ইয়াসমিন_রিমা #অসম_প্রেম #পর্ব_৩২

0
472

#ইয়াসমিন_রিমা
#অসম_প্রেম
#পর্ব_৩২

,তোমায় দেখার সাধ কখনো ফুরাবে না।এ জন্মে কেন প্রতি জন্মে তোমাকে ছাড়া আমি অসহায়। আমার সাধারণ জীবন টা অসাধারন তুমি করেছ। তোমায় ভালবাসার সাধ আমার কখনো ফুরাবে না।প্রিয় বড্ড বেশি ভালোবাসি যে তোমায়।

,প্রেমা, এখান থেকে চলে যাও।আর কখনো এই প্রিয় নাম আমার সামনে উচ্চারণ করবে না।

, কেন।কি আছে এই প্রিয় র মাঝে রেগে।

প্রেমা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।কি বললো।
হঠাৎ এই নাম শুনে অস্থিরতা বেরে গেল।আজ হঠাৎ পুরোনো স্মৃতি ভেসে ওঠতে শুরু করেছে ।সে দিনের শেষ মনে পড়া লাইন গুলো।

তুমি আমার ভালোবাসা। তুমি বাস্তবে না থাক আমার কল্পনায় থাকবে।

নিজেকে এত গুলো বছর দুর্বল হতে দেয়নি আজ হঠাৎ এই ছেলে কি না দুর্বল করে দেবে তা কখনোই হবে না। বিছানা ছেড়ে উঠে গেল।

,প্রেমা কি হয়েছে বল না।

, আমার পিছু নেয়া টা বন্ধ কর।আর তোকে আমি একবার বলেছি আমার নাম ধরে ডাকবি না।

,প্রেমা প্রেমা,যা চলে গেল। এই মেয়ে কে যে কি দিয়ে বানানো আল্লাহ জানে।খালি চলে যায়। তোমাকে খুব শীঘ্রই এমন বাঁধনে বাঁধব জান আমার থেকে পালানোর সুযোগ পাবে না হা হা হা ডেবিল মার্কা হাসি দিয়ে।

ফ্রেস হয়ে নিচে খাবার টেবিলের কাছে গেল পিছু পিছু আদিত্য আসলো।
সবাই বসে ব্রেকফাস্ট করছে। সামনে ফাঁকা চেয়ারে প্রেমা বসলো তার পাশে আদিত্য বসলো।

,মা ব্রেক ফাস্ট দাও।

রিনা চৌধুরী, কি রে এত দেরি করে উঠলি যে।তোর তো খুব সকালে উঠার অভ্যাস সে তুই যত দেরি করে ই ঘুমাস না কেন।

, ক্যান্ট্রাকশন সাইডে কিছু কাজ আছে।নিউ প্রজেক্ট।
হঠাৎ আদি ব্রেড চিবুতে চিবুতে আদুরে গলায় বলল।

,আপু তুমি কি কাজ করো।

প্রেমা তখন কেবল জুসের গ্লাসটায় মুখ দিয়েছিল। আদি এমন কথায় খুব বাজে ভাবে বেশম খেল। চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। আদি আবার ও বলতে লাগলো।

, কি হল আপু তুমি এভাবে কি দেখছ। আমি শুধু তোমায় জিগ্যেস করলাম তুমি কি কাজ করো।বড় মা দেখ না আপু কিছু বলছে না শুধু দুষ্টু চোখে তাকিয়ে আছে।বল আমার ভয় করে না।

রিনা চৌধুরী,কি হল প্রেমা ও তোকে কি জিগ্যেস করছে। তার উওর না দিয়ে ওর দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে আছিস।ওর ত নজর লেগে যাবে।
পুরো জুস এক ঢোকে খেয়ে ফেলল । আদিত্য প্রতিটা কথা যেন বাচ্চা দের মত লাগছিল।

,মা কি বলছ ।ওর মাথা খারাপ হয়ে গেছে। গিয়ে ডাক্তার দেখাতে বল।

,ও তোর ছোট ভাই।এত কাল তোকে ওরা পায়নি।এখনো তুই ওদের দূরে সরিয়ে রাখছিস।

, আদিত্য,বড় মা একদম ঠিক বলেছো।

, আমার সোনা ছেলে টা।

, আমাদের বোধহয় আপু ভালো বাসে না।জানো বড় মা আপুর কাছে আমি একটা জিনিস আবদার করে ছিলাম কিন্তু আপু দেয়নি।

সবাই খাচ্ছে আর আদিত্যর কান্ড আর প্রেমা এক্সপ্রেশন দেখছে।

, কি প্রেমা তোকে দেয়নি।এই প্রেমা তুই ওকে যা চেয়েছিল তা দিসনি কেন।বাকি গুলো কে ত খুব ভালো বাসিস। ওদের জন্য বিদেশ থেকে কত কিছু আনিস।আর এখন আদি নতুন বলে ওকে তুই কি দিস না। তুই জানিস ওরা কত খুশি ছিল ওদের একটা বড় আপু আছে।বাকি সবার কাছ থেকে তোর কথা শুনেছে। তুই তোর ছোট ভাই বোন গুলো কে কত ভালোবাসিস । ওদের ওকি সেই ভালোবাসা পেতে ইচ্ছে করে বল।

প্রেমা,নাও শুরু হয়ে গেল ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল। আচ্ছা সারাদিন তোমার আর কোন কাজ কর্ম নেই শুধু ওদের নিয়ে চিন্তা করা ছাড়া।

,হ্যা তাই তো।যে বয়সে নাতি নাতনি নিয়ে থাকব সেই বয়সে ওদের নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। তুই ত তোর ইচ্ছা মত করিস। ফারহান তোকে কত ভালোবাসে কিন্তু তোর তাতে কোনো ইন্টারেস্ট নেই।যে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছে তাকে তুই ফিরিয়ে দিয়েছিস।

খাবার টেবিল থেকে উঠে দাঁড়ালো।

সবাই তাকিয়ে দেখছে কেউ কিছু বলতে পারছে না ।ভয়ে কারণ সবাই খুব ভালো করেই জানে প্রেমার কঠিন রাগ সম্পর্কে। যা ইচ্ছা তাই করে ফেলবে ‌। আদিত্যর ফারহানের কথা শুনে খুব রাগ হলো।

ফারহান হলো,

চলবে,

যতটুকু লিখেছি ততটুকু ই দিলাম।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here