#মিশেছো_আলো_ছায়াতে
#Writer_Sintiha_Eva
#part : 10
🍁🍁🍁🍁
আদির রুমজুড়ে চলছে চিরুনি তল্লাশি। মিশন আদির জিএফ। আদি অফিসে কাজের চাপ থাকায় কাল রাতে বাড়ি না ফিরে ওদের ফার্ম হাউসে চলে গিয়েছিলো। আর সেই ফাঁকেঔ আদির রুমে তুহা, আদিবা, মেহের, শাওন, ইশান, রিক, আয়াশ ইঁদুরের মতো খুটুরমুটুর করছে। তিন্নি চোখ ছোট ছোট করে ওদের কার্যকলাপ দেখছে আর চকলেট খাচ্ছে। চকলেট টা হচ্ছে শাওন দের তরফ থেকে। তিন্নি কাকাই বলতে পাগল। আর যদি সে দেখে তার ই বাপ-মা, ফুফুরা মিলে তার কাকাইয়ের রুমে খুটুরখুটুর করছে তাহলে আদির কানে পৌঁছাতে দেরী নেই।
এদিকে একেক জন একেক জায়গা খুঁজে ও কিছুই পেলো না। সবাই একে অপরের দিকে হতাশ হয়ে তাকালো। একদিন আড্ডার ফাঁকে আদি মুখ ফসকে বলেছিলো ” আমি যাকে ভালোবাসি তাকে তোমরা সবাই চিনো। এবার ওই মেয়ে টা কে সেটা খুঁজে বের করার দায়িত্ব তোমাদের। ” ব্যস সেদিন থেকেই সবাই আদির পিছনে আদা-জল খেয়ে লেগেছে জাস্ট একটা ক্লু এর জন্য। কিন্তু প্রতিবারই তারা নিরাশ হচ্ছে। তাই আজ সকাল সকালে আয়াশ আর রিক কে ডেকে আদির জিএফ এর কথা জিজ্ঞেস করলে আয়াশ রা আকাশ থেকে পড়ে। কারণ সবাই জানে দ্য গ্রেট আদিত্য চৌধুরী আদির পক্ষে কোনো মেয়ের উপর ফিল আসা অসম্ভব তারউপর ভালোবাসা তো বিলাসিতা। সেই রহস্য উন্মোচনে সবাই একজোট হয়ে আদির ঘরে হানা দেয়।
আদিবা : ধ্যত কিছুই তো পাইনি। একটা ছবি তো পাবো অন্তত। চেঁচিয়ে)
তুহা : সিরিয়াসলি। কোথায় জিএফ এর ছবি দিয়ে পুরো রুম ভরে রাখবে। সকাল বিকাল রাত চব্বিশ ঘণ্টা জিএফ কে দেখবে। তা না নিরামিষ একটা।
তুহার কথায় ইশান চোখ সরু করে তুহার দিকে তাকায়।
ইশান : সিরিয়াসলি। এসব করলে ভালোবাসা হয় নাকি ( অবাক হয়ে)
তুহা : তো সিরিয়ালে দেখো না। হাউ রোমান্টিক।
ইশান : নে এই মেয়ে আবার সিরিয়ালে চলে গেছে।
মেহের : আহ ভাইয়া তুহা থামো তোমরা। আচ্ছা আর কোনো জায়গা বাকি আছে দেখার।
রিক : হুমম আছে তো।
শাওন : কোন জায়গা তাড়াতাড়ি বল।
রিক : টয়লেট আর ছাঁদে পানির ট্যাঙ্ক।
সিরিয়াস মুহুর্তে রিকের কথায় সবাই রাগি দৃষ্টিতে রিকের দিকে তাকায়। সবার তাকানো দেখে রিক একটা শুকনো ঢোক গিলে।
রিক : এ এভাবে তা তাকানোর কি আছে। যা সত্যি তাই বললাম।
আয়াশ বিছানা থেকে একটা কুশন নিয়ে রিকের দিকে ছুঁড়ে মারে।
আয়াশ : চুপ কর শা’লা।
রিক : আমার কোনো বোন নেই তাই আমি তোর শালা না।
আয়াশ রাগান্বিত দৃষ্টিতে তাকালে রিক থতমত খেয়ে চুপ হয়ে যায়।
তিন্নি : কাকাইয়ের একটা সিলকেট ( সিক্রেট) জায়গা আতল সেটা শুধু আমি জানি। ( চকলেট খেতে খেতে)
তিন্নির কথায় সবাই পুলকিত হয়ে তিন্নির দিকে তাকায়। তিন্নি ভাবলেশহীন চকলেট খাওয়ায় মনোযোগী হয়। সবাই দৌড়ে তিন্নিকে ঘিরে ধরে। তিন্নি দেখে ও না দেখার ভান করে চকলেট খাচ্ছে।
মেহের : আমার সোনা মা। তোর ফেভারিট পাস্তা করবো আজ।
তিন্নি : তুমি না বলো বেশী পাস্তা খেলে শলীল ( শরীর) খালাপ কলে ( খারাপ করে) ।
