আবার_প্রেম_হোক #নুসরাত_জাহান_মিম ০৮.

0
1238

#আবার_প্রেম_হোক
#নুসরাত_জাহান_মিম

০৮.
“কারণ আমরা ভুল মানুষে প্রেম নিবেদন করি”

প্রণয়ের কথায় সম্বিৎ ফিরে মিরার।নিজেকে ধাতস্থ করে সে।প্রণয়কে ছেড়ে দিয়ে চোখের পানি মুছে খানিকটা কেশে হাসার চেষ্টা করে বলে,

“আমি ঐ…”

মিরাকে মাঝপথে আটকে দিয়ে প্রণয় বলে,

“তুই জানিস আমার মিথ্যে পছন্দ না।ফারদার চেষ্টাও করবিনা”

মিরা প্রসঙ্গ এড়াতে বলে,

“গ্লাভস,এপ্রোণ কিছুইতো খুলিস নি।নাকি অপারেশন ছেড়েই এসেছিস?”

“তুই জানিস আমি কোনো কাজ মাঝপথে ফেলে আসিনা”

“আচ্ছা মাস্কটাতো খোল অন্তত”

“তুই চেয়ারে বস আমি আসছি”

বলেই আবারও ওটিতে ঢুকে পড়ে প্রণয়।বেশকিছুক্ষণ পর বেরিয়ে আসে স্টেথোস্কোপ আর এপ্রোণ হাতে।মিরার সামনে এসে তার দিকে সেগুলো এগিয়ে দিয়ে বলে,

“ধর”

মিরা সেগুলো ধরতেই মিরার পাশে বসে শার্টের হাতা গুটাতে ব্যস্ত হয়ে প্রণয় বলে,

“বল।হঠাৎ অরণকে ছেড়ে এলি যে?কোনো দরকার?”

“দরকার না হলে অবশ্যই এখানে একঘন্টা ধরে ওকে একা ফেলে বসে থাকতাম না”

কপাল কুচকে প্রণয় বলে,

“পেচাস নাতো।সোজাসাপ্টা বল”

“অরণ রেসপন্স করেছে”

ব্যাস!বাক্যটি শ্রবণ হতেই থেমে গেলো প্রণয়ের হাতজোড়া।শীতল হৃদয়ে উষ্ণতা ছেয়ে যেতে লাগলো।অধরে হাসি না ফুটলেও হাসলো প্রণয়ের চোখদুটো।নাসারন্ধ্র খানিকটা প্রসারিত করে বারকয়েক শ্বাস নিয়ে বললো,

“কিরকম রেসপন্স?কথা বলেছে নাকি হাত-পা নড়েছে?”

“না এমন কিছুইনা”

“তবে রেসপন্স কি করে হলো?”

“আমি ওর কপালের শিরা ফুলতে দেখেছি।নীলচে হয়ে ছিলো।যেমনটা কেউ রাগলে হয় তেমনটা।একটু আগেও চেক করতে গিয়েছিলাম।গিয়ে দেখলাম ওর হার্টবিট ও বেড়েছে আগের তুলনায়।দৌড়ালে বা অস্থিরচিত্ত হলে যেমন বাড়ে তেমনটা।কিন্তু ও রাগবেই বা কেনো আর অস্থিরই বা কেনো হবে?এমন কিছু কিভাবে সম্ভব?এতো বছরেও যা হয়নি তা আজ হঠাৎ কি করে হলো?”

