#ইয়াসমিন_রিমা
#অসম_প্রেম
#পর্ব_৫৪
প্রেমা বাগানে বসে কফি খাচ্ছি ল আর অফিসের ফাইল দেখছিল।
তখন প্রান্তিক আসে।
প্রান্তিক, এগুলো আমি কি শুনছি প্রেমা। এমন পাগলামী কেন করছো।
, আগে তুমি উওর দাও আমাকে।
, কি
, আলিশার ছবি তোমার কাছে কেন।
তখন আদিও চলে আসে দেখে প্রান্তিক প্রেমা কথা বলছে সব টাই আদি শুতে পেয়েছে।
, প্রান্তিক,ছিল কোন একসময়।
প্রেমা, কেন। তুমি কি আলিশাকে ভালোবাসতে। প্রান্তিক আমি তোমাকে খুব ভালো করেই চিনি।এর জন্য ই কি বিয়ে করোনি।
প্রান্তিক,না ঠিক তা নয়।হ্যা একটা সময় একটা মেয়ে কে পছন্দ করতাম কিন্তু কখনো বলা হয়নি।আর তুমি তো জানো রাজনীতি তে আসার পর সেটা নিয়েই থেকে ছি বাকি এইসব বিয়ে শাদি সম্পর্ক ইচ্ছা করে নি।
, তুমি জানো কতটা সময় তুমি জীবন থেকে নষ্ট করেছ।আজ ত বয়স ৪০ পার হয়ে গেছে।বন্ধু হয়ে বলছি তোমাকে এরম ভালো লাগে না। বিয়ে টা করে ফেলো।
,হা হা হা হা। তুমি এই কথা বলছ।
, কেন কি হয়েছে।
, তুমি ও ত সেম বিয়ে না করে ৩৪ পার করে দিয়েছ।
, হুম আসলে কি জানো প্রান্তিক মন থেকে একজন কে ভালোবাসলে দ্বিতীয় বার আর কাউকে ভালোবাসা যায় না। তুমি আমাকে একটা প্রশ্নের উত্তর দাও ত প্রথম প্রেম যদি সত্যি হয় তবে দ্বিতীয় বার প্রেম কেন হয় ।আর দ্বিতীয় প্রেম যদি সত্যি হলে প্রথম প্রেম কে ভুলা যায় না কেন।
প্রান্তিকের দিকে তাকিয়ে।
, আমারও এই প্রশ্নের উত্তর জানা নেই। সবার জীবনেই কোন না কোন অপূর্নতা আছে। সবাই স্বয়ং সম্পূর্ণ নয়।
, হুম।
, তুমি এইসব পাগলামী কেন করছো। ওরা তোমার পরিবার তোমার আপনজন।ওরা ছাড়া এই পৃথিবীতে তোমার কে আছে।ওরাই তোমাকে মানুষ করেছে।দেখ প্রেমা বাবা মা কখনো সন্তানের খারাপ চায় না। বরং তার সন্তান ভালো থাকুন সেটা চায়।পিতা মাতা সন্তানের উপর ছায়া হয়ে পাশে থাকে।যদিও ওরা ভুল করেছে।তাই বলেও কি তুমি ও ওদের শাস্তি দিবে। শাস্তি দিয়ে কি পাবে বলো।যে চলে গেছে তাকে ত কখনো ফিরিয়ে আনতে পারবে না।প্রেমার মাথায় হাত বুলিয়ে।মন খারাপ করে লাভ নেই। সবাই কে ক্ষমা করে দাও।আর হ্যা শোন একটু সাইক্রাটিস্ট দেখাও।যখন তখন যা ইচ্ছা তাই করে ফেল ।কোন হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। জানি একাকিত্বে থাকো। সহজে কারোর সাথে মিশতে সমস্যা হয়। একটুতেই সবার সাথে খারাপ ব্যবহার করে ফেল। সহজে সব কিছু মেনে নিতে পারো না। কিন্তু পরে ঠিকি ভুল বুঝতে পারো।
আমি জানি তোমাকে একটু বোঝালেই তুমি বুঝতে পারো। কিন্তু সেটা ভালোবেসে। এখন আর বাড়ির লোকের সাথে খারাপ ব্যবহার করো না।ওরা কষ্ট পাবে।
