হৃদয়_জুড়ে_তার_ছায়া #পর্বঃ২২ #আদওয়া_ইবশার

0
183

#হৃদয়_জুড়ে_তার_ছায়া
#পর্বঃ২২
#আদওয়া_ইবশার

ভয়ে অন্তরাত্বা খাঁচা ছেড়ে পালিয়ে যাবার জোগাড় পাপড়ির। অবিরত ধুকধুক সুর তুলছে হৃৎপিন্ড। জড়সড় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মায়ের দিকে। রওশন আরা ধীর পদক্ষেপে তাদের দিকেই এগিয়ে আসছে। কাছাকাছি এসে সরল হেসে নাহিদের দিকে তাকিয়ে বলেন,

“দেখো কি কান্ড! না চাইতেও তোমাকে ভোগান্তিতে ফেলে দিচ্ছি।”

সাথে সাথেই প্রতিবাদী স্বরে বলে ওঠে নাহিদ,

“এসব কেমন কথা আন্টি? আমি তো কিছুই করলাম না এখনো। তার আগেই আপনি এসব বলছেন! আর আপনারা যে আমার জন্য এতো করলেন তখন আপনাদের কতটা ভোগান্তিতে ফেলেছিলাম আমি! আপনার কথা শুনে কিন্তু এখন আমার নিজেরই লজ্জা লাগছে। বসুন আপনি এখানে। আমি যাচ্ছি। ছেলে থাকতে মা কষ্ট করবে কেন?”

কথার সমাপ্তি টেনে চমৎকার একটা হাসি দিয়ে এগিয়ে যায় কাউন্টারের দিকে। হঠাৎ এই ছেলে কোত্থেকে এলো, কিভাবে এলো কিছুই বুঝতে না পেরে বোকার মতো শুধু তাকিয়ে থাকে পাপড়ি। মা, নাহিদ দুজনের স্বাভাবিক আচরণ দেখে মনে হচ্ছে আগে ভাগেই নাহিদ রওশন আরা’কে কোনোভাবে কনভেস করে ফেলেছে। কিন্তু কিভাবে কি বলে মা’কে মানিয়েছে? ভাবুক পাপড়ির ভাবনাচ্যুত হয় মায়ের কথায়। প্রফুল্ল চিত্তৈ রওশন আরা বলেন,

“ছেলেটা কো বিনয়ী দেখেছিস? এসেছিলো না কি কোন বন্ধুর সাথে অফিসিয়াল কাজে। দূর থেকে আমাকে দেখেই কাছে এসে হালচাল জানতে চাইলো। যেই শুনলো তোকে ডাক্তার দেখাতে এসেছি ওমনি সব দায়িত্ব নিজের কাধে নিয়ে নিল। আজ কাল এমন ছেলে পাওয়া যায়!”

জোরপূর্বক হেসে জবাব দেয় পাপড়ি,

“ঠিক বলেছো মা। গোটা পৃথিবীতে খোঁজেও হয়তো এমন একটা ছেলে পাওয়া যাবেনা।”

মুখে লেগে থাকা হাসিটুকু চওড়া হয় রওশন আরা’র। মেয়ের কপালে হাত রেখে জানতে চায়,

“এখনো মাথা ব্যথা করছে?”

অস্পষ্ট স্বরে বিরবির করে পাপড়ি,

“যার জীবনে তোমার ভাষ্যমতে অতি বিনয়ী দ্যা গ্রেট নাহিদ শাহরিয়ার এর মতো আস্তো এক মাথা ব্যথা থাকে তার জীবনে কি আর অসুখকর জন্য হওয়া মাথা ব্যথার ঠাই আছে?”

“কি বিরবির করছিস? স্পষ্ঠ ভাবে বল।’

তড়িৎ মাথা নাড়িয়ে বলে ওঠে পাপড়ি,

“না না! কোনো মাথা ব্যথা নেই মা। সব চলে গেছে।”

****
ডাক্তারের চেম্বারে বসে আছে রওশন আরা, পাপড়ি, নাহিদ। পঞ্চাশোর্ধ ডাক্তার চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা পরে অত্যন্ত মনযোগ সহকারে দেখে যাচ্ছে পাপড়ির প্রতিটা রিপোর্ট। পুরো রুম জুড়ে পিনপতন নিরবতা। রওশন আরা নাহিদ দুজনেই উৎকন্ঠা নিয়ে তাকিয়ে আছে ডাক্তারের দিকে। ভালো কিছু একটা শোনার অপেক্ষা। তাদের অপেক্ষাকে দীর্ঘ থেকেও দীর্ঘতম করে দিতে ডাক্তার মনিরুজ্জাম রিপোর্ট গুলো থেকে দৃষ্টি পাপড়ির দিকে তাকিয়ে বলেন,

“তোমার জ্বরটা ঠিক কতদিন থেকে মামুনি?”

