সিনিয়র গুন্ডি মেয়ের ভালবাসা** writer : Akash khan পার্ট : ৯

0
277

**সিনিয়র গুন্ডি মেয়ের ভালবাসা**

writer : Akash khan

পার্ট : ৯

**কথাটা বলেই অধরা আবার আমার ঠোটের ওপর হামলে পড়ে,,।প্রথমে কিছুখন বেশ রোমান্টিক ভাবেই ঠোটে কিস করে,,কিন্তু পরেই পাগলের মত ঠোটে আক্রমণ শুরু করে,,।তবে এই মেয়ের গায়ে যে এত শক্তি তা আমি কোন দিন কল্পনাও করতে পারি নাই,,।অধরার আমার ঠোটের সাথে নিজের ঠোট এক করছে তো করছেই যা ছাড়ার আর নাম নাই,,,।আমার মনে হচ্ছে এখনি মনে হয় নিশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যাবো,,।আমি মনে মনে চুমু খেয়ে মরার প্রস্তুতি নিচ্ছি,, ঠিক তখনি বাহিরে থেকে বড় আম্মুর গলার আওয়াজ ভেসে আসে,,।আর এটা শুনেই অধরা আমার ঠোটে জুড়ে একটা কামড় দিয়ে আমাকে ছেড়ে দেয়,।আমি তারাতারি ওঠে একটু দুরে গিয়ে দাঁড়াতেই বড় আম্মু রুমে আসে,,।

**বড় আম্মু রুমে এসে আমাদের দেখে অভাক হয়ে বলল,,,,,

বড় আম্ম : অধরা মা তোর কী হয়েছিল,,,।তুই হঠাৎ অঙ্গান হয়ে গেলি কেন,,,,?(চিন্তিত কন্ঠে বলল)

অধরা : আম্মু তেমন কিছু হয় নি,,হঠাৎ মাথাটা ঘুরে গেছিল,,,,তাই এমন হইছে,,,,

বড় আম্মু : আচ্ছা তুই রেস্ট কর,,আমি ডাক্তারকে কল করছি একটু পরেই চলে আসবে,,,

অধরা : না আম্মু ডাক্তার আসা লাগবে না,,,আমি এখন সুস্ত আছি,,,শুধু শুধু ডাক্তার ডেকে জামেলা করার দরকার নাই,,,,

বড় আম্মু : না,, ডাক্তার একবার আসুক,, এসে তোকে দেখে যাক

অধরা :আমি বললাম না,,ডাক্তার আসা লাগবে না,,,তাহলে এক কথা বার বার কেন বল,,,,প্রয়োজন হলে পরে আমি নিজে ডাক্তারের কাছে যাবো,,(রাগ দেখিয়ে বলল)

**অধরার রাগ দেখে বড় আম্মু একটু চুপ হয়ে যায়,,।কারণ বাড়ির সবাই জানে অধরার রাগটা একটু বেশি ওর কথার বিরুদ্ধে গেলেই রেগে যায় অধরা,,।অধরা যখন কথা বলছিল তখন হঠাৎ বড়আম্মু আমার দিকে খেয়াল করে,,।আর আমার অবস্থা দেখে বড় আম্মু বলল,,,

বড় আম্মু : কিরে শুভ্র তোর ঠোট এমন ফোলে গেলো কেন,,মাথার চুল এমন এলোমেলো হয়ে আছে কেন,,,।দেখে মনে হচ্ছে কারো সাথে যুদ্ধ করে আসছিস,,,,,,(অভাক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে বলল)

**বড় আম্মুর কথা শুনে এবার আমার সত্যি সত্যি ভয়ে গলা শুকিয়ে গেছে,,।তাকে কী বলবো বুঝতে পারছি না,,।আর যদি বড়আম্মু এখন সত্যিটা বুঝতে পারে তাহলে কী হবে সেটা আমার চিন্তার বাহিরে,,,। আমি একটু ভয়ে ভয়ে অধরার দিকে তাকিয়ে দেখি রাক্ষসীটা আমার এমন অবস্থা দেখে মিটমিট করে হাসতেছে,,,,।
এটা দেখে রাগে আমার গা জ্বলে যাচ্ছে,,,। তখন আমি বললাম,,,,

