ভালোবাসার_ফোড়ন_২ #মিমি_মুসকান #পর্ব_৩৩

0
750

#ভালোবাসার_ফোড়ন_২
#মিমি_মুসকান
#পর্ব_৩৩

সকালে ভেবেছিলাম হয়তো উনি আমাকে নিতেই আসবেন না। কিন্ত তা না করে উনি এলেন। একটু আগেই এলেন। আমি রান্নাঘরের জানালার দিকে তাকিয়ে দেখলাম উনাকে। অতঃপর নিচে নেমে এলাম।

আমাকে দেখে একটা স্নিগ্ধ হাসি দিয়ে হেলমেটটা আমার দিকে এগিয়ে দিলেন। রাগ কি তাহলে কমে গেল, যদিও জানতাম রাগ থাকবে না।
আমি হেলমেট পরে উনার পিছনে চড়ে বসলাম। উনি বলে উঠেন,
“চা খাবে ভূতনি!

“দোকানে গিয়ে চা খাবেন না কি।

“হুম, আজ অনেক শীত করছে। দেখেছ এখনো কিন্তু কুয়াশা আছে।

“হুম তা আছে।

উনি বাইক স্টার্ট দিলেন। অতঃপর আমাকে নিয়ে গেলেন আমার সেই পার্কের কাছে। পার্কে এখন তেমন কেউই নেই। থাকবে কি করে বাচ্চারা তো এখন স্কুলে। এমন একটা খালি পার্কে একটা বেঞ্চে গিয়ে বসলাম আমি। উনি বাইক সেখানে থামিয়ে ওদিকে গেলেন দেখলাম। হয়তো সেখান থেকে চা আনবেন।

বাগানের দিকে তাকিয়ে আছি। জবা ফুলের সিজন নয় বলে জবা ফুল দেখতে পাচ্ছি না। বাগানটা কেমন জানি খালি খালি লাগতে শুরু করেছে। চারদিকে আবছা আবছা কুয়াশা। আমি পা তুলে বেঞ্চে বসে আছি। শীতে আমার পা দুটো ‌ঠান্ডা হয়ে গেছে।‌

আহিয়ান এলো হাতে দু কাপ চা নিয়ে। চায়ের কাপ থেকে ধোঁয়া উড়ছে।
উনি এসে আমার হাতে এক কাপ চা দিলেন। আর আমার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের কাপে চুমুক দিলেন। আমি চায়ের কাপে চুমুক দিলাম।‌ চা টা খেয়ে কেন জানি বেশ ভালো লাগল। অসাধারণ চা! একটা লোক কি এতো সুন্দর চা বানাতে পারে আমি জানতাম না।‌
আহিয়ান বলে উঠে,

“চায়ের টেস্ট টা ভালো, নাহ!

“দারুন খেতে।

“হুম।

আমি চায়ের কাপে আবার চুমুক দিয়ে বলি,
“গতকাল রাতে আকাশ ভাইয়ার সাথে ছিলেন।

“হুম

“আপনার মা বাবা কবে আসবে?

“কাল হয়তো এসে পড়বে।

“ওহ আচ্ছা!

উনি মাথা নাড়লেন। আমি বলে উঠি,
“একটা কথা বলবো

“কি কথা?

“আপনি কি আমার উপর রেগে ছিলেন গতকাল কে?

“আমার মনে হয় তুমি রেগে ছিলে!

আমি মাথা নিচু করে চায়ের কাপে আবারো চুমুক দিলাম। উনি আর কিছু বললেন না। চা শেষ করার পর দুজনেই ভার্সিটিতে চলে এলাম। আজও নিতি’র আগেই আমরা চলে এসেছি। কি মনে আজ লাইব্রেরিতে আসলাম। হঠাৎ করেই আসা তাই ঘুরতে লাগলাম। যদি কোন বই পছন্দ তো ভালো।

আমি বই খুঁজতে লাগলাম, আশপাশ মানুষ নিঃশব্দে বসে বই পড়ছে। আমি বই খুঁজতে খুঁজতে সামনে তাকাতেই সিফাত নামের ছেলেটা কে দেখি। হঠাৎ করেই তাকে দেখার পর খানিকটা ভয় পেয়ে যাই।
ছেলেটা অদ্ভুত ভঙ্গিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। ছেলেটা ফিসফিসিয়ে বলল,

“কি গো সুন্দরী! কি করছিলে এখানে?

