#প্রেম_প্রার্থনা
#তামান্না_আঁখি
#পর্ব-৮
মোস্তফা কামাল হৈ চৈ করতে করতে সৈয়দ বাড়িতে ঢুকল। দেখেই বুঝা যাচ্ছে উত্তেজনার চোটে তিনি দাঁড়াতে পারছেন না। উঠোন থেকে ই “ভাবি ভাবি” ডাকতে ডাকতে বাড়ি মাথায় তুলে বসার ঘরে এলো। পিছু পিছু ঢুকল তার স্ত্রী সামিরা। মোস্তফা কামালের হৈচৈ শুনে বাড়ির গৃহিণী রা যে যেখানে ছিল ছুটে এলো। সাজেদা খাতুন সামিরা কে দেখে হাসি মুখে বললেন-
“তোরা আইসা পড়ছস? খবর দিয়া আসলি না যে? তোর বাবার অসুখ কেমন এখন?”
সামিরা ব্যাগ রেখে এগিয়ে এসে বলল-
“বাবা আগের চেয়ে ভাল আপা।”
রাজিয়া বেগম এসে মোস্তফা কামাল কে পানি এগিয়ে দিল।মোস্তফা কামাল তাড়াতাড়ি করে পানি খেয়ে আবারো চিৎকার করে বলল-
“ভাবি, তোমরা থাকতে এত বড় ঘটনা কেম্নে ঘটল? বড় ভাইজান কি আটকাইতে পারল না? চারু মাইর খাইল জ্বর বাঁধাইল তোমরা আমারে জানাইলা না পর্যন্ত। ফারু না জানাইলে ত জানতাম ই না।”
বলেই রাগে মুখ ফুলিয়ে এদিক ওদিক তাকাতে লাগল। সামিরা স্বামীর এসব দেখে বিরক্ত। সে তার জা দের দিকে তাকিয়ে বলল-
“রাস্তার মোড় থাইকা এম্নে চেচামেচি করতাছে আপা। গোটা গ্রামের মানুষরে জানায়া দিছে।”
মোস্তফা কামাল সোফায় বসে রাগে উসখুস করেই যাচ্ছেন। তার আদরের ভাতিজি এভাবে মার খেয়েছে তার ব্যাপারটা হজম হচ্ছে না।
রনি কোথা থেকে দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ল মোস্তফা কামালের উপর। ছেলেকে দেখে মোস্তফা কামালের রাগ কিছুটা পড়ে গেল। তিনি ছেলের গালে চুমু খেলেন। রনি বাবাকে ছেড়ে মায়ের কাছে গেল। সামিরা বেগম ছেলে কে জড়িয়ে ধরলেন। ছেলের গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। ছেলেকে কোলে নিয়ে সোফায় বসলেন। তার বাবা অসুস্থ হওয়ার কারনে তাকে বাপের বাড়ি যেতে হয়েছিল। সেখানে গিয়ে বাবাকে নিয়ে ব্যস্ততার কারনে ছেলেকে দেখাশোনা করার সুযোগ পাওয়া যাবে না বলেই বড় দুই জা এর কাছে ছেলেকে রেখে গেছেন।
ছেলেকে আদর করার পাশাপাশি জা দের সাথে টুকটাক কথা বলছেন তিনি। এমন সময় শাহজাহান আলী এসে ঢুকল ঘরে। সামিরা বেগম ঘোমটা টেনে উঠে দাঁড়িয়ে সালাম দিল। মোস্তফা কামাল ও উঠে দাঁড়িয়ে সালাম দিল। শাহজাহান আলী সোফায় বসে সামিরা বেগমের দিকে চেয়ে জিজ্ঞেস করলেন-
“তোমার বাবার শরির এখন কেমন?”
