FF:#মেডিকেল_ক্যাম্প
Part:15
উজান হিয়াকে ঔ নদী টার ওখানে নিয়ে আসে যেখানে নৌকায় একদিন উজান রাত কাটিয়েছিলো হিয়ায় বাবার অসুস্থ হয়ে টিউলিপে এডমিট হওয়ায় দিন____
হিয়া:এটা আমরা কোথায় এলাম
উজান:আসুন আগে
হিয়া:ওমা এতো দেখছি নদী।কত্তো জল😍
উজান:আপনার পছন্দ হয়েছে জায়গাটা
হিয়া:খুব খুব পছন্দ হয়েছে স্যার😍
উজান:আসুন__এই নৌকা টায় গিয়ে বসি
মাঝি:বসবা এখানে।বসো।তা কে হয় মেয়ে টা তোমার বাছা____
উজান:আমার ওয়াইফ আই মিন আমার মিসেস।আমরা বিবাহিত___
মাঝি:বাহ বেশ মানিয়েছে দুজন কে।তা বউ কে এখানে ঘুরতে নিয়ে এসেছো বুঝি
হিয়া:হুম আজ ওনার জন্মদিন তাই আমরা একটু ঘুরতে বেরিয়েছি😊
মাঝি:ঠিক আছে কিন্তু এখন তো নৌকা চলবে না তবে তোমরা দুজন চাইলে এখানে বসতে পারো কিছুক্ষণ
হিয়া:ঠিক আছে সমস্যা নেই আমরা আছি
মাঝি:তোমরা বসো আমি তাহলে অন্য কোথাও গিয়ে বসি___
____উজান হিয়া নৌকায় গিয়ে বসে।নৌকা হালকা জলে ডুবোনো হিয়া নৌকার কিনারে বসে নদীর জলে ওর পা গুলো ডুবিয়ে দেয়___
উজান:এভাবে কেনো বসলেন।ভিজে যাবেন তো নাকি
হিয়া:কিচ্ছু হবে না ভিজলে পরে শুকিয়েও যাবে___আপনিও আসুন না
উজান:নাহ আমি এভাবেই ঠিক আছি
হিয়া:শুনুন না জিঙ্কস টা একটু উপরে গুজে নিলেই তো হয় তাহলে তো আর ভিজছে না😊
____উজান আর না করে না হিয়ার পাশে গিয়ে ও নিজেও পানিতে পা ভিজিয়ে দেয়।পানির ভেতর উজানের পা নিয়ে হিয়া খেলতে থাকে।উজানের কাধে মাথা দিয়ে….
হিয়া:আপনি এর আগে এখানে এসেছিলেন কখনো
উজান:হুম এসেছিলাম___মনে পড়ে যেদিন টিউলিপের ছাদেঁ আপনি আমাকে বিয়ের কথা বলেছিলেন
হিয়া:পড়বে না মনে কি অপমান টাই না করেছিলেন আপনি আমাকে সেদিন বলুন দেখি।শেষমেষ তো এই ইডিয়ট টার পাল্লায় পড়তেই হলো😍
উজান:তাহলে আপনি মানছেন তো আপনি ইডিয়ট😂
হিয়া:আমি কিন্তু মোটেও তা বলি নাই😡(উজানের হাতে একটা চিমটি দিয়ে)
উজান:হয়েছে হয়েছে আর বলবো না ইডিয়ট😊😊সেদিন রাতে এখানে এসে বসেছিলাম আর আপনার কথা ভাবছিলাম কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম___পরের দিন চোখ খুলে দেখি আমি এখানে
হিয়া:কি কি কি মানে আপনি সারারাত এখানে ঘুমিয়েছিলেন আপনি টের ও পাননি😒
উজান:হুম।হালকা ড্রিংক করেছিলাম সেদিন তাই হয়তো বুঝতে পারি নাই
হিয়া:ড্রিংক না। আপনার এই হালকা বেশি ড্রিংক করা কিন্তু আমার একদম পছন্দ না😡আপনি না একজন ডক্টর😡
উজান:ডক্টর তো কি আমি কি মানুষ না আমার কি কষ্ট দুঃখ নেই তাই বলে😒
হিয়া:কষ্ট পেলে ড্রিংক করতে হয় কোথায় লিখা আছে।শুনুন আমি যদি আর কখনো শুনেছি বা দেখেছি আপনাকে এসব আজেবাজে জিনিস গেলা তাহলে কিন্তু খুব খারাপ হবে বলে রাখলাম😡
উজান:সে আপনি যা খুশি করতে পারেন___কিন্তু যদি কখনো আবার আপনি আমাকে ছেড়ে ঔ ডোডো বা কারো কাছে যান তাহলে সেদিন আমি কিন্তু পুরো নেশার দোকান নিয়ে বসবো
হিয়া:আপনার মনে হয় আমি আপনাকে ছেড়ে যাবো?
