#মিশেছো_আলো_ছায়াতে
#Writer_Sintiha_Eva
#part : 16
🍁🍁🍁
সিমথি : বিয়ে কমপ্লিট গাইস।
আচমকা সিমথির কন্ঠস্বর শুনে সবাই নতুন বউয়ের দিকে তাকায়।
সিমথি : সামনে না আমি পেছনে।
সিমথির কথায় সবাই পেছনে তাকায়। পেছনে সিমথি কে দেখে উপস্থিত সবাই বড়সড় একটা টাস্কি খায়। পেছনে যদি সিমথি হয় তাহলে তন্ময়ের পাশের মেয়েটা কে। মেহের রা একে অপরের দিকে বোকার মতো তাকায়। আদি বসা থেকে ঠুস করে দাঁড়িয়ে পড়ে। নিজের চোখ কে যেনো বিশ্বাস করতে পারছে না।
সিমথি : কাম অন গাইস আম সিমথি। কোনো এলিয়েন টেলিয়েন নয়।
সায়ন : তুই এখানে থাকলে ওখানে কে।
সিমথি : ওখানে তো তন্ময়ের বউ সিমথি।
সিমথির কথায় সবার টালগোল পাকিয়ে যায়। সবার ফেস রিয়েকশন দেখে সিমথি গাউন দুই সাইডে উচু করে ভেতরে এসে ধপাস করে সোফায় বসে পড়ে।
সিমথি : এভাবে কি দেখছিস তোরা ( ঠোঁট উল্টে)
ইফাজ : এসবের মানে কি বোন।
নীলয় খান : তোমার তো তন্ময়ের পাশে থাকার কথা। তাহলে তুমি এখানে মানে বাইরে থেকে ভেতরে আসলে কিভাবে।
সিমথি : এক মিনিট প্লিজ তন্ময় তোমাদের কিছু বলেনি।
তন্ময়ের বাবা : কি বলবে।
সিমথি : এ কি তন্ময় তুই আঙ্কেল কে এখনো বলিস নি
সিমথির কথায় তন্ময় ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়। কি বলবে মনে করার চেষ্টা চালায়।
তন্ময়ের বাবা : কি হলো তন্ময় চুপ করে আছো কেনো ( ধমকে)
তন্ময়ের বাবার ধমকে তন্ময় ভীতু দৃষ্টিতে নিজের বাবার দিকে তাকায় অতঃপর রাগী দৃষ্টিতে সিমথির দিকে তাকায়।
সিমথি : বাহ রে বাহ। আঙ্কেলের দিকে ভীতু দৃষ্টিতে তাকালি আর আমার দিকে রাগী চোখে। কিয়া সিন হে। রবীন্দ্রনাথ থাকলে তার নোবেল টা তোকে ফিক্কা মারতো।
তন্ময় : মেরি বইন আমারে ফাঁসাস কেনো।
সিমথি : যাহ তেরি ভালোবাসবি তুই বিয়েও করবি তুই আর ফাঁসবো কি পাশের বাসার আন্টি।
তন্ময়ের বাবা : এসবের মানে কি তন্ময়। ( পুনরায় ধমকে)
তন্ময় : সিমথি ( কাঁদো কাঁদো গলায়)
সিমথি তন্ময়ের কথায় পাত্তা না দিয়ে অতিথি দের দিকে তাকায়। সবাই একে একে চলে যায়। বাকি থেকে যায় তন্ময়ের বাড়ির লোক, আদিরা, আর সিমথির বাড়ির লোক।
রহিমা বেগম : এই মেয়ের নাটকের শেষ নেই।
সিমথি : রুবি আপু।
রুবিনা : হুমম
সিমথি : তোমাদের সো কোল্ড দাদিমা কে দয়া করে নিজের রুমে নিয়ে একটু আটকে দিয়ে আসো প্লিজ। উনার এখানে প্রবলেম হচ্ছে। চাইলে উনার আদরের নাতনী তরীকে ও দিয়ে আসো।
