32-FF:#মেডিকেল_ক্যাম্প
Part:32
……..রাত প্রায় চারটে দুজনের কারো চোখে ঘুম নেই এক ফোটা..উজান নিজের চোখের পানি সামলে নিলেও হিয়া এখনো কেদেঁই চলছে..আজ হিয়ার কান্না যেনো বাধ ভেঙ্গেছে..চোখ গুলো দুজনের আজ লাল হয়ে ফুলে গেছে…
হিয়া:আমার ভীষন কষ্ট হচ্ছে উজান স্যার…
উজান:সব টা এভাবে শেষ হোক আমি চাই নাই হিয়া..
হিয়া:আপনি চেয়েছিলেন তাই আজ পারছেন আমার কাছ থেকে দূরে যেতে..
উজান:তাহলে আপনি কেনো পারছেন না আমাকে আটকাতে….
হিয়া:আমি আপনাকে আটকাতে চাই না…
উজান:হুম আটকাবেনই বা কেনো এখন তো অন্য একজন আছে।আমাকে আটকানোর কি দরকার আপনার…..আপনি এতো কেনো কাঁদছেন হিয়া……আপনি কান্না করলে আমার কষ্ট হয় আপনি বোঝেন না…..(উজানো এবার কেঁদে ফেলে কথা গুলো বলে )
হিয়া:আপনি কেনো কাঁদছেন।ছেলেরা কাদেঁ নাকি কখনো দেখেছেন….
…..উজান আরো একটা ড্রিংক এর বোতল নিয়ে….
হিয়া:আপনি আবার এটা কোথায় পেলেন…দিন বলছি..
উজান:আপনি কি ভেবে ছিলেন।আপনি যখন ওগুলো নিয়ে বাথরুম এ যান আমি এটা দেখে সরিয়ে রাখি..
……হিয়া বোতল টা নিয়ে বিছানায় ছুড়ে ফেলে..বোতলের সব গুলো ড্রিংক বিছানার এক পাশে পড়ে গিয়ে বিছানা টা ভিজে যায়..
উজান:কি করলেন আপনি এটা….
…..হিয়া কিছু না বলে উজানের ঠোঁটে ওর ঠোটঁ ডুবিয়ে দেয়…
…….সেদিন রাত টা উজানের একটা ঝড় হিয়ার মাঝে বয়ে যায়…হিয়া চাইলেও সমুদ্রে আছড়ে পড়া উজানের স্পর্শের স্রোত গুলো আটকাতে পারে না…..পরেরদিন সকালে একরাশ অভিমান নিয়ে হিয়া ওর বাসায় চলে যায়…
ইউ এস যাওয়ার আগের দিন উজান ঠাম্মির সাথে দেখা করতে আসে…..
ঠাম্মি:কেনো এসেছিস এখানে তুই…প্লিজ তুই চলে যা এখান থেকে উজান।আমি তোর মুখ দেখতে চাই না..
উজান:ঠাম্মি আমার কথা টা তো শোনো..
ঠাম্মি:আমি তোর কোনো কথা শুনতে চাই না উজান…..তুই হিয়ার সাথে যেটা করছিস তা অন্যায়…ভুলে যাস না তোদের বিয়ে হয়েছে তোরা একটা বছর সংসার করেছিস আর আজ কি হলো না হলো তুই ওকে ডিভোর্স দিয়ে ইউ এস তে চলে যাবি…..তুই আমার চোখোর সামন থেকে সরে যা উজান সরে যা…কতো শখ ছিলো তোর আর হিয়ার আবার ধুমধাম করে বিয়ে দিবো তোদের ছেলেমেয়েকে মানুষ করবো..হিয়া ডক্টর হবে আর তুই তুই কি না সব শেষ করে দিলি এক নিমিষে..
উজান:তুমি আমাকে তাড়িয়ে দিচ্ছো ঠাম্মি।আজ আমার জায়গায় হিয়া থাকলে তুমি পারতে এমনটা করতে..
