FF:মেডিকেল ক্যাম্প
Part:03
হিয়া:নিন হয়ে গেছে এবার শার্ট টা পড়ে নিন😊
উজান শার্ট টা পড়ে নেয়__হিয়া ঔ ভদ্রমহিলারর কাছে গিয়ে গল্প করতে থাকে।ওখানে অনেক গুলো বাচ্চা বিভিন্ন ধরনের ফুল নিয়ে খেলা করছিলো অল্পসময় এর মধ্যে হিয়ায় সাথে ওদের ভাব হয়ে যায়।ওরা হিয়া কে কৃষ্ণচূড়া ফুল দিয়ে বানিয়ে বানিয়ে মালা,কানের দুল,চুলে খোপা,হাতে চুরি,পড়িয়ে দিয়ে খুব মজা করতে থাকে_____
এই সাদা জামায় লাল রঙ এর ফুলের গহনায় সেজে হিয়াকে আজ যেনো গল্পের দেখা শকুন্তলারর মতো দেখতে লাগছে।কি মিষ্টি 💜
______________
উজান:হ্যালো মিস্টার মিএ বলুন
বিকাশবাবু:আমাকে মাফ করবেন ডাক্তার বাবু আমি আপনাকে বিরক্ত করতে চাই নাই আসলে হিয়ায় ফোন টাও ওফ পাচ্ছি। আমি ওর বন্ধু ঝিনুক কে ফোন করলাম কিন্তু ওহ বললো হিয়া নাকি ক্যাম্প এ যাই নাই।তাই আমি বাধ্য হয়ে আপনাকে__আপনি কি কিছু জানেন আমার মেয়েটা
উজান:নাহ ঠিক আছে___এতে বিরক্ত হওয়ায় তো কিছু নেই_____আসলে মিস মিএ ওনার বাস টা মিস করেন।আর রাস্তায় ওনার সাথে আমার দেখা হয়ে যায় আর আমি ক্যাম্প এ আসছিলাম তাই ওনাকেও আমার সাথে নিয়ে আসি
বিকাশবাবু:যাক মেয়েটা তাহলে আপনার কাছে আছে শুনে একটু নিশ্চিন্ত হলাম।ঠিক আছে ডাক্তারবাবু আমি রাখছি আপনি হিয়াকে বলে দিয়েন আমি ফোন করেছিলাম আপনাকে
উজান:ঠিক আছে।হুম
উজান ফোন রেখে বাহিরে এসে হিয়াকে দেখে হতবাক হয়ে যায়___উজান এর চোখ বলে এতো তার হিয়া না যেনো একটা ফুলের বাগান কতো রকম ফুল দিয়ে নিজেকে সাজিয়েছে🌼🌺🌼🌺🌼🌺
উজান ওর ফোন টা বের করে হিয়ায় কয়েকটা ছবি তুলে নেয় টপাটপ______
উজান:মিস মিএ
হিয়া:হুমম স্যার থামুন আসছি😊😊____বলুন
উজান:যান গিয়ে জামা টা চেন্জ করে নিন।গাড়ি ঠিক হয়ে গেছে আমাদের বেরোতে হবে
হিয়া গিয়ে টুকক করে জামাটা পড়ে আসে_____দুজনে তৈরি ক্যাম্প এ যাওয়ায় জন্য
ভদ্রমহিলা:কখনো এদিকে এলে আবার এসো মা কেমন
হিয়া:হুমম আসবো😊
ভদ্রমহিলা:আর বাবা তুমি এসেছো যখন তখন গ্রামের উল্টোদিকে একটা হ্দ আছে,ঝরনাটাও সুন্দর চাইলে একবার তোমার বউ কে নিয়ে ঘুরে এসো কেমন
হিয়া:😖😖😖😖
উজান:হুমম আচ্ছা
রাত:৭টা
নিলীমা:কি হলো উজান কি আজ আসবে না।ওকে তো ফোন এও পাচ্ছি না।ধ্যাত
ঠাম্মি:জিনি দেখতো ওটা তোর দাদাভাই এর গাড়ি না
জিনিয়া:হুমম ঠাম্মি____ওমা হিয়া দিও তো দেখছি দাদাভাই এর সাথে এসেছে
নিলীমা:হোয়াট হিয়া,,হিয়া কোথা থেকে এলো??
