আবার_প্রেম_হোক #নুসরাত_জাহান_মিম ৩৩.

0
659

#আবার_প্রেম_হোক
#নুসরাত_জাহান_মিম

৩৩.
ঝলমলে সকাল,মৃদুমন্দ বাতাস।বারান্দায় বসে কফিতে ফুইয়ে ফুইয়ে একটু পর পর চুমুক দিচ্ছে চাঁদ।দৃষ্টি তার দূর নীলিমায়।যদিও অস্পষ্ট তবুও মন্দ লাগছেনা দেখতে।হঠাৎ করেই ইচ্ছে হলো মেঘগুলোকে স্পষ্টভাবে দর্শন করতে।অবলোকন করতে,মেঘের রঙ কি পুরোপুরি সাদা?নাকি আবছা সাদা?অথবা নীলচে সাদা?কোন রঙে নিজেকে সাজিয়েছে আজ শুভ্ররাঙা গগণটি?কফির মগটা কোলের উপর উরুর চাপের সাহায্যে ধরে রেখে ডান হাত দিয়ে পাশেই রাখা চশমাখানা চোখে পরিধান করে চাঁদ।অতঃপর লম্বা শ্বাস নিয়ে তাকায় মেঘগুচ্ছের পানে।কি অপরূপ দৃশ্য!কি স্নিগ্ধতায় মোড়ানো সেই আকাশ!মেঘেদের মাঝেও কি মান অভিমানের রেশ দেখা দিয়েছে?একে অপরের সাথে কথা বলবেনা ভেবেছে?দূরত্ব বাড়াবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে?যদি না নেয় তবে কেনোই বা তারা দু’দিকে বহমান?ঠিক যেমন সে আর তার বিড়ালাক্ষী মানব?প্রতিদিন দেখা হয়,একসাথে থাকা হয় তবুওতো তাদের বিরহের অন্ত নেই!মেঘমালাও বুঝি এমনই?কিন্তু ওকি!কি দেখা যায় সেথায়?চাঁদের দৃষ্টিপটে ভেসে উঠে অরণের হাস্যোজ্জ্বল মুখখানা।ঐতো!বড় মেঘের ভেলাটা যে ভেসে যাচ্ছে সেটাতেই তো দেখা যাচ্ছে তাকে।কি সুন্দর ছেলেটার হাসি!হাসলে দু’চোখের কোনে ভাজ পড়ে,গজ দাঁতও দেখা যায় খানিকটা।মেঘের ভেলাটা সেখানেই থেমে যাচ্ছেনা কেনো?কেনো উড়ে চলে যাচ্ছে দূর থেকে দূরান্তে?সেই উদার পুরুষের মুখখানা আরেকটু দেখতে পেলে কি খুব মন্দ হতো?দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে চাঁদ।চশমা খুলে পাশে রেখে চোখজোড়া বন্ধ করে।করতেই আর অরণের হাস্যোজ্জ্বল মুখখানা দেখতে পায়না।তার মস্তিষ্ক তাকে স্মরণ করায় কিছু বী!ভ*ৎসকর মুহুর্ত আর মুখশ্রী।শেষে দিয়ে অরণের র*ক্তমাখা চেহারা ভেসে উঠতেই ঘেমে-নেয়ে একাকার হয় চাঁদ।ঢোক গিলে লম্বা লম্বা শ্বাস নেয় সে।অজান্তেই টুপ করে পড়ে যায় চোখের কোন বেয়ে দু’ফোটা অশ্রুবিন্দুও।আবারও কফিতে চুমুক দিতে নিলেই ডাক পড়ে প্রণয়ের,

“একটু ভেতরে আসুনতো চাঁদ”

কফির মগ হাতে নিয়ে চোখে চশমা এঁটে চাঁদের ঘরে প্রবেশ করতেই প্রণয় বলে,

“রেডি হয়ে নিন বেরুবো আমরা”

কপাল কুচকে চাঁদ জিজ্ঞেস করে,

“বেরুবো মানে?কিন্তু কোথায়?”

