উজান_যমুনা #পর্বঃ৪

0
222

#উজান_যমুনা

#পর্বঃ৪

লেখনীতে ঃ #সুমাইয়া_আফরিন_ঐশী

উজানের কথা শুনে যমুনার মুখশ্রী গম্ভীর থেকে আরো গম্ভীর হলো। উজান ভেবে ছিলো যমুনা হয়তো রেগে যাবে,তাকে বেয়াদব, অসভ্য ইত্যাদি বলে সম্মোধন করবে। যমুনাকে রাগাতে তার বেশ লাগে! প্রিয় নারীর রাগান্বিত মুখশ্রী, ঝংকার তোলা কণ্ঠস্বর বেশ উপভোগ করে উজান চৌধুরী।
কিন্তু হলো উল্টো! ছেলেটা আশাহত মন নিয়ে তাকিয়ে আছে সিনিয়র প্রেয়সী মুখপানে। যা দেখে হঠাৎ করেই ঠোঁট এলিয়ে হাসলো যমুনা! নিজেকে ধাতস্ত করতে নারীটি মিনিট খানিক সময় নিলো। অতঃপর উজানের চোখে চোখ রেখে হেয়ালি করে বলে উঠলো ,
“নিজেকে সময় থাকতে শুধরে নেও ছেলে। জানো তো, অনাকাঙ্ক্ষিত সবরকমের ইচ্ছে সবার পূরণ হয় না! যদি সব ভালোবাসাই পূর্ণতা পেতো
তাহলে এই শহরে এতো বির’হের সুর বাজতো না!
মায়া কা’ন্না সবাই দেখলেও হৃদয়ের আর্ত’নাদ কেউ শোনে না!”

উজান বিপরীতে স্মিত হেসে যমুনার চোখের দিকে তাকিয়ে বললো,

“আমার সবরকমের ইচ্ছে পূরণ হওয়ার প্রয়োজন নেই, শুধু আমার আপনাকে চাই উপমা।আপনাকে একান্তই আমার নিজের করে পাওয়ার মতো বড় ইচ্ছে আর দু’টো নেই উজান চৌধুরী’র!
আমি এ-ও জানি, আমার রব আপনাকে খুব শীগ্রই আমার করে দিবেন!”

যমুনা ভ্রু কুঁচকে বললো, “এতো নিশ্চয়তা কোথায় পেলে তুমি?

“বিকজ, রব এটাই চাইছে। তাইতো তিনি আমায় নিরাশ করেননি, পুনরায় আমার করে আপনাকে ফিরিয়ে দিয়েছে। আমার উপরওয়ালা জানে আমি ঠিক কতটুকু ভালোবাসি আপনাকে।
আপনাকে ভালোবাসার ক্ষেত্রে কখনো কৃপণতা ছিল না আমার! মন উজাড় করে আপনাকে ভালোবেসেছি উপমা। আপনি মানুষটা আমার বড্ড শখের!”

“হাহা! তুমি বড় অবুঝ উজান চৌধুরী! দূর থেকে সবুজ ঘাস যতোটা সুন্দর কাছে থেকে অতোটা না। জীবন ঠিক এমনই সব কিছু প্রথমে সহজ মনে হলেও, কোন কিছুই সহজ না।”

যমুনা আর দাঁড়ালো না গা-ছাড়া ভাবে হেলেদুলে কক্ষ ত্যাগ করলো। উজান প্রেয়সীর যাওয়ার পানে তাকিয়ে চাপা স্বরে বললো,

“আমি সবকিছু সহজ করে নিবো উপমা।
মাঝে মাঝে আপনার মন খারাপের শহরে ঘুরতে যেতে ইচ্ছে হয়। মন খারাপের কারণ গুলো খুঁজে,
আপনার মুখে হাসি ফুটাতে বড্ড ইচ্ছে হয়।আপনার মুখে হাসি ফুটাতে পারলে’ই আমি শান্তি পাই। আমায় এতটুকু অধিকার দিয়ে দিন না উপমা!”

