#প্রনয়ের_দহন
#Nusrat_Jahan_Bristy
#পর্ব_৫৮
ইশার জন্য বিয়ের প্রস্তাব এসেছে। ছেলে ডাক্তার। ছেলের ব্যাকগ্রাউন্ড আর ফেমেলি ব্যাকগ্রাউন্ড ইশান আর ইহান যাচাই করেছে কোনো রকম বাজে ইনফরমেশন পাওয়া যায় নি। যেহেতু তীরের ক্ষেত্রে একটা এক্সিডেন্ট হয়েছে তাই ইশান খুব সতর্কতার সহিত ছেলের বিষয়ে সব তথ্য যাচাই বাছাই করেছে। একমাত্র বোন বলে কথা বোনকে কেমন ছেলের কাছে বিয়ে দিবে সেটা তো ভালো করে জানতে হবে যেখানে বিয়ের বন্ধনটা সারা জীবনের ব্যাপার। ছেলের তথ্য জানার পর ফরাজী পরিবারের সবাই মোটামুটি রাজি। কিন্তু এবার ইশার কাছ থেকে জানা দরকার সে কি চায়? তাই সোহেল ফরাজী বসার ঘরে মেয়েকে ডেকে পাঠিয়েছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় ইশা এই প্রস্তাবের বিষয়ে কিচ্ছু জানে না। এমনকি তীরও জানে না। ইশা গুটি গুটি পায়ে বসার ঘরে আসে। বসার ঘরে পরিবারের সকল সদস্যকে দেখে কিছুটা অবাক হয়। কারণ এ সময় ইশান থাকে অফিসে আর ইহান থাকে হসপিটালে তাহলে আজকে কি এমন হলো যে সবাই এক সাথে এমন সময়ে। মনের ভেতরে অজানা ভয় কাজ করতে লাগলো ইশার। মেয়েকে আসতে দেখে সোহেল ফরাজী বলে।
–বসো তোমার সাথে কিছু কথা আছে।
–কি কথা বাবা?
–আগে বসো তারপর বলছি।
ইশা বসতেই সোহেল ফরাজী বলা শুরু করেন।
–তুমি এখন বড় হয়েছো ইশা। তোমার নিজস্ব একটা সিদ্ধান্ত আছে। তাই তোমার সিদ্ধান্তটাই আমরা সবার আগে গুরুত্ব দিবো। কিন্তু এটাও মনে রাখবে পরিবারের কেউ তোমার খারাপ চাইবে না তারা সবসময় তোমার ভালোই চাইবে।
ইশা অবাক হয়ে বলে।
–কিসের সিদ্ধান্ত বাবা?
–তোমার বিয়ের।
ইশার বুকটা ধ্বক করে উঠে। তার বিয়ে মানে! কি বলছে বাবা এসব? হঠাৎ করে বিয়ের কথা উঠছে কেন তার? ইশা তীরের দিকে তাকায়। তীরের মুখের ভঙ্গিমা দেখে বুঝতো পারলো তীর এ বিষয়ে কিচ্ছু জানে না। ইশা নিজেকে সামলে বলে।
–হঠাৎ করে।
–দেখো মা আজ হোক বা কাল তোমাকে বিয়ে দিতেই হবে। আমি তো সারা জীবন মেয়েকে আমার ঘরে আটকে রাখতে পারবো না। মেয়েকে পরের ঘরে যেতেই হবে এটাই নিয়ম। ভালো একটা প্রস্তাব এসেছে তোমার জন্য ছেলে ডাক্তার। ছেলে আমাদের সকলের পছন্দ হয়েছে। এখন তুমি যদি চাও তাহলে কালকে তারা আসবে তোমাকে দেখতে।
ইশা এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে। তার মস্তিষ্ক কাজ করছে না। সে এখন কি করবে কিচ্ছু বুঝতে পারছে না। সব যেন কেমন ঘোলাটে হয়ে আসছে চোখের সামনে। বুকের বা পাশটা অদ্ভুদ এক যন্ত্রণা অনুভব করছে। বাবাকে মুখ ফুটে কি করে বলবে সে যে রিফাতকে ভালোবাসে। এতোটাও সাহস নেই ইশার এই কথাটা বলার তার বাবাকে।
ইশাকে মৌন থাকতে দেখে ইহান বলে।
–ইশু কিছু বল?
