#আবার_প্রেম_হোক
#নুসরাত_জাহান_মিম
১২.
আকাশে পেজা তুলোর ন্যায় মেঘগুলো ভেসে বেড়াচ্ছে।দখিনা হাওয়া সকলকে জানান দিচ্ছে বসন্তের আগমণ।বসন্ত এসেছে আরও মাস খানেক আগে!প্রায় মাস দেড়েক তো হবেই।চলে যেতে যেতে আর মাত্র গুটি কয়েকদিন ই বাকি।তবুও আজ হঠাৎ করেই বসন্তকে খুব করে অনুভব করছে কেউ একজন।কেউ একজন চাইছে আজ কোকিল তার সুমধুর কন্ঠস্বরে একবার হলেও ‘কুহু’ করে গান ধরুক।সেই সাথে সেও গিটারের টুংটাং শব্দে ধরুক কিছু পঙক্তি,
♪♪♪….বাতাসে বহিছে প্রেম,
নয়নে লাগিলো নেশা!….♪♪♪
প্রণয়ের ভাবনায় ছেদ ঘটলো কারও পায়ের শব্দ কর্ণগুহর হতে।তার বুঝতে কোনোপ্রকার অসুবিধা হলোনা কে এসেছে।তাই পিছু না ঘুরেই বললো,
“একটু আগে নিচে কী করে আসলাম তাই জানতে এসেছিস?”
অরণ একটুও অবাক হলোনা।অবাক হওয়ার কথাও না।অভ্যস্ত এসবে তারা।একে অপরের আহটেই বুঝতে পারে কখন,কোথায় বা কেনো তারা আসলো বা কোথায় থাকতে পারে।তাইতো প্রণয়কে ক্লাসে না পেয়ে অরণ ছাদে চলে আসে।এসেই দেখতে পায় প্রণয় গিটার নিয়ে আকাশ পানে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বসে আছে।সে পানে তাকিয়েই সে অরণকে উদ্দেশ্য করে একটু আগের বাক্যটুকু সম্পন্ন করেছে।
অরণ সামনে এগুতে এগুতে বললো,
“জানিস ই যখন উত্তরটাও দিয়েই দে”
আকাশ পানে তাকিয়েই ভরাট কন্ঠে প্রণয় বললো,
“উত্তর জানা থাকলে নিজের কাছে নিজেই প্রশ্ন হয়ে থেকে যেতাম না”
অরণ প্রণয়ের পাশে বসে বললো,
“তোর মতো ম্যাচিওর ছেলে এমন ইমম্যাচুরিটি করলে কি আমার ভালো লাগবে প্রণয়?”
“আমি ইমম্যাচুরিটি করছি?”
“তা নয়তো কি?”
প্রণয় অরনের দিকে তাকিয়ে বললো,
“বুঝিয়ে বল”
“এইযে একটু আগেই বললি তোর কাছে কোনো উত্তর নেই।এটা ইমম্যাচুরিটি না?”
“সিরিয়াসলি অরণ?”
“আ’ম সিরিয়াস প্রণয়”
গম্ভীরভাবে বললো অরণ।
“হাউ ক্যান আই বি অ্যান ইমম্যাচিওর ইফ আই কান্ট সে সামথিং?ডাজ ইট মেক মি ইমম্যাচিওর?ইফ ইয়েস দেন হাউ?” [যদি আমি কিছুর উত্তর দিতে না পারি,তাহলে কী করে আমি অপরিপক্ক হই?এটা কি আমাকে অপরিপক্ক বানায়?যদি উত্তর হ্যা হয়,তাহলে কিভাবে?]
“তুই একটা অপরিচিত মেয়েকে কি*স তো করে এসেছিস কিছু না জেনেই।আমি মানছি এতে তোর বা মেয়েটার কোনো দোষ নেই।বাট তুই কি জানিস? তোর এই কাহিনী পুরো কলেজে ছড়িয়ে গেছে?কলেজের বর্তমান ব্রেকিং নিউজই হচ্ছে ‘মেডি ক্রাশ প্রণয় চাঁদ নামক একটি মেয়েকে কি*স করেছে’ আর তুই মেয়েটাকে লি*প কি*স করেছিস কিনা,মেয়েটা দেখতে কেমন এসব কিছুই কলেজে গবেষণা চলছে।”
প্রণয় ভ!ড়কে গিয়ে গিটার নিয়েই উঠে বললো,
“হোয়াট!”
