#মিশেছো_আলো_ছায়াতে
#Writer_Sintiha_Eva
#part : 18
🍁🍁🍁
সিমথি : তাড়াতাড়ি বলুন কি বলবেন।
আদি : আগে বসবে তো নাকি।
আদির কথায় সিমথি ফোন থেকে চোখ সরিয়ে আদির দিকে তাকায়। কালো শার্ট, শার্টের উপর ব্লু জ্যাকেট, কালো জিন্স, হাতে কালো ওয়াচ, চুলগুলো সাজানো গুছানো মন্দ লাগছে না। সিমথি ভ্রু কুঁচকে আশেপাশে তাকায়। পুরো রেস্টুরেন্ট খালি।
সিমথি : পুরো রেস্টুরেন্ট খালি কেনো।
_ আমাদের দিকে একটু নজর দাও। শুধু তোমার উনিকে দেখলেই হবে।
আচমকা মিলিত কন্ঠস্বরের শব্দে সিমথি ঘুরে দাঁড়ায় অতঃপর মেহের দের দেখে ফোঁস করে শ্বাস ছাড়ে।
সিমথি : ওহ আপনারা ও আছেন।
তুহা : ইয়াপপ।
সিমথি ধপাস করে চেয়ারে বসে পড়ে। ফোনে কিছু একটা করে ফোনটা সাইডে রাখে। মাথা ব্যথায় ছিঁড়ে যাচ্ছে। কাল সারারাত না ঘুমানোর ফল।
সিমথি : এবার বলুন। ইউর টাইম নাউ স্টার্ট। এক ঘন্টা পর এক সেকেন্ড ও আমি এখানে থাকবো না।
আদি : জন্মের সময় মুখে মধু দিতে ভুলে গিয়েছিলো আমার শ্বাশুমা। ( বিড়বিড়িয়ে)
সিমথি : ফর ইউর কাইন্ড ইনফরমেশন মিষ্টি আমার কোনো কালেই পছন্দের তালিকায় ছিলো না। তাই আমার মা আমার মুখে মধু দিতে পারেনি।
আদি : এতো আস্তে বললাম তাও শুনলে কিভাবে।
সিমথি : এই তুমি তুমি ডাকটা ছাড়ুন তো।
আদি : আমি তো তুমিই ডাকবো৷
মেহের : আচ্ছা তোমরা কথা বলো আমরা ওদিক থেকে আসছি।
মেহের রা চলে যায়। তবে যাওয়ার আগে আদিকে চোখে চোখে কিছু বলে যায়। সিমথি ভ্রু কুঁচকে তাকায় কিন্তু কিছু ই বুঝতে না পেরে ফোঁস করে শ্বাস ছাড়ে। ফোনের দিকে হাত বাড়াতে নিলেই আদি খপ করে সিমথির হাত ধরে ফেলে। সিমথি চমকে আদির দিকে তাকায়। মেহেররা কিছুটা দূরে গিয়ে উঁকি দিয়ে ওদের কার্যকলাপ দেখতে থাকে।
সিমথি : ওয়াট? এভাবে হাতে ধরলেন কেনো?
