সিনিয়র গুন্ডি মেয়ের ভালবাসা** writer : Akash khan পার্ট : ৭

0
271

**সিনিয়র গুন্ডি মেয়ের ভালবাসা**

writer : Akash khan

পার্ট : ৭

**তারপর আমি অধরার সামনে চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে থাকি,,।কিন্তু কিছুখন হয়ে গেল অধরার কোন রকম সারা শব্দ পাচ্ছি না,,।আছে নাকি চলে গেছে বুঝতে পারছি না,,।তারপর হঠাৎ করে মনে হল কেউ একজন তার হাত দিয়ে আমার দুটো চোখ আটকানোর চেষ্টা করছে,,।আমি বেশ বুঝতে পারছি এটা অধরা,, কিন্তু সে কী করতে চাচ্ছে সেটা বুঝতে পারছি না,,।তারপর আস্তে আস্তে মনে হচ্ছে অধরার নিশ্বাস আমার মুখের ওপর পরতে লাগলো,,,।আর আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই অধরা যা করলো,,,,,,,,,,,তারপর থেকে,,,

**আর আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই অধরা আমার দু গালে দুইটা কিস করে বসে,,,।যেটার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম। আমি কখনো কল্পনাও করতে পারি নি অধরা আমার সাথে এমন কিছু করবে,,।অধরা আমাকে কিস করে একটা হাসি দিয়ে দৌড় মেরে আমার রুম থেকে বেরিয়ে যায়,,আর আমি বোকার মত ওখানেই চুপচাপ দাঁড়িয়ে থেকে ভাবতে থাকি এখন আমার সাথে এটা কী হল,,।অধরা কেন আমার সাথে এমনটা করলো,, এটা যদি পরিবারের কেউ দেখতো তাহলে আমাকে তারা কী মনে করতো এটা মাথায় আসতেই আমার শরীর গামতে শুরু করে দেয়,,।আমি যখন একটু ঘটে যাওয়া বিষয়টা নিয়ে নানান চিন্তায় ব্যস্ত ঠিক তখনি চেয়ে দেখি আমার সামনে অধরার ছোট ভাই আয়ান,, মানে যাকে আমি ছোট নবাব বলে ডাকি সে দাঁড়িয়ে মিটমিট করে হাসতেছে,,।তখন আমি আয়ানকে বললাম,,,,

আমি : কী ছোট নবাব আজ এত খুশি কেন,,,,,যে এত হাসতেছ,,,?(হেসে বললাম)

আয়ান : শুভ্র ভাইয়া,,অধরা আপু তেমাকে চুমা দিছে তাই না,,?(হাসতে হাসতে বলল)

**ছোট নবাবের কথা শুনে এবার আমার সত্যি সত্যি গলা শুকিয়ে গেছে,,।ও কী করে জানলো যে অধরা আমাকে কিস করছে,,আর সবথেকে বড় কথা এই কথা যদি বড় আম্মু জানতে জানতে পারে তাহলে সারা জীবনের জন্য তাদের কাছে ছোট হয়ে যাবো,,।তখন আমি বললাম,,,

আমি : ছোট নবাব তুমাকে কে বলছে অধরা আপু আমাকে কিস করছে,,,।এটা একদম মিথ্যা কথা,,,,

আয়ান : শুভ্র ভাইয়া,, তুমি মিথ্যা বলছো,,আমি জানালার পাশে দাঁড়িয়ে সব দেখছি,আপু তুমার সাথে কী কী করছে,,আর তুমার গালে এখনো আপুর লিপস্টকের দাগ লেগে আছে,,,,(হাসতে হাসতে বলল)

**আয়ানের কথা শুনে তারাতারি গালে হাত দিয়ে দেখি সত্যি সত্যি আমার গালে গোলাপি কালারের লিপস্টিক লেগে আছে,,।তারমানে আয়ান সত্যি সত্যি সব দেখছে,,।তখন আয়ানকে বুঝানোর জন্য বললাম,,,

আমি : আসলে ছোট নবাব,, অধরা আপু আমার সাথে দুষ্টুমি করে এমন করছে বুঝছো,,।তুমি এটা আবার কাউকে বল না কেমন,,। আমি তুমার জন্য বাজার থেকে কিটকেট চকলেট নিয়ে আসবো,, (হেসে বললাম)

আয়ান : আচ্ছা বলবো না,,তবে অনেক গুলা আনতে হবে কিন্তু,,,,(হেসে বলল)

আমি : আচ্ছা,, যাও তুমার জন্য অনেক গুলো চকলেট আনবো,,,(হেসে বললাম)

