মিশেছো_আলো_ছায়াতে #Writer_Sintiha_Eva #part : 49

0
360

#মিশেছো_আলো_ছায়াতে
#Writer_Sintiha_Eva
#part : 49

🍁🍁🍁

জাফর : কি ব্যাপার বড় ভাইয়া আপনি ঘামছেন কেনো।

জাফরের কথায় সবাই নীরব খানের দিকে তাকায়। নীরব খান কপালের ঘাম টুকু মুছে আমতা আমতা করে বলে,,,,

নীরব খান : ক কোথায় ঘা ঘামছি।

সায়ন : কিন্তু আঙ্কেল মা-বাবার খু/নী কে এটার কি হলো।

সিমথি : খু/নী তো সামনেই আছে।

ইফাজ : কিহ।

জাফর : শান্ত হও সবাই। সিমথি চিপ টা অন কর।

সিমথি মাথা নাড়িয়ে সায় দেয়।

সিমথি : তরী তিন্নিকে আমার রুমে রেখে আয়।

তরীর কথানুযারী তিন্নিকে তরী সিমথির রুমের দিকে নিয়ে যায়। সিমথি চিপ টা হাতে নিয়ে টিভির দিকে এগিয়ে যায়। চিপটা লাগিয়ে টিভির রিমোট হাতে নিয়ে অন করার আগেই মাথায় কিছু ঠেকানোতে সিমথির হাত থেমে যায়। সবাই চমকে সিমথির দিকে তাকায়।

নীলয় খান : যে যেখানে আছো সেখানেই থেমে যাও। নয়তো গু/লি চলে যাবে।

ইফাজ : আব্বু কি করছো তুমি। সিমথির মাথায় রিভলবার ঠেকালে কেনো।

নীলয় খান : কাজ টা আমার আগেই করা উচিত ছিলো। কিন্তু,,,

সিমথি : চিপটার জন্য আটকে ছিলেন তাই তো মিস্টার এন.কে অরফে নীলয় খান।

সিমথির মুখে এন.কে ডাকটা শুনে উপস্থিত সবাই হতভম্ব হয়ে যায়। সিমথি পেছন ঘুরে নীলয় খানের দিকে তাকায়। ফলে রিভলবার গিয়ে সিমথি কপালে ঠেকে।

রোজ : আ আব্বু গ গুলি লেগে যাবে।

সিমথি : এখন কি করবেন।

নীলয় খান : চিপ টা দাও।

সিমথি : আপনি কি ভাবেন আপনি বাঁচতে পারবেন।

নীলয় খান : অবশ্যই বাঁচবো। হয় বাঁচবো নয়তো
মা/র/বো৷

সিমথি : মে/রে ফেলা টা আপনার রক্তে মিশে গেছে।

জাফর : এন.কে রিভলবার সরাও। পুরো বাড়ি আর্মি ফোসে ঘিরে ফেলেছে। তোমার বাঁচার কোনো পথ নেই।

নীলয় খান : আমি বাঁচবো। বাঁচার জন্যই তো আহনাফ আর তানহা কে মা/র/লাম।

ড্রয়িংরুমে এবার দ্বিতীয় বিস্ফোরণ ঘটে। সায়ন দুপা পিছিয়ে সিঁড়ির সাথে লেগে যায়। ইফাজ, রোজ সহ সবাই অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে নীলয় খানের দিকে তাকায়। আচমকা পেটে ঘুষি খেয়ে নীলয় খান মুখ থুবড়ে ফ্লোরে পড়ে যায়। সিমথি জ্যাকেটের পেছন থেকে রিভলবার বের করে নীলয় খানের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে। চোখে-মুখে হিংস্রতা ফুটে উঠে। নীলয় খান শুকনো ঢোক গিলে। সিমথি হেসে রিভলবার দিয়ে নীলয় খানে পুরো মুখে স্লাইড করতে করতে বলে,,,

সিমথি : বলেছিলাম না আপনার জীবনের আয়ু দুই মাস সাত দদিন ষোলো ঘন্টা তেরো মিনিট বাইশ সেকেন্ড পর মিডিয়া সমেত পুরো শহর কাঁপবে। ইশান ভাইয়া টিভি টা চালাও। আর হুম অবশ্যই নিউজ চ্যানেলে দেবে।

সিমথির কথায় ইশান টিভি চালিয়ে নিউজ চ্যানেলে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে ভেসে আসে এন.কে গ্যাঙের একের পর এক সদস্যসহ সকল কালো ব্যবসায়ের নিউজ একের পর এক ভেসে আসছে। সিমথি ভ্রু নাচিয়ে নীলয় খানের দিকে তাকায়। নীলয় খান আতঙ্কিত দৃষ্টিতে সিমথির দিকে তাকিয়ে টিভির দিকে নজর দেয়। টিভিতে নীলয় খানের ছবি ভেসে ওঠেছে। সায়নরা স্তব্ধ দৃষ্টিতে টিভির দিকে তাকিয়ে আছে। নীলয় খানের পাশে সায়নের মা-বাবার ছবি ও আছে। সবার কানে এখনো একটা কথায় বাজছে ” মেজর আহনাফ কান আর এডভোকেট তানহা খানে মৃত্যুর জন্য দায়ী এন.কে অরফে নীলয় খান। ”

সিমথি : না করেছিলাম বেশী উড়বেন না। মুখ থুবড়ে পড়বেন। পড়লেন তো। আমি কিন্তু আমার কথা রেখেছি ঠিক সময় শহর জুড়ে তুফান তুলেছি।

নীলয় খান : আ আমাকে ছাড়।

সিমথি : ছেড়ে দেবো। আপনাকে। এতো সহজেই

নীলয় খান : তুই আ আমাকে মা/র/তে পারবি না।

সিমথি : আমি যদি আপনাকে মিডিয়ার সামনে আনতে পারি তাহলে আপনাকে আমি মা/রতে ও পারি। বলেছিলাম না আমার ইমোশান নিয়ে যে খেলে তাকে আমি ছাড় দেইনা। আপনি আমার সবচেয়ে বড় দুর্বলতাকে নিয়ে খেলেছেন। দুজন মৃত ব্যক্তি জীবিত আছে বলে আমার সাথে মাইন্ড গেইম খেলেছেন। আমার শৈশব কেড়ে নিয়েছেন। নিজের পাপ ডাকতে বড় মাকে আগুনে পুড়িয়ে মে/রে এক্সিডেন্টের নাম দিয়েছেন। তরীর মা-বাবা কে মে/রেছেন। তাছাড়া ও আন্ডারগ্রাউন্ডের কৃতকর্মের তো অন্ত নেই আপনার। আর এই সবকিছু তে আপনার সঙ্গী ছিলো মিসেস সীমা বেগম। আপনার সঙ্গী মিসেস সীমা বেগম কাল নিজের শাস্তি পাবে আর আপনি আজ।

ড্রয়িংরুমে একের পর এক ঝড় তুলছে সিমথি। ইফাজ আর রোজ আহত দৃষ্টিতে নীলয় খানের দিকে তাকায়। নীলয় খান চমকে সিমথির দিকে তাকায়। সিমথি বাঁকা হেসে নীলয় খানের বুক বরাবর রিভলবার তাক করে। নীলয় খান ভয় পেয়ে যায়। সায়নরা নির্জীব দৃষ্টিতে ওদের দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে। রহিমা বেগম মুখে আঁচল চেপে কেঁদে দেয়।

রহিমা বেগম : ছিহ বড় খোকা তুই নিজের ভাই কে কিভাবে মা/র/তে পারলি। তানহা কে আমি সহ্য করতে না পারলেও কখনো মা/র/তে চাইনি। আর তু,,,

সিমথি : তুহিন মিসেস বেগম কে রুমে দিয়ে আয়।

সিমথির কথামতো তুহিন রহিমা বেগম কে রুমে নিয়ে যায়। সিমথি সেদিকে একপলক তাকিয়ে রোজের দিকে তাকায়। বাচ্চা মেয়েটা এতো বড় ধাক্কা টা নিতে পারেনি। ইফাজ & সায়ন ও কেমন নিস্কিয়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। মনে হচ্ছে তিনজনের কারোর দেহেই বুঝি প্রাণ নেই। সিমথি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে রিভলবার টা নীলয় খানের বুকে চেপে ধরে।

নীলয় খান : আ আমার ভু ভুল হয়ে গেছে ছেড়ে দাও।

নীলয় খানের কথায় সিমথি ব্যতিত সবাই নীলয় খানের দিকে ঘৃণিত দৃষ্টিতে তাকায়। এতোকিছু কেড়ে নেবার পর কিভাবে কেউ বলতে পারে মাফ করে দিতে। ইফাজ রোজকে আঁকড়ে ধরে এক সাইড থেকে। অন্য সাইডে সায়ন আঁকড়ে ধরে। প্রাণপ্রিয় দুই ভাইয়ের সংস্পর্শে রোজ হুহু করে কেঁদে ওঠে। নীলয় খান আহত দৃষ্টিতে রোজের দিকে তাকায়। সব কিছু যেমন তেমন নিজের মেয়েকে ওনি প্রচন্ড ভালোবাসে।

ইফাজ : কাঁদিস না। এসব মানুষের জন্য চোখের পানি ফেললে ও উপরওয়ালার গায়ে লাগবে। পাপ হবে এতে।

সিমথি : রেড রোজ হয় কান্না থামা নয়তো রুমে যা। ( শান্ত গলায়)

রোজ : আ আমি চ চলে গ গেলে এই ম মানুষ নামে অ/মানুষ টার আ আসল রূপ টা জানবো কিভাবে সিমথি আপু৷

রোজের কান্না মিশ্রিত কন্ঠস্বরে সিমথির রাগ আরো বাড়িয়ে দেয়। রোজ সিমথির সবচেয়ে আদরের। এই মেয়েটার সামান্য কষ্ট ও সিমথির সহ্য হয় না।

সিমথি : কান্না থামা রেড রোজ।

নীলয় খান : সিমথি ছাড় আমাকে।

সিমথি : বাহ রে ধরলাম কোথায় যে ছাড়ার প্রশ্ন আসছে।

নীলয় খান : রিভলবার সরা।

সিমথি : কেনো ভয় লাগে। উহুমম আমি তো ভাবছি আপনাকে জ্বলন্ত আগুনে ছেড়ে দেবো। বড় মা কে যেভাবে গ্যাসের সিলিন্ডার ব্রাস্ট করিয়ে ছিলেন।

নীলয় খান : আমি ওকে মা,,

সিমথি : ওই চুপ। আপনার কৈফিয়ত চাইনি আমি। আপনার বানানো গল্প নিজের কাছে রাখুন। এতোদিন নিজে বলেছেন করেছেন মেনে নিয়েছি। আপনাকে আমি লাস্ট ওয়ার্নিং ও দিয়েছিলাম আমার ইমোশনে আঘাত না করতে। কিন্তু কথায় আছে না কু/ত্তার লেজ কখনো সোজা হয় না। লাইক ইউ।

নীলয় খান : সিমথি ( চেঁচিয়ে)

সিমথি : ওইইই ( দ্বিগুণ চেঁচিয়ে )

সিমথির চেঁচানো তে সবাই ঘাবড়ে যায়। জাফর ইকবাল সিমথি কে কিছু বলতে নিলে সিমথির তাকানো দেখে ঘাবড়ে যায়।

সিমথি : আপনার ডিউটির হিসেব পরে মিটিয়ে নেবেন। আগে আমাকে আমার হিসেব মেটাতে দেন। একে আমি জানে মা/র/বো না। আমাকে হেফাজতে কেবল মাত্র একদিন রাখবো তারপর আপনার টিমের হাতে তুলে দেবো।

জাফর ইকবাল : কি করবি এই একদিন।

সিমথি : আমার কাজের কৈফিয়ত আমি কাউকে দেয় না।

জাফর ইকবাল সিমথির গম্ভীর কণ্ঠে দমে যায়। বিড়বিড়িয়ে বলে উঠে,,,

_ বাপের সবগুলো গুণ আয়ত্ত করেছে। এক আহনাফ চলে গেলে কি হবে বংশে আরেক টা রেখে গেছে। ভাই তুই ধন্য।

ইফাজ : আমাদের মাকে কেনো মা/র/লেন

নীলয় খান : আমি মা/রিনি

সিমথি : আবার মিথ্যা। ওই সত্যি টা নিজে নিজে স্বীকার করুন বলছি ( ধমকে)

নীলয় খান দমে যায়। এখন না বললে সিমথি যখন তখন হামলা করতে পারে এটা নীলয় খান জানে। সিমথির রাগান্বিত চোখ মুখ দেখে নীলয় খান ভয় পেয়ে ঘাবড়ে যায়। সিমথিকে আজ হুবহু আহনাফের কার্বন কপি মনে হচ্ছে। সেই তেজ, সেই গাম্ভীর্যতা সব আহনাফের সাথে মিলে গেছে।

নীলয় খান : আ আমিই এন.কে গ্যাংয়ের বস। তোদের মা হঠাৎ এটা জেনে যায় যে আমি আহনাফ আর তানহার পেছনে গুন্ডা লাগিয়েছি। তোদের মা আমাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করলে আমি না করি তখনই ও আমাকে শাসায়। আহনাফ আসলে সব জানিয়ে দেবে। সেই সঙ্গে এটা ও বলবে আমি এন.কে গ্যাংয়ের সদস্য। আমি ওকে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করি আমি যা করছি আমাদের ভালোর জন্য। কিন্তু তোর মা মানতে চাইনি। তখনই প্ল্যান করে সীমাকে দিয়ে কিচেনে কেরোসিন ঢেলে দেয় আর গ্যাসের পাইপ লাইন কেটে দেয়। যখন তোদের মা রান্নাঘরে গ্যাস জ্বালাতে আসে তখনই ব্রাস্ট হয়। আর তোদের মা,,,,

সব শুনে ইফাজ ঘৃণায় মুখ সরিয়ে নেয়। রোজ ইফাজকে আরো জোরে আঁকড়ে ধরে। বাকিরা স্তব্ধ হয়ে যায়।

তরী : আ আর আমার ম মা – বাবাকে

নীলয় খান : তোদের মা সবটা জেনে যায় আর এটা ও জেনে যায় যে রেহানার ( ইফাজের মা) মৃত্যুর জন্য আমি দ্বায়ী। যদি ও আমি কেবল তোর মাকে মা/র/ তে চেয়েছিলাম কিন্তু তোর বাবা আর সিমথি মাঝ খান দিয়ে চলে আসে। ওই দিন গাড়িটা তোর মা/কে মা/রতে ধেয়ে আসছিলো কিন্তু মাঝ রাস্তায় সিমথি চলে যাওয়ায় তোর মা-বাবা দুজনই সিমথি কে বাঁচাতে ছুটে যায় তবে নিজেরাই স্পট ডেথট হয়।

তরী মুখ চেপে কেঁদে দেয়। সিমথি চোখ বুঁজে জোরে একটা শ্বাস নেয়।

সিমথি : মা- বাবাকে মে/রে আপনি মাঝ রাস্তায় ফেলে ওদের উপর দিয়ে চলন্ত গাড়ি চালিয়ে দিয়েছিলেন। তারপর মা-বাবা কে তাদের গাড়িতে উঠিয়ে পুরোটা কাহিনি কে এক্সিডেন্ট বলে চালিয়ে দেন। তারপর কয়েক বছর চুপ থাকলেও আপনি আবারো এসবে জড়ান। আমি বড় হয়ে মাফিয়ায় যোগ হওয়াতে আপনার ব্যবসায় লালবাতি ধরে। তারজন্যই সেদিন আমাকে গাড়ি এক্সিডেন্ট করিয়ে মা/র/তে চেয়েছিলেন তাই তো। তারপর সাজেকেও আপনি আপনার লোকদের পাঠিয়েছিলেন কিন্তু সেখানে আমার লোকেরা তাকায় আপনি কিছু করতে পারেননি। বাট এসবের আগে আপনি বাই এনি চান্স উইদ এনি ক্লু আপনি জানতে পারলেন চিপ টা আমার কাছে আছে। তার পর আপনি মা-বাবা জীবিত আছে এই জগন্য গেইম টা খেললেন। সেদিন রেস্টুরেন্টে ওই ছেলেটাকে আপনিই পাঠিয়েছিলেন। আবার ছেলেটাকে দিয়ে নিজের কার্যসিদ্ধি করে মে/রে ও দিলেন। তারপর আমাদের বাড়িতে ওই পেনড্রাইভ পার্সেল করে পাঠিয়েছিলেন। যেখানে মা-বাবা জীবিত থাকার ভিডিও ছিলো।

নীলয় খান : হ্যাঁ সব আমি করেছি কিন্তু আ,,

সিমথি : কিন্তু আপনার চালে ভুল ছিলো আপনি যতই সর্তকতা অবলম্বন করুন না কেনো এতো বছর আগের ভিডিও টা এতোটা নতুন করতে পারেননি। যার জন্য আমি দুদিনেই জেনে যায় সবকিছু আপনার নাটক। কেবল মাত্র চিপ টা পাওয়ার জন্য। আরেহহ আপনার তো এতোটুকু জানা উচিত ছিলো আপনি যার পেছনে লেগেছেন তার বাবা অনেক আগেই আপনাকে বেঁধে ফেলেছিলো।

