#প্রনয়ের_দহন
#Nusrat_Jahan_Bristy
#পর্ব_৩১ (লুকোচুরি)
নিস্তব্ধ রাত, কোথাও কোনো সাড়া শব্দ নেই। রাত যতো বাড়ছে ব্যস্ত শহরটা আরো শান্ত হয়ে আসছে ধীরে ধীরে। তবে দুর থেকে ভেসে আসছে গানের শব্দ হয়তো বা কারো বিয়ে না হলে জন্মদিনের অনুষ্টান হচ্ছে। খোলা আকাশে গোল তালা আকৃতির মতো চাঁদ উঠছে। চাঁদের আলোয় চারিদিক আলোকিত হয়ে আছে। চাঁদের আলোয় আলোকিত হয়ে যাওয়া খোলা আকাশের নিচে দুটো মানব দেহ একজন আরেকজনের শরীরের সাথে আষ্টেপৃষ্টে লেগে আছে আর একে অন্যের বুকের উঠানামা গভীর ভাবে অনুভব করছে।
হঠাৎ করে কারো পায়ের আওয়াজ আর শিস বাজানোর শব্দ ইশানের কানে পৌঁছাতে তীরের কাছ থেকে দুরে সরে দাঁড়ায়। তীর কিছুটা হচকিয়ে যায় এভাবে ইশান দুরে সরে যাওয়াতে। অন্য দিকে ইশান চোখ বন্ধ করে বুঝার চেষ্টা করে আওয়াজটা ঠিক কোথা থেকে আসছে। ক্রমশ পায়ের আওয়াজ আর শিসের আওয়াজ গাঢ় হয়ে আসছে। ইশান যখন বুঝতে পারলো তাদের চিলেকোঠা থেকে আওয়াজটা আসছে। তখন সাথে সাথে চোখ মেলে তীরের দিকে তাকায়। বেচারী তীর তো লজ্জায় লাল হয়ে আছে। লজ্জায় চোখ তুলে ইশানের দিকে তাকাতে পর্যন্ত পারছে না। ইশান প্রেয়সীর লজ্জামাখা মুখশ্রী দেখে মুচকি হাসে।
কিন্তু এখানে দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট করলে চলবে না। যদি কেউ ওদের দুজনকে এক সাথে দেখে নেয় তাহলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। ইশান চারপাশটায় নজর বুলায় কোথায় লুকানো যায়? লুকানোর জায়গায় পেতেই তীরের হাত ধরে চিলেকোঠার ঘরের পাশে গিয়ে লুকায়। তীর তো ভীষন আবাক হয় এমন করাতে। ইশানকে প্রশ্ন করে।
–কি হয়েছে? এখানে আনলেন কেন?
ইশান ফিসফিসিয়ে বলে।
–চুপ! একদম কথা বলবি না।
তীরের ভ্রু কুচকে আসে। মানে কথা বলবে না কেন? আর কি এমন হলো যে এখানে এসে লুকাতে হলো আজব। অন্য দিকে ইশান লুকিয়ে লুকিয়ে তাদের ছাদের দিকে তাকিয়ে দেখে ইহান এসেছে ছাদে আর দু ঠোঁটের মাঝখানে সিগারেট। কি সুন্দর করে সিগারেট ফুকছে আর সেই ধোঁয়াটা খোল আকাশের দিকে ছেড়ে দিচ্ছে। মনে হচ্ছে যেন স্বর্গে আছে আহা কি শান্তি। তবে ইশান এটা ভেবে পাচ্ছে না ডাক্তার হয়ে কি করে একজন সিগারেট খেতে পারে তাও এত্ত পরম শান্তিতে মনে হচ্ছে যেন বি’ষ না আমৃত পান করছে। এই সিগারেটখোর ডাক্তার গুলাই আবার তাদের কাছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদেরকে ধূমপান সেবন করতে বারণ করে “হাউ ফানি”। তবে ইশানের এটা বুঝতে বাকি নেই যে তার ভাই বউয়ের ভয়ে এখানে এসে সিগারেট খাচ্ছে। বেচারা বিয়ে করে মনে হয় খুব কষ্টে আছে দেখাই বুঝা যাচ্ছে।
অন্যদিকে তীরের যেন ধৈর্যের বাধ ভেঙ্গে যাচ্ছে। পাশে থাকা লোকটা এই লুকিয়ে থাকার বিষয়ে কিছু বলছেও না। বরং দেয়ালের আড়ালে থেকে উঁকি ঝুঁকি মারছে। এভাবে লুকিয়ে থাকার মানে কি? এই মধ্য রাতে কার সাথে লুকোচুরি খেলছে আজব। তীর অনেকটা জোরে বলে উঠে।
–এই আপনি….