“আলহামদুলিল্লাহ ভালো ভাইজান।”
মোস্তফা কামাল এইবার মুখ খুল্লেন। বড় ভাইয়ের সামনে যথেষ্ট কঠিন স্বর বের করার চেষ্টা করল। কিন্তু সফল হল না। যতটুকু স্বর বের হল তা দিয়েই বললেন-
“ভাইজান আপনি থাকাকালীন চারুর গায়ে কেম্নে হাত উঠে? আর আমারেও কেউ জানাইলো না পর্যন্ত। ফারু না জানাইলে ত জানতেই পারতাম না।”
শাহজাহান আলী গম্ভীর গলায় বললেন-
“দূর থেকে জার্নি করে আইছো এত উত্তেজিত না হয়ে আরাম করে বসো।”
মোস্তফা কামাল বসতে বসতে বললেন-
“ছোট ভাইজান কাম টা ঠিক করে নাই। বাড়ির মেয়ের গায়ে হাত। আমি এটার শেষ দেখে ছাড়ব।”
শাহজাহান আলী মোস্তফা কামালের দিকে তাকালেন। তার এই ভাই টা ছোট ছোট জিনিসে উত্তেজিত হয় বেশি। বড় বড় বিষয়ে তার তেমন কোনো বিকার নেই কিন্তু ছোট বিষয়ে তার উত্তেজনার সীমা নেই। কেউ খুন হয়ে গেলে তার তেমন কিছু উত্তেজনা হবে না । কিন্তু কাওকে কুকুরে কামড়ে দিয়েছে এটা নিয়ে তার উত্তেজনার সীমা থাকবে না। শাহজাহান আলী বিরক্ত গলায় বললেন-
“যা হয়ার হইছে। জামান নিজেও মেয়েরে মাইরা কষ্ট পাইছে। তুমি আর কিছু বলে ঝামেলা কইরো না। দূরে থেকে আসছো ঘরে গিয়ে বিশ্রাম করো, যাও।”
শেষের কথা টা ধমকের স্বরে বলে তিনি ঘর ত্যাগ করলেন। সামিরা বেগম রনিকে নিয়ে ঘরে গেলেন।
চারু স্কুল থেকে এসে তার ছোট চাচ্চুকে দেখে এক প্রকার লাফিয়ে উঠল। তার ছোট চাচ্চু তার কাছে জাদুর বাক্স, এইখানে যা চাওয়া হয় তাই পাওয়া যায়। সে তার চাচ্চুকে ঘিয়ে কিছুক্ষন লাফাল, বিভিন্ন গল্প করল,তার বাবা তাকে মেরেছে এই নিয়ে অভিযোগ ও করল। তারপর বাড়ির সবাই মিলে খেয়ে দেয়ে যার যার রুমে গেল। চারুর রুমে মন টিকল না। সে ফারহানার রুমে গিয়ে আড্ডা দিতে বসল। ফারহানা আর সে মিলে মুভি দেখতে আরম্ভ করল।
সন্ধ্যার আগ মুহূর্ত । চারদিকে সন্ধ্যার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে। তখনি উঠোন থেকে চিল্লানোর আওয়াজ আসল। চারু ফারহানা দৌড়ে বারান্দায় এসে রেলিং ধরে উঁকি দিল উঠোনে। তাদের মা চাচিরা হায় হায় করছে আর বাপ চাচা রা তড়িঘড়ি করে চিন্তিত মুখে কোথায় যেন যাচ্ছে। এত চেঁচামেচিতে চারুর কানে একটা কথা ভেসে এল-
“রবিনকে পুলিশে ধরে নিয়ে গেছে।”
___________________
রবিন ওসি সাহেবের টেবিলের সাম্নের চেয়ারে বসে আছে। তার পাশে দাঁড়ানো তার সঙ্গীরা। রবিন বাম হাতের আংগুল দিয়ে টেবিলে ক্রমাগত টোকা দিয়ে যাচ্ছে। ওসি সাহেব একবার সেদিকে তাকিয়ে আবার রবিনের দিকে তাকিয়ে বললেন-
“মিস্টার রবিন, তাহলে আপনি বলছেন যে আপনি কোনো অপরাধ করেন নি?”
রবিন বিরস মুখে বলল “না” । কিন্তু টোকা দেয়া থামাল না।
পাশের চেয়ার থেকে তুহিন বলল-
“কইলেই হইল। তুই যে অপরাধ করছস এইটার প্রমান ত আমার আর সজলের মাথা।”
রবিন মুখ তুলে তুহিন আর সজলের চকচকে ন্যাড়া মাথায় তাকাল। সে টোকা দেয়া বন্ধ করে ফিক করে হেসে দিয়ে বলল-
“তোরে ন্যাড়া মাথায় হ্যান্ডসাম লাগতাছে। আশা করা যায় এখন মেয়েরা তোরে একবার দেখেই পটে যাবে।”
রবিন সহ ওর চ্যালার হো হো করে থানা কাঁপিয়ে হাসল। ওসি সাহেব টেবিলে থাবা দিয়ে বললেন-
“দেখুন আপনার নামে মি. তুহিন অভিযোগ দায়ের করেছে অথচ আপনি বলছেন আপনি নির্দোষ।”
রবিন বলল-
“আপনার কাছে কোনো প্রমান আছে যে আমি অপরাধী?”
ওসি সাহেব তুহিনকে বললেন-
“মি. তুহিন আপনার সাক্ষীদেরকে পেশ করুন।”
তুহিন বিকালে তার সাথে থাকা ছেলেগুলোর দিকে তাকাল।
ওসি সাহেব তাদের প্রশ্ন করল-
“আপনারা কি দেখেছেন মি. রবিন কে আক্রমন করতে?”
