আরশির_প্রতিমুখে #সূচনা_পর্ব —নবনীতা শেখ

0
412

পড়াশোনা সম্পূর্ণ করে অথবা মাঝপথেই ছেড়ে দিয়ে প্রায় সব বন্ধুরাই এখন সংসারী; দেখা-সাক্ষাৎ নেই বললেই চলে। সিঁথির খুব মনে পড়ল—সেই স্বর্ণালি দিনগুলোর কথা। তারপর আর না ভেবে, হুট করেই যোগাযোগে থাকা গুটিকয়েক বন্ধুদের সামনে প্রস্তাব রাখে—রিউইউনিয়নের।

মনের সূক্ষ্ম শূন্যতা থেকে এই পরিকল্পনা জপলেও, সাড়া পায় ভাবনাতীত। আস্তে-ধীরে সব বন্ধুদের কন্ট্যাক্ট নম্বর জোগাড় করে জানাতে গিয়ে দেখল—বাকিরা তার চেয়েও অধিক উৎসাহী।

ক্লাসের সবচেয়ে পড়াকু থেকে শুরু করে, শেষের দিক থেকে প্রথম স্থান উত্তীর্ণ করা প্রায় সব বন্ধুরাই আসছে। খুশিমনে এখন সবাইকে কল দিয়ে ডেট জানাচ্ছে সিঁথি। কাগজের লিস্টটিতে থাকা নম্বরদের ভীড়ে একটি নম্বর তার মনোযোগ নিগূঢ়ভাবে আকর্ষণ করল। নম্বরটি তার কৈশোরের প্রিয় সখী—ইন্দুপ্রভার!

সাংসারিক জীবনের ব্যস্ততার জন্য আর একে-অপরের খোঁজ নেওয়ার অবসর পায়নি। তাই-তো পুণর্মিলনের অছিলায়, গুটিকতক বসন্ত পার হওয়ার পর গত সপ্তাহে তাদের কথা হলো। কথা শুরুর প্রথম ঘন্টা-খানেক, আবেশে দুই সখী কেবল কেঁদেই গিয়েছিল। তারপর থেকে প্রায়শই কথা হয়।

সিঁথি আজ আবার কল লাগাল। শেষ রিং হয়ে কেটে যাওয়ার আগ-মুহুর্তে কল রিসিভ হলো। ওপাশ থেকে মিষ্টি একটি আওয়াজ এলো, “স্যরি-রে! সোনাইকে স্নান করাচ্ছিলাম। এজন্য ফোন ওঠাতে দেরি হয়ে গেল!”

সিঁথি বলল, “সমস্যা নেই। শোন, ডেইট ফিক্সড হয়ে গেছে!”

“ওহ্ তাই? কবে? কোথায়?”

“শুক্রবারে, আমাদের এমসিসি ক্যাম্পাসে।”

“এই শুক্রবারে?”

“হ্যাঁ। আসতে পারবি না?”

“আসব তো! না আসতে পারলেও আসব!”

সিঁথি হেসে উঠল, রঙ্গ করে বলল, “আচ্ছা ইন্দু, তোর বর মানা করলে?”

“সুব্রতকে তুই চিনিস না, ও কক্ষনও কোনো কাজে মানা করে না আমায়।” —গর্ব করে বলল ইন্দুপ্রভা। সিঁথি আরও কিছু বলতে যাবে, সাথে সাথে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ ভেসে এলো ওপাশ থেকে। ইন্দুপ্রভা তড়িঘড়ি করে বলল, “খিদে পেয়েছে ওর, আমি খাইয়ে নিই।”

সিঁথি ‘আচ্ছা’ জানিয়ে কল কেটে দিলো। এরপর বাকি সবাইকে কল করতে লাগল। অনেকটা সময় এগোল। রাত হয়ে গেল। শেষ নম্বরটিতে এসে, লম্বা একটা শ্বাস ফেলে কল লাগাল, রিসিভও হলো তৎক্ষনাৎ।

ওপাশ থেকে ভরাট-গম্ভীর আওয়াজ এলো, “হ্যাঁ, সিঁথি! বলো।”

সিঁথি হেসে বলল, “ভালো আছ, দিব্য?”

