#লেখিকা_ইয়াসমিন_রিমা
#অসম_প্রেম
#পর্ব_৪
আদিত্য শেহ্জাহান খান বাড়ি এসেছে। নিজের রুমে খাটে বসে ভাবছে।এর মধ্যে তার বোন আলিশা আসে।
পাশে বসে।
,আদি ভাই আমার।এত কি ভাবছিস।
,ও আপু তুই।হ্যা বল। নানাভাই এর শরীর ঠিক আছে ত।কদিন অনেক অসুস্থ আছে। ডাক্তার ত এখন তেমন কিছু বলতে পারছে না। জানি না কি হবে। খুব খারাপ লাগছে। ছোট থেকে আমাদের সাথে ছায়ার মতো ছিল। কোনো দিনও মা বাবা অভাব এরা বুঝতে দেই নি।
, হ্যা তুই ঠিকি বলেছিস। একমাত্র আল্লাহ্ আর কেউ জানে না। বয়স হয়েছে ত । আমরা তুই যথা সাধ্য চেষ্টা করলাম।
,হু আপু তুই ওই বেপার নিয়ে কোনো চিন্তা করিস না। আমি ওকে ওর যোগ্য শিক্ষা দিয়েই ছাড়ব। ওদের মত মেয়েকে কিভাবে শায়েস্তা করতে হয়।তা এই আদিত্য শেহ্জাহান খান খুব ভালো করেই জানে। শুধু তুই ভালো থাক।তা হলেই হবে।
, তুই ও পারিশ ও বটে।
, দুলাভাই কোথায় বাড়িতে সে আছে। নাকি বাইরে বাইরে ঘুরতে বেড়ায়।
, ভাই ও বাইরে বাইরে ঘুরতে বেড়াবে কেন।ওর ত অনেক কাজ থাকে। তুই জানিস না।
,ওহ
, আমি আসছি নানুকে আবার ঔষধ দিতে হবে।
, ওকে
আমার বোনের জীবন নষ্ট করা তাই না। দেখবে কেমন লাগে এবার। একবার তোমাকে এই বাড়িতে আনি। তার শুরু হবে আসল খেলা।
,,,,,
ভোর বেলা হঠাৎ আদিত্যর ঘুম ভেঙ্গে গেল।কান্নার আওয়াজ এ।
ঘর থেকে দৌড়ে নানাভাইর রুমে এসে দেখে ওর নানাভাই আর আমাদের মাঝে আর নেই। সবাই পাশে বসে কান্না করছে।আদিত্য স্তব্দ হয়ে গেছে। তিনি বেশ কিছুদিন যাবত ধরে অসুস্থ ছিলেন বয়স্ক মানুষ। সেই ছোট্ট বেলার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে তার সাথে কতই না খেলা মস্করা করেছে। কিন্তু আজ তার নিথর দেহ পরে আছে।
ডাক্তার এসে বলল। ঘুমের মধ্যে ব্রেন স্ট্রোক করেছে। জন্ম মৃত্যু সবই তো আল্লাহ হাতে।যার জিনিস সে নিয়ে গেছে। এখানে আমাদের কি করার আছে। শুধু ওপারে যেন সে ভালো থাকে সেই ব্যবস্থা করা উচিৎ ।ক্ষনিকের দুনিয়ার আর কর দিন।
আদিত্য মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসে কান্না করছে। জোরে জোরে চিৎকার করছে।
তারাই তো মানুষ করেছেন।আর জা কিছু সবই এদের জন্য। কিন্তু আর আপনজনেরা আজ অবধি কোনো খোঁজ টুকুও নেয় নি।
, নানাভা,,,,ই চিল্লিয়ে।
পারা পরিবেশিরা এসেছে । সবাই আদিত্য কে ধরা ধরি করে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করল । এখানে থাকলে ও অসুস্থ হয়ে পড়বে।
,কি করে বোঝাই বল।যার হারায় সেই বোঝে।
বাচ্চাদের মতো কান্না করছে।
চলবে,
কেমন হল জানাবেন।
Sorry exam preparation জন্য ছোট করে দিলাম।