আদি : সামনে জলজ্যান্ত একটা মানুষ রেখে ফোনে করবি।
সিমথি : আশ্চর্য আমি কানে শুনবো। হাত দিয়ে ফোন টিপবো৷
আদি : শাট আপ। চুপচাপ আমার দিকে তাকিয়ে থাকবি আর যা বলবো তা শুনবি।
আদির কথায় সিমথি বিরক্তি নিয়ে নিজের হাতের উপর থেকে আদির হাত সরিয়ে দেয়। অতঃপর আদির দিকে দৃষ্টিপাত করে।
সিমথি : যখন তখন টাচ করবেন না। আমার ভালো লাগে না।
আদি : আমার কথা না শুনলে একশবার টাচ করবো।
সিমথি : ওকে বলুন শুনছি ৷ মেহের আপু আপনারা প্লিজ এদিকে আসুন। এখানে কোনো প্রেমালাপ হচ্ছে না তাই আমাদের প্রাইভেসির কোনো প্রয়োজন নেই ।
সিমথির কথায় আদি জোরে একটা শ্বাস ছাড়ে। মেহেররা ও এগিয়ে আসে। সিমথি এখনো আদির দিকেই তাকিয়ে আছে। আদির হাবভাব দেখে ঠোঁট কামড়ে হাসে৷
সিমথি : স্বভাব এখনো যায়নি আপনার আদি। আমি তাকিয়ে থাকলে এখনো আপনি হাসফাস করেন ( মনে মনে)
আদি : সিয়া প্লিজ এভাবে তাকিয়ে থাকবে না। আমার সব এলোমেলো হয়ে যায়।
আদির কথায় সিমথি উঠে দাঁড়ায়। সবাই সিমথির দিকে তাকায়।
সিমথি : আপনি কি চান এটা আপনি নিজে ও জানেন না। আমি আপনার দিকে তাকাচ্ছি ও না ফোন ও হাতে নিচ্ছি না। হ্যাপি এবার বলুন। আকাশের অবস্থা খারাপ৷ বৃষ্টি হবে একটু পরই।
কথাগুলো বলে সিমথি আবারো বসে পড়ে। টেবিলে দুহাত রেখে তাতে মাথা গুঁজে দেয়। এখন আর সিমথির মুখ দেখা যাচ্ছে না। আদি স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়ে।
আদি : তোমার চোখে চোখ রেখে কথা বলা আমার পক্ষে সম্ভব না। ওই চোখজোড়ার দিকে তাকালেই আমার সব এলোমেলো হয়ে যায়। ( মনে মনে)
আদিবা : আরে ভাই শুরু কর। সময় চলে যাচ্ছে। ( ফিসফিস করে)
সিমথি : কিউটিপাই ফিসফিস না করে জোরেই বলো এমনিতেও সব শোনাই যাচ্ছে।
সিমথির কথায় সবাই থতমত খেয়ে যায়। আদি হালকা কেশে সিমথির দিকে তাকায়।
আদি : সিয়া ওইদিন রাতের জন্য আমি সত্যি ই সরি। বাট এমনটার পেছনে কারণ টা তুই জানতে চাইবি না।
সিমথি : আপনি কি এসব বলার জন্য আমাকে ডেকেছেন। অনেস্টলি বলছি আমার এসব জানার কোনো আগ্রহ নেই । আপনি কেনো কি করেছেন তা সবই আমার জানা। দয়া করে গল্প বানাবেন না।
আদি : সিয়া আমার কথাটা তো শোন। কেবল তুই বলে যাবি আর নিজের মতো ভেবে নিবি। এভাবে তো দিন চলে না৷ কোনো দোষ না করে নিজেকে দোষী বানাতে আমি রাজি নয়।
আদির কথায় সিমথি মাথা তুলে আদির দিকে তাকায়। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে অদ্ভুত ভাবে হেসে উঠে। পুনরায় দুহাতের ফাঁকে মাথা গুজে দেয়।
সিমথি : শুরু করুন।
আদি : সেদিন রাতে যেই ছেলেগুলো তোর সাথে মিস বিহেভ করেছিলো ওরা আমারই লোক ছিলো। আমাদের কলেজের কয়েকজন জুনিয়র।
আদির কথায় সবাই বিস্ফোরিত দৃষ্টিতে আদির দিকে তাকায়। পুনরায় সিমথির দিকে তাকায়। সিমথি এখনো আগের ন্যায় মাথা গুঁজে বসে আছে।