সিমথির কথায় সায়ন রা একটা ছোটো খাটো ঢোক গিলে। সায়ন চোখের ইশারায় রুবিনা কে সায় দেয়। রুবিনা ও রহিমা বেগম কে নিয়ে নিজের রুমে চলে যায়। তরীর কাছে আসতে চাইলে তরী হালকা চেঁচিয়ে বলে,,,
তরী : হাউ ডেয়ার টু টাচ ,,
সিমথি : তরী ( শান্ত গলায়)
সিমথির শান্ত গলা শুনে তরী থেমে যায়। অতঃপর মুখে জোর পুর্বক হাসি টেনে বলে,,,
তরী : আমি যাবো না রুবি আপু। নানিকে দিয়ে আসো।
তরীর ভালো ব্যবহার শুনে সিমথি হালকা কাশে।
সায়ন : এবার তো বলবি কিছু।
সিমথি : ইয়াহহ সিউর। বল কি বলবো।
সিমথির কথায় সায়ন রাগী দৃষ্টিতে সিমথির দিকে তাকায়। তা দেখে সিমথি হালকা কাশে।
সিমথি : তন্ময় ভাই আমার রেগে যাচ্ছে। এবার সত্যি টা বলেই দে।
তন্ময় : সিমথি
সিমথি : আজাইরা চ্যা চ্যা করিস না তো। ঘুম পাচ্ছে আমার। তাড়াতাড়ি বল।
মেঘা : সিমথি তুই নিজেই বল। তন্ময় বেচারা আর একটু হলে কেঁদে দেবে।
মেঘার কথায় রোদেলা আর তুহিন হেসে উঠে।
সিমথি : ওকে। সিমথি ওহ সরি সিনহা ঘোমটা উঠাও।
সিমথির কথা শুনে তন্ময়ের পাশের মেয়েটা ঘোমটা উঠায়। উজ্জ্বল গড়নের একটা মুখশ্রী ঘোমটার আড়াল হতে বেরিয়ে আসে বউয়ের সাজে। ভয়ে মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেছে অলরেডি।
সিমথি : এই হলো সিনহা রহমান সিমথি। আমাদের টু ইয়ার্স জুনিয়র। আমাদের দুইজনের নামের অনেক মিল আছে তাই না। তো এই সিনহা হচ্ছে অনার্স ফাইনাল ইয়ারের স্টুডেন্ট। তন্ময়ের সাথে তিন বছরের রিলেশন ছিলো। আমাদের নাম এক হওয়ায় অনেকেই ভাবতো তন্ময় আর আমি রিলেশনে আছি। যথারীতি বিয়ের কথা উঠেছিলো সিমথি& তন্ময়ের। কিন্তু তোরা ভেবেছিলি সেই সিমথি আমি।
ইফাজ : কিচ্ছু বুঝতে পারিনি। সব মাথার উপর দিয়ে গেছে। তুই কিছু বুঝেছিস সায়ন।
সায়ন : কচু বুঝছি।
সিমথি : তুই তো তাও কচু বুঝলি কিন্তু ইফাজ ভাইয়া তো এটা বুঝে নি।
সায়ন&ইফাজ : বোন ( চেচিয়ে)
সিমথি : সরি সরি।
তন্ময়ের বাবা : তার মানে তুমি সেই সিমথি নাহ।
তন্ময়ের বাবার কথা শুনে সিমথি তন্ময়ের দিকে তাকায়। অতঃপর বসা থেকে দাঁড়িয়ে তন্ময়ের বাবার দিকে এগিয়ে যায়।
সিমথি : আঙ্কেল প্রথমেই আমি দুঃখিত৷ তন্ময় আর তুহিন দুজনকেই আমি সবসময় বন্ধু কম ভাইয়ের নজরে বেশি দেখেছি। তন্ময় আর আমি রিলেশন এসব নিয়ে কখনো ভাবিনি। সিনহা অনেক ভালো একটা মেয়ে। ওর মা-বাবা নেই আঙ্কেল। ছোট থেকে চাচা-চাচীর কাছে বড় হয়েছে। মেয়েটা অনেক কষ্ট সহ্য করেছে আঙ্কেল। লাস্ট তিন বছর আগে তন্ময় দেশে ফিরে