অরণও দাঁড়িয়ে বললো,
“হ্যা।তোরতো কিছুই হবেনা।মেয়েটা বোধহয় অ!পমানিত হচ্ছে।আই ডোন্ট নো মেয়েটার ভেতর দিয়ে কী চলছে এখন”
প্রণয় ধি*ক্কার জানিয়ে বললো,
“ওদের মন আর মস্তিষ্ক এতো সংকীর্ণ?”
চাঁদ আ!গুনে!র ফুল্কির ন্যায় দা!উদা!উ করছে।যেকোনো সময় প্রণয় নামক ছেলেটা নাহয় অবনী নামক বাচাল মেয়েটাকে ভ*স্ম করে দেবে।তাকে সবাই খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছে।এসব কিছুই মানতে নারাজ চাঁদ।সেই সাথে উলটা-পালটা আর বানোয়াট কথাবার্তা তো আছেই!কান আর মাথার মধ্যভাগ তথা চাদি দিয়ে ধোয়া ছুটছে তার।শরীরের তাপমাত্রা বেগতিক বাড়ছে।মুখশ্রী হয়ে আছে লালচে।মনে মনে সে প্রার্থনা করছে প্রণয় নামক সেই বিড়ালাক্ষী মানব যেনো আর কখনোই তার সামনে না আসে।নাহলে তাকে চাঁদ ঠিক কী করবে সে নিজেও জানেনা।এসব ভাবতে ভাবতেই দেখলো একটা মেয়ে তার পথ আটকে দাড়িয়েছে।সেই সাথে তাকে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছে।বড্ড বিরক্ত হলো চাঁদ।নিজেকে সামলাতে না পেরে মেয়েটার সাথে চেচিয়ে বললো,
“সমস্যা টা কী আপনাদের?আমি সত্যি ই বুঝতে পারছিনা!এখানে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে এসেছি, হাসির পাত্র হতে নই!প্রথমদিন এসেই অপ্রত্যাশিতভাবে এক অপরিচিত ছেলে ডেয়ার বলে অযথাই ছুয়ে চলে গেলো।পরে জানতে পারি সে নাকি মেডিকেলের মেয়েগুলোর ড্রিম বয়!আরে ভাই তাতে আমি কী করবো?আমি কি কাউকে একবারও বলেছি যে ঐ বিড়ালাক্ষী মানবকে আমার মনে ধরেছে বা সেই মানব আমার ড্রিম বয়?কি*স করলো সে কথা বললো সে ব্যাপারটা তার বিষয়।তাকে জিজ্ঞেস করো।তাকে নিয়ে মাতামাতি করো।আমার পেছনে লেগেছো কেনো তোমরা?আর সেতো ভালোভাবে আমায় ছোয়ও নি।এটাকে বোধহয় কি*সও বলা চলেনা।আর বিরক্তিকর মেয়েগুলো লি!প কি*স পর্যন্ত চলে গেছে!কবে যেনো বলবে তার সাথে আমার সম্পর্ক চলে আর বে*ডেও….”
“জাস্ট শা!ট আপ মিস চাঁদ!”
কোনো পুরুষালি কন্ঠস্বর শুনে পেছনে ফিরলো চাঁদ।প্রণয়কে দেখা মাত্র মেজাজ আরও বেশি উ*গ্র হয়ে উঠলো তার।প্রণয়ের মুখের সামনে তর্জনী নিয়ে চেচিয়ে চেচিয়ে বলছে,
“ইউ শাট আপ মি.বিড়াল!সমস্যাটা কী আপনাদের?এখানে কি পড়তে এসেছি নাকি এভাবে ব্রেকিং নিউজের হেডলাইন হতে?আপনার আর আপনার ঐ দলের জন্য এসব বানোয়াট আর বা!জে কথা শুনতে হচ্ছে আমায়।আমি কিন্তু এসব একদম টলারেট করবোনা!প্রিন্সিপাল….দরকার পড়লে সভাপতির কাছে কমপ্লেইন দেবো আমি!”
