#আবার_প্রেম_হোক
#নুসরাত_জাহান_মিম
৩২.
“বিয়ে করবে আমায়?”
উশ্মির আকস্মিক প্রশ্নে হতবিহ্বল হয় রামিম।উশ্মির পানে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে,
“আর ইউ ওকে উশি?”
“আ’ম প্রিটি ওকে”
“হঠাৎ এসব বলছো যে?”
“লন্ডন থেকে ফিরলেইতো আমাদের বিয়ে করার কথা তাইনা?দু’পরিবারেরই সম্মতি আছে।তাছাড়া তুমি আংকেলের ব্যবসা ধরেছো,অফিসে জব করছো সমস্যা কোথায়?”
“তুমি সিরিয়াসলি বলছো উশ্মি?”
উশ্মি শান্তস্বরে বলে,
“আমি অবশ্যই এসব নিয়ে কোনো মজা করবোনা রামিম”
“তাহলে আব্বু-আম্মুকে কবে যেতে বলছো?”
“আমি দুই/তিন মাসের মধ্যেই তোমার বউ হতে চাচ্ছি”
“তুমিতো অলরেডি আমার বউই মিসেস রামিম আদনান”
উশ্মি লজ্জা পাওয়ার ভঙ্গিতে বলে,
“হয়েছে নিব্বাপনা করতে হবেনা।তাছাড়া ধামড়া ছেলেকে এসবে মানায়ও না”
উশ্মির গাল টে!নে রামিম বলে,
“তোমার কাছে কিসের দামড়া হ্যা?তোমাকে দেখলেই আমার বউ বউ ফিলিংস আসে।খালি আদ…”
গাল থেকে হাত সরিয়ে উশ্মি বলে,
“হয়েছে ওটা বিয়ের পরে”
অতঃপর রামিমের দু’হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে তার চোখে চোখ রেখে উশ্মি আবারও বললো,
“তুমি আমার নেওয়া বেস্ট ডিসিশন ছিলে রামিম”
উশ্মির হাত শক্ত করে ধরে রামিম বলে,
“আর আমার বেস্ট ডিসিশন ছিলো তোমাকে সুযোগ দেওয়া।অতঃপর বাচ্চা মেয়েটার প্রেমে পড়া”
উশ্মি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো,
“আমার জন্য তোমাদের বন্ধুত্বটা নষ্ট হলো শুধু শুধু”
রামিম আলতো হেসে বললো,
“কিছুই নষ্ট হয়নি।যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে,প্রাণ খোলা হাসি বন্ধ হয়েছে,দূরত্ব বেড়েছে অনেকখানি।তবে মনের মিল আজও আমাদের বিদ্যমান।ভীষণ ভালোবাসে ও আমায়”
“রায়হান কি কখনোই বুঝবেনা আমি কেবলই ওর আবেগ ছিলাম?”
রামিম উশ্মির হাত ছাড়িয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে গম্ভীর কন্ঠে বললো,
“ভুল বললে উশ্মি।তুমি কখনোই ওর আবেগ ছিলেনা।আর না বর্তমানে আছো।তুমি সর্বদাই ওর ভালোবাসা ছিলে।প্রথম প্রেম আর ভালোবাসাটা শুধু তুমিই।বেস্টফ্রেন্ডতো তাই ওর আগাগোড়া সবটাই জানি আমি”
“বেস্টফ্রেন্ডের গার্লফ্রেন্ডের সাথে প্রেম করছো লজ্জা লাগছেনা?”
“তুমি রায়হানের প্রাক্তন আর রামিমের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ,এ কথাটা মাথায় রাখবে।তাছাড়া বন্ধুর ভালোবাসাকে কখনো ছিনিয়ে নিতে চাইনি।আমিতো তোমায় ভালোও বাসতাম না।তুমিই ঘুরঘুর করতে শুধু।মনে নেই বাচ্চামেয়ে?”