, আমি জানি না আমার কখন কি হয়। আমার মন যা বলে তাই করি।চট করে ই রেগে যাই। আমি জানি আমি খুব খারাপ ব্যবহার করি সবার সাথে। কিন্তু যখন ভালো ব্যবহার করতে যাবো তখন ই আগের প্রিয়কে হারানোর কথা মনে পড়ে। প্রিয় কে হারানোর পিছনে এদের সবার হাত আছে। তখন আমি আমার রাগ কন্ট্রল করতে পারি না।যখন যা মনে আসে তাই করে ফেলি। আমার মাথা কাজ করে না।কি করবো বলো। আমি জানি এর মূল কারণ একাকিত্ব। প্রিয়র ভালোবাসা আমার নেশা হয়ে গেছে। আমি ওকে কখনো ছাড়তে পারবো না।
,সব অতীত ভোলার চেষ্টা করো। আমি তোমার পাশে সুখ দুঃখে সব সময় বন্ধু হয়ে থেকে যাব।সব সময় তোমার এই বন্ধু কে পাশে পাবে।
, আমি জানি প্রান্তিক।আর কেউ আমায় না বুঝলেও তুমি বোঝ। আমি সবাইকে সরি বলে দিব। আমি বোধহয় সবাই কে একটু বেশি ই কষ্ট দিয়ে ফেলেছি।
, এই ত তুমি কত সহজে বুঝে ফেলেছো।
, মুচকি হেসে বলল ,প্রান্তিক তোমার জন্য একটা আমার তরফ থেকে সারপ্রাইজ আছে।
,কি সারপ্রাইজ।
, সেটা ত আমি এখন বলবো না। সময় আসুক তার পর।
, ওকে।
,বাবা আমার বিয়ে ঠিক করেছে। ফারহানের সাথে। এই সপ্তাহে। তুমি থেকো কিন্তু।
, তাহলে তুমি বিয়ে তে রাজি।
, কি আর করবো বলো। সবাই তো আমার মুখের দিকে চেয়ে আছে।
, ভালো। আমি এখন আসছি। গালে হাত বুলিয়ে।
, ওকে। তুমি বিয়েতে থেকো কিন্তু।
, আচ্ছা থাকবো।
প্রান্তিক চলে গেল।
আদিত্য সব শুনতে পেল।প্রেমার কাছে এসে বলল।
, তুমি ওই বিয়েতে রাজি।
, কেন কি হয়েছে। আজ না হোক কাল তো বিয়ে করতেই হতো।
, আমাদের সম্পর্ক।
, ওটা বিয়ে নাকি হা হা হা হা।যেখানে কোন অভিভাবক নেই। আমাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই।আর কি করে ভাবলে বলো তো আমার নিজের থেকে আট বছরের ছোট ছেলে কে আমি বিয়ে করবো।হা হা হা। কখনো না।
,প্রেমা তুমি আমার সাথে তিন মাস সংসার করেছ সেটা কি তাহলে।
,তিন মাস কেমন সংসার করেছ তা জানা আছে।তার ফল ত আজ ভোক করছো আমার চাকর হয়ে। আমার কাজ আছে।
বলেই চলে গেল।
আদি রাগে ফুঁসছে। এই বিয়ে কিছুতেই হতে দিবে না। সবাই কে জানিয়ে দেবে প্রেমা ওর বউ।আর ওর বারাবারি মেনে নেওয়া যায় না।
প্রেমা আসলো আসরাফ চৌধুরীর রুমে। আসরাফ চৌধুরী পেপার পড়ছিল। রিনা চৌধুরী কাপড় গোচ্ছিল।
, বাবা মা তোমাদের সাথে আমার কিছু কথা ছিল।
রিনা চৌধুরী, চলে যা তুই ।তোর মুখ আমি দেখতে চাই না।
,সরি মা। আমি বোধহয় একটু বেশি তোদের কষ্ট দিয়ে ফেলেছি সরি।
, আসরাফ চৌধুরী, আমার কোনো মেয়ে নেই তুমি এখান থেকে চলে যাও। তুমি ত আমাদের উপর প্রতিশোধ নিতে চাও।
,বাবা আমি বিয়েতে রাজি।এই সপ্তাহে বিয়ে হবে। তুমি চিন্তা করো না সবটা আমি দেখবো।
