সিনিয়র গুন্ডি মেয়ের ভালবাসা ** writer : Akash khan পার্ট : ৮

0
147

**সিনিয়র গুন্ডি মেয়ের ভালবাসা **

writer : Akash khan

পার্ট : ৮

**অধরার এমন কথা শুনে আমার কাশি চলে আসে,,।যে মেয়ে সারাজীবন আমাকে তুই করে বলে আসছে,,একটু ভুল করলে মেরে তক্তা বানিয়ে দিতো,,সে এখন এমন ভাবে কথা বলছে যেন আমি তার বয়ফ্রেন্ড বা জামাই লাগি,,,।তখন আমি বললাম,,,

আমি : আপু প্লিজ আপনি এমন ভাবে কথা বলবেন না,,। আমার বধ হজম হয়,,,।আপনার মুখ থেকে আমি তুই শব্দটা শুনেই অভ্যস্ত তাই আপনার মুখে তুমি ডাকটা শুনে আমার বধ হজম হচ্ছে,,,।তার চেয়ে ভালো আপনি আমাকে তুই করেই ডাকেন,,,যদি তুইয়ের নিচে কিছু থাকে তাহলে সেটা বলে ডাকেন,,, তারপরও এমন তুমি করে ডাকবেন না দয়া করে,,,(অনুরোধ সুরে বললাম)

**আমার এমন কথা শুনে অধরা চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে,,যেন এখনি আমাকে এই চোখ গুলো দিয়ে গিলে খাবে,,,।অধরা এমন ভাবে তাকানো দেখে আমি আবার বললাম,,,,

আমি : আপু প্লিজ আপনি এমন ভাবে তাকাবেন না আমার দিকে,,,।আপনার এমন তাকানো দেখলে আমার ভয় লাগে,,তার বরং যদি মারতে মন চায় তাহলে দুইটা থাপ্পড় মারেন,,,,।কারণ আপনার এমন ভয়ংকার তাকানোর চাইতে,, চড় খাওয়া অনেক ভাল,,,(ভিত কন্ঠে বললাম,,,)

**আমার কথা শুনে অধরা বলল,,,,

অধরা : রাস্তায় এত বক বক না করে তারাতারি বাসায় চল,,,।আমার শরীরটা কেমন জানি খারাপ লাগছে,,,(একটু রাগী কন্ঠে বলল)

**অধরা এমন কথা শুনে আমি বেশ অভাক হলাম,,।কারণ আমার এত গুলো কথা শুনেও সে তেমন কোন রিয়েকশন করলো না,,।বিষয়টা বেশ অভাক করা, । তবে এটা আমার জন্যই ভালো হল,,।তখন আমি বললাম,,

আমি : আচ্ছা,,, চলুন বাসায় গিয়ে রেস্ট নিলেই ঠিক হয়ে যাবে,,,,(নরম সুরে বললাম)

**তারপর আমি আর অধরা বাসার দিকে যেতে থাকি,,।

**অন্যদিকে, অধরা মনে মনে বলছে,,,(কী ভাবছিস চান্দু আমি তোকে কিছু বলবো না,,এমনি এমনি ছেড়ে দিবো তোকে,,।আমি তোকে তুমি করে বললে তোর বধ হজম হয়,,আমার তাকানো তোর কাছে ভয়ংকর লাগে,,তার চাইতে তোকে থাপ্পড় দেওয়া ভালো,,আর আমাকে বার বার আপু বলা তোকে আজ ছুটাচ্ছি,,।একবার বাসায় নিয়ে যাই,,তারপর তোর ঠোট গুলো আজ কামড়ে ছিড়ে ফেলবো,,যে গুলো দিয়ে বেশি পটর পটর করিস তুই। আমি যে তোকে ভালবাসি সেটা আজ বুঝিয়ে দিবো)অধরা কথা গুলো মনে মনে বলছে আর শুভ্রের ওপর রাগে ফুলছে,,,।

