ইয়াসমিন_রিমা #অসম_প্রেম #পর্ব_৫৩

0
447

#ইয়াসমিন_রিমা
#অসম_প্রেম
#পর্ব_৫৩

কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রেমা বাড়ি আসলো।সদর দরজায় দাঁড়িয়ে আছে তন্ময় আদি আরুতা ও প্রেমা।

সবাই অবাক ওদের দিকে তাকিয়ে আছে।

,আসরাফ চৌধুরী,প্রেমা তুই কি করেছিস। তুই এই বাড়ির নিয়ম ভেঙেছিস। তুই জানতিস না এই বাড়ির নিয়ম। তুই এই বংশের বড় সন্তান হয়ে কিভাবে এত বড় জঘন্য কাজ করতে পারিস।

,প্রেমা, তোমাদের এই সব ফালতু নিয়ম আমি মানি না। চিন্তা করো না তোমাদের বানানো সব নিয়ম আমি একে একে ভেঙ্গে দিব।মুড নিয়ে ভেতরে ঢুকলো।

রিনা চৌধুরী, তুই প্রতিশোধের নেশায় মেতে উঠেছিস।

প্রেমা, তন্ময় আরুতা রুমে যা। বাকি টা আমি দেখছি।
, তন্ময়, আপু তুই কি লুকিয়েছিস আমাদের থেকে। সবাই কোন নিয়ম এর কথা বলছে। অবাক হয়ে।
,আরুতা, আপু তুমি বলছো না কেন।কি হলো। কোন নিয়ম আমাদের বংশে পালন করে আসছে।বলো।

প্রেমা, জানতে চাস তো কোন নিয়ম হা হা হা।হাসছে আর বলছে।তবে শোন। সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।প্রেমার ভালো মানুষির আরালে অন্য কেউ ছিল।যে আজ একটু একটু করে প্রকাশ পাচ্ছে। আমাদের বংশে কাজিনদের মধ্যে বিয়ে প্রেম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।যে এই নিয়ম ভংগ করবে তাকে কঠিন শাস্তি পেতেই হবে।এই সমাজ বিচ্যুত করে দিবে।এই পূর্ব পুরুষ থেকে পালন হচ্ছে।

আজ সবাই কে একটা গল্প বলছি। গল্প টা ছিল অনেক আগের। একটা ছেলে তার ফুফাতো বোনকে ভালো বাসতো। দুজন দুজনকে খুব ভালোবাসতো। ছেলেটা তাদের সম্পর্কের কথা তার বাবাকে জানায়। তার বাবাই তাদের সম্পর্ককে নিষিদ্ধ বলে দাবি করে। কাউকে না জানিয়ে সেই মেয়েটির বিয়ে ঠিক করে। ছেলেটা জানতো না।যেদিন জানলো সেদিন ই বিয়ে। তার বাবা কে হাজার চেষ্টা করেও রাজি করাতে পারেনি। তিনি এক কথার মানুষ। সমাজে তার আলাদা সম্মান আছে।তাই বলে ছেলের ভালোথাকা টা বুঝলে না। তার ছেলে কোন যোগ্যতায় কম ছিল না পেশায় একজন ডাক্তার ছিলেন। তার বাবার ইচ্ছে ডাক্তার হয়ে। গ্রামের মানুষের সেবা করছে। পিতা সকল ইচ্ছা পূরণ করলেও। সন্তানের শেষ ইচ্ছা পূরণ করে নি। সেই বিয়ে টা ভাঙ্গার হাজার চেষ্টা করেছিল কিন্তু পারেনি। শেষ বিদায়ের সময় মেয়েটা অসহায় হয়ে ছেলেটার দিকে তাকিয়ে ছিল।কিন্তু সেই না পাওয়া আজ তাকে নিষ্শ করে দিয়েছে। বিয়ে ভাঙ্গার অপরাধে তাকে বাড়ি ছাড়তে হয়েছে।কি নিষ্ঠুর বিচার তাই না। সেই ছেলেটি ছিল কাকাই অজয় চৌধুরী।আর সেই পিতা ছিল প্রতাপ চৌধুরী।যে এক কালে জমিদার ছিলেন। পঞ্চেত প্রধান।

তাই না মিস্টার প্রতাপ চৌধুরী। শেষ পর্যন্ত ধনী গরীবের পার্থক্য ও খুঁজে ছিলে।আজ আমি সব নিয়ম ভেঙে দিলাম।