“নিজের মতো অন্যকে খু*নী ভেবে সন্দেহ না করে চলুন।মে!রে ফেলবোনা অন্তত আপনায়”

বলেই রুম থেকে বেরুতে নিলে চাঁদের কথায় থেমে যায় প্রণয়ের পা জোড়া,

“রেডি হবো ঠিক আছে কিন্তু যাবো টা কোথায়?কোনো বিয়ে?বার্থডে পার্টি নাকি কোথায়?সে হিসেবে রেডি হতে হবেনা?”

পিছু ঘুরে কপাল খানিকটা কুচকে প্রণয় বলে,

“এতো সকালবেলা আমি আপনাকে পার্টিতে নিয়ে যাবো?তাছাড়া ওসব জায়গায় যে আমি কদমও ফেলিনা তাতো আপনি আগে থেকেই জানতেন।নাকি অ*পরাধের সাথে সাথে সেসবও ভুলে গিলে ফেলেছেন?”

চোখ বন্ধ করে লম্বা শ্বাস নিয়ে চাঁদ বলে,

“কিছু বলছিনা বলে ভাববেন না আপনার সব অপ!বাদই আমি হজম করে নেবো।আমি রেডি ই আছি।হিজাব পরেই বেরুচ্ছি পাঁচ মিনিট দাড়ান।”

“আমি নিচেই আছি।তাড়াতাড়ি আসুন”

বলেই হাতে এপ্রোণ আর গলায় স্টেথোস্কোপ ঝুলাতে ঝুলাতে রুম থেকে বের হয় প্রণয়।চাঁদ কেবলই সে পানে তাকিয়ে থাকে।অতঃপর দীর্ঘশ্বাস ফেলে কফির মগটা ড্রেসিং টেবিলের উপর রেখে কাঠের উপর দু’হাতের ভর দিয়ে আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজেকেই নিজে বলে,

“জীবনে এতো বিষাদতা কেনো?একটুখানি সুখের দেখা বুঝি কভুই মিলবেনা?নিজেইতো সুখপাখিকে পি*ষে মে!রে ফেলেছি।হায় আমার সুখপাখিরে!তোকে আর নীড়ে ডাকা হলোনারে!উড়ে যা,উড়ে যা তুই তোর সত্যিকারের নীড়ে।ফিরিস না কভু এথায়।বড্ড বিষাদপূর্ণ এ নীড়।সমস্তকিছু গ্রাস করে ফেলে”

সিড়ি ভেঙে নিচে আসতে নিলেই প্রণয়ের নজড়ে আসে সোফায় বসে থাকা ফায়ান।কপালে অজান্তেই ভাঁজ পড়ে তার।হঠাৎ করেই কেমন যেনো হৃদস্পন্দন তীব্র হয়।অশান্তিভাব মনজুড়ে ছেয়ে যায়।এমনটা কেনো?আগেতো এমন হয়নি!চাঁদ আর ফায়ানের দেখা হয়ে যাবে বলে?ফায়ান কি তবে চাঁদের সাথেই দেখা করতে এসেছে?কেনো এসেছে?আসাতো উচিত হয়নি।তারতো অরণের সাথে থাকার কথা ছিলো।চোখমুখ গম্ভীর করে নিচে এসে ফায়ানকে কিছু বলতে নিলেই সোফায় তার পাশে চাঁদের অন্যসব বন্ধু-বান্ধবদের দেখতে পেয়ে স্বস্তি মিললো নাকি অস্বস্তি বাড়লো প্রণয়ের?বোঝা বড় দায়।সে ধীর পায়ে সামনে এগিয়ে ফায়ানকে উদ্দেশ্য করে বললো,

“হঠাৎ ড.আরফিদ ফায়ান আমার বাড়িতে?”