উজান:জানি যাবেন না___
হিয়া:আপনি গেলে অবশ্য যেতে পারেন।আমি তো শুনলাম টিউলিপে নতুন হার্ট স্পেশালিষ্ট জয়েন করেছে কি যেন নাম কি যেন নাম হুম মৃনালিনী উনি নাকি আপনার সাথে পড়তো আপনাকে ভালোওওওওবাসতো___
উজান:ওয়েট ওয়েট ওয়েট এসব কে বললো আপনাকে।হা আমরা একসাথে পড়তাম ঠিকি কিন্তু ওসব ভালোবাসা টালোবাসা বলে কিছুই ছিলো না আমাদের মাঝে
হিয়া:আমি কি তা বলছি নাকি আমি বললাম উনি আপনাকে ভালোবাসতো
উজান:মানে যাতা কি থেকে কি
হিয়া:কেনো পছন্দ করলেই বা কি আপনি দেখতে শুনতে খারাপ নাকি তার উপর এতো বড়ো একজন ডক্টর___
উজান:হুমম বুঝলাম আপনার হিংসে হচ্ছে হয় হয় এরকম একটু আধটু হিংসে জেলাস হওয়া ভালো😊😊
হিয়া:মোটেই না।বরং আমি তো বলবো আপনি আমাকে ছেড়ে ওনাকে বিয়ে করে নিন।দেখতে তো আমার চেয়ে অনেক সুন্দর ফর্সা ফর্সা গাল আপনার মতো লম্বা,আপনার মতো এতো বড়ো ডক্টর আর শুনলাম অনেক বড়ো ঘর থেকে বিলং করে আপনি চাইলে আমাকে ছেড়ে____
হিয়ার কথায় উজান এবার রেগে যায়
উজান:জাস্ট শেট আপ হিয়া😡😡ফারদার যেনো আমি না দেখি আপনি আমাকে এসব বলেছেন
হিয়া:ঠিক আছে ঠিক আছে এতে এতো রাগের কি আছে আমি তো শুধু মজা করছিলাম😊😊
উজান:মজা টা মজা হলেই ভালো।আপনি মাঝেমাঝে একটু বেশি বলেন😡😡
হিয়া:আচ্ছা সরি।দেখুন ঔ দিকে সূর্য টাকে একটু পর ডুবে যাবে।কি সুন্দর লাগছে😊
উজান ওর বা হাত দিয়ে হিয়াকে জরিয়ে ধরে শক্ত করে
উজান:আমার হিয়ায় চাইতে বেশি না😊
হিয়া:😍😍
……………..
