স্মৃতির_শেষ_অধ্যায়ে_তুমি #পর্ব_১৫

0
408

#স্মৃতির_শেষ_অধ্যায়ে_তুমি
#পর্ব_১৫
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

সিগারেটে আগুন জ্বলিয়ে ঠোঁটে চেপে ধরলো মুনতাসীর। স্মৃতি গভীর ভাবে ফোনের মধ্যে ক্রল করছে। মুনতাসীর একটু গম্ভীর হয়ে স্মৃতির দিকে এগিয়ে গেল। স্মৃতি মুনতাসীরকে দেখে নিচে চলে যেতে চাইলে, মুনতাসীরের মিষ্টিপাখি ডাকটা কর্ণকুহরে আসতেই থেকে যায় দু’টি চরন। মনের মধ্যে হাহাকার জমিয়ে, তাচ্ছিল্য দৃষ্টি নিক্ষেপ করল স্মৃতি। স্মৃতির ঘৃণা ভরা দৃষ্টি মুনতাসীরের ভেতরটা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিচ্ছে। কণ্ঠনালী দিয়ে কোনো শব্দ বের হচ্ছে না। দম বন্ধ হয়ে আসছে তার। পৃথিবীর সবার কাছে সে, কঠিন হতে পরালে-ও স্মৃতির কাছে এসে সে দমে যায়। স্মৃতিকে দেখা মাত্রই তার কাঠিন্যতা ভয়ে কাবু হয়ে যায়। সে বুঝে পায় না। সে কেন এই মেয়েটাকে এত ভয় পায়?কেনো সে এই মেয়েটার প্রতি এতটা দুর্বল? উত্তর মেলে না তার। মুনতাসীর নিকোটিনের ধোঁয়া বাসাতের সাথে উড়িয়ে দিয়ে, স্মৃতি উদ্দেশ্য করে বলল,

–আমাকে কি একটা বার মাফ করা যায় না। আমি জানি মানুষ না জেনে ভুল করলে,তাকে মাফ করে দেওয়া হয়। আর যে জেনে বুঝে ভুল করে, তার কি কোনোদিন ও ক্ষমা হয় না। আমাকে এই একটা প্রশ্নের উত্তর দে। আমি তোকে কথা দিচ্ছি। আমি সারাজীবনের জন্য তোর জীবন থেকে বলে যাব। আল্লাহ তায়া’লা যতদিন আমাকে পৃথিবীতে বাঁচিয়ে রাখবে। আমি ততদিন আমার এই মুখশ্রী তোকে দেখাবো না। মুনতাসীরের কথায় স্মৃতির মুখশ্রীতে ফুটে উঠলো বিরক্তির ছাপ। একটা মানুষ কতটা নিখুঁত অভিনয় করতে পারে। তা এই মানুষটাকে না দেখলে বোঝায় যাবে না। এমন ভাব করছে। সে জেনে-বুঝে ছোট একটা ভুল করেছে। স্মৃতি বিরক্ত মাখা মুখ করে বলে উঠলো,

–ছোটরা যদি ভুল করে, সেটা হচ্ছে ভুল। আর বড়রা যদি ভুল করে, সেটা ভুল না অন্যায়। আপনি ভুল করেননি মুনতাসীর ভাই। আপনি অন্যায় করেছেন। আমি আপনাকে কোনোদিন ক্ষমা করবো না। আপনি যতই ভালো সাজার চেষ্টা করেন না কেনো? আপনি আমার মন গহীনে আর কোনোদিন প্রবেশ করতে পারবেন না। স্মৃতির শহরে আপনার প্রবেশ নিষিদ্ধ মুনতাসীর ভাই। আপনার মতো নিষিদ্ধ মানুষ যদি আমার শহরে প্রবেশ করে ফেলে, তাহলে আমার মনের শহরের অলিতে-গলিতে আনদোলন শুরু হয়ে যাবে। যে কালো অধ্যায় আমি অতীতে শেষ করে আসছি। তাকে মনের গহীনে নিয়ে এসে, আমার বর্তমানকে কলুষিত করতে চাই না। স্মৃতির কথায় দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল মুনতাসীর। এমনটা হবার কথাই ছিল। সে জানতো স্মৃতি খুব আবেগ প্রবল। কিন্তু যাকে একবার মন থেকে বের করে দেয়। সে খুব সহজে তার মনের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে না। মুনতাসীর মলিন মুখ করে বলে উঠলো,