রিনা চৌধুরী, তুই ঠিক বলছিস বিয়ে করবি। তুই রাজি।
, হুম। তোমরা আমার উপর আর রেগে নেই তো। বাবা প্লিজ আমার উপর রাগ করে থেক না।মা প্লিজ বাবাকে বোঝাও ।
,দেখ না ও ওর ভুল বুঝতে পেরেছে। মেয়ে টা আজ বিয়েতে রাজি হয়েছে। তুমি ওর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না।
, আসরাফ চৌধুরী, ঠিক আছে কথার যেন কোনো নর চর না হয়।
, ঠিক আছে। কালকে একটু বিদেশে যাব আর বিয়ের আগেই চলে আসবো।
, রিনা চৌধুরী, তারাতাড়ি চলে আসিস।
সবাই খুব খুশি হলো। কনিকা শেহ্জাহান ফিরে আসায় সবাই খুব খুশি। আরো খুশি হলো প্রেমার বিয়ে নিয়ে।
প্রেমা রুম থেকে বেরিয়ে হাঁটছে আর ভাবছে।,বিয়ের দিন কি ধামাকা হয় তার জন্য সবাই ওয়েট কর।বিয়েত হবেই কার সাথে কার সেটা আমি জানি।হা হা হা হা। প্রিয় আর আমার পথের কাঁটা টাকে উপরে ফেলতে হবে।
প্রেমা বিদেশে চলে গেল।
এদিকে সবাই বিয়ের আয়োজনে ব্যাস্ত। আদির খটকা লাগছে যে মেয়ে একটা ছেলে কে ভালো বাসে চায় শুধু সেই থাকুক তার জীবনে ।তাহলে বিয়েতে কেন রাজি হলো।অন্য একটা ছেলে কে বিয়ে করার জন্য। এখানে অন্য কোনো অঘটন ঘটাবে না তো।ওর নিশ্চয়ই কোন মতলব আছে।
প্রেমা origin এর অফিসে বসে আছে। তখন ডেবিড ভেতরে ঢুকলো।
ডেবিড, তুমি জানো নতুন অফিসার এসছে সে সবাইকে খুজে বেড়াচ্ছে। আমাকেও ।
,তাই না কি। খুব সাহস দেখছি।এই অবধি কত গুলো কে মেরে ছো।এটার সেম অবস্থা কর।নাম কি।
, প্রিয় আহমেদ।
,কি হহ। প্রিয়।
,হ্যা তুমি ওকে চেন নাকি।
, প্রিয় কবে থেকে সিক্রেট অফিসার হলো।
, আমি কি জানি।ও সবার মুখোশ খুলে দেবে।
, কি বলছ তুমি। প্রিয় কে আমি হ্যান্ডেল করবো।ও আমার মুখোশ খুলতে পারবে না। আমি ওকে চিনি ডেবিল মার্কা হাসি দিয়ে।
, ও কে।
, তিনি হলেন আমার প্রাক্তন প্রেমিক।
,কি।ও যদি আমাদের বিজনেস সম্পর্কে জেনে যায়।
, কিছু করতে পারবে না। কারন সব উপর মহলের নেতা আমার হাতের মুঠোর মধ্যে। সামান্য একজন অফিসার আর কি বার করবে। এর সাথে কত লোক জরিত আছে তা ওর জানা নেই।
, কিন্তু ও hunter কে খুঁজছে।ও ভাবছে hunter এর সাথে তোমার কোন যোগাযোগ আছে।
, hunter এর সাথে আমার যোগাযোগ হা হা হা হা।so funny
, তুমি হাসছো এটা সিরিয়াস।
,কেচ খুলতে গিয়ে কেউ টে বেড়িয়ে আসবে। ও কিছু বার করতে পারবে না।আর না hunter কে আর না আমার মুখোশ খুলতে।
, তুমি একজন মাফিয়া হয়ে কি করে নিশ্চিন্তে আছো।ও তো পুরো দমে কাজে লেগে পড়েছে। খবর আছে কয়েক জনকে আটক করেছে। ওরা আমার নাম যদি বলে ফেলে।
, তার আগেই কাউকে দিয়ে উপরে পাঠিয়ে দাও। আমার কাজের মাঝে কোন বাধা আমি দেখতে চাই না।do it first.