আমি কথা বলতে গিয়েও বললাম না। এখানে কথা বলা নিষিদ্ধ আর এই ছেলেটার সাথে ফিসফিসিয়ে কথা বলার তো কোন মানেই হয় না।
আমি ‌কিছু না বলে চলে এলাম। বাইরে আসার পর হুট করেই ছেলেটা এসে আমার সামনে দাঁড়িয়ে বলল,

“আরে সুন্দরী! কথা না বলে যে চলে যাচ্ছ?

“আপনার সাথে কথা বলার কোন ইচ্ছে নেই আমার, তাই!

“একবার বলেই তো দেখো, দেখবে ইচ্ছের চেয়ে বেশি নেশা লাগবে

আমি মুচকি হেসে বলি,
“নেশা জিনিসটা সবার প্রতি আসে না আর না এটা তৈরি করা যায়। এটা যখন আসবে নিজ থেকেই আসবে।

বলেই পাশ কাটিয়ে চলে গেলাম। তখন ছেলেটা পেছন থেকে বলে উঠে,
“তোমার সেই নেশা টা কি তাহলে আহিয়ান!

আমি থমকে যায়। ছেলেটা হেঁটে আমার সামনে এসে বলে,
“কি হলো, অবাক হলে নাকি।

“না হলাম না।

“জানতে চাইবে না আমি এই কথা কেন বললাম।

“আপনি নিশ্চিত দেখেছেন আহিয়ান তার বাইকে করে এখানে আমাকে নিয়ে এসেছে তাই।

“তুমি তো দেখছি..

বলার আগেই আমি তাকে থামিয়ে দিয়ে বলি,
“আর কথা বলতে চাইছি না আপনার সাথে!

বলেই দ্রুত চলে এলাম। তার সাথে কথা বলে সময় নষ্ট করার কোন ইচ্ছা নেই আমার।
একটু হাঁটার পর’ই হঠাৎ করেই দেখা হলো ইতি’র সাথে। বেচারি কে আজ বেশ দুঃখি দুঃখি লাগছে দেখতে। মুখটা কেমন জানি মলিন, চুপচাপ লাগছে বেশ। ওর মতো মেয়েকে এমন চুপচাপ থাকলে ভালো লাগে না আমার কাছে।

আমি অনেক জিজ্ঞেস করলাম কিন্তু মেয়েটা কিছুতেই কিছু বলছে না। অতঃপর অনেক খোঁচাখোঁচির পর বলল,
“কাল আমাকে দেখতে ছেলে আসছে

“আলহামদুলিল্লাহ! ভালো কথা তো।

ইতি আমার দিকে এমন ভাবে তাকাল যেন আমি অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি । রাগে সে লাল হয়ে গেছে। রাগী গলায় বলে উঠে,
“তুই দেখছিস না আমার মন খারাপ।

“এই কারনে তোর মন খারাপ।

“তা নয়তো কি?

“কিন্তু খারাপ কেন? কি হয়েছে, তুই কি এই বিয়ে করতে চাস না।

“না চাই না।

“তাহলে বলে দে আংকেল আর আন্টি কে।

“বলতে পারলে’ই তো হতো।

বলেই মুখটা অন্ধকার করে ফেলল। আমি ওর ঘাড়ে মাথা রেখে বলি,
“তোর এখন বিয়ে করতে ইচ্ছে করছে না, ভালো কথা। ছেলে দেখতে এলেই বিয়ে হয়ে যায় না। তুই বেশি ভাবছিস।

“তুই বলছিস!