ঠাম্মি:আজ তোর জায়গায় হিয়া থাকলেও আমি ওর সাথে এমন টাই করতাম…….উজান বাবা শোন না ইউ এস না গেলে কি হয় না একবার একবার অন্তত হিয়ার সাথে কথা বলে সবটা মিটিয়ে নে না।আমি তোর কাছে হাত জোর করছি…
উজান:নাহ ঠাম্মি তা আর সম্ভব না…….
ঠাম্মি:তাহলে তুই কেনো এসেছিস এখানে?
উজান:তোমাকে আমার একটা কাজ করে দিতে হবে…প্লিজ ঠাম্মি তুমি আমাকে কথা দেও তুমি না করবে না…(ঠাম্মির হাত ধরে)
ঠাম্মি:কি কাজ..
উজান:এখানে ৫,৬লাখের মতো কিছু টাকা আছে।বাবার হাত ফাকাঁ আমি যতোদূর জানি তার উপর বুলির ও এ বছর অনেক খরচ..
আর এই বই গুলো হিয়ার জন্য…ওর ফাইনাল ইয়ায় এ যা যা বই লাগবে সব এখানে আছে।তুমি এগুলো হিয়া কে দিয়ে বলবে এগুলো তুমি দিয়েছো..
ঠাম্মি:তোর কি মাথা খারাপ উজান…আমি কি বলে হিয়াকে দেবো…আর তোর মনে হয় তোর সাথে হিয়ার ডিভোর্স হয়ে গেলে হিয়া আমার বা এই চ্যাটার্জি বাড়ির কারো কাছ থেকে একটা সুতো পর্যন্ত নিবে…কখনোই না
উজান:আমি জানি না ঠাম্মি তুমি এগুলো হিয়াকে কি বলে দিবে। তুমি জানো কিন্তু প্লিজ একটাই রিকুয়েস্ট তুমি আমার কথা হিয়াকে একবারের জন্য বলবে না…
ঠাম্মি:(কেঁদে ফেলে)তুই হিয়া কে এতো ভালোবাসিস ওর কথা এতো ভাবিস তাহলে কেনো ওকে ছেড়ে যাচ্ছিস তুই উজান।থেকে যা না..
উজান:নাহ ঠাম্মি সেটা সম্ভব না….আমি আসছি…
……আজকে সকাল ১১টায় উজানের ফ্লাইট…সকাল আটটায় হিয়ার ঘুম ভেঙ্গে গেলে হিয়ার মাথা আবার চক্কর দিয়ে উঠে..বমি পায়…
বুলি:আজকে আবার__কেনো দিদি এমন করিস তোকে কেনো বলতে হচ্ছে বারবার…এই নে যা ওয়াশরুমে গিয়ে টেস্ট টা করে আয়…
হিয়া:তোকে এটা কে আনতে বলছে😡😡আমি বলেছিলাম তোকে।সব সময় এমন পাকনামো কিন্তু আমার ভালো লাগে না বুলি😡😡
……হিয়ার মনে খানিকটা সন্দেহ হয়।বুলি চলে যেতে গেলে হিয়া বুলিকে দাড় করায়…..
হিয়া:বুলি দাড়া….দেখি দে ওটা আমাকে..
বুলি:এই নে..
হিয়া:তুই যা….
বুলি:হুম যাচ্ছি…..
…….হিয়া ওয়াশরুমে গিয়ে টেস্ট করতে টেস্ট পজিটিভ আসে…হিয়া কি করবে খুশি হবে না কাঁদবে কিছু বুঝে উঠতে পারে না….
