মিশেছো_আলো_ছায়াতে #Writer_Sintiha_Eva #part : 53

0
351

#মিশেছো_আলো_ছায়াতে
#Writer_Sintiha_Eva
#part : 53

🍁🍁🍁

আড্ডার মাঝেই হঠাৎ রোদেলার ফোন বেজে ওঠে। রোদেলা ফোন রিসিভ করে পাশে যায়। ফোনের ওপাশ থেকে কিছু শুনে রোদেলা হন্তদন্ত হয়ে সবার কাছে আসে। ব্যস্ত গলায় বলে,,,,,

রোদেলা : তুহিন চল

তুহিন : কোথায় যাবো আর কি হয়েছে তোর।

রোদেলা : উফফস এতো কথা বলিস না চল। দরকারি কাজ পড়ে গেছে।

মেঘা : কিসের দরকারি কাজ। আর কোথায়ই বা যাবি।

রোদেলা : আরেহ বললাম তো দরকারী কাজ। বিশ্বাস নেই নাকি আমার উপর তোদের। গেলে বল যাবি নয়তো আমি একা যেতে জানি। ( রেগে)

রোদেলার ধমকে তুহিন উঠে দাঁড়ায়।

তুহিন : সবগুলো এক ধাতুর তৈরি। ত্যাড়া বাঁকা কথা এদের র/ক্তে মিশে আছে চল।

মেঘা : আমি ও যাবো। তোকে আমি ঠিক লাগছে না।

রোদেলা : থাপ্পড় খেতে না চাইলে চুপ থাক ( ধমকে)

রোদেলার ধমকে মেঘা ঠোঁট উল্টে নেয়। রোদেলা অসহায় দৃষ্টিতে তন্ময়ের দিকে তাকায়। তন্ময় ও মুখ ফিরিয়ে নেয়। রোদেলা গাল ফুলিয়ে জোরে একটা শ্বাস নেয়। মেঘা সামনে বসে মেঘার হাত দুটো মুঠোয় নেয়। শান্ত স্বরে বলে,,,,

রোদেলা : আজ বাদে কাল তোর বিয়ে। এখন যদি কনে হয় বাইরে যাস আয়াশ ভাইয়ার ফ্যামিলির লোকেরা কি ভাববে। আমরা একটু হসপিটালে যাবো। একটা অপারেশন করতে হবে। আমি একাই যেতাম বাট আসতে আসতে রাত হয়ে যাবে তার জন্য তুহিন কে নিয়ে যাচ্ছি। তোর ওখানে না গেলেও চলবে। হয়েছে।

মেঘা : এটা তো বুঝিয়ে বললেই পারতি। শুধু শুধু ধমকালি কেনো। ( নিভু নিভু গলায়)

রোদেলা : আচ্ছা বাবা সরি জান। এই যে কান ধরছি। আমার ভুল হয়েছে।

_______

মেঘাকে চুপ দেখে রোদেলার খারাপ লাগে। বুঝিয়ে বললেই হতো। কেনো যে ধমকাতে গেলো। কিছু একটা ভেবে কান ধরে সুর তুলে বলে,,,

“মেঘা সোনা রাগ করে
তুই রাগলে চাঁদ হাসে না
তোর হাসি যে চাঁদের খণি
তুই তো আমার চোখের মণি। ”

মেঘা হেসে রোদেলার দিকে তাকায়। মেঘাকে হাসতে দেখে রোদেলা স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়ে। মেঘার গোছালো চুলগুলো এলোমেলো করে উঠে দাঁড়ায়। তন্ময়ের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তন্ময়ের মাথায় একটা গাট্টি মেরে চলে যায়।

তন্ময় : সব কটা হা/রা/মি।

______________

বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে যায়। কিন্তু আদি, তুহিন, রোদেলা কারোরই ফেরার নাম নেই। তিনজনের নাম্বারে সবাই লাগাতার ফোন দিচ্ছে কিন্তু কেউ ধরছে না। মেঘা টেনশনে কেঁদে দেয়। ওর ভয় হচ্ছে। কিছু খারাপ হয়নি তো আবার। নাহলে এরা ফোন ধরবে না কেনো।

আদিবা : ও শাওন ভাইয়া এরা কেউ এখনো আসছে না কেনো। মেঘাপি তো কাঁদছে। ইশশ বেচারীর আজ মেহেদী আর দেখো কি অবস্থা।

