#মিশেছো_আলো_ছায়াতে
#Writer_Sintiha_Eva
#part : 17
🍁🍁🍁
তন্ময়ের বাবা : তা বিয়ের পর যে বাপের বাড়ি আসতে হয়। সিনহা মা কার বাড়িতে যাবে। ওর চাচা-চাচীর সাথে যোগাযোগ করেছো সিমথি তোমরা।
তন্ময়ের বাবার কথায় সিমথি মুখের চুইংগাম চিবুনো বাদ দিয়ে শান্ত দৃষ্টিতে তন্ময়ের বাবার দিকে তাকায়।
রহিমা বেগম : এসব কি ভাববো এই মাইয়া। পুরাই ডা/কা/ত একটা মাইয়া রে বাড়ি থেইকা তুইলা আইনা বিয়া দিয়া লাইলো। এহন যদি মাইয়া ডার চাচা-চাচী আইসা হাঙ্গামা করে তাইলে সামলাইবো কেডা হুনি একটু।
রহিমা বেগমের কথায় সিমথি বিরক্তিতে ” চ ” উচ্চারণ করে।
সিমথি : ভাইয়া আমার জানা মতে তোর দাদিরে আমার দাদা উঠাইয়া বিয়া করছিলো। তহন হাঙ্গামা হইছিলো না বুঝি।
সিমথি কথায় সায়নরা মুখ টিপে হাসে। রহিমা বেগম রাগী চোখে তাকায়।
সিমথি : কি দেখে যে এই মহিলার প্রেমে হাবুডুবু খেলো আল্লাহ মালুম ভালো জানে। সারাটাদিন খ্যাট খ্যাট করে আজব।
রহিমা বেগম : দেখলি দেখলি সায়ন। আমারে নহল করতাছি।
ইফাজ : তুমি ও পারো দাদি চুপ থাকো না।
সিমথি : এটা উনার স্বভাব বিরোধী। আমাকে উস্কে দেবে আর আমি উচিত কথা বললে হাজার টা কথা শুনাবে।
সিমথির কথার পিঠে রহিমা বেগম কিছু বলতে নিলে সিমথি থামিয়ে দেয়।
সিমথি : ফর গড সেক প্লিজ ভাইয়া উনাকে চুপ করতে বল। কথার মাঝে থার্ড পার্সন এন্ট্রি জাস্ট বিরক্তির।
সায়ন : দাদি তুমি রুমে যাও।
সায়নের কথায় রহিমা বেগম রাগী দৃষ্টিতে সিমথির দিকে তাকায় অতঃপর উঠে চলে যায়।
তন্ময়ের বাবা : এবার বলো কি ডিসাইড করলে।
সিমথি : আঙ্কেল সিনহার বিয়ে যেহেতু এই বাড়িতে হয়েছে তাই অবশ্যই এই বাড়িতে আসবে। আর সিনহার চাচা-চাচী আপাতত লকাপে আছে।
সিমথির কথায় সায়ন চোখ বড়বড় করে তাকায়।
সায়ন : তুই আসলেই একটা ডা/কা/ত
ইফাজ : নো মাফিয়া কুইন
ইফাজের কথায় তন্ময়রা হেসে উঠে। সিমথি চোখ মুখ কুঁচকে তাকায়।
তন্ময়ের বাবা : অনেক রাত হয়েছে। আমাদের বের হতে হবে। তোরা তৈরি হ আমি গাড়ির কাছে যাচ্ছি।
বলেই তন্ময়ের বাবা বাইরে চলে যায়।
সিমথি : হুম হুম তন্ময় এবার তোরা বাড়ি যা।
তন্ময় : তাড়িয়ে দিচ্ছিস।
সিমথি : যা ভাবিস। তোরা যতক্ষণ থাকবি আমার ঘুম হবে না। বাট আই নিড এ্যা সাউন্ড স্লিপ।
মেঘা : তুই চাইলে সিনহা কে রেখে যেতে পারিস। এতো রাতে নতুন বউ নিয়ে যাওয়া উচিত না।
মেঘার কথায় তন্ময় চোখ ছোট ছোট করে ওদের দিকে তাকায়।
তন্ময় : বিয়ে করেছি কি বউ তোদের কাছে রাখতে। বাসর কি খালি ঘরের সাথে করবো।
তন্ময়ের কথায় মিম সায়ন কেশে উঠে। সিমথি পাশ থেকে কুশন নিয়ে তন্ময়ের দিকে ছুঁড়ে মারে।
সিমথি : ক্যারেক্টার ঠিক কর শা/লা। তোর বড় ছোট সব জেনারেশন আছে এখানে।