**আমার কথা শুনে ছোট নবাব খুশি হয়ে চলে যায়,,আর আমি মনে মনে চিন্তা করি এখন থেকে যতটুকু সম্ভব অধরার কাছ থেকে দুরে থাকবো,,।কারণ দিনকে দিন অধরার আমার সাথে করা আচরণ গুলো বেশ অন্যরকম লাগে,,,যা পরিবারের কেউ দেখলে অন্যকিছু ভাবতে পারে,,।পরে আমি সেখান থেকে বাহিরে চলে যাই,,,,।বাহিরে গিয়ে বাসার কিছু টুকটাক কাজ করি,,।এ ভাবেই সারাদিন বাসার কাজ আর ছোট নবাবের সাথে খেলা করেই সেদিনের মত দিনটা পার হয়ে যায়,,।তবে এর মাঝে অধরা কয়েকবার তার কাছে ডাকে কিন্তু আমি অন্য কাজের বাহানা দেখিয়ে চলে আসি,,,।

**আর এভাবেই দেখতে দেখতে বেশ কয়েকটা দিন চলে যায়,,।এখন আমি খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া অধরা আপুর কাছে যাই না,,তার কাছ থেকে নির্দিষ্ট একটা দুরুত্ব বজায় রেখে চলি যেটা অধরা বেশ ভালো করে বুঝতে পারছে,,।তাই আমি যত তার থেকে দুরে থাকি অধরা তত আমার কাছে আসতে চায়,,এখন কলেজে গেলে আগের চাইতে আরো বেশি নজর রাখে আমার ওপর,,।আজ কলেজে যাওয়ার জন্য আমি আর অধরা বাসা থেকে বের হই,,।মাঝ রাস্তায় এসে হঠাৎ অধরা থেমে যায়,, আর আমাকে বলে,,,

অধরা : শুভ্র,,,,, তুই ইদানিং আমাকে বেশ এড়িয়ে চলছিস,,,,,(একটু কড়া গলায় বলল)

আমি : কোথায় এড়িয়ে চলছি,,,সবসময় তো আপনার আশে পাশেই থাকি,,,,(হেসে বললাম)

অধরা : তুই কী ভাবিস আমি কিছু বুঝিনা,,।আগের মত তুই আমার সাথে কথা বলিস না,,আমি দশটা প্রশ্ন করলে তুই একটা প্রশ্নের উত্তর দিস,,আমি তোকে ডাকলে তুই অন্যকাজের বাহানা দিয়ে চলে যাস,,।এগুলা কেন করছিস আমার সাথে,,তোর এমন ব্যবহার যে আমাকে খুব কষ্ট দেয়,,।আমি ঠিক মত খেতে পারি না ঘুমাতে পারি না,,,বল কেন আমার কাছ থেকে দুরে থাকিস তুই,,,(নরম সুরে বলল কথা গুলো)

আমি : দেখেন,, আপু আমি এখন যেটা করছি এটাই ঠিক,,।এখন আপনি বড় হইছেন,,আমিও বড় হইছি,।আপনার সাথে এত মিশা এখন ঠিক না,,কারণ এতে মানুষ অন্যকিছু মনে করতে পারে,,।সেইদিন আপনি আমার রুমে এসে আমার সাথে যা যা করছেন আমার ভাই তা সব দেখছে,,।একটা বার চিন্তা করছেন যদি এটা ছোট নবাবের জায়গায় আপনার আম্মু হত তাহলে ওনি কী মনে করতেন,,।তাই আমি সিধান্ত নিছি এখন থেকে সবসময় আপনার কাছ থেকে দুরে থাকবো,,,,,,আর কিছুদিন পরে আমি এমনেতেও আপনাদের এখান থেকে চলে যাবো তাই শুধু আমার প্রতি মায়া বারিয়ে লাভ নাই,,এতে কষ্ট আরো বাড়বে,,,,,

**আমি কথা গুলো বলার সাথে সাথে অধরা কাধ থেকে ব্যাগটা ফেলে দিয়ে কাছে এসে আমার শার্টের কলার চেপে ধরে,,।তখন অধরা বলল,,,

অধরা : যা বলছিস,, খুব বেশি বলে ফেলছিস আর বলিস না,,। একটা কথা তুই ভালো করে জেনে রাখ,,, তোকে আমি সারাজীবন আমার চোখের সামনে দেখতে চাই,,।আর আমি তোকে সারাজীবন আমার চোখের সামনেই রাখবো তার জন্য আমার যা করতে হয় তাই করবো,,।আজ থেকে যদি আমার কাছ থেকে দুরে থাকিস বা থাকার চেষ্টা করসি তাহলে ঐ দিন তো তোর রুমে গিয়ে গালে কিস করছি,,এবার সবার সামনে তোর ঠোটে কিস করবো,,,তখন দেখবি কেমন লাগে,,।শুভ্র তুই শুধু আমার,,,আমি তোকে অন্যকারোও হতে দিবো না,,,(রাগি কন্ঠে বলল)

