ভালোবাসার_ফোড়ন_২ #মিমি_মুসকান #পর্ব_২৮

0
392

#ভালোবাসার_ফোড়ন_২
#মিমি_মুসকান
#পর্ব_২৮

“ইতি তুই!

“ঘুমিয়েছিলি নাকি!

“হ্যাঁ একটু ঘুমিয়েছিলাম। আয় ভিতরে আয়।

“পড়াতে যাবি না!

“হ্যাঁ ৩ টায় বের হবো। তা বস! চা খাবি

“না, ইচ্ছে করছে না

“না করলেও খেতে হবে। আমার চোখের ঘুম ভাঙাতে হবে আর সেটার জন্য চা প্রয়োজন।

“তাহলে বানা।

“দু’মিনিট, ফ্রেশ হয়ে আসছি!

অতঃপর ফ্রেশ হয়ে এসে, চুল খোঁপা করতে করতে রান্না ঘরে ঢুকলাম। ইতিও এলো আমার পিছু পিছু। চুলোয় পানি বসিয়ে ইতি’র দিকে তাকালাম। বেশ চুপচাপ! আমি ইতির দিকে তাকিয়ে বলি,

“আমি জানি তুই কি বলবি!

“ব্যাপারটা কি?

“তুই এটাই জানতে এসেছিস না আহিয়ান কেন আমাকে সবার সামনে টেনে নিয়ে আসলো।

“তোরা যাবার পর’ই নিতি, আনিকা আর টিনা রাগে ফুসফুস করতে করতে চলে গেল। নাহান ভাইয়া থেকে শুনলাম গ্রামের ঘটনা তুই কি আবার পালিয়ে এসেছিস নিহা!

আমি ওর কথা শুনতে লাগলাম। চা পাতি বের করে লিকার করলাম। ইতি অনেক অবাক চোখে তাকিয়ে আছে। আমি বলি,

“চা খেতে খেতে বলছি, বিছানায় গিয়ে বস তুই!

ইতি চলে গেল। চা দুই কাপে ঢেলে রুমে নিয়ে এলাম।
“ঘরে বিস্কিট নেই, আজ সকালে’ই ফিরেছি এখনো কিছু কিনি নেই। ঘরে কোন বাজার নেই কিনতে হবে।

“শুধু চা’ই চলবে। তুই বল কি হয়েছে?

“কি আর হবে, আবারো পালিয়ে এলাম।

“খালেদ কে পুলিশে দিয়েছিস।

“আমি তো পালিয়েই এসেছি। কিভাবে জানবো কি হয়েছে না হয়েছে?

“তোর সাথে কি আহিয়ান ও এসেছে।

চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বলি,
“হুম

“আহিয়ান তোকে এভাবে কেন নিয়ে গেল!

“চা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।

“তুই বল না।

“তেমন কিছু না। শুধু উনাকে না বলে, ট্রেনে একা রেখে চলে এসেছিলাম তাই!

“তুই একা রেখে এলি।

“উনি ঘুমাচ্ছিলেন তাই।

“এমন পাগলের মতো কাজ কে করে।

“আমি করি।

অতঃপর দুজনেই হেসে উঠি। ইতি কে বিয়ের কোন কথাই বললাম না। বলে কি লাভ? আমি তো নিজেই মানি না এই বিয়ে তো ইতি কে বলে আর কি লাভ।

অনেকক্ষণ বসে দুজনেই গল্প করলাম। ইতি’র কথায় বেশ বুঝতে পারলাম নিতি আমার উপর বেশ ক্ষেপে আছে। হয়তো আমাকে পেলে আর আস্ত রাখবে না। ভাবছি কাল ভার্সিটিতে’ই যাবো না। নিতি’র মুখোমুখি ও হতে হবে না তাহলে।
.
টিউশনি তে বেরিয়ে গেলাম। আজ একটু দেরি করেই বের হয়েছি।‌ শরীরটা তেমন ভালো লাগছিলো না বলেই দেরি হলো। রিনু কে পড়াতে গেলাম। তার মা আমাকে দেখেই জিজ্ঞেস করল এতো দেরি করে কেন আসলাম। বললাম গ্রামে গিয়েছিলাম তাই একটু দেরি হলো। অতঃপর তিনি আর কিছু বললেন না।