আমি : বড় আম্মু তুমি তো জানো আমার কয়েক দিন ধরে এলারজির সমস্যা হচ্ছে,,,।এখানো মনে হয় তার জন্য ঠোট ফোলে গেছে,,,আর মাথা চুলাকানোর কারণে চুল গুলি এলো মেলো হয়ে গেছে,,,,(ভিত কন্ঠে বললাম)

বড় আম্মু : কিন্তু তোর ঠোট দেখে তো মনে হয় না এটা এলারজির কারণে ফোলে গেছে।,,কামড় পরলে যেমন ঠোট ফোলে যায় তোর ঠোটও ঠিক তেমন ফোলে গেছে,,,,,,

**বড় আম্মুর কথা শুনে আমি মাথা নিচু করে চুপ হয়ে থাকি,,।আসলে এই মুহূর্তে আমি বলার মত কোন কথা খুজে পাচ্ছি না,, তখন পাশে থেকে অধরা বলল,,,

অধরা : আম্মু তুমি দেখছো এলার্জির কারণে শুভ্রের ঠোট ফুলে গেছে,,,তারপর ওপর তুমি তাকে হাজারটা প্রশ্ন করছো,,,। পরেও তো তুমি এগুলা জিঙ্গাসা করতে পারবে,,,,(দমক দিয়ে বলল)

বড় আম্মু : বুঝি না তোদের দুজনের কী হইছে,,,? কালকে তোরা দুজনে মিলে ডাক্তারের কাছে যাবি,,,। নাহলে বাড়িতে তোদের খাবার বন্দ,,। অসুস্থতা নিয়ে বাসায় বসে থাকবে আর বাড়ির মানুষকে টেনশন দিবে,,।আবার কিছু বলতে গেলে উল্টা রাগ দেখাবে,, তোদের জ্বালায় আর বাঁচি না,,,(রাগ দেখিয়ে বলল)

**কথাটা বলেই বড় আম্মু রুম থেকে চলে গেল,,।আমিও যখন বড় আম্মুর পিছু নিয়ে রুম থেকে বেরুতে যাচ্ছি ঠিক তখন অধরা বলল,,,,,

অধরা : এই শুভ্র দাড়াও,,,,,

**অধরার কথা শুনে আমি একবার বেরুতে গিয়ে থেমে যাই,,,কিন্তু পিছনে না তাকিয়ে আবার যখন বাহির হতে যাবো তখন অধরা আবার বলল,,,

অধরা : শুভ্র তুই কী আমার কাছে আসবি নাকি আমি ওঠে গিয়ে তোকে ধরে আনবো,,,।আর আমি যদি তোর কাছে যাই তাহলে কিন্তু সেটা তোর জন্য মোটেও ভালো হবে না,,,।তার চেয়ে ভালো তুই নিজে আমার কাছে আয়,,,,(একটু চিৎকার করে বলল)

**অধরার কথা শুনে জায়গার মাঝেই যেন আমার পা আটকে যায়,,,।কারণ আমি জানি এই মেয়েকে দিয়ে কোন বিশ্বাস নাই,,,এখন যদি ওর কথা অমান্য করে আমি চলে যাই তাহলে আবার গিয়ে সবার সামনে উল্টা পাল্টা কিছু করে ফেলবে,,,।তখন কোন না পেয়ে এক প্রকার বাধ্য হয়ে অধরার সামনে গিয়ে একটু দুরে দাড়িয়ে বললাম,,,

আমি : হুম,, বলুন,,,কী বলবেন,,,,?

অধরা : এত দুরে দাড়িয়ে আছো কেন,, আমার সামনে এসে বসো,,,,(মিষ্টি সুরে বলল)

আমি : না আমি এখানেই ঠিক আছি,,বলুন কী বলবেন,,,?

