ভালোবাসার_ফোড়ন_২ #মিমি_মুসকান #পর্ব_২৫ ( #বোর্নাস_পার্ট )

0
384

#ভালোবাসার_ফোড়ন_২
#মিমি_মুসকান
#পর্ব_২৫ ( #বোর্নাস_পার্ট )

ভর সভায় দাঁড়িয়ে আছি আমি স্থির ভাবে। শরীরে একটা উড়না দিয়ে ঢাকা। এখনো সেই জামা’টাই পড়ে আছি। নিজেকে কেমন শক্ত পাথর বলে মনে হচ্ছে! গ্রামের সকল মানুষ উপস্থিত এই সভায়। সবাই তাদের নিজেদের কথা বলতেই ব্যস্ত। মা আমার পাশেই আমাকে ধরে দাঁড়িয়ে আছি। কান্না কাটি করছে। চাচা আমার থেকে একটু দূরে আছে। আমার ভাইয়া আর ভাবী খালেদের সাথে দাঁড়ানো। এতেই বোঝা যায় আমার সাথে যা হয়েছে এতে তারাই দায়ী। বাবা কড়া ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমিয়েছিল তাই তার ঘুম এখনো ভাঙে নি। আর আমার ঘর থেকে মা বাবা’র ঘরটা দূরেই ছিল। আমার ঘরের সাথে ঘরে ছিল ভাইয়া আর ভাবী আর এই ঘটনার পর তারাই দেরি করে এসেছে যেখানে তাদের আগে আশা উচিত।

মূহুর্তে’ই মনে পড়ছে তখনকার সেই হিংস্র পরিস্থিতি’র কথা। আমাকে ওরকম অবস্থায় দেখে আহিয়ান মাথা নিচু করে ফেলল। আমি দেওয়ালের সাথে মিশিয়ে দাড়িয়ে গেলাম। মা ঘরে এসেই তার গায়ের আঁচল দিয়ে আমাকে ঢাকল। আমি মা কে জরিয়ে ধরে কাঁদতে লাগলাম। আহিয়ান বিছনা পড়ে সেই মনুষ্যত্ব হীন মানুষ টা কে টেনে বাইরে নিয়ে গেল। মারছিলো তাকে! শুধু সে না আমার চাচা আর আকাশ ভাইয়াও। পুরো গ্রামে তখন’ই জানাজানি হয়ে গেল। পাশেই এতিমখানা থাকায় সেখানকার লোকজন ছুটে এলো।

গ্রামের কিছু লোক আর ভাইয়া মিলে তাদের আটকালো। তাকে আমার ভাইয়া বলতেও ঘৃণা লাগছে আমার। ভাই হয়ে নিজের বোনের এমন সর্বনাশ কিভাবে করল সে। হ্যাঁ আমি তার সৎ বোন তাই বলে কি একবারও বিবেক বাধা দিলো না তাকে। এতো বছর তাদের সাথেই তো ছিলাম তবুও কি একটু মায়া লাগলো না আমার প্রতি।

গ্রামের লোকেরা মিলে বিচার করার জন্য চেয়ারম্যান কে ডেকে নিয়ে এসেছে। তার সাথে এসেছে আরো অনেকজন। আমি শুধু’ই স্থির ছিলাম চোখ দিয়ে কোন অশ্রু বের হচ্ছিল না আমার। মনে হচ্ছিল প্রাণ হীন একটা দেহ। আমার ঠিক সামনে বিপরীতে দাঁড়িয়ে আছে আহিয়ান, আকাশ, নাহান আর আনাফ ভাইয়া।

গ্রামের এক মুরব্বি খালেদ কে জিজ্ঞেস করল,
“তুমি স্বীকার করছো তুমি এই মেয়েকে ধর্ষণ করতে চেয়েছো।

খালেদ হয়তো না বলবে আর সব দোষ চাপাবে আমার উপর। আমাকে পুরো গ্রামের মানুষের কাছে ছোট্ট করবে,‌ অপমান করবে। বলবে টাকার জন্য আমি এমনটা করেছি। কিন্তু না তা না। খালেদ এইসব না বলে স্বাভাবিক ভাবেই বলে উঠে,

“হ্যাঁ আমি নিহারে ধর্ষণ করতে চাইছি। আমাগো বিয়ার হবার কথা ছিল। বিয়ার দিন ওই পালাইয়া গেছিল তাই রাগে আমি এমনটা করেছি।

লোকটি অবাক স্বরে বলে,
“তার মানে তুমি নিজের দোষ স্বীকার করছো।

“হো করতাছি। তার লগে আরেকটা কথাও কইতাছি। আমি এহনো বিয়া করতে চাই নিহা রে। আপনারা সবাই জানেন আমার পরিস্থিতি কেমন। নিহা সুখেই থাকবো, ওর কোন কষ্ট হইবো না।