তন্ময় : আহ। আমার বোন বোনের জামাই নিজেরাও বাসর সেড়ে ফেলেছে। তোরা সারতে কতক্ষণ। ফ্রেন্ডসার্কেলে আমি শুরু করি একে একে তোদের সময় ও এসে পড়বে।
তন্ময়ের কথায় মিম রাগী চোখে তাকায়।
মিম : লজ্জা রাখ খ/বি/শ একটা। আমি তোর বড় হয়।
তন্ময় : লজ্জা হলো নারীর ভূষণ। আমরা পুরুষরা লজ্জা পেলে কেমনে কি হবে।
রোদেলা : সিমথি ইয়ার ওর বাসর করার তাড়া অনেক।
সিমথি : আমি ভাবতে পারছি না জাস্ট। এতোগুলো বছর তোদের মতো নষ্টালজিক মাইন্ডের পাবলিক আমার আশেপাশে ছিলি। ইয়ার্ক থু।
সিমথির মুখের ভাবভঙ্গি দেখে তন্ময়রা বাদে সবাই হেসে দেয়।
মেঘা : আমরা কি করলাম।
সিমথি : তুমি তো দুধে ধোঁয়া তুলসি পাতা।
তুহিন : তুলসী পাতা অনেক তিতা।
সিমথি : আহ কে রে চুলে টান দি,, ওম্মাহহ তিন্নি
তিন্নি : ডাক্তাল আন্টি
তিন্নির আধো আধো কথায় সিমথি হেসে তিন্নিকে কোলে তুলে পুনরায় সোফায় বসে পড়ে।
সিমথি : ঘুম শেষ।
তিন্নি : হাম।
মেহের : তিন্নি মামনি মাম্মার কাছে আসো। ডাক্তার আন্টি ক্লান্ত।
তিন্নি : ডাক্তাল আন্টি তুমি ক্লাত্ত ( ক্লান্ত)
সিমথি : না একদম না। তুমি এখানেই বসো। মেহের আপু ছেড়ে দাও আমি ঠিক আছি।
সিমথি মুখে আপু ডাক শুনে মেহের আলতো হাসে।
তন্ময় : সিনহা এতো চুপচাপ কেনো বল তো।
তুহিন : তোর মতো নির্লজ্জ না রে ভাই আমাদের বোন টা।
সিমথি : সিনহা এতো লজ্জা পাবার কিছুই নেই এখানে কেউই এতোটা ভদ্রলোক না বুঝলা।
তন্ময় : হা সিমথি বাদে। তুমি তো জানোই সিমথি ভদ্রের গুদামঘর।
সিমথি : আমি কখন বললাম আমি ভদ্র। তবে তোর মতো জায়গা না বুঝে কথা বলি না।
তন্ময় : তুই এতোটা ও ভদ্র না বইন।
সিমথি : কি আজব আমি তো বললামই আমি অভদ্র। তা নাহলে রাত একটায় সিনহা তোর সাথে দেখা করার সাহস পেতো না। ইতিহাস ভুলিস না ভাই আমার।
তুহিন : তন্ময় জাস্ট বিলিভ কর তোর ভাগ্য সিনহার মতো শান্তশিষ্ট মেয়ে জুটবে আমরা ভাবিনি।
তন্ময় : বিকজ আমি ওকেই ডিজার্ব করি বুঝলি আমরা হলাম রাজযোটক।
সিমথি : এই ভাবীপু তোমার ভাইকে বের করো তো। ওর কথা শুনলে রাগ উঠে।
কথাগুলো বলেই সিমথি ফোন হাতে নিয়ে টিপতে শুরু করে।
তন্ময়ের বাবা : তোদের হলে আয়। রাত অনেক হয়েছে।
সিমথি : যা ভাই যা।
তুহিন : আজ রাতের জন্য বেস্ট অফ লাক
রোদেলা : চল এগিয়ে দিয়ে আসি।
তন্ময় : তাড়িয়ে দিচ্ছিস আমার ও সময় আসবে হুহ। সিনহা চলোহহহ
সিমথি : সিনহা কে রেখে যা।
তন্ময় : ওয়াটট কি সব বলিস।
সিমথি : যাহ বাবাহ বিয়ে করেছিস বলেই কি নিয়ে যেতে হবে আজ।
তন্ময় : ফা/জি/ ল হয়ে যাচ্ছিস আগের থেকে।
সিমথি : ভাইয়া ভাবীপু তোমরা আঙ্কেলের কাছে যাও। গিয়ে দেখো সব ঠিকঠাক আছে কি না। ( ফোনের দিকে তাকিয়ে)
সায়ন : হুম মিম চলো।
সায়নের কথায় মিম মাথা নাড়িয়ে সায় দেয়। অতঃপর দুজন উঠে চলে যায়।
তুহিন : এহেম এহেম।
তন্ময় : গলায় ব্যাঙ ডুকেছে তোর।