প্রণয় চাঁদের আঙুল তার এক আঙুল দিয়েই নিচে নামিয়ে একটু বিরক্ত হয়ে জোরেই বললো,
“ফার্স্ট অফ অল স্টপ কলিং মি বিড়াল!আই আম প্রণয়!রুহায়ের প্রণয়!ক্যান ইউ হিয়ার মি?”
“এই ছেলে!আপনি বিড়াল হন,প্রণয়,রুহায়ের বা ফুহায়ের যাই হন না কেন আই জাস্ট হার্ডলি কেয়ার!আমি আপনার মতো কানে কালা নই।চেচাবেন না”
গম্ভীরভাবে প্রণয় বললো,
“চেচাচ্ছিনা।চলুন”
বলেই চাঁদের হাত ধরে ক্যাম্পাসের মাঝে নিতে নিতে রবিনকে কিছু ইশারা করলো।চাঁদ আবারও চেচিয়ে বললো,
“এক্সকিউজ মি?ওহ হ্যালো মি.বিড়াল?হাত ছাড়ুন।আমার হাত ধরার কোনো অধিকার আপনার নেই”
“আপনার হাত ধরার জন্য আমি মরিয়াও হয়ে যাইনি।আর আমি কানে স্পষ্ট শুনতে পাই।কানের সামনে দাঁড়িয়ে এভাবে গলা ফা!টানো!র প্রয়োজন নেই।আই ক্যান আন্ডারস্ট্যান্ড আপনি ভীষণ রেগে আছেন।বাট প্লিজ স্টপ নাও।আমি সব ঠিক করে দেবো আপনি একটু চুপ থাকুন”
চাঁদ চুপচাপ রইলো।সে ভাবলো প্রণয় তাকে সুযোগ পেয়েও খুবই আলতোভাবে শুধু ঠো!ট ছুইয়েছে।সে চাইলেই পারতো খারাপভাবে ছুতে।এমনকি এখনও তার হাত ছুয়েছে তবুও লাগছেনা এই ছোয়াতে কোনো কা!মনা বা এমন কিছু আছে!এ ছোয়ায় আছে শুধুই পবিত্রতা।প্রণয় নামক এই বিড়ালাক্ষী মানব বোধহয় কেবলই শুদ্ধতা আর পবিত্রতায় মোড়ানো?
প্রণয় ক্যাম্পাসের মাঝে এসে চাঁদের হাত ছেড়ে দিয়ে রবিনের হাত থেকে মাইক নিয়ে গলা পরিষ্কার করে বলতে আরম্ভ করলো,
“অ্যাটেনশন এভ্রিওয়ান!আ’ম থার্ড ইয়ার’স ক্যাপ্টেন রুহায়ের প্রণয়,ক্যান ইউ গাইজ হিয়ার মি?” [সকলে মনোযোগ দিন!আমি তৃতীয় বর্ষের ক্যাপ্টেন রুহায়ের প্রণয়,আপনারা কি আমায় শুনতে পাচ্ছেন?]
সবাই প্রণয় আর চাঁদকে একসাথে দেখে একটু বেশিই আগ্রহী হয়ে উঠলো।তাই তাদেরকে ঘিরে দাড়ালো তারা।চাঁদের এতো মানুষের সামনে আসার অভ্যেস নেই।তাকে অস্ব!স্তি ঘিরে ধরতেই প্রণয়ের বাহু ঘেষে পিছু এসে দাড়ালো।প্রণয় একটু তাকালো সেদিকে।আবারও সামনে দৃষ্টিপাত করে বললো,
“আমার ভাবতেই অবাক লাগছে বাংলাদেশের টপ মেডিকেলে পড়ুয়া হাই এডুকেটেড স্টুডেন্টদের মন আর মস্তিষ্ক এতো সংকীর্ণ!কেনো এসব বলছি নিশ্চয়ই বুঝেছেন?এই যে আমার পাশে যেই মেয়েকে আপনারা দেখছেন।তার নাম চাঁদ।পুরো নাম..ইম….”
