ভালোবাসার_ফোড়ন_২ #মিমি_মুসকান #পর্ব_৩১

0
770

#ভালোবাসার_ফোড়ন_২
#মিমি_মুসকান
#পর্ব_৩১

“কি বললে তুমি? তুমি আমার চা খাবে।

আমি কথা না বলে উনার হাত থেকে চায়ের কাপ নিয়ে আমার টা উনার হাতে দিয়ে বলি,
“আমি এটাই খাবো!

বলেই চা খেতে থাকি। উনি ভ্রু কুঁচকে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। অতঃপর চায়ের কাপে চুমুক দেন। আমি চোখ ছোট ছোট করে দেখছি উনি কি সত্যি ‘ই চা খাবেন কি না। উনি চা খেলেন। আমি একটা শুকনো ঢোক গিলে চায়ের কাপে মুখ দিতেই উনি বলেন,

“দেখলে মরি নি আমি, বিষ ছিল না এতে।

বির বির করে বলি,
“আমি কখন বললাম বিষ আছে

“তাহলে আমার ভাগের আর্ধেক খাওয়া চা কেন খেলে, ভালোবাসা বাড়াতে বুঝি!

উনার কথায় গরম চায়ে আমার জিহ্বা পুড়ে গেল। আমি উনার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে বলি,

“কি বললেন?

“কিছু না।

“তাহলে আমি কি শুনলাম।

“সেটা তো তুমি জানো।

আমি চায়ের কাপ হাতে নিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বলি,
“আমাদের মধ্যে কোন ভালোবাসা নেই যে বাড়বে। তবে ঝগড়া আছে আর আমার মনে হচ্ছে সেটাই বাড়বে।

বলেই রান্না ঘরে চলে এলাম। চা মুখে দিয়ে ডিম সিদ্ধ বসলাম। অতঃপর আবারো ঘরে এলাম। উনি এখনো বসে বিস্কিট খাচ্ছে। মাথায় চিন চিন ব্যাথা হচ্ছে। ঠিক মতো চা খেতে পারলাম না আজ উনার কারনে। উনি আমাকে ডেকে বসতে বললেন। অতঃপর আমি বসার পর উনি আমার হাতে ফোন দিয়ে বললেন,

“নাও ফোন নাও।

আমি উনার হাত থেকে ফোন নিয়ে বলি,
“কি করবো।

“ফোন দাও।

“লক কি ফোনের?

“ইয়ান!

আমি ইয়ান লেখার সাথে সাথে ফোনের লক খুলে গেল। একটা হাসি মাখা বাচ্চার মুখ ফোনের স্ক্রিনে ভেসে উঠলো। বাচ্চাটা অনেক মিষ্টি দেখতে। তার সাথে আহিয়ানের চেহারার মিল আছে বলে মনে হচ্ছে। উনি বলে উঠে,

“এটা ইয়ান। আমার আপুর ছেলে।

“ওহ আচ্ছা!

বলেই আমি নাম্বার ডায়াল করতে লাগলাম। অর্ধেক ডায়াল করার পর চাচা নামটা ভেসে উঠল। দেখলাম এটা চাচা’র নাম্বার। আমি সেই নাম্বারে টাচ করলাম। কল যাচ্ছে উনি বলে উঠেন,

“তোমার চা খাওয়া শেষ!

মুখ ভেংচি দিয়ে বলি,
“যেই না আর্ধেক চা সব তো আপনি একাই খেলেন।

উনি হাসতে হাসতে চায়ের কাপ টা নিচে রাখল। আমি তাকিয়ে রইলাম তার হাসির দিকে। স্নিগ্ধ একটা হাসি। এর মাঝেই ওপাশ থেকে চাচা’র আওয়াজ পেলাম। আমি ফোন টা নিয়ে রান্না ঘরে চলে এলাম!

“হ্যালো চাচা!

“কেডা, মা নিহা!

“ভালো আছো চাচা!

“আছিরে মা, আল্লাহ রাখছে। তুই বল তোর শশুড় বাড়ি কেমন? সব ঠিকঠাক আছে তো।

“জ্বি চাচা এখানে সব ঠিক আছে। মা কেমন আছে, বাবা’র শরীর কেমন!

“ভাবী ভালো আছে। ভাইয়ার শরীল টাও ভালা!

অতঃপর এভাবেই কিছুক্ষণ কথা চলতে লাগল
আমাদের। মা, বাবা সবার সাথেই কথা বললাম। অতঃপর ঘরে এসে দেখি উনি জানালার দিকে তাকিয়ে বসে আছেন। এই জানালার পাশেই রাস্তা।

আমি উনার পিছনে গিয়ে দাঁড়ানোর পর উনি নিজ থেকেই পিছনে ফিরলেন। বললেন,
“কথা বলেছো!

“হুম,এই যে আপনার ফোন!