সিমথি : তুহিন মুখ সামলে কথা বলিস রোজ, আদিবা, তিন্নি সবাই আছে এখানে কথাটা মাথায় রাখিস। ( ফোনের দিকে তাকিয়ে)
তুহিন : ফোনে কার সাথে চেট করিস।
সিমথি : তোর জামাইয়ের সাথে।
তুহিন : ওয়াট রাবিস আমার জামাই।
রোদেলা : আচ্ছা বল কি বলতে চাইছিলি।
তুহিন : তোর শোনার এতো আগ্রহ কেনো। বিয়ে তো তন্ময়ের হলো। ব্যাপার কি রোদু কোনো সুখবর টুখবর আছে নাকি।
মেঘা : সুখবর শুনেছি টুখবর কি।
সিমথি : সুখবর এর সমার্থক তাই না।
তুহিন : আচ্ছা বাদ বাদ এসব। যা বলতে চেয়েছি।
তন্ময় : বল।
তুহিন : হুমম আমরা তো তোর সাথে যাচ্ছি না বিকজ প্রচুর টায়ার্ড আমরা বুঝলি তো। তোর বিয়ে নিয়ে কম ধকল যায়নি। উফফসসস
আদি : তুহিন ভাই ঝেড়ে কাশো একটু।
আদির কথায় সবাই হাসে সিমথি বাদে।
তুহিন : সিমথি শুনিস কথাটা।
সিমথি : তোর ফালতু লজিক মার্কা কথা শোনার ইচ্ছে নাই।
আয়াশ : আহ সিমথি চুপ যাহ। তুহিন বল তো।
তুহিন : তন্ময় ভাই যায় করিস সামলে কারণ আমাদের সিনহা বোনটা ছোট বুঝিসই তো।
অতঃপর পিনপিনে নীরবতা। সিমথি উপরের ঠোঁট দিয়ে নিচের ঠোঁট চেপে একে একে সবার দিকে তাকায়।
সিমথি : আগ্রহ দেখানো ভালো বেশী আগ্রহ ভালো না।
ইশান : নাউজুবিল্লাহ মার্কা কথাবার্তা।
তুহিন : ধ্যাত ভালো এডভাইস দিলাম না রে সিমথি।
তুহিনের কথায় সিমথি ফোন থেকে চোখ সরিয়ে সবার দিকে তাকায়। বেচারি সিনহা লজ্জায় মাথা নামিয়ে রেখেছে। তন্ময় হতভম্ব হয়ে সবার দিকে তাকিয়ে আছে। বাকিরা মিটিমিটি হাসছে।
সিমথি : তিন্নি সোনা মা একটু এখানে বসো। আন্টি এখনই আসছি।
সিমথির কথায় তিন্নি মাথা নাড়িয়ে সায় দেয়। সিমথি তিন্নিকে নিজের জায়গায় বসিয়ে উঠে দাঁড়ায়। তুহিনের দিকে তাকাতেই তুহিন ও বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়।
তুহিন : দেখ বইন মান ইজ্জতের ফালুদা করবি না।
সিমথি : না করেছিলাম না। ছোট বড় জ্ঞান নাই ফাজিল একটা।
তুহিন : এদের ও একদিন বিয়ে হবে বুঝলি।
সিমথি : তুহিনের বাচ্চিইইই ( হালকা চেঁচিয়ে)
সিমথির চেঁচানো তে তুহিন এক দৌড় লাগায়।
সিমথি পা থেকে জুতা খুলে তুহিনের দিকে ছুঁড়ে মারে। কিন্তু জুতা তুহিনের শরীরে লাগার আগেই তুহিন হাপিস। তুহিনের অবস্থা দেখে একেক টা হাসতে হাসতে শেষ।
অতঃপর তন্ময় আর সিনহা নিজেদের বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হয়। রাত হয়ে যাওয়ায় মেহেররা আজ থেকে যায়। সিমথি টায়ার্ড থাকায় সোজা নিজের রুমে যায়। তবে সিমথি রুমে আজ আদিবা আর তুহা থাকবে। মেঘা আর রোদেলার রুম সেট করাই। সবাই নিচে আড্ডা দেওয়া শেষ করে যে যার রুমে চলে যায়।
আদিবা : ভাবছি আজ সিমথিপুর সাথে ভাইয়াকে নিয়ে কথা বলে দেখি আমরা।
তুহা : কিন্তু যদি রাগারাগি করে।
তুহার কথায় আদিবা চুপ হয়ে যায়। সত্যিই তো যদি রাগারাগি করে তখন।
