#আবার_প্রেম_হোক
#নুসরাত_জাহান_মিম
০৪.
ফজরের আযান কানে ভাসতেই ঘুম ছুটে যায় চাঁদের।ঘুম থেকে উঠে পাশে ফিরে দেখে তার তিন ননদের একজনও সেখানে উপস্থিত নেই।তাদের জন্য চিন্তা হচ্ছে চাঁদের।ওয়াশরুমে গেলে তিনজন একসাথেই বা কেনো যাবে?তবে কোথায় গেলো তারা?এসব ভাবতে ভাবতেই হাত খোপা করতে করতে রুমের বাইরে আসে চাঁদ।এদিক সেদিক খুজতে থাকে তাদের।কোথাও না পেয়ে তন্ময়ের রুমের দিকে এগিয়েও পিছু ঘুরে ফিরে আসতে চায় কিন্তু বলিষ্ঠ দেহের অধিকারী কারো বুকের সাথে ধা*ক্কা লেগে ফ্লোরে পড়ে যায় সে।একেতো নাকে খুব জো!রে ব্যাথা পেয়েছে তার উপর এখন মনে হচ্ছে কোমড়টাও বাকিয়ে গিয়েছে।বেশ বিরক্ত হয়ে চাঁদ উঠতে চাইলে ব্যথায় চোখমুখ খি*চে ফ্লোরেই বসে থাকে।মনে মনে ভাবছে সামনের লোকটা খুবই নির্দয়।পড়ে গেছে দেখেও উঠার জন্য হাত বাড়াচ্ছেনা?এমনও মানুষ হয়?লোকটাকে দেখার বড্ড ইচ্ছে হলো চাঁদের।তাই সেদিকে দৃষ্টিপাত করে সে।চোখে চশমা নেই বিধায় চেহারা স্পষ্ট নজরে আসছেনা তবে অবয়ব দেখে কোনো সন্দেহ নেই সামনে থাকা ব্যক্তিটি কে।শুধু শুধুই লোকটাকে নির্দয়ের খেতাব দেয়ায় নিজেকে গা!ল!ম!ন্দ করে একাই একাই উঠার চেষ্টা করছে।তবুও লোকটা সাহায্য করছেনা বলে খানিকটা আশাহত হলো সে।চাঁদকে অবাক করে দিয়ে লোকটা চলে যেতে নিলে কষ্ট করে উঠে দৃষ্টি নত করেই চাঁদ বলে,
“এতোটা ঘৃ*ণা কবে জন্মালো প্রণয়?”
চাঁদের মুখে এরূপ বাক্য শুনে হতবিহ্বল হয়ে পিছু তাকায় প্রণয়।এরকম কিছু সে মোটেও আশা করেনি।চাঁদকে চুপ দেখে সে মনে মনে ভাবলো হয়তো ভ্রম হয়েছে।তাই আবারও যেতে নিলে শুনতে পায়,
“এটা কোনো ভ্রম না।আমি জানতে চাইছি এতোটা ঘৃ*ণা করার কারণ কী?”
বিস্ফোরিত নয়নে প্রণয় চাঁদের দিকে তাকালো।তাকিয়ে থেকে বললো,
“যার দৃষ্টি সর্বদা ঊর্ধ্বে থাকে তার দৃষ্টি আজ নত কেনো?”
চাঁদ সেভাবে থেকেই বললো,
“যে জানে অতিরিক্ত কথা তার পছন্দনা তবুও কেনো বাড়তি কথা বলছে?”
“সে কি কখনো ভেবেছে যাকে ছাড়া তার এক মুহুর্তও চলতোনা সে কী করে বছরের পর বছর থেকেছে?”