তীর তার কথাটা আর সমাপ্ত করতে পারলো না তার আগে ইশান ঝড়ের বেগে ঘুরে তীরের কোমড় ধরে নিজের কাছে এনে অন্য হাত দিয়ে তীরের মুখ চেঁপে ধরে ফিসফিসিয়ে বলে।
–চুপ থাকতে বলছি না। তাহলে এভাবে জোরে কথা বলছিস কেন?
তীর ইশারায় বুঝায় কেন সে চুপ থাকবে? ইশান তীরের ইশারা বুঝে বলে।
–ভাইয়া এসেছে ছাদে তাই চুপ থাক একটু পরে যত পারিস পটর পটর করিস।
এই কথাটা শুনে যেন তীরের চোখ দুটো রসগোল্লার মতো বড় বড় হয়ে যায়। ইহান এসেছে ছাদে যদি ধরে পড়ে তাহলে শেষ। তীরের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে দেখে ইশান তাড়াতাড়ি ওর মুখ থেকে হাতটা সরিয়ে নিয়ে একটু দুরে সরে দাঁড়ায়। তীর নিজের বুকে হাত রেখে ফিসফিসিয়ে বলে।
–মেরে ফেলছিলেন একে বারে এভাবে কেউ ধরে।
ইশান কিছু বলতে নিবে সাথে সাথে ইহানের কন্ঠস্বর ভেসে আসে।
–কে ওখানে?
ইশান আর তীর দু জন দু জনের দিকে চোখ বড় বড় করে তাকায়। ইশান নিজের ঠোঁটে আঙ্গুল রেখে ইশারা করে চুপ থাকার জন্য। অন্য দিকে ইহান ছাদের একটু সাইডে আসতেই পায়ের সাথে কিছু একটা বারি খায়। নিচে তাকিয়ে দেখে ইশার কেমিস্ট্রি বই। ভ্রু কুচকে আসে ইহানে এভাবে এখানে বইটা পরে আছে দেখে। মনে হচ্ছে যেন কেউ ছুঁড়ে ফেলেছে। হাত বাড়িয়ে বইটা তুলে নিয়ে বলে।
–এই হয়েছে আমার একটা বোন যেখানে খুশি সেখানে নিজের বই পত্র ফেলে রেখে চলে যাবে। পরে সারা বাড়ি মাথায় তুলবে চিল্লিয়ে। মানে একি কোনো দিন বড়ো হবে না সারা জীবন ছোট্ট ইশুই রয়ে যাবে। হয়তো জানেও না যে ওর বই এখানে পরে আছে।
বলেই যখন ঠোঁটের মাঝে সিগারেট নিতে নিবে ওমনি প্যান্টের পকেটে রাখা ফোনটা ভাইব্রেট করে উঠে। ইহান ফোনটা পকেট থেকে বের করে দেখে কেয়া ফোন করেছে। নিশ্চয়ই তাকে খুজছে। ইহান বিরক্তিকর চেহারা নিয়ে বিড়বিড় করে ওঠে।
–উফফ! একটু শান্তুিতে সিগারেট টাও খেতে দিবে না মেয়েটা। ব্যাচেলার লাইফটাই বেটার ছিল বিয়ে করে জীবনটাই শেষ। ধ্যাত! ভাল্লাগেনা।
বলেই আধ পোঁড়া সিগারেটটা নিচে ফেলে পা দিয়ে পিষে চলে যায়।
