#ইয়াসমিন_রিমা
#অসম_প্রেম
#পর্ব_১৭
ভাগ্য এমন ও হয়।আদিত্য ক্লান্ত হয়ে অফিসে ফিরে গেল।
আমাকে ঘরে আটকে রেখে দিয়েছে।ব্যাথায় কাতরাচ্ছিল সারা রুম খুঁজে ফাস্টেজ বক্স পেলাম।মলম লাগিয়ে নিলাম।কারন এখানে আমার কেউ নেই। সবাই পর। বিছানার পাশে দেখলাম আদিত্যর ল্যাপটপ। বোধহয় ভুলে গেছে নিতে। আমি সেই ছবি গুলোর অরিজিনাল বার করলাম।
আমার বাটন ফোন আমার সাথে ই থাকে।
ওখানে হঠাৎ কেউ ফোন করল। ফোন রিসিভ করলাম। ওপাশ থেকে।
,Someone,হ্যালো ম্যাডাম আপনাকেও খুব প্রয়োজন। এখানে অনেক কাজ পেনডিং রয়েছে।যে গুলো আপনি ছাড়া সম্ভব নয়। সবাই আপনাকে খুঁজছে। আপনি কারোর সাথে সেরকম যোগাযোগ করছেন না।
, তুমি খুব ভালো করেই জানো। আমি আমার কাজের কইফেত দেই না। আমি আমার সময় মতো ফিরবো।ফের যদি তোমার ফোন আসে। তাহলে তোমার কি হাল আমি করি তখন দেখবে। খুব করা ভাবে।
,ম্যাডাম আপনি জানেন অনেক শত্রু আপনার পিছনে পরে আছে।আর একজন কিন্তু আপনাকে খুব বেশি মিস করছে।খালি আমায় জিজ্ঞেস করছে আপনি কবে আসবেন। সামনে ইলেকশন আপনাকে প্রয়োজন।
,এই সব ফালতু জিনিস না বলে ফোন কাট।টুট টুট টুট।
যতসব রেগে গিয়ে।যা পেয়েছি তাই দিয়ে ই বাজি মাত করব।
সন্ধ্যা হয়ে গেছে। আদিত্য ল্যাপটপ নিতে আসল।দরজা খুলল। আমি দৌড়ে বের হলাম। আদিত্য পিছু পিছু আসলো ড্রয়িং রুমে। সেখানে চায়ের আসর বসেছে।সব ছবি শ্রাবন আর আলিশার সামনে ধরলাম।
, এই ছবি গুলো ই তো তুমি দেখেছিলে।এই নাও এগুলোর অরিজিনাল। এবার মনে হয় যে এটা আমি।আর আরো টুইস্ট বাকি আছে। এই ছবি গুলো দেখ ত আদিত্য আর আমি। কি হল চুপ করে আছ কেন। তুমি জানো না শ্রাবণ তোমাকে ঠকাচ্ছে। এগুলো থেকে বল আমার কার সাথে আগে ঘনি*ষ্ঠতা ছিল।
, আলিশা, তুমি আমার স্বামীর দিকে আঙুল তুলছ।
,হ্যা তুলছি।
পিছন থেকে। মামী।, এই মেয়ে কি শুরু করেছ তোমার কি কোনো কিছুতেই শিক্ষা হয়না না।
, আমাকে আগে কথা বলতে দিন।
, আদিত্য, ঘরে যাও রেগে গিয়ে।
,আজ প্রমান করব আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।
শ্রাবনের কলার চেপে।, আমার আপনার সাথে কোন সম্পর্ক ছিল। কি হল বলুন।
,শ্রাবন,দেখ আদি তোমার বউ আমাকে হেন*স্থা করছে। আমি কিছু করিনি।
, মিথ্যা কথা বলছে ও।
ওর সব কল রেকর্ড এবং মেসেজ সবাই কে দেখালাম। কতটা জঘন্য।
, সবাই শুনুন আমি নির্দোষ। এবার প্রমান হল তো। আমার কোনো দোষ নেই।
, আদিত্য, তুমি কি শুরু করেছ।যাও এখান থেকে যাও।
,হ্যা আমি যাব এখান থেকে চির তরে চলে যাব। এবং এক্ষুনি। বুঝেছেন।আর হ্যা সবাই আমার নামে কেন মিথ্যা বলেছেন। আমি তো কিছু করিনি।যদি ভুল হয়ে থাকে ক্ষমা করে দিবেন।
সব কিছু তেমন একটা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হলো না মনে হয়। এই উন্নত প্রযুক্তির যুগে সবই সম্ভব। মিথ্যাকে সত্যি বানানো। তবুও একটা শান্তি আমি আমার সাধ্য মত চেষ্টা করেছি। খুরিয়ে খুরিয়ে।সারা শরীর ব্যাথা করছে।আমি আমার রুমে ঢুকলাম।
আদিত্যর মনে একটু অনুশোচনা তৈরি হল। বোধহয়। আজকের খারাপ ব্যবহারের জন্য। একটা এতটা নির্দয় হয় কিভাবে। শ্রাবন ভালো না তা জানত।
রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম না খেয়ে। আদিত্য খাবার নিয়ে আসল। দেখল ঘুমানো।
,প্রেমা উঠ কিছু খেয়ে নাও।এই খাবার।
,না আমার খিদে নেই। আপনি চলে যান। আপনার বাড়ির চাকরের ঘরে ঢুকলে সবাই কি ভাববে।চলে যান।
, আমার বাড়ি আমার রুম থেকে বের হতে বলছ।উঠ খেয়ে নাও। রেগে।আর তোমার এখানে থাকতে হবে না আমার রুমে চল। এখানে অনেক ধুলো ময়লা জমে আছে।
, নেই আমি সব পরিষ্কার করেছি। আমি এখানে ই থাকবো।জেদ ধরে।
, বেশি কথা বললে কিন্তু আমি।
শোয়া থেকে উঠে গিয়ে।,কি কি করবেন আপনি। আবার মারবেন।তা অবশ্যই মারতে পারেন। আমি এখান থেকে অনেক দূরে চলে যাব।থাকব না আমি এখানে। আপনারা ভালো থাকবেন।
আদিত্য খাবার রেখে দিয়ে রেগে চলে গেছে।
আদিত্য, তোমায় কোথাও যেতে দেব না। কোথাও না।
খাবার গুলো ডাইনিং রুমে ফ্রিজে রেখে আসলাম।আজ যেন কোন খাবারি হজম হচ্ছে না। শুয়ে পড়লাম। অনেক রাত হয়ে গেছে।
সকালে হালকা রোদ চখে পড়ল। পাশ ফিরে দেখলাম,,,,,
চলবে,
কপি করা নিষেধ। কেমন লেগেছে সবার কাছে।