মিরার কথায় পলক থমকায় প্রণয়ের।স্থির হয় তার দৃষ্টি।সে ভাবে ভোরবেলা অরণকে তার বলা কথাগুলো,

হাসপাতালে এসেই অভ্যাসবশত প্রণয় সবার আগে অরণকে যেই রুমে রাখা হয়েছে সেখানেই ঢুকে।ঢুকেই বন্ধুর পাশে চেয়ার টেনে বসে তার দিকে ঝুকে বলে,

“দোস্ত তুইতো সব শুনতে পাস তাইনা?তবে কেনো আমাদের কষ্টগুলো বুঝিস না?তুই কি আমাদের কষ্টগুলো শুনতে পাসনা?তবে উঠিস না কেনো?নাকি বুঝেও না বুঝার ভান ধরিস?তোকে সন্দেহ করেছিলাম বলে?তোর পবিত্র উদ্দেশ্যকে নোং!রা বলেছিলাম বলে?আমরা না ভাই ভাই?তবে ভাইয়ের করা ভুল মনে গেথে অভিমান করে আছিস কেনো?আমাকে মাফ করে ফিরে আসা যায়না?আমারটা বাদ ই দিলাম।তুইওতো ভালোবেসেছিলি।তবে কেনো মিরার কষ্টটা বুঝছিস না?বছরের পর বছর ভালোবাসার মানুষকে নির্জীব দেখতে কি তার ভালোলাগে?মেয়েটা তোকে কখনোই বলেনি ও ভালোবাসে তোকে,শুধুমাত্র তোর বন্ধুত্ব হারাবে বলে।তুই এমন স্বার্থপর তো ছিলিনা মামা।মিরা কিন্তু আমার মামি হিসেবে একদম পার্ফেক্ট জানিস?মেয়েটা তোর জন্য ব্যাকুল থাকে।কবে তুই চোখ খুলবি আর কবে তোকে বলবে ও তোকে ভালোবাসে।যদি রাজি না হস ভালো হবেনা বলে দিলাম!আমার খালুতো তোকেই হতে হবে এন্ড আই মিন ইট।আর শোন তোকে যে আমি এসব বলে দিয়েছি মিরুকে কিন্তু বলবিনা।মেয়েটা তোকে সারপ্রাইজ দিতে চায়।তাই আজও বলেনি ও তোকে ভালোবাসে কারণ তুই এভাবে মূর্তির ন্যায় শুয়ে থাকলেও কানতো সজাগ।মেয়েটা এখনো ভয় পায় রে!যদি তুই বন্ধুত্ব নষ্ট করে ফেলিস!আমি ভাবলেই তাজ্জব বনে যাই তুই মুক্তোর ন্যায় উজ্জ্বল ভালোবাসা ফেলে মরিচিকার পেছনে সারাটা জীবন দিলি!”

বলেই থামে প্রণয়।শ্বাস নিয়ে আবারও বলে,

“যাক গে।এগুলোতো প্রতিদিনই বলি।আজ নতুন আর ইন্টারেস্টিং জিনিস বলতে এসেছি শোন।লালগোলাপের কথা মনে আছে তোর?থাকবে নাই বা কেনো।তার বদৌলতেই তো তুই আজ এখানে।তাকে আমি বিয়ে করে নিয়েছিরে মামা।ভাবিস না ভালোবেসে বিয়ে করেছি।এতোটা স্বার্থপর বন্ধু তো আমি নই যে তাকে নিয়ে স্বপ্ন বুনবো যার জন্য আজ তুই নির্বাক,নির্জীব।যে আমার প্রাণকে নিষ্প্রা!ণ করতেও পিছুপা হয়নি তার জীবনকে জাহান্মা!ম করতে প্রণয়ও পিছুপা হবেনা!তুই দেখিস তোর এই পাঁচ বছরের মাসুল তাকে দিয়ে আমি সারাজীবন নেবো।যাকে ভালোবেসেছিলাম তাকে একেবারেতো শেষ করে দেয়া যায়না রে!তিলে তিলে শেষ করার চেষ্টাটুকু অন্তত করবো।সেগুলো তোকে সচক্ষে দেখতে হবেতো দোস্ত!তাই তোকে ঠিক হতেই হবে।চোখের পাতা উন্মুক্ত করতেই হবে।বুঝেছিস?”
.
.
.
.
.
.
“কিরে কোথায় হারালি?”