ভাইয়ের কথায় ইশার ধ্যান ভাঙ্গে। নিজেকে স্বাভাবিক করে বলে।
–তোমরা যা ভালো মনে করবে তাই করো।
–ভেবে বলচ্ছিস তো?
এতক্ষণ পরে ইশান তার মুখ খুলে। ইশান এতক্ষণ বসে শুধু বোনকে গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করে গেছে। বোনের চোখে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে বিয়ের কথাটা শুনার পরপরেই বেদনার চাপ। ইশা ভাইয়ের দিকে এক নজর তাকিয়ে সাথে সাথে নিচের দিকে নজর দিয়ে বলে।
–হুম।
–ঠিক আছে যা। আর কালকের জন্য নিজেকে তৈরি কর।
ইশা উঠে দাঁড়ায়। এতোটুকু জায়গা মনে হচ্ছে যেন হাজার হাজার মাইল। পা দুটো ভেঙ্গে আসছে। বুক ফেটে কান্না আসছে তার। তীর ইশার অবস্থা বুঝে নিজেই এগিয়ে এসে ইশাকে নিয়ে ঘরে যায়। ইশার ঘরে আসতেই তীর দরজা লাগিয়ে দিয়ে বলে।
–রিফাত ভাইয়াকে কল কর এক্ষুনি।
ইশা ধপ করে ফ্লোরে বসে ডুকরে কেঁদে উঠে। তীর দ্রুত পায়ে ইশার পাশে বসে বলে।
–যেটা বলছি সেটা কর রিফাত ভাইয়াকে সবটা খুলে বল। এখন একমাত্র ভাইয়াই ভরসা। ওনি এই বিষয়টা জানলে নিশ্চয়ই কিছু একটা করতে পারবে।
–মানবে না কেউ আমাদের এই সম্পর্কটা আমি জানি।
–মনে হচ্ছে তুই ভবিষ্যৎ দেখে নিয়েছিস। আর মানবে না কেন রিফাত ভাইয়ার মতো একটা ভালো ছেলে তোর জন্য খুজে পাবে না কেউ। আর ওনার মতো তোকে কেউ ভালবাসবে না।
–কিন্তু ভাইয়া যখন জানতে পারবে এই বিষয়টা তখন ভাইয়া আর রিফাত ভাইয়ার মাঝের বন্ধুত্বের সম্পর্কটা যদি নষ্ট হয়ে যায়।
–এমনটা কিচ্ছু হবে না আমি বুঝাবো ইশান ভাইয়াকে। তুই রিফাত ভাইয়াকে বল সবটা আগে।
–খুব ভয় করছে তীর।
তীর ইশার চোখের জল মুছে দিয়ে বলে।
–এখানে ভয় পাওয়ার কিচ্ছু হয় নি। মনকে শক্ত করে রিফাত ভাইয়াকে কলটা কর আর আমি ওনার সাথে কথা বলবো। ওনি অবশ্যই বুঝবে বিষয়টা।
–হুম।
______
তীর রুমে এসে দেখে ইশান মুখ গম্ভীর করে ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে কোনো একটা কারণে প্রচুর বিরক্ত হয়ে আছে। কিন্তু তীরকে যে করেই হোক রিফাত আর ইশার ব্যাপারটা বলতে হবে না হলে যে তিন তিনটে জীবন নষ্ট হয়ে যাবে। তীর ভয়ে ভয়ে ইশানের সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলে।
–আপনার সাথে কিছু কথা আছে?