এসেছিলো মনে আছে তো আপনাদের। সেদিনই সিনহার সাথে ওর পরিচয় হয়। আঙ্কেল আমি জানি আপনি বা আন্টি কখনো টাকা-পয়সা দেখে কারো যোগ্যতা বিচার করেন না। আমি মানুষ চিনতে সচারাচর ভুল করিনা। আমি আপনাদের বলতে চেয়েছিলাম আমি তন্ময়ের গার্লফ্রেন্ড সিমথি না। কিন্তু তন্ময় বার বার না করেছে। আপনাকে তন্ময় ভীষণ ভয় পায় তারজন্য আপনাকে নিজেও বলেনি আমাদের কাউকে দিয়ে বলাতে ও চাইনি। সিনহার আজ বিয়ে ছিলো আঙ্কেল। পঞ্চাশ বছরের বেশি বয়স্ক একজন লোকের সঙ্গে শুধুমাত্র এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে মেয়েটাকে বেঁচে দিচ্ছিলো। আপনাকে বললে কিছু দিন লাগতো আপনার মানতে কিন্তু আমাদের হাতে সেই সময় টুকু ও ছিলো না। হুট করেই সিনহার চাচা সিনহার বিয়ে ঠিক করে। তারজন্য আমাকে এই পদক্ষেপ টা নিতে হয়েছে। তন্ময় বা সিনহার কোনো দোষ নেই ওরা সম্পূর্ণ আমার প্ল্যানমাফিক কাজ করেছে।
এতোটুকু বলে সিমথি থামে আড়চোখে একবার তন্ময়ের বাবার দিকে তাকায়। আবার ঘাড় ঘুরিয়ে তন্ময়ের দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ দেয়।
সিমথি : আঙ্কেল প্লিজ ওদের বিয়েটা মেনে নিন। প্লিজ। সিনহা আমার থেকে ও বেটার তন্ময়ের জন্য। জুটি তো উপরওয়ালায় সেট করে দেয়। মাঝখান দিয়ে আমাদের গোলমাল লাগানোর কি দরকার। তন্ময়ের মতো ছেলেকে সিনহাই কন্ট্রোল করতে পারবে। ও আঙ্কেল শুনছেন কিছু বলেন।
তন্ময়ের বাবা : আমাকপ একটু সময় দাও।
সিমথি : ইয়াহ সিউর পাঁচ মিনুট দিলাম আপনার ডিসিশন জানান। তবে হুমম উত্তর টা যেনো পজিটিভ হয় প্লিজজজজ৷
সিমথি সোজা এসে তন্ময়ের পাশে দাঁড়ায়।
তন্ময় : মেরি জান কি হবে রে।
সিমথি : পাশে বউ রেখে বোন রে জান জান করিস শা/লা ল’ম্প/ট।
সিমথির কথায় তন্ময় কেশে সিনহার দিকে তাকায়। সিনহা তন্ময়ের দিকে তাকিয়ে ঠোঁট চেপে হেসে উঠে।
তন্ময় আর সিমথিকে ফিসফিস করতে দেখ মেঘা,তুহিন,রোদেলা ও এদের পাশে দাঁড়ায়। সায়ন ভ্রু কুঁচকে সিমথির দিকে তাকায়।
মেঘা : কি এতো ফিসফিস করছিস।
সিমথি : নাথিং।
রোদেলা : বল না রে।
তন্ময় : আহ থামবি তোরা।
সিমথি : আঙ্কেল পাচ মিনিট হয়ে গেছে কিন্তু। এবার কিছু বলেন।
তন্ময়ের বাবা : কি আর বলবো যা করার তো তোমরা করেই ফেলেছো। এখন না মানলে ও তো বিয়েটা বিয়েই হয়। আর তন্ময় যাকে নিয়ে খুশি আমি ও তাকেই বউমা হিসেবে মেনে নেবো। মিমের সময় ও আপত্তি করিনি তন্ময়ের সময় ও করবো না।
