মনের_অরণ্যে_এলে_তুমি #তাহিরাহ্_ইরাজ #পর্ব_১৮

0
179

#মনের_অরণ্যে_এলে_তুমি
#তাহিরাহ্_ইরাজ
#পর্ব_১৮

” বাহিরে জোরে বাতাস বইছে। জানালাটা আটকে দাও।‌ ”

ওপাশ হতে সাড়া মিললো না। স্বাভাবিকভাবেই চমকালো ইরহাম! হৃদি তো এত দেরীতে সাড়া দেয়ার মেয়ে নয়। তবে? ডানে তাকালো সে। কোথায় হৃদি? শূন্য তার ডানপাশ। চোখ তুলে কক্ষের এধার ওধার তাকালো ইরহাম। মেয়েটির অনুপস্থিতি স্পষ্ট রূপে জানান দিচ্ছে চারপাশ। সর্বদা স্বল্প অগোছালো কক্ষটি এখন পরিপাটি। কোথাও কোনো অগোছালো ভাব নেই। আশপাশ শান্ত, নীরব। চার রাত হলো মেয়েটি এখানে নেই। সেও কর্মব্যস্ত, নিজের মতো দিন কাটাচ্ছিল। খেয়াল করলেও অতটা পাত্তা দেয়নি। আজ এ মুহূর্তে বিষয়টি বড় বি-ষধর রূপে হৃদয়ে নাড়া দিলো। মনে করিয়ে দিলো মেয়েটি নেই। তোমার আচরণে দুঃখ পেয়ে সে চলে গেছে। তোমাকে তোমার মতো স্বাধীনতা দিয়ে সে আজ অন্যত্র। শান্তি এবার? না শান্তি বোধ করছে না মানুষটি। বারবার তার অচঞ্চল দৃষ্টি নিবদ্ধ হচ্ছে ডান পাশের শূন্য স্থানে। এখানেই ঘুমাতো চ্যাটারবক্স টা। জেগে থাকলে বসে বসে মোবাইল চালাতো। টুকটুক টুকটুক করে ঘুরে বেড়াতো পুরো ঘর। কত কথা বলতো। আর এখন। ভূতুড়ে নীরবতা চারিপাশে। একেলা সে। নেই অন্য কারোর উপস্থিতি। দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো ওষ্ঠাধর হতে। ম্লান বদনে জোরপূর্বক ল্যাপটপে মনোনিবেশ করার প্রয়াস চালালো। আনমনে ভেবে উঠলো,

‘ মেয়েটা এখন কোথায়? ‘
.

বিছানায় শায়িত রমণীর পানে তীক্ষ্ণ চাহনিতে তাকিয়ে ইনায়া। শুকনো ঢোক গিলে হৃদি জিভ দিয়ে ওষ্ঠ সিক্ত করলো। মৃদু স্বরে থেমে থেমে শুধালো,

” ইনু! বেবি! কি হয়েছে? এমন খাইয়ালামু লুক দিচ্ছো কেন? কি করেছি আমি? ”

ইনায়া দু পা ফাঁক করে আসন আকারে বসলো। কাট কাট স্বরে ছুঁড়ল প্রশ্ন,

” ভাইয়ার সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে তাই না? ”

আঁতকে ওঠার ভঙ্গিমায় ত্বরিত উঠে বসলো হৃদি।

” আসতাগফিরুল্লাহ্! না না। ঝগড়া আর আমি? অসম্ভব। হোয়াট ঝগড়া? আমি ওসবের মধ্যে নেই। আমার মতো মিষ্টভাষী এক কন্যা আর যাই হোক ঝগড়া করতে পারে না। ”

” তাই নাকি? ” সন্দিগ্ধ চোখে তাকিয়ে ইনায়া।

হৃদি মুচকি হেসে ওর কপোল টিপে দিলো।

” জ্বি হাঁ। আমি ঝগড়া করতে জানি না। ”