মেহের : কেউ ফোন টা তো ধরবে। এরা কি যে পায় আমার টেনশন দিয়ে।

আপাতত এখানে সব ছোটরা আছে। বড়রা বিয়ের কাজে উপরে ব্যস্ত। ছোটরা বলতে আদিবা, শাওন, মেহের, তুহা, ইশান, তিন্নি, রিক, আয়াশ, সায়ন, মিম, আদ্র, তন্ময়, সিনহা, মেঘা, রাদিফ, তুষার, শায়লা, আয়াজ, ইফাজ, রোজ, তরী, সূর্য, আফিন, আহান। সূর্য এসেছে আদিবার উডবি সূত্রে। তাছাড়াও আয়াশের দাওয়াতে ওদের আসা।

সবাই মেঘাকে সান্ত্বনা দিচ্ছে কিন্তু মেঘার কান্নার নাম নেই। হঠাৎ সবাই কেমন চুপ হয়ে যায়। চারপাশ নিস্তব্ধ হয়ে যায়। যেনো এখানে কেউ নেয়। কিন্তু তাতে মেঘার কি ও এখনো মাথা নিচু করে কাঁদতে ব্যস্ত। আচমকা ওর পাশে ধপাস করে কেউ বসে পড়ে।

_ কি ব্যাপার বলতো ইন্জিনিয়ার এক বাচ্চার বাপের বউ না হওয়ার জন্য কাঁদছিস নাকি।

অনাকাঙ্ক্ষিত মুহূর্তে অনাকাঙ্ক্ষিত কন্ঠস্বরে মেঘার কান্না থেমে যায়। নিজের কানকে যেনো বিশ্বাস করতে ওর কষ্ট হচ্ছে। হতবাক দৃষ্টিতে পাশ ফিরে তাকাতেই দ্বিতীয় দফায় চমকায়। ছিটকে উঠে দাঁড়ায়। সামনের ব্যক্তিও উঠে দাড়ায়। মেঘা হতবাক হতবুদ্ধি। এটা কি স্বপ্ন হুমম স্বপ্নই হবে। এটা বাস্তব কিভাবে হবে। আচমকা সামনের ব্যক্তি ওর হাতে চিমটি কাটে।

মেঘা : আহ।

_ আরেহ এটা বাস্তব কল্পনা নয়।

আচমকা মেঘা সামনের ব্যক্তিকে ঝাপটে ধরে সর্বশক্তি দিয়ে। এতে করে সেই ব্যক্তি কয়েকপা পিছিয়ে সিঁড়ির রেলিঙের সাথে বারি খায়। ব্যথায় চোখ মুখ কুঁচকে নেয় তবুও হেসে মেঘার পিঠে হাত রেখে জড়িয়ে ধরে। কাঙ্ক্ষিত স্পর্শে মেঘা বাচ্চাদের মতো শব্দ করে কেঁদে দেয়।

মেঘা : স সিমথি।

সিমথি : তো কি আমার ভূ/ত আসবে। বাহ রে ম/র/লা/ম কখন।

মেঘা : ব বাজে ক কথা বলবি না। শ/য়/তান।

সিমথি : ন্নি হবে

মেঘা : কি

সিমথি : মানে আমি তো মেইল নয় ফিমেল তাই শ/য়/তা/ন নয় শ/য়/তা/ন্নি হবে।

মেঘা কিছু না বলে সিমথিকে আরো জড়িয়ে ধরে। সিমথিও চুপ হয়ে যায়। চোখ বুঁজে একটা প্রশান্তির শ্বাস ছাড়ে। এতোগুলো মানুষের ভালোবাসা পেয়েও হারানোর স্বার্থ ওর নেই। তাই হয়তো জীবন ওকে দ্বিতীয় বার সুযোগ দিয়েছে।

সিমথি : মেঘা এবার থাম বোন। নয়তো পদ্মা নদীতে পানি কম পড়বে। নৌকা চলাচল ব্যাহত হবে। কতগুলো মাছ মা/রা যাবে। ভাবতে পারছিস।

মেঘা সিমথিকে ছেড়ে ওর বাহুতে থাপ্পড় মারে। সিমথি হেসে মেঘার চোখের পানি মুছিয়ে দেয়।