একটু বিরক্ত হয় পাপড়ি। প্রথমবার দেখা করার সময়ই তো সব বলল। এখন আবার একই প্রশ্ন। বিরক্ত ভাবটা নিজের মাঝেই চেপে রেখে মৃদু স্বরে বলে,

“গত তিন দিন যাবৎ। তবে এর আগেও প্রায় সবসময় হালকা জ্বর অনুভব হতো।”

“গত দুই-তিন মাসে তোমার আর কি কি শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে আমাকে একটু খুলে বলো তো।”

এক পলক মায়ের দিকে তাকিয়ে বলতে শুরু করে পাপড়ি,

“সবসময় শরীর দূর্বল লাগত। পুরো শরীরে ব্যথা অনুভব হয়। কোনো কাজ না করেও ক্লান্তি অনুভব হয়।ঘুম আসেনা। আর খাবারের প্রতি একদম অরূচি।”

“কাশি বা শ্বাসকষ্ট এমন কিছু আছে?”

প্রশ্ন করেন ডাক্তার মনিরুজ্জামান। আবারও রওশন আরা’র দিকে তাকিয়ে শুকনা ঢোক গিলে পাপড়ি। না জানি তার কপালে কোন শনি লাফাচ্ছে আজ। এতো এতো সমস্যার কথা খুব সুন্দর ভাবেই লুকিয়ে রেখেছিল মায়ের থেকে এতোদিন। অবশেষে এই ডাক্তারের ফাঁদে পরে সব গরগর করে বলে দিতে হচ্ছে।,

“মাঝে মাঝে একটু শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।”

কিছুক্ষণ নিরবে কিছু একটা ভাবে ডাক্তার মনিরুজ্জামান। পরপরই প্রেসক্রিপশনে কিছু একটা লিখে রওশন আরার দিকে তাকিয়ে বলেন,

” আ’ম রিয়েলি স্যরি ফর দ্যাট, আপনাদের কষ্ট করে আরও একটা টেস্ট করাতে হবে। ঐ টেস্টের রিপোর্ট দেখে আমি শিওর হয়ে কিছু একটা বলতে পারব। এর আগে বলা যাচ্ছেনা কিছুই।”

কথাটা সম্পূর্ণ করে প্রেসক্রিপশনটা এগিয়ে দেয় নাহিদের দিকে।,

” মেজর কোনো প্রবলেম নয় তো?”

চিন্তিত মুখে নাহিদ ডাক্তারকে বলতে বলতে প্রেসক্রিপশন হাতে নেয়। স্মিত হেসে ডাক্তার বলে,

“আগে টেস্টটা করিয়ে আনুন। রিপোর্ট না দেখে শুধু শুধু ধারণা করে কিছু বলা ঠিক হবেনা।”

রওশন আরা নাহিদের পাশাপাশি এবার পাপড়িকেও একটু চিন্তিত দেখায়। সামান্য জ্বরের জন্য এসে আবার কি না কি অসুখ বের করে ফেলে এই ডাক্তার। ডাক্তারের দিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে প্রেসক্রিপশনের দিকে তাকায় নাহিদ। কালো কালিতে লেখা টেস্টের নামটাতে চোখ আটকে যায়। ঠোঁট নাড়িয়ে নিঃশব্দে উচ্চারণ করে ডাক্তারের লিখে দেওয়া টেস্টের নামটা,

“BMB” নিস্পলক দৃষ্টিতে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকে নামটার দিকে নাহিদ।বুকের ভিতর কেমন যেন একটা অজানা আতঙ্ক এসে কামড়ে ধরে।

চার দেয়ালের ভিতরে রাত-দিনের পার্থক্য বুঝতে না পারা গেলেও ঘড়ির কাটা জানান দিচ্ছে সন্ধ্যা পেরিয়েছে অনেক আগেই। নিস্তেজ হয়ে মায়ের কাধে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে আছে পাপড়ি। তাদের থেকে কিছু দূর দেয়ালে হেলান দিয়ে বুকে হাত গুজে দাঁড়িয়ে আছে নাহিদ। পাপড়ির জীর্ণপ্রায় মুখের দিকে এক পলক তাকিয়ে গভীর নিঃশ্বাস ছেড়ে এগিয়ে যায় তাদের দিকে। নিচু রওশন আরা’কে বলে,

“এবার আপনাদের বেরিয়ে পরা উচিৎ আন্টি। রিপোর্ট আজকে দিবেনা। শুধু শুধু বসে থেকে তো লাভ নেই। ওকে একটু জিজ্ঞেস করে দেখুন বেশি খারাপ লাগছে কি না।”

শেষের কথাটা পাপড়িকে ইশারা করে বলে। বন্ধ চোখ দুটো আলগা করে মায়ের কাধ থেকে মাথা তুলে নাহিদের দিকে তাকায় পাপড়ি। এক পলক দেখে দৃষ্টি নিচের দিকে তাক করে বলে,