উনাকে ফোন টা দিয়ে রান্না ঘরে এলাম। ডিম সিদ্ধ হয়ে গেছে, ভাত হতে এখনো একটু সময় লাগবে। যত তাড়াতাড়ি উনি খেয়ে বিদায় হবে তত’ই ভালো।

“তুমি আমাকে তাড়াতে চাইছো।

আমি পিছনে ঘুরে দেখি উনি দাঁড়িয়ে আছে। আমি এবার সামনে ঘুরে ডিমের খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে বলি,

“একটা মেয়ের বাসায় এতো রাতে থাকাটা কেউ সহজ ভাবে নিবে না বুঝলেন।

আমার পাশে দাড়িয়ে,
“হুম বুঝলাম!

“কি বুঝলেন।

“জানি না!

আমি উনার দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলি,
“দাদু আপনাকে আসার সময় দেখেছে, এতোক্ষন আমার বাসায় থাকলে জানেন তিনি কি ভাববে।

“না দেখেনি!

“এতো সিউর হয়ে কিভাবে বলছেন।

“কারন তখন আজান দিচ্ছিল। আর তাদের বয়সের মানুষেরা আজানের সাথে সাথেই নামাজে দাড়ায় তাই। বাই দ্যা ওয়ে তুমি ডিম দিয়ে কি করবে।

“আলু দিয়ে রাঁধবো।

“ওহ আচ্ছা।

“আপনার মা বাবা কবে আসবে।

“চলে আসবে, ৩ বা ৪ দিন পর। ভালো কথা তোমাকে আর এখানে রাধতে হবে না। আমার বাসায় গিয়ে রাঁধবে।

“মানে!

“আপুর সাথে কথা হয়েছে, দু’সপ্তাহ পর চলে আসবেন তিনি। তখন’ই নিয়ে যাবো তোমায়।

“আমি যাবো না আপনার সাথে।

“কেন?

“ভাবছি আপনাকে ডির্ভোস দিয়ে আবারো একা থাকা শুরু করব।

“কিন্তু তুমি তো বলেছিলে জীবন চলার পথে নাকি কারো সঙ্গ চাই!

“হুম বলেছি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এই সব’ই বিধা। জীবন চলার পথে একটু সাহস আর শক্তি থাকলেই চলে।

“কবিদের মতো কথা না বলা ছাড়ো। ডির্ভোস দিবে ভালো কথা কিন্তু এজন্য ও তোমাকে আমার সাথে ৬ মাস থাকতে হবে। নিউ কাপলদের এতো তাড়াতাড়ি ডির্ভোস হয় না। আর এখানে তো তোমার আমার বিয়ের আজ ২ দিন হলো সবে।

“এই বিয়ের কোন দাম নেই আমার কাছে

“আমার কাছেও নেই তবে দায়িত্ব আছে

আমি উনার দিকে তাকিয়ে আবারো রান্নায় মনোযোগ দিলাম। আলু আর পেঁয়াজ কাটছি। উনি কিছু মসলা পাতি নিয়ে এসেছে আজকে। কি আর করবে কথায় আছে না ‘কাজ নেই তো খই ভাজ” উনার অবস্থাও এখন এটা। একপাশে পা দিয়ে হেলান দিয়ে ফোন নিয়ে গুঁতাগুঁতি করছে।
.
রান্না শেষ করে উনাকে খেতে দিয়েছি। উনি প্লেট’র দিকে তাকিয়ে বলে,

“তুমি খাবে না।

“না আপনি খান আমি পরে খাবো।

“আরে এখন খেয়ে নাও নাহলে আবার কিছু মিশিয়ে দেবো আমি।

আমি উনার দিকে তাকিয়ে উঠে গেলাম। উনি পেছন থেকে বলেন,
“সারাদিন না খেয়ে আছো শেষে কিছু হয়ে গেলে সবাই আমাকে দায়ি করবে বুঝেছ।

“আস্তে কথা বলুন উপরে দাদু রা থাকেন।

“আমি জোরে কথা বললাম কখন?

“এই যে বলছেন।

“আর তুমি তো ঝগড়া করছো। এজন্য বলে কারো ভালো করতে নেই।

“নিজের টা আগে করুন লাভ হবে।

অতঃপর উনি প্লেট নিয়ে মুখ ঘুরিয়ে বসলেন খেতে। আমিও বসলাম কারন খুব ক্ষিধে পেয়েছে আমার। উনি খাবার মুখে দিয়ে আমার দিকে ঘুরে বলে,

“বুঝলে ভূতনি তুমি আমার ধারনা পাল্টে দিয়েছ।

“কেমন?

“এমন যে আমি ভাবতাম তোমার মতো মেয়েরা হয়তো রান্না করতে পারে না।

“আমার মতো মেয়ে না।

“তোমার মতো ঝগড়াটে ভূতনি!

