#আবার_প্রেম_হোক
#নুসরাত_জাহান_মিম
১৪.
কালো উত্তরিতে আবৃত রাতের শর্বরী।অদৃশ্য সেই উত্তরীয়তে বোধহয় জ্বলজ্বল করছে কিছু তারকারাজিও?সেই সাথে পূর্ণ থালার ন্যায় শশী আধারিয়া অম্বরকে করে তুলেছে অভূতপূর্ব।এ যেনো মেঘশূন্য রাত্রির অপার সৌন্দর্য!বারান্দায় একটা চেয়ারে বসে কফি হাতে ব্যস্ত নগরীর ব্যস্ততার মাঝেও রাতের আকাশ দেখে নিজের মন আর মস্তিষ্ককে শান্ত করার চেষ্টা করছে চাঁদ।রাতে কফি খাওয়ার তেমন অভ্যেস নেই।তবুও কারণ আছে বলেই আজ খাচ্ছে।ভীষণ মাথা যন্ত্রণা করছে তার।খুব একটা ধনী পরিবারের মেয়ে সে না।একটা নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের ছোট সন্তান সে।বাবা-মা আর ভাইকে নিয়েই তার পরিবার।ভাই বর্তমানে অফিসে চাকরি করে।বাবাও মার্কেটে চাকরি করেন।মা একজন পরিপূর্ণ গৃহিণী।বাবা চাকরি থেকে এসে আবার সন্ধ্যায় টুকটাক কাজ করেন যাতে সংসারটা কোনোমতে চলে যায়।ভাইও বাসায় এসেই দৌড় দেয় টিউশনে।মোটামুটিভাবে আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালোই আছে তারা।তবুও চাঁদের কষ্ট হয়।বাবার জন্য,মায়ের জন্য,ভাইয়ের জন্য।সবার জন্যই কষ্ট হয়।বাবার বয়স হচ্ছে।বোঝার বয়স হওয়ার পর থেকেই তিনি পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব নিজ কাধে নিয়েছিলেন।এখনও ঠিক তাই করছেন।তখন করেছেন বাবা-মা-ভাইবোনদের জন্য।এখন নিজের সংসারের জন্য।চাঁদের স্বপ্ন ছিলো সে ডাক্তার হবে।ডাক্তার হয়ে বাবা-মাকে গর্ববোধ করাবে।তাদের দুঃখ ঘুচাবে।তাদেরকে একটু হলেও সাহায্য করবে।যদিও তারা চান না মেয়ের কোনো কষ্ট হোক।তবে চাঁদের সাথে তর্ক করে কখনোই কেউ জিতেনি।তারাও পারেননি।চাঁদ নিজের চেষ্টা,বড়দের দোয়া আর আল্লাহর ইচ্ছার জন্যই এ পর্যন্ত আসতে পেরেছে।বাংলাদেশের টপ মেডিকেলের স্টুডেন্ট সে।পুরো বাংলাদেশের মেডিকেল এডমিশন হিস্ট্রিতে তার রেজাল্টই হায়েস্ট।মিডিয়া অনেক চেষ্টা করেও তাকে সবার সামনে আনতে পারেনি।সে ইচ্ছা করেই আসেনি।তার এসব নাম-খ্যাতির কোনো দরকার নেই।তার পরিবার আর এক সৃষ্টিকর্তাই তার পরিশ্রমের ফল দেখেছেন তাতেই সে খুশি।রেজাল্ট পাবলিশ হওয়ার পরই সে একটা হাসপাতালে চাকরি নিয়েছে।বেতন তেমন একটা না হলেও যা পায় তাতেও অনেক।বিকালের ডিউটিতে জয়েন হয়েছে সে।সেই সাথে সময় বুঝে সপ্তাহে তিনদিন করে স্টুডেন্টও পড়ায়।নিজের পড়াশুনা,অন্যদের পড়ানো,চাকরি আবার আজ থেকে কলেজও।সবকিছু মিলিয়ে ধকল গেছে অনেক!বড্ড ক্লান্ত সে।এজন্যই মূলত মাথা এতো ধরেছে।চাঁদের মাথাব্যথার সমস্যা আগে থেকেই।একবার ধরলে সহজে কমেনা।তাই বাধ্য হয়েই কফি নিয়ে বসেছে।বিশাল বড় ফ্লাটে না থাকলেও,চাঁদ যে বাড়িতে থাকে বেশ সুন্দর বাড়িটা।পনেরোতলা পর্যন্ত আছে।তারা থাকে এগারোতলায়।অবশ্য লিফট দিয়েই উঠে।