বিকাশবাবু:বুলি এই বুলি এই এগুলো কিসের ফুল রে এতোগুলো কে এনেছে কেউ কি আজ এসেছিলো বাসায়
বুলি:এই যা কেলো করেছে।দিদির জন্য না এবার আমি কেস টা খাই।
বিকাশবাবু:কি রে কই তুই।ডাকলে আর কাজের সময় পাওয়া যায় না মেয়ে টাকে
বুলি:হা মামু বলো
বিকাশবাবু:এগুলো গোলাপ ফুল এতো গুলো এখানে কে আনলো তুই
বুলি:হা মামু মানে কালকে কোচিং ক্লাস এ একটা পরীক্ষা হয় তো ওটাতে আমি প্রথম হয়েছিলাম তাই আমাকে এই ফুল গুলো দিয়ে শুভেচ্ছা দিয়েছে😖😖
বিকাশবাবু:বাহ কি ভালো বল।তা আমাকে তো বলবি একবার।ফুল গুলো এভাবে ফেলে না রেখে জল দিয়ে তো রাখতে পারতি
বুলি:আসলে মামু এতো চাপ আমার মনেই ছিলো না
বিকাশবাবু:হিয়ায় কি খবর বল তো ওকি ঠিক করেছে নাকি ওদের বাড়িতে আজ থাকবে___একটু ফোন দিয়ে খোজঁ নে তো আর একটু পর তো সন্ধ্যা নেমে যাবে
বুলি:আহা মামু তুমি এতো টেনশন করছো কেনো।রাত হলেও কি সমস্যা দিদি তো উজান দার সাথে
বিকাশবাবু:উজান!!ডাক্তারবাবু এখানে কোথা থেকে এলো বলদেখি
বুলি:না না উজান দা আবার কোথা থেকে আসবে আমি বললাম আরকি
বিকাশবাবু:কখন যে কি বলিস না তুই।আচ্ছা শোন গেট টা ভালো করে লাগায় দে দেখি আমি একটু নিচে যাচ্ছি
বুলি:ঠিক আছে____এই দিদি টা না আজ আসুক।উজান দা কে পেয়ে তো আমাকে ভুলেই গেছে।সারাদিন কোনো খোজ নেই।
হঠাৎ বুলির চোখ যায় ফুল গুলোর উপর।ও ওগুলো হাতে নিয়ে কালকের কথা গুলো ভাবতে থাকে
বুলি:ছেলেটা কে।এতো মনে করার চেষ্টা করলাম কিছুতেই মনে করতে পারলাম না কোথায় দেখা হয়েছে আগে।ছেলে টা অবশ্য দেখতে শুনতে ভালোই আছে।হুম
_______
উজান:চলুন এবার উঠি
হিয়া:এখন কোথায় যাবো
উজান:দেখি আর বেশিক্ষণ না রাত হয়ে যাচ্ছে
হঠাৎ হাটতে হাটতে
হিয়া:উজান স্যার কুলফি😍😍
উজান:হোয়াট😡😡আবার এসব😡
হিয়া:প্লিজ প্লিজ প্লিজ উজান স্যার
হিয়া হাত পা ছড়িয়ে বাচ্চা দের মতো করতে থাকে।যেটা দেখে উজান হেসে দেয়।
উজান:আচ্ছা চলুন।আপনি না। একটা বাচ্চা ছেলে মেয়ে ও বুঝি এতোটা আবদার করে না যতো টা আপনি বায়না করেন
হিয়া:মামা কুলফি দেও তো দেখি একটা।
মামা:কোন রঙ টা দিবো মা
হিয়া:কোন রঙ টা নেই বলুন তো।বলুন না।
উজান:যেটা মন চায় নিন।কিন্তু একটা কোথা মাথায় রাখবেন এসব ফুচকা আইসক্রিম খেয়ে আজ শরীর খারাপ করলে কাল ক্লাস মিস করবেন পড়া মিস করবেন তা কিন্তু আমি শুনবো না😡😡
হিয়া:হয়েছে হয়েছে থামুন তো সারাদিন খালি পড়া পড়া___মামা এই হলুদ টা দিন..
মামা:নেও মা__
হিয়া:দিবো আপনাকে এক কামড় খেয়েই দেখুন না গলা টা ঠান্ডা হয়ে যাবে__
উজান:নাহ আপনি খান তাড়াতাড়ি আপনাকে বাড়ি পৌছে দিয়ে আমাকে টিউলিপে যেতে হবে__
হিয়া:হুম খাচ্ছি খাচ্ছি। কিন্তু এখনো তো সময় আছি আর কিছুক্ষণ থাকি।
উজান:হুমম সামনে একটা ঝিল আছে ওখানে একটা ব্রিজ হয়েছে নতুন ওটায় আপনাকে নিয়ে যাবো লাস্ট__
হিয়া:আরো ঘুরবো😍😍সত্যি আপনি না খুব ভালো(মুখে এক বালতি হাসি)
কিছু আবদারের জানি নেই মানে
তোর সঙ্গে আজ আমাকে নে
এগিয়ে দে এগিয়ে দে
দু এক পা এগিয়ে দে
হাটতে চাই ক এক পা তোর সাথে