সে কথা নারীটি শুনলো কি-না বোঝা গেলো না। তবুও উজান চৌধুরী কিছু একটা ভেবে বাঁকা হাসলো।
.
.
আজ দুপুরে একটু তাড়াতাড়িই স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরছেন কাসেম তালুকদার। উজান কে নিজের বাড়িতে দেখে উনিও বেশ খুশী হয়েছেন। বসার ঘরে বসে টিভি দেখছিলো উজান। ফুপা’কে দেখে সালাম দিলো,

“আসসালামু আলাইকুম আঙ্কেল!”

কাসেম তালুকদার উজানের পাশে বসে মৃদু হেসে বললো,

“ওয়া আলাইকুমুস সালাম! কেমন আছিস ব্যাটা?”

“আলহামদুলিল্লাহ! আপনি কেমন আছেন আঙ্কেল? আপনার শরীরটা ভালো যাচ্ছে এখন?”

“আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি! শরীরও আজকাল বেশ যাচ্ছে। রবের দরবারে শুকরিয়া!”

দু’জন মিলে কুশলাদি করে টুকটাক কথা বলছেন। তাহেরা খানম টেবিলে খাবার রেডি করছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে জলিও এসে পড়ছে কলেজ থেকে। যমুনা বাদে বাকি সবাই একসাথে খেয়ে বসার ঘরে বসে গল্প-গুজব করছে। যমুনা ঘন্টা খানিক সময় ধরে দরজা ভিতর থেকে খিল এঁটে বসে আছেন। মা খেতে ডেকেছেন, বাবাও ডেকেছেন তাও রাগে-দুঃখে বের হয়নি। ক্ষুধা নেই, পরে খাবো, বলে চালিয়ে দিয়েছে। এখন বাজে চারটা, বসার ঘরে পিনপতন নীরবতা। সবাই যে যার রুমে। ক্ষুধায় পেট চো-চো করছে যমুনার। কতক্ষণ আর না খেয়ে থাকা যায়। উপায়ন্তর না পেয়ে দরজা খুললো যমুনা। এরিমধ্যে, চোখ টিপ দিয়ে শিস বাজাতে বাজাতে ভিতরে হুড়মুড় করে ঢুকে পড়লো উজান। সবাই যেহেতু রুমে সেই সুযোগে যমুনার রুমের আশপাশেই ঘুরঘুর করছিলো উজান। এরিমধ্যে মেয়েটাকে জ্বালানোর মোক্ষম একটা সুযোগ আসলো। উজান যমুনার রুমে ঢুকেই বেডে টানটান হয়ে সুয়ে পড়লো।
যা দেখে যমুনা চমকালো! ভড়কে গেলো! পরমুহূর্তে আক্রোশে ফে’টে পড়ছেন শ্যামময়ী রমনী। ছেলেটা আসার পর থেকে জ্বা’লি’য়ে মা’র’ছে তাঁকে। যমুনা একরাশ আ’ক্রো’শ নিয়ে উজানের লম্বা চুল গুলোতে টান দিয়ে ধমকে বললো,

“তুমি আমার রুমে এসেছো কেন উজান?”

উজান আড়মোড়া ভেঙে দাঁত কেলিয়ে বললো,

“বাহ্’রে! বড় আপুর রুমে আসতে পারি না বুঝি? আপনি ডিরেক্ট আমাকে রুমে আসতে নিষেধ করছেন উপমা?”

“তুমি একটা অসহ্য উজান! তোমাকে শুধু আমার রুমে নয়, আমাদের বাড়ির ধারেকাছেও যেনো আর না দেখি। তুমি এখনো বাসায় যাচ্ছো না কেনো?”

“এভাবে তা’ড়ি’য়ে দিচ্ছেন সিনিয়র আপু? কোথায় আমার মতো কিউট একটা বাচ্চা ছেলেকে আদর করে চুমু টুমু খাবেন, তা-না উল্টো ধমকাচ্ছেন!”

