আমি_মায়াবতী #পর্ব_১৬ #লেখনীতে_তাহমিনা_মিনা

0
200

#আমি_মায়াবতী
#পর্ব_১৬
#লেখনীতে_তাহমিনা_মিনা

“সাবিহা, এইভাবে না জেনে না শুনে কাউকে দোষারোপ করা উচিত না। তোমাকে শিখাইনি আমি?”
“স্যরি,বাবা। কিন্তু আমার মনে হয়েছে ওরাই করেছে এইসব।”
“ওরা এইসব করেনি, সাবিহা।ওরা ওদের দেশের বাড়িতে ঘুরতে গেছে।”
“তুমি নিশ্চিত মা?”
“হুমম। একটু আগেই তোমার নানু কল দিয়েছিল। ওরা ওখানেই আছে।”
“আমি স্যরি মা। আমি ভেবেছিলাম ওরাই এইসব করেছে।”
“ব্যাপার না। আমাদের সামনে বলেছো ঠিক আছে। কিন্তু কখনোই আর অন্যের সামনে এইরকম অমূলক কথা বলবে না।”
“ওকে মা।”
“সাগরিকা, মেয়েদের নিয়ে তুমি বাসায় চলে যাও। আমি সাব্বির এর সাথে থাকি। তোমরা অনেক ক্লান্ত। ”
“তুমিও তো ক্লান্ত। ”
“তোমাদের মতো অসুস্থ তো আর না। কথা বাড়িও না। যাও,বাসায় যাও।”
★★★
“রাতের আকাশ কত সুন্দর হয়। তাইনা মায়া আপু?”
“হুমম। অনেক সুন্দর।”
“রিকশায় ঘুরতে আমার অনেক ভালো লাগে আপু। তোমার কেমন লাগে?”
“আমারও অনেক ভালো লাগে। অনেক। গাড়িতে বসে নিঃশ্বাস নিতে ভালো লাগে না আমার। তারচেয়ে রিকশায় বসে শান্তিতে নিঃশ্বাস নেওয়া যায়।”
“হ্যাঁ, খুব ভালো লাগে। যখন জ্যাম এর মধ্যে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকবে, তখন বুঝতে পারবে কত ভালো লাগে।”
আম্মার কথা শুনে আমি আর সাবিহা খিলখিল করে হেসে উঠলাম।
“আম্মা, সেটাও ঠিক। কিন্তু ভালো তো লাগে অনেক।”
“শোনো মেয়েরা, তোমাদের যে কাজগুলো করতে বেশি ভালোলাগে, সেগুলো বেশি বেশি করবে। কিন্তু তুমি যদি তোমার ভালোলাগার কাজগুলো সবসময়ই ভালো লাগাতে চাও, তাহলে বেশি বেশি করো না। ”
“মানে কি মা?আমার একটা কাজ ভালোলাগে। আমি সেটা ভালোলাগার জন্য বেশি বেশি করবো না?”
“নাহ, করবে না।”
“কেন, আম্মা?”
“কেন? কারণ, ভালো জিনিস কম কমই ভালো। বুঝলে?”
“যেমন?”
“যেমন ধরো তোমাদের একটা পছন্দের গান। সেটা যদি তুমি সবসময়ই শুনতে থাকো, তাহলে সেটার উপর থেকে তোমার ভালোলাগা কমে যাবে। একসময় সেটার উপর গুরুত্ব কমে যাবে। বুঝলে?”
