ফিরে_আসা২ ২০ লেখা : অতন্দ্রিলা আইচ

0
471

#ফিরে_আসা২
২০
লেখা : অতন্দ্রিলা আইচ

সামনে ধোঁয়া ওঠা কফির কাপ। কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল, সূর্য উঠেছে তবে তার উত্তাপ আজ অসহনীয় বলে মনে হচ্ছে না। বরং মিষ্টি লাগছে। কফির কাপটা হাতে নিয়ে বারান্দায় বসে খবরের কাগজ পড়তে পড়তে সকালটা উপভোগ করা যায়। তবে সাম্রাজ্যের সম্রাজ্ঞীদের জীবনে উপভোগ বলতে কিছুই থাকে না। এই বিশাল কে ফিল্মসের অফিস যদি একটা সাম্রাজ্য হয়, সেই সাম্রাজ্যের সম্রাজ্ঞী অরা। ছোট-বড় সকল সিদ্ধান্ত তার ওপরে। আর সেখানে যদি বড় কোনো সমস্যা উদ্ভূত হয়ে পড়ে, তাহলে তো আর কথাই নেই। সম্রাজ্ঞীর রাতের ঘুম হারাম।

বিশাল সমস্যা তো বটেই। কে ফিল্মসের পরবর্তী সিনেমা ‘ছাই’য়ের শুটিং সেটে ঘটে যাওয়া অপ্রত্যাশিত ঝামেলার কোনো সমাধান হয়নি। ঝামেলা বরং আরও বেড়েছে। শুটিংয়ের জন্যে একটা গোটা গ্রামের সেট তৈরি করা হয়। প্রায় ত্রিশটার মতো নকল বাড়িঘর। কার্ডবোর্ড বা ককশিটের তৈরি। ওসব বাড়িঘরের মধ্যে ছিল ছয়টি আসল বাড়ি। যেখানে মানুষ সত্যিই বসবাস করতো। যারা সেট তৈরি করেছিল তারা বিষয়টাকে অগ্রাহ্য করেছে। হয়তো তাদের জানা ছিল না সেই পুরো সেটেই শুটিংয়ের প্রয়োজনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

সেটের নকল বাড়িঘর থেকে আগুন তার তেজস্বী ভঙ্গিতে ছড়িয়ে পড়ে ওই আসল বাড়িগুলোতেও। মানুষের জীবনের ক্ষয়ক্ষতি না হলেও তাদের মূল্যবান জিনিসপত্রের ক্ষতি হয়েছে। তারা মাথার ওপরের ছাদ হারিয়েছে। বাড়িহারা ওই মানুষগুলো এরপর থেকে শুটিং করতে দিচ্ছে না। একটা ক্যামেরা ভেঙে ফেলেছে। যে হোটেলে পরিচালক, অভিনয়শিল্পী এবং অন্যান্য কলাকুশলীরা রয়েছে, সেখানে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেছে।

অস্থির এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্যে গতকাল ঢাকা থেকে কালিয়াকৈরে গিয়ে পৌঁছায় কে ফিল্মসের প্রোডাকশন টিমের পাঁচজন সদস্য। এই প্রোডাকশন টিম একটি সিনেমা তৈরির মূল কাঠামোর ওপরে কাজ করে। বাজেট তৈরি হয়ে গেলে এই বাজেট কোন কোন খাতে ব্যবহার করা হবে সেই নিয়েই তাদের কাজ। এছাড়াও সেটে উদ্ভূত যেকোনো সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব তাদের।

সমাধান করতে গিয়ে উল্টো সমস্যা বাড়িয়ে এসেছে তারা। অরা তাদেরকে বলে দিয়েছিল, ওই বাড়িহারা মানুষদেরকে ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দিতে। প্রোডাকশন টিম প্রস্তাব না দিয়ে সরাসরি টাকাভর্তি একটা খাম তাদের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে থমথমে গলায় বলে, “এটা নিয়ে সোজা এখান থেকে চলে যান। কোনো বাড়তি ঝামেলা করবেন না।”

গরীব মানুষের আত্মসমানে আঘাত লাগে এমন ঘটনায়। তারা একত্রিত হয়ে প্রতিবাদের সুরে বলল, “আমরা কি ভিখারী না-কি? আমাগো ঘর পুড়ায় দিছেন, এহন নতুন ঘর বানায় দিবেন। ঘর না দেওয়া পর্যন্ত আপনেগো শুটিং বন্ধ!”