“তুমি বাচ্চা?”

” আপনিই তো কথায় কথায় বাচ্চা বলেন। তো বাচ্চা’কে যে আদর করে চুমু খেতে হয় তা আপনি জানেন না উপমা? আপনি চাইলে যত ইচ্ছে খেতে পারেন, আমি কিছু মনে করবো না!”

উজানের কথা শুনে যমুনা চোখ পাকিয়ে বেডের পাশে রাখা কোলবালিশ ছুঁ’ড়ে মা’র’লো ছেলেটার গায়ে। উজান নিজের গায়ে বালিশ পড়ার আগেই ধরে ফেললো। ফুঁ’স’ছে যমুনা, হেসে লুটোপুটি খাচ্ছে উজান! এই হাসি দেখে তড়তড় করে রাগ বাড়ছে যমুনার।পরমুহূর্তে উজানের কান টান দিয়ে ধরলো সে। কানে ব্যথা অনুভব করে “আহ্” জাতীয় শব্দ করলো উজান। নিজেকে ছাড়িয়ে সোয়া থেকে উঠে এক লা’ফ দিয়ে বিছনা ছাড়লো। যমুনা ওকে ধরার জন্য পিছু পিছু ছুটতে ছুটতে দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠলো ,

“ফাজিল ছেলে! তোমার কান আমি একদম টেনে ছিঁড়ে দিবো। ফাজলামো করো আমার সাথে। ইডিয়েট! এক্ষুণি বের হও আমার রুম থেকে।”

এরিমধ্যে যমুনার রুমে প্রবেশ করলো তাহেরা খানম। মেয়ের এহেন কথা শুনে রেগে গেলেন উনি। এগুলো কোন ধরনের কথা! ছি! ছি! একমাত্র ভাইপোটা তার কতদিন পর ফুপির কাছে এসেছে, আর মেয়েটা তাকে তাড়িয়ে দিচ্ছে। উনি মেয়ের দিকে রক্তিম চোখে একবার তাকিয়ে উজানের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,

“কি হয়েছে বাপ? তুই কি করছিস, ও তোকে ধমকালো কেন?”

উজান ফুপির অগোচরে যমুনার দিকে একবার তাকিয়ে দুষ্ট হেসে নিলো। অতঃপর ফুপির দিকে তাকিয়ে মুখ কালো করে বললো,

“আসলে ফুপি..! তোমাকে না পেয়ে আমি উনার রুমে এসে উনাকে বলছিলাম, আমাকে যেন এক কাপ চা বানিয়ে দেয়। কিন্তু, উনি তো দিলোই না উল্টো রেগে গেলেন। আমারই উচিত হয়নি উনাকে বলা! সরি আপু, কিছু মনে করবেন না !”

ছেলেটার চোখের পলকের মধ্যে এমন ডাহা মিথ্যা কথা শুনে মুখ হা হয়ে গেলো যমুনার। তাকে এভাবে জ’ব্ধ করছে ফাজিলটায়। তান্মধ্যে, তাহেরা খানম রেগে গেলেন। মেয়ে’কে পুনরায় ধমক দিয়ে ক্রোধিত কণ্ঠে শুধালো,

“এগুলো তোর কেমন আচরণ যমুনা? তুই না পারলে আমাকেই বলতে পারতি। সামান্য একটা চায়ের জন্য এ-সব! বেয়াদব মেয়ে! আমার জাতি-গোষ্ঠী কি তোদের বাড়িতে নিত্য এসে বসে থাকে, হ্যাঁ! আমার বাপের বাড়িতে কি কম আছে?”

যমুনা বেকুব বনে গেলো। তাহেরা খানম উজানের গায়ে আলতো হাত বুলিয়ে কোমল কণ্ঠে পুনরায় আবারো বললেন,

“ওর কথায় তুই কিছু মনে করিস না আব্বা! তোর আপার একটু মাথায় সমস্যা আছে!”