আদি : আ আসলে তুই যখন আ আমাকে বলতিস ভালোবাসিস ত তখন আমি বিশ্বাস করিনি। কারণ তখন তুই অনেক ছোট ছিলি। ভেবেছিলাম তুই আমার মোহে পড়েছিস। কিছুদিন পরই এই মোহ ভুলে যাবি আর আমাকে ও ভুলে যাবি। তাই আমি তোর কোনো কিছুতেই পাত্তা দিইনি ৷ তুই যখন বার বার আমার কাছে আসতিস তখন ইচ্ছে করেই তোকে অপমান করতাম। যেনো তুই নিজের মোহ টা বুঝতে পারিস। আর আমাকে ভুলে যাস। কিন্তু তুই প্রতিবার আমাকে ভুল প্রমাণ করে আবার ফিরে আসতি৷ এভাবে চলতে চলতে আমিও তোর উপর দুর্বল হয়ে যায়। তোর মনে আছে তুই কয়েকদিন আমার সাথে অভিমান করে টানা সাতদিন কথা বলিসনি। আমি প্রতিদিন তোদের বাড়ি যেতাম তোকে একপলক দেখার জন্য। কিন্তু তুই আমার আসার খবর শুনেই দরজা লাগিয়ে দিতিস । জানিস তখন নিজেকে বড্ড অসহায় লাগতো । আমি নিজেও বুঝতে পারিনি কখন তোর পাগলামি গুলোতে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছি। তারপর সাতদিন পর তুই নিজেই এগিয়ে এসেছিলি ৷ তারপর হঠাৎ একদিন কথার ছলে সায়ন বলেছিলো সায়ন কখনো নিজের কোনো বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে তোর বিয়ে দেবে না। এমনকি কখনো কোনো রিলেশন ও মানবে না। সেদিন মিম সায়নের সাথে কোনো কারণ ছাড়াই রাগারাগি করেছিলো। সায়ন তখন স্পষ্ট করে বলে দিয়েছিলো যদি কোনো দিন ও তুই ওর কোনো বেস্ট ফ্রেন্ড কে ভালোবাসিস বা আমরা কেউ বাসি তাহলে সায়ন সেদিনই সেই ব্যক্তির সাথে ফ্রেন্ডশিপ ব্রেকআপ করবে। আর আমি খুব ভালো করেই জানতাম তুই আমার আর সায়নের মধ্যে সায়নকেই বেছে নিবি। তারজন্য নিজের মনের দুর্বলতা কে নিজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছিলাম। আর আমার থেকে তোকে দূরে সরানোর জন্য সেদিন রাতের প্ল্যান টা সাজিয়েছিলাম। আমি জানতাম তোর আত্মসম্মান বোধ প্রখর। একবার যে তোর আত্মসম্মানবোধে আঘাত হানে তুই তাকে দ্বিতীয় বার মাফ করিস না৷
এতো টুকু বলে আদি থামে। সিমথির দিকে একপলক তাকায়। সিমথি এখনো আগের ন্যায় বসে আছে।
আদি : সেদিন রাতে ওখানে যা যা হয়েছে সবটাই আমার সাজানো ছিলো। আমি দূরত্ব বাড়াতে চেয়েছিলাম কিন্তু সেই দূরত্বের আগুনে এভাবে পুড়তে হবে এটা জানতাম না। আমি ভেবেছিলাম দুজনের কারোরই কষ্ট হবে না। হলেও সাময়িক হবে৷ কিন্তু নিজের অজান্তেই ভেতরে ভেতরে অনেকটা জড়িয়ে গিয়েছিলাম তোর সাথে। এটা তোর শূন্যতায় আমি খুব ভালো ভাবে বুঝেছিলাম৷ তার জন্যই তোর কয়েকদিনের ইগনোর সহ্য করতে না পেরে সায়নের সব কথা ভুলে তোর কাছে গিয়েছিলাম কিন্তু তার আগেই তুই হাজার হাজার দূরত্ব তৈরি করে চলে গিয়েছিলি।
আদি থামে। মেহেররা একে অপরের দিকে তাকায়। আদি তো এসব কিছু বলেনি। তাহলে সেদিনের বলা কথাগুলো অর্ধেক সত্যি আর অর্ধেক মিথ্যে ছিলো। আদি উঠে দাড়ায়। সিমথির পাশে গিয়ে দাঁড়ায় । সিমথির মাথায় নিজের হাত রেখে হাঁটু গেড়ে বসে।