**এদিকে,, আমি আর অধরা অল্প কিছুখনের মাঝেই বাসায় চলে আসি,,।তবে বাকি রাস্তায় অধরা আমার সাথে কোন কথা বলে নি,,।এতে আমার কী যে শান্তি লাগছে যে বলে বুঝাতে পারবো না,,।কিন্তু তাকে দেখে মনে হচ্ছেছিল সারা রাস্তা অধরা কী যেন মনে মনে ভাবছিলো,,তবে সেটা জানার আমার কোন আগ্রহ নাই,,।আমি আর অধরা যখন গেইট দিয়ে বাসার ভিতর যাই,,, তখন আমি বললাম,,,

আমি : আপু আপনি রুমে গিয়ে রেস্ট করুন,,আর যদি বেশি খারাপ লাগে তাহলে বলবেন,, ডাক্তারকে খবর দিবো আসতে,,,,

অধরা : হুম,,,,,

**এটা বলেই যেই আমি আমার রুমে দিকে যাচ্ছি তখনি পিছন থেকে একটা চিৎকারের আওয়াজ শুনি,,।আর আমি পিছনে ফিরেই দেখি অধরা মাটিতে ঙ্গান হারিয়ে পরে গেছে,,,।এটা দেখে তো আমার পাগল হওয়ার অবস্থা,,। আমি কোন কিছু না ভেবে এক দৌড়ে অধরার কাছে গিয়ে ওকে কোলে তুলে নেই,,,।আর অধরার আম্মুও দৌড়ে আসে অধরার কাছে,,।তখন আমি অধরাকে কোলে করে ওর রুমে নিয়ে যাই,,।তখন অধরার আম্মু,,,, মানে বড় আম্মু বলল,,,

বড় আম্মু : শুভ্র,,, আমার মেয়ের কী হল,, হঠাৎ করে অঙ্গান হয়ে গেল কেন,,,? (কান্না করে বলল)

আমি : বড় তুমি চিন্তা কর না,,রাস্তায় আমাকে বলছিলো শরীরটা নাকি একটু খারাপ লাগছে,,আর বাসায় এসেই এমন হয়ে গেল,,।তুমি তারাতারি ডাক্তার কে কল কর,,,আর একটু রসুন দিয়ে তেল গরম করে নিয়ে আসো,,,।হাত পায়ে মালিস করলে হয়তো ভালো হবে,,,,,

বড় আম্মু : আচ্ছা তুই এখানে থাক আমি এখনি ডাক্তারকে কল দিচ্ছি আর একটু তেল গরম করে নিয়ে আসছি,,,(কান্না করে বললো)

**কথাটা বলেই বড় আম্মু বাহিরে চলে যায়,,,।আর এদিকে আমি অধরার মাথার পাশে বসে আছি,,।তখন আমি মনে মনে চিন্তা করলাম ধরার মুখে একটু পানি ছিটিয়ে দেখি ঙ্গান ফিরে কি না,,,।আর ঠিক যখন আমি অধরার পাশ থেকে ওঠে পানি আনতে যাবো ঠিক তখন অধরা আমাকে অভাক করে দিয়ে আমার হাত চেপে ধরল,,।আর আমি পিছনে তাকিয়ে দেখি অধরা আমার হাত ধরে মিট মিট করে হাসতেছে,,,। তখন আমি বললাম,,,,

আমি : আপু আমার ঙ্গান ফিরছে,,,,,(হাসি মুখে বললাম)

**আমার কথা শুনে অধরা মুসকি হেসে বলল,,,,

অধরা : আমি আবার ঙ্গান হারালাম কখন,, যে আমার আবার ঙ্গান ফিরবে,,,

আমি : তাহলে একটু আগে যেটা ছিল,,, সেটা কী,,,।আর আপনি কেন এমন করলেন,,,,?(অভাক বললাম)

অধরা :তোর সাথে আমার কিছু হিসাব আছে । সেই হিসাবটা বরাবর করার জন্যই এই নাটকটা করলাম যাতে তোকে আমার কাছে পাই,,।কারণ বাড়িতে আসলেই তো তুই আমার কাছ থেকে পালিয়ে বেরাস,,। তাই যাতে পালাতে পারিস,, এই বুদ্ধি করলাম,,,(মুসকি হেসে বলল)