“থাকতে পেরেছেতো!সবাই পারে”
“দৃষ্টি উঁচু করুন চাঁদ”
প্রণয়ের মুখে এতোগুলো বছর পর ‘চাঁদ’ ডাক শুনে প্রণয়ের দিকে তাকাতে বাধ্য হলো চাঁদ।আর তাকাতেই প্রথম দিনের ন্যায় দুজনের দৃষ্টিমিলন ঘটলো।চাঁদ বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারলোনা সেই প্রখর চাহনীতে।এই দৃষ্টিতে যেনো কেবলই তার ধ্বং*স নিহিত!তাই চাঁদ দৃষ্টি অন্যদিকে দিয়ে বললো,
“একজন ডাক্তারকে মানবিক হতে হয় এটাই আমাদের সর্বপ্রথম শেখানো হয়,এমনকি দুশমন হলেও।একজনকে কষ্টে দেখে আনন্দ পাওয়া ব্যাপারটায় ঘৃ*ণা পুরোপুরিভাবে আবৃত আছে।কারণটা যে কেবলই ছেড়ে চলে যাওয়া তা কিন্তু নয়।তবে কেনো এতোটা ঘৃ*ণা?”
“ইগো শেষমেশ ছুটলো বলে?”
“ইগো নামক বস্তু চাঁদের মাঝে বিদ্যমান নেই সেটা আপনি ভালো করেই জানেন”
প্রণয়ের মেজাজ ধীরে ধীরে বি!গড়া!চ্ছে সে নিজেকে সামলাতে না পেরে চাঁদের কব্জি ধরে টেনে নিজের রুমে এনে দরজা আটকে দরজার সাথেই দু’বাহু চেপে ধরে বলে,
“ইগো নেই না?ইগো না থাকলে কেবল সন্দেহ করে দুটো কথা বলায় কেউ ছেড়ে চলে যেতে পারে?কী করেইবা পারে?”
চোখমুখ বন্ধ করে চাঁদ বলে,
“আপনি জানেন না।আপনি জানেন না!”
“আমি জানতে চাইও না!একজন খু*নীর কাছ থেকে অন্তত সত্যিটা জানার প্রত্যাশা আমি করিনা”
সাথে সাথে চোখ খুলে অস্ফুটস্বরে চাঁদ বলে,
“খু…খু*নী?”
তাচ্ছিল্যের সুরে প্রণয় বললো,
“ভাজা মাছটাও উলটে খেতে জানেন না তাইতো?”
“আমি সত্যিই বুঝতে পারছিনা প্রণয়?”
“আমি জানতাম ঠিক জানতাম এমন কিছুই শুনতে হবে আমায়।আপনার এই দুমোখোভাব আমার বরাবরই অপছন্দনীয়।সবার সামনে এমন ভাব করা যেনো ঘৃ*ণার চূড়ান্ত পর্যায়ে আমি আপনার তালিকায় আছি আর এখন এমন ভাব করছেন যেনো আপনি সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া শিশু?”
তীক্ষ্ণ দৃষ্টি প্রণয়ের দিকে নিক্ষেপ করে চাঁদ বললো,
“কথা পেচাবেন না।আপনি আমায় খু*নী বলছেন কোন ভিত্তিতে?”
চাঁদের দু’বাহু আরও শক্ত করে চে!পে ধরে প্রণয় বলে,
“সেদিন আপনি অরণের মাথায় আ*ঘা^ত করেন নি?বলুন করেন নি?”
ব্যথায় কু*কি*য়ে গিয়ে চাঁদ বলে,
“অ…অরণ?কী হয়েছে অরণের?কোথায় সে?”
“যা জিজ্ঞেস করেছি তার উত্তর দিন চাঁদ!”
চোখ বন্ধ করে চাঁদ কাপা কাপা কন্ঠে বলে,
“ক…করেছিলাম তবে..”
“হ্যা করেছিলেন!আর আপনার জন্য আমার বন্ধু!”
চোখ খুলে বার কয়েক পলক ঝাপটে চাঁদ বলে,
“কী হয়েছে অরণের?”
“অরণের কী হয়েছে আপনাকে বলতে আমি বাধ্য নই!আর হ্যা যেই বিয়েটাকে সবাই ভাগ্য মনে করছে সেটা পুরোটাই ছিলো আমার নিখুঁত পরিকল্পনা।বিয়েটা আপনাকেই করার জন্য আমি টেকনাফ গিয়েছি।আর তাতে হেল্প করেছে আপনারই আপন খালাতো বোন অমৃতা!কিন্তু এতে তার কোনো দো*ষ নেই।তাকে দো*ষাবেন না।আমি তাকে বলেছি আমি আপনায় অনেক ভালোবাসি।আপনিও বাসেন।প্রমাণ স্বরূপ রবিন তো ছিলোই।আপনার বোনতো আর জানেনা একজন খু*নীকে ঘৃ!ণা ব্যতীত আর কিছু দেয়া যায়না!”