“হ্যাঁ বলছি। তুই বলে দিবি ছেলে কে তোর পছন্দ না দেখবি তোকে কেউ এই নিয়ে জোর ও করবে না। এই জেনারেশনে মা বাবারা এইসব নিয়ে বেশ এলার্ট থাকে। ছেলে মেয়েদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তারা বিয়ে দিতে চায় না। তোর কি মনে হয় তারা এমন করবে!

“না!

“তো। ভালো কথা আমি শুনেছি মেয়ে দেখতে এলে ছেলেরা নাকি তাকে টাকা দেয়। তুই যে সুন্দরী ভালো টাকা পাবি। তখন ট্রিট দিতে ভুলিস না।

ইতি আমাকে একটা চিমটি মেরে হেসে বলে,
“তোর মাথায় এতো শয়তানি বুদ্ধি আসে কোথা থেকে বল তো।

“এভাবে এভাবেই আসে।

“তুই অনেক হারামি, জানিস এটা।

“না। তবে শুধু তুই জানলেই হবে অন্যকেউ জানার কোন দরকার নেই।

অতঃপর দুজনেই হেসে উঠলাম।
.
উনার কথামতো আজ রাস্তার সেই মোড়ে দাঁড়িয়ে আছি অনেকক্ষন। কিন্তু উনার দেখা নেই। তবে আজ ভার্সিটি ছুটির পর উনাকে দেখতে পাই নি। একবার ভাবলাম চলে যাবো আবার ভাবলাম না উনি আসবেন।
খানিকক্ষণ পর উনি ঠিক চলে এলেন। আমাকে দেখে একটা মৃদু হাসি দিয়ে বলল,

“সরি একটু লেট হয়ে গেছে

“ঠিক আছে।

উনি আমার হাতে একটা প্যাকেট দিয়ে বললেন,
“খাও!

“কি এগুলো!

“ঝাল মুড়ি! এটাই আনতে গিয়েছিলাম। জানো সেখানে মেয়েদের কি বড় লাইন ছিল।

দাঁত বের করে হেসে বলি,
“আপনি কি মেয়েদের সাথে সেই লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন নাকি।

উনি আমার দিকে ভ্রু কুঁচকে একবার তাকিয়ে অতঃপর একটু ভাব নিয়ে বলে,
“তুমি শুধু ভূতনি না বোকা ভূতনি। তোমার মনে হয় সেখানে আমি দাঁড়াব

“আকাশ ভাইয়া দাঁড়িয়েছে!

উনি জোরে হেসে বলেন,
“ওর অবস্থা টা দেখতে একবার।

“বেচারা কে সবসময় খাটান আপনি।

“এখানে খাটানোর কি হলো?

“এখানে হয় নি কে বললো, এর আগেও এমন করেছেন। গ্রামে তাকে একা রেখে চলে এসেছেন।

“তোমাকে আমি নিয়ে আসতাম বলে ওকে রেখেছিলাম বুঝলে।

“হুম বুঝেছি!

বলেই উনার বাইকে বসলাম। উনি ধীরে বাইক চালাচ্ছেন আমি পিছনে বসে ঝালমুড়ি খাচ্ছি। অতঃপর খেয়ে বলি,

“আমি ইচ্ছে করে এতো ঝাল দিয়ে ঝালমুড়ি বানিয়ে এনেছেন।

“ঝাল লেগেছে তোমার।

“না লাগেনি। আরেকটু হলেও লাগতো না।

“পরেরবার বলবো আরো একটু বেশি ঝাল দিতে।

“কেন ঝাল খাইয়ে মারবেন আমাকে নাকি।

“তাহলে তো তুমি সত্যি সত্যি ভূতনি হয়ে আসবে। আগে চড়তে আমার বাইকের পিছনে তখন চড়বে ঘাড়ে।