সিমথি : তোমরা এখনো দাঁড়িয়ে আছো কেনো ঘুমাও। রাত হয়েছে অনেক৷
সিমথির কথায় আদিবারা সিমথির দিকে তাকিয়ে হাসে। প্রতিত্তোরে সিমথি হেসে বারান্দায় চলে যায়। আদিবা আর তুহা ভাবাভাবি করতে করতে ঘুমিয়ে যায়৷
ব্রেকফাস্ট টেবিলে সবাই খেতে বসে। এক দফায় আয়াশ-মেঘারা খেয়ে কাজের উদ্দেশ্য বেরিয়ে যায়। পরের দফায় সায়ন রা বসে।
সায়ন : সিমথি চলে গেছে।
মিম : নাহ আদিবারা খাওয়ার সময় তো ছিলো না।
সায়ন : আদিবা বোন রুমে।
তুহা : হুমম ঘুমাচ্ছিলো তাই ডাকিনি।
মিম : ওই তো সিমথি আসছে।
মিমের কথায় সায়ন পেছনে তাকায়। সিমথি ঘুমঘুম চোখে নিচে এসে ধপাস করে চেয়ারে বসে পড়ে। টেবিলে হাত ভাজ করে তাতে মাথা ঠেকিয়ে বসে।
সিমথি : হা করে তাকিয়ে না থেকে খেতে বস।
সিমথির কথায় সায়ন, আদি, ইশান, ইফাজ, রোজ খেতে বসে।
ইফাজ : রাতে ঘুমাসনি।
ইফাজের কথায় সিমথির কোনো সাড়া পাওয়া যায় না।
রোজ : সিমথিপু।
সায়ন : ডাকিস না৷ ঘুমিয়ে পড়েছে মনে হয় ৷
ইশান : মাত্র ই তো কথা বললো।
সায়ন : চোখে ঘুম ছিলো। তোমরা খেয়ে নাও। বোন উঠলে আমরা একসাথে খেয়ে নেবো।
সায়নের কথায় সবাই বাধ সাধলেও জোরাজুরিতে খেয়ে নেয়। খাওয়া শেষে সবাই ড্রয়িং রুমে এসে জোরো হয়।
ইশান : মেহের ভাবী চলো এবার যেতে হবে।
মেহের : হুমমম।
আদি সিমথির দিকে একপলক তাকায়। মুখ টা চুলে ঢেকে আছে। শুধু হাত দুটো দেখা যাচ্ছে।
আদি : যাওয়ার আগে একটা বার কথা ও হলো না। মহারাণী ঘুম নিয়ে ব্যস্ত। ( বিড় বিড় করে)
মেহের : চাপ নিও না ভাইয়া। পরে কথা বলে নিও। এখন যেতেই হবে।
মেহেরের কথায় আদি ফোঁস করে শ্বাস ছাড়ে। অতঃপর সবাই বেরিয়ে যায়।
________________
অন্ধকার রুমে চেয়ারের সাথে বাঁধা একজন লোক। মাথার উপর হলদেটে আলোর একটা বাল্ব জ্বলছে। আশেপাশে কয়েকজন দাঁড়িয়ে আছে। লোকটা ছোটার জন্য ছটফট করছে। আচমকা কারো ভারী কদমে দাঁড়িয়ে থাকা লোকগুলো পেছনে তাকায়।
সিমথি : জ্ঞান ফিরেছে ওর।
অনিল : না ম্যাম।
সিমথি : জ্ঞান ফিরাও কুইক।
সিমথির কথায় অনিল পাশ থেকে পানি নিয়ে লোকটার মুখে ছুঁড়ে মারে। লোকটা পিটপিট করে তাকায়। সামনে একজন মেয়েকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মেয়েটার দিকে তাকায়। মুখের আদল টা চেনা চেনা কিন্তু বয়সের ভারে ঠিক চিনতে পারছে না।
সিমথি : ড্রাইভার আঙ্কেল চিনতে পারছেন আমায়।
” ড্রাইভার আঙ্কেল ” ডাকটা শুনে লোকটা চমকে সিমথির দিকে তাকায়।
ড্রাইভার : ক কে তু তুমি
সিমথি : সিমথি জাহান সিয়া। খান গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রির এক্স হাফ ওর্নার আহনাফ খানের দ্বিতীয় সন্তান। চিনতে পেরেছেন।
ড্রাইভার : সি সিমথি
ড্রাইভার কে তোতলাতে দেখে সিমথি হাসে।