, ওকে । কিন্তু হিরে ।
, ওগুলো চলে এসেছে। পায়নি খোঁজ।এত ভিতু কেন ডেবিড হ্যা।হা হা হা হা। টেনশন করো না। প্রিয় কোনো খোঁজ পাবে না।
মনে মনে
এই বার খেলা জমবে।হা হা হা হা। মিস্টার প্রিয় আহমেদ। খুব তো সিক্রেট অফিসার হলে এবার খোজ দেখি আমাকে। ঘুরে ফিরে তোমাকে আমার কাছে ই আসতে হবে।
, ইরফান ঝামেলা করছে।
,ওর সাথে কোন ডিল হবে না।বলে দাও।
,ওর পুরো গ্যাং তোমাকে ফলো করছে যে কোনো সময় এটাক করতে পারে।
, সবাই কে কাজে লাগিয়ে দাও। ইরফানের একটা লোক যেন বাঁচতে না পারে।
, ওকে।আসছি।
এদিকে সবাই খুব হই হুল্লোড় করছে।আর আদি সেই শ্রাবনের ফোন টা খুঁজছে। কারন প্রেমা থাকলে কোনো ভাবেই পারতো না। সেই ফোনটার মধ্যে ই কিছু আছে।যার ভেতর অনেক গুলো রহস্য আছে।কে নিরমম ভাবে হত্যা করেছিল শ্রাবন কে। সবাই তো ধারণা করছিল এটা hunter ছাড়া আর কেউ নয়। hunter টা আসলে কে।
প্রেমার রুম তন্ন তন্ন করে খুঁজলো কিন্তু কিছু পেল না। শেষে একটা ছোট লকার পেল আলমারির কাপড়ের ভিতরে। এমন ভাবে রাখা যাতে কারোর চোখে না পড়ে।
কিন্তু খুলবে কিভাবে । তার চাবি খুজলো কিন্তু পেল না।লকারে পাসওয়ার্ড ও দেওয়া।অনেক চেষ্টা করেও খোলা সম্ভব হয়নি। তবে ও হাল ছাড়েনি। চেষ্টা চালিয়ে যাবেই।
প্রেমাকে ফোন দিল,হ্যালো।
প্রেমা, কি সমস্যা।কাজে এসেও কি শান্তি তে কাজ টাও করতে দেবে না নাকি।
, আদিত্য, সবাই তোমার বিয়ের আয়োজন করে ফেলেছে। আমি জানি তুমি কোন মতলব আটছো।কি করবে তুমি ওই বিয়ে দিন।
, বিয়ে হবে আর কি।
, বিয়ে টা কার।
,দেখা যাক কার বিয়ে।
,কথা গুড়িয়েও না। আমার প্রচন্ড রাগ হচ্ছে। আমি আর তোমার কার্য কলাপ সহ্য করতে পারছি না। তুমি ফিরে এসো। এক্ষুনি। আমি তোমার আমার কথা সবাইকে বলে দিব।
, আমাকে থ্রেট দিয়ে লাভ নেই। কারন আমি জানি আদিত্য শেহ্জাহান খান সত্যি চাইলে অনেক আগেই বলেদিতে পারতো কিন্তু পারলো না কারণ হলো তাকে সব কিছু আবার হাড়াতে হবে।হা হা হা হা হা।আর এখনো পারবে না। কারন নাটাইয়ের সুতো আমার হাতে।