অবিশ্বাস্য চাহনী প্রণয়ের দিকে নিক্ষেপ করে চাঁদ বলে,
“অ..অমি সব জানতো?”
“সব জানেনা। শুধু জানে প্রণয় চাঁদকে অসম্ভব ভালোবাসে।ভুল বুঝাবুঝির জন্য চাঁদ আজ থেকে পাঁচ বছর আগে প্রণয়কে ছেড়ে চলে গিয়েছিলো”
“চ..চলে গিয়েছিলো এইটুকুই বলেছেন?কেনো গিয়েছিলো সেটা বলতে পারেননি?”
“যেই কারণ নিজেই জানিনা অন্যকে কী করে বলবো?”
“জানেন না যেহেতু অপ!বাদের উপর অপ!বাদ দিয়েই যাচ্ছেন কী করে?”
“নিজ চোখে দেখা জিনিসকে বিশ্বাস করবোনা ভেবেছেন?আপনার মতো প্র*তা*রক কে বিশ্বাস করতে বলছেন?একটা কথা মনে রাখবেন আপনার জীবনকে ন!র!কের তুলনায়ও অধিক বি’ষা’ক্ত যদি আমি করতে না পারি তবে আমার নামও প্রণয় না!”
চাঁদের কোনোকিছু বলার পূর্বে প্রণয়ের ফোনের রিংটোন বাজতেই প্রণয় চাঁদকে ছেড়ে দিয়ে পকেট হাতড়ে মোবাইল বের করে রিসিভ করে গম্ভীরভাবে বললো,
“ডক্টর রুহায়ের প্রণয় ইজ স্পিকিং”
“ঠিক আছে আমি এক্ষুনি আসছি”
বলেই নিজের আলমারির সামনে গিয়ে কালো রঙের একটা শার্ট বের করে দ্রুত গতিতে সাদা রঙের স্যান্ডো গেঞ্জির উপর দিয়ে পরে সাদা রঙের এপ্রোণ গায়ে দিয়ে এক হাতে স্টেথোস্কোপ গলায় ঝুলাতে ঝুলাতে আর অন্য হাতে ব্যাগ নিয়ে এলোমেলো চুলেই দরজার সামনে গিয়ে চাঁদের হাত ধরে টেনে সেখান থেকে সরিয়ে দরজা খুলে বেরিয়ে পড়লো।চাঁদ ছিটকে পড়লো ফ্লোরে।সোফার কোনার সাথে লেগে কে*টে গেলো তার ঠোটের কোনও।ডান হাতটা স্টেথোস্কোপ হাতে ধরায় সেখানেও চামড়া খানিকটা ছি/লে গেছে।সেদিকে তার ভ্রুক্ষেপ নেই।সে ভাবছে একটু আগে হওয়া প্রণয়ের সাথে মিনিট পাঁচেকের কথপোকথন।এবং সর্বশেষে প্রণয়ের এপ্রোণ গায়ে দিয়ে চোখে এক আকাশ আ!ক্রো!শ নিয়ে চলে যাওয়ায় আরও একবার ঝলসে গেলো চাঁদের নেত্রদ্বয়!
