#হৃদয়_জুড়ে_তার_ছায়া
#পর্বঃ১৬
#আদওয়া_ইবশার
রাত আনুমানিক দশটা। শাহিনূর সাইদুর রহমান ছেলে-মেয়েদের নিয়ে খেতে বসেছে। এর মাঝেই স্বশব্দে কলিং বেল বেজে ওঠে। অবাক হয় সবাই। খাওয়া থামিয়ে একে অপরের মুখের দিকে তাকায়। ভাবে এতো রাতে কে আসতে পারে তাদের এখানে? কোনো আত্মীয় স্বজন হলেও এই রাতের বেলা না বলে আসার কথা না। সাইদুর রহমান শাহিনূর দুজনেই সরকারি চাকরিজিবী হওয়াই সরকার থেকে কোয়ার্টার পেয়েছে। সেখানেই ছেলে-মেয়েদের নিয়ে থাকেন। রেসিডেন্সিয়াল এরিয়া হওয়ায় এ যাবৎ কখনো কোনো অসাধুর আক্রমনের স্বীকার হয়নি। আজকেও যে এমন কিছু হবেনা এটা নিশ্চিত। কিন্তু এতো রাতে হঠাৎ করে না জানিয়ে আসার মতো কেউ না থাকায় একটু চিন্তিত হয় সকলে। স্ত্রী- সন্তানদের দিকে তাকিয়ে সাইদুর রহমান ওঠে দাঁড়ায়। এঁটো হাত নিয়েই এগিয়ে যায় দরজার দিকে। ছেলে মেয়েদের বলে,
“তোমরা খেতে থাকো। আমি দেখে আসি কে এলো।”
দরজার ঐ পাশের ব্যক্তিটা নিজেকে অধৈর্য প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে আছে। একের পর এক কলিং বেল দিয়েই যাচ্ছে। বিরক্ত হয় সাইদুর রহমান। গলা চড়িয়ে বলতে বলতে দরজা খুলে,
“আরে কে ভাই? অন্তত দরজাটা খোলার সময় টুকু তো দিবেন! এতো রাতে এভাবে অভদ্রের মতো কলিং দেয় কেউ? ম্যানার্স নেই একটুও।”
বলতে বলতেই দরজা খুলে বিরক্ত ভঙ্গিতেই সামনের দিকে তাকায়। তৎক্ষণাৎ ভিষণ ভাবে চমকে যায় এতো রাতে নিজের ছেলেকেই দুয়ারে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে। কাধে একটা ব্যাগ নিয়ে উস্কুখুস্কু চুলে দাঁড়িয়ে আছে নাহিদ। নিজের ছেলেকেই এতোক্ষন এতো কথা বলেছে ভাবতেই কিছুটা লজ্জিত হয় সাইদুর রহমান। তবে লজ্জাটুকু আপাতত পিছনে রেখে ছেলের এতো রাতে এভাবে ঢাকা থেকে না জানিয়ে বাড়ি আসার কোনো কারণ খোঁজে না পেয়ে প্রশ্ন করেন,
“কি রে! এভাবে হুট করে কিছু না জানিয়ে চলে এলি যে?কোনো বিপদ হলো না তো!”
সাইদুর রহমানের কথার ধরণে ডায়নিং এ বসা কারো বুঝতে অসুবিধা হয় নি কে এসেছে এতো রাতে। তারাও খাবার ফেলে ছুটে আসে দরজার কাছে। সকলের চোখে-মুখে বিস্ময়। হতবম্ভের মতো কিছুক্ষণ নাহিদের দিকে তাকিয়ে থেকে ছেলের কাছে এগিয়ে যায় শাহিনূর। মাথায় হাত বুলিয়ে বলে,
“এভাবে না বলে চলে এলি কেন বাবা? আবার আমাদের সারপ্রাইজ দিতে বলে আসিস নি তাই না! তোর এই স্বভাবটা কি আর যাবেনা? বলে আসলে তো আমাদের একটু ধ্যান থাকে। আল্লাহ না করুক আবার যদি রাস্তা-ঘাটে কোনো অঘটন ঘটে তখন তো আমরা জানতেও পারবনা কোথায় আছিস না আছিস। ছোট বাচ্চাদের মতো সারপ্রাইজ দেওয়ার স্বভাবটা এবার একটু বদলা। আমার এতো সারপ্রাইজ লাগবেনা। আমার সন্তান সুস্থ্যভাবে আমার কোলে ফিরে আসলেই খুশী।”
কোনো জবাব দেয়নি নাহিদ। শান্তভাবে মায়ের সাথে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। সবাই এটো হাতে দাঁড়িয়ে আছে দেখে বুঝতে পারে হয়তো খেতে বসেছিল। শীতল কন্ঠে বলে,
“খাচ্ছিলে তোমরা! খাওয়া শুরু করো আবার। আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।”
আর এক মুহুর্ত দাঁড়ায়না নাহিদ। সকলকেই অবাকের চূড়ান্ত পর্যায় পৌঁছে দিয়ে ধুপধাপ পা চালিয়ে চলে যায় নিজের নামে বরাদ্ধকৃত রুমে।