হিয়া:আমি আমি কাঁদছি কেনো___এটা এটা তো উজান স্যার জানতে পারলে খুশি হবে___আমার আর উজান স্যারের প্রথম সন্তান।ওনার কতো কতো শখ ছিলো আমাদের বেবি নিয়ে___উনি এটা জানতে পারলে আমার উপর রাগ করে আর থাকতেই পারবে না__আমি এক্ষুনি ওনাকে ওনাকে গিয়ে সবটা বলবো___কিন্তু আজ তো ওনার ফ্লাইট কটা বাজে এখন ৯টা নানা এখনো সময় আছে আমাকে ওনাকে আটকাতে হবে…১১টায় তো শুনেছি ফ্লাইট না আমাকে এখুনি বের হতে হবে______হিয়া ওর গায়ে ওড়না জরিয়ে পার্চ টা নিয়ে হন্তদন্ত হয়ে বেরিয়ে পড়ে…
বুলি:দিদি এই দিদি কোথায় যাচ্ছিস শোন…শোন না….
….হিয়া টিউলিপে পৌঁছে উজান কে খোজেঁ কিন্তু পায় না….
মেট্রন:হিয়া তুমি তোমার তো আজ ক্লাস ওফ
হিয়া:উজান স্যার উজান স্যার কোথায়?
মেট্রন:কি হয়েছে তুমি এভাবে হাপাচ্ছো কেনো…আর উজান স্যার এর তো আজ ফ্লাইট তুমি জানো না..স্যার তো এই কিছুক্ষণ আগেই এ্যারয়পোর্ট এর জন্য বেরিয়ে গেলো….
হিয়া:এ্যায়ারপোর্ট এর জন্য বেরিয়ে গেছে উনি…না না এখনো ৯:৩০বাজে আমার হাতে সময় আছে…
মেট্রন:হিয়া হিয়া শোনো হিয়া…
…
হিয়া এ্যায়ারপোর্ট এ এসে তন্ন তন্ন করে এপাশ ওপাশ সব খানে উজান কে খোজেঁ কিন্তু পায় না…
হিয়া:আপনি কোথায় উজান স্যার।আমি আপনাকে নিতে এসেছি।আমার কিছু বলার আছে আপনাকে….উজান স্যার না হা হা মৃন ম্যাম ও তো আছে সাথে….
স্যার…উজান স্যার…..স্যার….
উজান:কেউ ডাকছে মনে হলো!!
হিয়া:উজান স্যার
উজান:হিয়ার গলা মনে হচ্ছে…কিন্তু হিয়া…
হিয়া:উজান স্যার আমি হিয়া…এদিকে
উজান:মিস মিএ আপনি এখানে..
হিয়া:আমার আপনাকে কিছু বলার আছে….
উজান:তার আগে আমার আপনাকে কিছু দেওয়ায় আছে।ভালোই হলো আপনি আজ এসেছেন এখানে….এই নিন…
হিয়া:কি এটা….
উজান:আপনি যেটা চেয়েছিলেন এতোদিন।ডিভোর্স পেপার…
হিয়া:স্যার!!
উজান:কি হলো নিন…আমি সাইন করে দিয়েছি আপনি এবার বাসায় গিয়ে সাইন করে নিয়েন।আর অদিতের সাথে আপনার জীবনটা গুছিয়ে নিয়েন।আর আমাকেও আমার লাইফ টা গুছিয়ে নিতে দিন…by the way আপনি কি যেনো বলবেন বলছিলেন..
হিয়া:নাহ কিছু না…আমার আর কিছু বলার নেই আপনাকে…সাবধানে আসবেন…
…..এদিকে উজানের ফ্লাইট এর সময় হয়ে যায়।উজান আর হিয়া একই জায়গা থেকে উল্টো দিকে নিজেদের গন্তব্য চলতে থাকে…..
“””এটা গল্প হলেও পারতো””””
“””পাতা একটা আধটা পড়তাম””””
“”””খুব লুকিয়ে বাচিয়ে রাখতাম তাকে”””
“”””জানি স্বপ্ন সত্যি হয় না তবু মন মানতে চায় না”””
“””কেনো এমন রাএি নামলো জানালায়””””
“””বোঝে না সে বোঝে না বোঝে না সে বোঝে না”””
“””বোঝে না সে বোঝে না বোঝে না সে বোঝে না””””
প্লেন এর ভেতর উজান ওর ওয়ালেট থেকে হিয়ার দেওয়া লকেট টা বের করে ওর হাতে নিয়ে ওটা খুলে দেখে….