এইসব বলেছিস তখন আসরাফ চৌধুরী এসে মেয়ে কে চর মারতে গিয়েছিলেন তখন ই প্রেমা হাত ধরে ফেলল। সবাই বাবা মেয়েকে দেখে যাচ্ছে।

,সরি বাবা। কিন্তু আমি কোন ভুল করিনি। তোমাদের এই আজগুবি নিয়ম মানার আমি কোন কারণ দেখতে পাচ্ছি না।

আসরাফ চৌধুরী, আমি ভাবতেই পারছি না তুই আমার মেয়ে।

,হ্যা এই বংশের রক্ত আমার শরীরে বইছে। তোমাদের সব নিয়ম ভেঙে দেওয়াই আমার প্রথম কাজ।

প্রতাপ চৌধুরী, তুই এইসব কি করেছিস। সমাজে কেউ মুখ দেখাতে পারবো না। ওদের বিয়ে ভেঙে দে।

,প্রেমা,দাদু মনে আছে তো জীবনে ঠিক কি কি ভুল করেছো।আর কতো জীবন নষ্ট করবে। আমি হতে দিব না। তোমরা আমার কাছের জিনিস টা কেরে নিয়েছ। এবার আমি তোমাদের কিভাবে ছেড়ে দেই বলো। তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে পেছনে তাকিয়ে দেখ। চোখ উঁচিয়ে।

পেছনে ফিরে তাকিয়ে দেখলো অজয় চৌধুরী । প্রতাপ চৌধুরী অজয় চৌধুরীর ফিরে আসার কথা জানেন না। হঠাৎ দেখতে পেল তার ছেলে কে চলে গেছে আজ ৩০ বছর পর দেখা। অজয় চৌধুরী বড় অভিমানে মুখ ফিরিয়ে নিলেন বাবার থেকে।
প্রেমা আঙ্গুল উঁচিয়ে প্রতাপ চৌধুরী কে বললো,শাসন শুধু শাস্তি দিয়ে হয় না। কখনো পাশে থেকে ও ভালোবেসে বন্ধর মতো ও বোঝানো যেন।যা ঘটনা ঘটেছে তা মেনে নাও। আমার আর তোমাদের কিছু বলার নেই। তোমরা না মানলেও ঠিকি ওদের বৈবাহিক জীবন চলবে।

, রিনা চৌধুরী, কাঁধে দু হাত দিয়ে ঝাঁকিয়ে বললো, তুই কেন এসব করছিস। আমি তোকে খুব ভালো করেই জানি। তুই আমাদের উপর থেকে প্রতিশোধ নিতে চাস তাই তো।

,প্রেমা অট্ট হাঁসি দিয়ে উঠলো।সারা বাড়ি ময় হাসির আওয়াজ আসছে। সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে প্রেমার দিকে। প্রেমাকে যতই দেখছে ততই নতুন রুপে আবিষ্কার করেছে।

প্রেমা,এই না হলে আমার মা হা হা হা । চিৎকার করে বলছে। তোমার ঠিকি শুনছো আমি তোমাদের থেকে প্রতিশোধ নিতে এসেছি। সবাই শুনে রাখো তোমরা যে আমার সাথে মিথ্যা খেলা খেলছিলে তার শাস্তি আমি তোমাদের কে দেব।হা হা হা হা।

সবার সামনে চেয়ারে বসে পায়ের উপর পা রেখে। হাতে একটা সিগারেট ধরিয়ে টানছে।তথচ এখনো ও মাথায় ব্যান্ডেজ আছে।ডেবিল মার্কা হাসি দিয়ে বলল, আমি সব ধ্বংস করে দিব বলেই না সবাই কে একত্রে করলাম। ওহ্ আর একজন বাকি আছে। আদিত্য দিকে তাকিয়ে বলল, আদিত্যর মা কনিকা শেহ্জাহান তাই না।হা হা হা। সিগারেট টানতে টানতে কাউকে ফোন করলো তাকে বললো নিয়ে আয়।

সবাই যেন রিতিমত ভরকে গেল।প্রেমার এমন রুপ দেখে। এই মেয়ে আরালে এমন। সবার সামনে পায়ের উপর পা তুলে সিগারেট টানছে। ধোঁয়া উড়ছে।এই মুহূর্তে সবার কাছে প্রেমা অচেনা।

আদিত্য শুধু প্রেমার কার্য কলা দেখছে। রেগে আগুন হয়ে আছে। কেমন মেয়েকে ভালোবাসলো।যার কিনা নূন্যতম কাউকে সম্মান দেওয়ার ইচ্ছা নেই। সবাই কে অসম্মান করেছে। আদির ধৈর্য্যর বাধ ভেঙ্গে গেলো।