, আমি তোমার হাতের পুতুল নই।প্রেমা আমি তোমার স্বামী। এটা সত্যি তুমি আমার থেকে বয়সে বড় হতে পারো। কিন্তু আমি ই তোমার স্বামী। আমি তোমাকে কখনো তালাক দেই নি। জোর ও করিনি। এমনকি তোমাকে আমি কখনো স্বামী হিসেবে কোনো কাজ করতে আদেশ ও করিনি। তুমি তোমার ইচ্ছা মতো যা ইচ্ছা তাই করেছো আর নয়।
এবার থেকে আমি তোমার স্বামী হয়ে কথা বলছি। জানি বাঙালি মেয়ে রা স্বামী ভক্ত। হাজার অবহেলা করলেও সেই স্বামী কে ই ভালো বাসে। তুমি সেই সম্পর্কে আমার কাছে বাঁধা। হাজার চাইলে ও আমার থেকে তোমার মুক্তি নেই বউ।
প্রেমা ভয়ে ফোন কেটে দিল।যখন বউ বলে উঠলো তখন যেন মনে হলো বুকের মধ্যে একটা বারি মারলো। ভয়ে কাঁপছে। ঘেমে গেল। সত্যি কি ও আদিত্যর কাছে বাঁধা।যতই বয়সে বড় হোক বিয়ে তো একদিন হয়েছিল। দুজনে ই ত কবুল বলেছিল।একে অপরকে গ্রহণ করে ছিল। হাজার হোক এটা তো বিয়ে ছিল সংসার ও করে ছিল।বিয়ের মতো একটা পবিত্র সম্পর্ক ছেলেখেলা নয়।
ভাবতে লাগলো।
, আমি এগুলো কি ভাবছি।এটা কিছুতেই হবে না।এটা কোন বিয়ে নয়। তবুও কেন বার বার মন বলছে এটা বিয়ে।কন্ট্রাক ম্যারেজ হলে ত বিয়ে। কেন মন বিপরীত দিকে যাচ্ছে। মাথায় হাত দিয়ে ভাবছে।
কাউকে ফোন দিল,হ্যালো আদিত্য শেহ্জাহান খান কে মে রে ফেল। কাঁপতে কাঁপতে বললো।
, ওকে ম্যাডাম।কাজ হয়ে যাবে।
আজ হঠাৎ প্রেমার এমন কেন লাগছে। খুব শীঘ্রই বাড়ি ফিরতে হবে।
রাত হয়ে গেছে আর দেশে এখনো দিন।
অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে পিছনে কিছু গাড়ি ফলো করতে লাগলো। সাথে কিছু গাড ও ছিল। হঠাৎ ওরা গুলি করতে লাগলো। পিছনে তিন টা গাড়ি ছিল প্রেমার গাড সহ। তাদের উপর হামলা করা হয়েছে।তারা ও পালটা আঘাত করতে লাগলো।প্রেমাও কিছু গুলি ছুড়লো। গাড়ি গুলো খুব দ্রুত চলছে।প্রেমার গাড়িও খুব দ্রুত চলছে। গাড়ি মোর নিতে ই ওদের গাড়ি উল্টে গেল।প্রেমার গাড়ির সামনে কিছু গাড়ি আসলো। ধাক্কা দিল। সেগুলো উল্টে গেল। পিছন থেকে সমানে গুলি বর্ষণ হচ্ছে। ব্রিজের উপর আসতেই।প্রেমার গাড়ি ইউটার্ন নিয়ে গুরে গেল। কিছু গাড়ি একে একে পানিতে পড়ে গেল। প্রেমা গাড়ি থেকে নেমে আসলো। একটা কে ধরে আচ্ছা মত কেলানি দিল।
,বল তোদের এখানে কে পাঠিয়েছে। চুলের মুঠি ধরে। আমার উপর কে এটাক করেছে।
,বস।বস বলেছে।
,কে তোদের বস।
, ইরফান।