খালেদের কথায় আমি সহ উপস্থিত সবাই অবাক। এমন একটা কথা কিভাবে বরতে পারে সে। সেই লোকটা রেগে বলে উঠে,

“তুমি এখানে দাঁড়িয়ে এইসব কথা কিভাবে বলছো। আমি এখন’ই তোমাকে পুলিশে দিতে পারি এটা তুমি জানো।

“হ জানি। আমার জেল হইবো ফাঁসি হইবো। সব জানি আমি। কিন্তু আপনারা কহনো এইঠা ভাবছেন নিহা’র কি হইবো। ওরে আর কহনো কেউ বিয়া করবো কি না। একদিন হুনবেন গলায় ফাঁসি দিয়া মইরা গেছে।

খালেদের কথায় সবাই চুপ। তবে কথাটা তো সত্য। সবাই তো আর লড়াই করতে পারে না। কেউ কেউ লোকলজ্জার ভয়ে আত্নহত্যা’ই পথ’ই বেঁচে নেয়। আমি কি তার ব্যতীক্রম হতাম। হয়তো বা হতাম! এর মাঝেই চেয়ারম্যান উঠে দাঁড়িয়ে যায়। আমাকে আর মা কে একটা ঘরে ডাকেন সে। চাচাও যায় আমাদের সাথে। চেয়ারম্যান আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে,

“আমি যতটুকু জানি তুমি পড়ালেখা জানা মেয়ে। শিক্ষিত মেয়ে! নিজের ভালোটা তাহলে বুঝবে তুমি। খালেদের প্রস্তাব কিন্তু খারাপ না। তুমি কি কিছু বলতে চাও।

তার কথায় আমি মাথা উঁচু করে তার মুখের দিকে তাকালাম। কেন জানি তার চেহারায় মাঝে খালেদের হিংস্র চেহারাটা ভেসে উঠছিল। মনে হচ্ছিল তারা সবাই খালেদের সাথে মিশে আছে। চেয়ারম্যান এর কথা শুনে চাচা খুব ক্ষেপে যান। তার সোজা কথা তিনি এই বিয়েতে রাজি না। কোনমতে না!

মা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলে,
“তুই কি চাস মা!

আমি মা’র মুখের দিকে তাকাই। কাঁদতে কাঁদতে বেহাল দশা বানিয়েছে মুখটার। তার কথার অর্থ আমি বেশ বুঝতে পারছি। মা’র এমন কথায় চাচা রেগে বলেন,

“কি কইতাছো তুমি এসব ভাবি, নিহা’র গার্ডিয়ান আমরা। আমরা যা কমু তাই হইবো। তুমি আবার নিহা রে কি সব জিগাও!

আমি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলি,
“এই বিয়েতে রাজি আমি।

আমার কথায় পুরো পরিবেশ থমকে যায়। চাচা অবাক হয়ে তাকিয়ে বলেন,
“কি বললি তুই।

চেয়ারম্যান সাহেব উত্তেজিত হয়ে বলে,
“তুমি ঠিক বলছো তো নিহা।

আমি তার মুখের দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়াই। আমার হ্যাঁ তে তার চোখে মুখে এক ধরনের হাসির রেখা। মনে হচ্ছে খালেদের থেকে সেই বেশি খুশি। মোটা অংকের টাকা পাবে হয়তো।

আমার হ্যাঁ শুনে চাচা রেগে ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। কেউই বুঝলো না আমায়। আমি যদি এখন খালেদ কে বিয়ে না করি তাহলে তাকে পুলিশে ধরে নিয়ে যেত। সমস্যা সেখানে না সমস্যা হলো তারপর! তারপর’ই আমার মা আর বাবা’র‌ প্রতি অমানবিক নির্যাতন হতো। যেহেতু আমাকে গ্রামে পেতো না সেহেতু তারা’ই ছিল একমাত্র যাদের অত্যাচার করে সে নিজের জ্বালা জুড়াত। আর পুলিশ ধরে নিয়ে গেলেও বেরিয়ে আসতে বেশিদিন লাগতো না সেটা চেয়ারম্যান সাহেবের আচরণ দেখেই বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু আমার এই অনুমান টা সবাই বুঝল না।

চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে নিয়ে আবারো সভায় এলেন। অতঃপর জোরে চেঁচিয়ে বলেন,
“নিহার সাথে আমার কথা হয়েছে আর আমরা একটা সিদ্ধান্তে এসেছি।

মুরব্বি বলে উঠে,
“কি সিদ্ধান্ত? নিহা কি বিয়েতে রাজি!

“সেটা নিহা নিজের মুখেই বলবে। নিহা বলো তুমি কি বিয়েতে রাজি!