তোহা’র আম্মু তেমন কিছু জিজ্ঞেস করলেন না। শুধু ভালো আছি কি না এসব’ই জিজ্ঞেস করলেন। তুহিনের আম্মু অবশ্য অনেক গল্প করলেন। কিভাবে ছুটি কাটিয়েছেন, কি কি করলেন এসব বললেন।
অর্ণ’র মাও সবার মতো কেমন আছি এসব জিজ্ঞেস করলেন। তবে অর্ণ জিজ্ঞেস করল,

“ম্যাম আপনি এতো লেট করে কেন এলেন।

“আজ সকালে গ্রাম থেকে ফিরেছি তো তাই।

“বছরের প্রথম দিন কেন এলেন না।

“গ্রামে ছিলাম তো তাই। কেন?

“আপনি জানেন আমি নতুন বই নিয়ে আপনার জন্য বসে ছিলাম।

“আচ্ছা সরি। এখন তো এলাম বই দেখাও

“না দেখাবো না।

“কেন?

“এটা আপনার পানিশমেন্ট আপনি কেন দেরি করলেন?

“এখন বই না দেখালে আমি পড়াব কি বলো।

“হ্যাঁ এটাও তো কথা।

“আচ্ছা অর্ণ শোন! যারা সরি বলে তাদের পানিশমেন্ট দেয় না বুঝলে।

“তাহলে আমি পানিশমেন্ট দেবো না।

“কেন দেবে আমি তো সরি বলেছি।

“তাহলে বলুন এমনটা আর কখন করবেন না।

“আচ্ছা করবো না। এখন পড়তে বসো!

অতঃপর অনেক কষ্ট করে পড়াতে বসলাম অর্ণ কে। তাকে পড়িয়ে বের হতে দেখি অন্ধকার হয়ে গেছে সবকিছু! এখন বাজারে যেতে হবে, চাল ডাল কিছু কিনতে হবে। ঘরে কিছু নেই! আসার আগে দেখেছিলাম একটু চাল আছে তবে তা আজ রাতে খাওয়ার মত। আকাশ ভাইয়া যেই টাকা গুলো দিয়েছিল সেখান থেকে কিছু নিয়ে বাজার টা করবো। বাকি টাকা’র সাথে আরো কিছু জোগাড় করে ইতি কে দিয়ে দেবো।

অর্ণ’র বাড়ির সেই গলিতে আজ হাঁটছি। এখানে এখন লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগের মতো ভয় লাগছে না। রাস্তায় আড্ডা দেওয়া সেই ছেলে গুলোও এখন আর নেই। সেই রাতের মারামারি’র পর কখনো রাতে এখানে আসি নি। হয়তো সেদিনের ঘটনার পর সবাই এখন সতর্ক। মানুষের স্বভাব’ই এমন। তারা কোন কিছু খারাপ হবার অপেক্ষায় থাকে। যখন খারাপ কিছু ঘটে যায় তখন’ই সেটার জন্য পদক্ষেপ নেয়।

গলি দিয়ে বের হয়ে হাটছি, হাঁটতে হাঁটতে সেই আইসক্রিম দোকানের সামনে এলাম। দোকানের দিকে তাকাতেই থমকে তাকিয়ে রইলাম। দোকানের সামনে আহিয়ান বাইকে বসে আইসক্রিম খাচ্ছে একমনে। ব্যাপার কি উনি এখানে কেন? আর আমি কি ঠিক দেখছি এটা। আইসক্রিম খাওয়া বন্ধ করে আমার দিকে তাকিয়ে বলল,

“এভাবে তাকিয়ে আছে কেন? আমাকে অসুস্থ করার ধান্দা করছো নাকি!

“আপনি এখন, এখানে?

“হ্যাঁ তো!

“কি করছেন?

“এই প্রশ্ন টা আমি জিজ্ঞেস করতে পারি না তোমায়?

“পারবেন। কিন্তু উওরের আশা করা বৃথা!