শুধু কথা পর্যন্ত ক্ষান্ত থাকেনি তারা। ইউনিট যে হোটেলে আছে তার সামনে মাটিতে চাদর বিছিয়ে অনশনে বসে গেছে। শুটিং সেটের কেউ আশেপাশে ঘেঁসলেও ইট-পাটকেল ছুঁড়ে মারছে।

চাইলেই তো আর নতুন বাড়ি তৈরি করে দেওয়া যায় না। বাড়ি তৈরি একটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। টিনের চালের বাড়ি হলেও সেটা বানাতে এক সপ্তাহ লাগে। এই এক সপ্তাহ শুটিং ইউনিট ওখানে আটকে থাকা মানে বিশাল ক্ষতি।

আজ সকালে অরা তাই জরুরি মিটিং ডেকেছে। প্রোডাকশন টিমের হেড সাদিক সাহেব চিন্তিত ভঙ্গিতে বসে আছেন। তার টিমের কারণে সমস্যার গভীরতা এতটা বেড়ে গেছেন। চিন্তা করাটাই স্বাভাবিক।

কফির কাপে ছোট চুমুক দিয়ে অরা শুকনো গলায় বলল, “চারদিন ধরে শুটিং বন্ধ হয়ে আছে। খরচ কিন্তু বন্ধ হয়নি। আপনারা তো কোনো সমাধানই বের করতে পারলেন না।”

শুটিং সেট মানেই হাজারটা খরচ। জেনারেটরের খরচ, হোটেলের খরচ, কলাকুশলীদের খরচ। শুটিং বন্ধ হয়ে আছে বলে যে এই খরচগুলোও বন্ধ হয়ে থাকবে এমনটা নয়।

সাদিক সাহেব ইতস্তত করে বললেন, “আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি ম্যাম।”

অরা তীক্ষ্ণ স্বরে বলল, “চেষ্টার কোনো ফল তো আমি দেখতে পাচ্ছি না সাদিক সাহেব। প্রয়োজন হলে যে ফ্যামিলিগুলো ক্ষয়-ক্ষতির স্বীকার হয়েছে তাদেরকে কম্পেন্সেশন দিন।”

সাদিক সাহেব ক্ষীণ জোর দিয়ে বললেন, “ম্যাম আমার বিশ্বাস ওই ফ্যামিলিগুলোর বাড়ি সেটের মধ্যে ছিল না। ওরা চক্রান্ত করে কম্পেন্সেশন পাওয়ার জন্যে নাটক করছে।”

অরা তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বলল, “গরীব মানুষের কাছে একেকটা দিনের মূল্য জানেন?”

বাড়িঘর পুড়ে গেছে বলে যারা অনশন করছে তাদের সকলের বসবাস দরিদ্র সীমার নিচে। কেউ কৃষক, কেউ দিনমজুর। এই মানুষদের কষ্ট আর কেউ না বুঝলেও অরা খুব ভালো করেই বোঝে। একটা সময়ে তো তাদের জীবনটাই যাপন করেছিল সে।

অরা আবারও বললেন, “আপনার ধারণা তারা কাজ-কর্ম বাদ দিয়ে এমনি এমনি অনশন করছে?”

সাদিক সাহেব আমতা আমতা করে বললেন, “না মানে ম্যাম…”

অরা তাকে থামিয়ে দিয়ে বলল, “যদি এমনটাই হয় তাহলে আসলেই ওই সেটের মধ্যে তাদের বাড়িঘর ছিল কিনা এই সত্যিটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন!”