যা শুনে খুকখুক করে কেশে উঠলো যমুনা। শেষমেশ মা তাকে পাগল বানিয়ে দিলো। যমুনার অসহায় মুখভঙ্গিমা দেখে হাসিতে গড়াগড়ি খেতে ইচ্ছে করছে উজানের। কিন্তু, পারছে না ফুপি দাঁড়িয়ে আছে। সে-তো আবার নিত্যন্তই ভদ্র ছেলে। উজান মাথা নিচু করে বিনয়ী কণ্ঠে শুধালো,

“থাক ফুপি, পাগলী মেয়েটাকে আর বকো না! পাগলের কথায় আমি কিছু মনে করিনি।”

পরমুহূর্তে যমুনার দিকে তাকিয়ে মৃদু কণ্ঠে শুধালো,

“আমার আবার মন বিশাল বড়, আপনাকে ক্ষমা করে দিলাম আপু। থাক, স্যরি বলতে হবে না!”

পরমুহূর্তে তাহেরা খানম উজান কে সঙ্গে করে রুম থেকে বের হয়ে গেলেন। খুব যত্ন করে এক কাপ চা করে দিলেন তাকে। আজ আর কোনোভাবেই বাসায় যেতে দিলো না ছেলেটাকে। উজানের ও ওতো তাড়া নেই। প্রেয়সীর পাশাপাশি আরো একটু সময় থাকার সুযোগ হলো যেন। এই সুযোগে তার রাগিণী’র সাথে নানা বাহানায় যদি একটুখানি কথা বলা যায়!
.
.
এখন রাত এগারোটা ছাড়িয়েছে। যমুনা উজানের উপর আকাশ সমো রাগ- বিরক্ত নিয়ে রুমে থম মে’রে বসে আছেন। বাবা-বোন বার কয়েক ডেকে গেছে এরিমধ্যে। কিন্তু, যমুনা পণ করেছে, বাঁদর ছেলেটা না যাওয়া অবধি নিজের রুমেই থাকবে সে। কোনো ভাবে শয়তানটার মুখোমুখি হবে না। আবার না জানি বেফাঁস কথা-বার্তা বলে লজ্জায় ফালায়, উল্টো শেষমেশ মায়ের বকাও খেতে হয় তাকে। সে-সবে কাজ নাই বাপু। সারাদিনে আর খাওয়া জুটেনি তার। মাএ সোয়া থেকে উঠে রুমে থাকা এক পিস ড্রাই কেক খেয়েছে। এরিমধ্যে দরজার ওপাশ থেকে জলি লাগাতরে দরজায় আঘাত করছে আর ডাকছে,

“এই আপু দরজা খোল। কি হয়েছে তোর? আমাকে ভিতরে নে প্লিজ!কতক্ষণ হলো,দেখি না তোকে।”

বোনের আহ্লাদী কথা শুনে দরজা খুলে দিলো যমুনা। এমনিতেই তার একা একা থাকতে থাকতে বোরিং লাগছিলো। জলি’কে ভিতরে নিয়ে আবারো দরজা লক করে দিলো যমুনা। দু’বোন পাশাপাশি খাটের উপর বসলো। জলি বোনের কাঁধে মাথা রেখে কোমল কণ্ঠে শুধালো,

“তোর কিছু হয়েছে আপু? মুড অফ কেনো?”

যমুনা গম্ভীর কণ্ঠে বললেন, “আমি ঠিক আছি। ওই বাঁদরটা এখনো যায়নি জলি?”

জলি চট করে মাথা তুলে চারপাশে একবার তাকিয়ে বললো,

“কোথায় বাঁদর আপু? আমি তো দেখছি না!”

“আরেহ্! আমি ওই উজানের কথা বলছি।”

“ওহ্! উজান ভাই। উনি যায়নি তো, আম্মু যেতে দেয়নি। কিন্তু, উজান ভাই বাঁদর হলো কবে থেকে আপু? উনি তোকে কিছু বলেছে, তুই উনার উপর রেগে আছিস?”