থমথমে পরিস্থিতিতেই কেটে যায় কয়েক মুহুর্ত। হাত-মুখ ধুয়ে শান্ত ভঙ্গিতেতেই ড্রয়িং রুমে এসে উপস্থিত হয় নাহিদ। শাহিনূর হাজারবার জোরাজোরি করার পরও খেতে রাজি হয়নি। জানিয়ে দিয়েছে রাস্তায় খেয়েছে। ক্ষিদে লাগলে পরে খাবে। সকলের খাওয়া শেষ হতেই বোনকে ডেকে বলে,
“মাথাটা ধরেছে। এক কাপ কফি করে দিয়ে যা তো আমার রুমে।”
কথাটা বলে আবারও চলে যায় নিজের রুমে। কিছুটা গিয়ে পিছন ফিরে বাবা-মা’কে উদ্দেশ্য করে বলে,
“রাত অনেক হয়েছে। তোমরা ঘুমিয়ে পরো। সকালে কথা বলব।”
সাইদুর রহমান, শাহিনূর ছেলের এমন ব্যবহারে যথাপরনায় অবাক। নাফিস নাদিয়াও ভাইয়ের এমন আচরণ হজম করতে পারছেনা। যে ভাই বাড়িতে এসেই মাতিয়ে রাখে পুরো বাড়ি। রাত দুইটা-আড়াইটা পযর্ন্ত সবাইকে সাথে নিয়ে গল্পগুজবে মজে থেকে। সেই ভাই আজ এসে বাবা-মায়ের সাথেই ঠিকমতো কথা বলছেনা। এটা কি আদও মানা যায়? বিষয়টা একদম স্বাভাবিক ঠেকছেনা কারো কাছে। সকলের মনেই একটা ভাবনা। কিছু একটা ঘাপলা আছেই। কিন্তু কেউ সাহস করে কিছুই জিজ্ঞেস করছেনা। শাহিনূর ঠিক জানেন যা কিছুই হোক, আগে অথবা পরে ছেলে তার কাছে বলবেই। তাই এবারও ছেলেকেই সময় দিয়েছে। নাহিদ ঠিক নিজেকে সামলে যা ঘটেছে মায়ের কাছে সবটা বলবে।
দশ মিনিটের মাথায় কফি করে ভাইয়ের রুমের সামনে হাজির হয় নাদিয়া। সবসময়ের মতো ভাই হাসিখুশি থাকলে কখনো রুমে ডোকার জন্য হয়তো অনুমতির আশায় দাঁড়িয়ে থাকতনা। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। ভায়ের এমন শান্ত রূপ কিছুতেই ভালো ঠেকছেনা। ভিড়ানো দরজাটা অল্প ফাঁক করে মিনমিনে স্বরে অনুমতি চায়,
“ভাইয়া আসব?”
হেডবোর্ডে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে আধশোয়া হয়েছিল নাহিদ। বোনের আওয়াজ শুনে চোখ খুলে তাকায়। শান্ত ভঙ্গিমায় কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলে,
“আমার রুমে আসতে কবে থেকে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করছিস?”
ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় নাদিয়া। আমতা আমতা করে বলে,
“না মানে তুমি ঘুমিয়ে গেছো কি না তাই আর কি।”
প্রতিত্তুরে আর কিছুই বলে না। নিরবতাকেই সম্মতি ভেবে গুটিগুটি পায়ে ভিতরে প্রবেশ করে নাদিয়া। কফির কাপটা বাড়িয়ে দেয় ভাইয়ের দিকে। অল্প আওয়াজে গলা পরিষ্কার করে বলে,
“তোমার কফি!” অলস ভঙ্গিতে কাপটা নেয় নাহিদ। ধীর গতিতে দুটো চুমুক দিয়ে জিজ্ঞেস করে,
“তোর ফোন কোথায়?”
“আমার রুমে। কেন, তোমার প্রয়োজন?”
“নিয়ে আয় তো।” ভাবে হয় তো লম্বা জার্নিতে নাহিদের ফোনের চার্জ শেষ।কোনো দরকারি ফোন করতেই হয়তো তার ফোন চাচ্ছে। খুশী মনেই দৌড়ে নিজের রুম থেকে ফোনটা এনে দেয় ভাইয়ের হাতে। অর্ধ শেষ করা কফির কাপটা খাটের পাশের ছোট্ট টেবিলটাতে রাখে নাহিদ।কপালে কিন্চিৎ কুঁচকানো ভাব এটে বোনের ফোনে কিছুক্ষণ ঘাটাঘাটি করে। কাঙ্ক্ষিত কিছু না পেয়ে পূণরায় গম্ভীর দৃষ্টিতে বোনের দিকে তাকায়। ভরাট কন্ঠে বলে,
“এই বয়সেই আমার মাথায় টুপি পরাতে চাইছিস? আর দুদিন পর কি করবি তাহলে?”