রবিন ঘাড় ঘুরিয়ে ঠান্ডা চোখে ছেলে গুলোর দিকে তাকিয়ে থাকল। ছেলে গুলো রবিনের দৃষ্টি দেখে বলল তারা শুধু দেখেছে কেউ একজন দৌড়ে আসতে কিন্তু ওইটা রবিন কিনা তারা দেখেনি এর আগেই তারা জায়গা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল।
তুহিন টেবিলে থাবা দিয়ে বলল-
“এরা মিথ্যা সাক্ষি দিতাছে। আমার আর সজলের মাথাই ত প্রমান। ও আমার মাথার চুল না ফালাইলে আর কে ফালাইব?’
রবিন কৌতুকের কন্ঠে বলল-
” কোথায় কোন মেয়ের সাথে আকাম করতে গিয়ে হয়ত ধরা খাইছস। তাই হয়ত ধইরা মাথা ন্যাড়া কইরা দিছে। এখন আমারে দোষ দিলে ত চলব না।”
তুহিন দাঁত কিড়মিড় করে উঠল। সে বলল-
“আর আমার গাড়ির কাচ কে ভাংছে? রবিন্যা তুই ভাংছস।”
তখনি একটা কন্সটেবল রুমে ঢুকল। ওসি কে স্যালুট দিয়ে বলল-
“স্যার, মি. তুহিনের গাড়ি আমরা অক্ষত অবস্থায় রাস্তার যেখানে ছিল সেখানেই পেয়েছি। কোনো ভাঙ্গাচোরা নেই।”
তুহিন বিশ্ময়ে হা হয়ে গেল। তুহিনের মুখের ডিজাইন দেখে রবিন হেসে দিয়ে বলল-
“গাঁজা টাজা খাস নাকি? দিনের বেলা স্বপ্ন দেখস।”
তারপর ওসির দিকে তাকিয়ে বলল-
“দেখুন ওসি সাহেব আমি চেয়ারম্যান এর ছেলে। আমাকে মানুষের কল্যাণে অনেক কাজ করতে হয়। আপনারা একটা মিথ্যা অভিযোগের খাতিরে আমার যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করেছেন। আমার কাজের অনেক ক্ষতি করেছেন। এরপর থেকে এরকম কিছু ঘটলে অবশ্যই আপনাকে জবাবদিহি করতে হবে।”
এ কথা বলেই রবিন তুহিন কে এক্টা চোখ মেরে চলে গেল। তুহিন বিস্ময়ে হতবাক হয়ে তার ন্যাড়া মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ল। তার স্পষ্ট মনে আছে বিকালের ঘটনা।
রবিন দৌড়ে এসে রাম*দা দিয়ে গাড়ির সাম্নের কাচে কোপ দিল। রাম*দা কাচ ভেংগে ঢুকে গিয়ে তুহিনের কয়েক আংগুল ব্যবধানে এসে কাচের সাথে আটকে রইল। তারপর রবিন গাড়ির দরজার কাচ ডান হাতে ঘুষি দিয়ে ভেংগে ফেলল। ভাংগা জানালা দিয়ে হাত ঢুকিয়ে দরজা খুলে ওকে বের করল। তারপর নাপিত ডাকিয়ে তার আর সজলের মাথা ন্যাড়া করে দিল। সে ত সব প্রমান নিয়েই এসেছিল কিন্তু এখন ত সব উলটে গেল। সে তার ন্যাড়া মাথায় হাত দিয়ে বসে রইল।
_______________
চারু রবিনের ঘরের দরজার সামনে এসে দাঁড়িয়ে আছে। নক করবে কিনা বুঝতে পারছে না। তার হাতে খাবারের প্লেট। সে রবিনকে মুখে তুলে খাওয়াতে এসেছে। মুখে তুলে খাওয়ানোর কথা মনে হতেই সে লজ্জায় মরি মরি হয়ে গেল। পর পর টান টান হয়ে দাঁড়িয়ে নিজেকে শাসাল-
“চরিত্রহীন চারু, রবিন তোর ফুফাত ভাই। তাকে নিয়ে এসব ভাবছিস তুই? ছি!!”
চারু দরজার বাইরে থেকে রবিন কে ডেকে বলল-
“রবিন ভাই, ভিতরে আসব?।”
“আয়”
চারু পা দিয়ে দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকল। ভিতরে ঢুকে দেখল রবিন তার ব্যান্ডেজ করা ডান হাত এক পাশে রেখে কোলে ল্যাপটপ নিয়ে বাম হাত কীবোর্ডের উপর রেখে এক দৃষ্টিতে দরজার দিকে তাকিয়ে আছে। চারু ঢুকতেই চোখে চোখ পড়ল।
চারু ধীর পায়ে এগিয়ে গিয়ে রবিনের পায়ের কাছে বিছানায় বসল। কোলের উপর প্লেট রেখে রবিনের দিকে তাকাল। রবিন এখন ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে আছে। রবিনের ব্যান্ডেজ করা হাত টা দেখে কষ্টে চারুর বুক ভেংগে আসল। রবিনের থানায় যাওয়ার কথা শুনে তখনি বাড়ির পুরুষরা থানার দিকে রওয়ানা হয়েছিল। থানার সামনে গিয়ে তারা রবিনকে থানা থেকে বের হতে দেখে। তখনি তাকে তালুকদার বাড়ি নিয়ে আসা হয়। চারুও তার মা চাচীদের সাথে এ বাড়ি চলে আসে। এখানে এসে জানতে পারে রবিন হাত কেটে ফেলেছে।
চারু এইবার মুখ খুললো-
“রবিন ভাই, ফুপি বলছে তোমারে খাওয়ায় দিতে।”
রবিন আশ্চর্য চোখে তাকাল। বলল-
“খাওয়ায় দিতে মানে?”