উশ্মি মাথা নিচু করে ফেললো সাথে সাথে।চোখজোড়া বন্ধ করে কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো,
“আমি যতটুকু বুঝেছি হয়তো তখন রায়হান যথেষ্ট ম্যাচিওর ই ছিলো।তবে ও কেবলই আমার মায়ায় জড়িয়েছিলো।তুমিতো ওর বন্ধু ওর দিকটাই দেখবে,বুঝবে।বলছিনা যে আমার টা বুঝোনা বা বুঝবেনা।শুধু বলছি রায়হানের চোখে আমি কেবলই মায়া দেখেছি নিজের জন্য।হ্যা হয়তো ও ভাবে সাথে তুমিও ভাবো যে ও আমায় ভালোবাসে।কিন্তু একটা মেয়ের ষষ্ঠ-ইন্দ্রীয় কখনো ভুল বলতে পারেনা।মেয়েরা দূর থেকেই বুঝে যায় কোন পুরুষটা কিভাবে কোন নজরে দেখছে।আর রায়হানের চোখেমুখে আমি কেবল আমার জন্য মুগ্ধতা দেখেছি।সৌন্দর্যের মুগ্ধতা।ওর কেবলই আমায় ভালোলাগতো।হয়তো এখনো লাগে।আর একটা ছেলে একটা মেয়েকে ভালোবাসলে সর্বপ্রথম তাকে সম্মান করবে।যেটা রায়হান কখনো আমায় করেনি।করলে আমার নামে এতোকিছু বলতে পারতোনা।ইভেন এখনো প্রতিনিয়ত সুযোগ বুঝেই আমায় অ!পমান করে।কাল যখন ভাবির পায়ে কিল বিধলো?দেখেছিলে কিভাবে রাগটা ঝেড়েছিলো?”
“দেখেছি”
“হিম।ভালোবাসলে কেউ কাউকে এভাবে বলতে পারেনা রামিম।তাছাড়া ও সবসময় চাইতো আমায় বেঁধে রাখতে।আমার সীমা কেবল ওর গন্ডিতেই রাখতে।ওর গন্ডি পেরিয়ে যেনো আর কোথাও না যাই।কোনো ছেলে বন্ধু থাকতে পারবেনা।পোশাক আশাক এমন পরতে পারবোনা,অমন পরতে পারবোনা।এটা করতে হবে ওটা করতে হবে।এই করা যাবেনা সেই করা যাবেনা।কেনো?ও কি আমার গার্জিয়ান?সবকিছুইতো মেনে নিয়েছিলাম তবে সম্মানটা কেনো করতে পারলোনা?”
“আচ্ছা বাদ দাও না”
“বন্ধুকে নিয়ে উচিত টা বলছি বলে তোমার লাগছে তাই না?”
“না এমনটা না”
“এমনটাই রামিম।তবে তোমায় শুনতে হবে।তুমি শুধু রায়হানের সাইড টাই জানো।আমার সাইড টা জানোনা।তাই বন্ধুর ভুলগুলো তোমার চোখে পড়েনা”
“কি শুরু করলে উশি?”
“চুপচাপ শোনো।ভুলে যেওনা আমি একজন ব্যারিস্টার।যুক্তি দিয়ে তুমি আমার সাথে পারবেনা।তাই যা বলছি শোনো”
“শুনছি ম্যাডাম”
“এই যে তুমি।তোমায় বিয়ে করতেও আমার দ্বিধা নাই ক্যান জানো?”
“কেন?”
“কারণ তুমি আমায় প্রকৃত অর্থে ভালোবাসো।তোমার মতো পুরুষ আমি আজ অব্দি দেখিনি”
রামিম হালকা হেসে বলে,
“তাই নাকি?আমার মধ্যে কোনো বিশেষত্ব নেইতো”
“তুমি আগাগোড়া মানুষটাই বিশেষত্বে ভরপুর আমার উডবি।”
“আজ দেখি ভালোই প্রেম প্রেম পাচ্ছে হা?”
“কথা ঘুরিও না।”
“কথা আমি ঘুরাচ্ছি?এখন কিছু বললেই বলবে বন্ধুর ওকালতি করছি।তাই আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না”
“বন্ধুর হয়ে একটু ওকালতি করোই না।দেখি কতটুকু যুক্তি দিতে পারি।কতটুকুই বা পারদর্শী হলাম যুক্তিবিদ্যায়”
“তুমি কি ঝ!গড়া করতে চাচ্ছো উশি?”
“মোটেই না।তবে আমি যা বলেছি এর একাংশও মিথ্যে না রামিম”
“হ্যা মানছি মিথ্যে না।কিন্তু ও সেসব কেন করতো?কারণ ও তোমায় নিয়ে ইনসিকিউর ছিলো।তুমি ভয়*ঙ্কর সুন্দর দেখতে।ইনসিকিউরড হওয়াটা স্বাভাবিক না?সে দরুনই ওসব করেছে।যদি তোমায় হারিয়ে ফেলে?”
“আর তুমি করোনা?যদি তুমি হারিয়ে ফেলো?”