–আরাভের বোনকে তোর কেমন লাগে? মুনতাসীরের কথায় বিস্ময় নয়নে মুনতাসীরের দিকে তাকালো স্মৃতি। মানুষটা আবার আরাভের বোনের দিকে কুনজর দিয়েছে। সে এখন মানুষটার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। ভাবতেই ঘৃনায় পুরো শরীর রি রি করে উঠলো। মুনতাসীর হয়তো স্মৃতির মনে অবস্থা বুঝতে পারলো। সে স্মৃতিকে আসস্ত দিয়ে বলে উঠলো,

–ভয় পাস না। আমি আকাশীর কোনো ক্ষতি করবো না। এভাবে জীবন চলে না। আমাকে আমার মতো কেউ বুঝবে। এমন কাউকে আমি পেলাম না। তুই আমাকে বোঝার মতো ছিলি। সেই তুই ও আমার থেকে বহুদূরে চলে গিয়েছিস। এতটা দূরে গিয়েছিস। যা আমার ধরা ছোঁয়ার বাহিরে, আমাকে একটু শান্তিতে বাঁচতে দে মিষ্টিপাখি। আমার দম বন্ধ হয়ে আসে। আমার রাতের শেষ প্রহরে নিদ্রা ভেঙে যায়। আমি ধড়ফড়িয়ে উঠে বসি। মনটা অস্থির হয়ে উঠে। কারো ভালোবাসা পাবার জন্য আকুল হয়ে উঠি। আশেপাশে তাকিয়ে চিৎকার করে উঠি। আমার চিৎকার শুনে, আমার অস্থিরতা দেখে, আমাকে আগলে নেওয়ার মতো কেউ নাই রে মিষ্টিপাখি। আমার ও ভালো থাকার অধিকার আছে। এভাবে আমাকে নিঃস্ব করে দিস না। তোর সেই রাতের চিৎকার আমাকে দুমড়ে মুচড়ে ফেলে। আমার শ্বাসরুদ্ধ হয়ে আসে। মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দেয়। পুরো শরীরের অঙ্গ-পতঙ্গ বলে দেয় তুই বেইমান। মুনতাসীরের কথা শুনে, স্মৃতি বিরক্তিতে মুখশ্রী কুঁচকে ফেলে, বিরক্ত মাখা মুখ করে বলে উঠলো,

–এত নাটক না করে, কিসের জন্য এত অভিনয় করছেন? আসল কথাটা ঝটপট বলে ফেলুন। আপনার প্রতিটি শিরা-উপশিরায় কি চলে? তা আমি স্মৃতি ভালো করেই জানি। এখন কোনো নতুন নাটক শুরু করবেন না। আমার পড়াশোনা আছে। আমি পড়তে বসবো। আপনার কাছে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ফালতু কথা শোনার সময় আমার নেই। নির্ঘাত আমার বাবা আমাদের সঠিক শিক্ষা দিয়েছে। তাই আপনার মতো অমানুষের সাথে এখনো সন্মানের সহিত কথা বলছি। স্মৃতির কথা কর্ণকুহরে আসতেই মুনতাসীরের মস্তিষ্কের রক্ত গুলো টগবগ করে উঠলো। মুনতাসীর সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। স্মৃতির কাছে ভালো থাকার। কিন্তু স্মৃতির কিছু বাক্য তাকে, ভালো থাকতে দিচ্ছে না। মুনতাসীর কোনো হেয়ালি করল না। সে স্মৃতিকে উদ্দেশ্য করে বলল,

–আরাভের বোন আকাশীকে আমার বেশ পছন্দ হয়েছে। আমি তাকে আমার অর্ধাঙ্গিনী করতে চাই। এই কথাটা আমি বাসায় বলতে পারছি না। আমার হয়ে কথা গুলো তুই মামিকে বল। মামি যেন মামার মাধ্যম দিয়ে, বাবাকে খবর দেয়। মামা বললে বাবা বিষয়টি ভেবে দেখবে। মুনতাসীরের কথায় স্মৃতি শব্দ করে হেসে উঠলো। যেন মুনতাসীর কোনো জোক্স বলছে। স্মৃতির হাসিমাখা মুখের দিকে তাকিয়ে বিরক্ত হলো মুনতাসীর। বহুকষ্টে নিজের ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছে। কিন্তু আড়ালে থেকে স্মৃতির হাসিমাখা মুখশ্রীর দিকে তাকিয়ে, কারো মনে প্রশান্তির হওয়া বয়ে যাচ্ছে। পুরো শরীর শীতল হয়ে উঠছে। এই মেয়েটার হাসিতেই তো সে শেষ হয়ে গিয়েছে। এখানে বেশিক্ষণ থাকলে,নির্ঘাত মেয়েটা তাকে এখনই শেষ করে ফেলবে। নিঃশব্দে মানুষটা সরে গেল। স্মৃতি নিজের হাসি থামিয়ে দিয়ে বলল,