প্রেমা বলছে, আমি জানি তোমরা সবাই মিলে প্রিয়কে আমার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে ছোট। ছোট কাকাই ওকে গুম করেছে।সেজ কাকাই ওর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছিলে।আর আমার সয়ং পিতা সেটা ওকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল।এই সব ইন্ধন দিয়েছিলে তাদের অর্ধাঙ্গিনী । আমি অনেক কিছু জানি। আমার পুরো জীবনটাই তোমার ব্যাবহার করেছ নিজেধের স্বার্থে।হা হা হা হা হা।আজ আমি তোমাদের কে বলছি আমার জীবনে শুধু প্রিয় থাকবে। শুধু প্রিয়।

সবাই শুনে রাখো আমার প্রিয় শুধু আমার হবে। প্রিয় আবার আমার জীবনে ফিরে আসবে। তোমরা প্রিয়কে আমার কাছ থেকে দূরে সরাতে পেরেছ কিন্তু মন থেকে নয়।ও আবার ফিরবে।হা হা হা হা

চিন্তার ভাব করে আর তোমার কি করা যায় বলোতো। শেষ করে দেই সব হা হা হা হা হা।

সবাই শুধু প্রেমার দিকে নিরবে তাকিয়ে আছে।আজ প্রেমা প্রতিশোধের নেশায় মেতে উঠেছে।

আদিত্য আর সহ্য করতে না পেরে প্রেমাকে চর মারতে যাবে তখন ধরে ফেলে ।প্রেমা, বাহ্ গায়ে ত খুব জোর দেখতে পাচ্ছি। আবার আমাকে মারতে আসা।যারি নুন খেয়েছিস তারই বিরুদ্ধে। বাহ্ বাহ্।দুজন দুজনের চোখে তাকিয়ে আছে। আমি সবাইকে নিয়ে এসেছি।যারা‌ ছিল না। তাদের কে ও একত্র করেছি।‌ এই বার আমার সব প্রতিশোধ জমবে হা হা হা হা। শাস্তি আমি সবাইকে দেব কেউ বাদ পরবে না। বলেই হাত ফেলে দিল।

আদিত্য, তুমি কি শুরু করেছ।এটা তোমার পরিবার। তাদের কে তুমি মারবে। তুমি কি সাইকো হ্যা।

, আমার সাইকো আর কই দেখলে। এবার দেখবি বলেই গলা চেপে ধরেছে। তোর জান আমার হাতের মুঠোর মধ্যে। তোর মা এখানে আসার আগেই ম রে যাবে।যাকে সেই ছোট বেলায় হারিয়েছিস।

হাত ছিটকে সরিয়ে দিল। আদিত্য, তুমি এমন কেন করছ। তুমি জানো আমি তোমার ।স্বামী বলতে যাবে তার আগেই
রিবাল বার ধরলো কপালে।, এবার বল। ওখানেই ঠিক এমন টাই হবে।

, প্রেমা আমার কথা ত শুনো ।যারা তোমার সুখ দুঃখ পাশে ছিল তাদের সাথে এমন করো না।প্রিয়র ভালো বাসা তোমাকে অন্ধ করে দিয়েছে।যার জন্য তুমি কারোর প্রান নিতেও হাত কাপে না। কেমন মানুষ তুমি। তোমার কোন অনুভূতি নেই হ্যা।

, রাইট নেই আমার কোনো অনুভূতি। এদের থেকে ও তোর করুন পরিনতি হবে।

তার মধ্যে কনিকা শেহ্জাহান কে নিয়ে আসা হলো। আদিত্য তার মাকে শুধু দেখে যাচ্ছে। দৌড়ে জরিয়ে ধরলো মা বলে।আজ মনে হাজার কোটি বছর পর মাকে ফিরে পেল।

আসরাফ চৌধুরী,এসব বন্ধ করো প্রেমা। নিজের পরিবারের সাথে এত জঘন্য কাজ করতে পারো আমি ভাবতেই পারছি না। ওই চোট লোকের বাচ্চার জন্য আমাদের উপর প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছ।ওই ছেলেটাকে সেদিন মে রে ফেললেই ভালো হত। তাহলে তোর এই উন্মাদনা দেখা লাগতো না।