প্রণয়কে দেখে সালাম জানিয়ে কুশল বিনিময় করলো ফায়ান।প্রণয়ও সালামের উত্তর দিয়ে ততটুকুরই জবাব দিলো যতটুকু ফায়ানের প্রশ্ন ছিলো।অবনীর উচ্চস্বরের বাক্যে আড়চোখে সে পানে তাকিয়ে বিরক্তিবোধ করলো প্রণয়,

“ভাইয়া ফাইনালি আপনি আমাদের জিজু হলেন”

বিরক্তিবোধ প্রকাশ না করে খুবই স্বাভাবিক ভঙ্গিতে প্রণয় বললো,

“তুমি সে মেয়েটা না যে ইন্টার্নি চলাকালীন পালিয়ে গেলে?ঠিক যেমন তোমার বান্ধবী উধাও হলো?”

প্রণয়ের কথায় অবনী অ*পমানিত বোধ করতেই প্রণয় তাকে স্বাভাবিক করার জন্য বললো,

“ডোন্ট বি আপসেট।তোমার বান্ধবী থেকে যথেষ্ট ভালো কাজই করেছো তুমি।সারাজীবনের অ*পরাধবোধ থেকে বাঁচতে একটু নাহয় ভুল কাজ করলেই।কিন্তু তোমার বান্ধবী?সেতো এক অ*পরাধ থেকে পালিয়ে গিয়ে আরেক অ*পরাধ করেছে”

অবনী কপাল কুচকে বললো,

“বুঝলাম না ভাইয়া?”

প্রসঙ্গ এড়িয়ে প্রণয় বললো,

“বসো তোমরা।যার প্রহরে সময় পার করছিলে সে এখনি এসে পড়বে।ঐতো এসেছে”

বলেই সিড়ির দিকে ইশারা করে।

সিড়ি দিয়ে নামার সময় হঠাৎ করেই চাঁদের চোখ গিয়ে আটকায় হলরুমে বসে একে অপরের সাথে আলাপ করতে থাকা তার বন্ধুমহলের দিকে।সে পানে কিছুক্ষণ স্থির দৃষ্টি রাখতেই ঘোলাটে হয়ে আসে তার নেত্রদ্বয়।নিজেকে সামলে পা বাড়ায় নিচে নামার উদ্দেশ্যে।খানিকটা এসে অতিরিক্ত অস্পষ্টতার কারণে পা’জামার সাথে পা বেঝে পড়ে যেতে নিলেই প্রণয় দ্রুতগতিতে এসে তার নিকট দাঁড়ায়।দাঁড়িয়ে তার কোমড় জড়িয়ে কোলে তুলে নেয়।আকস্মিক প্রণয়ের এরূপ কান্ডে সেখানে উপস্থিত সকলেই ভ!ড়কে যায়।তন্ময় আর উজানের মুখ রীতিমতো হা হয়ে গেছে।উশ্মি ফোনে কথা বলতে বলতে আসছিলো,কিন্তু ভাইদের এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে তাদের দৃষ্টি অনুসরণ করতেই নিজেও স্থির হয়ে যায়,পলক থমকাতে বাধ্য হয় তারও।সকলে আরেকদফা ভ!ড়কায় প্রণয়ের শান্তস্বরে,ভ!ড়কায় স্বয়ং চাঁদও।প্রণয়ের এরূপ শীতল কন্ঠে খানিকটা কুঞ্চিত হয়ে আবার স্থির হয় তার ভ্রুযুগোল এবং লোচনদ্বয়,

“নিজেকে সামলান লালগোলাপ।সবাইতো আর আপনার কাটা সহ্য করতে পারবেনা”

চাঁদ কেবল প্রণয়ের পানে চেয়েই রইলো।এই ছেলেটা এমন কেনো?কী চায় সে?কেনো বুঝতে দেয়না নিজেকে?কী দিয়ে গড়া এ মানব?এতো জটিলতায় মোড়ানো কেনো লোকটা?চাঁদের ভাবনার মাঝে ছ্যাঁদ ঘটে প্রণয়ের তাকে সোফায় বসিয়ে দিয়ে চলে যাওয়ার আগ মুহুর্তের বাক্য শুনে,