____হিয়া ঠাম্মি বলে চিৎকার করতে করতে ঠাম্মি কে এসে জরিয়ে ধরে____
ঠাম্মি:কি ব্যাপার বল তো হিয়া কোথায় ছিলি তুই।কতোক্ষন তোর জন্য অপেক্ষা করলাম বাসে
হিয়া:ওহ ঠাম্মি অনেক কাহিনী
উজান:ঠাম্মি তোমরা বাহিরে কি করছো
ঠাম্মি:কি আবার তোর জন্যই অপেক্ষা করছি____এ হিয়া শোন না তুই এসেছিস আমি খুব খুশি হয়েছি।কাল ক্যাম্প এর পর আমরা মিলে গ্রাম টা ঘুরতে যাবো কেমন
হিয়া:হুমম ঠাম্মি তা আবার বলতে
বিহান:(উহু উহু কাশি দিয়ে)পারলে না তো হিয়া কে আটকাতে ঠিক দাদাভাই এর পিছন পিছন চলে এলো😂
নিলীন:shutup বিহান😡____এতো শখ না তোমার হিয়া ক্যাম্প এ আসার দেখো এবার আমি কি করি।just wait &see.
বৃষ্টির কারনে বাহিরে ক্যাম্প আজকে বসে নাই।সবাই একটা স্কুল এ উঠেছে কোনো রকম এ___
রাত ১২টা:
উজান একটা চোকিতে হেলান দিয়ে আনমনে কি জানি একটা ভাবছে__হুট করে কি মনে করে পকেট থেকে ফোন টা বের করে গ্যালারি তে গিয়ে হিয়ায় তোলা ছবি গুলো দেখতে দেখতে
উজানের বিবেক:কি ডক্টর উজান চ্যাটার্জি কার ছবি দেখা হচ্ছে,,
উজান:তুমি তুমি আবার এখানে,,
উজানের বিবেক:কি করবো বলো আসতে হলো
তা এতো গভীর ভাবে হিয়া কে দেখা হচ্ছিলো বুঝি,,
উজান:নাহ মানে ঔ গ্যালারি চেক করতে গিয়ে,
উজানের বিবেক:গ্যালরি তে কি অন্য ছবি নেই।তোমার হাত গিয়ে হিয়ার ছবির উপরি পড়লো_______আর তাছাড়া একটা কথা বলো তো এই যে তুমি হিয়া কে না বলে ওর ছবি গুলো তুললে এটা কেনো করলে
উজান:নাহ মানে অনেক ওভাবে ফুল দিয়ে সেজে সুন্দর লাগছিলো তাই আমি।(উজান তোতলাতে থাকে)
উজানের বিবেক:তাই সই!