“আপনার ঘাড় মটকে দেবো।

“জানতাম এটাই বলবে। আমার মনে হয় তোমাকে মেন্টাল হসপিটালে ভর্তি করিয়ে দেওয়া উচিত।

“আমি স্বাভাবিক আছি। যদি অস্বাভাবিক কেউ থাকে সেটা আপনি। আপনাকে পাগলা গারদে ঢুকিয়ে দেওয়া উচিত।

“হুহ তখন দেখবো বাইকে করে কে তোমাকে দিয়ে আসে।

“মেয়েদের মতো ঝগড়ার মাঝে খোঁচা দেওয়া কি আপনার স্বভাব

“সত্যি কথা বললে তোমরা মেয়েরা এমন ছেত করে উঠে কেন। আমি কি মিথ্যে বলেছি নাকি।

আমি মুখ ভেংচি কেটে চুপ করে যাই। অতঃপর রিনুর বাসায় নামিয়ে দিয়ে যাবার চলে গেলেন উনি।
.
রাতে ঠিক সময়ে নিতে এলেন আমাকে। আমাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে চলে যেতে নিলেন। আমি বলে উঠি,
“চা খাবেন না আজ!

“না ঘুম পাচ্ছে, বাসায় গিয়ে এখন ঘুমাবো।

“কাল রাতে আপনি ঘুমান নি।

“তুমি কিভাবে জানো?

“এমনেই বললাম, দুই বন্ধু মিলে নিশ্চিত সারারাত জেগেছেন

“হ্যাঁ আড্ডা দিয়েছিলাম ছাদে বসে। শেষ রাতে দুজনে মিলেই ছাদে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে আন্টি এসে দুজন কে উঠালো।

“সাবধানে যাবেন, আপনার চোখে ঘুম।

উনি মাথা নাড়লেন। আমি হেসে বলে উঠি,

“আপনি বরং এক কাপ চা খেয়ে যান। চোখের ঘুম কেটে যাবে।

“উহু!

আমি কিছু না বলে হাঁটা ধরবো তখনই উপর থেকে দাদু ডাকলেন আহি কে!

“আরে নাতি যে!

আহিয়ান হেসে উপরে তাকালেন। বলেন,
“কেমন আছেন দাদু!

“কেমন আর থাকবো দাদু! বুড়ো বয়স হলে আর যা হয়। তুমি তো ভুলেই গেলে তোমার এই দাদু কে

“না দাদু ভুলি নি। সময় হচ্ছিল না।

“আজ হবে, আসবে! তোমার দাদি কে তোমার জন্য চা চড়াতে বলি।

“আসছি দাদু!

বলেই তিনি বাইক থেকে নামলেন। হেলমেট খুলে আমার দিকে তাকালেন। আমি দুই হাত বাহুতে গুঁজে তাকিয়ে আছি তার দিকে। তিনি হেসে বলেন,
“দেখলে আমার ভাগ্য আজ তোমার সাথে বাঁধা ছাড়তে চাইছে না

আমি উনার কথায় হেসে বাড়িতে ঢুকলাম!
.
দাদু আর আহিয়ান বসার ঘরে সোফায় বসে সিগারেট খাচ্ছে আর গল্প করছে। দাদি আর আমি রান্না ঘরে। আমি বড়া ভাজছি। ডালের বড়া! দাদি কাই বানিয়ে আমাকে দিলেন ভাজতে। ডালের সাথে আরো অনেক কিছুই আছে। দাদি আমার পাশে দাঁড়িয়ে চা বানাচ্ছেন। দাদির হাতের চাও কিন্তু দারুন। সকালে আহিয়ানের আনা চায়ের মতোই। দুজনকে ১০ এর মধ্যে দিলে ১০ ই পাবে।

বসার ঘর থেকে খুকখুক কাশির শব্দ আসছে। দাদা কাশছেন কিন্তু তবুও হাত থেকে সিগারেট ছাড়ছেন না। তিনি জানেন সিগারেট খাবার কারনেই আজ তার এই অবস্থা তবুও এই অভ্যাস ছাড়তে রাজি না তিনি। দাদা’র কাশির শব্দ পেয়ে দাদি বলল,

“বুড়োর ঢং দেখছিস! কিভাবে কাশছে তাও সিগারেট খাওয়া বন্ধ করছে না।

“কেন গো দাদি তুমি বলতে পারো না এসব বন্ধ করতে।

“মরণ! বললে কি বলে জানিস!