তেমন একটা অসুবিধা হয়না।দুটো বেড রুম,একটা ড্রয়িংরুম,দুটো বাথরুম আর একটা কিচেন নিয়েই ফ্লাট টা।চাঁদের বাবা-মা এক রুমে আর চাঁদের ভাই এক রুমে থাকে।চাঁদের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাইয়ের রুমেই থাকে।ভাই সারাদিন বাসায় থাকেনা।রাতের দিকে আসে।সেই সুবাদেই রুমটা তারও।চাঁদ ড্রয়িং রুমের এক কোনে একটা সিংগেল খাটেই ঘুমায়।ভাই চেয়েছিলো সে ঘুমাবে সেখানে কিন্তু চাঁদের পড়া নিয়ে জোর করায় সে রাজি হয়েছে নাহলে বোনকে কষ্টে রেখে ভাই মোটেও আয়েশ ভোগ করতে পারেনা।ড্রয়িংরুমে ফ্যানসহ তার পড়ার টেবিলও আছে।ট্যাবিল ল্যাম্প জ্বালিয়ে সেখানেই রাতে অথবা ভোরে সে নিজের পড়া পড়ে।কারো ঘুমে ব্যাঘাত ঘটানো চাঁদের কাছে অপছন্দনীয়।সে ভবিষ্যতে ডাক্তার হবে,অন্তত এতোটুকু তো জানাই আছে যে ঘুম না হলে শরীর কতটা অবসাদগ্রস্ত থাকে।সবাইকে নিয়ে চিন্তা করলেও নিজেকে নিয়ে ভাববার একটুও সময় হয়না তার।তিন-চার ঘন্টার বেশি ঘুমাতে পারেনা ছুটির দিন ছাড়া।অভ্যাস হয়ে গেছে এসবে।তার বিশ্বাস একদিন আল্লাহ অবশ্যই তাদেরকে দিবেন যা তারা কখনো কল্পনাও করেনি তার চাইতেও বেশি!আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখেই সে প্রতিনিয়ত চলছে।তাছাড়া খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া নামাজ কাযা করেনা সে।যখনই মন অশান্ত থাকে নামাজ পড়ে সময় পেলে কুরআন শরীফ নিয়ে বসে।এখনো তার মন অশান্ত।খুব বেশিই অশান্ত।তাই সে কফি খেতে খেতে আকাশ পানে তাকিয়ে ভাবছিলো কি করলে শান্তি লাগবে।মাথা ব্যথাটা কমবে?কাউকে বলতেও পারছেনা।কারণ বললেই সবাই বলবে এতো পরিশ্রম করলে হবেটা কী?আর তার চিন্তায় সবাই হবে চিন্তিত।তার কষ্ট হলে যে তারাই বেশি কষ্ট পায়।মাথা ব্যথা হলে তো কথাই নেই!তারা জানেন চাঁদের মাথা ব্যথা মানে অস!হ্যকর য!ন্ত্রণা।তাই কাউকে কিছু বলেনি।চুপচাপ কফি বানিয়ে আকাশ দেখতে বসে পড়েছে।বাবা,ভাইয়ের রুমে ঘুমাচ্ছেন।মা আর ভাই, মায়ের রুমেই আছে।মা বোধহয় টিভি দেখছেন আর ভাই টিউশন থেকে এসে ফ্রেশ হয়ে সবেই মোবাইলে একটু ব্যস্ত হয়েছে।সম্ভবত ফেসবুকিং করছে।চাঁদ বারান্দার গেট লাগিয়ে দিয়ে কফি খাচ্ছে আর আকাশের দিকে তাকিয়ে খুবই আস্তেসুরে বলছে,
“এই আকাশের চাঁদ তোরও কি এই জমিনের চাঁদের জন্য কষ্ট হয়?আচ্ছা তোর কি মনে হয়?ঐ বিড়ালাক্ষী মানব মনে করে আমি খুব বইপোকা?বই নিয়েই বসে থাকি সবসময়?জীবনে কি বই বাদে আর কিছু নেই?সে হয়তো ভাবে আমি খুবই ধনী পরিবারের সেজন্যই কোচিং এ পড়েছি, অনেক বই কিনেছি,টিউটর রেখেছি তারপর ৯৮ পেয়েছি?সে কি কখনো জানতে পারবে এই নম্বরটা আমার কতটা জরুরী ছিলো?কতটা পরিশ্রম আর আল্লাহর কাছে চাওয়ার পর পেয়েছি?পাবলিকে চান্স পাওয়াটাই ছিলো মূখ্য উদ্দেশ্য?”