সালাম ফিরিয়ে মোনাজাতে কান্নারত অবস্থায় চাঁদ আল্লাহর নিকট অভিযোগ করছে,
“কেনো সবসময় আমার সাথেই এমনটা হয় আল্লাহ?কেনো আমি যা চাই কখনোই তা পাইনা?আমি জানি তুমি যা করো ভালোর জন্যই করো তবে কেনো একের পর এক পরীক্ষা নিচ্ছো আল্লাহ?আমার পরীক্ষা কি কখনোই শেষ হবেনা?সবচাইতে মূল্যবান জিনিসটাতো ছি!নি!য়েই নিয়েছো।এখন খু*নীর অপবাদও লেগে গেলো?তবে কি অরণ?না না!না আল্লাহ!তুমি এমনটা করতে পারোনা।প্রণয়ের কথামতো সত্যি ই যদি?নাহ নাহ!হে আল্লাহ আমি যা ভাবতে চাচ্ছিনা।যা ভাবতে গিয়েও শরীরে কা!টা দিয়ে উঠছে তুমি সেটাকে সত্যি করোনা আল্লাহ!অরণকে তুমি দীর্ঘজীবী করো আল্লাহ!সেই পুরুষটা যদি না থাকতো বেঁ’চে থাকাটাও বোধহয় সম্ভব হতোনা!আমি তোমার কাছে তার দীর্ঘায়ু কামনা করছি আল্লাহ।তুমি প্রণয়ের কষ্টটাকে কমিয়ে দিও।দু’বন্ধুকে আবার এক করে দিও।মির ভাইয়ার কথানুযায়ী তাদের সকলের ছিন্ন হওয়া সম্পর্কটাকে জুড়িয়ে দিও আরও একবার!”
কান্না করতে করতে মাথা ব্যথা হয়ে যাওয়ায় প্রণয়ের বিছানাতেই শুয়ে পড়লো চাঁদ।কিছুক্ষণের মাঝেই ঘুমিয়েও গেলো।
মির বি*র*ক্ত হয়ে তন্ময়,রিদি,শিফা আর রুবাকে বলছে,
“বাকিটুকু অন্য একদিন বলবো।এখনো ওদের জীবনের তিনবছরের একবছর বলেও শেষ করতে পারিনি।আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে।একদিন সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত বলবো”
তন্ময় হাই তুলে বলে,
“আমার বিশ্বাস ই হচ্ছেনা চাঁদ ভাবি আমার এতো বড় হবে আই মিন তিন ব্যাচ সিনিয়র!কিন্তু এখনো ইন্টার্নি করছে কেনো?মাথায় আসছেনা কিছুই”
রুবাও হাই তুলে বলে,
“সে..সেটা আছে তবে আমিতো ভেবেই পাচ্ছিনা আমাদের প্রণয় ভাইয়া যে কিনা মেয়ে এ!লা!র্জে!টি!ক ছিলো সে প্রথম দেখাতে এমন কিছু করে বসবে!”
শিফা বলে,
“পুরোই হিরো হিরোইন টাইপ”
রিদি বললো,
“আসলেইরে।আমার ভেবেই কেমন লজ্জা লজ্জা লাগছে আর ভাবিতো!”
বলেই দু’হাত দিয়ে চোখমুখ ঢেকে ফেলে রিদি।সেদিকে আড়চোখে তাকায় মির।অতঃপর বলে,
“লজ্জা পাওয়ার কী হলো?চাঁদতো মোটেও লজ্জা পায়নি সেদিন।ওর মতো মেয়ে দু’টো দেখিনি আমরা কেউ।মাথা নত করবার মতো মেয়েই না।যেই প্রণয়কে তোমরা য*মের মতো ভয় পাও তার কলার ধরতেও দু’বার ভাবেনি ও।এমনকি উলটা পালটা নামেও ডাকতো ভাবা যায়?”
শিফা বলে,
“আরও বলোনা ভাইয়া।পুরোটা শুনবো।কিভাবে প্রণয় ভাইয়া আর চাঁদ ভাবির কেমিস্ট্রি শুরু হলো।দুজনের প্রণয় কী করে হলো আর বিচ্ছেদই বা হলো কেমন করে?”
মির গম্ভীরভাবে বলে,
“ওদের কখনোই বিচ্ছেদ হয়নি।চাঁদ হঠাৎ একদিন গা*য়ে*ব হয়ে যায়।আজ জানতে পারলাম ও টেকনাফ চলে গিয়েছিলো।সেখানে সম্ভবত চমেক থেকে পড়াশুনা করেছে”
রিদি জিজ্ঞেস করে,
“চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ?”
তন্ময় রিদির মাথায় গাট্টা মেরে বলে,
“তো চমেক মানে কী হ্যা?”
রিদি মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলে,
“যেই মেয়ে ঢামেকের ফার্স্ট গার্ল সে কী এমনি এমনি ঢামেক ছেড়ে চলে যেতে পারে?শুধুই একটা রিলেশনে ঝামেলার জন্য?ব্যাপার টা মানতে কষ্ট হচ্ছে।বড় কিছু হয়েছিলো নিশ্চয়ই?”
