সিনিয়র গুন্ডি মেয়ের ভালবাসা** writer : Akash khan পার্ট : ২

0
182

**সিনিয়র গুন্ডি মেয়ের ভালবাসা**

writer : Akash khan

পার্ট : ২

**ওদের কথা শুনে আমার মুখ দিয়ে কোন কথাই ভের হচ্ছে না,,।তখন আমি অধরার দিকে তাকাতেই দেখি অধরার ফর্সা মুখটা রাগে লাল হয়ে গেছে,,।আর তখন অধরা আমাকে বলল,,,,,,,,

অধরা : শুভ্র তুই কলেজে চলে যা,,,।আমি ওদের সাথে আসতেছি,,,,(একটু গম্ভির কন্ঠে বলল)

**অধরার কথা শুনে পাশে থেকে অন্তরা আপু বলল,,,

অন্তরা : কেন অধরা,, শুভ্র একা যাবে কেন,,,?আমাদের সাথেই যাক না,,একসাথে কথা বলতে বলতে যাই,,(অনুরোধ সুরে বলল)

**অন্তরা আপুর কথা শুনে অধরার আপুর রাগটা মনে হয় আর একটু বেড়ে গেল,,,। তখন অধরা বলল,,,

অধরা : শুভ্র তোকে না বললাম চলে যেতে,,।তাহলে এখনো যাস না কেন,,? তাড়াতাড়ি যা,,আমি কলেজে এসে তোর সাথে কথা বলবো,,(রাগি কন্ঠে বলল)

আমি : ঠিক আছে আপু,, আপনারা সাবধানে আসেন,,আমি গেলাম,,(নরম সুরে বললাম)

**কথাটা বলেই আমি সেখান থেকে একটু দ্রুত হেঁটে চলে আসি,,,।আর অধরা আপু আর তার দুই বান্ধুবী মিলে আসতে আসতে হেঁটে আসতে থাকে,,,।তখন শিমলা আপু বলল,,,

শিমলা : অধরা তুই শুভ্রকে চলে যেতে বললি কেন,,,? আমাদের সাথেই যেত,,, তাহলে শুভ্রর ও ভালো লাগতো,,সাথে আমাদেরও একটু ভালো লাগতো,,।কত কিউট একটা ছেলে এখন একা একা হেঁটে যাবে,,(উদাসীন সুরে বলল)

**শিমলার কথা শুনে অধরার রাগে গা জ্বলে যাওয়ার অবস্থা,,। অধরার এখন ইচ্ছে করছে শিমলার গালটা চড় মেরে লাল করে দিতে,,,।কিন্তু বন্ধুত্বের খাতিরে এটা করতে পারছে না,,,।তখন অধরা বলল,,,,,

অধরা : শিমলা আমার সামনে একদম ডং করবি না,,।তোর ডং দেখলে আমার গা জ্বলে যায়,,।শুভ্র কেন আমাদের সাথে যাবে,,,।ও ছেলে মানুষ তাই ও একা কলেজে যাবে,,।আর তোদের সাথে শুভ্র কলেজে গেলে মানুষ খারাপ বলতে পারে,,,(রাগ দেখিয়ে বলল)

**অধরার কথা শুনে পাশে থেকে অন্তরা বলল,,,

অন্তরা : তোর সাথে শুভ্র কলেজে গেলে যদি লোকে খারাপ না বলে,,তাহলে আমাদের সাথে গেলে খারাপ বলবে কেন,,,? নাকি তুই চাস না,,শুভ্র তোকে ছাড়া আর কারও সাথে কথা বলোক,,মানে অন্য মেয়ের সাথে কথা বললে তোর হিংসা হয়,,,(একটু খোচা মেরে বলল কথাটা)

শিমলা : আরে না অন্তরা,,,, লোকেরা সবাই জানে যে শুভ্র অধরার কাজের লোক,,।তাই এলাকার লোক জন অধরার সাথে শুভ্রকে দেখলেও কিছু মনে করবে না,,।তাই না অধরা,,,(খোচা মেরে বলল)

