#মিশেছো_আলো_ছায়াতে
#Writer_Sintiha_Eva
#part : 15 ( surprise part)
🍁🍁🍁
হাতে বিয়ের কার্ড নিয়ে থম মেরে বসে আছে আদি। অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে কার্ডে কনের নামের দিকে তাকিয়ে আছে। কনের নামের জায়গায় সিমথি নাম টা ঝলঝল করছে । পাশেই ইশানরা অসহায় দৃষ্টিতে আদির দিকে তাকিয়ে আছে।
আদিবা : ব্রো কিছু বলো। এভাবে স্টেচু হয়ে থাকলে কিভাবে হবে।
আদিবার কথায় আদির ধ্যান ভাঙ্গে।
আদি : কা কার্ড টা ক কে দিয়েছে তোদের।
মেহের : সকালে সায়ন ভাইয়া এসে দিয়ে গেছে। তোমাকে তো পায়নি তাই আমাদেরই দিয়েছে। আর সবাই কে যেতে বলেছে।
মেহেরের কথায় আদি চোখ বুঁজে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।
আদি : আচ্ছা। যা তোরা এখন।
ইশান : কিন্তু
আদি : লিভ।
আদির কথায় সবাই বেরিয়ে যায়। আদি আবারো কার্ডের দিকে তাকায়। বুকের বা পাশের ব্যথা টা ক্রশমই বাড়ছে আদির। পাশ থেকে ফুলের টব টা নিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দেয়।
আদি : এটা তুই করতে পারিস না সিয়া। এটা তুই করতে পারিস না৷ তুই আমার মানে শুধু আমার। তোকে আমি অন্য কারোর হতে দেবো না।
তখনই আদির ফোন বেজে ওঠে। সায়নের ফোন দেখে আদি রিসিভ করে।
আদি : হুম বল।
সায়ন : কার্ড টা পেয়েছিস। তাড়াতাড়ি চলে আসবি কিন্তু। তোরা ছাড়া আমি সব একা মেনেজ করতে পারবো না। আমার বোন তো তোদের ও বোন। কথাটা মাথায় রাখিস।
” আমার বোন তো তোদের ও বোন ” কথাটা শুনে আদি রাগান্বিত দৃষ্টিতে ফোনের স্কিনে তাকায়। ইচ্ছে করছিলো ফোনের ভেতর গিয়ে কেলিয়ে আসতে। যাকে এতোবছর বউ বানানোর অপেক্ষায় আছে তাকে এক মুহূর্তে বউ বানিয়ে দিলো । দুই ভাই বোনই আদিকে জ্বালিয়ে মারছে।
আদি : রাখ তোর কথা। তুই বললেও আসবো না বললে ও আসবো। আমাকে আসতেই হবো।
আদির ধমকানিতে সায়ন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়। তারউপর আবার না বলেই ফোন কেটে দেওয়ায় সায়ন বিস্মিত হয়।
সায়ন : যাহ তেরি কি বললাম। রেগে গেলো কেনো।
________________
পুরো বাড়ি সেজে ওঠেছে বাহারি সাজে। সায়ন নিজের বোনের বিয়েতে কোনো কমতিই রাখছে না। মেইন গেট থেকে শুরু করে বাড়ির প্রতিটা কোণা আলোয় আলোয় আলোকিত হয়ে আছে। সবাই মিলে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করছে। কাল বিয়ে আর আজ গায়ে হলুদের ফাংশন হবে না। এটা নিয়ে রোজসহ সবাই বেজায় বিরক্ত সিমথির উপর।