মির বলে,
“কী হয়েছিলো সেটা অরণ আর চাঁদ বাদে আর কেউ জানেনা”
তন্ময় বলে,
“অরণ ভাইয়ার সাথে এমনটা না হলে পারতোনা ভাইয়া?অরণ ভাইয়াকে কি কোনোভাবেই ঠিক করা যায়না?”
“প্রণয়তো কম চেষ্টা করছেনা।তাছাড়া অরণের ফ্যামিলি বিদেশে পর্যন্ত নিতে চেয়েছিলো কিন্তু বেশিরভাগ মতামত এমন ছিলো যে ‘বডি ইজ ডে!ড বাট ব্রেইন এন্ড হার্ট ইজ স্টিল রানিং”
বলতে গিয়ে কেমন কথায় খাদ নেমে এলো মিরের।
রিদি মিরকে বললো,
“আপনি চিন্তা করবেন না ভাইয়া অরণ ভাইয়া একদিন ঠিক কোমা থেকে বেরুবে।”
রুবা সবার মুড ঠিক করার জন্য প্রসঙ্গ পালটে বলে,
“ইশ!প্রণয় ভাইয়ার মতো যদি আমারও এমন ফ্রেন্ড সার্কেল থাকতো ভালোই হতো না?ডেয়ার দিতো আর আমি গিয়ে হ্যান্ডসাম কাউকে কি*স করে প্রেমে ফেলে দিতাম!”
তন্ময় নাক ছিটকে বলে,
“তোর মতো পেত্নির প্রেমে কে ই বা পড়তো?”
রুবা রে*গে বলে,
“ভাইয়া তুমি!”
শিফা বলে,
“আমারতো বিশ্বাস ই হচ্ছেনা এগুলো বাস্তবেও হয়?আমিতো সবসময় নাটক সিনেমা বা গল্পেই এসব দেখে এসেছি নায়ক বা নায়িকার মাঝে ডেয়ার দিয়েই প্রণয়ের সূচনা ঘটে।বাস্তবে এমনটা আদৌ হয়?ভাইয়া তুমি মিথ্যা বলছো নাতো?”
ভ্রু কুচকে মির বলে,
“আর মিথ্যা বলে আমার লাভ?”
শিফা মাথা দুলিয়ে বলে,
“তাও ঠিক”
মির বলে,
“এটা সত্যি ই অবিশ্বাস্যনীয়।আমি নিজেও এসব ডেয়ার,র্যা*গিং এ বিশ্বাস করিনা।কিন্তু সেদিন যে এমন কিছু হবে ভাবিনি আমরা কেউই।আর তারপর যে দুজনের প্রেম হবে সেটা আমি কিছুক্ষণের জন্য চিন্তা করলেও।প্রণয় চাঁদের জন্য এতোটা ডেসপারেট হবে বা চাঁদের মতো পড়াকু মেয়ে প্রণয়ের প্রতি এতোটা ডেডিকেটেড হবে কল্পনায়ও আনিনি!”
রুবা বলে,
“প্রণয় ভাইয়া প্রেমও করতে পারে?”
তন্ময় বলে,
“ভাই কোনো মেয়ের জন্য ডেসপারেট ছিলো এটাও আমায় বিশ্বাস করতে হচ্ছে?”
শিফা বলে,
“অমন পড়াকু মেয়ে প্রেমও করতে পারে?”
রিদি বলে,
“দুজনে একসাথে এতোকিছু কি করে সামলিয়েছে?”
মির হেসে বলে,
“ওরা দুজন আমাদের মেডির আলোচিত হ!ট নিউজে থাকতো প্রায়শই”
রুবা আবারও বললো,
“সিরিয়াসলি ভাইয়া একটা পুরোই অপরিচিত মেয়েকে কি’স করে ফেললো?”
মির বিরক্ত হয়ে বললো,
“তোমাদের আর কয়বার বলবো?অবিশ্বাস্যনীয় হলেও ওদের প্রথম দেখাটা পুরোটাই সিনেমাটিক ছিলো!”
To be continued…