আমার গলা কাঁপছিল। গলার স্বর ভারী হয়ে যাচ্ছিল। চোখের কোনে অশ্রু কণা এসে জমচ্ছিল। তবুও একটা নিঃশ্বাস ফেলে আমি বলে উঠি,

“হ্যাঁ আমি রাজি!

মূহুর্তে’ই আমার চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ল। দৌড়ে আমি ঘরে চলে এলাম। হয়তো আমার এই কথায় সবাই অনেক অবাক। আহিয়ান, আকাশ, নাহান আর আনাফ ভাইয়া হয়তো হতবাক হয়ে গেছিলেন। শুধু খুশি হয়েছিলেন খালেদ আর আমার ভাইয়া ভাবী। আমাকে ধর্ষণ না করলে কি হবে দাগ তো খালেদ লাগিয়ে দিয়েছিল। কেন জানি মনে হচ্ছে সে এটাই চেয়েছিল। আমি নিজের মুখে বিয়েতে হ্যাঁ বলি। অপমান’র প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল।‌
.
কাঁদতে কাঁদতে চোখের অশ্রু একসময় শুকিয়ে গেল। ফুলি আমার পাশে বসে এতোক্ষণ কথা বলছিল এখন সেও চুপ। ভেবেছিলাম বিয়েটা আজ রাতেই হবে কিন্তু না। খালেদ নাকি বেশ আয়োজন করে বিয়ে করবে। বরযাত্রী নিয়ে সানাই বাজিয়ে আসবে বিয়েতে। তাই বিয়েটা হবে কাল। কি অদ্ভুত!

ঘরের এক কোনে বসে আছি নিশ্চুপ হয়ে। মা আর ভাবী একটু আগেই আমাকে গোসল করিয়েছে। চুলের পানি এখনো শুকায় নি। নতুন জামা আমার গায়ে তাতে কি! কলঙ্ক তো লেগে গেলো। এই কলঙ্ক আর উঠবার নয়। আচ্ছা আহিয়ান, আকাশ ভাইয়া এখনো কি আছে। না তা কি করে হয়, ফুলি বলেছে তারা চলে গেছে। হয়তো আমার এমন অবস্থা দেখে তারা সকলেই হতবাক আর হতাশ। তবে এই হতাশা কয়েকদিনের!

গভীর কালো অন্ধকার রাত। এর চেয়েও অন্ধকার হয়ে আছে আমার জীবন। কিন্তু সূর্য উঠলেই এই আঁধার কেটে আলো ছড়িয়ে যাবে চারদিক। আলোকিত হবে পুরো দুনিয়া শুধু অন্ধকার থেকে যাবে আমার জীবনটাই!

হঠাৎ ঘরে কালো ছায়া পড়ল। আমি স্থির চোখে তাকিয়ে রইলাম ছায়া টার দিকে। কে আসবে হয়তো মা নাহলে ভাবী। একজন বলবে শোকের কথা আর অন্য জন বলবে তাচ্ছিল্যের কথা। হায়রে দুনিয়া!
কিন্তু এই ছায়া টা শুধু দাঁড়িয়ে আছে কিছু বলছে না। আমি মাথা উঁচু করে তাকিয়ে দেখি একজন । অন্ধকারে ঠিক দেখা যাচ্ছে না। আমার পায়ের কাছে একটা হারিকেন জ্বলছে। এছাড়া আর কিছু নেই।

ফুলি বলে উঠে,
“মালিক সাহেব আফনে!

আমি ভাবতে লাগলাম এই “মালিক সাহেব” কে। মূহুর্তে’ই মনে পড়ল ফুলি আহিয়ান কে মালিক সাহেব বলে ডাকে। তাহলে কি আহিয়ান এসেছে।
ছায়াটা আরো দু পা ঘরে আগালো। এবার পরিষ্কার মুখ দেখা যাচ্ছে এটা আহিয়ান! সে দৃঢ় ভাবে বলল,

“ফুলি তুমি বাইরে যাও তোমার আপুর সাথে আমার কথা আছে!

ফুলি বাধ্য মেয়ের মতো উঠে চলে গেলো। আমি উঠে দাঁড়ালাম। আহিয়ান দরজা বন্ধ করে আমার দিকে তাকাল। তাতে আমি বিন্দুমাত্র বিচলিত না। দুজনেই মুখোমুখি আমরা! আহিয়ান আমার সামনে দাঁড়িয়ে কড়া কড়া গলায় বলে উঠে,

“কি করলে এটা তুমি!

আমি শান্ত ভাবে মাথা নিচু করে উওর দেই,
“কি করেছি।

“তুমি জানো না কি করেছো তুমি? এতোটা অসহায় কিভাবে ভাবতো পারো নিজেকে।

“আমি যে কতোটা অসহায় আপনি বোধহয় তা জানেন না আহিয়ান।

“বিয়ে করলে তোমার অসহায়ত্ব কেটে যাবে।

“কেটে যাবে না তবে কমবে অবশ্যই!