“তোমার উওরের আশা করবে কে শুনি। যাই হোক আইসক্রিম খাবে।

“না আপনি খান! এই শীতের সময় নাকি আবার আইসক্রিম!

“এটা খাবার মজা আলাদা। তা কোথায় যাচ্ছ?

“বাসায় যাচ্ছি!

বলেই হাঁটা ধরলাম। হঠাৎ মনে হলো উনি বাইকে চড়ে এদিকে আসছে। আর তাই হলো! উনি বাইকে চড়ে আমার সামনে এসে দাঁড়ালেন। বললেন,

“বাইকে চড়ো।

“আমি হেঁটেই যেতে পারবো।
বলে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছি। উনি আমার পাশে বাইক নিয়ে ধীরে ধীরে আগাতে আগাতে বলেন,

“জানো তোমাকে আর আমাকে এভাবে মানুষ দেখলে কি বলবে?

“কি বলবে?

“যাই বলুক না কেন খারাপ বলবে। একটা মেয়ের পাশে পাশে এভাবে বাইক নিয়ে চলা ঠিক না।

“ওহ আচ্ছা তাহলে বাইকে চড়ে গেলে বুঝি কিছু মনে পড়বে না। বাহ!

“করবেই তো না। তারা কি আর জানবে তুমি কে ? হেলমেট পরে চড়বে কে জানবে তুমি কে আর আমি কে?

আমি ভ্রু কুঁচকে উনার দিকে তাকালাম। উনি বলেন,

“বসো!

আমি কি ভেবে হেলমেট পরে উনার পিছনে বসলাম। উনি সমান গতিতে বাইক চালাচ্ছে। মা বাবা’র বিষয়ে এখনো কিছু জানি না। উনাকে জিজ্ঞেস করলাম,

“আকাশ ভাইয়া’র সাথে কথা‌ হয়েছে আপনার।

“হ্যাঁ হয়েছে, তোমার মা আর বাবা এখন ভালো আছে।

“খালেদ কি কিছু করে নি।

“না করে নি।

“কিছু না করে সে থাকবে বলছেন।

“কেন থাকবে না।

“আপনি কিছু লুকাচ্ছেন!

“লুকানোর কিছু নেই। আকাশ বলেছে তেমন কিছু হয় নি। শুধু তোমার ভাইয়া আর ভাবী একটু ঝামেলা করেছে।

“মা..

“দুজনেই ঠিক আছে, আর আমার বাড়িতে আছে।

“আপনার বাড়িতে

“হুম!

অতঃপর আমি আর কিছু জিজ্ঞেস করলাম না।মেইন রাস্তায় আসার পর বাসার দিকে যেতে নিবেন আমি বলে উঠি,

“এই দিকে যান।

“তোমার বাসা তো ওদিকে?

“না বাজার করতে হবে।

“এতো রাতে? দিনে কি করেছিলে?

“ঘুমিয়েছিলাম।

“কে বলেইলো ঘুমাতে।

“আপনি!

উনি চুপ হয়ে গেলেন। বেশ ভালো জব্দ করলাম উনাকে।
বাইক নিয়ে এলেন বাজারের কাছে। অতঃপর বাইক থামিয়ে হেলমেট খুলতে যাবে তখন আমি বলি,

“খোলার দরকার নেই এভাবেই চলুন।

“কেন?

“এভাবেই দেখতে বেশ ভালো লাগছে।

“তার মানে তুমি বলতে চাও আমি দেখতে সুন্দর না।

“বাহ খুব ভালো অনুমান করেন তো!