এবার আর কথা বলেনা রামিম।চুপ থাকে সে।রামিমকে চুপ দেখে উশ্মি হেসে বলে,
“কী?আর কোনো যুক্তি নেই তাইনা?তবে আমার কাছে আছে।শোনো।তুমি আমায় নিয়ে ভয় করোনা।কারণ তুমি জানো আমি অন্যের হবোনা।হতে গেলেও বিবেকে বাধবে যে ‘এতো ভালোবাসার পরেও ছেলেটাকে ছেড়ে চলে যাবো?’ অতঃপর আর যাওয়া হবেনা।তোমার হয়েই থেকে যাবো।তুমি বিশ্বাস করো,যে আমার সে কেবলই আমার থাকবে।আর যে আমার না কখনোই আমার হবেনা।তুমি কখনো আমার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করোনি।আমায় যথেষ্ট সম্মান করেছো।এই যে এতোগুলো বছর বাইরে ছিলাম।ওয়েস্টার্ন কালচারে নিজেকে গড়েছি।তবুও তুমি আমায় বাঁধা দাওনি।এজন্য দাওনি যে এতে আমি তোমার প্রতি ইন্টারেস্টেড হবো।বরং এজন্য দিয়েছো যাতে করে আমি আমার চাওয়া পাওয়া,আশা গুলো পূর্ণ করতে পারি।ভালোলাগা গুলোকে মে!রে না ফেলি।অথচ রায়হান?রায়হান কী করেছে?আমি কেবল মাস ছয়েক দেরি করেছি বলে কী কী অপ!বাদ লাগিয়ে দিয়েছে।আমি নাকি ওখানে কিসব করে বেড়াই।ও কি দেখেছে গিয়ে?তাছাড়া ও আমার ফুপাতো ভাই।তাও আবার বড় ভাই।এসব কি ওকে মানায়?তুমিতো আমার বয়ফ্রেন্ড তুমিতো এসব নিয়ে সন্দেহ করোনা।কারণ তুমি জানো আমি এমন কিছুই করবোনা।বিশ্বাস করো তুমি আমায়।আশা রাখছি যত্নও করবে ভবিষ্যতে।বেশি একটা সময়তো তোমার সাথে কাটাতে পারিনি।বাকিটা জীবন এভাবেই তোমার ভালোবাসায় কাটাতে চাই।আগলে রাখবেনা?”
“কখনো কেউ এমনভাবে বলেনি উশি।আমি আমার সবটা দিয়েই তোমায় ভালোবাসবো,আগলে নেবো কথা দিলাম”
উশ্মি হেসে বললো,
“বলবে কী করে?আমার হ্যান্ডসাম বয়ফ্রেন্ডটাতো কাউকে পাত্তাই দেয়নি।সেতো তার বিদেশী গার্লফ্রেন্ডের প্রতি লয়াল ছিলো।কী করেই বা গার্লফ্রেন্ডকে ধো*কা দিতো?”
কপাল কুচকে রামিম বলে,
“এতো কিছু তুমি জানো কী করে?”
“আমার গোয়েন্দার অভাব আছে নাকি এখানে?”
বিস্ময় নিয়ে রামিম বলে,
“রিদু ওরা?”
“খবরদার!আমার ননদদের যদি কিছু বলেছোতো”
“ইশ জামাই নিয়ে কোনো খবর নাই আসছে ননদওয়ালী”
“জামাই নিয়েও সব হবে জান।তবে একটা কথা”
“হ্যা বলো”
“রায়হান যেহেতু আমার কাজিন।তার উপর প্রাক্তনও।অন্যসব ভাইদের যেভাবে দেখা হয়।স্বাভাবিকভাবেই ওকে সেভাবে দেখা হবেনা।বা বলতে পারো ওভাবে দেখতে পারবোও না।তবে এটা সত্যি আমি ওকে আর ভালোবাসিনা।হয়তো কখনো বাসিই নি!বাসলে দ্বিতীয়বার তোমার প্রেমে পড়তে পারতাম না।তবে প্রথম প্রেমটাতো ওই ছিলো।প্রথম ভালোলাগার অনুভূতিটা তাকে দিয়েই হলো।অবশ্যই অন্যসব ভাইদের মতো তাকে লাগবেনা।কিন্তু বর্তমানে তাকে আমি শুধু আমার এক বড় ভাই হিসেবেই সম্মান করি।তাছাড়া কিছুইনা।আশা করছি তুমি বুঝবে”
“অবশ্যই বুঝি।যাকে দিয়ে সুন্দর আর নতুন অনুভূতির পরিচয় মেলে তাকে ভোলা যায় কি?যায়না।আমিও চাইনা তুমি রায়হানের প্রতি সেই ভালোলাগাটুকু মন থেকে মুছে ফেলো বা মোছার চেষ্টা করো।কিছু অনুভূতি মনের অন্তরালে লুক্কায়িতই শ্রেয়।তবে আমি জানি আমার জায়গাটা কতটুকু এবং কিরূপ।এই যে তোমার মনে নিজের জন্য বিশাল আর সুন্দর একটা জায়গা তৈরি করতে পেরেছি এইতো বেশ!কি পারিনি?”