সিমথি : যার নুন খেলেন তার সাথেই বেইমানি করলেন আঙ্কেল।
_____
সিমথি : আমি কিছু জিজ্ঞেস করছি।
ড্রাইভার : আ আমি নি নিজের ইচ্ছে তে ক কিছু ক করতে চা চাইনি ও ওরা ক করতে ব বলেছে।
সিমথি : কারা নামটা বলুন
____
সিমথি : স্পিক আপ ডেম ইট। চুপ করে আছেন কেনো বলুন
_______
সিমথি : আঙ্কেল নাম টা বলুন। আমার খুব প্রয়োজন।
ড্রাইভার : ও ওরা দে দেশে নেই।
সিমথি : আব্বেহ আপনাকে আমি নাম বলতে বলেছি।
ড্রাইভার : সসসস,,
আচমকা একটা গুলি এসে ড্রাইভারের কপাল বরাবর লাগে। উপস্থিত সবাই হতভম্ব। সিমথি নিজের রিভলবারের দিকে তাকায়। হুট করেই পেছনে তাকায়৷
সিমথি : গুলি কে চালালো। ( চেচিয়ে)
অনিল : আ আমরা ক কেউ চা চালায় নি
সিমথি : তোমরা না চালালে কে চালালো। এখানে আমরা ছাড়া আর কে আছে।
অনিল : ম্যাম সত্যি আমরা চালায়নি
সিমথি সবার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকায়। সবাই ভয়ে কাঁপছে। সিমথি জোরে একটা শ্বাস ফেলে ড্রাইভারের মৃতদেহের দিকে তাকায়। না এরা মিথ্যে বলছে না। তাহলে গুলি টা করলো কে? রাগে হনহনিয়ে বেরিয়ে যায়। সিমথি যেতেই সবাই স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়ে। কিন্তু সবার মাথায় একটা কথায় ঘুরপাক খাচ্ছে এতো কড়া সিকিউরিটির মধ্যে গুলি করলো কে।
সিমথি এসে সোজা হসপিটালে নিজের কেবিনে চলে যায়। রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে। এতোদিনের তদন্তের ফলাফল যখন হাতের নিকটে তখনই এই অঘটন ঘটার কি দরকার ছিলো। আচমকা ফোনের স্কিনে ” প্যারা ” নামটা ভেসে ওঠে। সিমথি বিরক্তির শ্বাস টেনে চোখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে নেয়। পরপর চারবার কল কেটে যায়। পঞ্চম বারের মাথায় সিমথি বাধ্য হয়ে ফোন রিসিভ করে।
সিমথি : কি চাই
আদি : তোকে চাই। দিবি।
সিমথি : ফালতু কথা রাখুন কেনো ফোন দিলেন সেটা বলুন।
আদি এবার সিরিয়াস হয়।
আদি : কাল একটু দেখা করবি।
সিমথি : সময় নেই ৷
আদি : প্লিজ কিছু বলার আছে।
সিমথি : আমার কিছু শোনার নেই।
আদি : একটা বার জাস্ট এক ঘন্টার জন্য আয়। প্লিজ সিয়াজান ( আকুতির স্বরে)
সিমথি কিছু একটা ভাবে।
সিমথি : ওকে। কখন আসতে হবে।
আদি : আমি সময় আর এড্রেস মেসেজ করে দেবো। থ্যাংক ইউ। ( খুশি হয়ে)
সিমথি : হুমমম।
আদি : আই লাভ ইউ।
সিমথি : আই হেইট ইউ।
সিমথির কথায় আদি ঠোঁট কামড়ে হেসে উঠে। আজকের রাত টায় বাকি। কাল সব ভুল বুঝাবুঝির অবসান। নতুন সূর্যোদয়। হয়তো সেই সূর্যোদয় আদির জীবনে পূর্ণতা নিয়ে আসবে নয়তো অপূর্ণতা৷ এখন দেখা যাক কাল কি হয়। কথাগুলো ভেবে আদি একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।
চলবে,,,,,
( ভুলক্রটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ। )