আমি : কাজটা আপনি একদম ঠিক করেন নি,,।আপনার জন্য বড় আম্মু কত চিন্তা করছে বুঝতে পারছেন,,,।আর আমার সাথে এসব করে কোন লাভ হবে না,,আমি যেটা চাচ্ছেন সেটা কোন দিন হবে না,,তার চেয়ে বরং ভালো পাগলী বাদ দেন,,।আমি গিয়ে বড় আম্মুকে বলে আসি আপনি সুস্থ হয়ে গেছেন,,নাহলে আবার বড় আম্মু ডাক্তার নিয়ে আসবে,,(একটু রাগী কন্ঠে বললাম)

**কথাটা বলে যেই বাহিরে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালাম ঠিক তখন অধরা সোয়া থেকে আমার হাত ধরে এত জুরে টান দেয় যে আমি ব্যালেন্স রাখতে না পেরে অধরার বুকের ওপর গিয়ে পড়ি,,।আর আমি অধরার ওপর পড়ার সাথে সাথে অধরা আমাকে দুহাত দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে দরে আমাকে ওর নিচে ফেলে দিয়ে অধরা আমার বুকের চেপে বসে,,।অধরার এমন কান্ড দেখে আমি বললাম,,

আমি : আপু প্লিজ আমাকে ছাড়েন,,,।এটা একদম ঠিক হচ্ছে না,,এখন যদি বড়আম্মু এসে ভাবে আমাদের দেখে তাহলে আমার প্রতি যে তাদের বিশ্বাসটা ছিল সেটা এক মুহূর্তে কাচের মত ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে,,,(ভয়ে ভয়ে বললাম)

অধরা : চুপ করে থাক,,আর একটা কথাও তুই বলবি না,,।আম্মু যদি এখন এসে দেখে তাহলে তোকে কিছু বলার আগে আমি বলবো যে,, আমি তোকে ভালবাসি,,শুধু আজ থেকে না অনেক আগে থেকে,,।কিন্তু সেটা তুই বুঝিস না,,।আমি তোর যত কাছে যেতে চাই তুই তত আমার কাছ থেকে দুরে চলে যাস,,,,(আমার মুখের নিজের মুখটা এনে বলল)

আমি : আপু আপনি এসব কী বলছেন,,,,?আমাকে ভালবাসেন মানে,,আমি আপনার ছোট ভাইয়ের মত এটা কখনো সম্ভব না,,,।আর আমার ওপর থেকে সরুন নাহলে বড় আম্মু এসে দেখে ফেলবে,,,,

**আমার কথা শুনে অধরা আমার ছাড়বে তো দুরের কথা উল্টা আরো ভালো করে নিজের সাথে আমাকে চেপে ধরে,,। আর একহাত দিয়ে আমার মুখ টিপে ধরে রাগী কন্ঠে বলল,,,,

অধরা : কুত্তা,,, আরেক বার যদি আমাকে আপু বলিস তাহলে এখানে তোকে মেরে তোর মুখ ভেঙ্গে দিবো,,।আর তুই আমার ছোট ভাই না,,আজ থেকে তুই আমার ছোট জামাই,,মানে জুনিয়ার বর,,,,,

আমি : এটা কোনদিন সম্ভব না,,।আপনাকে আমি সারাজীবন আপু বলে আসছি আর সামনে তাই বলবো অন্য কিছু আমার কাছে আসা করে লাভ নাই,। আর আপনি চাইলে আমার চাইতে হাজার গুন ভালো ছেলের চাইতে সাথে প্রেম করতে পারেন,,,। প্লিজ আমাকে মাফ করে দেন,,,,(অসহায় ভাবে তার দিকে তাকিয়ে বললাম)

অধরা : হুম আমি জানি,,, আমি চাইলে অন্য যে কোন ছেলে সাথে প্রেম করতে পারি,,।কিন্তু আমার অন্য কাউকে চাই না,,তোকেই চাই আমার,,,।আর আমি যেহেতু বলছি তোকেই আমার চাই তাহলে দুনিয়ার কারো শক্তি নাই,,তোকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়ার,,।এখন বল তুই কী আমাকে আপসে ভালবাসবি নাকি আমি অন্য ব্যবস্থা করবো,,,,

আমি : আপু আপনি যা খুশি করেন,,,যেটা কখনো হওয়ার না সেটা কোন দিন হবে না,,,।এসব পাগলী বাদ দেন,,,আর সরুন আমার ওপর থেকে,,,(একটু দমক দিয়ে বললাম)