“হুমম। ”
“শুধু কোনো জিনিসই না। কোনো মানুষের প্রতিও এমনই ধারণা থাকা উচিত। যাকে বেশি ভালোলাগে, তাকে যত কম দেখবে, তার প্রতি ততো আগ্রহ থাকবে। যখনই তাকে নিজের খুব কাছে থেকে পাবে, তখন ধীরে ধীরে তার প্রতি ভালোলাগা হারিয়ে যাবে।”
“তুমি খুব দামী কথা বললে মা। খুব জ্ঞানী কথা বললে।”
“জানি। আর আমি সবসময়ই জ্ঞানী জ্ঞানী কথাই বলি।বুঝলে? কিন্তু তুমিই বুঝো না। আমি একটা কাজ করতে বললে করো আরেকটা। আমার কথার সবটাই উল্টো মানে বুঝো।”
“মা, আমরা রিকশায় যাচ্ছি। এখন আমাকে বকো না তো। তুমি বড্ড বকো।”
“হুমম, আমি সবসময়ই বকি।”
★★★
মেয়েদের ঘরের সামনের পর্দা ধরে দাঁড়িয়ে আছে সাগরিকা। সাবিহা আর মায়ার দিকে তাকিয়ে আছে। সাবিহা!কত সাধনার মেয়ে তাদের। নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর মতো অবস্থা ছিল সংসারে। তারমধ্যে আবার সে কনসিভ করেছে। একটু ভালো খাবার খেতে পারেনি সে। কত কষ্টই না করেছে তাকে পেটে ধরে। তার প্রিয় স্বামী নিজে না খেয়ে তাকে খাইয়েছে। অথচ ওর জন্মের পর সবকিছু বদলে গেছে। পরিবার থেকে মেনে নিয়েছে। রিজভীর ভালো চাকরি হলো। চারদিক থেকে শুধু সৌভাগ্য আসতে লাগলো।
আর মায়া! সাগরিকা আস্তে আস্তে যেভাবে মায়ার মায়ায় ডুবেছে, সেভাবে দায়িত্ববোধও বেড়েছে। মায়ার মৃত মায়ের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ সে, মায়াকে আগলে রাখতেই হবে তাকে। সাবিহার প্রতি যেমন তার দায়িত্ব পালন করতে হবে, তারচেয়ে অনেক বেশি খেয়াল রাখতে হবে মায়ার। কারণ তাকে শুধু ভালোবাসলেই হবে না, তার প্রতি দায়িত্ববোধও অন্যরকম। সাগরিকার মুখ থেকে আপনা আপনিই বের হলো,”আমার তিন সন্তানকে ভালো রেখো আল্লাহ।”
বলেই চমকালো সে। তাহলে কি সত্যিই মায়াকে নিজের সন্তান হিসেবে মেনে নিচ্ছে সে?তার ভীষণ ইচ্ছে হলো মায়ার মায়ের ডায়েরির লেখাগুলো আবার পড়া। শেষের লেখাগুলো পড়া হয়নি তার। তালাবদ্ধ বাক্সটার ভেতর থেকে ডায়েরিটা বের করলো সে। তার অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে। মায়াকে সে ভালোবাসতে চায় না। শুধু দায়িত্বই পালন করতে চায়। কিন্তু পারছেনা সে।কিছুতেই পারছেনা। মায়াকে নিজের অস্তিত্বের সাথে মিশিয়ে নিচ্ছে সে।

°গত তিনদিন আগে আমার মেয়ের জন্ম হয়েছে। আল্লাহ, আমি তো একটা ছেলে চেয়েছিলাম। আল্লাহ, আমার মেয়েকে তুমি আমার মতো মা কেন দিলে?আমার জন্য কি ওর কোনো ক্ষতি হবে?ওর বাবা আসেনি।এখনও আসেনি। প্রসব বেদনা আমি একা সহ্য করেছি। বদ্ধ ঘরে আমি সন্তানকে জন্ম দিয়েছি। ভেবেছিলাম ছেলে হবে। মেয়ে হলে আমি নিজে হাতে ওর গলা টিপে খুন করবো। কিন্তু আমি পারছি না ওকে মারতে। কি এক অদ্ভুত মায়া জন্মাচ্ছে ওর প্রতি। হ্যাঁ, মায়া। আমি ওর নাম দিচ্ছি মায়া। ওর মায়াবী এই চেহারা দেখে কি ওর বাবার মন গলবে?