উজানের বিবেক হাসি দিয়ে উধাও।উজান সারারাত আজকের দিনের কথা ভাবে।বাসস্টপ এ বৃষ্টি র সাথে হিয়ায় খেলা,হিয়াকে ঔ জামায় লজ্জা পেতে দেখা,উজানের শার্ট খুলে ব্যান্ডেজ করানো তারপর ফুল দিয়ে সাজা হিয়া।উজান সারারাত ঘুমোতে পারে না💜💜💜💜💜
পরের দিন খুব ভোরে হিয়া উঠে পড়ে।স্নান করে নেয়।উজান এর অনেক কাজ থাকায় আজকে ৭টার আগে সে ও উঠে পড়ে।বাহিরে এসে ক্যাম্প এর জায়গাটা দেখতে থাকে কালকে তো দেখা হয়নি___
হিয়া:যাই গিয়ে দেখে আসি ঝিনুক কোথায় ওকে ওর বই টা দিয়ে আসি নাহলে এই ব্যাস্ত হয়ে গেলে আর মনে থাকবে না_______কিন্তু জায়গাটা কেমন জানি এতো গুলো বারান্দা গলি কোথায় যে ঝিনুকের রুম___
হিয়া গুলিয়ে ফেলে সব কিছু।এবার ঘটে এক কান্ড সেসময় উল্টোদিক থেকে উজান ফোন টিপতে টিপতে টিপতে আসতে থাকে।দুজনের চরম ধাক্কা লাগায় হিয়া উজানের গায়ে পড়ে যায় সম্পুর্ন___
হিয়া:আআ চোখ নাই দেখে চলতে পারেন না____ উজান স্যার!!
উজান:(দাত খিচিয়ে) মিস মিএ আপনি এতো সকালে এখানে কি করছেন
হিয়া:নাহ মানে আমি ঝিনুক এর রুম খুঁজতে এসেছিলাম,,এসে না সব গুলিয়ে ফেলছি,,
উজান:ডিসগাস্টিং,,
হিয়া:এতে এতো রাগের কি আছে।আপনি উঠে পড়লে তো হচ্ছে,,
উজান:মিস মিএ একটু খেয়াল করে দেখবেন আমি আপনার গায়ে পড়ি নাই আপনি আমার উপর পড়েছেন,,
হিয়া:(একবার নিজেকে দেখে নিয়ে)ওরেএএএএএ হ্যা থামুন থামুন আমি উঠছি
____হপচপিয়ে উঠতে গিয়া হিয়ার চুল উজানের শার্ট এর বোতামে গুলিয়ে যায়।হিয়া উঠতে ধরলে হিয়ার মুখ চুলের টানে উজানের মুখের খুব কাছে চলে আসে।দুজনে অনেক ক্ষণ এভাবে তাকিয়ে থাকে।আর এর মধ্যে হিয়ার ভেজা চুলে উজান এর সমস্ত শার্ট ভিজে একাকার_____
হিয়া:আহ আমার চুল
উজান:আবার কি হলো
হিয়া:আমার চুল আপনার শার্ট আহ___আআআ
উজান:আপনি একটু থামবেন।চুপ।আমি করছি আপনি সারুন
উজান খুটেখুটে হিয়ায় চুল খুলে দিলে দুজনে টপাটপ উঠে পড়ে____
উজান:আপনি না আপনি না জাস্ট,,দেখলেন তো পুরো ভিজিয়ে দিলেন আমাকে।ডিসগাস্টিং,,
হিয়া:এই শুনুন কথায় কথায় না এতো ডিসগাস্টিং ডিসগাস্টিং করবেন না তো দোষ কিন্তু আপনার ও কম ছিলো না,,
উজান:(ঝারি দিয়ে) shutUp,,কেউ আমাদের এভাবে দেখে ফেললে কি হতো কোনো ধারনা আছে।ইডিয়ট,,
হিয়া:আপনি না ঔ ইয়ে তে থাকুন।আপনার কাছ থেকে নাহ আমি আর কিছু এসপেক্ট করি না,,
উজান:কি চান হ্যা কি করতে বলছেন আপনি আমাকে,,
হিয়া:নাহ কিচ্ছু করতে হবে না একটা।এমনি এমনি কি রামগরুরের ছানা বলি
হিয়া রেগে চলে যায়।উজান ও রাগ করে উল্টোদিকের পথ ধরে
NextPart:
ঠাম্মি:কি রে উজান তুই মেয়ে টাকে এভাবে কেনো বকছিস।দেখতে পাচ্ছিস না মেয়ে টা কেমন করে কাঁদছে
হিয়া:জানো তো ঠাম্মি উনি না আমাকে এভাবেই বকেন সব সময়।শুধু রাগ করে