**শিমলার কথাটা শুনার সাথে সাথে অধরার পায়ের রক্ত মাথায় ওঠে যায়,,।রাগে চোখ মুখ লাল হয়ে যায়,,।কারণ অধরা সব সয্য করতে পারে,,কিন্তু অধরার সামনে শুভ্রকে নিয়ে কেউ বাজে কথা বললে এটা একদম সয্য করতে পারে না,,,।তখন অধরা বলল,,,,

অধরা : শিমলা আর অন্তরা,, তোরা দুজন আমার বেস্ট ফ্রেন্ড তাই তোদের কে আজকে ফাস্ট এন্ড লাস্ট ওয়ার্নিং করছি,,।আর যদি কখনো ভুলেও শুভ্রকে নিয়ে একটা বাজে কথা বলিস,, তাহলে আমার চেয়ে খারাপ তোদের জন্য আর কেউ হবে না,,।আর শিমলা তুই এতখন যেই কথা গুলো বললি,, এটা তুই ছাড়া অন্য কেউ হলে এতখনে আমি ওর জিব টেনে ছিড়ে ফেলতাম,,।তাই বলছি,, শুভ্রকে নিয়ে কথা বলার আগে ভেবে চিন্তে কথা বলবি,,(রাগে লাল হয়ে বলল কথা গুলো)

**কথাটা বলেই অধরা তারাতারি হাঁটে শিমলা আর অন্তরাকে একটু পিছনে ফেলে দেয়,,।তখন শিমলা আর অন্তরা জুড়ে হেঁটে অধরার কাছে যায়,,।তখন শিমলা বলল,,,

শিমলা : আরে অধরা তুই আমাদের ওপর এত রেগে গেলি কেন,,,? আমরা তো তোর সাথে মজা করছিলাম,,।শুধু মাত্র তোকে একটু রাগানোর জন্য,,।প্লিজ দোস্ত মাফ করে দে,,আমরা আর কখনো তোর সাথে এমন মজা করবো না,,,(অনুরোধ করে বলল)

অধরা : আচ্ছা যা মাফ করে দিলাম,,,।কিন্তু কখনো আর আমার সামনে বা পিছনে শুভ্রকে নিয়ে কোন মজা করবি না,,,।আর একটা কথা মনে রাখিস শুভ্র আমাদের বাড়ির কোন কাজের ছেলে না,,সে আমাদের পরিবারের একজন সদস্য,,,। আর আমার,,, (কথাটা বলতে গিয়ে থেমে যায় অধরা)

অন্তরা : শিমলা,,আমার মনে হয় আমাদের অধরা মেডামের মনে শুভ্রকে নিয়ে কিছু একটা চলছে,,,।দেখলিনা,,আমার বলতে গিয়ে আবার কেমন থেমে গেছে,,,।মানে আমাদের কাছ থেকে লুকাতে চাইছে,,,(হেসে বলল)

শিমলা : তাই নাকি অধরা,,,? তুই কী শুভ্রকে পছন্দ করিস,,, মানে ভালবাসিস,,,(হেসে বলল)

**অধরা,, ওদের কথা শুনে মনে মনে চিন্তা করে,,(ওদের সামনে মনের কথা প্রকাশ করা যাবে না,,।তাহলে ওরা পুরো কলেজ আর ভারসিটিতে এই কথা ভাইরাল করে দিবে,,।আর এটা যদি শুভ্র জানতে পারে তাহলে আর আমার সামনে আসবে না,,।কারণ এমনেতেই শুভ্র সবসময় আমার কাছ থেকে দুরে থাকতে চায়)তখন অধরা বলল,,,