যমুনা বোনের কথায় থমথম খেয়ে গেলেন। নির্লজ্জ ছেলেটা কি আর তাকে শান্তিতে দিচ্ছে। কিন্তু সেসব বরাবরের মতো এড়িয়ে গেলো যমুনা। জলি বুঝলো তার আপুর মন খারাপ, রেগে আছেন। বোনের সাথে যতোই দুষ্টুমি, ঝগড়া করুক না কেন। দিনশেষে দু’জন দু’জনকে অসম্ভব ভালোবাসে। জলি কিছুক্ষণ নিরব থেকে বোনের হাত ধরে বললো,

“আপা চল ছাঁদে যাই।”

যমুনা আগের ন্যায় থমথম কণ্ঠে শুধালো, “তুই যা আমার ভাল্লাগছে না।”

“আপু চল না। আজ চাঁদনি রাত। দু’বোন মিলে দোলনায় দোল খেতে খেতে জ্যোৎস্না বিলাস করি। দেখবি তোর ভালো লাগবে।”
.
.
বাহিরে ঠান্ডা শীতল আবহাওয়ার বইছে। আকাশে আজ মস্ত একটি চাঁদ উঁকি দিয়েছে। চাঁদের কিরণে সবকিছু অদ্ভুত সুন্দর লাগছে। শীতল আবহাওয়ার মাঝে ছাদের রেলিং ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে এক যুবক। ঠান্ডা বাতাস এসে উড়িয়ে দিচ্ছে তার ঝাঁকড়া চুল। যুবকটি হেলদোলহীন ভাবে অপলক নয়নে চাঁদের মোহগ্রস্ত রুপের দিকে তাকিয়ে আছে। মিনিট পাঁচেক সময় পর সেদিকে তাকিয়ে মৃদু কণ্ঠে শুধালো,

“ও চাঁদ তোমার এত রূপ কেন বলবে। মোহিত হয়ে গেলাম যে তা কি তুমি জানো। ও চাঁদ তুমি কি জানো তোমার মতো আমারও শখের নারী অতুলনীয়, যাকে দেখে প্রেমে পড়ে যাই মুহূর্তে সকল অভিমান ভুলে তার বুকে লুটোপুটি খাই। ও চাঁদ তোমার রূপ হয়তো চুরি করেছে সে নয়তো পৃথিবীতে এত মানুষ থাকতে আমি কেন তার কাছে ফিরে যাই বার বার।”

মাএই ছাঁদে পা রেখেছিলো যমুনা। বোন তাকে এক প্রকার জোড় করেই বাহিরে নিয়ে এসেছিলো। কিন্তু, পরমুহূর্তে তাকে রেখেই মেয়েটা লাপাওা! বাবা তাকে ডেকেছে। বাধ্য হয়ে একাই আসছে যমুনা। বিপরীত মুখি হওয়ার যুবকটিকে দেখে তার চিনতে অসুবিধা হলো না, এটা ফাজিল উজান চৌধুরী। ছেলেটাকে এখানে দেখেই মেজাজ বিগড়ে গেলো যমুনার। তাকে এখনো দেখেনি উজান। যমুনাও চায় না উজানের মুখোমুখি হতে। তাই নিঃশব্দে ছাঁদ থেকে চলে যাওয়ার জন্য উদত্য হলো মেয়েটা। আচমকা উজান তার দিকে না তাকিয়েই বলে উঠলো,

“দাঁড়ান উপমা।”

চলবে….

(আপনাদের জন্যই লিখি, অথচ গল্পটায় আপনাদের রেসপন্সই নেই।পেজে রিচ নেই, লিখতে আগ্রহ পাচ্ছি না। যারা পড়েন দয়া করে লাইক দিয়ে একাধিক কমেন্ট করবেন আজ। ভালোবাসা সবাইকে! ❤️)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here