_______
ইশান তীরের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। চাঁদের আলো মেয়েটার মুখে পড়াতে যেন অন্য রকম সুন্দর লাগছে। অন্য দিকে তীর চোখ বন্ধ করে ঠোঁটের উপরে ডান হাতের আঙ্গুলদ্বয় ভাঁজ করে রেখে এক মনে দোয়া করছে যাতে ধরা পড়ে না যায়। ইশান মুচকি হেসে ধীরে ধীরে তীরের কপালের দিকে হাত বাড়িয়ে ছোট ছোট অবাধ্য চুল গুলা সরিয়ে কানে গুঁজে দেয়। কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে তীর চোখ মেলে তাকায়। ইশানের গভীর চোখে চাওনি দেখে বুকের ভেতরটা ধ্বক করে। এভাবে কেন তাকায় লোকটা তার দিকে তার বুঝি কিছু হয় না। তীর সাথে সাথে নজর ফিরিয়ে নেয় ইশানের দিক থেকে। অন্য দিকে চলে যেতে নিলে ইশান তীরের হাত ধরে টান দেয়। তীর নিজের তাল সামলাতে না পেরে সোজা গিয়ে পরে ইশানের প্রশস্ত বুকে। ইশান সুযোগ পেয়ে তীরের কোমড় আঁকড়ে ধরে নিজের বাহুডোরে আবদ্ধ করে নেয়। ইশানের শীতল দৃষ্টি তার প্রেয়সীর দিকে আর প্রেয়সীর দৃষ্টি ইশানের শার্টের বোতাম খোলার উন্মুক্ত বুকের দিকে।
–পালাচ্ছিস কোথায়? পালিয়ে কোথাও যেতে পারবি না এই ইশানের কাছ থেকে। একবার যখন নিজ থেকে এসে ধরা দিয়েছিস তাহলে এতো সহজে পালাতে পারবি না।
তীর কোনো কথা বলছে না দেখে ইশান নিজের মুখটা তীরের কাঁধের কাছে নিয়ে ফিসফিসিয়ে বলে।
–তুই যখন আমার কাছে আসিস তখন না নিজেকে কন্ট্রোল করে রাখতে পারি না। ইচ্ছে করে তোর মাঝে ডুবে যাই। কেন হয় এমন বলতো?
তীরের কাঁধে ইশানের গরম নিঃশ্বাস পড়ছে তাতে যেন তীরের গলা শুকিয়ে আসছে। তীর নড়াচড়া করাতে ইশান তীরের কোমড় আরো জোরে চেঁপে ধরে। তীর ভয়ে জপটে চোখ দুটো বন্ধ করে নেয়। ইশান তীরের কাঁধের কাছ থেকে মুখটা তুলে নিয়ে প্রেয়সীর ভয়ার্ত মুখের দিকে তাকায়। ইশান ঢোক গিলে নিজেকে যেন কন্ট্রোল রাখা বড়ো দায় হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই মেয়েটা কাছে আসলে চুম্বকের মতো যেন তাকে টানে। নিজের অজান্তেই ডান হাতটা বাড়িয়ে দেয় তীরের ডান গালে আর ছুঁয়ে দেয় তীরের তিল জোড়া। ইশানের ছোঁয়া পেয়ে তীর সাপের মতো মোচরে উঠে। এমন করছে কেন লোকটা তার সাথে তার যে শ্বাস নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে। মনে হচ্ছে যে শ্বাস কষ্টে মরেই যাবে। ইশান হঠাৎ করেই তীরের কপালে নিজের কপাল রেখে গম্ভীর কন্ঠে বলে।
–তোর মাঝে না একটা নেশা আছে। যে নেশাটা সবসময় আমাকে তোর কাছে টানে। কি জাতীয় নে’শা আছে তোর কাছে বলতো? মদের নে’শা থেকেও তোর নে’শার প্রখরতা অনেক। যে নেশা’টা আমাকে কন্ট্রোললেস করে ফেলে। মন চায় ডুবে যাই তোর ওই নেশায় আর ভাসাতে চাই নিজেকে চিরকাল।