**আমার কথা শুনেই অধরা বসা থেকে একটু ওঠে এসে একটা টান মেরে তার সামনে বসিয়ে দেয়,,।আর একটু গম্ভীর সুরে বলল,,,,,

অধরা : তোমাকে ভালো করে কিছু বললে কানে যায় না,,, এর পর থেকে যেন আমার এক কথা দুইবার বলতে না হয়,,। নাহলে কিন্তু ভালো হবে না বলে দিলাম,,।

আমি : সেটা পরে দেখা যাবে,,এখন কেন ডাকছেন সেটা বলুন,,যদি কোন কাজ থাকে বলুন করে দিচ্ছি,, নাহলে আমি গেলাম,,,,

**আমার কথার কোন জবাব না দিয়েই অধরা তার কমল হাত দিয়ে আমার ঠোট গুলোতে স্পস করে,,।আর অধরার হাতের ছোয়া পাওয়ার সাথে সাথে আমি ঠোটের ব্যাথায় ওহ্ করে ওঠি,,।আসলে অধরা আমার ঠোট গুলোতে এমন ভাবে কামড় দিয়েছে যে এখন ব্যাথা ঠিক মত কথাও বলতে পারছি না,,তার ওপর অধরা আমার ঠোটে হাত দেওয়াতে মনে হয় ব্যাথাটা আরও বেড়ে গেছে,,,।তখন অধরা বলল,,,,

অধরা : শুভ্র আমি সত্যি খুব খুব সরি তুমার কাছে,,।আসলে আমি বুঝতে পারি নি তুমার ঠোটের এমন খারাপ অবস্থা হয়ে যাবে,,,।আর আমারই বা কী দোষ বল,, তুমার ঠোট গুলোর মাঝে কী এমন নেশা মেশানো আছে নিজেও জানি না,,,।তুমার ঠোটের সাথে আমার ঠোট গুলো মেশাতেই আমি এক প্রকার পাগল হয়ে যাই,,তাই তো আমি নিজেও জানি না তখন কী করে তুৃমার ঠোটের এমন অবস্থা করে ফেলছি,,।প্লিজ আমার কলিজা না ভালো আমাকে মাফ করে দাও,, আর কখনো এমন করবো না,,,,(বেশ মায়াবী কন্ঠে কথা গুলো বলল)

**আমি অধরার কথা গুলো শুনে কোন জবাব দিলাম না, । আসলে তাকে বলার মত কোন কথা আমার কাছে নাই,,আর আমি বললেও সে আমার কথা শুনবে না,।তখন আমি অধরাকে কিছু না বলে,,তার চোখের দিকে একবার তাকিয়ে,, যেই তার সামনে থেকে ওঠে যাচ্ছি ঠিক তখনি অধরা আমার হাত ধরে ফেলে।আর আমি কিছু বলার আগেই আমাকে তার কাছে টেনে নিয়ে আমার ঠোট গুলো তার ঠোটের সাথে মিশিয়ে দেয়,।অধরা এক হাত দিয়ে আমার মাথার পিছনে চেপে ধরে আর অন্যহাত দিয়ে আমার শার্টসহ বুক খামচে ধরে,,।আমি প্রথমে তার কাছ থেকে ছুটার জন্য একটু নরচড়া করলে অধরা আমার ঠোট হালকা কামড়ে ধরে,,আর আমি তার চোখের দিকে তাকাতেই অধরা চোখে ইসারা করে না নড়ার জন্য,,তাই আমিও আর কামড়ের ভয়ে তাকে বাধা দেই নি,,।এর অধরা নিজের ইচ্ছে মত করে ফ্লিমি স্টাইলে অনেকখন দরে ওর নিজের সাধ মিটিয়ে নেয়,,।তবে কোন কামড় দেয় নি,,,।কিছুখন পর আমাকে ছেড়ে দিলে দুজনে বসে হাপাতে থাকি আর বড় বড় নিশ্বাস নিতে থাকি,,,।তখন অধরা মুসকি হেসে বলল,,,,

