মেডিকেল_ক্যাম্প Part:14

0
169

FF:#মেডিকেল_ক্যাম্প
Part:14

পরের দিন খুব সকাল সকাল__

হিয়া:এই বুলি বুলি উঠ না..বুলি

বুলি:কি রে দিদি এতো সকালে কি হলো,কেনো ডাকছিস____তুই জামা কাপড় পড়ে এতো সকালে কোথায় যাচ্ছিস😲😲

হিয়া:আমি মানে যাচ্ছি উজান স্যার এর সাথে দেখা করতে পরে এসে বলবো সব___শোন না বাবা কিছু জানতে চাইলে বলবি বাসবি কাকিমার কাছে গেছি।প্লিজ একটু ম্যানেজ করে নিস___

বুলি:ঠিক আছে যাহ কিন্তু আমাকে ট্রিট দিতে হবে মনে থাকে যাতে___

হিয়া:আর তোর ট্রিট ট্রিট ঠিক আছে উঠ গেট টা লাগায় দে
…………….

হিয়া:ধুর ও বাবা রাস্তায় কোনো লোকজন নেই কেমন ভয় ভয় লাগছে কেউ এতো সকালে দেখা করে নাকি___কোনো তো অটোও টোটো কিচ্ছু দেখছি না___

উজান:হ্যালো

হিয়া:হুম বলুন

উজান:কতোদূরে আপনি..??আমি তো এসে দাড়িয়ে আছি

হিয়া:আমার তো আপনার মতো গাড়ি নেই যে যখন তখন বের হলাম আর চলে গেলাম..কোনো অটো নেই কিচ্ছু নেই😡😡
এই রাখুন তো একটা অটো আসছে..কাকু কাকু থামুন না এখানে😊😊কাকু যাবে এই ভিক্টোরিয়া স্কুল টার সাথে যেই পার্কটা টা আছে ওর সামনে

অটো কাকু:যেতে পারি দিদি তবে ১৫০টাকা দিতে হবে

হিয়া:কিহ ৬০টাকা ভাড়া তুমি ১৫০চাইছো এটা কিন্তু অন্যায়

অটোকাকু:তাহলে আর হবে না দিদি। আর এতো সকালে কিন্তু আপনি আর অটো পাবেন না

হিয়া:তাই বলে ১৫০টাকা।আচ্ছা চলুন___এই উজান স্যারটার জন্য আমার ১৫০টাকা গচ্ছা গেলো যাই আগে আআআআ….

……………………………………..
হিয়া অটো থেকে নেমে ভাড়া দিয়ে উজান কে ডাকে।উজান পিছনে ঘুরে ছিলো।পিছনে ফিরে হিয়াকে দেখে হালকা অবাক হয়ে একটা হাসি দেয়।হিয়া আজ পুরো সাদা শিফন এর একটা আনারকলি পড়েছে হাতে এক গুচ্ছ লাল গোলাপ।কোনো সাজগোজ নেই ঘুম থেকে উঠে শুধু মুখ ধুয়েই চলে আসছে।সকালে এর স্নিগ্ধ আবহাওয়াতে আরো সুন্দর লাগছে হিয়াকে..

হিয়া:উজান স্যার

“”””যখন নীরবে দূরে”””””
“””দাড়াও এসে…..
“””যেখানে পথ বেকেছে
“””তোমায় ছুতেঁ চাওয়ায় মুহূর্তরা
“””কি জানি কি আবেশে দিশেহার””””

হিয়া:নিন।এটা আপনার জন্য

উজান:এসব।এতো সকালে আপনি কোথায় পেলেন?

হিয়া:এতো সকালে না আমি কালকেই আপনার জন্য কিনি রেখেছি আপনাকে দেবো বলো।দেখুন কলি ছিলো আজ কেমন সব গুলো ফুটেঁ গেছে😍😍

উজান:হুম।আসুন কোথাও গিয়ে বসি

হিয়া:চলুন…

দুজনে একটা জায়গায় গিয়ে বসে…

উজান:বাসায় কি বললেন

হিয়া:বুলি কে বললাম আপনার সাথে দেখা করতে আসছি।কিন্তু বাবা কে না বলেই বের হইছে।বুলি কে বলেছি বাবা জানতে চাইলে বলিস কাকিমার ওখানে গেছি

উজান:হুম কিছু না খেয়েই মনে হয় বের হয়েছেন

হিয়া:খাওয়ায় সময় পেলাম কই।আচ্ছা কয়টা বাজে এখন

উজান:হবে ৭টার একটু বেশি

হিয়া:হুম..আচ্ছা একটা কথা বলুন তো আপনি সাথে করে এই বই টা কেনো এনেছেন তখন থেকে দেখছি

উজান:ও ভালো কথা মনে করে দিলেন।সেদিন আমার জন্য আপনার ক্লাস টা মিস হলো না আপনাকে বের করে দিলাম।তাই ভাবলাম আজ চ্যাপ্টার টা আপনাকে পড়িয়ে দেই।পরে সময় পাই কিনা___(বুম বুম বুম)