” তাহলে তুমি আমার ঘরে কি করছো? পরপর তিনরাত তুমি এখানে। তোমার জামাই ওখানে। হচ্ছেটা কি? তোমরা যে কাপল মাঝেমধ্যে আমি ভুলেই যাই। করবো কি বলো? তোমাদের দেখলে না কাপল ভাইবস্ আসে না। কেমন কেমন লাগে। ”

” কেমন কেমন লাগে! ” চোখমুখ কুঁচকে ফেললো হৃদি।

” তা নয়তো কি? নতুন নতুন বিয়ে হলে জামাই-বউ নাকি কাঁঠালের আঠার মতো একে অপরের সাথে চিপকে থাকে। আর তোমাদের দেখো। বিয়ের দুমাস খতম। অথচ আঠার ‘আ’ আজো দেখলাম না। ”

হৃদি দুষ্টু স্বরে বলে উঠলো,

” ও লে বাবা। ইনু রানী কাপলদের নিয়ে কত কি জানে! উঁহু হুঁ। আর দেরী করা উচিত হবে না। যথাসম্ভব শীঘ্রই সু পাত্রস্থ করতে হবে। ”

ইনায়া মেকি বিরক্তি প্রকাশ করলো,

” ভাবী! কি যে বলো না। ছিলাম তোমাদের বিষয়ে। টেনেহিঁচড়ে চলে এলে আমার বিষয়ে। ”

সশব্দে হেসে উঠলো হৃদি। হাসতে হাসতে শয্যা গ্রহণ করলো। ইনায়া এবার গাম্ভীর্যের সঙ্গে বলতে লাগলো,

” ভাইয়ার সঙ্গে কি হয়েছে ভাবী? যার জন্য তোমাদের এমন সাময়িক বিচ্ছেদ? আমি কারণটা জানতে চাইবো না। সেটা তোমাদের একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি শুধু বলবো ভাইয়ার ওপর রাগ করো না। ভাইয়া হয়তো কথা কম বলে। তবে খারাপ মানুষ নয়‌। ওর মনটা খুব ফ্রেশ। খুব ভালো মনের একজন মানুষ আমার ভাইয়া। সবাই তাই বলে। তুমি ভাইয়ার ওপর রাগ করে থেকো না। প্লিজ। ”

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অধরে মিথ্যা হাসির রেখা ফুটিয়ে তুললো হৃদি। ননদের হাত ধরে তাকে পাশে শুয়ে দিলো। শুলো বাঁ কাত হয়ে ইনায়ার পানে।

” আরে পা-গলী কিসব ভারিক্কি কথাবার্তা বলছো। অমন কিছুই হয়নি। আসলে হয়েছে কি তোমার ভাইটা না বড় রষকষহীন। তাই দূরে থেকে তাকে রষকষ শেখাচ্ছি। বুঝলে? আমাদের মধ্যে এমনিতে অল ওকে। নো চিন্তা ডু ফুর্তি। হুম?”

কথাটা বিশ্বাসযোগ্য মনে হলো না ইনায়ার। তবুও চুপ রইলো সে। ভাবী বলতে চাইছে না যখন থাক। জোর করার অধিকার তার নেই। সময় হলে নাহয় ভাবী নিজেই বলবে। হুম। এমন ভেবে নীরব রইলো ইনায়া। ওর থেকে আর কোনো জটিল প্রশ্ন না পেয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললো হৃদি। বাঁচা গেল। আর কিছু জিজ্ঞাসা করলে না জানি কি বলতে হবে। উফ্! সে যে সত্যিটা প্রকাশ করতে অপারগ। ওসব একান্তই তাদের স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ব্যাপার। ঢাকঢোল পি`টিয়ে সবাইকে বলার মতো নয়। স্বামী-স্ত্রী! হাহ্। শব্দ দু’টো যেন ওকে বিদ্রুপ করছে। কিসের স্বামী-স্ত্রী তারা? নামমাত্র সম্পর্ক নয় কি?