দীর্ঘশ্বাস ফেলে চুপচাপ রুমে এসে ড্রয়ার থেকে দুইটা ডায়েরী বের করলো চাঁদ।দুইটাই লক সিস্টেম।ডায়েরীগুলো এনে বারান্দায় বসেই সে একটার পাসকোড দিয়ে কলম হাতে লিখতে বসলো,
“কেউ কখনোই জানতে পারবেনা এডমিশনে ৯৮ টার্গেট রেখে ৯৮ পাওয়াটা কতটা দুঃসাধ্য ছিলো!কেউ কখনোই জানবেনা ঠিক কি কি’র মধ্য দিয়ে আমি গিয়েছি।কাউকে জানানোর প্রয়োজন বোধও করিনা।যার যা ভাবার ভাবুক আই জাস্ট হার্ডলি কেয়ার!”
অপর ডায়েরী খুলে কিছু একটা লিখে দুটোই রেখে দিলো সন্তপর্ণে।এরপর ওজু করলো।করে নামাজে বসলো।মন শান্ত করতে চালালো আল্লাহর সাথে বিরাট লম্বা কথোপকথন!চোখের সাথে পরনের ওড়না আর জায়নামাজও ভিজিয়ে দিলো অশ্রুকণা দিয়ে।এরপর চোখমুখ মুছে মুখ-হাত ধুয়ে বাবাকে ডেকে সবাই একসাথে খেতে বসলো।মাথার যন্ত্রণা নিয়েই হাসি ঠাট্টায় মেতে উঠলো ছোট্ট পরিবারকে নিয়ে।প্রথমদিনের আনন্দময় মুহুর্তগুলোই বললো কেবল।তার নতুন বান্ধবী অবনীর বাচালময়তা নিয়েও পড়লো হাসির এক বিরাট রোল!খেয়েদেয়ে চুপচাপ সবার অগোচরে মাথা ব্যথার ঔষধ খেয়ে মাথায় বাম লাগিয়ে শুয়ে পড়লো চাঁদ।ভোরের দিকে উঠে পড়তে বসতে হবে।
রাত একটা বেজে সাত মিনিট,
ঘুম আসছেনা প্রণয়ের।রুমে এসে পাইচারী করতে করতে নজরে আসে অরণ তার টেবিলে বসে পড়ছে।তা দেখে বিরক্ত হয়ে সে বললো,
“আর কত পড়বি?পড়ে পড়ে কি পেজগুলো ভাসিয়ে দিবি?”
আড়চোখে তাকালো অরণ প্রণয়ের দিকে।তবে কিছু বললোনা।আবারও মনোযোগ দিলো পড়ায়।তা দেখে বেশ বিরক্ত হলো প্রণয়।চেয়ার টেনে অরণের সামনে বসে ধপাস করে বই বন্ধ করে দিতেই অরণ বললো,
“কি?”
“কি মানে?তুই জানিস না কি?”
“না জানিনা”
“ঘুম আসছেনা”
অরণ ঘড়ি দেখে বললো,
“সবে একটা দশ বাজে।যে ছেলে রোজ তিনটা চারটায় ঘুমায় তার কি করে একটায় ঘুম আসবে?”
“সেজন্য না”
“তাহলে কি জন্য?”
“এভাবে পেচাচ্ছিস কেনো?”