“জাস্ট টেন মিনিটস।দশ মিনিটে যা আলাপ সাড়ার সেড়ে নিন।দশ মিনিটের মাঝে আপনাকে আমি গাড়ির ভেতরে চাই চন্দ্র”

প্রণয় চলে যেতেই দীর্ঘশ্বাস ফেলে জমিনের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে চাঁদ।সকলের সাথে দৃষ্টি মেলাতে বড্ড সংকোচবোধ হচ্ছে তার।অতঃপর বন্ধুবান্ধবের করা প্রতিটা আকস্মিক প্রশ্ন চাঁদকে দৃষ্টি তুলে তাদের পানে অবাক চাহনী নিক্ষেপ করতে বাধ্য করে।শুরুটা ইফাদই করে,

“দৃষ্টি মেলাতে এতোটাই যখন কষ্ট হবে,দৃষ্টি মেলাতে না পারার মতো কাজটা না করলেই কি হতোনা চাঁদ?”

খানিকটা হেসে লম্বা শ্বাস ত্যাগ করে ইপ্সি বলে,

“দীর্ঘশ্বাস ফেলা ব্যাতীত আর কিছুই করতে পারবিনা,এমন পরিস্থিতি তৈরিই বা কেনো করলি চাঁদ?”

অবনী তাচ্ছিল্যের সুরে বলে,

“যার মধ্যে এতোটুকু পরিমাণ অ*পরাধবোধ নেই তাকে তোরা প্রশ্নই বা করছিস কি করে?”

কিছুক্ষণ চুপ থেকে দৃষ্টি নিচু রেখেই চাঁদ বললো,

“তন্ময়,উজান,উশ্মি তোমরা একটু….”

উজান চাঁদের বাক্য সম্পূর্ণ করার আগেই বললো,

“হ্যা ভাবি অবশ্যই।তোমরা আলাপ করো”

বলেই তন্ময়কে সাথে নিয়ে উশ্মিকে ইশারায় যেতে বলে।ওরা যেতেই চাঁদ দৃষ্টি উঁচু করে সকলের পানে তা স্থির করলো।অতঃপর খানিক হেসে ফায়ানের দিকে তাকিয়ে বললো,

“তুমি কিছু বলছোনা যে ফায়ান?”

এতোগুলো বছর পর চাঁদের কন্ঠস্বর শ্রবণ হতেই চোখজোড়া বন্ধ করে ফায়ান।অতঃপর লম্বা শ্বাস নিয়ে সেও খানিক হেসে বলে,

“তুমি আমায় কিছু বলার মতো পরিস্থিতিতে রেখেছো চাঁদ?”

এর প্রতিত্তোর স্বরূপ কোনোকিছুই বলতে পারেনা চাঁদ।চুপ হতে হয় তাকে।তা দেখে ইপ্সি আবারও বলে,

“কী?কারো প্রশ্নেরই কোনো উত্তর নেই তাইনা?”

অবনী ইপ্সির দিকে তাকিয়ে বলে,

“থাকবে কী করে ইপ্সু?কী অজুহাতই বা ও দেবে বল?”

অবনীর কথার এবার জবাব দেয় চাঁদ।বেশ সাবলীল আর সোজাসাপটা সে জবাব,

“অজুহাত থাকলে অবশ্যই দিতাম অবু”

তৎক্ষনাৎ অবনী রেগে গিয়ে দাঁড়িয়ে দাতে দাত চেপে বলে,

“খবরদার তোর ঐ মুখ দিয়ে যদি আমায় অবু বলেছিস তো!”

চাঁদ ম্লান হেসে বলে,

“কেন রে আমার মুখ কি প!চে গেছে?নাকি তোর নাম আমি নিলে তোর নামে অপবিত্রতা ছেয়ে যাবে?কোনটা?”