দিব্য হাসল, “হ্যাঁ, আছি। তোমার খবর বলো!”

“ভালো ভালো।”

“আচ্ছা! বেবি কী করছে?”

“ওর নানুর কাছে আছে। শোনো, যার জন্য কল দিলাম! আমাদের রিইউনিয়নের ডেইটটা শুক্রবারে পড়েছে।”

“গ্রেট! সবাই আসছে?”

“যাদের সাথে কন্ট্যাক্ট করতে পেরেছি, তারা সবাই আসছে।”

“ওহ্!”

“তুমি কি স্পেসিফিক কারোর খবর চাইছ?”

ধরা পড়ে গিয়ে অপ্রস্তুত হাসল দিব্য, “এমনি আর কী!”

মলিন হেসে সিঁথি জানাল, “হ্যাঁ, ও আসছে ওদিন।”

দিব্যর হাসিকে প্রশস্ত করে দিতে এই শব্দ ক’টাই যথেষ্ট ছিল।

_____
শুক্রবার, এমসিসি প্রাঙ্গণ।

আনাচে-কানাচেতে উৎসবমুখর আনন্দ। সবটা দেখে সিঁথি অবাক হচ্ছে। একসময়ের ক্লাসের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েটির চোখের নিচে এক ইঞ্চি পুরু কালো দাগ, মুখ ভর্তি ব্রণের নিদর্শন, শরীরটাও মুটিয়ে গিয়েছে; চোখ-মুখে হতাশা আর জীবনের প্রতি প্রবল বিতৃষ্ণা। সবচেয়ে পড়াকু ছেলেটা বেকারত্বকে আপন করেছে, চাকরি পায় না। ব্যাকবেঞ্চার ছেলেটা! একসময় প্রতিটি ক্লাসে দাঁড়িয়ে থাকত, মার খেতো, বকা খেতো! প্রতিটি টিচারের কাছে শুনেছে, ‘তোর দ্বারা কিচ্ছু হবে না’, সেই ছেলেটি আজ দেশের সেরা দশজন বিজনেসম্যানের একজন।

ক্লাসের সবার আইডল ছিল যেই প্রেমিক-যুগল, তাদের দুজনের আজ দুটো ভিন্ন সংসার। একসময় যেই ছেলেটা একাধিক প্রেমে মশগুল থাকত, সে আজ দিনে এখন অবধি কোনো মেয়ের চোখের দিকে তাকায়নি, সেই যে মাথা নিচু করে রেখেছে; এই নিয়ে প্রশ্ন করায়, জবাবে বলেছে—‘আমার সুন্দরী বউ মান করে গাল ফুলোবে’।

আর সবচেয়ে বেশি চমকিত হয়েছে, তারা একে-অপরকে সেই আগের মতো ‘তুই’ সম্বোধন করতে না পেরে। অথচ, একসময় কত অনয়াসে তুইতোকারির সাথে হেসে-খেলে গালি দিয়ে দিত।

দিব্য এগিয়ে গিয়ে সিঁথির পাশে দাঁড়াল। প্রশংসা-স্বরূপে বলে উঠল, “অ্যারেঞ্জমেন্টটা দারুণ হয়েছে। শুধু অনুপস্থিতি, চাঁদের আলোর।”

সিঁথি চকিতে বলে উঠল, “এই, তুমি দিনের বেলায় চাঁদের আলো খুঁজছ কেন, বলো তো!”

বিপরীতে দিব্য ঠোঁট চেপে হাসল। তখনই সিঁথির ফোন বেজে উঠল, ইন্দুপ্রভার নম্বর। দ্রুততার সাথে কল রিসিভ করে বলল, “কই তুই? এখনও আসিসনি কেন?”

ওপাশ থেকে ইন্দুপ্রভা বলল, “জ্যাম ছিল রে! এখন গেইটের সামনে আছি, আয় তো!”