তন্ময়ের বাবার কথা শুনে সবার ঠোঁটের কোণায় হাসি ফুটে উঠে। তন্ময় খুশিতে সিমথিকে জড়িয়ে ধরতে গেলে সিমথি কয়েক পা পিছিয়ে তুহিন কে সামনে দাড় করিয়ে দেয়। ফলে তন্ময় তুহিনকেই টাইট হাগ করে। সিমথি গিয়ে আদির বুকের সাথে বারি খায়। তা দেখে মেহেররা ঠোঁট চেপে হাসে। সিমথি দ্রুত সরে গিয়ে সায়নের পাশে দাঁড়ায়।
সিমথি : কিছু বললে বলে ফেল নয়তো রাতে ভাবীপুর ঘুম হবে না।
সিমথির কথায় সায়নের ধ্যান ভাঙ্গে।
সায়ন : আচ্ছা সবই বুঝলাম কিন্তু।
ইফাজ : তখন যে ঘোমটার আড়ালে থেকে সিমথি মানে সিনহা কথা বললো তখন ভয়েজ তোর আসলো কিভাবে।
ইফাজের কথায় সিমথি সমেত তুহিন, তন্ময়, রোদেলা, মেঘা পাঁচ জনই হেসে উঠে।
সিমথি : ডিজিটাল যুগ বাকি টা বুঝে নে।
মেঘা : আরে ও তো স্পিকারে কথা বলছিলো। চেঁচামেচি তে স্পিকারের কথা আর রিয়েল গলার পার্থক্য তোমরা ধরতে পারোনি।
মিম : মানে তোদের পেটে পেটে এতো।
সিমথি : তোমারই তো ননদ। পিচ্চি বয়সে আমার ভাইকে যখন প্রেমে ফেলতে পারছো তখন তোমার ননদ হয়ে এতোটুকু তো আমাকে করতে হতোই। নইলে মান থাকতো নাকি।
সিমথির কথায় আরেক দফা হাসির রব পড়ে যায়।
সায়ন : অনেক হয়েছে। এবার সবাই খেতে চলো।
তন্ময়ের বাবা : তাই ভালো।
সবাই চলে যেতে নিলে তন্ময়ের ডাকে আবার থেমে যায়।
তন্ময় : সিমথি শোন।
সিমথি : হুমম বল।
আচমকায় তন্ময়, তুহিন, মেঘা, রোদেলা চারজন সিমথিকে জড়িয়ে ধরে। সবাই একসাথে বলে উঠে,,,,
_ তোর মতো বেস্টফ্রেন্ড কারোর না হোক। আমরাই আনকমন থাকতে চাই।
চারজনের কথায় সিমথি হালকা হাসে।
সিমথি : যেমনটা তোদের ইচ্ছে। এবার আমাকে ফ্রেশ হবার চান্স দে।
চারজন সিমথি কে ছেড়ে দেয়। সায়নরা হেসে বাইরে চলে যায়। সিমথি সায়নদের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে তন্ময় দের ও ইশারা করে।
তুহিন : তুই যাবি না।
সিমথি : যাহ আসছি।
তন্ময়রা সায় দিয়ে চলে যায়।
সিমথি ওদের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আদিদের দিকে তাকায়। সিমথি আচমকায় হেসে উঠে। মেহেররা ভ্রু কুঁচকে একবার সিমথি আর একবার আদির দিকে তাকায়। সিমথি কয়েক পা এগিয়ে আদির থেকে দুপা দূরত্ব রেখে দাঁড়ায়।
সিমথি : আপনার সাহস দেখে আমি সত্যি অবাক। আমার বাড়িতেই আমার রুম থেকে আমাকে কিডন্যাপ করলেন। ইন্টারেস্টিং।
আদি : তোকে বললাম না আমার সাহস বরাবরই বেশি।
সিমথি : ইট’স টোটার্লি ইউর মিসটেক মিস্টার আদিত্য চৌধুরী আদি। আমি চেয়েছি তাই আপনি আমাকে কিডন্যাপ করতে পেরেছেন।