, ইরফানের বাচ্চা তোকে আমি শেষ করে দিব।
পেছনে থেকে কেউ বলে উঠলো,মেরা নাম লিয়া মে হাজির।
,প্রেমা, রিবাল বার কপালে ঠেকিয়ে। তুই আমার উপর এটাক করেছিস।
ইরফান,কুল ডাউন ম্যাডাম। আমার ডিল চাই।
, আমার উপর এটাক করার যে সাহস তুই দেখিয়ে ছিস তাতে তুই ডিল পাবই না।
কিছু বলার আগেই গুলি করে দিল। রাগে ফুঁসছে।
,কে কোথায় আছিস এটাকে গায়েব করে দে।যতসব।
আমার সাথে লাগতে আসার পরিনতি।
সব গাড গুলো তাই করলো কিন্তু সমস্যা হল ইরফান মরে নি। এটা নকল ইরফান ছিল। প্রেমাকে ফোন দিল।উপাশে, ইরফান,কি ম্যাডাম আপনি কি ভাবলেন আমি আপনার সামনে সয়ং এসে হাজির হবো।হা হা হা হা হা।
প্রেমা, তোকে আমি ছাড়বো না। তোর জন্য আমার অনেক লছ হয়েছে।
, আপনাকে সবাই হারিকেন জ্বালিয়ে খুঁজছে। আমি জানি hunter কে ।হা হা হা হা। hunter কত জনকে মে রে ছে তার হিসেব নেই। খুব শীঘ্রই hunter কে খুঁজে পাবে।হা হা হা হা।
,তোর মুখোস তার আগেই খুলে যাবে।হা হা হা হা হা।
ফোন কেটে দিল।প্রেমা ফিরে গেল বাড়ি।
বেশ কিছু দিন বিদেশে কাটলো।
আজ দেশে এসেছে।আজ বাড়ি খুব সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে কারণ বিয়ে।
প্রেমা গাড়ি থেকে নামলো বাড়ির সামনে। সবাই খুব হই হুল্লোড় করেছে।
রিনা চৌধুরী, তুই এসেছিস।আজ গায়ে হলুদ। তারাতাড়ি রেডি হয়ে নে। ঠিক আছে।
, ঠিক আছে। আচ্ছা তন্ময় আরুতা কে কি তোমরা মেনে নিয়েছ।
, না।
, কেন। সবাই কোথায় ডাকো কথা আছে।
ড্রয়িং রুমে সবাই এলো।প্রতাপ চৌধুরী, তুই আমাদের ডেকে ছিস কেন।
, আমি আমার ভুল বুঝতে পেরে বিয়ে তে রাজি হলাম আর তোমরা এটা কি করলে।
আসরাফ চৌধুরী,কি করেছি আমরা।
, তোমরা যদি তন্ময় আরুতার বিয়ে মেনে নাও তাহলে আমি বিয়ে করবো না।
রিনা চৌধুরী,সব আয়োজন হয়ে গেছে তুই এখন বলছিস বিয়ে করবি না মানে।
,হ্যা ঠিক ই শুনছো। আগে ওদের সম্পর্ক মেনে নিতে হবে।
সবাই অবাক হয়ে গেল। সবাই এক প্রকার বাধ্য হয়ে মেনে নিলো। তন্ময় আরুতার সম্পর্ক।
প্রেমা রেডি হওয়ার জন্য রুমে আসলো। আদিত্য ছিল। বিছানায় বসে ফোন টিপছে।
, আদিত্য,কি ব্যাপার বিয়ের কনে।
, প্রেমা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। একদম সুস্থ।, তুমি।