আদি : সিয়াজান আম সরি। মাফ করবি না৷ লাস্ট একটা সুযোগ দিবি না।
সিমথি মাথা তুলে আদির দিকে তাকায়। চোখ মুখ স্বাভাবিক।
সিমথি : তন্ময় আর তুহিন এসব কিছু জানতো তাই না।
সিমথির কথায় আদি হাসে। কপালের ছোট চুলগুলো সিমথির কানের পেছনপ গুঁজে দেয়।
আদি : তোকে যখন ওদের কাছে রেখে চলে এসেছিলাম তখন ও আমি নিশ্চিত ছিলাম না। যদিও জানতাম ছেলেগুলো তোকে কিছুই করবে না। কারণ ওরা আমার ভীষণ বিশ্বস্ত। কিন্তু তারপরই কোনো রিস্ক নেয়নি। তন্ময় আর তুহিন কে আগেই সবটা জানিয়ে রেখেছিলাম৷ ওখান থেকে সরে এসে অনেকটা দূরে দাঁড়িয়ে তন্ময়কে ফোন দিতেই পাঁচ মিনিট পর ওরা চলে আসে। কিন্তু ততক্ষণে আমার ভেজা বিড়াল প্রতিবাদী হয়ে উঠেছিলো। পাশ থেকে ইট নিয়ে একজনের মাথায় বারি মেরে ছিলেন মনে আছে আপনার মহারাণী৷
সিমথি মাথা নাড়িয়ে সায় দেয়। আদি হাসে।
আদি : বারি মারার পরই পেছনে সরতে গিয়ে চশমা খুলে ওখানেই ফেলে দেন। ততক্ষণে তুহিন আর তন্ময় চলে আসে। তন্ময় আপনাকে নিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছিলো। আর এদিকে তুহিন আর আমি ছেলেটাকে নিয়ে হসপিটালে যায়। ওতোটুকু বয়স হলেও কি হবে গায়ে তোর জোর ছিলো। ছেলেটাকে পাঁচ দিন সেন্সলেস করে বেডে শুইয়ে রেখেছিলি।
সিমথি : আপনার সবগুলো কথা সত্যি এটা বিশ্বাস করবো কিভাবে।
সিমথির কথায় আদি হাসে। পকেট থেকে ফোন বের করে কাউকে ফোন করে।
আদি : প্রচন্ড সন্দেহ করো তুমি। জানতাম প্রমাণ চাইবি।
_ আসসালামু আলাইকুম ভাবী
আচমকা কয়েকজনের ভয়েজ শুনে সিমথি দরজার দিকে তাকায়। সেদিন রাতের ছেলেগুলোকে দেখে অবাক হয় কিন্তু সেটা ভেতরে ভেতরে রাখে। কি আজব গেটআপ সম্পূর্ণ চেঞ্জ। এদের দেখলে কেউ বলবে সেদিন রাতে গাঁ’জা’খো’রের মতো ছিলো। আর আজ একেকজন কে দেখে মনে হচ্ছে ভদ্রলোক। সিমথি ফোঁস করে শ্বাস ছাড়ে।
আদি : তোদের ভাবী বিশ্বাস করছিলো না। তোরা কিছু বল।
ছেলেগুলোর মধ্যে রাদিফ নামে একজন ছেলে বলে উঠে,,,
রাদিফ : ভাবী ভাই সব সত্যি কথাই বলছে। আমরা কোনো গাঁ’জা খোর নয়। ভাই কে ভুল বুঝবেন না৷
সিমথি : আমার থেকে বড় হবেন। সো নাম ধরেই বলতে পারেন। ভাবী ডাকবেন না প্লিজ।
তুষার : আপনাকে নাম ধরে ডাকলে আমাদের কপালে বাঁশ আছে ভাবী।
প্রতিত্তোরে সিমথি কিছু বলে না।
সিমথি : ওরা ঠিক বলছে এটা কিভাবে বিশ্বাস করবো। আপনার সাজানো হতেই পারে৷
সিমথির কথায় আদি চোখ পাকিয়ে সিমথির দিকে তাকায়।
আদি : বড্ড জ্বালাচ্ছিস। এর শোধ গুণে গুণে তুলবো৷
আদি পুনরায় কাউকে ফোন করে তবে এখন ভিডিও কল।
আদি : মহারাণী সরুন একটু। আপনার হিটলার ভাইজান আমার সাথে আপনাকে দেখলে আমার গর্দান যাবে৷
আদির কথায় সিমথি চুপচাপ সরে দাড়ায়। হাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে একবার সময় দেখে নেয়।