সিমথি : তুই আমার সামনে কখনো কাঁদবি না। সহ্য হয় না আমার।

মেঘা হেসে দেয় কিন্তু চোখ দিয়ে পানি উপচে পড়ছে। সিমথি বাকি সবার দিকে তাকায়। কি আজ সবাই এমন থমকানো দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে কেনো। সবাই সিমথির দিকে তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে চোখের সামনে ভূত দেখেছে। অসহায় দৃষ্টিতে দরজার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আদি, তুহিন, রোদেলার দিকে তাকায়। তিনজনের মুখে হাসি উপচে পড়ছে। সিমথি কপাল চাপড়ে গুটিগুটি পায়ে সায়নের কাছে গিয়ে দাঁড়ায়। সায়নের গাল ধরে জোরে টেনে ধরে।

সায়ন : আহ পরী।

সিমথি হেসে দেয়। ভ্রু নাচিয়ে বলে,,,

সিমথি : এভাবে হা করে তাকিয়ে আছিস কেনো। আমাকে জড়িয়ে ধরবি না।

সায়ন এক মুহুর্ত বিলম্ব না করে সিমথি কে জড়িয়ে ধরে।

সায়ন : এ এসব কখন হলো। আ আমাদের জানালি না।

সিমথি সায়নের বুকে থেকেই হেসে উঠে। ভাইয়ের গলা কাঁপছে। সিমথি বিড়ালের মতো মুখ উঁচু করে ইফাজ, রোজ, তরীর দিকে তাকায়। তিনজনই ছুটে এসে সায়ন সহ সিমথিকে জড়িয়ে ধরে। রোজ আর তরী তো কেঁদেই ওঠে। চার ভাই-বোনের ভালোবাসায় সিমথি আরেকটা প্রশান্তির শ্বাস নেয়। ইফাজ সিমথির মাথায় স্নেহের পরশ বুলায়। এদিকে রোজ, তরী নাক টেনে কেঁদে যাচ্ছে। সিমথি দেয় এক ধমক।

সিমথি : ওই কান্না থামা। বেঁচে গে/লে কাঁদে। ম/র/তে যখন বসেছিলাম তখনও কাঁদে। আরে কান্না জমিয়ে রাখ এখনই তো আর বিয়ে দিচ্ছি না।

সিমথির কথায় তরী আর রোজ গাল ফুলায়। বাকিরা ধ্যান ভেঙে হেসে উঠে। সিমথি তরী আর রোজের গালে স্নেহের হাত রাখে।

সিমথি : কাঁদিস না। আমার সহ্য হয় না। তাই বকেছি। সরি।

ব্যস আর কি দরকার প্রিয় বোনের আদর মাখা কথায় রোজ আর তরী হেঁসে দেয়।

সিমথি এবার ইশানের কাছে যায়।

সিমথি : দেবর জ্বি কি ব্যাপার বলোতো।

এতো দিন পর দেবর জ্বি ডাকটা শুনে ইশানের মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠে। ইশানের হাসি দেখে সিমথি ও হেঁসে দেয়। অতঃপর বাচ্চাদের দিকে তাকায়। তিনজনের উদ্দেশ্য বলে উঠে,,,,

সিমথি : আমার বাচ্চা সেনাবাহিনীরা এতো চুপচাপ কেনো। কাকিয়া, মামণি কে ভুলে গেছে নাকি।

সিমথির কথায় আয়াজ, ইনিমা, তিন্নি কাকিয়া, মামণি বলে দৌড়ে এসে সিমথিকে ঝাপটে ধরে। সিমথি কিছু টা পেছনে হেলে পড়ে যেতে নিলেও নিজেকে সামলে বাচ্চাদের জড়িয়ে ধরে।

তিন্নি : কোথায় ছিলে তুমি এতোদিন।

ইনিমা : জানো মামণি আমরা মাকে বাপিকে সবাই কে জিজ্ঞেস করতাম তোমার কথা কিন্তু কেউ বলতো না।

আয়াজ : মা দমক ( ধমক) মালতো ( মারতো)

তিনজনের কথায় সিমথির মন টা খারাপ হয়ে যায়। তবুও মুখে হাসি ফুটিয়ে তিনজনের কপালে চুমু খায়।

সিমথি : কাকিয়া কাজে ছিলাম সোনা। এই যে এসে গেছি।

তিন্নি : আবার চলে যাবে

সিমথি : কোথায় যাবো। তোমাদের ছেড়ে আর যাবো না।

তিনজনই খুশিতে লাফিয়ে উঠে। সিমথি আদ্রকে কোলে নিয়ে আদর করে। আদ্র এতোদিন পর পিপপি কে দেখে গোল গোল চোখে তাকিয়ে থাকে। আধো আধো স্বরে বলে উঠে,,,,