হ্যাঁ, অবশ্যই। হয়তো আমাকে মেনে নিবে। তার সাথে হয়তো আমি সংসার করবো। হ্যাঁ, সংসার করবো। আমার মা মায়াকে ছুঁয়েও দেখেনা। আমাকেও ভালোবাসে না। আড়ালে বলে, জারজ সন্তান আমার মেয়ে। কিন্তু ও কিভাবে জারজ হলো? ওর মা আছে বাবা আছে। ও কিভাবে জারজ হয় আল্লাহ?°

°আজ ৭ দিন হয়েছে আমার মেয়ের। তাও ওর বাবা আসেনি। আমাকে না হয় ভালোবাসেনি। আমার গর্ভে থাকা অবস্থায় একটা ভ্রুণ কে না হয় ভালোবাসেনি। কিন্তু এখন তো এটা তার বাচ্চা। রক্ত মাংসে গড়া একটা শিশু। ওর আগমনের কথা শুনেও সে কিভাবে না এসে থাকতে পারে? আমার কত ইচ্ছে ছিল ৭ দিনের দিন আকিকা করবো আমার বাচ্চার। চুল ফেলে দিব। নখ কেটে দিব। কিছুই হলো না। সব স্বপ্নই বৃথা।°
°আজ আমার মেয়ের ১৪ তম দিন। আজ সে এসেছিল। সে একা আসেনি। এসেছিল কাজি নিয়ে। আমার মা আমার মেয়েকে নিয়ে অন্য ঘরে থেকেছে। কাজি সাহেব এলেন, বসলেন আমাদের কবুল বলতে বললেন। আমরা কবুল বলার পর আমার বাবা কাজি সাহেবকে কিছু টাকা দিয়ে বিদায় করে দিল। সে মেয়েকে কোলে নিল। মেয়ের হাতে কিছু টাকা দিয়ে চুমু খেল গালে। অভিমানী মেয়ে আমার বাবাকে পেয়ে ঝরঝর করে কেঁদে দিল। হয়তো বলতে চাইলো, এতোদিন কেন আসোনি?কিন্তু সে কথা আমার স্বামীর মনে গিয়ে গাঁথলো না। সে আমার এক টুকরো মায়াকে ছেড়ে চলে গেল। তার একটুও কষ্ট হলোনা। একটি বারের জন্যও তার আমার কথা জিজ্ঞেস করার একটুও সময় হলো না।°

°আমার মেয়ে আজ মা ডাক শিখেছে।আমাকে আধো আধো গলায় মা বলেছে। আমার কেমন যেন একটা অনুভুতি হচ্ছে, বলে বোঝাতে পারবো না। মনে হচ্ছে, আমার এই দুঃখের জীবনের সবটাই শেষ। অন্তত আমার বলে তো কেউ আছে।°
সাগরিকা দেখলো ডায়েরির পাতাগুলো জুড়ে শুধু মায়ার স্মৃতি। একটা লেখায় চোখ আটকে গেল তার।
°আজ মায়া আমাকে এসে বলেছে পাশের বাসার মেয়েটা তাকে মেরেছে। তার অন্যায় ছিল সে মেয়েটার সদ্য জন্ম নেওয়া ভাইকে আদর করেছে। আমার মায়ারও একটা ভাই চাই। আমি কি বলবো বুঝতে পারিনি। কি বলে সান্ত্বনা দিব আমার মেয়েকে? যেটা জীবনেও সম্ভব নয়, সেটা আমি কিভাবে বলবো?°
সাগরিকা ডায়েরিটা বন্ধ করে ফেললো। মায়ার জন্য সত্যিই তার খারাপ লাগছে। মায়া এখনও কষ্ট পাচ্ছে। এমনকি সারাজীবন পাবে। সেটা শুধু মাত্র তার মায়ের জন্য।
★★★
“অনেকদিন পর আসলি মায়া। এখন কেমন আছিস?”
“আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। তুই কেমন আছিস?”
“আলহামদুলিল্লাহ। ”
“তোর মা ভালো আছেন? উনি কিন্তু খুব চমৎকার একজন মানুষ। ”
“হুমম। অবশ্যই। তা, আমার ভাই কেমন?”
