মেডিকেল ক্যাম্প Part:04

0
270

FF:মেডিকেল ক্যাম্প
Part:04

সকাল ১০টা

লিলিম্যাম:মেয়েরা আজকে আমরা গ্রুপে গ্রুপে ভাগ হয়ে গ্রামে সবার বাসায় গিয়ে ফ্যামিলি প্লানিং,মেয়েদের পরিয়ড এর সময় কি কি সাবধানতা নিতে হয়,সঠিক সময় বাচ্চা দের টিকে দেওয়ার ব্যবস্থা,বয়স্ক দের নানা সমস্যা এসব নিয়ে আলোচনা করবো আর ওদের বোঝাবো…

নিলীমা:হুমম ঝিনুক,রেহান,অনিক……তোমরা লিলিম্যাম এর গ্রুপে।আর হিয়া, আয়েশা……তোমরা সবাই আমার গ্রুপে….

বিহান:তা নিলীমা আমি আর দাদাভাই তো এখানেই থাকছি ক্যাম্প টা আমরাই সামলে নেই তোমরা বরং ঘুরে আসো কেমন___আর সুনয়না মেট্রন এরা আজকে আসছে তো সমস্যা হবে বলে মনে হয় না।

আড়ালে

বিহান:একটা কথা ছিলো মিস দেবয়য়।আপনি এভাবে দাদাভাই কে এখানে রেখে হিয়া কে নিয়ে গিয়ে কি করতে চাইছেনন একটু বলবেন

নিলিমা:জাস্ট শেট আপ বিহান।আমি আবার হিয়া কে নিয়ে গিয়ে কি করবো।তুমি তো নিজে শুনলে লিলি ম্যাম কি বললো তারপরো কেনো আমাকে

বিহান:মনে মনে (আ হা আপনি যতোই কিছুই না বলেন মিস দেবয়য় এই বিহানো কিন্তু ঘাসে মুখ দিয়ে চলে না আমিও ঠিক কিছু না কিছু তো হলেও বুঝতে পারছি।দেখা যাক কি হয়____)

নিলীমা:আয়েশা এদিকে একটু এসো তো

আয়েশা:হ্যা ম্যাম

নিলাম:আমার একটা প্লান আছে____আমরা সবাই যখন ব্যাস্ত থাকবো তোমার দ্বায়িত হচ্ছে হিয়া কে কোনো না কোনো ভাবে আমাদের থেকে আলাদা করা।ওহ যেনো আমাদের হায়িয়ে ফেলে..তারপর হিয়া আমিও দেখবো তুমি কি করে আমাদের খোজ পেয়ে ক্যাম্প এ ফিরে আসে_____এতোদূর এ ওকে নিয়ে গিয়ে নিখোঁজ করে দেবো না,,

আয়েশা:ঠিক আছে ম্যাম আমি চেষ্টা করবো…
____________

উজান:মিস মিএ

হিয়া:হুম স্যার বলুন

উজান:যাচ্ছেন সবার সাথে ঠিক আছে কিন্তু এদিক সেদিক ঘোরাঘোরি করবেন না।

হিয়া:আপনি এভাবে কেনো বলছেন

উজান:কারন আমার আপনাকে নিয়ে টেনশন হয় আপনি কেনো বোঝেন না(এটা বলে উজান নিজে লজ্জা পায়)