রোজ : লাইক সিরিয়াসলি সিমথিপু। বিয়ে তো একবারই হয়। আর তুমি হলুদ করতে দিচ্ছো না। এটা কেমন বিয়ে।
সিমথি : এটা এমন বিয়ে। ফালতু বকবক করে মাথা খাস না। আমার রুম থেকে বের হ সবগুলা।
মেঘা : সব কিছুর লিমিট আছে সিমথি। নিজেই বিয়ে তে রাজি হলি। আর নিজেই সব ঠিক করে দিচ্ছিস। আমাদের আনন্দের কোনো দাম নেই ।
সিমথি : মেঘা স্টপ ইট। ইউ নো বেটার আই ডোন্ট লাইক ইটস্। এতো কোলাহলে আমার মাথা ধরছে। বের হ সবগুলা।
রোদেলা : তোর পছন্দ কি বলবি একটু। যা বলছি তাই তোর ভালো লাগে না। আজব।
সবার খ্যাচর খ্যাচরে বিরক্ত হয়ে সিমথি রুম থেকে বেরিয়ে যায়। সিমথি যেতেই সবাই গাল ফুলিয়ে বেরিয়ে আসে। সিমথি এসে সোজা ড্রয়িংরুমের সোফায় বসে পড়ে। চোখ বুলিয়ে সারা বাড়ি দেখেই নেই। আয়াশ রা রান্নার লোকের সাথে কথা বলছে। আদি ওদের থেকে দূরে সরে দাঁড়িয়ে আছে। মুখে অসহায়ত্বের চাপ স্পষ্ট। আদির মুখের অবস্থা দেখে সিমথি শয়তানি হাসে।
সিমথি : এই কষ্ট টা আপনার প্রাপ্য। যখন চেয়েছিলাম তখন তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। এখন আমাকে অন্যকারো হতে দেখুন। এটা আপনার কৃতকর্মের শাস্তি।
সায়নের ডাকে সিমথির ঘোর ভাঙ্গে। ঘাড় ফিরিয়ে সায়নের দিকে তাকায়।
সিমথি : ওয়াট?
সায়ন : তন্ময়ের বাড়িতে ও গায়ে হলুদ হচ্ছে।
সিমথি : তো! ভাবীপু তোমার বরকে সামলাও। আমি একবার না করেছি মানে সেটা না-ই থাকবে।
সায়ন : ধ্যাত বা* এতো জেদ কিসের তোর। তন্ময়ের জন্য আমার খারাপ লাগছে। তন্ময় কি দুনিয়া জুরে আর কোনো মেয়ে পাইনি। তোকে কি বুঝে বিয়ে করছে। নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারছে।
সিমথি : দুনিয়ায় মেয়ে ছিলো কিন্তু তাদের মধ্যে সিমথির ক্যারেক্টার ছিলো না। বুঝলি।
সিমথির কথার সাথে না পেরে সায়ন রাগে গজগজ করতে করতে চলে যায়। সকাল থেকে নীলয় খান, সীমা বেগম, ইফাজরা অনেক বুঝিয়েছে কিন্তু সিমথি শুনতে নারাজ। অগত্যা সবাই সিমথির কথায় মেনে নেয়।
আয়াশ : সিমথি কি সত্যি বিয়েটা করছে।
আয়াশের কথায় মেঘা আকাশ থেকে পড়ে
মেঘা : তোমার কি মনে হয়। ওরা কোনো এক্টিং করছে মুভির আজব।
মেঘার কথায় আয়াশ থতমত খেয়ে যায়। সত্যি ই সিমথি মজা করার মানুষ নয়।
আয়াশ : সিমথি কি সত্যি তন্ময় কে ভালোবাসে?