,প্রেমা,বাবা একটু ঠিক করে বলো ও তোমার হবু জামাই হয়।এই বাড়ির বড় জামাই বলে কথা।দেখ না সবাই একে একে ফিরে এসেছে। এখন বাড়িতে সবার খুশি হওয়ার কথা।

, অনিন্দিতা চৌধুরী,প্রেমা তুই আমাদের সাথে এমন কেন করছিস। আমরা তোর ভালো চাই সেটা আমাদের অপরাধ।

, অপরাধ কেন হবে। তোমরা যা করেছ তার শাস্তি পাবে। আমার জীবন থেকে যা যা কেরে নিয়েছ ঠিক তাই তাই আমি কেরে নেব। এখন থেকে সবাই প্রহর গুনতে থাকো।

প্রিয় এই বাড়িতে আসবে। শুধু আমার জন্য।যাকে সরাতে চেয়েছিলে সেই হবে এই বাড়ির জামাই।ডেবিল মার্কা হাসি দিয়ে।

আমার লক্ষ্য থেকে কেউ সরাতে পারবে না। পিছন ফিরে ও এখানে অয়না বেগম আর আসরাফুল শেহ্জাহান কোথায়। তাদের ও শাস্তি বাকি আছে।

আয়না বেগম ও আসরাফুল শেহ্জাহান তারাও এসেছিলেন এখানে।

প্রেমা তাদের সামনে দাঁড়ালো। আয়না বেগম, আমরা তোমার কাছে ক্ষমা চেয়েছিলাম।যে ভুল করেছি তার জন্য অনুতপ্ত। কেন এমন করছ প্রেমা।

,কাম ওন মামী, শাস্তি তো পেতেই হবে।মামা আমার বিরুদ্ধে কি অপবাদ যেন দিয়েছিলেন। মুচকি হেসে। আপনার মনে না থাকলে আমার মনে আছে।হে হে হে।

, আসরাফুল শেহ্জাহান,দেখ প্রেমা কেউ অনুতপ্ত হলে তাকে কি শাস্তি দিবে। আফসোস নিয়ে বললো। ভুল যখন করেছি তাহলে শাস্তি ই দাও।কি শাস্তি পেতে হবে আমাদের।

প্রেমা, শাস্তি স্বরূপ দশ দিন আমার চাকর হয়ে থাকতে হবে।

সবাই অবাক হয়ে গেল।প্রেমা কি করছে।
আদিত্য, তুমি কি শুরু করেছ।মামা মামী কেও ছাড়লে না। ওনারা আমাকে মানুষ করেছে। আমি ওনাদের সন্তানের মত।আজ যা কিছু তা উনাদের জন্য।ওরা ভুল বুঝতে পেরেছে।তাও শাস্তি দিবে। ওদের কোনো শাস্তি হবে না। ওনারা আমার কাছে আমার আপন জন।মামা মামী দিকে তাকিয়ে বলল তোমরা বাড়ি চলে যাও। আমি তোমাদের কোনো অসম্মান হতে দেব না।প্রেমার দিকে তাকিয়ে বলল, তোমাদের শাস্তি আমি ভোখ করব।

প্রেমা আমি তোমার দশ দিন চাকর হয়ে থাকব।যা বলবে তাই করবো। তোমার হাতের পুতুল হয়ে।

,প্রেমা বাহ্ আমার হাতের পুতুল হওয়ার খুব শখ দেখতে পাচ্ছি ‌। ভালো খুব ভালো।

রিনা চৌধুরী,আদি তুই কি বলছিস।
আদি,হ্যা আমি ঠিক বলছি বড় মা।ও যা চায় তাই হবে। তুমি চিন্তা করো না।

প্রেমা, বেশি কথা না বলে নতুন বউ কে ঘরে তোলো। আমি করছি বরন ডালা সাজিয়ে আরুতাকে বনর করে ঘরে তুলল।আর ধান ছিটে দিল।

আরুতা শুধু এই বাড়ির মেয়ে নয় আজ থেকে এই বাড়ির বউ ও। তন্ময় এর স্ত্রী।
আজ ওদের বাসর তাই কিছু লোক দিয়ে ঘর সাজালো। সবার দ্বিমত ছিল। কিন্তু প্রেমা কারোর কথা শুনলো।আদিকে ত চাকর বানিয়ে ফেলেছে।

তন্ময় এর রুমে দাড়িয়ে আছে।সব কিছু নয়ম মত করলো।আদি রুমে এসে দেখে প্রেমা সব কিছু তদারকি করছে।
,প্রেমা,হা করে তাকিয়ে না থেকে কাজে লেগে পড়।