চাঁদের কথায় অবাক হয়ে তাকায় অবনী তার পানে,দৃষ্টিতে বিস্ময়,জলে টইটম্বুর সেই নেত্রদ্বয়।অতঃপর দৌড়ে গিয়ে চাঁদকে জড়িয়ে ধরে টুপ করে সেই জলটুকু ফেলে দেয় তার ঘাড়ে।অবনীকে আলতো হাতে জড়িয়ে ধরে চাঁদ হেসে দিয়ে বলে,

“কঠোর হতে যখন পারিসই না কেনো চেষ্টা করিস বলতো?”

জবাবটা ফায়ান দেয়,

“তোমার মতো পা*ষাণ তো সবাই না চাঁদ।”

অতঃপর অবনীকে শাসিয়ে বলে,

“আর তুই!এ অবস্থায় এভাবে রেগে যায় কেউ?আর এমনভাবে দৌড়ায়?”

অবনীকে ছেড়ে দিয়ে চাঁদ তার চোখ মুছে দিয়ে বলে,

“এ অবস্থা মানে?”

চাঁদের কথায় অবনী লজ্জায় দৃষ্টি নত করে।ঠোটে ফুটে উঠে মৃদু হাসি।তা দেখে চাঁদ সন্দেহজনক কন্ঠে বলে,

“এই এই!আমাদের চঞ্চল অবু লজ্জাবতী হলো কবে থেকে রে?”

ইপ্সি হেসে চাঁদের পাশে বসে বলে,

“যবে থেকে অবুর লুই!চ্চাটা তার লাভারে পরিণত হয়েছে তবে থেকেই”

ইপ্সির কথা শুনে ইফাদের দিকে তাকিয়ে বিস্ময় নিয়ে চাঁদ বলে,

“ইফাদ তুমি আর অবু?”

ইফাদ খানিকটা হেসে মাথা চুলকে বলে,

“হ্যা গো আমার শালি সাহেবা।আমি আর অবু রিলেশন করে বিয়ে করেছি”

চাঁদ অবাক হয়ে সবেই চোখদু’টো বড় বড় করেছিলো,ইপ্সির কথা শুনে তার দু’ঠোটে কিঞ্চিৎ ফাঁকও বিদ্যমান হয়,

“তাও আবার ভেগে গিয়ে”

অবনীর কথা শুনে আরেকদফা চমকায় চাঁদ,

“আমি প্রেগন্যান্ট দোস্ত”

চাঁদ এবার বড়সড় করেই মুখ হা করে বুকের বা পাশে হাত রেখে পড়ে যাওয়ার ভঙ্গি করে বলে,

“আর কিছু থাকলে এখনই বলে দে নাহয় আমি হার্ট অ্যা*টাক করে ম!রলাম!”

ইফাদ বলে,

“হ্যা আরেকটা আছে”

বুকে হাত রেখেই চোখ বন্ধ করে চাঁদ কাদো কাদো কন্ঠে বলে,

“প্লিজ জলদি!”

“ইপ্সি ম্যারিড”

এ কথা শুনে চোখের পলক বারকয়েক ফেলে চাঁদ বলে,

“সবাই কতকিছু করে ফেলেছে।নিশ্চয়ই ফায়ানও…. ”

অবনী হেসে দিয়ে বলে,

“ফায়ানের এখন পর্যন্ত একটা গার্লফ্রেন্ডও হয়নি।বিয়েতো পরেরই বিষয়”

ইপ্সি মুখ ভেংচে বলে,

“গার্লফ্রেন্ড বানালে না হবে।প্রণয় ভাইয়ের ডিট্টো হয়েছে।কোনো মেয়েকে পাশে ঘেষতেই দেয়না আমরা ছাড়া!”