আয়াশের কথায় মেঘা এবার রাগী চোখে আয়াশের দিকে তাকায়। মেঘার তাকানো দেখে আয়াশ থতমত খেয়ে যায়। দ্রুত পা চালিয়ে মেঘার কাছ থেকে চলে যায়। মেঘা বিরবির করতে করতে সিমথির রুমে চলে যায়।
সিমথি : ওয়াট ননসেন্স। আপনি এতো রাতে আমার রুমে কি করছেন।
সিমথির কথায় আদি সিমথির দিকে এগুতে থাকে। আদিতে এগুতে দেখে সিমথি সেখানেই ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। আদি একদম সিমথির কাছে এসে দাঁড়ায়। দুজনের মাঝে ইঞ্চি খানেক দূরত্ব আছে।
সিমথি : আরো এগুবেন নাকি।
সিমথির খোঁচা মারা কথায় আদি শেষ দূরত্ব টুকু ও গুছিয়ে নেয়। সিমথির কোমড় জড়িয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়। সিমথি খানিক টা হেসে উঠে। সিমথির হাসি দেখে আদি ও হেসে দেয়।
সিমথি : আপনার সাহস আছে মানতে হবে। নয়তো মাফিয়া কুইন কে এভাবে টাচ করার সাহস কার আছে।
সিমথির কথায় আদি হাসে।
আদি : সাহস না থাকলে মাফিয়া কুইন নিয়ে সংসার করবো কিভাবে। সাহস রাখতে হয় বুঝলে।
সিমথি : সাহস ভালো কিন্তু অতিরিক্ত কিছুই না।
সিমথির কথায় আদি কিছু টা নড়েচড়ে দাঁড়ায়। হাতের বাঁধন আরেকটু টাইট করে সিমথির চোখের দিকে তাকায়।
আদি : সত্যি কাল বিয়েটা করছিস।
সিমথি : তো না করলাম কখন।
আদি : পারবি আমাকে ছাড়া থাকতে।
সিমথি : আজ থেকে ছয় বছর আগে বললে উত্তর টা আসতো না। বাট এখন পারবো।
আদি : মিথ্যে বলছিস। আমি তোর চোখের ভাষা বুঝি।
সিমথি : চোখের ভাষা এখন বুঝে লাভ নেই।
আদি : সিয়া প্লিজ। মাফ করে দে। লাস্ট একটা সুযোগ দে। নিরাশ করবো না রে। পারবো না তোকে ছাড়তে। ভেতর ভেতর অনেকটা জড়িয়ে গিয়েছি নিজের অজান্তেই। একটা শেষ সুযোগ আমার প্রাপ্ত।
সিমথি : সেদিন রাতে আমাকে ছেড়ে চলে আসার জন্য আমি আপনাকে সেদিনই মাফ করে দিয়েছি কিন্তু আপনি আসার পর যা হয়েছিলো তার জন্য কখনো মাফ পাবেন না। আর সুযোগ সেটা আর নেই। বিশ্বাস করুন এখন আর আগের মতো পাগলামি করতে ইচ্ছে করে না। ছেড়ে দিয়েছি অনেক বছর আগে। আপনি নিজেও জানেন না কতবড় অন্যায় করেছেন। আমাকে দূরে সরাতে গিয়ে এতোটা দূরত্ব বাড়িয়েছেন যেটার সমাপ্তি মৃ’ত্যু’তে।
আদি : যাকে ভালোবাসি তার অতীত কে নিয়েই ভালোবাসি। তোর কি মনে হয় আমি সেদিন শুধু শুধু তোকে ছেড়ে চলে এসেছিলাম। এতোটা অ’মানুষ আমি নয় জান পাখি। আর সেদিন রাতে কি হয়েছিলো তা সব আমার জানা। দূরত্ব বাড়িয়েছি গুরুত্ব কমায়নি। আর যদি সেই দূরত্ব মৃ’ত্যুতে হয় তবে মৃ’ত্যুই শ্রেয়। এভাবে তিলে তিলে তোর অবহেলা সহ্য করার চেয়ে মৃ’ত্যু শ্রেয়।
সিমথি : এসবের পেছনের উদ্দেশ্য আমার জানার কোনো দরকার নেই। প্লিজ চলে যান।
আদি : কেনো ভয় পাচ্ছিস।
সিমথি : নাহ। সহ্য হচ্ছে না আপনার ছোঁয়া।
আদি : তুই বিয়েটা করবি না।
সিমথি : একশবার করবো।
আদি : নাহ করবি না।
সিমথি : করবো করবো করবো।
আদি : আমিও দেখবো তুই কেমন বিয়ে করিস।