সিঁথি ‘আসছি’ বলে, চলে গেল। দিব্য ওখানেই দাঁড়িয়ে ফোনে চোখ রাখল। কিছুক্ষণের মাঝেই গেইট দিয়ে সিঁথির সাথে বাচ্চা-কোলে একজন অসম্ভব সুন্দরী রমনীর প্রবেশ ঘটল। শুভ্রাঙ্গে মেরুন রঙা সুতির শাড়ি। দিব্যর চোখ ওদিকে যাওয়ার পর আর সরানোর ফুরসত পেল না, অপলকভাবে কেবল দেখে গেল। কী সুন্দর দেখাচ্ছে! একদম গ্রহন লাগা চন্দ্রের মতন সুন্দর!

মাত্র করা এই কাজটা চরম অনুচিত জেনেও, নিজেকে আটকাল না সে; তাকিয়ে রইল অনিমেষ। তাকিয়ে তাকিয়ে দেখল তাকে, জীবনে এসে এসেও এলো না যে। আর সবশেষে ইন্দুপ্রভার চোখ এলো ওর দিকে। চোখাচোখির এই মুহূর্তে ইন্দুপ্রভা চমৎকারভাবে হাসল। সিঁথিকে কিছু একটা বলে এগিয়ে এলো ওর দিকে। দিব্য নিজেও এগোল।

মুখোমুখি এবার দুজন। কথার সূচনা করল ইন্দুপ্রভা, “কেমন আছিস, ভাই? কত্ত পালটে গেছিস!”

পরপরই থেমে আবার বলল, “কত্ত অ্যাট্রাক্টিভ হয়ে গেছিস!”

লাগামহীন মুখ তার, দিব্য এতে একসময় অভ্যস্ত ছিল। তাই কেবল হাসল, মাথা চুলকে বলল, “ভালো আছি, তুই?”

“বেশ আছি। তোর দিক থেকে নজরই ফেরাতে পারছি না রে! যখন এইচএসসি দিলাম, তোর দাড়ি তো দূর, গালে লোমই ছিল না! আর এখন কী সুন্দর চাপ দাড়ি! সার্জারি করিয়েছিস নাকি, হুঁ?”

“এতদিন পর দেখা, একটুও পালটাসনি তুই! এখনও সেই আগের মতোই মজা ওড়াচ্ছিস!”

“আমি পালটাইনি ঠিকই, কিন্তু তুই বহুত পালটে গেছিস।”

“সময় পালটে দেয়।”

“স্মৃতিরা আঁকড়ে রাখে।”

“তোকে ধরে রেখেছে? রাখতে পেরেছে?”

“না পারলে তো বদলে যেতাম।”

জবাবে তর্ক হতো, তাই দিব্য এড়িয়ে গেল পালটা প্রশ্নে, “মেয়ে?”

কোলে ঘুমন্ত মাস দশেকের বাচ্চাকে ইঙ্গিত করে প্রশ্নটা করল দিব্য। ইন্দুপ্রভা উপর-নিচ মাথা ঝঁকিয়ে ইতিবাচক সম্মতি প্রদান করল। দিব্য বাচ্চাটির দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে ইন্দুপ্রভাকে শুধাল, “নাম কী?”

ইন্দুপ্রভা মেয়েকে বুকের সাথে আরও মিশিয়ে নিয়ে বলল, “আমার চন্দ্রা।”

বিনিময়ে দিব্য হেসে বলল, “সুন্দর নাম!”

এরপরই আবার বলল, “তোর বরের কী খবর?”

“ভালো রে। ওর মতন মানুষ হয় না। কী যে যত্ন নেয় আমার! ও না থাকলে তো একা হাতে এই দুষ্টকে সামলাতেই পারতাম না!”

“যাক ভালো! এখন থাকিস কোথায়, ইন্দু?”

“থাকি তো ঢাকাতেই। কিন্তু তুই আমাকে ইন্দু ডাকছিস কেন? আগে না ‘চাঁদ’ ডাকতিস?”

“তোর মনেও আছে?” —অবাক হলো দিব্য। রাগ করল ইন্দুপ্রভা, “মনে থাকবে না?”