ইপ্সির দিকে ফায়ান তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিতেই ইপ্সি বলে,

“তোকে আমি মোটেও ভয় পাইনা মজনু জানি কোথাকার।এমনে তাকিয়ে লাভ নাই সর”

“আমার প্রণয় যে একটাই হয় রে ইপ্সু।তার মতো কেউ নেই,কেউ নেই।সে কেবলই একজন।আমার ব্যক্তিগত পুরুষ,আমার শুদ্ধ পুরুষ,আমার বিড়ালাক্ষী মানব”

মনে মনে কথাগুলো বলে ঠোট প্রসারিত করে লম্বা শ্বাস নিয়ে ইফাদের দিকে তাকিয়ে চাঁদ জিজ্ঞেস করে,

“আর কোনো শকিং নিউজ বাকি আছে?”

ফায়ান শান্তস্বরে বলে,

“যে নিজেই শকিং নিউজ,ব্রেকিং নিউজ,হ!ট নিউজ দিতে পছন্দ করে।এমনকি যে নিজেই আস্ত একটা শকিং নিউজ সে জিজ্ঞেস করছে আমরা শকিং নিউজ দেবো কিনা?”

অবনী চাঁদকে বলে,

“হ্যা,বল না তুই হঠাৎ চলে গেলি কেনো?ওভাবে কেনো গেলি?সব যোগাযোগ বন্ধ করলি কেনো?কী হয়েছিলো?”

ইপ্সি জিজ্ঞেস করে,

“আর মিরা আপু কেনো অরণ ভাইয়ার জন্য তোকে দো!ষারোপ করে?”

“এমন কিছুই হয়েছে যার জন্য আমায় কাজগুলো করতে হয়েছে।না চাইতেও করতে হয়েছে।কী হয়েছিলো জিজ্ঞেস করবিনা প্লিজ!ম*রে যাবো আমি।আমাকে বাঁচতে দিস প্লিজ!যাকে বাঁচাতে বাঁচাতে নিষ্পাপ ছেলেটা ম!রতে বসেছে তাকে বাঁচতে দিস প্লিজ!”

বলে আর এক মুহুর্ত দাঁড়ায় না চাঁদ।কা*টা পা নিয়েই খুড়াতে খুড়াতে বাড়ি থেকে বের হয়।

To be continued….

[বিঃদ্রঃভীষণভাবে দুঃখিত!এ দুঃখ আমি কিভাবে প্রকাশ করবো একদমই জানা নাই।বারবার দুঃখ প্রকাশ করতে করতে এবার আমি খুবই লজ্জিত!তাও বলছি আমি সত্যিই দুঃখিত।গল্প দু’দিন আগেই দিতাম কিন্তু পর্ব সাজাতে পারছিলাম না।মস্তিষ্ক কাজ করছিলোনা আসলে।আমি আবার অশান্ত থাকলে একদম লিখতে পারিনা।তাছাড়া ব্যস্ততা আর খানিকটা অসুস্থতাও ছিলো।এতো সমস্যা নিয়ে পর্বটা লিখলে খুবই খাপছাড়া হতো।সৌন্দর্যটা একদম নষ্ট হয়ে যেতো।হুজুগের বশে উল্টাপাল্টা লিখতে পছন্দ করিনা।এজন্যই তিন দিনের বেশি সময় নিলাম।আজও লিখতাম না তবে বেশি দেরি হয়ে যাচ্ছে বলে মস্তিষ্কে চাপ না নিয়ে ঠান্ডা মাথায় একটু একটু করে ব্রেক নিয়ে নিয়ে লিখেছি।অতঃপর মনে হলো যে না এখন ঠিক আছে,এটা মানানসই।কয়েকবার রিচেক দিয়েছি,অতঃপর এখন দিচ্ছি।নাহলে কালই পেতেন।আমি ভীষণভাবে দুঃখিত আর লজ্জিত।আগামী পর্ব কালই দেয়ার চেষ্টা করবো,না দিতে পারলে কিছু মনে করবেন না প্লিজ,তবে পরশু শিওর।আর হ্যা গল্পটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here