সিমথি : হুহ। পারলে আটকে দেখান।
________________
খান গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রির ওর্নার সায়ন খানের একমাত্র বোনের বিয়ে। সেই বিয়ে কি আর যেমন তেমন ভাবে হলে চলে। বাড়ি ভরপুর মানুষ গিজগিজ করছে । একটুপরই বিয়ে। কাজি চলে এসেছে।
সায়ন : মেঘা সিমথি কে পেয়েছিস।
মেঘা : নাহ। কোথায় গেলো। এখনই তো কাজি ডাকবে।
সায়ন : আচ্ছা। তন্ময় কোথায়। ওর বাড়ির লোক তো সবাই এখানেই। তাহলে তন্ময় কোথায়।
রোদেলা : জানি না।
মিম : তোমরা কিছুই জানো না।
তুহিন : নাহ জানি না।
রোজ : কি আশ্চর্য। যা জিজ্ঞেস করছি তাই নাকি জানো না। তো জানো টা কি।
তুহিন : জানি না৷
তুহিনের কথায় রোজ রাগী চোখে তাকায়। তুহিন একটা চোখ টিপ দিয়ে গুন গুন করতে করতে চলে যায়।
এদিকে চিন্তায় চিন্তায় সায়নের অবস্থা খারাপ। বর কনে কারোর কোনো পাত্তা নেই।
মিম : আজব কান্ড গেলো কই দুইটা।
এর মধ্যে কাজি বর কনে কে জায়গায় বসতে বলে। তখনই তন্নয় দৌড়ে আসে। তন্ময়কে দেখে সবাই স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়ে। আদি পায়ের উপর পা তুলে চেয়ারে বসে আছে। আপাতত আদি টেনশন মুক্ত। সিমথি ই যদি না থাকে তাহলে বিয়ে হবে কিভাবে। আদিকে এমন ভাবলেশহীন বসে থাকতে দেখে আয়াশ রা সবাই নখ কামড়াচ্ছে।
ইশান : কেস টা কি হলো বলো তো।
মেহের : বুঝতে পারছি না।
মেহেররা আজ সকালেই এসেছে। আয়াশরা দুদিন আগে আসলেও মেহের, শাওন, ইশান, তিন্নি, তুহা আর আদিবা সকালে এসেছে।
আদি : আয়াশ ভাই একটা কোল্ড ড্রিংকস নিয়ে আয় তো।
আদির কথায় উপস্থিত সবাই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়।
আয়াশ : শা’লা মা* তোর গার্লফ্রেন্ড রে অন্য ছেলে নিয়া যাইতাছে আর তুই কোল্ড ড্রিংকস খাইতে চাইছিস। তোরে ড্রেনে চুবামু।
শাওন : আয়াশ সামলে। আমি আছি। বড় হয় একটু সম্মান দে।
কাজি : এবার মেয়ে নিয়ে আসেন।
মেয়ের কথা শুনে সবার মুখ শুকিয়ে যায়। আদির মুখের হাসি এবার চওড়া হয়। আচমকা হৈচৈ শুনে সবাই সিঁড়ির দিকে তাকায়। মুহুর্তের মধ্যে আদির চোখ-মুখ শুকিয়ে যায়। মেঘারা হাসতে হাসতে সিমথি কে নিয়ে আসছে। আদি বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়। আদির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় সিমথি আদির হাতে একটা চিমটি কাটে। চিমটি খেয়ে আদির ধ্যান ভাঙে। ততক্ষণে সিমথি গিয়ে তন্ময়ের অপজিটে বসে পড়ে। সবাই ভ্রু কুঁচকে সিমথির দিকে তাকিয়ে আছে।
সিমথি : এভাবে তাকিয়ে না থেকে বিয়ের কাজ শুরু করুন। আর কতক্ষণ ওয়েট করাবেন। বেচারা বরের মুখ শুকিয়ে যাচ্ছে।
সিমথির কথায় সবাই ভ্যাবাচ্যাকা খায়। কি আজ বিয়ের কনে বিয়ে পড়ানোর জন্য তাড়া দিচ্ছে। ইতিহাসে আজ প্রথম হলো। সায়ন কপাল চাপড়ে সিমথির পাশে গিয়ে বসে। আদি রাগে হাতের মুঠো শক্ত করে ধরে। কপাল বেয়ে চিকন ঘাম গড়িয়ে পড়ছে।