বলেই হেঁটে চলে এলাম। উনি পেছন থেকে “ভূতনি” বলে ডাক দিয়ে আমার পাশে পাশে চলতে লাগলেন। বলেন,

“তুমি আমাকে বার বার ইন ডাইরেক্টলি অপমান করছো এটা কি তুমি বুঝতে পারছো।

“পারছি বলেই তো করছি তাই না।

“তোমাকে আমি পরে দেখে নেবো।

“সেটাই ভালো এখানে তেমন আলো নেই ভালো দেখতে পারবেন না।

বলেই উনার দিকে তাকালাম। উনার মুখটা তখন দেখার মতো ছিল। জানি না কেন উনার সাথে এমন ভাবে কথা বলতে বেশ ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে অনেক দিনের চেনা উনি।
দুজনেই বাজারের ভেতর এলাম। বাজারে এখনো অনেক ভিড়। উনি বির বির করে বলেন,

“বাজারে এখনো এতো ভিড়।

“এটা এতো না কম। কখনো মনে হয় বাজারে আসেন নি।

“দরকার পরে নি

“পরবে। দেখবেন যখন আপনার বিয়ে হবে তখন ঠিক’ই দরকার পড়বে।

“যখন বিয়ে হবে মানে তো এখন কি?

আমি নিজের কথায় এবার নিজেই ফেসে গেলাম। কি বলতে কি বলেছি। আমি আর উওর না দিয়ে একটা সবজির দোকানে গেলাম। ফুলকপি, বাঁধাকপি,‌টমেটো, সিম সহ আরো অনেক রকমের সবজি। ফুলকপি’র দাম এখনো অনেক বেশি। আমি এসব বাদ দিয়ে আলুর দাম জিজ্ঞেস করলাম,

“আলুর কেজি কত?

“একদাম ১৫ টাকা!

হঠাৎ উনি বলে উঠেন,
“৫ কেজি দিন!

আমি উনার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে দোকানিকে বলি,
“এই না ২ কেজি দিন!

উনি বলে উঠেন,
“দু কেজি!

“নাহলে কতো ৫ কেজি। পাগল হয়েছেন নাকি।

“কেন?

“আমি একা মানুষ, ৫ কেজি আলু কিনে কি করবো?

“কেন খাবে, রেখে দিবে!

“রাখতে রাখতে পচে যাবে সব।

“কিন্তু এখন তো শীতের দিন।

“তো কি? আলু কি কখনো পচবে না নাকি।

এর মাঝেই দোকানি আলু মেপে পলিথিনে রেখে আমাদের দিকে তাকিয়ে রইল। আমরা দু’জনেই ঝগড়া বন্ধ করে দিলাম। উনি আলু নিয়ে দোকানিকে টাকা দিলেন। আমিও তখন টাকা বের করেছি দেবার জন্য। উনার দিকে তাকিয়ে বলি,

“আপনি কেন টাকা দিলেন?

উনি কথা না বলে আমার বাহু টেনে ধরে সামনের দিকে আগাতে আগাতে বলেন,

“তো কি হয়েছে?

“না আপনি কেন দিবেন। আমি কিনছি আমি দেবো।

“আমি তো আমার দায়িত্ব পালন করছি।

“লাগবে না কিছু!

বলেই সামনে হাঁটা ধরলাম। রাগে শরীর জ্বলছে। আসছে দায়িত্ব পালন করতে। হুহ!
অতঃপর চাল‌,তেল, ডাল আর পেঁয়াজ কিনলাম। কিছুটা উনার হাতে আর কিছুটা আমার হাতে। উনি আমার দিকে তাকিয়ে বলেন,

“এতো টুকুই!

“বিয়ের বাজার করতে আসছি না চল্লিশার।

“এমন হলে বিয়ের বাজার হতো আমার আর চল্লিশার বাজার হতো তোমার.

“আমার মৃত্যু কামনা করছেন।

“মোটেও না।

দুজনেই এসে আবার বাইকে চড়লাম। উনি আমাকে বাসার সামনে নামিয়ে দিলেন। আমি হাত সবকিছু নিয়ে উনাকে একটা ধন্যবাদ দিয়ে আগাতে লাগলাম আর উনি তখন বলে উঠেন,

“তোমার এতো হেল্প করলাম আর তুমি আমাকে এক কাপ চা খাওয়ার জন্য বলছো না।

আমি উনার দিকে ফিরে বলি,
“শুধু রং চা পাবেন আর কিছু না। ঘরে বিস্কিট নেই যদি চলে তাহলে আসুন।