কি বলে এসব উল্টাপাল্টা? কিছুই বোধগম্য হয়না নাদিয়ার। কপাল কুঁচকে ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন,
“কি বলছো এসব? কিসের কি টুপি পরানো? কিছুই তো বুঝতে পারছিনা আমি।”
“আচ্ছা!” রাশভারি কন্ঠে কথাটা বলে নাদিয়ার ফোনটা ছুড়ে বিছানার এক পাশে ফেলে নিজের ফোনটা হাতে নেয়। কিছু একটা বের করে তুলে ধরে বোনের চোখের সামনে।,
“এসব কি? দেখতো কিছু বুঝিস কি না!”
সাথে সাথেই পিলে চমকে ওঠে নাদিয়ার। বসেছিল ভাইয়ের পাশে। তৎক্ষণাৎ দাঁড়িয়ে যায় বসা থেকে। থরথর করে কাঁপতে থাকে ছোট্ট শরীরটা।,
“এখনো বুঝতে পারছিস না কিছু? নিজের প্রেম কাহিনীর গল্প এখন কি আমার মুখে শুনতে চাইছিস?”
জবাব দিতে পারেনা কিছুই নাদিয়া। আসন্ন বিপদের কথা স্বরণ হতেই হাত-পা অসাড় হয়ে আসে। ঝাপসা হয়ে ওঠে চোখ দুটো। ভাবতে পারেনি কখনো এভাবে ভায়ের কাছে এতো তাড়াতাড়ি ধরা পরে যাবে। ফাঁকা মস্তিষ্কে চুপচাপ মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনা। বোনকে এমন নিরব মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে এতোক্ষনের দমিয়ে রাখা রাগটা তরতর করে বেড়ে যায় নাহিদের। শান্ত রূপটা মুহুর্তের মাঝেই হয়ে ওঠে অশান্ত। সর্ব শক্তি দিয়ে হুঙ্কার ছাড়ে,
“চুপ করে আছিস কেন এখন? কথা বল। কি এসব?”
সাথে সাথে ভয়ে ফুপিয়ে ওঠে নাদিয়া। ছোট বেলা থেকে সর্বদা হাস্যোজ্জ্বল শান্ত-শিষ্ট স্বভাবের নাহিদের খুব বাজে একটা অভ্যাস ছিল। অতি সহজে কোনো কারণে কখনো রাগতো না সে। কিন্তু কিছু একটা নিয়ে হঠাৎ যদি রেগে যেতো তাহলে একদম নিজের স্বভাবের বাইরে গিয়ে চুপচাপ হয়ে যেতো। চিল্লাচিল্লি না করে একদম নিরব থেকেই বুঝিয়ে দিতো রাগের মাত্রা ঠিক কতটা। হুটহাট রেগে যাওয়া স্বভাবের মানুষ গুলোর যেমন রাগ করতেও বেশি সময় লাগেনা। তেমন রাগ গলে পানি হতেও সময় লাগেনা। কিন্তু যে মানুষ গুলো খুব সহজে রাগেনা। তারা একবার রেগে গেলে রাগের তীব্রতা কতটা তা হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দেয় সকলকে। ঠিক তেমন স্বভাবের ছেলেই নাহিদ। আদরের ছোট্ট বোনটার এমন অধঃপতন কিছুতেই মানতে পারছেনা। মানবেই বা কিভাবে? তার বোনের বয়সটাই কত? মনে হয় মাত্র ঐদিন ছোট্ট একটা পুতুল কাপড়ে মুড়িয়ে তার কোলে তুলে দিয়েছিল বাবা। বলেছিল, “এই পৃথিবীতে যদি তোমার সবথেকে আদরের কেউ হয়ে থাকে তাহলে সে হলো এই বোন। একটা মেয়ের কাছে সবথেকে দামি আর মূল্যবান সম্পদ হয় তার ভাইয়ের ভালোবাসা। পৃথিবীর সব বোনেরা ভাইয়ের কাছে চোখের মণি হয়ে থাকে। তুমি তোমার চোখের মণিটাকে আজীবন আগলে রেখো বাবা।” সেই ছোট্ট বোনটা কি না প্রেম করছে এইটুকু বয়সেই! এখনো স্কুলের গন্ডি পেরোয়নি। ১৪-১৫ বছরের একটা মেয়ে প্রেম ভালোবাসার কি বুঝে? জগৎটাই বা কতটুকু চিনে সে? এই বয়সে তার বইয়ের মাঝে ডুবে থাকার কথা। অথচ সেটা না করে বাবা-মা, ভাইয়ের চোখে ফাঁকি দিয়ে দিব্যি প্রেম করে বেড়াচ্ছে। প্রলম্বিত একটা নিঃশ্বাস বেড়িয়ে আসে নাহিদের বুক চিরে। তাচ্ছিল্য করে বলে,
“ভালোবেসে বোনের আহ্লাদ পূরণের জন্য ক্লাস এইটে থাকতেই ফোন কিনে দিয়েছি বাবা-মায়ের হাজার নিষেধ অমান্য করে। ভেবেছি আমার বোন কখনো কোনো অন্যায় করতে পারেনা। ভাই কষ্ট পাবে এমন কাজ করার কথা ভাবতেই পারেনা। আমার সেই ভালোবাসা বিশ্বাসের প্রতিদান তোরা এভাবে দিলি?”