তীর বার বার কেঁপে উঠা অধর জোড়া কামঁড়ে ধরছে। ইশানের প্রত্যেকটা স্পর্শ যেন তীরের ভেতর তোলপাড় করে দিচ্ছে। শরীরের প্রত্যেকটা শিরায় যেন অদ্ভুত এক শিহরণ খেলে যাচ্ছে। তীর নিজের মনের সাথে যুদ্ধ করে অতি কষ্টে ইশানের চোখের দিকে তাকায়। ইশানের দিকে তাকাতেই যেন সারা শরীরের বৈদ্যুতিক শক খেয়ে গেলো তীরের। আর ইশান নেশা ভরা চোখে তাকিয়ে আছে তীরের কাপাকাপা ঠোঁটের দিকে। তীরের আর সহ্য হচ্ছে না মন বলছে এখানে বেশিক্ষন থাকলে কিছু অঘটন ঘটে যাবে। তাই ইশানের বাহুডোর থেকে নিজেকে ছুটোনোর বৃথা চেষ্টা করে। ইশান মুচকি হেসে বলে।
–এভাবে বার বার ঠোঁট কামড়াছিস কেন? কি বুঝাতে চাইছিস আমাকে? আমি কি কিছু বুঝি না।
তীর বড় বড় চোখ করে তাকায় ইশানের পানে। মানে তাকে কি বুঝাইতে চাইবে ঠোঁট কামড়ে আজব। তীরের ভাবনার মাঝে ইশান নিজের ঠোঁট বাড়িয়ে দেয় তীরের ঠোঁটের দিকে। তীর ইশানের এগোনো দেখে ভয়ে ঠোঁটে জোড়ো চেপে ধরে। তীরের এমন কান্ডে ইশানের অধরের কোণে হাসির রেখা ফুঁটে উঠে।
ইশান হুট করে তীরের কপালে টুপ করে নিজের অধর ছুঁয়ে দিয়ে বলে।
–চিন্তা করিস না এত তাড়াতাড়ি আমার প্রনয়ের বিষ তোর সর্বাঙ্গে ঢালবো না। যখন ঢালবো তখন তোর সারা সর্বাঙ্গে এক সুখের যন্ত্রণাময় বিষ ঢালবো যে যন্ত্রণা তুই নিজের ইচ্ছেই সহ্য করবি। তাই এখন থেকে নিজেকে তৈরি করে রাখ সেই সুখময় যন্ত্রণাটা সহ্য করার জন্য।
তীর বোকার মতো তাকিয়ে আছে ইশানের পানে। ইশানের কথার মানে ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না। ইশান তীরের এমন চেহারা দেখে কিছু বলতে যেও থেমে গিয়ে উকি দিয়ে আগে থেকে ইহান এখনও আছে কি না। না ইহান চলে গেছে দেখে ইশান তীরের দিকে তাকিয়ে বলে।
–ঘরে যা অনেক রাত হয়েছে। বেশিক্ষন আবার নিজেকে কন্ট্রোল করে রাখতে পারবো না। তাই আগে ভাগেই চলে না হলে বড়ো কোনো অঘটন ঘটিয়ে ফেলবো পরে কিন্তু আমার দোষ দিতে পারবি না।
তীর ধীর পায়ে হেঁটে ছাদ থেকে চলে যায়। ইশান তীরের যাওয়ার পানে তাকিয়ে আছে। তীর যাওয়ার শেষে ইশানের দিকে একবার ফিরে তাকায়। ইশানও মুচকি হেসে চলে যাওয়ার জন্য ইশারা করে।
______
তীর যখনেই নিজের ঘরে ডুকতে যাবে তখনেই আয়েশা সুলতানা ওর ঘর থেকে বের। মাকে এসময় দেখে তীর থতমত খেয়ে যায়। গলা টেনে টেনে বলে।
–মা তুমি এখানে। এখনও ঘুমাও নি যে?