সায়ন : আঙ্কেল বিয়ে পড়ানো শুরু করুন।
রিক : নে বসে বসে কোল্ড ড্রিংকস খা। বাড়িতে গিয়ে বাংলা মা’ল গিলিস গার্লফ্রেন্ড হারানোর শোকে।
রিক আদির হাতে একটা কোল্ড ড্রিংকস ধরিয়ে চলে যায়। রিকের পেছন পেছন সবাই চলে যায়। আদি ধপাস করে বসে পড়ে। ফোন বের করে একের পর এক ফোন দিয়ে যাচ্ছে কাউকে । কিন্তু নো রেসপন্স।
সিমথি : আশ্চর্য এতো সময় লাগে। আরে আমার বরের মুখ শুকিয়ে যাচ্ছে তো।
সিমথির কথায় সবাই আকাশ থেকে পড়ে। মিম মুচকি হেসে সিমথির পাশে বসে। মুখ থেকে ঘোমটা সরাতে হাত দিলে সিমথি বাঁধা দেয়।
সিমথি : আরে আরে আমি আমার সাজ আমার বর ব্যতিত কাউকে দেখাবো না। বরকে আগে দেখাবো পরে তোমরা দেখবে। মাই ডিয়ার বরের বড় বোন।
সিমথির কথায় একদফা হাসির রব পড়ে।
সায়ন : আচ্ছা আচ্ছা থাম সবাই। সিমথি মা আমার এখন অন্তত বিয়েটা কর।
সিমথি : আমি তো কখন থেকে বিয়ের জন্যই বসে আছি। তোরাই তো কথা বাড়াচ্ছিস।
সায়ন থতমত খেয়ে মাথা নাড়ায়।
কাজি তন্ময়কে কবুল বলতে বললে তন্ময় ঠাস ঠাস করে কবুল বলে দেয়। সিমথিকে কবুল বলতে বললে সিমথি থম মেরে বসে থাকে।
সায়ন : এতোক্ষণ বিয়ের জন্য পাগল হয়ে যাচ্ছিলি। এখন কবুল বলছিস না কেনো।
সিমথি : না ভাবছি।
মিম : কি?
সিমথি : আমার এতোগুলো ভাই থাকতে কেবল তুই আর ইফাজ ভাইয়া বসলি।
ইফাজ : আর কে বসবে?
সিমথি : কেনো আয়াশ ভাইয়া রা বসবে না।
সিমথির কথায় সায়ন রা হেসে দেয়।
সায়ন : আয়াশ, রিক, আদি ভাই তোরা তাড়াতাড়ি আয়।
সায়নের কথায় ওরা ভ্যাবাচ্যাকা খায়।
মিম : কি রে তাড়াতাড়ি আয়।
রিক : হুম হুম আসি। রিক আয়াশ কে টেনে নিয়ে যায়।
আয়াশরা গিয়ে ওর পাশে বসে।
সিমথি : আদি ভাইয়া আপনি আসলেন না যে।
সিমথির কথায় আয়াশরা খুক খুক করে কেশে উঠে। কি এক অবস্থা নিজের গার্লফ্রেন্ডের বিয়েতে নাকি ভাই হিসাবে বসবে। শাওন আর ইশানরা তো পারছে না গড়াগড়ি করে হাসতে।
আদি : না আমি যাবো না। ( ধরা গলায়)
সিমথি : ওকে নো প্রবলেম। এবার কবুল বলছি।
কাজি : হুম মা বলো। জীবনের প্রত্তম বার এমন বিয়া পড়াইতাছি।
সিমথি কিছু না বলে কবুল বলে দেয়। আশেপাশে সবাই আলহামদুলিল্লাহ বলে উঠে। আয়াশরা আদির দিকে তাকায়। আদির চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ে। শাওন আর ইশান গিয়ে আদির পাশে দাঁড়ায়। আদি টলমল চোখে সিমথি আর তন্ময়ের দিকে তাকায়। তন্ময়ের ঠোঁটের কোণায় প্রাপ্তির হাসি দেখেই আদির বুকটা মোচড় দিয়ে উঠে। শেষ পর্যন্ত সিমথিকে হারিয়েই ফেললো। আদি মনে মনে একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দেয়।
( নবদম্পতির জন্য দোয়া করতে ভুলবেন না অবশ্যই। )
চলবে,,,,,,
( নেও হক্কলে হ্যাপ্পি তো 😒। কমেন্ট করতে ভুইলো না বাপু। অনেক লিখছি আজ। ভুলক্রটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধনিয়াপাতা ❤️)