রাগ দমাতে সময় নিল না। ক্ষণিকেই কমিয়ে নিল, প্রসঙ্গ পালটে ফেলল, “আচ্ছা, তোর বউয়ের কী খবর? হুঁ? বাচ্চা-কাচ্চা কয়টা? তোর না ইচ্ছে ছিল—বিয়ের পর ডজনে ডজনে বাচ্চা নেওয়ার। সেসব ইচ্ছে গেল কই?”

দিব্য যেন মজা পেল এবং নিজেও খানিকটা নিল, “অন প্রসেসিং..”

“ওরে! বউ সুন্দরী খুব, না?”

চোখ টিপে দিব্য বলল, “তোর চেয়েও খু-ব সুন্দরী।”

মুখ ভেঙাল ইন্দুপ্রভা, “হুহ! আমার মতো সুন্দরী দুইটা পাবি? খোঁজ না শহর! পেলেও দেখা পেয়ে যেতে পারিস, বাট নিজের করে পাবি না।”

মিনমিনে স্বরে দিব্য বলল, “এইজন্যই মেবি তোকে পাইনি।”

শুনতে পেল না ইন্দুপ্রভা। শুধাল, “হুঁ?”

জোরপূর্বক হাসল দিব্য, “লাভ ম্যারেজ?”

ইন্দুপ্রভা মুচকি হেসে বলল, “হ্যাঁ।”

“কয়বছর?”

“চার বছরের প্রেম, তিন বছরের সংসার।”

“বেশ লম্বা সময়!”

“বে-শ বেশিই!”

“তোর-আমার চেয়ে বেশি না।”

“এহ্! কীভাবে?”

“প্রথমে ক্লাস ওয়ান-থ্রী অবধি ক্লাসমেট। থ্রীতে তুই সেকেন্ড আর আমি ফার্স্ট হয়ে যাওয়ায়, শত্রুতা শুরু; চলে সিক্স অবধি। সেভেনে গিয়ে ফ্রেন্ডশিপ করি। টুয়েলভ অবধি চলে সেই ফ্রেন্ডশিপ। বারো বছরের রিলেশন! বাহ্! তোর বরের চেয়ে বেশি টাইম স্পেন্ড করেছি আমি তোর পিছে!”

ইন্দুপ্রভা একহাতে মেয়েকে সামলে, অন্যহাতে দিব্যর বাহুতে মেরে বলল, “হ্যাঁ, এই কথা আমার বরের সামনে বলিস।”

“কী করবে তোর টাকলা বর?”

“বেশি কিছু করবে না, জাস্ট পেদাবে ধরে। আর আমার বর টাকলা না, ছাগল! এভারেজ চুল। তবে তোর চুলগুলো অনেক বড়ো। অনেক বেশিই বড়ো। আর..”

“কী?”

“এটাও অ্যাট্রাক্টিভ খুব! কাটিস না, কেমন? সুন্দর লাগে, মানায় তোকে।”

ঘাড় দু’পাশে নেড়ে দিব্য বোঝাল, “অ্যাজ ইউ সে, ম্যাম!”

দূরে দাঁড়িয়ে থাকা হাওয়াই-মিঠাইয়ের গাড়ি দেখে ইন্দুপ্রভা বলে উঠল, “মনে আছে? একবার হাওয়াই মিঠাই খাওয়ার জন্য মাঝ রাস্তায় কী বায়না ধরেছিলাম! সে কী কাণ্ড! মা এখনও মাঝে মাঝে সেসব সুব্রতর সামনে বলে, দুজনে মিলে খুব ক্ষেপায় আমায়। মনে আছে সে-কাহিনিগুলো?”

“মনে না থাকার কথা তো নয়। আমি ভেবেই পাইনি, কোনো ষোড়শী কী করে মাঝ-রাস্তায় হাওয়াই মিঠাইয়ের জন্য কাঁদে! অনেক বাজে ভাবে ফাঁসিয়ে দিয়েছিলি.. ফেঁসে গেছিলাম তোর মাঝে।”

শেষ কথাটি দিব্য বেশ মিনমিনে স্বরে বলল, বুঝতে না পেরে ইন্দুপ্রভা শুধাল, “হুঁ?”