“মানে?”
“না মানে আমার ভাইকে তোর কেমন লাগে?মানুষ হিসেবে?”
“উনিও ভালো মানুষ। উনি না থাকলে আমার যে আজ কি হতো।”
“হুমম। সেটাই। আমি অনেক আশা নিয়ে ছিলাম। জানিস?”
“কিসের আশা?”
“তুই আমার ভাবি হবি। ভেবেছিলাম ভাইয়া তোকে বিয়ে করে বাসায় নিয়ে গিয়েছে। আমি তো সেই খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু আমার সব আশা শেষ। ”
“মাথা খারাপ কবিতা? উনি তো আমার শিক্ষক। ”
“তাতে কি? শিক্ষকরা কি জীবনে বিয়ে করেনা?”
“তবুও তো।”
“শোন, কথা হচ্ছে কারো কাছ থেকে কোনো একটা শব্দও যদি তুমি শিখো, তবে সে তোমার শিক্ষক। তাহলে?”
“আরেহ, কি বলছিস? বাদ দে তো।”
“শোন, আমার ভাই কিন্তু লাখে একটা। তুই কিন্তু জিতবি।”
“কথা বন্ধ করবি?”
“ওকে। কিন্তু তুই একটু ভেবে দেখিস।”
“কবিতা।”
★★★
বাসায় আসার পর আম্মা ডেকে বললো,”মায়া, কালকে তোমার নানা-নানি আসবে। আমাদের বাসায়। তোমাকে দেখতে।”
“কালকে?”
“হুমম। ”
“কেন? কিছু বলেছে?”
“নাহ। তোমার বাবাকে কল দিয়েছিল। তোমার বাবাকেই বলেছে হয়তো।”
“অহহ।”
আমি ঘরে এসে ফোন হাতে নিয়ে দেখলাম নানী আমাকেও কল দিয়েছিল। ফোন সাইলেন্ট থাকার কারণে আমি বুঝিনি। আমি কয়েকবার ট্রাই করলাম ফোনে। কিন্তু ঐপাশ থেকে কেউ ধরলো না।
“মায়া আপু, তুমি কি ফুসকা খাবে?”
“সাবু, আমি এখন কিন্তু আম্মার কাছে যাবো না। তোর বকা খাওয়ার ইচ্ছে হলে তুই যা। ”
“শেষবারের জন্য আপু। প্লিজ প্লিজ প্লিজ। ”
“সাবিহা।”
“প্লিজ আপু।”
“ওকে। বাট বেশি সময় কিন্তু থাকবো না আমরা। ”
“ওকে। আরেহ, সামনেই তো যাবো। বেশি সময় লাগবে না।”
“যাব তো ঠিক আছে। তোর কাছে টাকা আছে তো?”
“তুমি তো বড় আপু। তুমিই খাওয়াবে।”
“নো। আমি কেন খাওয়াবো? আমি কি প্রোপোজাল দিয়েছি?”
“ওকে। আমিই দিবনে।” মুখ ভোঁতা করে জবাব দিল সাবিহা।
★★★
“আপু,ফুসকার টক টা সেই। তাইনা?”
“হুমম। খাওয়ার সময় কথা বলিস না তো। ”
“তুমিও প্লিজ মায়ের মতো করো না। এতো কড়াকড়ি নিয়ম আমার একদমই ভালো লাগেনা। ”
“হুমম। জানি।আমার ও ভালো লাগেনা।”
“আপু, ঐদিন তোমাকে যে ভাইয়াটা বাঁচিয়েছিলেন, তার সাথে কথা বলেছো?”
“উহুম, না।”
“কেন? একটা ধন্যবাদ কি তার প্রাপ্য না?”
“আসলেই। আমার উনাকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। ”
“কালকেই উনার সাথে কথা বলবে। ওকে?”