“এভাবে কেউ দাওয়াত করে।

“এটা দাওয়াত না। আমি সেধে আসতে চাইছেন।

“থাক যাবো না।

“কথায় কথায় বাচ্চাদের মতো রাগ না করে চা খেতে চাইলে আসুন।
বলেই সিঁড়ি বেয়ে উঠতে লাগলাম। উনিও এলেন! আমি সব কিছু নিচে রেখে উপরে দরজা খুলছি। উনি আমার পাশেই দাঁড়ানো। ঘরে ঢুকে লাইট জ্বালালাম। উনি ভেতরে এলেন। পুরো ঘরের দিক বিস্ময় চোখে তাকিয়ে রইলেন। আমি উনার দিকে তাকিয়ে বলি,

“অবাক হচ্ছেন

“খানিকটা! পুরোই ব্যাচেলার দের মতো।

“হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন। আপনি হাত মুখ ধুয়ে ওই শেষের বিছানায় গিয়ে বসুন আমি চা নিয়ে আসছি। আর এই যে ওয়াশরুম!

উনি বাথরুমে চলে গেলেন। আমি সবকিছু রান্না ঘরে রেগে চুলোয় চায়ের জন্য পানি বসালাম। উনি বাথরুম থেকে বের হতেই তোয়ালে দিলাম। উনি এসে বিছানায় বসে বলেন,

“তোমার খাট নেই!

রান্না ঘর থেকে বলি,
“পালিয়ে আসার সময় এতো কিছুর মনে থাকে না।

“এখানে আরো দুজন থাকে।

“হ্যাঁ থাকে। দুজন আপু থাকে তারা অবশ্য বোন বোন।

“ওহ আচ্ছা! কিন্তু তারা এখন কোথায়?

“অফিসে আসতে মনে হয় দেরি হবে।

উনি উঠে রান্না ঘরের কাছে এলেন। আমি তখন পানিতে চা পাতা দিচ্ছি। আমি পেছন ঘুরে বলি,

“কিছু বলবেন?

“তুমি কি এখন রাঁধবে।

“হ্যাঁ আরেকটু পরে।

“এতো রাতে রান্না করে খাবে কখন।

“রাঁধতে কতোক্ষণ লাগবে।

চা কাপে ঢেলে উনার দিকে তাকিয়ে বলি,

“চায়ে ক চামচ চিনি দেবো।

“দু চামচ!

আমি চা বানিয়ে উনার কাছে এলাম। দুজনেই দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছি। আমি চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে উনার দিকে তাকাই। উনিও চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছে। বলে উঠি,

“চা কেমন হলো?

“ভালোই!

“আচ্ছা গ্রামে কি সত্যি সব কিছু ঠিক আছে।

“হুম আছে। আমি সাথে করে ফোন টা আনি নি ভুলে গেছি। কাল নিয়ে আসবো তখন তোমার চাচা’র সাথে কথা বলে জেনে নিও।

“আচ্ছা! তা আপনি কি এখন চলে যাবেন ‌

“হুম!

বলেই চায়ের কাপ’টা রেখে উনি চলে গেলেন। আমি রান্না ঘরের জানাল থেকে দেখলাম উনি বাইকে করে চলে যাচ্ছেন।
অতঃপর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাত চড়িয়ে দিলাম। কিছুক্ষণ পর’ই মিতু আর মুন্নি আপু এলো। তারা আমাকে দেখে বেশ অবাক হলো তবে মিতু আপু বেশ খুশি। মিতু আপুর সাথে খানিকক্ষণ গল্প করলাম। অতঃপর রান্না শেষ করে পড়তে বসলাম।
.
আসবোনা আসবোনা করেও চলে এলাম ভার্সিটিতে। এসেই একটু চমকে গেলাম। কারন আকাশ ভাইয়া চলে এসেছে। দূরে তারা সবাই মিলে আড্ডা দিচ্ছে। আহিয়ান ও আছে ওখানে। আকাশ ভাইয়া আমাকে না দেখলেও আহিয়ান ঠিক’ই দেখল। মনে হলো সেই আকাশ ভাইয়া কে ইশারা করল। আকাশ ভাইয়া আমার দিকে তাকালেন। অতঃপর..

#চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here