হিয়া:দাতঁ খিচিয়ে(থামুন থামুন কি বললেন আর একবার বলুন তো😡😡আপনি আমাকে ঘুরতে নিয়ে এসে এখন পড়তে বসাবেন…এই শুনুন আমি না কালকে থেকে আপনার অনেক কথা শুনছি কিন্তু এটা আমি কিছু তেই না___আপনি পড়ালেও আমি পড়বো না….আসে পাশে মানুষ দেখলে কি ভাববে..নাহ আমি পড়বোই না😡😡

উজান:আচ্ছা___কিন্তু আমি তো আপনাকে পড়বোই মিস মিএ___শুনুন ডাক্তারি পড়াটা না ছেলে খেলা না পড়লাম পরীক্ষা দিলাম হয়ে গেলো।আমি যা বলছি মন দিয়ে শুনুন

হিয়া:নাহ কখনোই না😡

উজান:হিয়া😡

হিয়া:আপনি আপনার বউকে ঘুরতে নিয়ে এসে পড়তে বলছেন মানুষ জানতে পারলে কি ভাববে😡😡😡(বুম বুম বুম)

উজান:আচ্ছা মানুষ কে কে বলতে যাবে শুনি

হিয়া:উজান স্যার

উজান:চুপ একদম চুপ।আসুন এদিকে

____উজান চ্যাপ্টার টা হিয়াকে বোঝাতে থাকে।হিয়া রাগে গট গট করতে থাকে।হিয়া দাতঁমুখ খিচিয়ে সবটা মেনে নেয় শুধু আজ ওর উজান স্যার এর জন্মদিন বলে___

……………………..

উজান:হয়েছে।এবার উঠুন কোথাও গিয়ে আগে কিছু খাইয়ে দেই আপনাকে

হিয়া:নাহ আর একটু পড়ান।এখনো তো একটু বাকি আছে😒😒

উজান:পড়বেন বলছেন।আপনি চাইলে আমি পড়াতেই পারি😊😊

হিয়া:আপনি না আপনি না ধ্যাত😡😡

___উজান আর হিয়া হাটতে থাকে।হঠাৎ একটা ফুচকার দোকান দেখে হিয়া চিৎকার করে উঠে আর উজানকে ওর হাতের ইশারায় ফুচকা খাবে বলে ইঙ্গিত দেয়____

হিয়া:উজান স্যার😍

উজান:কি হলো আবার😒

হিয়া:ওদিকে দেখুন😍😍

উজান:What.no way কখনোই না no never

হিয়া:প্লিজ স্যার😊

উজান:আপনার মাথা টাথা ঠিক আছে এমনি এই সকাল বেলা এসব খাবেন তাও আবার খালি পেটে না কখনোই না noway😡😡

হিয়া:দেখুন আপনি কিন্তু আমাকে কালকে প্রমিস করেছিলেন আমি যা খেতে চাবো তাই খাওয়াবেন বলুন করেননি

উজান:হ্যা ঠিক আছে।আমি আপনাকে ভালো দামি রেস্টুরেন্ট এ নিয়ে যাচ্ছি আপনার যা খেতে মন চায় তাই খাবেন আমি মানা করবো না কিন্তু এসব স্ট্রিট ফুড একদমই না😡

হিয়া:আপনার খাওয়ানোর ইচ্ছে হলো খাওয়ান না হলে নাই আমার কাছে না টাকা আছে আমি নিজে কিনে খেতে পারবো😡😡

___এই বলে হিয়া গটগট করে ফুচকা মামার কাছে চলে যায়___

উজান:হিয়া হিয়া

হিয়া:মামা আমাকে এক প্লেট ফুচকা দিন না বেশি ঝাল দিতে হবে না কিন্তু টক টা একটু বেশি করে দিলেই হবে😊

উজান:আপনি না জাস্ট😡

হিয়া:আপনার বিয়ে করা বউ।হি হি হি হি

___হিয়া ফুচকা খেতে থাকে এদিকে উজান চরম বিরক্ত হয়ে যায়___

হিয়া:স্যার বলছি আপনার জন্য দিতে বলবো একটু খেয়েই দেখুন না।না হলে মিস করবেন কিন্তু

উজান:আপনি প্লিজ একটু তাড়াতাড়ি খাবেন😡

হিয়া:খাচ্ছি তো আর কতো তাড়াতাড়ি খাবো

উজান:হলো আপনার

হিয়া:আর একটা আছে।দেই আপনাকে

উজান:নাহ।ঔ একটা তাড়াতাড়ি খেয়ে আমাকে উদ্ধার করুন😡😡

হিয়া:কি যে বলেন না আপনি জানেন ফুচকার আসল মজা টা তো শেষ ফুচকায় উফ কি অমৃত😍😍

উজান:অমৃত তাই না

হিয়া:হুম জানেন প্লেট এর এই লাস্ট ফুচকা টা নিয়ে আমার আর বুলির তো দুমদাম ঝগড়া লেগে যেতো কে খাবে কে খাবে।আপনাকে বললাম একটু খেয়ে দেখবেন তা না।নিন হয়েছে

উজান:কতো হলো দাদা…

হিয়া:এখন আমরা কোথায় যাবো

উজান:চলুন দেখি কোথায় যাওয়া যায় আর

___হিয়া উজান দুজনে হাটতে থাকে।বেলা অনেকটা হয়েছে।অনেক রোদ।দুজনে একটা পথ ধরে হিয়া উজানের বা হাতের বাহু ধরে হাটতে থাকে___

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here