“খাওয়ার সময় ঝগড়া করিয়েন না। চুপচাপ খেতে থাকুন।

“তা তো খেতেই হবে। নাহলে দেখা যাবে তুমি চায়ের মতো আমার ভাতের প্লেট ও নিয়ে যাবে। আবারো বলবে আর্ধেক খেলে ঝগড়া বাড়বে!

বলেই মুচকি হাসলেন। এই প্রথম উনার হাসি দেখে আমার রাগে শরীর জ্বলছিল। আমি উনার থেকে মুখ ঘুরিয়ে পিছনে ফিরে খেতে লাগলাম। এবার উনার জোরে জোরে হাসার শব্দ পেলাম।

খাচ্ছিলাম হঠাৎ করেই উনি বলে উঠেন,
“ভূতনি!

“কি?

“লবণ দাও!

“তরকারিতে তো লবণ ঠিক আছে।

“তো কি? আরো লাগবে নিয়ে আসো।

আমি বিরক্ত ভঙ্গিতে উঠে রান্না ঘরে গিয়ে লবণ নিয়ে এলাম। অতঃপর বসার পর উনি আবারো বলেন,
“ভূতনি!

“কি?

“পানি দাও!

আমি এবার উনার দিকে ফিরে বলি,
“সমস্যা কি বলুন তো?

“কোন সমস্যা নেই।

“তাহলে আমাকে বিরক্ত করছেন কেন?

“বিরক্ত কোথায় করছি, শুধু পানি খেতে চাইলাম। মেহমান কে খেদমত করবে না নাকি।

বির বির করে বলি,
“বিন বোলায়ে মেহমান!

“কি বললে!

“কিছু না,‌ আনছি পানি।

আবারো উঠে পানি আনলাম। এর সাথে পানির জগও নিয়ে এলাম। উনার দিকে তাকিয়ে আবারো খেতে বসলাম। খেতে গিয়েও শান্তি দিবেন না উনি আমায়।

অতঃপর উনি খেয়ে উঠলেন। কিন্তু আর বসলেন না চলে গেলেন। উনাকে ছাড়তে নিচ অবদি গেলাম না। এটা বোকামি ছাড়া আর কিছু না। দরজা থেকেই বিদায় দিলাম উনাকে। উনি বলেন,

“সকালে আমি নিতে আসবো তোমায়, তৈরি থেকো! বলেই নেমে গেলেন। আমি রান্না ঘরে এসে দাঁড়ালাম। উনি মাথায় হেলমেট দিয়ে আমার দিকে তাকালেন। অতঃপর বাইকে চড়ে চলে গেলেন। কিছুক্ষণ সেখানেই দাঁড়িয়ে রইলাম।

থালা বাসন সবকিছু ধুয়ে বিছানায় এসে বসলাম। বেশ ক্লান্ত লাগছে আজ। মিতু আর মুন্নি আপু আজ আসবে না তার মানে পুরো ঘরে আমি একা থাকবো।
বিছানায় বসে ছিলাম। কখন যে এভাবে ঘুমিয়ে গেলাম জানি না তবে ঘুম ভাঙল একটা দুঃস্বপ্ন দিয়ে। দুঃস্বপ্ন টা অনেক ভয়ানক ছিলো। আমি চিৎকার করে ঘুম থেকে উঠে পড়লাম। আশপাশ তাকিয়ে দেখি কেউই নেই। মাথার উপর ভন ভন করে ফ্যান চলছে। ঘেমে একাকার আমি। অনেক অস্থির লাগছে নিজেকে। বিছানা ছেড়ে উঠে বাথরুমে গিয়ে মুখে পানি দিলাম।

ঘন ঘন শ্বাস নিচ্ছি! মুখ মুছে এসে আয়নার সামনে দাঁড়ালাম। বাইরে এখনো আলো ফুটেনি। এর মানে এখনো মাঝরাত। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ৩.৫০ বাজে। ভোর হবে কিছুক্ষণ বাদে। আমি শব্দ করে একটা নিঃশ্বাস নিয়ে বিছানায় বসলাম। নিজেকে শান্ত করছি। অপেক্ষা করছি ভোর হবার।

স্বপ্নটার কিছু কিছু স্মৃতি আমার মস্তিষ্কে ঘুরছে। আমি ঘুটঘুটে অন্ধকার একটা ঘরে। কোন আরো নেই সেই ঘরে। হঠাৎ করেই আমার মাথার উপর একটা লাইট জ্বলে উঠলো। চমকে উঠলাম আমি। আমি আলোর নিচে দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু চারপাশ শুধুই অন্ধকার। সেই অন্ধকার থেকে লম্বা লম্বা কয়েকটা হাত এগিয়ে আসছে আমার কাছে। ভয়ে আতকে উঠলাম। চিৎকার করার চেষ্টা করছি কিন্তু কিছুতেই গলা দিয়ে আওয়াজ বেরুচ্ছে না। তারা আমার কাছে আসছে আরো কাছে..
অতঃপর স্বপ্ন টা এখানেই ভেঙে গেল।