থেমে চাঁদের মুখের কাছে মাইক ধরতেই চাঁদ বিনা সংকোচে গর্ববোধ করে বললো,
“মুহাইমা বিনতে চাঁদ”
এ কথা শুনতেই সকলের মাঝে আবারও বলাবলি শুরু হলো এবং এবার একটু বেশিই।সবাই ভীষণভাবে চমকালোও।অবাক হলো স্বয়ং প্রণয়ও।তবে চাঁদকে বুঝতে দিলোনা সে।মাইক চাঁদের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে চোখের ইশারায় আশ্বস্ত করলো।চাঁদও এক অদৃশ্য ভরসা এবং সাহস পেলো।মাইক হাতে নিলো সে।মুখের কাছে এনে খানিকটা কেশে বললো,
“অবাক হয়েছেন নিশ্চয়ই?হওয়ার ই কথা।আপনারা হয়তো আশা করেননি এই চাঁদ ই মুহাইমা বিনতে চাঁদ হবে?আপনারা তো আমায় আর দেখেননি।ছবিতে দেখলেও বুঝতে পারেননি এটাই আমি।ছবি থেকে বাস্তবে অনেকটাই অন্যরকম লাগে বৈকি!”
অবনী ইপ্সিকে ফিসফিসিয়ে বললো,
“সবাই এমন অবাক হচ্ছে ক্যান রে?চাঁদ কী করেছে?আর দেখনা দুজনকে সেই মানিয়েছেনা বল?”
ইপ্সি ভ্রু কুচকে বললো,
“চুপ থাক গ!বেট!”
চাঁদ আবার বলা শুরু করে,
“আমাকে না চেনার অন্যতম কারণ আমি মিডিয়ার সামনে আসিনি।এসব আমার বরাবরই বিরক্ত লাগে।এজন্যই স্বাধীনভাবে চলতে পারি।যাইহোক।সেসবে না যাই।আসল কথা বলি!আমার পাশের ছেলেটাকে দেখছেন?তাকে না চেনার কিন্তু কোনো প্রশ্নই আসেনা।সে যেহেতু আপনাদের ড্রিম বয় তাকে নিয়ে মাথা ব্যথা থাকবেই।আর আমি বুঝতে পারলাম মেয়েগুলো নিজেরা মেয়ে হয়েও অন্য আরেকটা মেয়েকে নিয়ে এতোটা বা!জে কথা কি করে বলতে পারলো।বিকজ দে আর জেলাস অফ মি।আচ্ছা আপুরা হোয়াট ইফ আই উইল বি হিজ ওয়াইফ?আমাকেতো আপনারা কে!টেকু!টে ভা!সিয়েই দেবেন”
বলেই উচ্চশব্দে হাসতে লাগলো চাঁদ।অথচ চাঁদ জানলো ও না এই হাসিতে সেখানে উপস্থিত কতজনের হৃদয়ে র!ক্তক্ষ!রণ হয়ে গেলো!
‘প্রণয়ের ওয়াইফ’ কথাটা শুনে সবাই অবাকও হলো ভীষণ। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে দেখতে লাগলো দুজনকে।চাঁদ হেসে বললো,
“রিল্যাক্স গাইজ!আ’ম জাস্ট কিডিং।এতো সিরিয়াসভাবে আমাদের দেখার দরকার নেই।আমি বা সে কেউ ই কাউকে চিনিনা।তার বড় প্রমাণ সে আমার নাম টা পর্যন্ত জানতোনা।আপনাদের মুখে মুখে শুনেই জেনেছে।কারণ কলেজের হ*ট নিউজ ই হচ্ছে ‘মেডি ক্রাশ প্রণয় চাঁদ নামক একটি মেয়েকে কি*স করেছে’ এমনকি একটু আগ পর্যন্ত ও কেউই জানতোনা এই টপ নিউজের চাঁদ ই মুহাইমা বিনতে চাঁদ”
অবনী চেচিয়ে বললো,
“দোস্ত।তোর পুরো নাম মুহাইমা বিনতে চাঁদ তা তো বুঝলাম কিন্তু এর কাহিনী টা বল না”
আরও একবার ঝংকার তোলা হাসিতে মেতে উঠলো চাঁদ।হেসেই উত্তর দিলো,