আদি : হুহহ আমার ভালো দিক কখনোই তোর চোখে পড়ে না।
সিমথি : ভালো দিক থাকলে অবশ্যই পড়তো।
আদি : তোর সাথে আপাতত কথা বাড়ানোর ইচ্ছে নাই৷ প্রচন্ড খিদে পেয়েছে আই নিড খাবার।
আদির কথায় সিমথি কিছুটা সরে দাঁড়ায়।
সিমথি : গো টু হেল। আর আপনার লোকগুলো আপাতত মা/ল খেয়ে টাল হয়ে আছে সামলে নিয়েন।
আদি : ওয়াটস মা/ল খেয়ে টাল হয়ে আছে সামনে তোমার ননদ, জা, দেবর, ভাসুর আছে বউ বিহেভ ইউর স্লেফ।
সিমথি : জাস্ট শাট আপ।
আচমকায় আদি সিমথিকে জড়িয়ে ধরে। সিমথি আশ্চর্য দৃষ্টিতে আদির দিকে তাকায়। ছাড়া পাওয়ার জন্য ছটফট করতে শুরু করে।
আদি : ধন্যবাদ তোর মনে আদি ব্যতিত অন্য কোনো পুরুষকে জায়গা না দেওয়ার জন্য। জায়গা টা কেবল আমার জন্য বরাদ্দ রাখিস। তোর রাগে-অভিমান সব আমি ভাঙ্গিয়ে দেব একটু সুযোগ দে আমায়।
সিমথি হেসে আদির পিঠে হাত রাখে। পিঠের পাঞ্জাবি শক্ত করে আঁকড়ে ধরে। মেহেররা চকিত নজরে একে অপরের দিকে তাকায়। এই বুঝি সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু ওদের ধারনা কে ভুল প্রমাণিত করে সিমথি আদির পিঠের পাঞ্জাবি টান দিয়ে ছিড়ে ফেলে। আদিকে এক ধাক্কায় দূরে সরিয়ে দেয়। অতঃপর আদির কলার ধরে নিজের কাছে আনে। তাচ্ছিল্য সুরে বলে,,,
সিমথি : আমার দুর্ভাগ্য আমি আপনাকে ভুলে অন্য কোনো ছেলেকে ভালোবাসতে পারিনি। তাই বলে নিজের আত্ম সম্মান ভুলে পুনরায় আপনার কাছে ফিরবো এটা ভাবা বোকামি ছাড়া কিছু না। আমি সিমথি যতটা যত্নে ভালোবাসতে পারি ততটা যত্নে ছেড়ে দিতেও জানি। ছয় বছর আগে আপনাকে ছেড়েছি মানে আপনার প্রতি আমার কোনো পিছুটান নেই। আমি আপনার হবো না তেমনি অন্য কারোর হবো না। ঠিক তেমন আপনাকে আমি আমার হতে ও দেবো না অন্য কারো হতে ও দেবো না।
আদি : তো কি চাস।
সিমথি : আপনার আর আমার সম্পর্কের সমীকরণ শেষে বিচ্ছেদ লেখা আর সেটা আমি নিজে লিখবো। যতটা যত্নে ভালোবেসে স্বর্গ দেখাতে ছেড়েছিলাম কিন্তু আপনি তা চাননি। এবার তত যত্নে ছেড়ে দিয়ে নরক দেখাবো। গেট রেডি মিস্টার আদিত্য চৌধুরী আদি।
কথাগুলো বলে আদিকে ধাক্কা দিয়ে সিমথি দৌড়ে চলে যায়। মেহেররা আহত দৃষ্টিতে আদির দিকে তাকায় কিন্তু আদির ঠোঁটের কোণায় মুচকি হাসি।
চলবে,,,,,
( দাদি নানি সম্পর্কের সমীকরণে প্যাচ লাগিয়েছি। রহিমা বেগম তরীর নানি আর সিমথির দাদি। গল্পটা শেষ অবধি না পড়ে কোনো বাজে মন্তব্য করবেন না এটা আমার রিকুয়েষ্ট। হ্যাপি রিডিং)