দিনমণির আলোয় আলোকিত ধরিত্রী। লিভিংরুমে টেবিলের ওপর রাখা অফিস ব্যাগ। ব্যস্ত হাতে ফাইল এবং ল্যাপটপ ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখছে হৃদি। পাশে দাঁড়িয়ে মালিহা। হাতে লাঞ্চ বক্স।

” এই নে। ”

” দাও। ”

হাত বাড়িয়ে লাঞ্চ বক্সটি নিলো হৃদি। রাখলো ব্যাগের ভেতর। অতঃপর চেইন আটকে দিলো। তন্মধ্যে সেথায় উপস্থিত হলেন এজাজ সাহেব। হৃদি ব্যাগটি বাড়িয়ে দিলো।

” পাপা এই যে। ”

উনি কিছু না বলে ব্যাগটি হাতে নিলেন। সে মুহূর্তে দোতলার রেলিং ঘেঁষে দাঁড়ালো ইরহাম। কানে ইয়ারপড। পড়নে ঘরের পোশাক। ফোনালাপে লিপ্ত থাকলেও তার দৃষ্টি নিবদ্ধ লিভিংরুমে। অর্ধাঙ্গীর পানে। মেয়েটির পেছনাংশের দেখা মিলছে। চেহারা ওদিক ঘুরিয়ে রাখা। বাবাকে বিদায় জানাচ্ছে। অবচেতন মনে মানুষটি খুব করে চাইছে একটুখানি এদিক ফিরুক মেয়েটা। দেখা মিলুক তার মায়াবী মুখখানির। শান্ত হোক এ উচাটন মন। তবে সে আশায় সেগুড়ে বালি। কতটা সময় দাঁড়িয়ে ছিল ইরহাম। ফোনের অপর প্রান্তে থাকা মানুষটিকে বারবার বিড়ম্বনায় ফেলেছে কথার জবাব না দিয়ে। তবুও আশা পূরণ হলো না। মালিহার সঙ্গে লিভিংরুম ত্যাগ করলো হৃদি। দেখা মিললো না কাঙ্ক্ষিত চেহারার। অবর্ণনীয় হতাশা ঘিরে ফেললো আষ্টেপৃষ্ঠে। কান হতে ইয়ারপড খুলে গটাগট পায়ে কক্ষের দিকে অগ্রসর হলো মানুষটি।

নিত্যদিনের ন্যায় ব্যস্ত এক সকাল। ননদ ভাবী যুগল একসাথে রেডি হচ্ছে। একজন যাবে ভার্সিটি আরেকজন কোচিং সেন্টারে। সমতল আরশির সম্মুখে ভীড় লেগে গেল। দুষ্টুমি করে একে অপরকে ঠেলাঠেলি করছে ইনায়া, হৃদি। শেষমেষ হার মানতে বাধ্য হলো ইনায়া। হৃদি বিজয়ীর হাসি উপহার দিয়ে তৈরি হয়ে নিলো। হিজাবে পিন গেঁথে শেষবারের মতো আয়নায় নিজেকে দেখে নিলো ইনায়া। হৃদি মুগ্ধ নয়নে অবলোকন করলো ননদকে। হিজাব পরিহিতা মেয়েটিকে কি মিষ্টি লাগছে! স্নিগ্ধ পবিত্র লাগছে। আর সে! আয়নায় নিজেকে দেখলো হৃদি। তার মাথায় ওড়না অবধি নেই। অনাবৃত কেশ। সে এক মুসলিম রমণী। তার পোশাক কি আদৌও এমন হওয়া উচিত? ভাবনাটি মস্তিষ্কে বেশ নাড়া দিলো। ভাবনায় মশগুল মেয়েটি ধীরপায়ে ইনায়ার সঙ্গে কক্ষ হতে বেরিয়ে এলো।
.