“জি ম্যাম।”

অরা হতাশ ভঙ্গিতে বলল, “আমি অসম্ভব হতাশ। এই নিউজটা মিডিয়ার কাছে যায় কী করে? সামান্য ঘটনাটা আপনারা কনফিডেন্সিয়াল রাখতে পারলেন না? গতকাল পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। গতকাল আপনাদের টিমের মেম্বাররা পর্যবেক্ষণে গিয়ে কয়েকজন সাংবাদিককে ইন্টারভিউ দিয়ে এসেছে।”

সাদিক সাবধানে কপালের ঘাম মুছতে মুছতে বললেন, “এটা আসলে আমাদেরই ভুল ম্যাম। প্রেসের লোকরা কৌশলে আমাদের টিমের মেম্বারদের কাছ থেকে সব ইনফরমেশন নিয়ে গেছে।”

“ভুলটা আপনাদের। কিন্তু দোষারোপ করা হচ্ছে গোটা কে ফিল্মসকে। আজকের পত্রিকার হেডলাইন কী জানেন? ছয় পরিবারকে ঘরহারা করলো কে ফিল্মস। এটা কোনো কথা?”

“আমার একটা কথা ছিল ম্যাম।”

মুখ খুললেন কে ফিল্মসের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান রবিন সাহেব। এই লোকটার বিচক্ষণতার কারণে এক বছরের মাঝে পদোন্নতি হতে হতে আজ এ পর্যায়ে তিনি।

“বলুন রবিন সাহেব।”

রবিন সাহেব গুছিয়ে বললেন, “পরিস্থিতিটা আসলে একটু জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেটে যারা আটকে পড়েছে, বিশেষ করে আমাদের ডিরেক্টর আর প্রোডাকশন ডিজাইনার, তাদের পক্ষে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না। ওই ফ্যামিলির লোকজন তাদের ওপর চড়াও হচ্ছে। এখানে বসেও আমাদের পক্ষে সমাধান করা সম্ভব নয়। আমি বলি কী ম্যাম, আপনি নিজে স্পটে গিয়ে সমস্যার সমাধান করে দিয়ে আসুন। ওই ফ্যামিলিগুলোকে বুঝিয়ে বলুন।”

অরা বিভ্রান্ত গলায় বলল, “আমি বুঝিয়ে বললেই তারা বুঝবে কেন?”

“যদি কিছু মনে না করেন ম্যাম, আপনার তো একটা ফেস ভ্যালু আছে। আপনাকে দেখলেই বেশির ভাগ মানুষ চিনে ফেলে।”

বিভ্রান্তিতে তীব্রভাবে ডুবে গেল অরা। তার আবার পরিচিতি আছে না-কি? বড় বড় কোম্পানির কর্ণধারদের কেউ চেনে না তেমন একটা। তাহলে তাকে চিনতে যাবে কেন? পরমুহূর্তেই মনে পড়লো, তার যে আরেকটা পরিচিতি আছে, সেই পরিচিতির জন্যে চিনলেও চিনতে পারে। আরশাদ হকের স্ত্রীয়ের পরিচিতি।

রবিন সাহেব আবারও বললেন, “আমাদের প্রোডাকশন টিম যখন তাদেরকে ক্ষতিপূরণের কথা বলেছে, তখন তারা উল্টো ক্ষেপে গেছে। আপনি বুঝিয়ে বললে তারা বুঝতেও পারে।”

মিটিং সেরে নিজের কেবিনে এসে ডেস্কের ওপরে মাথা রাখলো অরা। ক্লান্তিতে শরীর ভেঙে আসছে। কিছু কিছু মানুষ কর্মক্ষেত্রের দুশ্চিন্তা কর্মক্ষেত্রেই ফেলে আসতে পারে। বাড়ি এসে এমন একটা ভাব করে যেন তার মাথার ওপরে কোনো চাপই নেই। অরা সেটা পারে না। কর্মক্ষেত্রের দুশ্চিন্তা সর্বক্ষণ কুড়ে কুড়ে খায় তাকে। বাড়ি ফিরেও শান্তি নেই। গভীর রাত অব্দি না ঘুমিয়ে কেবল সমস্যার সমাধান নিয়ে ভাবনা চিন্তা করে না।

ডোরবেল বেজে উঠলো। অরা সিসিটিভির দিকে তাকিয়ে দেখলো, বাইরে যুথী দাঁড়িয়ে।

অরা উঁচু স্বরে বলল, “Come in.”