, কি ভেবেছিলে আমাকে মারবে।আর মরে যাবো হা হা হা। সেটা কিভাবে হয় বলো তো বউ ।
, একদম আমাকে বউ বলবে না চলে যাও। আমি চেন্জ করবো।
,তাই । আমার সামনে ই করো আমি তো তোমার স্বামী সব কিছু দেখার অধিকার ও আমার আছে।
,একদম অসভ্য তামো করবে না।
, স্বামী রা না একটু বেশি ই অসভ্য হয় বউয়ের জন্য।ম্যাডাম নারীর জীবনে একজন কেয়ারিং হাজবেন্ড
পাওয়া আল্লাহর দেওয়া সব থেকে বড় নেয়ামত ।যা সবার ভাগ্যে থাকে না। আর তুমি তো তাকে ই মারার চেষ্টা করেছো। তুমি যতদিন আমার বুকে বাস করবে ততদিন তোমার থেকে আমাকে কেউ সরাতে পারবে না।
বিছানায় রাখা হলুদ শাড়ি টার ভাঁজ খুলে আঁচল প্রেমার মাথায় দিয়ে দিল আর বলল, সুন্দর মুহূর্তের জন্য অনেক গুলো খারাপ সময়ের সাথে লড়াই করতে হয় তবে ই না সম্পর্কের পূর্নতা পায়। তুমি থেকে গেলে আমি ভালো থাকি।
, জীবনে একজনের প্রতি আসক্ত হয়ে ।ঠকে যাওয়ার মাঝে ও শান্তি আছে ।দিন শেষে বলতে পারবো বেইমান ছিলাম না আমি। আমি চাই একজনই আমার জীবনে থাকুক।আর কেউ নয়।
, আমি চাই প্রেমও তোমার সাথেই। পাগলামী ও তোমার সাথে ই। রাগারাগী ও তোমার সাথে ই। খুনসুটি ও তোমার সাথে ।বিয়েও তোমার সাথে ই।প্রথম থেকে শেষ। আমার গল্পে তুমি ই সর্ব শেষ।
, সব পুরুষ একই রকম সবাই দিন শেষে শরীর ই খোঁজে।
ছারো আমাকে।
,দেহ পেলেই যদি মনে তৃপ্তি মেটানো যেত তাহলে ৫০০ টাকা দিয়ে সবাই ওটাই কিনত। ভালোবাসায় হেড়ে গিয়ে ২০ টাকার বি ষ কিনে আত্ন হ ত্যা বা হাজার টাকার নেশা কিনে হৃদপিন্ড আর কলিজা পোড়াত না। আমি তোমার মনটাই চাই।যদি আমি তোমার শরীর ই চাইতাম এতদিনে আমার সন্তান তোমার গর্ভে থাকতো। তোমার নিঃসঙ্গ তায় ভুগতাম না।
রেডি হয়ে আসো।
আদি চলে গেল।প্রেমা ভাবছে আদি বাঁচলো কিভাবে। আবার জালাচ্ছে।এই ছেলে টা কোন দিন বোধহয় পিছু ছাড়বে না।
রেডি হয়ে নিল তখন ওকে নিতে আলিশা আসলো।
আলিশা, তোমার হয়েছে।চলো।
মুচকি হেসে,হ্যা হয়েছে।একি আলিশা আজ তুই একটু সাজিসনি। দেখতে ভালো লাগছে না।চল আমি তোকে সাজিয়ে দেই।
টেনে নিয়ে গেল আয়নার সামনে খুব সুন্দর করে সাজিয়ে দিল। এমন ভাবে সাজিয়েছে মনে হচ্ছে বিয়েটা প্রেমার নয় আলিশার।
চলবে,