“আমি পেচাচ্ছিনা।তুই পেচাচ্ছিস।যাতো!মোবাইল গু*তা।আজকের লেকচার কমপ্লিটই হচ্ছেনা ধ্যাত!”
“এতো পড়ে হবে টা কী?”
“এমনভাবে বলছিস যেনো তুই পড়িস না।এমনি এমনি টপার হস”
“আমি কখন বলেছি যে পড়িনা।কথা ঘুরাবিনা বলে দিলাম”
অরণ আবারও বই খুলতে খুলতে বললো,
“তুই কী বলতে চাস সোজাসুজি বললেইতো হয়।আমার সাথে তোর এতো কিসের ফর্মালিটি বুঝতে পারছিনা”
আবারও ঠাস করে বই বন্ধ করে দিয়ে প্রণয় বললো,
“এই শা*লা তুই এখানে বই পড়তে এসেছিস?”
“তা দুলাভাই এখন আপনার বাড়ি এসে বই পড়লেও দোষ?”
“মেজাজ খারাপ করিসনা অরণ।তুই তখনও কিছু বলিসনি।এখনও নাটক করছিস।নাটকবাজ কোথাকার।কার থেকে শিখিস এসব?”
অরণ রুম কাপানো হাসিতে মত্ত হলো।প্রণয় অরণের মুখ চে!পে ধরে বললো,
“ভুতের মতো এতো রাতে হাসছিস কেনো?হয়েছে কী তোর?”
প্রণয়ের হাত মুখ থেকে সরিয়ে বারান্দায় নিয়ে এসে বন্ধুকে চেয়ারে বসিয়ে অরণ নিজেও বসলো আরেকটায়।বসে বললো,
“ঐ চাঁদটা দেখছিস?”
অরণের কথায় তাকালো প্রণয় আকাশের দিকে।তাকিয়েই বললো,
“হিম”
“কি দেখছিস?বল”
বিরক্ত হয়ে প্রণয় বললো,
“রোজ যা দেখি তাই দেখছি”
“চাঁদেও কিন্তু অমাবস্যা লাগে।গ্রহণ লাগে”
“হ্যা লাগে তো?”
“অমাবস্যা কাটতে সময় লাগে তবে একসময় কেটে গিয়ে পূর্নিমা ঠিকই আসে।তবে গ্রহণ লাগলে কিন্তু চাঁদ নিজে থেকে না চাইলে কেউ তার সান্নিধ্য পায়না”
কপাল কুচকে প্রণয় বললো,
“তুই ডাক্তার হচ্ছিস নাকি চাঁদ গবেষক?”
“আমি কী হচ্ছি সেটা বিষয় না।আমি কী বলছি সেটা বোঝার চেষ্টা কর”
“পেচিয়ে বললে বুঝবো কি করে?”
“তোর কি মনে হয় যেই ছেলে মেয়েদের থেকে দশ হাত দূরে থাকে সে এমনি এমনি একটা মেয়ের অতোটা কাছে চলে গিয়েছিলো?”
থতমত খায় প্রণয়।কিছু বলতে চাইলে অরণ থামিয়ে দিয়ে বলে,
“ওদের সামনে আমার নাম নিয়ে ওদের ভুলভাল তো ঠিকই বুঝিয়েছিস।কিন্তু আমায়?আমায় কী বুঝ দিবি বল?আমাকে দেয়ার মতো উত্তর যে তোর কাছে নেই তা আমি জানি।এই উত্তর নেই বলেই কিন্তু আজ তুই মেয়েটাকে ই!নসাল্ট করেছিস”
“মিরার কথায় তাল মিলাচ্ছিস তুই”
“না মিলাচ্ছিনা।আমি যা দেখেছি তাই বলছি”
“কী দেখেছিস?”