নাহিদের উচ্চ কন্ঠের হুঙ্কারে সাইদুর রহমান শাহিনূর, নাফিস তিনজনেই ছুটে আসে। শেষের কথা গুলো স্পষ্ট শুনতে পায় সকলে। মেয়েকে কাঁদতে দেখে সাইদুর রহমান ছুটে এসে বুকে জড়িয়ে নেন। নাহিদের দিকে তাকিয়ে বলে,
“কি শুরু করেছিস তুই নাহিদ? নাদিয়া কাঁদছে কেন? কি বলেছিস তুই ওকে? হয়েছে কি তোর আমাদের বলবি তো? তা না করে মেয়েটাকে তুই ধমকাচ্ছিস কেন? যে বোনকে তোর মা একটু বকলেও তুই প্রতিবাদ করে উঠিস সেই বোনকে এভাবে ধমকাচ্ছিস! হয়েছে কি তোর হঠাৎ?”
“আমার কিছু হয়নি। হয়েছে তোমার মেয়ের। কি হয়েছে সেটা তাকেই জিজ্ঞেস করো।”
“আশ্চর্য! কিছুই না জেনে না বুঝে কি জিজ্ঞেস করব? তুই সবটা ক্লিয়ার করলেই তো হয়।”
পূণরায় চেঁচিয়ে ওঠে নাহিদ।,
“কি ক্লিয়ার করব আমি? এটাই যে আমার ওকে আদর দিয়ে আহ্লাদ করে মাথায় তোলা অপরাধ হয়েছে? না কি ভাই হিসেবে আমার ব্যর্থ?কোনটা ক্লিয়ার করব বলো?”
বিস্ফোরিত দৃষ্টিতে সকলেই তাকিয়ে আছে নাহিদের দিকে। বাবার বুকে মুখ গুজে নাদিয়া এখনো ফুঁপিয়ে কেঁদে যাচ্ছে। শাহিনূর দ্রুত গতিতে এগিয়ে যায় ছেলের কাছে। হাত টেনে খানে বসিয়ে পিঠে হাত বুলিয়ে বলে,
“এভাবে চিল্লায়না আব্বা। তুই না আমার শান্ত ছেলে! কি হয়েছে বল আমাকে! কি করেছে নাদিয়া? মা’কে বল বাবা।”
সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে মুখ ফুলিয়ে নিশ্বাস ছাড়ে নাহিদ। যথাসম্ভন নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করে মায়ের দিকে তাকায়। অসহায় স্বরে বলে,
“তোমার মেয়ে প্রেম করছে মা। তাও আবার আমারই বন্ধু নাজিমের সাথে। অথচ আমি জানিনা। এবার ভাবো! ভাবো এবার কতটা বড় হয়ে গেছে তোমার মেয়ে। তবুও আমি কিচ্ছু বলতাম না। বিশ্বাস করো কিছুই বলতাম না আমি। যদি না ছেলেটা নাজিম হতো। ও যতই আমার বন্ধু হোক। কিন্তু ওর স্বভাব কেমন আমি তো জানি। যে ছেলে পোশাক বদলানোর মতোই গার্লফ্রেন্ড বদলায় সেই ছেলের সাথে আমার বোন প্রেম করছে। একবারো বুক কাঁপলনা ওর? বন্ধু না হয় দূরের বুঝলাম। কিন্তু ও তো আমার বোন! একটাবারও ও এটা ভাবলনা বিষয়টা আমি জানতে পারলে কতটা কষ্ট পাব? এভাবে তোমার মেয়ে আমার নিঃস্বার্থ ভালোবাসার প্রতিদান দিল?”
চলবে…
(রিচেইক দেওয়া হয়নি। ভুল গুলো ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন )