প্রেম_প্রার্থনা #তামান্না_আঁখি #পর্ব-৪৬

0
330

#প্রেম_প্রার্থনা
#তামান্না_আঁখি
#পর্ব-৪৬

সারা স্তব্দ হয়ে ছাদে একা দাঁড়িয়ে আছে। রবিনের বলা কথা গুলো তার ভিতরটা পুড়িয়ে দিয়েছে। সারা টলতে টলতে ছাউনির নিচের বিছানাটায় গিয়ে ধপ করে বসে পড়লো। তারপর মাথা নিচের দিকে দিয়ে ডুকরে কেঁদে দিলো। আস্তে আস্তে কান্নার শব্দ বাড়তে থাকলো। রবিন যে চারুর প্রতি দূর্বল তা সে অনেক আগেই বুঝতে পেরেছিলো।তাও মনের মাঝে কিছুটা আশা ছিলো। কিন্তু আজ রবিনের মুখ থেকে শুনে তার তার বুকের ভিতর জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে। খুব কষ্ট হচ্ছে তার।এত দিনের ভালোবাসা এত দিনের আকাঙ্খা পূর্ণতা পাবে না এটা ভাবতেই তার দম বন্ধ হয়ে আসছে। চারপাশের সবকিছুকেই তার কাছে অর্থহীন লাগছে। সারা ডান হাতে বুকের বামপাশ চেপে ধরলো। তার #প্রেম_প্রার্থনা কি তাহলে বৃথা যাবে? রবিন কোনোদিনও সাড়া দিবেনা? ফিরেও তাকাবে না? সে তো বেশিকিছু চায় না। কি এমন হতো যদি চারুর জায়গায় সে থাকতো!খুব বেশি ক্ষতি হয়ে যেতো কি? রবিন কি চারুর পরিবর্তে তার প্রতি প্রেম অনুভব করতে পারতো না? কেন সেটা চারুর প্রতিই অনুভব করলো? সারার দোষটা কোথায়? সারা অঝোর ধারায় কাঁদতে লাগলো। চোখের পানির সাথে তার অন্তরের কষ্ট যদি গলে বের হয়ে যেতো তাহলে হয়ত কিছুটা স্বস্তি মিলত।

_______

চারু পড়ার টেবিলে বসে পড়ছিলো।কিন্তু সে মনোযোগ রাখতে পারছে না। বারবার তার চোখ চলে যাচ্ছে একটা বইয়ের দিকে।সেই বইয়ের ভিতরে চিরকুটটা রাখা। চারু বইটা টেনে নিয়ে আবারো চিরকুটটা বের করলো। এই নিয়ে অনেকবার হয়ে গেছে তারপরও তার চিরকুটটা পড়ার সাধ মিটছে না।যতবারই পড়ছে ততবারই যেন নতুন লাগছে। চারু সাবধানে চিরকুটটা খুললো। চিরকুটের লেখাগুলো পড়তে গিয়ে তার গাল লাল হয়ে গেলো।চোখেমুখে লাজুকতা ছড়িয়ে গেলো। একটা মানূষ কিভাবে এসব লিখতে পারে? চারুর যে এত লজ্জাশরম কম চারু নিজেই তো এসব লিখতে পারবে না। চারু ঠাস করে চিরকুটটা টেবিলে উলটে রাখলো।চোখ বন্ধ করে বড় করে শ্বাস নিলো। অনুভূতির অত্যাচারে তার হৃদয়ের অবস্থা এমনিতেই নাজেহাল তার উপর এইসব অসভ্য চিরকুট পাঠাচ্ছে রবিন।

ফোনের কর্কশ ভাইব্রেশনে চারু বিছানার দিকে তাকালো। একটু ঝু্ঁকে ফোনটা টেনে নিলো।নাম্বার টা দেখে তার চোখ রসগোল্লার সাইজ হয়ে গেলো। রবিনের নাম্বার থেকে কল এসেছে।এত বছর পর। চারু ধরবে কিনা দ্বিধায় পড়ে গেলো।তাছাড়া এই সময় কল দেয়ার কারণ ই বা কি? চারু কল রিসিভ করে কানে ধরলো কিন্তু কোনো শব্দ করলো না।ওপাশ থেকেও কোনো কথা ভেসে আসলো না কেবল ভেসে আসলো পুরুষালি ঘন নিঃশ্বাসের শব্দ। সেই নিঃশ্বাসের শব্দ শLS