আয়েশা সুলতানা ভারী কন্ঠে বলে।
–কোথায় ছিলি তুই?
–আমি,,,
–হুম! তুই কোথায় ছিলি? তোর ঘরে এসে দেখি তুই নেই। এতো রাতে কোথায় গিয়েছিলি?
–কোথায় আর যাবো আমি। আসলে পড়তে পড়তে বোর ফিল করছিলাম তাই একটু ছাদে গিয়েছিলাম মাইন্ড ফ্রেশ করার জন্য।
আয়েশা সুলতানা মেয়ের দিকে ছোট ছোট চোখে করে তাকিয়ে বলে।
–ওও! আচ্ছা! তাহলে মাইন্ড ফ্রেশ হয়েছে তোর।
–হুমহুম।
–ঠিক আছে যা শুয়ে পড় তাহলে মাইন্ড ফ্রেশ হয়ে থাকলে। রাত হয়েছে অনেক।
–না না ঘুমাবো না এখন। আরো পড়া আছে।
–ঠিক আছে। যাই কর রুমে যা এখন।
তীর ঝড়ের বেগে মায়ের সামনে থেকে চলে যায়। এতক্ষন মনে হচ্ছিলো যেন যমের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো। তীর তো চলে গেছে কিন্তু রেখে গেছে আয়েশা সুলতানার মনে একরাশ সন্দেহের বীজ। মেয়েরে হাবভাব একদমেই ভালো লাগে নি ওনার কিছু তো একটা গড়বড় তো আছেই। আয়েশা সুলতানা নিজের ঘরে না গিয়ে পা বাড়ায় ছাদে যাওয়ার উদ্দেশ্যে।
এদিকে ইশান মনের আনন্দে হেলে দুলে নিজেদের ছাদে গিয়ে চিলেকোঠার দরজাটা টান দেয় খুলার জন্য। কিন্তু শত চেষ্টা করেও দরজা আর খুলতে পারলো না বেচারা কারন ভেতর থেকে দরজার সিটকানি লাগানো। এবার কি করবে ইশান? কি করে ঘরে যাবে? দরজাটা লক করা কি খুব বেশি দরকার ছিলো। ইহানের প্রতি ইশানের ভীষণ রাগ উঠছে। ছাদে এসে সিগারেট খেয়েছে ভালো কথা তা বলে দরজা লক করে দিবে। এটা কোনো কথা?
আবারও কারোর পায়ের শব্দ শুনা যাচ্ছে। এখন আবার কে আসছে? ইশান তাড়াতাড়ি করে পানির ট্যাংকির আড়ালে এসে লুকিয়ে উকি মেরে দেখে তীরের মা এসেছে ছাদে। মানে আজকে কি সবারেই ছাদে আসার রাত নাকি। একটু পরপর সবাই আসছে আর যাচ্ছে মানেটা কি? আর ইশানেরও কি লুকোচুরি করার রাত নাকি এটা। ইশান বিরক্তকর ভাব নিয়ে দাঁতে দাঁত চেঁপে বলে।
–আজকে কি আমাকে সবার সাথে লুকোচুরি খেলতে হবে নাকি। আর ভাইয়া এই অকাজটা করলো কি করে? আমি এখন ঘরে যাবো কি করে?
অন্যদিকে তীরের মা নিজেদের সারা ছাদ ছেক করে ইশানদের ছাদের দিকে নজর বুলিয়ে চলে যায়। আয়েশা সুলতানা যেতেই ইশান আড়াল থেকে বের হয়ে আসে। মাথায় ঘুরছে কি করে এখন নিজের ঘরে যাবে। সাথে করে ফোনটাও আনে নি যে ইশাকে ফোন করে বলবে দরজাটা খুলে দিতে। ফোন একটা সাথে যাও আছে সেটাও তীরের ভাঙ্গা ফোন যেটা নিজের হাতে একটু আগে হত্যা করেছে।
#চলবে________