ইশান কাজ করতে করতে বলে।
–এখন না পরে শুনবো এখন বিজি আছি ।
–খুব ইম্পর্টেন্ট কথাটা যেটা আপনাকে এক্ষুনি বলতে হবে আমায়।
–বলচ্ছি তো পরে শুনবো।
–এখন শুনলে কি মহা ভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে আপনার।
ইশান হঠাৎ করেই দাঁড়িয়ে রেগে বলে।
–একটা কথা তোকে কত বার বলতে হয় হুম দেখতে পারছিস না আমি এখন বিজি আছি।
তীর বিস্মিত নয়নে ইশানের দিকে তাকিয়ে আছে সে কি এমন বলল যে ইশান এতে এতো রেগে গেলো। জাস্ট একটা কথাই তো বলতে চেয়েছে তার জন্য এতো রাগার কি আছে। ইশান জোর নিঃশ্বাস ছেড়ে বলে।
–যা এখান থেকে আমাকে একটু একা থাকতে দে প্লিজ।
তীর কিছু না বলেই ঘর থেকে চলে যায়। তার সাথে অযথাই রাগ দেখলো তো ইশান। ঠিক আছে আজকে আর এই ঘরে সে আসবে না কিছুতেই না থাকুক সে একা পারলে সারা জীবন একা থাকুক কেউ তাকে বিরক্ত করবে না। তীর চলে যেতেই ইশান সোফাতে বসে জোরে নিঃশ্বাস ছেড়ে দুহাত দিয়ে ঘামছে ধরে মাথার চুল। মাথাটা ফেটে যাচ্ছে যন্ত্রণায়।
ইশান সবটাই জানে ইশা আর রিফাতের সম্পর্কের ব্যাপারে। প্রথম দিকে সন্দেহ হয়েছিলো কিন্তু সবটা নিজের মনের ভুল বলে উড়িয়ে দিয়েছে কিন্তু যখন বুঝতে পারলো এটা তার মনের ভুল নয় বরং এটা সত্যি তখন প্রচুর রাগ হয়েছিলো। কিন্তু যখন গভীর ভাবে চিন্তা করে দেখলো এই ভালোবাসা নামক অনুভতি কারো হাতে নেই তখন রাগটা কমলো রিফাতের প্রতি। কিন্তু ইশান এটা চায় না অন্য কারোর মাধ্যমে সে ওদের সম্পর্কের ব্যাপারটা জানতে। ইশান চায় রিফাত নিজে এসে ওর কাছে সবটা স্বীকার করুক যে রিফাত ইশাকে ভালোবাসে। এতো দিনের বন্ধুত্বের সম্পর্কে কি রিফাতের এতো টুকু বিশ্বাস নেই ইশানের উপরে। এতোটা অবিশ্বাস করে ইশানকে যে এই কথাটা লুকিয়ে গেছে। তাই ইশানও দেখতে চায় রিফাত কি করে ইশার বিয়ের খবরটা জানার পর।
_____
তীর থমথমে মুখ নিয়ে ইশার ঘরে ঢুকে দেখে ইশা বেলকনিতে আর কান্না করতে করতে ফোনে কথা বলছে রিফাতের সাথে। তীরের খুব খারাপ লাগছে ইশার জন্য বেচারির অবস্থা এখন তার মতো হয়ে গেছে। আহারে ভালোবাসা সত্যি খুব অসহায়। ইশা ভাঙ্গা গলায় বলে।
–আমি এই বিয়ে করবো না কিছুতেই না।
ফোনের ওপর প্রান্ত থেকে রিফাত বুঝানোর স্বরে বলে।
–করতে হবে না তোমাকে এই বিয়ে। তোমার বিয়ে আমার সাথেই হবে ইশা।
–কিন্তু কি করে? কেউ যদি মেনে না নেয় তখন।
–তখন এটা তখন দেখা যাবে। এখন শান্ত হও আর কান্না বন্ধ করে আমার কথাটা শুনো মন দিয়ে।
–হুম।
–কালকে আমি আমার বাবা মাকে নিয়ে আসবো তোমার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে।
–ভাইয়া যদি রাগারাগী করে।
–করুক রাগারাগী কিন্তু আমি এই জীবনে তোমাকে ছাড়ছি না।আমার জীবনে তোমরা দুজনেই অনেক ইম্পর্টেন্ট। এই দুজনকে ছাড়া সত্যি আমি থাকতে পারবো না। আমি ইশানকে বুঝাবো আমার সর্বস্ব দিয়ে ওকে বুঝাবো। এই কাজটা আমার অনেক আগেই করা উচিত ছিলো। কিন্তু উপরওয়ালা হয়তো তখন চান নি কিন্তু এখন চেয়েছেন এটা সামনে আসুক।
–সত্যি কালকে আপনি আসবেন।
–হুম আসবো আর নিজেকে প্রস্তুত করেও রেখো এই রিফাত সিকদারের স্ত্রী হওয়ার জন্য।