কিছুক্ষণ থম মেরে বসে রইলাম। চারদিকে কোন আওয়াজ নেই। রাস্তায় কিছু কুকুর দের আওয়াজ আসছে। তারা রাত জেগে শুধু ডেকেই যায়। ফ্যানের শো শো শব্দ আসছে আমার কানে। কতোক্ষণ এভাবে বসে থাকার পর আজানের ধ্বনি কানে এলো। ভয় আবার কমতে শুরু করল। আমি উঠে অযু করে নামাজ পড়ে নিলাম।

মিতু আপু আর মুন্নি আপু চলে এলো। দুজনেই এসে ঘুমিয়ে পড়ল কিন্তু আমার যে আর ঘুম আসছে না। নিজেকে খুব ক্লান্ত লাগছে। তাই বসে না থেকে গোসল টা সেরে নিলাম।

গোসল করে কাপড় নিয়ে ছাদে চলে এলাম শুকাতে দেবার জন্য। অতঃপর সেখানে দোলনায় বসে রইলাম। আশপাশের পরিস্থিতি দেখতে লাগলাম। গাছের ডালে পাখিরা কিচিরমিচির ডাকছে। হয়তো পাখিদের ছানা। ক্ষিধে পেয়েছে তাদের। তাদের মা উড়ে চলে গেল খাবারের সন্ধানে। ছানাদের ক্ষিধে নিবারণ যে করতে হবে।

দূরে দেখলাম খবরের কাগজ নিয়ে একটা ছোট ছেলে সাইকেল নিয়ে আসছে। এই ছোট ছেলেটা ও কাজ করছে বেঁচে থাকার জন্য। খুব সমস্যায় না পড়লে এতো কম বয়সে কেউই কাজ করতে চায় না। সকালের আকাশ বরাবরই কুয়াশায় ভরপুর হয়। আজও তার ব্যতিক্রম না। পুরো আকাশ কুয়াশায় ঢাকা। চারদিক কুয়াশায় ভরা। শীত লাগছে আমার আমি গায়ের উড়না টা অযথা জড়িয়ে নিলাম কারন এটা দিয়ে আমার শীত কমবে না।

গুটিসুটি মেরে দোলনায় বসে রইলাম। একসময় এইখানেই ঘুমিয়ে গেলাম। হঠাৎ করেই ঘুম ভেঙে গেল আমার। ঘুম ভাঙতেই দেখি অনেক বেলা হয়ে গেছে। কিভাবে ঘুমিয়ে পড়লাম এখানে আমি!

উঠে দাদা আর দাদু’র সাথে দেখা করলাম। অতঃপর ঘরে চলে এলাম। মিতু আর মুন্নি আপু মরার মতো ঘুমিয়ে আছে। আমি রান্না ঘরে এসে রাতের খাবার সব গরম করলাম। অতঃপর খাবার খেয়ে পড়তে বসলাম। অনেকক্ষণ ধরেই পড়লাম অতঃপর ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ভার্সিটির সময় হয়ে গেছে। কিন্তু উনি এখনো এলেন না।

ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ করে বাইকের আওয়াজ শুনতে পেলাম। রান্না ঘরে গিয়ে জানালা দিয়ে দেখি উনি এসেছেন। ঘরে এসে উড়না টা গায়ে দিয়ে চুল আঁচড়ে ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে গেলাম। আমাকে দেখে হেলমেট টা এগিয়ে দিলেন। আমি হেলমেট টা পরার পর বাইকে উনার পিছনে বসলাম। উনি বাইক চালাতে শুরু করলেন।

বাইক এসে থামল ভার্সিটিতে! আমি উনার বাইক থেকে নামলাম না অন্য কোথা থেকে নামলাম বুঝতে পারলাম না। সবাই কেমন অবাক চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। ব্যাপারটা খুব অস্বস্তিকর! তবে ভালো হয়েছে নিতি এখানে নেই। আমি বাইক থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করলাম। উনি বললেন,

“ক্লাস শেষে দাঁড়াবে বুঝলে!

আমি মাথা নাড়িয়ে চলে এলাম, এসে বসলাম ক্যাম্পাসে। উনাকে দেখতে পেলাম না। খানিকক্ষণ পর’ই এসে পড়ল ইতি। দুজনে মিলে গল্প শুরু করে দিলাম। হুট করেই কেউ পিছন থেকে আমার কানের কাছে এসে বলল,

“হেই সুন্দরী!

তার কথায় আমি চমকে উঠলাম। অতঃপর ফিরে তাকালাম…

#চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here