“পাগল হয়ে গেছো।

আমি হেসে বলি,
“আপনি আমার জায়গায় থাকলে বুঝতে পারতেন আমি ঠিক কতোটা পাগল হয়ে গেছি।

“তোমার চাচা’র কথা টা শুনলে ভালো হতো।

“হয়তো। তবে এই কলঙ্ক কখনো আমার নাম থেকে মুছতো না। বোঝা হয়ে থেকে যেতাম মা বাবা’র উপর। কখনো বিয়ে হতো না আমার।

“বিয়েটাই কি একটা মানুষের জীবনে সব!

“সব না তবে অনেক কিছু। জীবন চলার পথ টা অনেক কঠিন আহিয়ান। আর আমার জন্য তা দ্বিগুন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পথ চলার জন্য কারো হাত চাই আমার, চাই কারো পাশে থাকা।

“সেই মানুষটা কি খালেদ।

“জানি না। তবুও ভাগ্য ভালো যে ধর্ষণ করলো সে নিজেই বিয়ে করতে চাইলো। অনেকের ক্ষেত্রে তো তা হয় না।

“তোমার মনে হয় না খালেদ ইচ্ছে করেই এসব করেছে।

“জানি সেটা। আমাকে ধর্ষণ করার পেছনে তার উদ্দেশ্য এটাই ছিল। ভেবেছে সবার কাছে আমার বদনাম করিয়ে আমাকে বিয়ে করবে।

“তবু বিয়ে করতে চাইছো।

“আমার ভাগ্য এটা!

আহিয়ান একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে হুট করে আমার হাত ধরে টেনে বলে,
“চলো!

“কোথায়?

“বিয়ে করতে?

ভ্রু কুঁচকে বলি,
“মানে! আমার বিয়ে তো কাল সকালে।

“না তোমার বিয়ে এখন হবে আর আমার সাথে!

আমি উনার কথায় হতবাক হয়ে যাই। কথা বন্ধ হয়ে গেছে আমার। মূহুর্তে’ই আবার রাগ উঠে গেল। এক ঝাটকায় উনার হাত ছাড়িয়ে বলি,

“পাগল হয়েছেন আপনি। কি বলছেন এসব।

“যা শুনেছ তাই বলেছি।

“না আমি এই বিয়ে করতে পারবো না।

“কেন?

আমি রেগে বলে উঠি,
“মাথা খারাপ হয়ে গেছে আপনার? কি বলছেন এসব। কি পেয়েছেন আপনারা সবাই আমাকে। যার যখন মন চাইবে তখন সেভাবে আমাকে ব্যবহার করবেন।

“নিহা তুমি চলো আমার সাথে।

“না যাবো না আমি আপনার সাথে।

“এককথা বার বার বলার অভ্যাস আমার নেই।

“আমি যাবো না মানে যাবো না। বের হয়ে যান আপনি এখান থেকে

আহিয়ান আবারো হাত ধরে টান দিলে আমি হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করি। কিন্তু সে আমাকে কোনমতে ছাড়ছে না। উপায় না ভেবে একটা চড় বসিয়ে দেই আহিয়ানের গালে। আহিয়ান মূহুর্তে’ই থমকে যায়। ছেড়ে দেয় আমার হাত।

আহিয়ানকে চড় মারার পর আমি নিজেও থমকে যাই। আহিয়ান পুরোই রেগে আছে। আমি আমার হাত ধরে দাঁড়িয়ে থাকি। আহিয়ান সামনে আগাতে আগাতে বলে,

“তুমি বিয়ে করবে কি না বলো।

আমি পিছনে এক পা আগাতেই দেওয়ালে পিঠ ঢেকে যায়। কাঁপা কাঁপা গলায় বলি,

“না আমি এই বিয়ে করবো না।

“তুমি কি চাও আমি তোমার সাথে কিছু করি।

বলতে বলতে আহিয়ান আমার অনেক কাছে চলে এসেছে। আহিয়ান কে এভাবে দেখে ভয় পেয়ে যাই আমি। বলে উঠি,
“কককি করবেন আপনি।

আহিয়ান কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। তাকে দেখে মনে হচ্ছে কিছু না কিছু একটা করবে। ভয়ে আমার শরীর শিউরে উঠছে। হঠাৎ দেখলাম আহিয়ান হাত বাড়াচ্ছে আমার উপর। আমি চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছি। আহিয়ান হাত টা আমার উড়নায় রাখতেই আমি ওর হাত ধরে ফেলি। চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ল আমার। আমি ঠিক বুঝতে পারছি আহিয়ান কি করতে চলেছে আমার সাথে। আমি কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠি,

“আমি রাজি!

#চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here