“তুমি ডান হাত কাইটা ফেলসো না? ওইজন্য খাওয়ায় দিতে বলছে।”
বলে চারু লজ্জা লজ্জা মুখে নিচের দিকে তাকিয়ে থাকল।
রবিন তার হাতের দিকে তাকাল। গাড়ির কাচে আঘাত করার সময় কাচ ঢুকে অনেকখানি কেটে গেছে। সে থানায় সবসময় হাত পকেটে ঢুকিয়ে রাখার কারনে তুহিন দেখতে পায় নি। দেখতে পেলেও ক্ষতি ছিল না সে তৈরি ছিল সবকিছুর জন্য ই।
রবিন চারুর দিকে তাকিয়ে দেখল চারু সেই যে মাথা নিচে দিয়েছে আর উপরে তুলছে না। এই ছটফটে মেয়ে ত কখনোই তার সামনে এত লজ্জা পায় না। আজ কি হলো? রবিন ভ্রু কুচকে বলল-
“তুই খাওয়াইতে আসলি কেন,মা কই?”
“ফুপি রানির কাছে। রানির জন্য তুমি মারামারি করসো এইজন্য রানি খুব ভয় পাইয়া কান্নাকাটি করতাছে। ফুপি ওর কাছে। ওরে খাওয়াইতাছে।। আমারে বলল তোমারে খাওয়ায় দিতে।”
“যা চামচ নিয়া আয়। খাওয়ায় দেয়া লাগব না।”
চারু নড়েচড়ে বসলো। তাকে ত ফুপি খাওয়ায় দিতে বলে নাই। ফুপি আসতে চাইছিল খাবার নিয়ে। সে ফুপিকে রানির কথা এটা সেটা বুঝিয়ে নিজে রবিনকে খাওয়াতে চলে আসলো। রবিনের ব্যান্ডেজ হাত টা দেখে তার মন টা ভীষন পুড়ছিল। একটু যত্ন করতে মন চাচ্ছিল। এখন রবিন ভাই কে চামচ এনে দেয়া মানে তার বাড়া ভাতে ছাই ঢেলে দেয়া। চারু সিরিয়াস গলায় বলল-
“না রবিন ভাই। ফুপি বইলা দিছে কাটা হাত নড়াচড়া করা যাবে না। তুমি হা করো আমি পাঁচ মিনিটে খাওয়ায় দিব।”
রবিন কিছুক্ষন স্থির চোখে চারুর দিকে চেয়ে রইল। ল্যাপটপ টা বন্ধ করে বলল-
“তাহলে খাওয়ায় দে।”
চারু মনের খুশিতে ভাত মাখতে বসল। রবিন মনোযোগ দিয়ে সেটা দেখল। চারু লোকমা বানিয়ে রবিনের মুখের কাছে ধরে নিজের মুখ হা করে দিয়ে বলল-
“রবিন ভাই, হা করো হায়ায়ায়ায়া”
রবিন মনে মনে হাসল চারুর বাচ্চামি দেখে। এই মেয়ে নিজেই মায়ের হাতে ভাত খায়, এখন আসছে তাকে খাওয়ায় দিতে। সে হা করে খাবার মুখে নিল। মুখে নিয়ে টের পেল এই কটা ভাত না চিবিয়েই সে গিলে ফেলতে পারবে। এত ছোট লোকমা!!
চারু রবিনের মুখে ভাত তুলে দিয়ে হাত নামিয়ে স্তব্ধ হয়ে বসে রইল। রবিনকে খাওয়ানোর সময় রবিনের ঠোঁটের ছোয়া ওর হাতে লাগতেই ওর অনুভূতির সব ওলট পালট হয়ে গেল। কেমন জানি শির শির করে উঠল শরির। সেই শির শিরানি ওর শরির ভেদ করে হৃদপিণ্ডে পৌঁছে গেল। চারু হাতের দিকে বিস্ময় নিয়ে চেয়ে রইল। এ কেমন অনুভূতি? এ কিসের ইংগিত?
চলবে