–আমাকে দেখে তোমার পাগল মনে হয়। আমি একটা অমানুষের সাথে, একটা ফুলের বিয়ে হতে দিব। তুমি একটা কথা কান খুলে শুনে রাখো। আমি থাকতে তোমার আর আকাশীর বিয়ে কোনোদিন ও হতে দিব না। কোথায় তুমি? কোথায় আকাশী? তোমার সাথে আকাশীর যায়? বামন হয়ে চাঁদে হাত বাড়াতে চাচ্ছো? তুমি কোনো দিক দিয়েই আকাশীর যোগ্য না। আকাশীর স্বামী হতে হলে যোগ্যতা লাগে। সেই যোগ্যতা তোমার নেই। স্মৃতির কথায় মুনতাসীর কপট রাগ দেখিয়ে বলল,

–কেনো তোর হিংসা হচ্ছে, আমি একটু ভালো থাকবো। এটা সহ্য করতে পারছিস না। এতদিন আপনি আপনি করে মাথা খাচ্ছিলি। এখন যখন শুনলি অন্য কাউকে ভালোবাসবো। ওমনি তুমি, তুমি শুরু করে দিয়েছিস। তোর কথার ধরন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। তুই আমাকে ভালোবাসিস। মুনতাসীরের কথায় স্মৃতি মাটিতে থুথু ফেলল। নিচের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলল,

–যে থুথু মানুষ একবার মুখ দিয়ে বের করে, সেটা কি আবার মুখে তুলে নেয়। আপনি হচ্ছেন সেই থুথু। যাকে পায়ের নিচে পিষে ফেলা যায়। কিন্তু মুখে তুলে নেওয়া যায় না। আপনার আর আমার সম্পর্কটা কি? সেটা আপনি ভুলে যাবেন না। তাই আপনার মতো অমানুষকে ভালোবাসার কোনো প্রশ্নই আসে না। কথা গুলো বলেই স্মৃতি নিচে চলে গেল। স্মৃতির কথায় পুরো শরীর ক্রোধে কেঁপে উঠলো। জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিয়ে নিজের, ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে মুনতাসীর।

পরের দিন সকাল বেলা স্মৃতি ও তার বন্ধুমহল ক্লাস রুমে বসে আছে৷ স্মৃতি গালে হাত দিয়ে গভীর ভাবে কিছু একটা ভাবছে। স্মৃতিকে ভাবতে দেখে তোহা স্মৃতিকে উদ্দেশ্য করে বলল,

–স্মৃতি এত কি ভাবছিস। আজকে স্যার ক্লাসে পরীক্ষা নিবে। তাড়াতাড়ি পরীক্ষার প্রস্তুতি নে। আমাদের দেখাবি। কালকে বাবা-মা প্রচুর ঝগড়া করেছে। মা রাগ করে বাবার বাসায় চলে গিয়েছে। বাসায় এত অশান্তি থাকলে, পড়তে কি ভালো লাগে বল? তোহার কথা শুনে স্মৃতি তোহাকে উদ্দেশ্য করে বলল,

–একটা কাজ করলে কেমন হয়? আজকে আমাদের ইংরেজি প্রাইভেট আগেই শেষ হয়েছে। রসায়ন প্রাইভেট আজকে নেই। ক্লাস শুরু হতে এখনো এক ঘন্টা বাকি। চল না আরাভ স্যারকে ডেকে নিয়ে এসে, আমরা স্যারের কাছে পদার্থ বিজ্ঞান পড়ি। স্মৃতির কথা শুনে রোহান গম্ভীর মুখ করে বলে উঠলো,

–কিন্তু আরাভ স্যার তো প্রাইভেট পড়ায় না। রোহানের কথা কেঁড়ে নিয়ে মেঘ বলে উঠলো,

–আমরা তো স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়বো না। স্যার আমাদের ভালো স্টুডেন্ট হিসেবে জানে। এমনিতেও আমরা খারাপ না। আমরা যদি স্যারের কাছে সাতটা দিন এমনি পড়ি। আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি। স্যার আমাদের কিছুেতেই না করতে পারবে না। তোহা মলিন মুখে বলল,

–স্যার কি কলেজে আসছে? তোহার কথা শেষ হবার সাথে সাথে স্মৃতি হাসোজ্জল মুখ করে বলে উঠলো,