অধরা : তোরা মনে হয় সত্যিই পাগল হয়ে গেছিস,,।নাহলে আমি কেন শুভ্রের মত জুনিয়র একটা ছেলেকে ভালবাসতে যাবো,,,।আমি কখনো জুনিয়ার ছেলের সাথে প্রেম করবো না,,,আর শুভ্রের সাথে তো একে বারেই না,,।আর তোদের তখন এরকম বললাম কারণ,, আমি চাইনা আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেউ বাজে মন্তব্য করুক,,।এবার কথা বাদ দিয়ে তারাতারি চল ভারসিটিতে,, নাহলে আবার ক্লাস মিস করবি,, (সাভাবিক ভাবে বলল)

**তারপর তারা তিনজন মিলে একসাথে নানান কথা বলতে বলতে ভারসিটি যেতে থাকে,,,,

এদিকে
**আমি কলেজে এসে ক্লাস রুমে বই গুলো রেখেই চলে যাই কলেজ ক্যামপাসে,,,।সেখানে গিয়ে দেখি আমার সবগুলা হারামি বন্ধু একসাথে বসে আড্ডা দিচ্ছে। আর আমি তাদের কাছে যেতেই,,রুবেল বলল,,,,

রুবেল : তা আমাদের নায়ক সাহেবের এতক্ষণে আসার সময় হল,,,,।আচ্ছা চলেই যেহেতু আসছিস তাহলে বসে পর আমাদের আড্ডার মাঝে,,,,(হেসে বলল)

**পাশে থেকে আমার বান্ধুবী প্রিয়া বলল,,,

প্রিয়া : আচ্ছা শুভ্র তুই একটু আগে আসতে পারিস না,,। প্রতিদিন দেরি করে আসিস,,।আর আসিস তো দেরি করে একটু পরে আবার অধরা আপু এসে আবার তোকে ডেকে নিয়ে যাবে,,,,

আমি : আসলে তোরা তো জানিস,,এই দুনিয়াতে আমার আপনজন বলতে কেউ নাই,,,।অধরা আপু আর তার পরিবারটা আছে বলেই হয়তো অনাথ হয়েও আজ ভালো ভাবে বাঁচতে পারছি,,। নাহলে কপালে আজকে কী ছিল নিজেও জানি,,।আর প্রতিদিন অধরা আপুকে সাথে করে নিয়ে আসতে হয় কলেজে তাই আমার একটু দেরি হয়ে যায়,,,(মুখটা মলিন করে বললাম)

শিমুল : এই তোরা কী এখন শুভ্রের মন খারাপ করিয়ে দিতে চাস নাকি,,,(দমক দিয়ে বলল)

সাথী : একদম ঠিক বলছিস শিমুল,,,,।নতুন কিছু বল যেটা শুনে মজা পাওয়া যাবে,,,

**তারপর আর কী সবগুলি মিলে শুরু করলাম আড্ডা আর হাসাহাসি,,।এক একজন এক একরকম কথা বলছে,,আর সেটা নিয়ে সবাই মিলে হাসা হাসি করছি,,,।

অন্যদিকে,,
অধরা ভারসিটিতে এসে মনে মনে শুভ্রকে খুজতে থাকে,,।পরে খেয়াল করে দেখে শুভ্র তাদের কলেজ ক্যামপাসে কয়েকটা ছেলে মেয়ে মিলে এক সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছে,,,। তখন অধরা শুভ্রের কাছে গিয়ে বলল,,,,

অধরা : শুভ্র এদিকে আয় তোর সাথে কথা আছে,,,(পিছন থেকে ডেকে বলল)

**আমি সবার সাথে বসে গল্প করছিলাম এমন সময় অধরা আপুর গলার আওয়াজ শুনতে পাই,,।তখন পিছনে তাকিয়ে দেখি আপু দাড়িয়ে আছে,,।তখন আমি অধরা আপুর কাছে গিয়ে বললাম,,,