” ফুপি আর কত? মে রে ফেলবে নাকি? ”

” মা-রবো ধরে এক। কিসব বাজে বকছিস? নুডলস্ খেয়ে কেউ মা রা গিয়েছে এমনটা আজ অবধি শুনেছিস? ”

মালিহার কথা শুনে নিঃশব্দে হাসলো বিপরীত দিকের সোফায় বসে থাকা রাহিদ।

” নুডলস্ খেয়ে মা রা যায়নি বটে। কিন্তু অতিভোজে নিশ্চয়ই ম রে। ”

” অতিভোজ কিসের? এতটুকু একটু নুডলস্ দিয়েছি। চুপচাপ খেয়ে নে। নাহলে পিটুনি খাবি। ”

হেসে রাহিদ বললো,

” তোমার রাহি এখন আর ছোট নয় ফুপি। মাস্টার্সের স্টুডেন্ট। এতবড় ছেলেকে পিটুনি দেবে? ”

” দরকার পড়লে দেবো। এখন চুপচাপ খা তো। খাওয়ার সময় এত কথা বলতে নেই। ”

” যো হুকুম ফুফু আম্মা। ”

নুডলস্ খেতে লাগলো রাহিদ। তখনই সিঁড়ি বেয়ে নেমে এলো হৃদি, ইনায়া যুগল। হৃদি একগাল হেসে সালাম দিলো,

” আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া। কখন এলেন? ”

রাহিদ ওদের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হাসি উপহার দিলো। নুডলস্ সমাপ্ত করে বাটি রেখে উঠে দাঁড়ালো।

” ওয়া আলাইকুমুস সালাম। এই তো ভাবিজান কিছুক্ষণ আগেই এলাম। কেমন আছেন? ”

” আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো। আপনি ভালো আছেন তো?” শুধালো হৃদি।

” একদম। ”

মিষ্টি হাসি উপহার দিয়ে রাহিদ তাকালো ইনায়ার দিকে।

” কি রে ইনু! বড়দের সালাম দিতে হয় জানিস না? দে সালাম। ”

ইনায়া মৃদু স্বরে সালাম দিলো।

” ওয়া আলাইকুমুস সালাম। ”

বড় করে জবাব দিলো রাহিদ। অতঃপর তাকালো মালিহার দিকে।

” ফুপি আমি তাহলে আজ আসছি। ”

” সে কি রে? দুপুরে খেয়ে যাবি না? ”

” না গো। আরেকদিন। আজ এদিকে একটা কাজে আসা। তাই দেখা করতে চলে এলাম। অন্য একদিন ঠিক আসবো। ”

” সেদিন আদৌও আসবে তো? ”

রাহিদ মুচকি হেসে মালিহাকে আলিঙ্গন করলো। আশ্বস্ত করতে বললো,

” ইনশাআল্লাহ্ সময় করে একদিন আসবো ফুপি। মন খারাপ করো না। ”

” হুম। ”

মালিহা ওর ললাটে স্নেহের চুম্বন এঁকে দিলেন। রাহিদ এবার ভাবী ও কাজিনের দিকে তাকিয়ে বললো,

” তোমরা বের হচ্ছো তাই না? চলো আমি ড্রপ করে দিচ্ছি। ”

হৃদি কিছু বলতে উদ্যত হলো ঠিক তখনই শ্রবণেন্দ্রিয়ে পৌঁছালো ভরাট কণ্ঠস্বর,

” নো নিড। তুই যেতে পারিস। ওদের বাড়ির গাড়ি পৌঁছে দেবে। ”

সকলে তাকালো পিছু ঘুরে। চৌধুরী সাহেব দাঁড়িয়ে। পড়নে বাহিরের পোশাক। পরিপাটি রূপে হাজির। হৃদি তৎক্ষণাৎ দৃষ্টি সরিয়ে নিলো। স্বামীর কথায় বিরোধিতা পোষণ করে রাহিদকে বললো,

” ঠিক আছে ভাইয়া। এত করে বলছেন যখন। চলুন যাওয়া যাক। ইনু এসো। ”