“আমি ঠিক আছি এখন। আপনি একটু কষ্ট করে একটা গাড়ি ঠিক করে দিন।”

কথা অনুযায়ী নাহিদ দুজনকে একটা সিএনজি ঠিক করে দিয়ে নিজ দায়িত্বে পাপড়িদের বাসা থেকে কিছুটা দূরের গলি পযর্ন্ত এগিয়ে দিয়ে যায়। রওশন আরাকে বলে যায় আগামী কালকেও সে অফিসিয়াল কাজে হাসপাতালে যাবে। সেখান থেকে রিপোর্ট সংগ্রহ করে ডাক্তারকে দেখিয়ে প্রেসক্রিপশন তাদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যাবে। তারা যেন কষ্ট করে আবার কালকে না যায়। কথাটুকু বিদায় নেয় নাহিদ।

পরদিন নাহিদ যথাসময় হাসপাতালে গিয়ে রিপোর্ট কালেক্ট করে ডাক্তার মনিরুজ্জামানের সাথে দেখা করে। নাহিদকে একা আসতে দেখে মনিরুজ্জামান মুচকি হেসে বলেন,

“আপনি একা এলেন যে?রোগীকে সাথে আনলেন না।”

ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ফেলে জবাব দেয় নাহিদ,

“ভাবলাম যদি আপনার রোগীর সামনে কিছু বলতে অসুবিধা হয়। তাই আনিনি আর কি।”

রিপোর্টে চোখ রেখে সহাস্যে ডাক্তার বলেন,

“ইউ আর ভেরি ইন্টেলিজেন্ট গায়। তবে জানেন কি, আমাদের ডাক্তারদের মনে কোনো মায়া-দয়া নেই। তাই খুব সহজেই কোনো হেজিটেশন ছাড়াই রোগীকে রোগের কথা জানিয়ে দিতে পারি। রোগী নিজেই যদি নিজের রোগ সম্পর্কে অবগত না থাকে তাহলে ফাইট করবে কিভাবে রোগের সাথে?”

বিপরীতে মৌনতাকেই সঙ্গী করে নেয় নাহিদ। সময় নিয়ে সকল রিপোর্ট একে একে পর্যবেক্ষণ করে চোখ থেকে চশমাটা খুলে ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ফেলে নাহিদের দিকে তাকায় ডাক্তার মনিরুজ্জামান। জানতে চায়,

“পেশেন্ট আপনার কি হয়?”

একটু নড়েচড়ে অল্পক্ষণ চুপ থেকে জবাব দেয় নাহিদ,

“অনেক কিছুই আবার কিছুই না।”

“মানে! আপনার কথাটা ঠিক বুঝতে পারলাম না।”

গভীর নিশ্বাস ফেলে নাহিদ বলে,

” হবু স্ত্রী।”

“এখন যদি জানেন আপনার হবু স্ত্রী কোনো এক মরনব্যধী রোগ নিয়ে দিনের পর দিন পার করছে তখন কি মাঝ পথে এসে হাতটা ছেড়ে দিবেন?”

একটু থমকায় নাহিদ। পরোক্ষণে নিজেকে সামলে নিয়ে অল্প হেসে বলে,

“বাইরে দেখলাম আপনার অনেক রোগী জমা হয়ে আছে। আসল কথা বলে আমাকে একটু দ্রুত বিদায় দিলে হয়তো ভালো হবে আপনার।”

*****

বিকেলের শেষ ভাগ। বৃষ্টি হবার পর থেকে শীতের প্রকোপ অনেকটাই বেড়ে গেছে। শরীরটা একটু ভালো লাগায় বিছানা ছেড়ে বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছে পাপড়ি। হিম শীতল বাতাসে গায়ে কাঁপন ধরে যাচ্ছে। তবুও ভালো লাগছে দাঁড়িয়ে থাকতে। পরিবেশটা কেমন মন ভালো করে দেবার মতো সুন্দর ঠেকছে। কিছু সময় পর পালক ছুটে এসে জানায়,

“আপু তোমার দিলওয়ালা এসেছে। যাও যাও। দেখা করে আসো গিয়ে।”

বোনের কথা শুনে চোখ পাকায় পাপড়ি। রাগী কন্ঠে বলে,

“দিলওয়ালা আবার কি শব্দ হ্যাঁ!মানুষ হবিনা জীবনেও?”

“ওমা! আমার মাথায় আবার শিং গজালো কবে? না কি পেছনে একটা লেজ গজিয়েছে?”

অত্যন্ত অবাক স্বর পালকের। নাক-মুখ কুঁচকে পাপড়ি বলে ওঠে,

“কি সব আবোলতাবোল বকছিস?”