মিরার কথায় ভাবনায় ব্যা*ঘা*ত ঘটে প্রণয়ের।সে ব্যস্তভঙ্গিতে বলে,

“কিছুনা চল।”

মিরা যেতে যেতে বলে,

“বিয়ে তাহলে করলি ই?”

“হিম”

“আমি নাহয় এখানে ছিলাম।বাকিরা কী করেছিলো?ওদের কেনো সাথে নিস নি?”

প্রণয় আড়চোখে মিরার দিকে তাকিয়ে আবারও সামনে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলে,

“যেখানে আমার প্রা!ণই নেই সেখানে নিশ্বাস নেয়াটা কি বিলাসিতা নয়?”

মিরা গোমড়াটেভাবে বলে,

“হিম।মিরতো কাল তোর বাড়ি গিয়েছিলো তোর বউকে দেখতে।দেখেছে?আমায়তো আর কল দেয়নি।হাসপাতালে আসবেনা নাকি?”

“জানিনা। রাতের দিকে তন্ময়ের রুমে দেখেছিলাম।এরপর আর দেখিনি”

“ভাবির ছবি দেখা।এখনও তো তাকে দেখাস নি আমাদের।আজ নাহয় দেখেই নেই যে এমন কাকে বেছে নিলি যার জন্য তোকে টেকনাফ চলে যেতে হলো!”

প্রণয় কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো,

“একেবারে বাকিসবার সাথে বাড়িতে এসেই দেখে নিস”

সবকিছু বলে নিশ্বাস নেয় অমৃতা।চাঁদের রেসপন্স না পেয়ে ফোন কানে লাগিয়েই বলে,

“হ্যালো আপু শুনছো?”

গম্ভীরভাবে চাঁদ বলে,

“শুনছি”

“তারপর থেকে আমি এখানেই।পূর্ণতা আপু হাসপাতালে গেছে।রবিন কিছুক্ষণের জন্য এসেছিলো।তাই তোমায় কল দিয়েছিলাম ওরটা দিয়েই।এতোটা বিবেকহীন হইনি যে বিয়ের আগেই ওর সাথে আমি…”

“তবে অন্যদিক দিয়ে ঠিকই বিবেকহীনের ন্যায় আচরণ করেছিস”

অমৃতা মৃদু হেসে বলে,

“কিছুটা বিবেকহীনতা যদি কারো জীবনে অনেকটা সুখ নিয়ে আসতে পারে তবে আমি বিবেকহীনই শ্রেয়”

“খুব বড় হয়ে গেছিস?”

“অনেকটাই”

“রাখছি”

“রেগে আছো এখনও?”

“জানিনা।আর কখনো কল দিবিনা আমায়।বিশেষ করে এই নম্বর দিয়ে।ভালো থাকিস”

বলেই কল কেটে ঠোট কা!ম!ড়ে বিছানায় আলগা হয়ে বসে চাঁদ।বেশকিছুক্ষণ এভাবে বসে থেকেই দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,

“তুই যা ভেবে এতবড় পদক্ষেপ নিতেও দু’বার ভাবিস নি।তা কখনোই হওয়ার নয়রে বোনটুসি।আমি চাইলেও আর তার কাছে ফিরে যেতে পারবোনা। আর তার কাছে যদি ফেরারই হতো কখনোই ছেড়ে যেতাম না!”

বলেই আরও বড় করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে উঠে দাঁড়ায় চাঁদ।শাড়ির আচল সামনে এনে আবৃত করে নেয় নিজেকে পুরোপুরিভাবে।প্রণয়ের রুম থেকে বেরিয়ে গতকাল যে রুমে ঘুমিয়েছিলো সেটার উদ্দেশ্যেই পা বাড়ায়।মিনিট পাচেক বাদেই সেখানে পৌঁছায় চাঁদ।রুমে ঢুকে দেখে তার তিন ননদ একে অপরের উপর হাত-পা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ঘুমিয়ে আছে।এরূপ দৃশ্য দৃশ্যমান হতেই মনে পড়ে যায় অমৃতা,নিমৃতা আর তার এভাবে একসাথে ঘুমানোর কথা।ম্লান হেসে আগে বাড়ে ননদদের দিকে।কাছে গিয়েই প্রথমে রিদির হাত রুবার পিঠের নিচ থেকে উঠিয়ে ঠিক করে দেয়।তারপর যায় রুবার পাশে শিফার কাছে।শিফার এক হাত তারই ঘাড়ের নিচে পড়ে আছে দেখে ঘাড় বা হাত ব্যা!থা হতে পারে ভেবে সেটাও ঠিক করে দেয় খুবই সন্তপর্ণে।এরপর খেয়াল করে তিনজনই বেঘোরে ঘুমাচ্ছে।কোথাকার কাপড় কোথায় গেছে।কোনটা কোথায় উঠেছে সেদিকে কোনো হুশই তাদের নেই।খানিকটা হেসে তিনজনের কামিজ আর পায়জামাই ঠিক করে দিয়ে আলমারি থেকে গতকাল তার শাশুড়ির দেয়া শাড়িগুলো নিয়ে বেরিয়ে পড়ে চাঁদ।সিড়ি বেয়ে দোতলায় উঠে প্রায় এক মিনিটের মতো হেটে প্রণয়ের রুমের সামনে হাজির হয়।দরজার সামনে এসে থমকায় চাঁদের পা জোড়া।এক বুক শ্বাস নিয়ে মনে মনে বলে,

“তাতে আমি ক্ষুন্ন,তার বিরাগেও ক্ষুন্ন”

বলেই পা বাড়ায় দরজার দিকে।দরজা পেরিয়ে ভেতরে আসতেই চোখ যায় বিছানার ঠিক উপরের দেয়ালে বিশাল বড় ফ্রেমে বাধাই করা প্রণয়ের ছবির দিকে।এলোমেলো চুলে আড়চোখে তাকিয়ে কালো রঙের একটা শার্টের হাতা গুটাচ্ছে সে,কপাল কুচকানো তবুও সবসময়কার মতো গম্ভীরভাব বিদ্যমান।হঠাৎ করেই চাঁদের মস্তিষ্ক তাকে জানান দেয় আজ সকালেও ঠিক এরকম কিছুই দেখেছে সে।এই শার্টটাই বোধহয় ছিলো,চুলও অনেকটা এমনই।পার্থক্য শুধু এখানেই যে,ছেলেটা তখন নবো কিশোর ছিলো বর্তমানে প্রাপ্ত বয়স্ক যুবক।চাঁদ সেদিকে তাকিয়েই বললো,

“বড়লোকেরা বুঝি এভাবেই নিজের রুমে এতোবড় ছবি টানাতে ভালোবাসে?”

কোনো উত্তর খুঁজে না পেয়ে চাঁদ আগে বাড়ে।প্রণয়ের আলমারিতে শাড়িগুলো রাখতে উদ্যত হয়।তাই আলমারির দিকে এগোয় সে।পরক্ষণেই আবার বিছামার উপর একটা একটা করে শাড়িগুলো আলাদা করে রাখে।কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে লালের মধ্যে কালো পাড়ের শাড়িই চাঁদের দৃষ্টিকে সম্মিহিত করে।সে সেটাই বেছে নিয়ে বাকিগুলো আলমারিতে রেখে দিয়ে সেখান থেকে কালো রঙের ফুল হাতার কুচকে আসা একটা টিশার্টও সাথে নেয়।

বিকাল তখন চারটা বেজে সাত মিনিট।রুবা এক হাতে চোখ ডলতে ডলতে অপর হাতে একটা কাগজ নিয়ে সিড়ি বেয়ে নিচে নামছে।বারবার হাই তুলছে সে।চোখেমুখে বিরক্তিকর ভাবটাও স্পষ্ট ফুটে উঠেছে তার।ঘুম পুরোপুরি না হওয়ায় বেশ চ!টে আছে সে।সিড়ি দিয়ে নেমে নিচে এসে ডাইনীং এ শিফা আর রিদিকে দেখে আরও বেশি ক্ষে!পে উঠে সে।রুবাকে ক্ষ্যা!পাতে শিফা মুরগীর রান হাতে নিয়ে মাং!স টেনে ছিড়ে চিবাতে চিবাতে রিদিকে বলে,

“মুরগীটা যা হয়েছে না!ঝোলটা আরও বেশি মজা”

বলেই রিদিকে হাত দিয়ে গু!তিয়ে রুবার দিকে ইশারা করে।রুবাকে দেখে রিদিও জর্দা খেতে খেতে বলে,

“জর্দাটাও কিন্তু কম যায়না শিফু।প্রত্যেকটা আইটেম খেয়ে মনে হচ্ছে বিয়ে বাড়িতে চলে এসেছি।প্রণয় ভাইয়ার বিয়ের খাবারের চেয়েও আজকের টা বেশি জোস”

শিফা মুখের ভাতটুকু গিলে বলে,

“দেখতে হবেনা কে রেধেছে।আমিতো ভাবতেই পারিনি চাঁদ ভাবি এতোকিছুতে এক্সপার্ট বাই গড!”

রিদি পানি খেয়ে বলে,

“হিম আমাদের অলরাউন্ডার ভাবি”

রুবা সেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রা!গে ফুলছিলো।বারবার নিশ্বাস নিচ্ছে আর ছাড়ছে।এসব দেখে ঘুম তার উবেছে মিনিট দুয়েক আগেই।বর্তমানে এসব কথা শুনে দাতে দাত চেপে পরনের ওড়না মাথায় দিয়ে হনহনিয়ে ছুটলো দরজার দিকে।ঘুম কম হওয়ায় দিকবিদিক খুজে পাচ্ছেনা সে।তার উপর মেয়েদুটোর ঢং!রাগে কেবল দাত খিচছে।কখন কাকে কি বলে ফেলবে ঠিক নেই।আপাতত সে এখান থেকে যেতে পারলেই বাচে।দরজার কাছে যেতেই বলিষ্ঠ দেহের কারো কাধের সাথে ধাক্কা লেগে ফ্লোরে পড়ে যায় রুবা।হাড়টাড় বোধহয় ভে!ঙেই গেলো তার!ধপ করে পড়ায় কপালেও চো!ট পেয়েছে।রুবাকে পড়ে যেতে দেখে রিদি,শিফা দুজনেই খাবার রেখে হুড়মুড়িয়ে আসে।এমনিতেই মেজাজ চ!টে ছিলো।এবার যেনো বাধই ভে!ঙে গেলো।রুবা বসা থেকে উঠে চেচিয়ে বলে,

“এই শা*লা তোর সাহস তো কম না!”

“থা!প!ড়ি!য়ে গালের সব দাত ফে!লে দেবো বেয়াদব মেয়ে!”

এক হুং!কারেই রুবা নিশ্বাস নেওয়া ব*ন্ধ করে দিলো।চোখের পলক থমকে গেলো।মাথা তার ভনভন করছে।শিফা আর রিদি স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কেবল।নিচতলার সকলেই গ*র্জ*ন শুনে বেরিয়ে আসে যার‍ যার কামড়া থেকে।

To be continued….

[বিঃদ্রঃদেরি হওয়ার জন্য দুঃখিত।এক নানি হাসপাতালে ভর্তি।আম্মু সেখানেই আছে সপ্তাখানেক ধরে।ব্যস্ততার জন্য গল্প একটু একটু করে লিখছি বলে দেরি হচ্ছে।আজও হলো।দুঃখিত আমি।এখন থেকে রেগুলার দেয়ার চেষ্টা করবো।আগামীকাল আমার নানির অপা!রেশন তার জন্য দোয়া করবেন।আগামীকাল গল্প দেবোনা।পরশু দেবো]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here