_ পিপপি।

সিমথি : কি রে তন্ময় তোর বাচ্চা কই।

তন্ময় : ______

সিমথি : আরেহ মেয়েদের মতো গাল ফুলিয়ে আছিস কেনো।

তন্ময় : রোদ, তুহিন জানতো। ( গাল ফুলিয়ে)

সিমথি : কি

তন্ময় : নাটক করিস না।

সিমথি : আমি কি কোনো অভিনেত্রী যে নাটক করবো। সাত মাসে পা/গ/ল হয়ে গেলি নাকি ভাই। ইশশ রে সিনহার ভবিষ্যৎ টা অন্ধকার হয়ে গেলো। সিনহা আম সরি বোন আমি বুঝিনি ও এভাবে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলবে।

সিমথির কথা বলার ভঙ্গিমায় সবাই হেসে দেয়। তন্ময় রেগে তাকায়। গটগট পায়ে এগিয়ে সিমথির মাথায় আস্তে করে থাপ্পড় মারে। সিমথি ভ্রু কুঁচকায়। তন্ময় গাল ফুলিয়ে আচমকায় জড়িয়ে ধরে। তন্ময়ের দেখাদেখি মেঘাও এসে জড়িয়ে ধরে।

রোদেলা : বাহ রে বাহ আমরা দুজন বাদ

তন্ময় : হুম তোরা বাদ।

তুহিন : ওই ওই সর দুজন জায়গা দে আমাকে ছাড়া কোনো গ্রুপ হাগ হবে না।

রোদেলা : হা/রা/মি আমাকে নয় আমাদের বল। ইংলিশ গ্রামারে ব্যাপক দুর্বল তুই সিঙ্গুলার প্লুয়ার্ল বুঝিস না। ছ্যা ছ্যা।

তুহিন চোখ গরম করে তাকায়। রোদেলা ভেংচি কেটে দ্রুত পায়ে মেঘার সাইড থেকে সিমথিকে জড়িয়ে ধরে। তুহিন মাথা চুলকে তন্ময়ের দিক থেকে জড়িয়ে ধরে। বন্ধুত্বের এতো সুন্দর বন্ধন দেখে সবার চোখ জুড়িয়ে তন্ময় : তখন এটার জন্য ই এভাবে চলে গিয়েছিলি।

তুহিন : হুমম।

মেঘা : আমাদের বললি না কেনো।

রোদেলা : সিমথি বারণ করেছিলো।

সিমথি : রোদ – তুহিন বারণ করেছে।

দুজনের দুরকম কথায় চারজন সিমথিকে ছেড়ে ছিটকে সরে দাঁড়ায়। রোদেলা, তুহিন রাগী দৃষ্টিতে সিমথির দিকে তাকায়। মেঘা আর তন্ময় ও রাগী দৃষ্টিতে তিনজনের দিকে তাকায়। সিমথি মাথা নিচু করে ঠোঁট কামড়ে ধরে। মাথা দুপাশে নাড়িয়ে একে একে চারজনের দিকে তাকায়। চারজনের দৃষ্টি দেখে সিমথি শুকনো হাসে। সিডর, আয়লা, ঘূর্ণিঝড়, সুনামি সবই ওর উপর আসতে চলেছে। বুঝতে সিমথি বাকি নেই। সিমথি জোরে একটা শ্বাস নেই। চারজনই চেচিয়ে সিমথির উপর ঝাপিয়ে পড়ে। ততক্ষণে সিমথি মাথা নুইয়ে ওদের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে আয়াশের পাশে এসে দাঁড়ায়। ফলস্বরূপ চারজনই মেঝেতে পড়ে একজন আরেকজনের উপর। চারজনের অবস্থা দেখে সবাই শব্দ করে হেসে উঠে। একদম প্রাণখোলা হাসি।

সিমথি : পারফেক্ট গা/ধা-গা/ধীর বাচ্চা।

চারজনই একসাথে সিমথির নাম ধরে চেঁচিয়ে উঠে।

ওদের হাসাহাসির শব্দে মেঘা-আয়াশের ফ্যামিলির সবাই নিচে আসে। সিমথি কে দেখে হতভম্ব দৃষ্টিতে সিমথির দিকে তাকিয়ে থাকে। সিমথি সবার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে উপরে এসে হাফ ছাড়ে। মাগো মা পুরো দেড় ঘন্টা। সিমথি যেতেই সায়নরা আদির দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকায়। মুহূর্তেই আদির হাসি হাসি মুখটা নিভে যায়। এখন ওর বারোটা বাজবে। সায়ন কিছু বলার জন্য মুখ খুলতে নিলে আদি বলে উঠে,,,,

