ্ছেন..? ‘
সাজ্জাদঃ সব প্রশ্নের উত্তর হয়না রূপা।
রূপাঃ অনেক রাত হয়েছে।
সাজ্জাদ কিছু না বলে রূপার কান্না করা মুখের দিকে তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নিলো।
সাজ্জাদঃ বিয়েতে হ্যাঁ বলে দেওয়া যায় না…?
রূপাঃ আমি এখন বিয়ে করতে চাচ্ছি না।
সাজ্জাদঃ সমস্যা কি আমি আহনাফ এর ভাই বলে..?
রূপা থেমে গেলো।
রূপা খুব ভালো করেই বুঝে গেছে সাজ্জাদ সবটা জানে কিন্তু এইসব উনাকে বললো কে..? আহনাফ..? মনে তো হয় না।
সাজ্জাদঃ আমি চাই তুমি নিজে কাল কে বিয়ের জন্য মত দাও। আর আমি জানি এটাই হবে।
রূপাঃ আপনারা দুই ভাই কি পেয়েছেন..? একজন বিয়ে ভাঙতে বলবে আরেকজন বিয়ে করতে।
আমি কারো কথাই শুনবো না।
সাজ্জাদঃ তুমি কারো কথাই শুনতে হবে না তুমি শুধু তোমার মনের কথা শুনো। তুমি যদি কাল বিয়ের জন্য রাজি না হও তাহলে আমি নিজেকে শেষ করে দিবো। সবার ভালোবাসা অভিনয় না রূপা। ভালোবাসা সময় দেখে হয় না হুট করে হয়ে যায়। তুমি ভুল মানুষকে বিশ্বাস করো সঠিক মানুষটা তোমার চোখের সামনে থাকার পরও তুমি তাকে দেখতে পাচ্ছো না। আমি আজ তোমাকে আমার ফিলিংস টা জানিয়ে দিলাম।
ভালোবাসা সৌন্দর্য দেখে হয় না। ভালোবাসা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য হয়না। ভালোবাসার মাঝে ঘৃণা অবশ্য থাকে না। তুমি ভাবো রূপা।
রূপা বিরবির করে বলে উঠলো, ‘ আমি একজন খু’নী। সেই অভিশপ্ত দিনটা আমার জীবনে না আসলে আজ আমার জীবন অন্য রকম হতো,আমি পাপী,অপবিত্র আমার জন্য একটা ছেলে নিজের জীবন শেষ করে দিলো। আসলেই আমি খু’নী আমি কারো ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য না। বলেই কাঁদতে কাঁদতে ভেতরে চলে গেলো।
রূপার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে সাজ্জাদ । তোমার সব কষ্ট মুছে দিবো রূপা। সব ভুল ভেঙে দিবো আমি। তুমি পাপী, অপবিত্র নও তুমি পবিত্র।
সাজ্জাদ রাগী চোখ গাড়ির দিকে তাকালো। কেনো আহনাফ এখনো বুঝে না মাহিন ( আহনাফ এর ভাইয়ের নামটা ঠিক মনে নেই) এর মৃত্যুর জন্য রূপা দায়ী নয়। সে তো ছোটো বাচ্চা নয়। এতো টুকু কেনো ওর মাথায় ঢুকে না। রূপার সাথে ও যা করেছে তার জন্য ওর অনুতপ্ত হওয়া দরকার কিন্তু না সে এখনো রূপাকে দোষারোপ করে যাচ্ছে। আহনাফ যদি সত্যি রূপাকে ভালোবাসতো তাহলে কখনো চার বছর আগে এমনটা করতে পরতো না। প্রতিশোধ অন্য ভাবেও নেওয়া যায়। প্রিয় মানুষটিকে, ভালোবাসার মানুষটিকে অন্যের সামনে উপমান করে, ছোটো করে আর যাই হোক এটাকে কখনো ভালোবাসা বলে না।সাজ্জাদ আহনাফ এর অপেক্ষা করেছে যদি আহনাফ রূপাকে ভালোবাসে তাহলে সাজ্জাদকে অবশ্য বলবে। একবার সাজ্জাদের রুমের রূপাকে চাইতো আহনাফ সাজ্জাদ হাসতে হাসতে দিয়ে দিতো কিন্তু আহনাফ আসলে কি চায়..? কি করতে চায়..?
আজ সাজ্জাদ সবটা জানতে চায় আহনাফ এর কাছে।
চলবে…..
ভুলত্রুটি মার্জনীয়।