বলেই কেটে দেয় রিফাত কলটা। ইশা ফোনটা বুকের মাঝে চেপে ধরে। কালকে তার ভাগ্যে কি আছে একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না কেউ না। নিজের পাশে কারো অস্তিত্ব টের পেয়ে দেখে তীর অসহায় মুখ নিয়ে ইশার দিকে তাকিয়ে আছে। তীর তপ্ত নিঃশ্বাস ছেড়ে বলে।
–ওনি আমার কথা শুনতে চায় নি। উল্টে অযথা রাগারাগি করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে।
ইশা নিঃশব্দে হেসে বলে।
–সমস্যা নেই। ভাগ্যে যা লিখা আছে তাই হবে। তোরও তো বিয়ে হয়ে যাবে হয়ে যাবে অন্য জনের সাথে কিন্তু ভাগ্যের চাকা কি করে উল্টে গেলো দেখ আর তুই এখন ভাইয়ার বউ হয়ে গেলি। হয়তো আমারও ভাগ্যের চাকা ঘুরে যেতে পারে।
হঠাৎ করেই ইশানের কন্ঠস্বর ভেসে আসে। ইশান এসেছে আর এসেই তীরকে ডাকছে। তীরকে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ইশা বলে।
–ভাইয়া এসেছে যা।
তীরের কোনো হেলদোল নেই। ইশা আবারো বলে।
–কি হলো যা? ভাইয়া ডাকছে তোকে।
তীর ইশার দিকে এক পালক তাকিয়ে হনহন করে ঘরের বাইরে যেতেই ইশানের মুখোমুখি হয়। তীরকে দেখে ইশান বলে।
–রুমে চল।
–কেন? একটু আগে আপনিই তো ঘর থেকে বের করে দিলেন এখন রুমে যেতে বলছেন কেন?
–এতো কথা না বলে চুপচাপ ঘরে চল।
–যাবো না কি করবেন?
–তীর রাগাস না আমাকে। তাই চুপচাপ ঘরে চল কোনো সিনক্রেট না করে এই রাতবিরাতে।
তীর নাক ফুলিয়ে কিছু বলতে গিয়েও কিছু বলে না। এই লোককে এখন তার অসহ্য লাগছে। দু চোখের বি*ষ লাগছে। তাই কিছু না বলেই হনহনিয়ে চলে যায়। ইশানও দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে নিজেও ঘরে চলে যায়।
ঘরে ঢুকে দেখে তীর ঘরে নেই বুঝতে পারলো বেলকনিতে তার অভিমানি প্রেয়সী আছে। ইশানও বেলকনিতে গিয়ে তীরের পেছনে ছুঁইছুঁই হয়ে দাঁড়ায়। তীর ইশানের আভাস ঢের পেয়েও কিচ্ছু বলে না, মুখ ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ইশান গলা খাকারি দিয়ে বলে।
–খুব রাগ আমার উপরে।
তীর নিশ্চুপ। কোনো কথা বলছে না। কেন বলবে সে এই লোকের সাথে কথা? সবসময় ইশান তার উপরে রাগ দেখায়। এবার না হয় ও একটু রাগ দেখাক ইশানের উপরে। ইশান পুনরায় বলে।
–কি হলো কিছু জিজ্ঞেস করেছি তো আমি।
তীর রাগী গলায় বলে।
–আমি কারোর প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য নই।
ইশান মুচকি হেসে তীরকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরতেই তীর তড়িৎ বেগে বলে।
–এই ছাড়ুন আমাকে একদম টাচ করবেন না।
তীরের কথা শুনে ইশান আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে তীরকে। ইশান তীরের কানের কাছটায় ঠোঁট ছুঁয়ে দিয়ে ফিসফিসিয়ে বলে।
–সরি।
তীর ইশানের পেটে কুনই দিয়ে গুতো মেরে বলে।
–আপনার কলার ছড়ি আপনার কাছেই রাখুন সযত্নে। আমাকে দিতে হবে না।
–তোর রাগের কারণটা কিন্তু আমি জানি আর একটু আগে কি বলতে চেয়েছিলি সেটাও জানি।
–কচু জানেন আপনি। যদি জানতেন তাহলে এভাবে বসে থাকতেন না কিছু একটা করতেন।
–কি করতে বলছিস তুই আমাকে?