তুহা : লক্ষ্মী সোনা আমাদের তিন্নি। তোর জন্য আমি আইসক্রিম নিয়ে আসবো।
তিন্নি : তুমি না বলো আইলসক্লিম ( আইসক্রিম) খেলে ঠান্ডা লাগে আমাল ( আমার) ।
আদিবা : আচ্ছা। তোকে নিয়ে আমার ভার্সিটি যাবো। তুই সেদিন যোতে চেয়েছিলি না।
তিন্নি : হুমম সেদিন তুমি বলেতিলে ( বলেছিলে) আমি চোটো মানুলস ( ছোটো মানুষ)
তিন্নির কথায় মেহের, তুহা, আদিবা হতাশ হয়। এই মেয়ে হারে হারে পাজি। যখন ওকে কিছু বারণ করা হবে তখন শুনে ঠিকই। কিন্তু পরে কোনো কাজে লাগলে কথার প্যাচ তুলে ধরে।
ইশান : আচ্ছা আমরা দুইজন গিয়ে শপিং করে আনবো চলবে তো৷
ইশানের কথায় তুহা বিজ্ঞদের ন্যায় ওর দিকে তাকায়। তিন্নির তাকানো দেখে ইশান দু পা পিছিয়ে যায়।
তিন্নি : তোমলা আমালে ঘুস দিতে চাইছো ( তোমরা আমাকে ঘুষ দিতে চাইছো) ।
তিন্নির কথায় ওরা একে অপরের দিকে তাকায়। সবাই একসঙ্গে মাথা নেড়ে না জানায়। তিন্নি ভেংচি কেটে টেবিলের উপর থেকে নেমে যায়। অতঃপর ওদের দিকে তাকায়।
তিন্নি : আমাল সাথে আতো। ( আমার সাথে আসো)
সবাই তিন্নির পেছনে যায়। তিন্নি গিয়ে আলমারির সামনে দাঁড়িয়ে শাওনের হাত টেনে ধরে।
তিন্নি : আমালে কোলে নাও।
শাওন মেয়েকে কোলে নেয়।
তিন্নি : এলটু কাছে আতো
শাওন তিন্নিকে নিয়ে আরেকটু এগিয়ে যায়। তিন্নি পুরো শরীর আলমারির ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়। সবাই নিঃশব্দে তিন্নির কার্যকলাপ দেখছে।
মেহের : মা একটু তাড়াতাড়ি কর। তোর কাকাই চলে আসবে।
তিন্নি : চুপ থাকো। নইলে কাকাই কে সব বলে দিবো।
তিন্নির ছোট্ট হুমকিতে সবাই ছোটোখাটো একটা ঝাঁকুনি খায়।
বেশকিছুক্ষণ পর তিন্নি একটা ড্রয়ারের সন্ধান খুজে পেয়ে প্রাপ্তির হাসি দেয়। শাওনের দিকে তাকিয়ে নিচে নামানোর জন্য ইশারা করে। শাওন ও নিজের মেয়েকে নিচে নামিয়ে দেয়।
তিন্নি : ওই ড্রলারে ( ড্রয়ারে) একটা ডায়েলি আতে দেতো ( একটা ডায়েরি আছে দেখো)
তিন্নির কথায় সবাই হুর মুড়িয়ে ড্রয়ারের সামনে আসে।
মেহের : কই খুঁজে পাচ্ছি না তো ডায়েরি টা।
তুহা : ভাবী ভালো করে খুঁজো।
ইশান : ওই পুচকি তুই সত্যি বলছিস তো।
ইশানের কথায় তিন্নি কোমড়ে হাত দিয়ে দাঁড়ায়। তিন্নির দাঁড়ানোর স্টাইল দেখে আদিবা জোরপূর্বক হাসে।
আদিবা : হেহেহে আরে ইশান ভাইয়া কি বলছো।
বেশকিছু ক্ষণ পর মেহের সবার দিকে তাকায়। মেহেরের তাকানো দেখে সবাই হতাশ হয়। আচমকা বিস্ফোরণে সবাই কান চেপে ধরে। মেহের খিলখিলিয়ে হেসে দেয়।
শাওন : ফা/জি/ ল মেয়ে এভাবে কেউ চেঁচায়।
মেহের : এই যে ভাইয়ার গোপন প্রেমের রহস্য।
মেহেরের কথায় সবাই চকিত চোখে মেহেরের হাতে থাকা ডায়েরির দিকে তাকায়।
শাওন : ডায়েরি হাতে নিয়ে ফটোশুট করবে নাকি আজব।
মেহের : শাট আপ শাওন।
ইশান : মেহেরবানি কর ভাইজান। তোরা এখন ঝগড়া করিস না।
তুহা : হুম হুম। ডায়েরি টা খোলো। আমার আর তর সইছে না।
তুহার কথায় সবাই সায় দেয়। মেহের ডায়েরি টা নিয়ে আদির বেডে বসে। ডায়েরি টা মাঝখানে রেখে সবাই গোল হয়ে বসে। সবার মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ডায়েরির প্রথম পেজ উল্টাতেই সবাই একটা বড়সড় টাস্কি খায়।
তিন্নি : ডাক্তার আন্টি ( চেচিয়ে)
তিন্নির চেঁচানো তে সবাই কান চেপে ধরে।
আয়াশ : চুপ কর তিন্নি। দেখতে দে।
তিন্নি ঠোঁট উল্টে আসন করে বসে।
ডায়েরির প্রথম পেজে সিমথি একটা ছবি লাগানো। ছবিতে সিমথি ঘুমিয়ে আছে। ছবির নিচে লেখা,,
” আমার ঘুমন্ত পরী ”
পরের পেজ উল্টাতেই সিমথির শাড়ী পড়া একটা ছবি লাগানো। ছবিতে সিমথি একহাতে চোখের চশমা ঠিক করছে অন্যহাতে কুঁচি তে ধরা। সূর্যের আলো এসে সিমথির মুখে পড়ছে। ছবিটির নিচে লেখা,,
” আজ হঠাৎ অনুভব করলাম তোমার পাগলামি গুলোতে ভীষণ আসক্তি হয়ে পড়েছি। এই কয়েকদিনে তোমার উপেক্ষা আমার সহ্য হচ্ছে না। তোমার সেই বার বার ভালোবাসি আদি ডাক টা আজ শুনতে ভীষণ ইচ্ছে করছে। ”
পরের পৃষ্ঠা উল্টাতেই সিমথির কলেজের ড্রেস পড়ুয়া একটা ছবি ভেসে ওঠে। দুপাশে দুটো ঝুটি, চোখে চশমা। ছবিটায় সিমথি অন্যমনস্ক হয়ে বসে আছে।
” আজ একুশ দিন তুমি আমার সাথে কথা বলো না। তোমার হঠাৎ দূরত্ব আমি মানতে পারছি না। মনে হচ্ছে প্রিয় কিছু হারিয়ে ফেলেছি। এই যে আজ তোমার মন খারাপ এটার কারণ আমি। অদ্ভুত ভাবে তোমার ভালো লাগার কারণ টা ও আমিই ছিলাম। কিন্তু নিজের অবহেলায় ভালোবাসা হারালাম। ”
পরের পৃষ্ঠা উল্টাতে সিমথির ছবিতে সবার চোখ আটকে যায়। শাওন রা একে অপরের দিকে তাকায়। ছবিটাতে সিমথি কাঁদছে। পাশে মেঘা, রোদেলা , তুহিন আর তন্ময় সবার চোখে পানি। মেঘা সিমথিকে জড়িয়ে ধরে রেখেছে।
” জানো আজ তোমার কথাগুলো তীরের মতো আমার বুকে বিঁধেছে। তুমি আমাকে ভুলে যাবে কথাটা মনে হলেই নিঃশ্বাস আটকে আসছে। কিন্তু আমার হঠাৎ বদলের কারণ টা আমি নিজেও বুঝতে পারছি না। আমি তো তোমাকে ভালোবাসি না। তাহলে আমার এতো কষ্ট কেনো হচ্ছে। আমার এই কষ্ট থেকে মুক্তি চাই। আমি তো নিজেই তোমাকে দূরে সরালাম। তাহলে আমি কেনো পারছি না। ”
এভাবে কয়েক পৃষ্ঠায় সিমথির ছবি লাগানো। আর আদি মনে অব্যক্ত অনুভূতি সাজিয়ে লেখা আছে। বেশ কয়েক পেজ পর আরেকটা পৃষ্ঠায় সবাই থামে। সেখানে সিমথি সোফায় বসে বইয়ে মুখ গুঁজে আছে। পড়নে জিন্স আর থ্রি-পিস।
” আমার নাম না জানা অনুভূতির নাম পেয়েছি। আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি সিয়াজান। হ্যাঁ হ্যাঁ তোমার পাগলামি, দুষ্টুমি, বার বার ভালোবাসি বলে জ্বালানো সব কিছু কে মিস করার কারণ পেয়েছি। ভালোবাসি তোমায়। খুব শীঘ্রই তোমাকে আমি আমার মনে কথা জানাবো। তোমার এক্সামের পরই জানাবো। ভালোবাসি তোমায় ভীষণ। ”
তারপর কয়েক পেজ খালি। মেহের একের পর এক পাতা উল্টায়। বেশ কিছুক্ষণ পর মেহের থামে।
সিমথির কোনো ছবি নেই কিন্তু লেখা আছে আদির।
” আমি তোমাকে এভাবে হারিয়ে ফেলবো ভাবিনি। এতো অভিমান তোমার। এতো রাগ আমার প্রতি। আমার থেকে দূরত্ব বাড়ানোর জন্য দেশ ছেড়ে দিলে। আমার শেষ কথাগুলো শুনার জন্য একটু অপেক্ষা করতে পারলে না। আজ যখন বাড়িতে গিয়ে সায়নের কাছে জানতে পারলাম তুমি কাল রাতের ফ্লাইটে লন্ডন চলে গেছো। আমার পুরো দুনিয়া থমকে গিয়েছিলো। নিজের উপর প্রচন্ড রাগ হচ্ছিলো। আমার বোকামির জন্য তোমাকে এভাবে হারালাম। আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। আমি আর এই ভার বইতে পারছি না। ফিরে এসো। দয়া করো আমায়। ”
তার পরে কয়েক পেজ খালি। পরে আবারো সাদা পৃষ্ঠায় কালো কালি ভেসে উঠেছে।
” আজ তিন বছর হলো তুমি আমার কাছে নেই। আজ থেকে তিন বছর আগে এই দিনই তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলে। তুমি নিশ্চয়ই আমাকে ভুলে গেছো। সত্যিই কি ভুলে গেছো। কিন্তু আমি তো তোমায় ভুলিনি। আজোও তোমার সেই পুরানো স্মৃতিগুলো আমার মনে আছে। তোমার মুখের সেই মিষ্টি হাসি, মায়াবী চোখ। বার-বার ভালোবাসি আদি এই ডাকটা বড্ড মিস করছি। ফিরে আয় প্লিজ আমি আর পারছি না। ফিরে আয় সিয়াজান। ”
তারপর কয়েক পেজ খালি। পুনরায় আবারো লেখা এবং লেখার উপরে সিমথির একটা ছবি। সেখানে সিমথি রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। গেটআপ সম্পূর্ণ চেঞ্জ। চোখে চশমা নেই।
” আজ প্রায় ছয় বছর পর তোকে দেখলাম। আমাকে খুব সন্তপর্ণে আড়াল করেছিস তুই। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম তুই একটা বারের জন্য ও আমার দিকে তাকালি না। আমাকে না চেনার ভান করে আমার সামনে দিয়ে চলে গেলি। তুই আগে থেকেই জেদী ছিলি। কিন্তু এই ছয় বছরে তুই আরো জেদী হয়েছিস। বাগানে যখন বলেছিলি আমার প্রতি অনুভূতি টা তোর অপরিণত বয়সের ভুল। তখন ইচ্ছে হয়েছিলো তোকে জড়িয়ে ধরে চেঁচিয়ে বলতে তোকে আমি ভালোবাসি। কিন্তু ভাগ্যের খেলায় তুই এখন আমার নাম টা শুনতে পারিস না। সেখানে তোকে যদি আমি ছুঁয়ে দিতাম হয়তো সেই অপরাধে আমার মৃ/ত্যু/দ/ন্ড হতো। যেই চোখে সেদিন ও ভালোবাসা দেখেছিলাম সেই চোখে আজ আমি আমার জন্য বিরক্তি, ঘৃণা দেখেছি। আমি ভাবিনি আমার একটা ভুল এভাবে তোর মন থেকে আমাকে মুছিয়ে দেবে। কিন্তু আমি এখন কি করবো বলতে পারিস। তোর কাছে যেটা অপরিণত বয়সের ভুল আমার কাছে সেটা ভালোবাসার প্রথম রং। ”
তারপরে সব পেজ খালি। আদিবারা একে অপরের দিকে তাকায়। তারমানে আদি যাকে ভালোবাসে সেই মেয়ে আর কেউ নয় সিমথি জাহান সিয়া। ডায়েরির কথা গুলো থেকে এটা স্পষ্ট সিমথি ও আদিকে ভালোবাসতো। তাহলে ওদের মাঝে হঠাৎ কি হলো। হঠাৎ এভাবে দুজন দূরে সরে গেলো কেনো? সবার মাথায় একঝাঁক প্রশ্ন এসে জোরো হয়। যার সমাধান আছে দুজন মানুষের কাছে। প্রথমত সিমথি আর দ্বিতীয়ত আদি। কিন্তু কে দেবে এতো প্রশ্নের উত্তর?
চলবে,,,,
( নাইস নেক্সট না লিখে অন্য কিছু লিখেন পাঠক গণ। আগামী পর্বে সারপ্রাইজ আছে। অন্তত এটার জন্য হলেও একটু ভালো কমেন্ট কইরেন। ধন্যবাদ ❤️)