যুথী দরজা সামান্য ফাঁক করে মাথা বের করে বলল, “ম্যাম আসি?”

“এসো যুথী।”

যুথী এসে অরার বিপরীতে থাকা চেয়ারগুলোর একটায় বসতে বসতে মুখ ভার করে বলল, “ম্যাম, এটা আমার সেক্টরের মধ্যে পড়ে না তবুও ইন্টারফেয়ার করতে বাধ্য হচ্ছি।”

“কী?”

“একবার এই নিউজটা পড়ুন প্লিজ।”

যুথী তার ফোনটা বাড়িয়ে দিলো অরার দিকে। নিউজটা যে একেবারে ভিত্তিহীন তা বোঝার জন্যে পুরো নিউজ পড়ার দরকার নেই। হেডলাইনটাই যথেষ্ট। নিউজের হেডলাইন “আরশাদ হক এবার আগুন দিলেন দরিদ্র মানুষের ঘরে?” মিথ্যা নিউজ নিয়ে যাতে কেউ তাদের প্রশ্ন করতে না আসে, তাই নিউজের শেষে একটা অহেতুক প্রশ্নবোধক চিহ্ন জুড়ে দেওয়া। অরা ফোনটা ফিরিয়ে দিলো যুথীর
কাছে।

যুথী বিরক্ত ভঙ্গিতে বলল, “আরশাদ স্যার না-কি প্ল্যান করে ওই বাড়িগুলোতে আগুন লাগিয়েছে! কোনো মাথামুন্ডু আছে এই নিউজের?”

অরা ক্ষীণ হাসি হেসে বলল, “অথচ এদিকে যে এত কান্ড ঘটে গেছে, সে ঠিকমত জানে কিনা সন্দেহ।”

কয়েক মুহূর্ত পর অরা কী যেন মনে করে বলল, “যুথী?”

“জি ম্যাম?”

“কোন পত্রিকা?”

“জাগরণ।”

অরা তাচ্ছিল্যের স্বরে বলল, “ওহ! তাই বলো। অন্যান্য পত্রিকা টার্গেট করছে কে ফিল্মসকে। আর তাদের টার্গেট আরশাদ। এটাই স্বাভাবিক। গত পাঁচ-ছয় বছরে তাদের একটাও ইন্টারভিউ দেয়নি আরশাদ। ওর কোনো সিনেমার প্রেস কনফারেন্সেও ডাকা হয় না তাদের।”

“কেন ম্যাম?”

অরা নির্বিকার ভঙ্গিতে বলল, “ওকে নিয়ে মিথ্যা নিউজ করেছিল, তাই।”

নওশীনের সঙ্গে আরশাদের ডিভোর্সের পর তাকে নিয়ে একরাশ পত্রিকা মিথ্যা নিউজ করেছিল। তবে সবার আগের নিউজটা এই দৈনিক জাগরণই করেছিল।

যুথী ক্ষিপ্ত কণ্ঠে বলল, “এদের ব্যাপারে তো সবাইকে সতর্ক করে দেওয়া উচিত। একের পর এক মিথ্যা নিউজ করে জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে!”

অরা ক্লান্ত ভঙ্গিতে বলল, “পাত্তা দিতে হয় না যুথী। জীবনে তুমি যতই সফল হয়ে যাও না কেন, দুয়েকটা ফালতু লোক থাকবেই তোমাকে টেনে-হিঁচড়ে নিচে নামানোর জন্যে। সবাইকে পাত্তা দিলে কি আর জীবন চলে?”

যুথী দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, “সেটাই! এই সমস্যার কোনো সমাধান হলো ম্যাম?”

“আপাতত না।”

“প্রোডাকশন টিম তাহলে এতদিন বসে কী করলো?”