“বুঝবি না, বাদ দে!”

“কীসব বলছিস!”

ইন্দুপ্রভা থামল, এরপর আবার বলল, “বল!”

কথা এড়িয়ে গেল দিব্য, “এমন ভাবে কান্না করছিলি সেবার, যেন আমরা ছেলেধরা! আর তোকে আজীবনের মতো ধরে রাখব আমরা!”

এর মধ্যেই চন্দ্রার ঘুম ভাঙল। জেগে উঠেই কাঁদা শুরু করল। ইন্দুপ্রভা দিব্যকে বলে ওদিকটায় হাঁটাহাঁটি করতে লাগল। দিব্য একদৃষ্টে চেয়ে রইল। অন্যমনস্কভাবে বিড়বিড়িয়ে উঠল, “তুই আমার জীবনে ঠিক সেই হাওয়াই মিঠাইয়ের মতোই মিষ্টি-মায়াবি ছিলি, ভীষণ রকমের আদুরে ছিলি। দূর থেকে তার মেঘবরণ রূপ, নাজুক স্বভাব দেখে আমি কখন যে মায়ায় জড়িয়ে গেলাম, বুঝতেই পারলাম না। ধর্ম ছিল বাতাসের ন্যায়! না-বুঝেই ধরতে গেলাম, ছুঁয়েও যেন হারিয়ে ফেললাম। হাওয়ায় মিশে গেল, আমার হাওয়াই মিঠাই।”

থামল দিব্য। গভীর শ্বাস নিয়ে বলল, “তোর জন্য যেটা বন্ধুত্ব ছিল, আমার দিকে সেটা প্রেম ছিল, চাঁদ। তোকে চেয়েছিলাম অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে, তবে পাইনি ইচ্ছেকৃতভাবেই। তুই যে আমার জন্য নিষিদ্ধ, চাঁদ! প্রতি মুহূর্তে স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি—তোর প্রতি আমার সকল অনুভূতি হোক নির্বাসিত। অথচ, আমি আজও একাকী বসে, তোর খোয়াবে দিন গুনি। বিয়ে করিনি রে! মনের মতো পাই না। পেলেই করে নেব।”

মুচকি মুচকি হাসতে লাগল দিব্য। এক হাত প্যান্টের পকেটে পুরে অন্য হাত দিয়ে ফোন টিপতে টিপতে এগিয়ে গেল সে স্কুলের ভেতর। প্রতিটা দেয়াল, প্রতিটা ইট—সবটায় মিশে আছে কত সব স্মৃতি! একে একে সে প্রতিটি ক্লাসরুমে ঢুকল। স্কুল চত্তর থেকে বেরিয়ে কলেজের সাইন্সের ভবনে চলে গেল। অফিসরুম-লাইব্রেরি-টিচার্সরুম! সবগুলো সেই আগের মতোই আছে! করিডোরের সামনে দিয়ে হাঁটতে হাঁটতেই বর্ষণের ডাক এলো, আকস্মাৎ মনে পড়ল—এক বিকেলের স্কুল ছুটির আগমুহূর্তের বৃষ্টিকথন। তখন সদ্য কৈশোরে পদার্পন করা এক কিশোরী ভারি ঝুমবৃষ্টির মাঝে ক্যাম্পাসের সেই কদম গাছের সামনে লাফাচ্ছিল। সেই দৃশ্যটা সুন্দর ছিল। এতটাই সুন্দর ছিল যে, সেই ঘটনার বারো বছর পর আজও দিব্যর চোখের সামনে বৃষ্টি নামলেই তা ভেসে ওঠে। বৃষ্টি নামলেই এক চন্দ্র মুখ ভেসে ওঠে। সেই মুখকে সবাই চেনে ‘ইন্দুপ্রভা’ নামে।

চলবে..

#আরশির_প্রতিমুখে
#সূচনা_পর্ব
—নবনীতা শেখ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here