“আবোলতাবোল বকতে যাব কেন? তুমিই না বললে মানুষ হবনা না কি। এখন যদি মানুষ না হয়ে থাকি তাহলে তো নিশ্চয়ই আমার মাথায় দুটো শিং না হয় পিছনে একটা লেজ থাকার করে। কিন্তু দুটোর একটাও তো নেই আমার।”

বিরক্তিতে ‘চ’ বর্গীয় উচ্চারণ করে পালকের দিকে কটমট দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে চলে যায় বারান্দা ছেড়ে। ড্রয়িং রুমে গিয়ে দেখে রওশন আরা নাহিদ দুজনেই পাশাপাশি বসে আছে। পাপড়ির উপস্থিতি টর পেয়ে শুকনো হাসে নাহিদ। জানতে চায়,

“কি অবস্থা এখন?”

“ভালো।”

ছোট্ট করে জবাব দেয় পাপড়ি। পর পর আবারো বলে,

“ডাক্তার কি বলল?”

একটু থমকায় নাহিদ। ঢোক গিলে শুকনো গলাটা ভিজিয়ে শ্রান্ত স্বরে বলে,

“বলছি। তার আগে এক কাফ কফি দিতে পারবে? ক্লান্ত লাগছে একটু।”

ক্লান্ত ভাবটুকু নাহিদের চোখে মুখেই ফুটে উপছে। সর্বদা হাস্যজ্জ্বল মুখটা কেমন নেতিয়ে আছে। মায়া হয় পাপড়ির। সময় নষ্ট না করে ত্রস্ত পায়ে ছুটে যায় রান্নাঘরের দিকে।পাপড়ির যাবার পানে অপলক তাকিয়ে থাকে নাহিদ। এক ধ্যানে তাকিয়ে থাকতে থাকতে চোখটা কেমন ঝাপসা হয়ে আসে।হঠাৎ কানে আসে পাশে বসা রওশন আরার প্রশ্ন,

“বললে না যে বাবা ডাক্তার কি বলেছে!”

ফ্যাকাশে চোখে রওশন আরার দিকে তাকায় নাহিদ। মুখ দিয়ে একটা শব্দও উচ্চারণ করতে পারেনা। বুকের ভিতরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। হাত দুটো শক্ত মুঠ করে নিজেকে সামলানোর ব্যর্থ প্রয়াস চালায় কিছুক্ষণ। বহু কষ্টে কন্ঠনালী চিরে বেরিয়ে কিছু শব্দ,

“পাপড়ির ব্লাড ক্যান্সার।”

স্তব্ধ, বিমূঢ় রওশন আরা। অসাড় শরীরে ফ্যালফ্যাল নেত্রে শুধু তাকিয়ে থাকে নাহিদের দিকে। মস্তিষ্ক পুরোপুরি কথাটা ধারণ করার আগেই যেন কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। অসহায় চোখে নাহিদ শুধু দেখে যাচ্ছে রওশন আরাকে।ছোট্ট একটা কথা কেমন করে একটা মানুষকে পুরো পাথরের মূর্তি বানিয়ে দিল।পুরুষ মানুষের চোখে না কি সহজেই অশ্রু দেখা যায় না। অথচ এই মুহুর্তে নাহিদের চোখে অঘাত অশ্রুর মিছিল। মাথা নিচু করে ঘাড়ের পাশে দুহাত রেখে অশ্রু বিসর্জন দিয়ে যাচ্ছে অঝোরে। অসহায় প্রেমিকের হৃদয় নিভৃতে অভিযোগ জানাচ্ছে সৃষ্টিকর্তার কাছে। “কেন তার সাথে এমন হলো? কেন ভালোবাসার মানুষটার এই পরিণতি? কোন পাপের শাস্তি দিচ্ছেন সৃষ্টিকর্তা তাকে? ভালোবাসা পাওয়ার আগেই হারিয়ে ফেলার ভয় কেন তাকে এভাবে ভিতর থেকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে।বুকের বিতরটা জ্বলছে, পুড়ছে। পুড়ে পুড়ে কয়লা হয়ে যাচ্ছে একেবারে। ধপ করে কিছু একটা পরার শব্দ শুনে মাথা তুলে তাকায় নাহিদ। জ্ঞান হারিয়ে সামনের দিকে উপুড় হয়ে পরে আছেন রওশন আরা। সেন্টার টেবিলের কোণায় কপাল লেগে ফেঁটে গলগল করে রক্ত বেরিয়ে ঝরছে।

চলবে……

( দেরিতে লেখা শেষ হওয়াই রিচেইক দিতে পারিনি। ভুল গুলো ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। আর হ্যা দয়া করে আজকের পর্বটা পড়ে এক লাইন হলেও মন্তব্য করে যাবেন। আপনাদের অনুভূতি জানার অপেক্ষায় আমি।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here