হিয়া:হুমম কি বললেন স্যার আপনার আমার জন্য..(হিয়া হেসে ফেলে..)___<আপনি চিন্তা করবেন না আমি ঠিক নিজের খেয়াল রাখবো..____সবাই গ্রুপে ভাগ হয়ে যায়।নিলীমা ইচ্ছে করে গ্রামের উল্টোদিকের সব বাসায় যাওয়ায় ডিসিশন নেয়_______মিনিমাম সবার বাসা ঘোরা হয়ে গেলে.শেষের পথে____আয়েশা:এহ যা ম্যাম আমাদের সাথে যে ঔষধ এর বক্স টা ছিলো ওটা না আমি ফেলে এসেছি বোধহায়হিয়া:সে কি কোথায়আয়েশা:লাস্ট এ যে বাসা টায় গেলাম ওখানে মেবি।এখন কি হবে।নিলীমা:এটা একটা কাজ করলে তুমি আয়েশা।এখন যাও গিয়ে নিজে নিয়ে এসো..আর তোমরা সবাই গাড়িতে গিয়ে বসো এখন ফিরতে হবে..আয়েশা:ম্যাম আসলে আমি না পায়ে খুব ব্যাথা পেয়েছি তখন।এই হিয়া তুই নিয়ে আয় না বক্স টা প্লিজ না করিস না..হিয়া:আমি!!আমি আচ্ছা ঠিক আছে তুমি আর ম্যাম গাড়িতে গিয়ে বসো আমি আনছি..নিলামা:তুমি সিউর তো হিয়া একা একা যেতে পারবে..??হিয়া:হ্যা ম্যাম আপনি গাড়িতে গিয়ে বসুন আমি আনছি..._____হিয়া বক্স আনতে চলে যায়।কিন্তু নিলিমা প্লান মাফিক হিয়া কে রেখে রওনা দিয়ে দেয় তোতোক্ষনে___হিয়া এসে দেখে নিলিমা আয়েশা কেউ নেই ওখাল।ওরা যেই গাড়িতে এসেছিলো সেই গাড়ি টাও নাই____হিয়ার মাথায় বাজ পড়ে।উজান এর কথা গুলো মনে পড়ে যায় হিয়ায়।এদিকে বিকাল। আর ঘন্টা খানেক পর রাত নামবে।হিয়া কি করবে বুঝতে পারে না।এদিক ওদিক রাস্তা খোঁজে।অনেক কে জিঙ্গাস করে কিন্তু কোনো কুল পায় না।বাধ্য হয়ে নিজে নিজে হাটতে শুরু করে____বিহান:দাদাভাই একটা সমস্যা হয়ে গেছে।ঔ আমাদের ক্যাম্পে যেই মেডিসিন এর গাড়ি টা আসার কথা ওটা গ্রামের উল্টোদিকে আটকা পড়ে গেছেউজান:ঠিক আছে বুঝলাম কিন্তু তুমি আমাকে কেনো বলছোবিহান:নাহ মানে তুমি যদি একটু যেতে তাহলে খুব ভালো হতো।দেখতেই তো পাচ্ছ আমি এখানে_____প্লিজ দাদাভাই না করো না।উজান:আচ্ছা ঠিক আছে গাড়ির ড্রাইভার এর নাম্বার টা আমাকে মেসেজ করে দেওবিহান:হুম দিচ্ছি______এদিকে হিয়া হাটতে হাটতে একদল বখাটেদের পাল্লায় পরে।ওরা হিয়ায় পিছু নেয়।এক সময় হিয়ায় সাথে ওদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়।ওদের সাথে থাকা চাকু দিয়ে হিয়ার ডান হাত ছিড়ে যায়।হিয়া কোনো মতে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে দৌড় শুরু করে_____এদিকে উজান ও মেডিসিন এর গাড়ির খোজঁ এ এদিকে চলে আসে তখনি তখনি__হিয়া:উজান স্যার..ঠাম্মি...নিলাম ম্যাম___উজান স্যারউজান:মিস মিএ এর গলা না।নাহ উনি এখানে কি করবেন।আমি আবার ওনাকে হ্যালোসিনেট করছি!!হিয়া:উজান স্যার।উজান স্যারউজান:নাহ নাহ এটা তো সত্যি...উজান উল্টোদিকে ঘুরে হিয়া কে দৌড় এ আসতে দেখে শক হয়ে যায়।হিয়া উজান কে দেখতে পেয়ে উজান কে এসে দৌড়ে জড়িয়ে ধরে ঝট করেউজান:মিস মিএ।হিয়া কি হয়েছে আপনার।আপনি আপনি এখানে।আপনার হাতে রক্ত। হিয়া।মিস মিএ____হিয়া কিছু বলার আগেই সেন্স লেস হয়ে পড়ে।উজান কোনোমতে হিয়া কে নিয়ে ক্যাম্পে চলে আসে.উজানের কোলে হিয়া____ঠাম্মি:হিয়া।কি হয়েছে হিয়ায়(ঠান্মি চিৎকার করতে থাকে)উজান বল না হিয়ার এমন অবস্থাকি হলো মেয়েটার।উজান হিয়াকে বেড এ শুয়ে দিয়ে।ওর হাতে বান্ডেজ করে দেয়।তারপর ঠাম্মি কে সব কাহিনী বলে।কিছুক্ষণ পর হিয়ায় সেন্স চলে আসলে...ঠাম্মি:হিয়ায় সেন্স আসছে____মা আস্তে উঠ।দেখি আস্তে আস্তে।কি করিস হ্যা মা তুই।আসতে না আসতে কি হলো।এখন কেমন লাগছে।হিয়া:আমি ঠিক আছি..উজান:এখন কি আমাকে একটু বলবেন মিস মিএ আপনি ওখানে কি করছিলেন..হিয়া:(হিয়ার ঘটনা গুলো পর পর মনে পড়ে যায় হিয়া ভয়ে কাঁদতে শুরু করে)উজান:কি হলো মিস মিএ চুপ করে কেনো আছেন_____আপনাকে আমি যাওয়ায় সময় বারবার বললাম নিজের খেয়াল রাখতে আর আপনি।নিজেকে কি ভাবেন আপনি।একটা ইডিয়ট ছাড়া আর কি আপনি হ্যাহিয়া উজান এর মেজাজে আরো বাচ্চা দের মতো কাঁদতে শুরু করেঠাম্মি:আহ উজান তুই মেয়েটাকে এভাবে কেনো বকছিস।দেখছিস না মেয়েটা কাঁদছেহিয়া:ঠাম্মি উনি না আমাকে সবসময় এভাবেই বকে। উজান:বেশ করি।আপনার সাথে এমন করাই দরকারNext Part:উজান:মিস মিএ আপনি ঠিক আছেন তো।এই নিন জল নিন।কমলো আপনার ঝাল কমলো।হিয়ায় ঝাল কমাতে উজান হিয়ার ঠোঁটে ফু দিতে থাকে।হিয়া উজানের শার্ট এর কলার ধরে।দুজনের কোনো খেয়াল নেই ওরা এতো কাছে চলে আসছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here