,আদি, তুমি কি আগুন জ্বালাতে চাইছো হ্যা। এইসব পাগলামী বাদ দাও। প্রিয় র জন্য আর পাগলামী করো না।
এখন অবধি আমি কোনো জোর খাটাইনি। আমার ধৈর্য্যর বাধ ভেঙ্গে যাচ্ছে। আমি আর তোমার পাগলামী সহ্য করতে পারছি না। আঙ্গুল উঁচিয়ে বললো প্রেমাকে।

, আমার উপর অধিকার খাটিয়ে কোন লাভ নেই।চাকর হয়ে ছ ।মালকিনের উপর তরফদারি করতে বলিনি।কি হয়েছে যদি নিয়ম মানতে।

,তাই না কি।নিজের কথা ভেবে দেখেছ ।আমরাও কিন্তু এই বংশের। আবার কাজিন ও।

, তাতে কি হয়েছে।মানছি তন্ময় আরুতা বিয়ে হয়েছে মেনেনেয়া উচিত। তাহলে তুমি সবাই কে কেন শাস্তি দিতে চাইছো। তোমার ইচ্ছা আমি পুরুন হতে দিব না।ওরা আমারও পরিবার। আমার পরিবারের কোনো ক্ষতি হতে আমি দিব না। তোমার প্রতিশোধের পথে বাধা আমি তোমার স্বামী।

পাশে তন্ময় ও আরুতা আকাশ দাঁড়িয়ে ছিল।ওরা অবাক হয়ে গেল।আদি কি বললো।প্রেমার স্বামী মানে।একে অপরের দিকে তাকিয়ে আছে।

প্রেমা বুঝতে পেরেছে যে ওরা পিছন থেকে শুনে ফেলে ছে।
প্রেমা, তন্ময় আরুতা আকাশ এই কথা যে বাইরে না জায়।যদি যায় সবাই কে আমি বাকা হাসি দিয়ে।

ওরা ভয় পেয়ে গেল। কিছুক্ষণ আগে প্রেমার যে রুপ দেখতে পেল।তাতে ওরা ভয়ে আছে।যে মানুষটার সাথে ছোট থেকে বন্ধুর মতো মিশেছে।যে সকল আবদার পূরণ করেছে। কোন ভুল করলে সব সময় সব কিছু ঠান্ডা মাথায় ভালোবেসে বুঝিয়ে দিয়েছে। ছোট থেকে তাদের নিজের হাতে মানুষ করেছে।যার হাত ধরে হাঁটতে শিখেছে কথা বলতে শিখেছে। সেই আপুকে আজ অচেনা লাগছে। তাদের ভালোবাসার আপুটা আজ বড্ভ বেশি অচেনা লাগছে। ওরা নিশ্চিত ওদের আপু এতটাও খারাপ নয়। কারোর কোনো ক্ষতি করবে না। কারন সবাইকে যে খুব ভালোবাসে।

সবাই বললো ঠিক আছে আপু। মনে মনে একটু খুশি ও হলো যে আপু বিয়ে করেছিল। এখন মানছে না।

প্রেমা চলে গেল।
আদি কে পুরো কাহিনী জিজ্ঞেস করলেও কোন উওর দেয়নি চলে গেছে।

বাড়ির সবাই রেগে আগুন হয়ে আছে।কি বলবে কি করবে কিছু বুঝতে পারছে না। সবার একটা কথা মনে হচ্ছে প্রেমা পাগল হয়ে গেছে।দিন দিন প্রতিশোধের নেশা মাথাটা খারাপ করে ফেলেছে।

বাড়ির এই সব খবর প্রান্তিকের কাছে গেল। প্রান্তিক শুনে অবাক হয়ে গেল।প্রেমা এমন কেন করছে।তাই তাড়াতাড়ি প্রেমার সাথে দেখা করতে চলে এলো।

প্রেমা বাগানে বসে কফি খাচ্ছি ল আর অফিসের ফাইল দেখছিল।
তখন প্রান্তিক আসে।
প্রান্তিক, এগুলো আমি কি শুনছি প্রেমা। এমন পাগলামী কেন করছো।

, আগে তুমি উওর দাও আমাকে।

, কি

, আলিশার ছবি তোমার কাছে কেন।

তখন আদিও চলে আসে দেখে প্রান্তিক প্রেমা কথা বলছে সব টাই আদি শুতে পেয়েছে।

, প্রান্তিক,,,,

চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here