“এটাই যে মেয়েটা তোতে ইন্টারেস্টেড না হলেও তোর পার্সোনালিটির গভীরে তোর অগোচরেই ঢুকে গিয়ে তোকে এলোমেলো করে দিয়েছে।যার জন্যই তুই চাচ্ছিস না মেয়েটা আর গভীরে যাক বা তোকে বুঝে ফেলুক।মেয়েটার ব্যক্তিত্ব যে তোকে মুগ্ধ করে ফেলতে সক্ষম তাও আমি জানি।এমন মেয়ে তুই কেনো আমি নিজেই প্রথম দেখছি।তাই অবাক হওয়ার কিছুই নেই যে এই মেয়ের প্রেমে পড়তে তোর কোনোপ্রকার অসুবিধা হবে”
“এবার একটু বেশি ই ভাবছিস তুই।আমি পড়বো প্রেমে?সিরিয়াসলি?তুই এটা ভাবলিও কি করে?”
“ভাবাভাবির কিছুই নেই।তুইও মানুষ।মন আছে।সেই মন প্রেমে পড়তেই পারে।তাছাড়া আমার মতো বইপোকা পড়তে পারলে তুই কেনো পারবিনা?”
“তোর বিষয় আলাদা”
“মোটেওনা।আর তুই যে প্রেমে পড়ার ভয়েই মেয়েটাকে অ!পমান করেছিস তাও আমি জানি”
“অতিরিক্তই ভাবছিস।তোরা ভাবছিস আমি মেয়েটাকে কি*স করেছি।কিন্তু আমি তাকে কিস করিনি।তার গালের সাথে কেবল গাল মিলিয়েছিলাম।এমনটা কেনো করেছি আই রিয়েলি ডোন্ট নো।তাতে করেই তার গালে একটুখানি ঠোটের স্পর্শ হয়তো লেগে গেছিলো।মেয়েটা বুঝেছে ব্যাপার টা।কিন্তু তোরা বুঝছিস না।এমনকি তুইও?এখন এটাকে যদি চুমু বলিস তবে চুমুই।কিন্তু আমি কোনো মেয়েতেই ইন্টারেস্টেড না এটা মাথায় গেথে রাখ”
“এই শা*লা তুই কি ে*গ?”
“শা!ট আপ!”
“অমনভাবেই বলছিস!আমি কোনো মেয়েতেই ইন্টারেস্টেড না।তো কি ছেলেতে ইন্টারেস্টেড হবি? বে*কুব কোথাকার!”
“বই পড়ে পড়ে ব্রেইন টাকে জাস্ট বি!কৃ!ত করে ফেলেছিস!”
“কথা ঘুরাস না।শোন কী বলি”
“বাজে বকিস না”
“ঠিকটাই বকছি শোন”
“শুনছি”
“তুই মেয়েটাকে যেইভাবে হা!র্ট করেছিস।আর যেভাবে বলেছিস ওটাই তোদের শেষ কথোপকথন।আর কথা বলার দরকার পড়বেনা।ঐ মেয়েতো মনে হয় তোর সাথে আর টু শব্দও করবেনা”
“তো?”
“আর যেইভাবে বলেছিস সামনে দাঁড়িয়ে আছে বলে তোর আজব লাগছে,রীতিমতো যাকে অপমান বলে!আমার মনেতো হয়না ঐ মেয়ে ভুল করে আর তোর ত্রিসীমানায়ও আসবে”
“তাতে আমার কী?”
“তোর কী না?”
“হ্যা।ঐ মেয়ের ভাষায় ই বলছি।আই জাস্ট হার্ডলি কেয়ার বাউট হার!”
অরণ ফিক করে হেসে দিয়ে বললো,
“যেই মেয়ের প্রতিটা কথা মস্তিষ্কে হুবুহু ধারণ করে ফেলেছিস তাকে নিয়ে বলছিস ইউ জাস্ট হার্ডলি কেয়ার বাউট হার?যাই হোক।এমনদিন যেনো না আসে যে যার সাথে শেষ কথোপকথন করে এসেছিস তারই সাথে একটুখানি কথোপকথনের জন্য তৃষ্ণার্থ হয়ে যাস!যার সামনে দাড়ানোতে আজব লেগেছে তার থেকেই দূরে যাওয়ার কথা ভেবে দম বন্ধ হয়ে মৃ*ত!প্রা!য় হয়ে যাস!যাকে নিজ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিস তাকেই একটাবার দেখার জন্য দিশেহারা হয়ে যাস!”
To be continued…