সায়ন : হঠাৎ ভিডিও কল করলি কেনো।
আদি : এই তো তোর সাথে কয়েকজন দেখা করতে চাইছে।
সায়ন : কারা।
রাদিফ : আসসালামু আলাইকুম বড় ভাই।
সায়ন : আরে রাদিফ তুষার তোরা। এতোদিন পর কি খবর বল।
রাদিফ : মাফ করবেন ভাই। ব্যস্ততার জন্য সময় হয়ে উঠে না। আজ হঠাৎ আদি ভাইয়ার সাথে দেখা হলো। তাই।
সায়ন : তা ঠিক আছে আজ বরং তোরা রাত আটটায় চায়ের দোকানের সামনে থাকিস আমি আসবো। অনেকদিন আড্ডা দেয়না। এখন একটু ব্যস্ত আছি৷ মাইন্ড করিস না রাখছি।
তুষার : না না বড় ভাই রাগ করবো কেনো রাতে দখা হচ্ছে। আল্লাহ হাফেজ।
অতঃপর সায়ন ফোন কেটে দেয়। আদি ভ্রু নাচিয়ে সিমথির দিকে তাকায়। সিমথি জোরে একটা শ্বাস ছাড়ে ।
সিমথি : টাইম আপ। বাই।
আদি খপ করে সিমথির হাত ধরে।
আদি : ওয়াট রাবিস ৷ এন্সার দিয়ে যা।
সিমথি : কথায় কথায় টাচ করতে নিষেধ করেছি না হুমম৷ ছাড়ুন। আর কিসের এন্সার। কোনো কুইয়েশ্চন করেছেন। আশ্চর্য
আদি : ওকে করছি। একটা লাস্ট চান্স দিবি। সবকিছুর জন্য সরি। এবার দূরত্ব টা কমা প্লিজ৷ আর সহ্য হচ্ছে না৷
সিমথি আদিকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়।
সিমথি : দূরত্ব চেয়েছেন সেটা দিয়েছি৷ দূরত্ব কমাতে আমি পারবো না। আর আপনি ভুলে যাচ্ছেন ভাইয়া কখনো মানবে না। আর ভাইয়াকে কষ্ট আমি দিতে পারবো না আর তাছাড়া,,
আদি : কি হলো থেমে গেলি কেনো
সিমথি কিছু না বলে আদিকে পাশ কাটিয়ে চলে যায়।
সিমথি : এই ছেলে দাঁড়াও।
সিমথির ডাক অনুসরণ করে সবাই দরজার দিকে তাকায়। ছেলেটা ভয়ে ভয়ে সিমথির দিকে তাকায়।
সিমথি : এদিকে আসো
সিমথির কথায় ছেলেটা সিমথির কাছে এসে দাঁড়ায়।
সিমথি : কিছু বলবে। অনেকক্ষণ ধরে তোমাকে খেয়াল করছি।
ছেলেটা এবার ভয়েভয়ে চারপাশে তাকায়।
_ ম ম্যাম সাবধানে থাকবেন। আ আপনার বি বিপদ সা সামনে। ও ওরা আ আপনাকে মে’রে ফেলবে। আ আপনার মা- বাবা
কথাটা বলেই ছেলেটা থেমে যায়। সবাই একবার সিমথির দিকে তো একবার ছেলেটার দিকে তাকাচ্ছে।
সিমথি : কথাটা শেষ করো।
_ আপনার মা- বাবা বে
আচমকা ছেলেটা সিমথি ধাক্কা দেয়। তখনই একটা গুলি এসে ছেলেটার বুক বরাবর লাগে। কিছুক্ষণের মধ্যে সবাই নিশ্চুপ হয়ে যায়। সিমথি দৌড়ে ছেলেটার কাছে আসে আবার দরজার দিকে তাকায়।
সিমথি : এই ছেলে চোখ খোলো বলছি এই ছেলে চোখ খোলো
_ আপনার মা- ব বাবা বে বেচে আ আ আছে।
কথাটা বলেই ছেলেটার শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। সিমথি ধপ করে বসে পড়ে। আদিরা একে অপরের দিকে তাকায়। নিজেদের কানকেই যেনো কেউ বিশ্বাস করতে পারছে না। সিমথির মা-বাবা বেঁচে আছে এটা কি সত্যি।
চলবে,,,,,
( সবাইকে ঈদ মোবারক। এবার আপনাদের মতামতের পালা। নায়ক হিসেবে আদিকে চান নাকি স্যাড এন্ডিং। ধন্যবাদ)