অধরা : আমি তুমার ঠোটের ১২টা বাজিয়ে ছিলাম আবার আমিই এখন এর চিকিৎসা করে দিলাম,,।এর পর থেকে যদি আমার কথা অমান্য কর তাহলে প্রথমে তুমার ঠোটের ওপর অত্যাচার করবো,,পরে আমিই আবার এখনকার মত চিকিৎসা করবো,। এতে দুবারই আমার লাভ হবে,,। সো সাবধান মিঃ শুভ্র,,, (হেসে বলল)

আমি : আর আমি যদি কোন অন্যায় না করি তাহলে আর আমার সাথে এমন করবেন নাতো,,,,(মলিন কন্ঠে বললাম)

অধরা : সেটা আমি ভেবে দেখবো,, তবে তুমি অন্যায় করলে আমারই লাভ হবে,,,আজকের মত তুমাকে শাস্তি দিতে পারবো,,,,,(বলেই হেসে দিল)

**আমি আর সেখানে না দাড়িয়ে সোজা আমার রুমে চলে আসি,,।আর রুমে এসে দরজা বন্দ করে বিছানায় বসে ভাবতে থাকি এটা আমার সাথে কী হচ্ছে,,।আমি এ কোন বিপদের মাঝে পড়লাম,,।এখন থেকে আমার আরও সাবধানে চলতে হবে,,যাতে আমার ভুলের অজুহাত নিয়ে অধরা আমার কাছে আসতে না পারে,,।নাহলে আবার কোন দিন নিজের অজান্তেই নিজের অতীত আর বর্তমানটা ভুলে গিয়ে অধরার ডাকে সারা দিয়ে বসি,,।এসব চিন্তা করতে করতে বিছানায় সুয়েই ঘুমিয়ে পড়ি আমি,,

**এখন দিন যতই যাচ্ছে অধরার আমার ওপর অধিকার দেখানোটাও ততটাই বাড়ছে । আর আমিও যতটুকু সম্ভব অধরার কাছ থেকে পালিয়ে চলার চেষ্টা করি,,, কিন্তু মাঝে মাঝে সেটা আর হয়ে ওঠে না,কোন না কোন ভাবে অধরা আমাকে ধরেই ফেলে আর এক বাড়িতে থেকে কতখন আর একজনের কাছ থেকে পালিয়ে বেড়ানো যায়,,,।আর এদিকে কলেজে ইদানিং তৈরী হইছে নতুন আরেক জামেলা,,।কারণ অধরার আপুর বান্ধুবী অন্তরা আপুর হাবভাব খুব একটা ভালো লাগছে না,,। প্রয়োজন ছাড়াই দিনে দশবার কল দেয়,,কলেজে গেলে ইচ্ছে করেই গায়ে পড়ে কথা বলতে আসে,,। যদি তাকে এড়িয়ে চলি,,তাহলে বিভিন্ন ভাবে ইমোশোনাল ব্লেকমেইল করে,। এদিকে অন্তরা আপুর বিষয়টা আমার জন্য যেমন বিরক্তির কারণ হয়ে আছে যেটা আমি মুখে বলতে পারি না,,অন্যদিকে অধরাও অন্তরার বিষয়টা নিয়ে দিন কে দিন বেশ রেগে যাচ্ছে,,। এখন শুধু ভয় কোন দিন জানি অধরার এই ভয়ংকর রাগের সামনে আমার নাহয় অন্তরা আপুর পড়তে হয় সেটাই ভাবছি,,,,।আজকে কলেজে এসে আমি আমার বন্ধুদের সাথে মাঠে বসে গল্প করছি এমন সময় পিছন থেকে অন্তরা আপু এসে আমাকে বলল,,,,

অন্তরা : *****চলবে******

ওহহ এই আপুটা আমাকে পাকনা বানাইয়া ছাড়বো,
আপনারা তো দেখছেন আমি, নিরউপাই, আর নিষ্পাপ ও, ,,, এই যে আপনাদের বলছি, আগামী পর্ব যুদ্ধ হবে, 😊

আমি একটু ব্যস্ত তাই ছোট করে দিচ্ছি, ফ্রী হলে বড় করে দিবো,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here