উজান:আমি ডিভোর্স পেপারে সাইন করি নাই হিয়া__আপনাকে ছেড়ে দেওয়ায় ক্ষমতা নেই আমার__আপনি সাইন করে দিয়েন এমনিতেও 3months পর ওটা এ্যাপরুভ হয়ে যাবে।আমার সাইন এর দরকার হবে না___
…..পকেট থেকে হিয়ার একটা ইয়ায়রিং বের করে ওটা হাতে নিয়ে….
উজান:আপনি খুব ভালো থাকবেন অদিতের সাথে___মিলিয়ে নিয়েন অদিত তো আমার মতো বদমেজাজি রাগি না আপনাকে ও অনেক ভালো রাখবে হিয়া….(উজানের গাল বেয়ে দু ফোটা চোখের জল গড়িয়ে পড়ে….)
এদিকে হিয়া বাথরুমে দরজা লোক করে ওর পেটে হাত দিয়ে…..
হিয়া:উজান স্যার চলে গেছে তো কি হয়েছে।তুই তো আছিস তোর বাবার স্মৃতি হয়ে____আমি তোকে শেষ হতো দিবো না____জানি সামনে আমাকে অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে কিন্তু আমি পারবো তোর জন্য সবটা করতে__আর ডিভোর্স পেপার তো আমি সাইন করবো না আর উনি তো বলেছেন উনি সাইন করে দিছে আমি না করলেও নিয়ম অনুযায়ী তো ওটা হয়েই যাবে____তুই চিন্তা করিস না দেখবি আমি তোকে তোর বাবার থেকেও অনেক বড়ো ডক্টর বানাবো…(হিয়াস চোখে পানি কিন্তু ওহ হেসে হেসে কথা গুলো বলে)
……..ইউ এস তে পৌঁছে উজান আর মৃন….
মৃন:উফফ ফাইনালি আমি আর তুমি আজ একসাথে হলাম…কি বলো….আসছি থেকে দেখছি তোমাড মুড ওফ।ওহ তখন তো দেখলাম হিয়া তোমাকে সি ওফ করতে এসেছিলো…ওর জন্য মন খারাপ….ওহ কামন উজান….তোমাকে আমি আগেই বলেছি হিয়া মেয়ে টা সুবিধার না।নোংরা মেয়ে একটা…এসব মেয়ে না টাকা দেখলেই গলিয়ে পড়ে..নোংরা মেয়ে কেনো বলছি বলা তো দরকার বাজারের মেয়ে না হলে কি কেউ ওভাবে বলা নেই কয়া নেই কারো সাথে বারে গিয়ে ওসব…
উজান:মৃন😡😡😡😡
………..উজান মৃন কে হোটেল ভর্তি লোকের সামনে পড় পড় দুটো থাপ্পড় মারে….
উজান:তোমার সাহস হয় কি করে মিস মিএ কে নিয়ে এতো বাজে কথা বলার তাও আবার আমার সামনে…..
মৃন:উজান তুমি এভাবে সবার সামনে আমাকে আমার গায়ে হাত তুললে..
উজান:তোমার ভাগ্য ভালো যে হিয়া কে নিয়ে এতো বাজে কথা বলার পরো আমি তোমাকে শুধু দুটো থাপ্পড় মেরেছি😡😡😡😡একটা কথা ভালো করে মাথায় ঢুকিয়ে নেও হিয়া কেমন মেয়ে সেটা এই পৃথিবীতে আমার থেকে ভালো কেউ জানে না…হিয়া ছিলো বলেই আজ আমি নিজেকে চিনতে শিখেছি….
মৃন:তাহলে আমি কে উজান
উজান:তুমি জাস্ট আমার ব্যাস মেট আর কিচ্ছু না…আমার জীবনে হিয়ার জায়গা না তুমি কোনোদিন নিতে পারবা না অন্য কেউ😡😡সো প্লিজ নিজেকে হিয়ার সাথে তুলনা করা বাদ দেও…আমার লাইফে হিয়ার জায়গা আমি কোনোদিনো কাউকে দিতে পারবো না..