______

সিমথি : ওয়াট এভার। অনিল

সিমথির ডাকে একটা ছেলে ভেতরে আসে। সবাই ছেলেটার দিকে তাকায়।

অনিল : জ্বি ম্যাম বলুন।

সিমথি : ওয়েট করো একটু কিছুক্ষণ।

আচমকা গুলির আওয়াজে সবাই চমকে যায়। সবাই আঁতকে উঠে। নীলয় খান এক হাতে নিজের বাহু চেপে ধরে। সিমথি বাঁকা হেসে পুনরায় ট্রিগারে চাপ দেয়। নীলয় খান শুয়ে চেঁচিয়ে উঠে। ডান হাত দিয়ে বাম হাত চেপে ধরে তবুও রক্তপাত হচ্ছে অবিরাম। সবাই আঁতকে সিমথির দিকে তাকায়। সিমথির চোখ-মুখ স্বাভাবিক। সায়নরা শুকনো ঢোক গিলে। সিমথি সিটি বাজিয়ে রান্নাঘরের দিকে এগিয়ে যায়। মরিচের কৌঠা দেখে সবাই ঘাবড়ে যায়। সিমথি কিলার স্মাইল দেয়। নীলয় খানের সামনে বসে। সযত্নে ক্ষত হাত টা নিজের কোলে নেয়। অতঃপর অনুতাপের স্বরে বলে, ,,

সিমথি : আহা রে চাচাজি কষ্ট হচ্ছে। ব্যাপার না আমি থাকতে আপনাকে এতোটুকু কষ্ট কিভাবে দেয় আফটার অল ইউ আর মাই চাচাজ্বি।

আচমকা নীলয় খান গগনবিদারী চিৎকার দিয়ে উঠে। ক্ষত জায়গা জ্বলে যাচ্ছে। সিমথি পুরো ক্ষত স্থানটা মরিচে আবৃত করে অনিলের দিকে হাত বাড়ায়। অনিল তখনই হাতে ব্যান্ডেজের সরঞ্জাম দেয়। সিমথি তুষ্ট হেসে অনিলের দিকে তাকায়। অনিল শুকনো ঢোক গিলে। সিমথি গুনগুনিয়ে নীলয় খানের হাতটা ব্যান্ডেজ করে দেয়।

নীলয় খান : প প্রিন্সেসসসস,,

সিমথি : হুশশশ,,, ডোন্ট কলড মি প্রিন্সেস। এটা আমার বাবাইয়ের ডাক। আপনার মুখে আমি এটা শুনতে চাইনা। হুশশশশ।

নীলয় খান : আম আমার হাত জ্ব জ্বলে যাচ্ছে। দ দয়া ক কর ম মা।

সিমথি হেসে দেয়।

সিমথি : দয়া আপনাকে। উহুমম করলাম তো। সামনে আমার দুটো ফ্যামিলির মানুষ আছে তারজন্য এখনো জীবিত রেখেছি। এটা কি কম দয়া। আমার অত্যাচার তো এখনো বাকি রইলো। সময় আসুক। তারপর আমার এতোবছরের যন্ত্রণা সবটা শুধে আসলে উসুল করবো।

নীলয় খান : স স সিমথি

আচমকা সিমথির ফোন বেজে উঠে। সিমথি উঠে দাঁড়ায়। ফোন হাতে নিয়ে রিসিভ করে কানে লাগায়।

সিমথি : হুমম তন্ময় বল।

_____

সিমথি : ওহহ৷ আচ্ছা টেনশন নিস না। আমি ওদের পাঠাচ্ছি। তুই যা।

____

সিমথি : আরে চিন্তা করিস না। ওদের পাঠাচ্ছি আমিও আসবো। বাই।

সিমথি ফোন কেটে মেঘাদের দিকে তাকায়।

সিমথি : তোরা তিনজন হসপিটালে যা কুইক। সিনহা পেইন উঠেছে।

মেঘা : কিন্তু তুই

সিমথি : একজন গাইনোলকজিস্ট হিসেবে এটা তোর কর্তব্য মেঘা। সো গো

অগত্যা মেঘা বেরিয়ে যায়। তুহিনদের দিকে তাকাতে ওরাও মেঘার পেছন পেছন যায়। ওরা চোখের আড়াল হতেই সিমথি পুনরায় হসপিটালে কল লাগায়। কথার মাঝেই হঠাৎ গু/লির আওয়াজে সবাই আঁতকে উঠে। সিমথির হাত থেকে ফোন পড়ে যায়। সবাই ভয়ার্ত দৃষ্টিতে সিমথির দিকে তাকায়।

আদি : সিয়াজাননন

সায়ন : পরী

চলবে,,,,,

( আমার ফোনে প্রবলেম হয়েছিলো। গল্প পোস্ট করতে পারছিলাম না। তারজন্য দুদিন গল্প দিতে পারিনি। ভুলক্রটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ। হ্যাপি রিডিং )

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here