“ইপ্সু থেকে জেনে নিস।আর আপনারা,যেই ছেলে আমাকে চেনেই না আর যার মেয়েতে এ!লার্জি সে কি করে লি!প কি*স করতে পারে ভাবলেন না একবারও?হোক না সে যেই মেয়ে ই!আর আপনারা একজন শুদ্ধ-পবিত্র মানবের গায়ে এমন ট্যাগ মোটেও লাগাতে পারেন না।সে কেবলই গালে ঠোট ছুইয়েছে।বাজে ভাবে চু*মুও খায়নি।কোনো প্রকার সু্যোগ নেয়নি।এটাকে ঠিকভাবে কি*সও বলা যায়না।সে শুধুই ফর্মালিটির জন্য গাল ছুয়েছে।তার বন্ধুবান্ধব ডেয়ার দিয়েছিলো কিনা?চাইলেই আপনারা যা ভেবেছেন তাও করতে পারতো।তবে ঐ যে বললাম,শুদ্ধতা?আর আপনারা কত অগ্রীম ভেবে ফেলেছেন!তার জন্য আমার ব!দনা!ম হচ্ছে বলে সবটা ক্লিয়ার করতে সে সবাইকে এখানে জড়োও করেছে।অন্য ছেলে হলে বোধহয় বলতো ‘ধুর!এই মেয়েকে নিয়ে যা ইচ্ছা বলুক?আমার কি?আমিতো সবার ক্রাশ।আমার গায়ে ফুলের টোকাও আসবেনা।আই জাস্ট হার্ডলি কেয়ার বাউট হার!’বলে এসব ঝামেলা থেকে দূরে থাকতো।বাট দিজ বয়!”
বলেই প্রাণভরে একগাদা বায়ু নাসারন্ধ্রে প্রবেশ করালো চাঁদ।সে বায়ু একই পথে নির্গমন করিয়ে বললো,
“ইজ রিয়েলি আমেজিং!উহু,তার হ্যান্ডসামনেসকে মোটেও বলিনি।মানসিকতাকে বলছি।আপনারা তার হ্যান্ডসামনেসে বারবার বোধহয় ফিদা হন আর হয়েই তার জন্য এতো পাগলামো করেন।তবে তার ব্যক্তিত্বে ফিদা হলে বোধহয় প্রকৃত অর্থে তার প্রেমে পড়বেন?বারবার পড়বেন এবং পড়তেই থাকবেন।পড়তে বাধ্য হবেন!এসব ইনফ্যাচুয়েশনকে প্রেম বা ভালোবাসা বলে অপ!মানিত করবেন না প্লিজ।আমি ভালোবাসার সংজ্ঞা জানিনা।তবে বলতে পারি শুধু ক্রাশ খেলেই কাউকে প্রকৃত অর্থে ভালোবাসা যায়না।প্রেম সুন্দর সত্যিই সুন্দর।যদি জীবনে প্রেম নিয়ে আসে সত্যিকারের প্রেমিক পুরুষ!আমি জানিনা তার মেয়েতে কী সমস্যা তবে এমন সমস্যা হাজারো ছেলেদের মাঝে হলে মন্দ হবেনা?যারা প্রকৃত অর্থে মেয়েদের সম্মান করে এমন ‘মেয়ে এলার্জেটিক’ ছেলে প্রতিটা ঘরে ঘরে থাকুক।আপনারা তার জন্য যেসব পাগলামো করেন তা দেখে সে কতটা বিরক্ত তাতো আমি জানিনা।তবে তার জন্য মাতোয়ারা না হয়ে সম্মান করুন সে হয়তো খুশি হলে হতেও পারে।এসব বলছি বলে ভাববেন না আমি তার প্রেমে পড়ে গেছি বা এমন কিছু।চাঁদের এসব প্রেম ট্রেমে কোনো ইন্টারেস্ট নেই।এগুলো মানুষ কেবলই সময় অপচয়ের জন্য করে।আর দুনিয়ার যত সুদর্শন পুরুষই চাঁদের সামনে দিয়ে যাক না কেন ভুলবশত একবার চোখ পড়ে গেলে দ্বিতীয়বার সেখানে তাকানোর মতো ভুল চাঁদ করেনা,করবেওনা।তবে আমি অবশ্যই বলবো আমার পাশে দাঁড়ানো এই শুদ্ধ ব্যক্তিত্বের বিড়ালাক্ষী মানবের জন্য আমার ভেতর থেকে সম্মান বৈ কিছু আসেনা।আমি চাই এই মানব এমনই থাকুক।তার মেয়েতে এ!লার্জি আজীবন বিদ্যমান থাকুক!”
To be continued…