তীর ইশানের দিকে ফিরে বলে ইশানের পেটের উপরে দু হাত রেখে বলে।
–সত্যি আপনি জানেন রিফাত ভাইয়া আর ইশুর ব্যাপারে।
ইশান মাথা উপর নিচ করে হ্যাঁ বুঝায়। তীর তা দেখে বলে।
–কি করে জানলেন?
–সেটা তোর না জানলেও চলবে।
–যদি জেনেই থাকেন তাহলে এভাবে চুপ করে আছেন কেন? বাড়ির সবাইকে বলে দেন কথাটা। ইশা কষ্ট পাচ্ছে খুব।
–তুইও কি কষ্ট পাচ্ছিস ইশুর পাশাপাশি।
–হুম।
–কষ্ট না করলে কেষ্ট মেলে না।
–আপনি চাইলেই কেষ্টটা মিলে যাবে। আর রিফাত ভাইয়া তো কত্ত ভালো একজন মানুষ। ইশুকে খুব ভালোবাসে। আর দেখতেও কত্ত সুন্দর আর হ্যান্ডসাম।
ইশান ভ্রু কুচকে সরু চোখে তাকালো তীরের দিকে। তীর ইশানের এমন চাওনি দেখে বুঝলো সে বেফাস কথা বলে দিয়েছে এবার এর থেকে নিস্তার কি করে পাবে? কেন যে মুখটা এতো বেশি চলে তার। যেখানে যেই কথাটা বলা দরকার নেই সেখানেই সেটা বলে দেয়। তীর মেকি হাসি দিয়ে কিছু বলতে যাবে তার আগেই ইশান মুখে হাসি রেখে বলে।
–রিফাত খুব সন্দর আর হ্যান্ডসাম তাই না।
–নাহ…. মানে…. আমি এভাবে বলতে চাই নি।
ইশান তীরের কোমড় ধরে নিজের কাছে এনে বলে।
–নেক্সট টাইম তোর মুখে অন্য কোনো পর পুরুষের প্রশংসা যেন না শুনি আমি বুঝতে পেরেছিস।
–হুম।
–আর রইলো ইশু আর রিফাতের ব্যাপারটা। চাইলেই আমি সবাইকে সবটা বলে দিতে পারতাম কিন্তু না আমি দেখতে চাই রিফাত কি করে? কত দূর পর্যন্ত রিফাত যেতে পারে? কি করে সবাইকে হ্যান্ডেল করে। ও যেহেতু আমাকে এই বিষয়টা আগে জানানোর প্রয়োজনবোধ করে নি তাহলে আমি কেন ওকে হেল্প করবো। তাই যা করার ওকে নিজেই করতে হবে। তবে ওদের দু জনের পাশে আমি থাকবো অলওয়েজ।
তীর স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ে ইশান যে ওদের পাশে আছে এটা শুনে। কিন্তু আগামীকাল যে ফরাজী ভিলাতে একটা ভয়াবহ টর্নেডো আসতে চলেছে সেটা খুব ভালো করেই জানে।
#চলবে______