এক বুক শ্বাস নিয়ে চোখে চোখ রেখে উশ্মি বলে,
“পেরেছো।এবং এমনভাবেই পেরেছো যেই জায়গা কখনো কেউ বা কোনোকিছু ভাঙতে পারবেনা”
“একটা কথা জিজ্ঞেস করবো?”
“পার্মিশন নিচ্ছো দেখি?”
হালকা হেসে রামিম বলে,
“বিয়েটা কি হুজুগের বশে করছো?”
“হুজুগের বশে কেনো হবে?আমি তোমায় ভালোবাসি।ভীষণভাবে বাসি।প্রথম প্রেম যেই হোক।তুমি আমার শেষ এবং সর্বশেষ ভালোবাসা এবং তোমাকে পেতে,সারাটা জীবন তোমার সাথে কাটাতেই বিয়েটা করতে চাওয়া”
বলেই রামিমকে আলতোভাবে জড়িয়ে ধরে উশ্মি।রামিমও উশ্মির পিঠে এক হাত আর চুলে আরেক হাত রেখে মাথায় হাত বুলিয়ে বলে,
“আমিও তোমায় ভালোবাসি আমার উশ্মিতা।আমার পরিণিতা,আমার প্রিয়তা”
বলেই উশ্মির চুলে ভালোবাসার পরশ এঁকে দেয়।
রায়হান সবেই বাইরে এসেছিলো ফোনে কথা বলতে।এমতাবস্থায় উশ্মি আর রামিমকে এভাবে দেখে মেজাজ খারাপ হয়ে যায় তার।কল কেটে হনহনিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে আবার।কিছুতেই রাগ সংবরণ হচ্ছেনা।রুমে এসে বিছানায় বসে হাটুতে এক হাত রেখে কপালে আঙুল বুলাচ্ছে আর ভাবছে সেদিনের কথা,যেদিন ভালোবাসার দু’টো মানুষকে হারানোর মতো তীব্র যন্ত্রণার সূচনা ঘটেছিলো।মস্তিষ্ক তার অতীতে বিচরিত হতে চাচ্ছে ভীষণভাবে।তৎক্ষণাৎ বছর নয়েক আগের কোনো এক স্মৃতি ভেসে উঠলো স্মৃতির পাতায়,
দিনটা বৈশাখ মাসের পহেলা দিন।ভীষণ রমরমা আয়োজন হচ্ছে পহেলা বৈশাখ নিয়ে।বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের মাঠপ্রাঙ্গন যেনো মেতে উঠেছে সেই আনন্দকে দ্বিগুন করতে।রায়হান আর রামিম একই কলেজে পড়বে বলে রউফে ফার্স্ট চয়েজ দিয়েছিলো।দু’জন জানের জিগার কিনা!রামিমের ইচ্ছা ছিলো নুরে দেবে কিন্তু রায়হানের আবার গোল্ডেন আসেনি তাই দুই বন্ধু রউফেই দিয়েছে।এবং ভরসা ছিলো হয়ে যাবে তথা হয়েছেই!দুজনের বন্ধুত্বটা হয়েছিলো প্রণয়ের দ্বারাই।রায়হান,রামিম একে অপরের নামমাত্র কাজিন।দুজনের মাঝে র*ক্তের তেমন সম্পর্কও নেই।রায়হান হলো প্রণয়ের ফুপাতো ভাই আর রামিম মামাতো।সে সুবাদে রায়হান-রামিমের কোনো সম্পর্ক নেই।তবুও দুজনের বন্ধুত্ব প্রগাঢ়!অটুট!তবে সেদিনের পর বন্ধুত্বে ফাটল ধরতে শুরু হলো যেনো।পুরোপুরি ভাঙেনি তবে শুরুতো সেদিনই হলো!
To be continued….
[বিঃদ্রঃযাদের গল্পটা ভালো লাগছেনা।কাইন্ডলি পড়বেন না।আরও একবার বলেছিলাম আবারও বলছি।আমি কিন্তু কাউকে দিয়ে জোর করিয়ে পড়াচ্ছিনা।তাই শেষবার বলছি যদি পড়েন স্বেচ্ছায় পড়বেন।পড়ার পর ভালো না লাগলে আমায় দো*ষাবেন না।গল্পটাকে যেভাবে সাজিয়েছি সেভাবে ধারাবাহিকভাবেই লিখছি।তাই যারা পড়বেন ধৈর্য সহকারে পড়বেন।আর ভালো না লাগলে টোটালি পড়া বন্ধ করে দেবেন।আর হ্যা গল্পটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক,তাই বাস্তবতার সঙ্গে গুলিয়ে না ফেলার অনুরোধ রইলো]