আমি : জ্বি আপু বলেন,,,আপনার কী কিছু এনে দেওয়া লাগবে,,? (হেসে বললাম)

অধরা : না,,তুই আমার সাথে আয়,,কথা আছে তোর সাথে,,,(একটু রাগি ভাবে বলল)

আমি : জ্বি,,,আপু চলেন,,,(নরম সুরে বললাম)

**তারপর আমি অধরা আপুর পিছে পিছে কলেজ মাঠের অন্যপাশে যাই,,,।আর সেখানে যাওয়ার পর অধরা বলল,,,

অধরা : শুভ্র আমার সামনে এসে দাঁড়া,, (গম্ভির সুরে বলল)

**আমি তার কথা শুনে যেই তার সামনে গিয়ে দাড়াই,, আর সাথে সাথে অধরা আপু আমার বাম গালে ঠা,,,স করে একটা চড় বসিয়ে দিলো,,,।তারপর অধরা আবার বলল,,,

অধরা : কলেজে কেন আসিস,, মেয়েদের সাথে বসে আড্ডা দেওয়া আর এমন হেসে হেসে কথা বলার জন্য,,,।ক্লাস নাই তোর,,(দমক দিয়ে বলল)

আমি : জ্বি আপু আছে,, কিন্তু এখনো ক্লাস শুরু হতে দেরি আছে,,।আর ঐ মেয়ে গুলো আমার ভালো বন্ধু তাই তাদের সাথে গল্প করি,,,(নরম সুরে বললাম)

অধরা : আমি না তোকে বলছি,,তোর কোন মেয়ে বন্ধু থাকবে না । তাহলে ওদের সাথে কেন মিশতে গেলি,,।মনে রাখিস আমি ছাড়া যেন কোন মেয়ে তোর আসে পাশে না দেখি,,।আর যদি দেখি তাহলে তোর খবর আছে,,,।(রাগি ভাবে বলল)

আমি : জ্বি,,, আপু তাই হবে,,,,(মাথা নিচু করে বললাম)

অধরা : তাহলে এখন সোজা ক্লাসে যা,,,গিয়ে বই নিয়ে পড়তে বস,,।আর একদম মেয়ে মানুষের সাথে কথা বলবি না,,,এমন কী কোন মেয়ের দিকে তাকাবিও না,,।আর টিফিন টাইমে আমি কল দিলে,, সোজা ক্যান্টিনে চলে আসবি,,,। এখন ক্লাসে যা,,,(রাগি সুরে বলল)

**আমি আর কিছু না বলে মাথাটা নিচের দিকে দিয়ে ক্লাসে যেতে থাকি,,,।আর আমি এটাও জানি যতক্ষণ পর্যন্ত আমি ক্লাসে না ডুকি অধরা ততখন আমার দিকে ঈগল পাখির মত নরজ রাখবে,,।তাই আমিও আর ডানে বামে না তাকিয়ে ক্লাসে চলে আসি,,।ক্লাসে এসে বন্ধুদের সাথে চুপটি করে বসে একটু বই নিয়ে গাটাগাটি করতে থাকি,, । আর একটু পরে ক্লাসে স্যার আসলে মনোযোগ দিয়ে ক্লাস করতে থাকি,,,।আর এভাবেই দেখতে দেখতে টিফিনের আগ পর্যন্ত সবগুলা ক্লাস শেষ করি,,,,।আর ক্লাস শেষ করে মোবাইলটা হাতে নিতেই দেখি অধরা আপু তিনবার কল দিছে,,।আর তাই আমিও আর কোন দেরি না করে ক্যান্টিনে চলে আসি,,,।আমি ক্যান্টিনে এসে দেখি,,অধরা,শিমলা, অন্তরা সহ আরে দুইজন আপু একসাথে বসে আছে,,,।আর আমি তাদের সামনে যাওয়ার সাথে সাথে অধরা বলল,,,,

অধরা : *********চলবে *********

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here