আদি : আসি সিয়াজান। তোর বোন ডাকছে। সী নিডস মি। বাই বাই।

আদি এক দৌড়ে উপরে চলে যায়। নিচে সবাই হতভম্ব দৃষ্টিতে আদির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। সিমথি কখন ডাকলো ওকে। আদির মিথ্যাচার ধরতে পেরে সবাই শব্দ করে হেঁসে উঠে। আদি উপরে এসে দেখে সিমথি গুনগুনিয়ে চারপাশ টা দেখছে। আদি দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে পূর্ণ দৃষ্টিতে সিমথির দিকে তাকায়। বুকের ভেতর রঙবেরঙের প্রজাপতি উড়ছে ওর। এতোদিনের শূন্য বুকটা আজ পূর্ণ হয়েছে। এই মেয়েটা না থাকলে আদি নির্ঘাত মা/রা যেতো। সাতটা মাসে আদি তা ঢেড় বুঝতে পেরেছে। সিমথি দরজার দিকে তাকিয়ে দেখে আদি ওর দিকে তাকিয়ে আছে। সিমথি আদির দিকে তাকিয়ে হাসে। আদি দরজা লাগিয়ে সিমথির কাছে এসে দাঁড়ায়। সিমথি ফট করে বলে উঠে।

সিমথি : আমার তো কোনো জামা-কাপড় আনা হয়নি। আমি শাওয়ার নেবো। শরীর ম্যাচ ম্যাচ করছে।

আদি হেঁসে সিমথির কোমড় আঁকড়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়।

আদি : মাইন্ড ডিভাইভ করতে চাইছো।

সিমথি : না না। আ আর মাইন্ড কেনো ড ডিভাইভ করবো।

আদি : সিয়াজান

সিমথি : হ হুমম।

আদি : আর কখনো ছেড়ে যাস না। সত্যি বলছি ম/রে যাবো সেদিন।

হুট করে সিমথিকে আদিকে জড়িয়ে ধরে।

সিমথি : যাবো না তো। এই যে চলে এসেছি।

আদি : সত্যি।

সিমথি : তিন সত্যি। কিন্তু আপনার এই হাল কেনো। ঠোঁট কালো হয়ে গেছে কেনো। চোখ দেখে তো মনে হচ্ছে গর্তে ঢুকে গেছে।

ঠোঁটের কথা শুনে আদি ঘাবড়ে যায়। সিমথি ভ্রু কুঁচকায়। আদি কথা কাটাতে দুষ্টুমি করে বলে,,,,

আদি : বাহ আমার বউয়ের নজর ডিরেক্ট ঠোঁটে এসে পড়লো।

সিমথি : ছিহ আদি। তুমি একটা যাতা।

আদি : তোরই তো।

সিমথি : কেনো অন্য কারো হবার ইচ্ছে ছিলো নাকি। লাইক শ্রেয়া।

আদি চোখ মুখ কুঁচকে নেয়। সিমথি আদির রিয়াকশন দেখে হেসে দেয় শব্দ করে। আদি মুগ্ধ দৃষ্টিতে সিমথির দিকে তাকায়। কতদিন পর এই হাসি হাসি মুখটা দেখলো। সিমথি আদির দিকে তাকায়। দুজনের মাঝে কিছুক্ষণ দৃষ্টি বিনিময় হয়। আচমকা সিমথি নাক টেনে টেনে কিছু খোঁজার চেষ্টা করে। আদি শরীর শুকে। গন্ধ টা আদির শরীর থেকে আসছে মনে হচ্ছে।

সিমথি : তোমার শরীর থেকে কেমন একটা গন্ধ আসছে। এটা কিসের স্মেল

আদি থতমত খেয়ে যায়। গায়ের গন্ধ টা যে সিগারেটের এটা বুঝতে আদি বেগ পেতে হয়নি। আদি তৎক্ষনাৎ সিমথিকে ছেড়ে দূরে সরে দাঁড়ায়। সিমথি ভ্রু কুঁচকায়।

আদি : ফ ফ্রেশ হয়ে নাও। আমি আসছি তোমার জামা-কাপড় নিয়ে।

আদি দ্রুত পায়ে চলে যায়। সিমথি ঠোঁট উল্টে ওয়াশরুমে চলে যায়।

চলবে,,,

( ভুলক্রটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here