মৃন:তাহলে তুমি এলে কেনো ইউএস..
উজান:সেটা আমার আর হিয়ার পারসোনাল ম্যাটার…তোমার না জানলেও চলবে…আর তুমি কি ভেবেছো এই একটা বছর টিউলিপে তুমি হিয়ার কি কি ক্ষতি করেছো আমি কিছু জানি না..আমার চোখে কিছু লুকায় না মৃন।আর সেটা যদি হিয়া কে ঘিরে হয় তাহলে তো আমি কোনোদিন তাকে ছেড়ে কথা বলি না…ঔ ডেট এক্সপেয়ায় ইনজেকশন,আমার আর হিয়ার উপর হামলা,পরীক্ষায় হিয়াকে প্রাক্টিকেলে কম দেওয়া তুমি কি মনে করেছিলে আমি কিছু জানি না😡😡শুধু হিয়ার কথা ভেবে আমি চুপ ছিলাম😡😡কারন আমি হিয়াকে পড়ালেও হিয়া আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে জীবনে😡😡হিয়া বলতো জীবনে কেউ ভুল করলে তাকে আরো একটা সুযোগ দিতে আমি বোধ হায় তোমাকে সেই সুযোগ টা দিয়ে ভুল করেছি.😡😡
মৃন:উজান আমি মান ছি আমি ভুল করেছি…তুমি প্লিজ আমাকে একটা সুযোগ দেও।চলো না আমরা অন্য কোথাও গিয়ে কথা বলি সবাই দেখছে…তুমি তুমি আমাদের হসপিটালে চলো কালকে থেকেই তো জয়েন আজ একবার হসপিটাল টা দেখে নেই..
উজান:তুমি যাও মৃন😡😡আর একটা কথা আমি এখানে তোমার বাবার হসপিটালে জয়েন করতে আসি নাই…এই ইউ এস তে আরো অনেক এমন হসপিটাল আছে যেগুলো অনেক আগেই আমাকে অনেক বার ওফার করেছে আমি সেই হসপিটল গুলোর মধ্যে থেকে একটাতে জয়েন করেছি…
মৃন:উজান!!
উজান:এতে এতো অবাক হবার কিছু নেই..তুমি ভাবলে কি করে তুমি হিয়ার এতো ক্ষতি করার পর তোমারি বাবার হসপিটলে আমি জয়েন করবো😡😡প্লিজ এর পর থেকে আমার সাথে কোনোরকম কন্টাক্ট করার চেষ্টা তুমি করবে না…নাও লিভ মি এলন…
মৃন:উজান উজান লিসেন্ট টু মি উজান….
তুমি আমাকে এভাবে সবার সামনে অপমান করতে পারো না উজান…হিয়া আমি তোমাকে ছাড়বো না..
…..উজান ইউ এস যাওয়ায় কদিন পর….
বাসবি:আমি আর কি বলবো সমরেশ আমার আজকাল কথা বলতেও ভালো লাগে না।একদিকে হিয়া আর ও দিকে রাজা আমি কাকে সামলাবো।রাজার সাথে কথা হয়েছে আজ তোমার..
সমরেশ:উজান ওখানে ভালো নেই বাসবি।আমি যতোদূর খোজ নিয়ে জানলাম।উজান ওখানে একদম একা।জাস্ট ডিউটি থাকলে ওটি থাকলে বের হয় আর সারাক্ষণ নিজেকে একটা রুমে বন্দি করে রাখে।কি খাচ্ছে না খাচ্ছে আমার নিজেকে খুব হেল্পলেস মনে হচ্ছে
বাসবি:আমি জানি না তুমি আমার রাজা কে যেভাবে হোক ফিরিয়ে আনো সমরেশ।আমার ছেলেটা ভালো নেই..
সমরেশ:ঠিক আছে আমি রাখছি এখন তুমি হিয়ার খেয়াল রাখো..