“ওকে ম্যাডাম।”
“হাহাহা…জানো তো, আমার অনেক ইচ্ছে আমিও একদিন এইরকম একটা বিপদে পড়বো। কোনো একটা হিরো আমাকে বাঁচানোর জন্য চলে আসবে। ঢিশুম ঢিশুম গুন্ডাদের সাথে ফাইট করে আমাকে উদ্ধার করবে।আহা,কি ফিলিংস। ”
আমি অবাক হয়ে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম। বলে কি এই মেয়ে।
“এইভাবে তাকিয়ে আছো কেন?”
“আল্লাহ আল্লাহ কর যেন তোর সাথে এইরকম কিছু না হয়।হলে তারপর বুঝবি। মূর্খ।”
বাড়ি ফেরার পথে রাস্তার অপরপাশে আমার চোখ আটকে গেল। সারাগায়ে কাঁপুনি শুরু হয়ে গেল। রাস্তার অপরপাশে একজন মহিলা একটা ছোট বাচ্চাকে কোলে নিয়ে ভিক্ষা করছে। উনি তো সেই মহিলা। যার স্বামী আমাকে তুলে নিয়েছিল। আমার কি হলো আমি জানিনা। কিন্তু হুট করেই রাস্তার অপরপাশে গিয়ে উনার বাচ্চাকে উনার কোল থেকে কেড়ে নিলাম। উনিও আমাকে দেখে চমকালেন। অনেকটা চিৎকার করে বললেন,”আমার বাচ্চা দাও।”
“ভুলেও চিৎকার করো না। এইটা তোমার নোংরা এলাকা না। এইখানে তোমার চিৎকারে কেউ এগিয়ে আসবে না। কিন্তু আমার একটা ডাকই যথেষ্ট।”
উনি অনেকটা ভয় পেয়ে গেল। কাঁদোকাঁদো গলায় বললো,”আফা, আমরা গরীব মানুষ। প্যাটের দায়ে এই কাম করি। যহন যা কাম পাই, তাই করি। না পাইলে ভিক্ষে করি। আমার গ্যাদাডারে দিয়া দেন আফা।”
আমার কিছুটা খারাপ লাগলো। আমি জানি এই খানে আমি কিছুই করতে পারবোনা৷ কারণ এইটা আমার এলাকা না। আমাকে কেউ চিনে না এইখানে।আর এখন অনেকটা সন্ধ্যা হয়ে গেছে। উনার গ্যাং এর লোকেরা হয়তো আশেপাশেই আছে। তাই চাইছিলাম শুধু আমাকে তুলে নেওয়ার জন্য উনাদের টাকা কে দিয়েছে, সেটা জানতে।
“তোমাদেরকে টাকা কে দিয়েছিল বলোতো, আমাকে উঠানোর জন্য? ”
“লম্বা, ফর্সা এক বেডায়।”
“বয়স কত হবে উনার?”
“৪০ এর মতো। বা তারও কম।”
“এমন কি কিছু দেখেছো, যার কারণে উনাকে খুব সহজেই চিনতে পারবো?”
“আমার কাছে ছবি আছে আফা।”
“ছবি কিভাবে আছে তোমার কাছে?”
“আমরা আড়াল থেকে তুলছি। যাতে পরে আমরা ফাঁসলে উনারেও ফাঁসাইতে পারি।”
“দেখি উনার ছবি।”
এতোক্ষণে সাবিহাও আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আমাদের কথায় হয়তো বুঝেছে আমরা কি নিয়ে কথা বলছি।আমরা দুজনেই অপেক্ষা করছি কে হতে পারে সেই মানুষ। মহিলাটি নিজের ব্লাউজের ভিতর থেকে একটা দামী ফোন বের করলো। হয়তো এইটাও চুরির মোবাইল। সে গ্যালারি থেকে এমন একজন মানুষের ছবি বের করলো, আমি স্বপ্নেও তার কথা মাথায়ও আনিনি। আনমনে আমার মুখ থেকে অস্ফুটস্বরে বের হলো,”মামা?”

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here