বলেই হৃদি বাড়ি হতে বেরিয়ে গেল। রাহিদ লক্ষ্য করলো ভাইয়ের মা-রমুখী অবতার! শুকনো ঢোক গিললো সে। ইরহাম ছোট ছোট কদম ফেলে এগিয়ে এলো। দাঁড়ালো একদম মুখোমুখি। নয়নে নয়ন স্থির রেখে রাশভারী কণ্ঠে শুধালো,

” ভাবী বোনকে বাইকে ড্রপ করার প্লান করছিস? ”

তৎক্ষণাৎ নেতিবাচক মাথা নাড়লো রাহিদ।

” না না। বাহিরে উবার দাঁড়ানো। ভেবেছিলাম ওতে করেই.. ”

” ওভারথিংকিং বন্ধ কর। ওরা বাড়ির গাড়িতেই যাচ্ছে। ইটস্ ফাইনাল। ওকে? ”

নভোনীল চক্ষু জোড়ার নৈঃশব্দ্য শাসনে অন্তরাত্মা কেঁপে উঠলো ধক করে। দ্রুত মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো রাহিদ।

” ঠিক আছে। ঠিক আছে। ফুপি আমি তাহলে আসি। আসসালামু আলাইকুম। ”

একপ্রকার ছুটে পলায়ন করলো রাহিদ। ওর গমন পথে অদ্ভুত চাহনিতে তাকিয়ে মালিহা এবং ইনায়া। ইরহামের অধরে দুর্বোধ্য রেখা ফুটে।

তমসায় আচ্ছাদিত চারিপাশ। কাঠের এক চেয়ারে বসে স্বাস্থ্যবান পুরুষ। পড়নে ছন্নছাড়া অগোছালো পোশাক। মুখে অল্পসল্প মেছতার দাগ। মাথার ওপর টিমটিম করে জ্বলছে হলুদ বাল্ব। আশপাশের অবস্থা দেখে উপলব্ধি করা যাচ্ছে এটি একটি গুদামঘর। দু পাশে সারি সারি তাক এ কার্টুন বদ্ধ মালামাল। মধ্যখানে বসে সে পুরুষ। তর্জনী ও মধ্যমার ফাঁকে গুঁজে সিগারেট। একটু পরপর ঠোঁটের ফাঁকে ধরছে এবং রিং আকারে ধোঁয়া ছাড়ছে বাতাসে। মানুষটির বিপরীত দিকে দাঁড়িয়ে তিনজন। অল্প বয়সী তিন তরুণ। দু পক্ষের মধ্যে বাঁধাস্বরূপ এক টেবিল। সে টেবিলের ওপর তিন বান্ডিল চকচকে পাঁচশো টাকা রাখলো মানুষটি। গুরুগম্ভীর স্বরে আদেশ প্রদান করলো,

” কথামতো কাম করলে লাভেই লাভ। নাইলে.. ”

ইশারাটুকু বুঝে গেল তিনজন। লো ভী চোখে তাকিয়ে রইল টাকার বান্ডিলে। মানুষটির ইশারা পাওয়া মাত্রই একেকজন একেক বান্ডিল লুফে নিল। উচ্ছ্বসিত হলো তাদের বদন। লোকটির ইশারা পেয়ে তিন লো-ভী তরুণ সেথা হতে প্রস্থান করলো। লোকটা ওষ্ঠাধর ফাঁক করে বাতাসে ধোঁয়া নির্গত করে আওড়ালো,

” অর্থলো’ভ সত্যিই এক বি-ষধর অ স্ত্র। ”

চলবে.

[ কিছু কিছু পাঠকদের অভিযোগ, কাহিনী বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্যে বলছি… রহস্য মানেই তো ধাঁধা। বুঝতে সমস্যা। একটু ধৈর্য ধারণ করুন। ধীরে ধীরে সবটাই বোধগম্য হবে। এটা উপন্যাস। সামনে অনেকটা কাহিনী বাকি। একসাথে সব বোধগম্য হবে না। ধন্যবাদ সবাইকে পাশে থাকার জন্য। ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here