আমি : আপু,,,আপনি এগুলা কী বলছেন বুঝতে পারছেন,,,?(অভাক হয়ে বললাম)

অধরা : ঐ কুত্তা, হারামী তোকে না,, মানা করছি আমাকে আপু ডাকবি না,,।এখন থেকে আমাকে নাম ধরে ডাকবি নাহলে তোর খবর আছে বলে দিলাম,,,(রেগে বলল)

আমি : এটা সম্ভব না,,আমি আপনাকে কখনো নাম ধরে ডাকতে পারবো না,,আর আপনি কী শুরু করছেন,,আমি তো আপনার ছোট ভাইয়ের মত,,,,,,

অধরা : এখন যেটা করছি এটাই ঠিক,,আর আমি কেন তোর সাথে এমন করছি তুই খুব ভাল ভাবেই বুঝতে পারছিস,,,,,,

আমি : না আমি কিছুই বুঝতেছিনা,, আর বুঝতে চাইও না,,,দয়া করে আপনি আমার সাথে এমন করবেন না,,(অনোরোধ সুরে বললাম)

অধরা : আমি কার সাথে কেমন করবো সেটা তোকে বলতে হবে না,,।আর কেন এমন করছি তুই যদি না বুঝিস সমস্যা নাই,, খুব তারাতারি তোকে বুঝিয়ে দিবো,,এখন আর কথা না বলে তারাতারি কলেজে চল,,নাহলে ক্লাস মিস হয়ে যাবে,,,,

**তারপর আমি আর কিছু না বলে অধরার সাথে কলেজে চলে আসি,,।তবে আমার মাথায় শুধু একটাই চিন্তা অধরার এই আচরণ যদি বাড়ির মানুষ জানতে পারে তাহলে আমার অবস্থা কী হবে,,।এখন আমার কেন জানি মনে হচ্ছে অধরা মনে হয় আমাকে ভালবাসে,,।নাহলে আমি অন্য মেয়ের সাথে কথা বললে অধরা রেগে যায়,,তার কথা না শুনলে আমার সাথে রাগ করে,,,।আর একটু আগে রাস্তার মাঝে দাড়িয়ে যে কথা গুলো বলল,,,এতে তো স্পট বুঝায় যায়,, আমাকে নিয়ে অধরার মনে কিছু একটা চলছে,,।যেটা আমার জন্য সামনে একটা বিপদ ডেকে আনবে,,।

**কিন্তু অধরার মনে আমাকে নিয়ে যাই চলুক না কেন,,, তাকে নিয়ে আমার কোন চিন্তা নাই,,,।ছোট সময় থেকে তাকে আপুর মত ভেবে আসছি তা ছাড়া তাদের পরিবারের কাছে আমি অনেক ঋণী,,।ক্ষণিকের একটা মহে পড়ে তাদের সাথে কখনো বিশ্বাস ঘাতঘতা করতে পারবো না,,।তাই যতদিন আছি এখানে অধরার পাগলামি গুলো সহ্য করে নিতে হবে,,।আজকে কলেজে এসে কারো সাথে তেমন কোন কথা বলি নি,,।তারপর একে একে সব গুলো ক্লাস শেষ হলে কলেজ ছুটি হয়ে যায়,,,।আর আমি আর অধরা আপু মিলে বাসার দিকে যেতে থাকি,,।রাস্তায় আবারও অধরা হাজারটা কথা বলছে আমাকে আর আমি শুধু চুপচাপ শুনে যাচ্ছি,,। তখন অধরা আমাকে বলল,,,

অধরা : এই শুভ্র তোমাকে আমি এত গুলা কথা বললাম তুমি এমন চুপ করে আছ কেন,,আর এমন দুরে সরে আছো কেন,,, কাছে এসো,,(ফ্লিমি স্টাইলে বলল)

**অধরার এমন কথা শুনে আমার কাশি চলে আসে,,।যে মেয়ে সারাজীবন আমাকে তুই করে বলে আসছে,,একটু ভুল করলে মেরে তক্তা বানিয়ে দিতো,,সে এখন এমন ভাবে কথা বলছে যেন আমি তার বয়ফ্রেন্ড বা জামাই লাগি,,,।তখন আমি বললাম,,,

আমি : ********চলবে****প্লিজ নিচের লেখা টুকু পড়বেন,,

প্রিয় পাঠক পাঠিকারা, আপনারা ৫০-৬০ লাইন এর গল্পটা পড়ে কি, একটু বড় করে কমেন্ট করতে পারেন না, উৎস মূলক কমেন্ট, এটা কি আশা করতে পারি না আমি,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here