–হ্যাঁ স্যার আসছে। আমি দেখেছি অফিস রুমে বসে আছে। তোরা চাইলে এখনই আমরা স্যারের কাছে যেতে পারি। স্মৃতির কথা শুনে, কেউ বিলম্ব করল না। সবাই মিলে অফিস রুমে দিকে এগিয়ে গেল। অফিস রুমের সামনে এসে অনুমতি নিয়ে, সবাই কক্ষে প্রবেশ করল৷ আরাভকে তাদের মনোভাব পোষণ করলে, আরাভ কিছুটা ভেবে তাদের পড়াতে রাজি হলো। আরাভ বই ধরে গভীর ভাবে সবাইকে পড়াচ্ছে। স্মৃতি একবার পড়ায় মন দিচ্ছে, আরেকবার আরাভের দিকে তাকিয়ে আছে। তার অনুভূতিরা আনন্দে মেতে উঠেছে। স্মৃতিকে অন্য অন্যমনস্ক হতে দেখে, আরাভ বজ্রকন্ঠে বলে উঠলো,

–আমার সাথে ফাজলামি করতে আসছো? আমার কাছে পড়তে আসলে, মনটা পড়ার জন্য নিয়ে আসতে হবে। তুমি পড়তে আসছো এখানে, আর মনটা রেখে আসছো বাহিরে। তাহলে পড়তে আসার কি দরকার ছিল? বাহিরেই থাকতে পারতে। আমি আমার মূল্যবান সময়টুকু তোমাদের পেছনে খরচ করছি। যেন তোমরা ভালো কিছু শিখতে পারো। আমার দ্বারা যদি তোমাদের উপকার হয়। এটা আমার সফলতা হবে। আচ্ছা আমাদের এত কিসের ঠেকা তোমাদের এত ভালো করে পড়ানোর? তোমরা না পড়লে আমাদের কি যাবে আসবে। মাস গেলে টাকা পাব। হয়ে যাবে। আজকে একটা কথা তোমাদের বলে রাখি। এটা তোমরা মিলিয়ে নিও। আজকাল মানুষের মধ্যে থেকে সততা উঠে গিয়েছে। হাতে গোনা কয়েকজন সৎ মানুষ খুঁজে পাবে। সব শিক্ষকরা স্টুডেন্টের ভালোর জন্য পড়ায় না। তারা আসবে ক্লাস নিবে। তুমি পড়লেই কি আর না পড়লেই কি? তার কোনো আসে যায় না। মাস যাচ্ছে সে টাকা পাচ্ছে। আমি কিন্তু এমন মনোভাব নিয়ে চলি না। আমি চাই আমার জন্য তোমরা কিছু শিখতে পারো। তোমাদের জীবনের উন্নতি হোক। তোমরা সফলতার শীর্ষে পৌঁছাতে পারো। এটাই আমি চাই। তোমাদের আলাদা করে পড়ানোর জন্য আমার কোনো স্বার্থ নেই। আমার স্বার্থ একটাই আমার স্টুডেন্টের সফলতা। জানতে হলে পড় হবে। আর পড়তে ভালো না লাগলে পড়াশোনা তোমার দ্বারা হবে না। আমি এখানে পড়াচ্ছি। স্মৃতি অন্যমনস্ক হয়ে আছে। এসব দেখলে পড়াতে ইচ্ছে করে। আরাভের কথায় মুহুর্তের মধ্যে স্মৃতির মন খারাপ হয়ে গেল। মনের মধ্যে এসে ধরা দিল একরাশ বিষাদ। মানুষটা সামনে আসলে তার কি হয়। সে নিজেও জানে না। সে শুধু এতটুকু বুঝে মানুষটাকে মন ভরে দেখতে ইচ্ছে করে। মানুষটাকে নিয়ে কল্পনা করতে ইচ্ছে করে। মনের সব ভাবনাকে পেছনে ফেলে রেখে, স্মৃতি মলিন কণ্ঠে বলে উঠলো,

–স্যরি স্যার ভুল হয়ে গিয়েছে। কথা দিচ্ছি। আর কখনো এমন হবে না। স্মৃতির কথা শেষ হবার সাথে সাথে আরাভ পড়ানো শুরু করল। স্মৃতি বাকিটা সময় চুপচাপ হয়ে থেকেছে। মেয়েটাকে মনমরা থাকতে দেখে, আরাভের ও বেশ খারাপ লেগেছে। তবে মাঝেমধ্যে মানুষের ভালোর জন্য দু’কথা শোনাতে হয়। এই যে সে, স্মৃতিকে কথা শোনালো। স্মৃতি তার ওপরে রাগ করে পড়াশোনায় মনযোগ দিল। পড়া শেষ করে ক্লাস রুমে এসে মলিন মুখ করে স্মৃতি বসে রইলো।

চলবে…..

(আজকে বড় করে পর্ব দিয়েছি। আজকে আমার দুই লাইনের মন্তব্য চাই। সবাই রেসপন্স করবেন। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here