“কি বলে?

“বুড়োর কথা শুনলে তুই হাসতে হাসতে পাগল হয়ে যাবি।

“তুমি বলো না!

“শোন বুড়ো বলে, সিগারেট নাকি আমার মতো। সে যেমন তার নেশা আমিও নাকি তার নেশা। যদি সিগারেট ছাড়তে পারে তাহলে নাকি আমাকেও ছাড়তে পারবে এতে কোন সন্দেহ নেই।

আমি মিটিমিটি হেসে বলি,
“মন্দ কি ভালোই তো বলেছে। দেখেছ কি ভালোবাসা।

“ভালোবাসা না ভীমরতি! বুড়ো বয়সে ভীমরতি ধরেছে, নাহলে এই ধরনের কথা কে বলে। বলে কি না এই বুড়ো বয়সে আমাকে ছেড়ে দিবে হুহ!

আমি আর না হেসে পারলাম না। জোরে জোরে হেসে দিলাম। আমি দাদি টা বুড়ো দাদার ভালোবাসা বুঝলো না।

দাদি আমাকে একটা ধমক দিয়ে বললো,
“থাম রে ছেমড়ি এতো হাসিস না। দাঁত মুখ থেকে বের হয়ে আসবে।

“দাদি আমার দাঁত তোমার মতো না। আমি এখনো বুড়ি হই নি।

“বুড়ো হয়ে গেছি বলে আজ এই কথা বললি। যা বুড়ো কে চা দিয়ে আয়!

আমি চা নিয়ে গেলাম। দেখি তারা দুজনেও হাসছে। নিশ্চিত দাদা দাদির কোন মজার ঘটনা আহিয়ান কে বলেছে। আমি দাদা কে চা দিয়ে বলি,
“নাও তোমার বুড়ো বউ চা পাঠিয়েছে, বড়া আসছে একটু পর।‌

দাদা হেসে চায়ের কাপ হাতে নিলেন। আহিয়ান কে চা দিলাম। সিগারেটের অ্যাশট্রে তিনি সিগারেট নিভিয়ে চায়ের কাপ হাতে নিলেন। ভালোই দাদা নাতি দুজনেই সিগারেট খাচ্ছে একসাথে মিলেমিশে আর কি লাগে।
উনি চায়ের কাপ মুখে দিয়ে বলল,

“তোমার বুড়ি কিন্তু ভালো চা বানাতে পারে দাদু জানো!

দাদা হেসে বলেন,
“এই চায়ের জন্য’ই তো তার প্রেমে পড়েছি।

আমি উত্তেজিত হয়ে বলি,
“সত্যি দাদু!

উনি আমাকে ভ্রু কুঁচকে বলেন,
“এখানে কি করছো তুমি? বড়দের মাঝে তুমি ছোট হয়ে কি কথা শুনছ? যাও দাদির কাজে সাহায্য করো।

আমি একটা মুখ ভেংচি দিয়ে চলে এলাম সেখান থেকে। দাদু একদফা হাসলেন। আসছে আমার বড় হতো। কোনদিক থেকে আমার বড় তিনি। মানি না তাকে বড়। তার জন্য আমার মেজাজ টাই বিগড়ে গেল। একরাশ রাগ নিয়ে ঢুকলাম রান্না ঘরে। দাদি বড়া ভেজে উঠিয়ে আমাকে দিলেন। আমি সাফ জানিয়ে দিলাম আমি যাবো না তুমি যাও। দাদি দু চারটে কথা শুনিয়ে বড়া নিয়ে চলে গেল।

#চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here