**আমার কথা শুনেই অধরার রাগটা বেড়ে যায়,,,।আর রাগী কন্ঠে বলল,,,

অধরা : শুভ্র আমি তোর মুখে আপু ডাক শুনতে চাচ্ছি না,,,,।আমার নাম ধরে ডাক বলছি,,,

আমি : কোন দিন সম্ভব না,,,অযথা বলে লাভ নাই,,,।দয়া করে সরুন আপনার আম্মু আসার আগে,,,

অধরা : কী ভাবে অসম্ভব কে সম্ভব কর করতে হয় সেটা আমার জানা আছে,,,।তখন রাস্তায় কী বলছিলি আমার তাকানো তোর কাছে ভয়ংকর লাগে,,,।এখন দেখ তোর কী অবস্থা করি,,,তোর মুখ দিয়ে আর কোন দিন আপু ডাক আসবে না,,,,

**কথাটা বলেই অধরা নিজের পুরোটা শরীর আমার শরীরের সাথে মিশিয়ে দেয়,,আর আমাকে কিছু বলার মত সুযোগ না দিয়েই আমার মাথার চুল খামচে ধরে,,,আমার ঠোটের সাথে নিজের ঠোট দুটো ঠেসে ধরে,,,।জীবনে প্রথম কোন মেয়ের এতটা কাছে আসছি,,তার ওপর আমার ঠোটের ওপর অধরার যেই অত্যাচার শুরু করছে জানি না কতখন বেঁচে থাকি,,।এদিকে অধরা আমার মাথা নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে চেপে ধরছে যাতে নরতে না পারি,,আর আমার ঠোটের মাঝে পাগলের মত কিস করতে থাকে,,,,,কিস করার এক পর্যায়ে অধরা আমার ঠোটে একটার পর একটা কামড় দিতে থাকে,,।আর কামড় গুলো বেশ জুড়ে দিচ্ছিল,,, মনে হচ্ছে ঠোট গুলো ছিড়ে ফেলবে,,,।একটু পরে কামড় দেওয়া বন্ধ করে আমাকে বলল,,,

অধরা : আর কোন দিন আমাকে আপু বলে ডাকবে জানপাখি,,,,(হাসি মুখে বলল)

আমি : এগুলা একদম ঠিক হচ্ছে না,,,প্লিজ আমাকে ছাড়েন,,আপু(এবার আমি ইচ্ছে করে আপু বলি নাই মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে)

অধরা : কুত্তা তুই আবার আপু ডাকছিস,,আজকে তোর ঠোট ছিড়ে ফেলবো,,,দাড়া,,,(রাগী কন্ঠে বলল)

**কথাটা বলেই অধরা আবার আমার ঠোটের ওপর হামলে পড়ে,,।প্রথমে কিছুখন বেশ রোমান্টিক ভাবেই ঠোটে কিস করে,,কিন্তু পরেই পাগলের মত ঠোটে আক্রমণ শুরু করে,,।তবে এই মেয়ের গায়ে যে এত শক্তি তা আমি কোন দিন কল্পনাও করতে পারি নাই,,।অধরার আমার ঠোটের সাথে নিজের ঠোট এক করছে তো করছেই যা ছাড়ার আর নাম নাই,,,।আমার মনে হচ্ছে এখনি মনে হয় নিশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যাবো,,।আমি মনে মনে চুমু খেয়ে মরার প্রস্তুতি নিচ্ছি,, ঠিক তখনি বাহিরে থেকে বড় আম্মুর গলার আওয়াজ ভেসে আসে,,।আর এটা শুনেই অধরা আমার ঠোটে জুড়ে একটা কামড় দিয়ে আমাকে ছেড়ে দেয়,।আমি তারাতারি ওঠে একটু দুরে গিয়ে দাঁড়াতেই বড় আম্মু রুমে আসে,,।

**বড় আম্মু রুমে এসে আমাদের দেখে অভাক হয়ে বলল,,,,,

বড় আম্ম : ********চলবে******

আমাকে কেউ লজ্জা দিবেন না, এ সব এর ধারে কাছে আমি নাই, আমি একটা ছোট মানুষ , 😇

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here