ইয়াসমিন_রিমা #অসম_প্রেম #পর্ব_৩৩

0
479

#ইয়াসমিন_রিমা
#অসম_প্রেম
#পর্ব_৩৩

খাবার টেবিল থেকে উঠে। সবাই তাকিয়ে দেখছে কেউ কিছু বলতে পারছে না ।ভয়ে কারণ সবাই খুব ভালো করেই জানে প্রেমার কঠিন রাগ সম্পর্কে।মা ইচ্ছা তাই করে ফেলবে ‌। আদিত্যর ফারহানের কথা শুনে খুব রাগ হলো।

ফারহান হলো আসরাফ চৌধুরীর বন্ধু ফাহাদ আহমেদ এর একমাত্র ছেলে। ফাহাদ আহমেদ একজন বড় এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যবসায়ী।প্রেমার কলেজে ১ম দিন একটা ঘটনার কারণে ফারহানের সাথে পড়াশোনা শেষ হবার পর বিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ফাহাদ আহমেদ কে। দুজনের বন্ধুত্ব আত্মীয়তায় বদলানোর জন্য। কিন্তু প্রতিবারই এরিয়ে গেছে। কোনো দিন বিয়ে করবে না।তার জন্য অনেক ঝামেলা করেছিল ।যার তেজ্য করেছিল।

বর্তমানে,
খাবার টেবিলে বসা থেকে দাঁড়িয়ে বললো,

,রাগি চোখে তাকিয়ে,দেখ মা প্রতিটা জিনিস নিয়ে বারাবারি আমি পছন্দ করি না। গম্ভীর মুখে, খুব ভালো করেই জানো আমি কি কি করতে পারি।হু। আশা করি নতুন করে বুঝিয়ে দিতে হবে না।ফের আবার ফারহানের সাথে বিয়ে নিয়ে কথা বলো।ডেবিল মার্কা হাসি দিয়ে।গালে হাত বুলিয়ে, you know what i mean, my dear Mather হা হা হা হা।

সবাই শুধু প্রেমার ব্যবহার দেখছে। আদিত্য কিছু বুঝতে পারছে না কি বলছে প্রেমা।প্রেমা আসলে কি করতে চাইছে।

, শ্রাবন,বড় মা প্রেমা কি বলতে চাইছে।
রিনা চৌধুরী অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। সামনে কোন ঝড় আসতে চলেছে।প্রেমা কি চাচ্ছে। কেন এমন করছে।

, রিনা চৌধুরী, আমি কিছু বুঝতে পারছি না বাবা।প্রেমা তুই কোনো খারাপ কিছু করবি না। কারোর কোনো ক্ষতি করবি না।

প্রেমা অট্ট হাঁসি দিয়ে চলেছে সবাই তাকিয়ে আছে।প্রেমা কেন অস্বাভাবিক আচরণ করছে।।

,প্রেমা, সেটা ত সময় বলবে।ডেবিল মার্কা হাসি দিয়ে।

, তন্ময়,আপু তুই কি চাচ্ছিস কেন এমন করছিস।

, তন্ময় বড় দের মাঝে কথা বলতে নেই। তুই অফিসে যাচ্ছিস না যে। আমি যেন দশটার মধ্যে অফিসে পাই।আর তা না হলে আমি করব তা তুই ভাবতেই পারবি না।বুঝেছিস।

, ওকে আপু যাচ্ছি। তুই তো কন্ট্রাকশন সাইডে যাবি তাই না।

, হুম।

বলেই হন হন করে চলে গেল। সবাই একটু বাড়িটা ঘোরাঘুরি করে দেখছিল। আদিত্য ও প্রেমার রুম ঘুরে ঘুরে দেখছে। অফিসে যায়নি। বিকালে সবাই ওদের বাড়ি চলে যাবে।

আদিত্য হঠাৎ একটা নীল রঙের ডাইরি পেল । কিছু পৃষ্ঠা উল্টিয়ে দেখলো।কি লেখা। সেখানে লেখা ছিল,
আদিত্য পড়ে স্তব হয়ে গেল।

হয়তো আমার বিয়ে তোমার সঙ্গে হবে না ।
অন্য কারোর সাথে হবে।
যাকে আমি চিনি না জানি না।
আমার অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও।
আমার শরীর স্পর্শ করবে।
আমি চাইলেও কিছু করতে পারবো না।
ওই শক্তি আমার আর থাকবে না।
আমার অনেক ঘৃণা লাগবে।
কারন আমাকে অন্য কারোর।
ছোয়ার কথা ছিল ।
এটা সে না অন্য কেউ।
তখন আমি খুব কাঁদবো।
সে ভাববে আমি সুখের কান্না করছি।
কিন্তু সে বুঝবে না এভাবে প্রতিদিন ।
এক একটা রাত আমার কাছে।
ধর্ষ। ণের রাত ।
তখন যে আমার কিছুই করার নাই।
আমি একটা কাগজে স্বাক্ষর করে ।
নিজের জীবন অন্যের হাতে তুলে দিয়েছি ।
প্রতিদিন তার পরিবারের মন জোগাড়।
করে চলতে হবে আমাকে ‌‌।
কিন্তু আমি তো তোমার পরিবার নিয়ে ।
স্বপ্ন দেখেছিলাম।
তাদের মন জয়ের স্বপ্ন দেখেছিলাম ।
অথচ দেখ কিছু ই হলো না।
একসময়ে এসবে আমি অভ্যস্ত হয়ে যাব।
তার পর একদিন জানতে পারবো।
আমি মা হবো।
এটা তো একটা নারীর জীবনের না জানা গল্প।

এর মধ্যে কেউ ডাইরিটা টান মেরে নিয়ে নিল।

এদিকে প্রেমা গাড়িতে বসে আছে জানালায় হেলান দিয়ে।এক মনে বাইরে তাকিয়ে ভবছে,

,ভালো থাকার অভিনয় করতে করতে আজ বড্ড ক্লান্ত আমি।একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ।যদি দূরে থেকে ও কাছে অনুভব করাটা ভালোবাসা হয় তাহলে প্রতিটা মুহূর্ত আমি তোমাকে অসম্ভব ভালোবাসি।
চোখ দুটো বন্ধ করে নিল।
চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here