অরা বিরক্ত ভঙ্গিতে বলল, “তাদেরকে সমস্যার সমাধান করতে পাঠিয়েছিলাম। উল্টো সমস্যা বাঁধিয়ে এসেছে তারা। যে ফ্যামিলিগুলো অনশন করছে তাদের সাথে উল্টো ঝগড়া বাঁধিয়েছে। ওরা এতে আরও ক্ষেপে গিয়ে, যে হোটেলে আমাদের আর্টিস্ট আর ডিরেক্টর আছেন, সেই হোটেলে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেছে।”

যুথী অবাক ভঙ্গিতে বলল, “এ তো ভয়াবহ অবস্থা!”

অরা শুকনো গলায় বলল, “ভয়াবহ তো বটেই। আমাদের ম্যানেজমেন্ট হেড রবিন সাহেব অবশ্য একটা ভালো কথা বলেছেন। এখানে বসে তো আমরা কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারবো না। আমি নিজে যদি ওখানে যাই, ওই ফ্যামিলিগুলোকে বুঝিয়ে বলি তাহলে না-কি সমস্যার সমাধান হবে। আমার না-কি কী সব ফেস ভ্যালু আছে।”

“আছেই তো ম্যাম!”

“আমার সেটা মনে হয় না।”

যুথী হাসিমুখে বলল, “কী যে বলেন ম্যাম! সুপারস্টার আরশাদ হকের ওয়াইফ আপনি। আপনাকে চেনে না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়। আপনি গেলেই ওরা এই অনশন বন্ধ করবে।”

“তাহলে আমার যাওয়া উচিত বলছো?”

“অবশ্যই ম্যাম!”

চাইলে তো যাওয়াই যায়। এর আগেও শুটিং সেটের নানা সমস্যা সমাধানের জন্যে অরা নিজে সেটে গিয়েছিল। তবে অন্যান্য বারের তুলনায় এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। এবার অরা একা নয়। তার মাঝে লুকিয়ে আছে আরও একটি প্রাণ। অরা নিজেকে সামলে নিতে পারবে। সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে যাতে বাবুর কোনো কষ্ট না হয়। তবে সামলাতে যাকে পারবে না, সে হলো আরশাদ।

আরশাদ কি রাজি হবে অরার এ সিদ্ধান্তে? কখনোই না। আরশাদকে রাজি করানোর থেকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ জয় করে আসা সহজ। তবুও অরা মনে মনে ঠিক করলো, সে চেষ্টা করবে। কে ফিল্মস নিঃসন্দেহে তার সন্তানের থেকে কম কিছু নয়। সন্তানকে বিপদ থেকে রক্ষা করার সব দায়িত্বও তো তার।

(চলবে)

[আবারও কথা রাখতে পারলাম না। আমি জানি আজ অনেকেই বলবেন গল্পটা পড়ার আগ্রহই হারিয়ে ফেলেছেন। সেটাই স্বাভাবিক। আমার ইরেগুলারিটির কারণে অনেকেই গল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবেন। আমি যে ইচ্ছা করে গল্প দিচ্ছি না বা না দিয়েও যে খুব শান্তিতে আছি, ব্যাপারটা কিন্তু তা না। গল্প লিখতে না পারার জন্য প্রতি মুহূর্তে আমার মাঝে একটা অস্বস্তি কাজ করে। ভোর বেলা উঠে কলেজে যাওয়া আর পরীক্ষার প্রিপারেশন নিতে নিতেই দিনটা কীভাবে যেন শেষ হয়ে যায়। আমি তবুও একটা বুদ্ধি বের করেছি। আমার একেকটা পর্ব সাধারণত ২০০০ শব্দের বেশি হয়। এখন থেকে ছোট ছোট পর্ব লিখবো। যাতে প্রতিদিন পোস্ট করা সম্ভব হয়। এক সপ্তাহ পরেই আমার শীত কালীন ছুটি শুরু হবে। তখন ইনশাল্লাহ নিয়মিত লিখতে পারবো। আশা করি আপনারা কখনো আমার পাশ থেকে সরে যাবেন না। ❤️]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here