#ইয়াসমিন_রিমা
#অসম_প্রেম
#পর্ব_৪১
#বর্তমান
হঠাৎ কারে মারামারি আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে গেল। খুব অস্থির লাগছে।নিচে নেমে এসে বাড়ির সদর দরজা খুলে যা দেখলাম। চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছি। আমি কি দেখছি।oh my god 😱
আমার সামনে আদি ও ফারহান দাঁড়িয়ে আছে। দু’জনের চেহারা দেখলেই বোঝা যাচ্ছে খুব মারামারি করেছে। দুজনের মাথা ফেটে রক্ত বের হচ্ছে।শাটের বুটাম নেই। চুল উস্ক খুস্ক। মুখে ধুলোময়লা লেগে আছে।
কিছুক্ষণ আগে।
আদি বাড়ি থেকে বের হয়ে বাইরে বেঞ্চিতে বসে ছিল। একা বসে জীবনে না পাওয়ার অংক কসছিল। জীবন থেকে অনেক বড় শৈশব হাড়িয়েছে। আদিত্য জীবনে খুব করে যাই চেয়ে ছে তাই হারিয়ে ফেলেছে।আজো পকেটের ওয়ালেটে প্রেমার রেখে যাওয়া শেষ চিঠি টা যত্ন করে রেখে দিয়েছে। সেটা বের করে আবার একবার দেখলো।সে দিনের ভোরটা আজো কল্পনা করতে পারছে না।জানে অনেক ভুল করেছে। কিন্তু প্রেমা কি পারতো না সব ভুল ক্ষমা করে দিতে।যদি জীবনে আবার ফিরে পায় খুব যত্ন করে মুরিয়ে রেখে দিবে মনের কিনারে। হঠাৎ ভাবনার মাঝে কেউ পেছন থেকে হক স্টিক দিয়ে মাথায় আঘাত করে। মাথায় হাত দিয়ে পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখলো ফারহান দারিয়ে আছে।
,ফারহান, তুই কোন সাহসে আমার প্রেমার দিকে হাত বাড়িয়েছিস। তুই প্রেমার হাঁটুর বয়সী।
,আদি,প্রেমা আমার স্ত্রী।ওর সম্পর্কে একটি ও বাজে কথা বলবে না।
, তাই না কি।প্রেমা তোকে সহ্য করতে পারে না।তা আমি জানি।ও কখনো ওর থেকে কম বয়সি ছেলে কখনো পছন্দ করে না ইমম্যাচিওর তুই।
বলেই হক স্টিক দিয়ে মারতে থাকে। আদিত্য ও মারতে থাকে ফারহান কে।এক সময় ধস্তা ধস্তি হলে হক স্টিক ভেঙ্গে যায়। পাশে কাঠের চেয়ার ছিলো তা উঠিয়ে ফারহান কে আদি বারি দেয়। চেয়ার ফারহানের পিঠে পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। আদি শার্টের বোতাম ছিঁড়ে যায়।এক সময় মারামারি রুপ নেয় চুল টানাটানি তে। তাতে দুজনের চুল উস্ক খুস্ক হয়ে যায়। আগের মত স্পাই করা থাকে না। ধস্তা ধস্তি তে দুজ দুদিকে ছিটকে পড়ে যায়।
আদিত্য চিল্লায়ে বলতে থাকে।,প্রেমা শুধু আমার। শুধু আমার।হোক ও আমার থেকে দ্বিগুণ বয়সী তাও আমি শুধু ওকে ভালোবাসি।ওর জীবনে শুধু আমি থাকবো ।
, ফারহান, আমি থাকতে তা হতে দিবনা। তোকে আমি কিভাবে প্রেমার জীবন থেকে সরাই শুধু দেখ।
বলেই দৌড়ে এসে আদির গলা চেপে ধরে।আদি ও ফারহানের পেটে লাথি মেরে ফেলে দেয়। মাটিতে ফেলে আদি লাথি মারতে থাকে। ফারহান ও আদি দুজনে অনেক মারামারি করে রক্ত জরিয়ে ছে আদির সাদা শার্ট ও ফারহানের আকাশী রঙের শার্ট রক্তের দাগ লেগে আছে। আদিত্যর মাথায় ফেলে রক্ত ঝরছে।আর ফারহান মুখ থেকে রক্ত বের হচ্ছে।
ফারহান কোনো রকম ছাড়া পেয়ে বাড়ি সদর দরজার সামনে দাঁড়ালো হাঁপাতে হাঁপাতে। সাথে আদিও এসেছে। তখন সাথে সাথে দরজা কেউ খুলে ফেলে। দুজনে তাকিয়ে আছে দেখে প্রেমা তাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।যার জন্য এতক্ষণ মারামারি করলো।
,,
অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি দুজনে কি হাল করেছে ।
, কি হয়েছে।একি হাল করেছিস তোরা এক এক জনে।
, ফারহান, তুমি ওকে কেন বিয়ে করেছ আমাদের বিয়ে ঠিক করা আছে।আমি কিছু তেই তোমাকে অন্য কারোর হতে দেব না।
,আদি,প্রেমা ওর কথায় কান দিও না। আদির মাথা ফেটে রক্ত বের হচ্ছে কিন্তু থামছে না।দেখে বোঝা যায় খুব ক্লান্ত।বার বার চোখ বন্ধ করছে।
, কি তোরা মারামারি করেছিস তাও আমার জন্য।
আমি তোদের কাউকে ই আমার জীবনে জায়গা দিব না।যদি মারামারি করে ম রেও যাস তাতে আমার কিছু জায় আসে না। মারামারি করে নিজেদের কি করেছিস ।
, ফারহান, রেগে আমাকে জীবনে নাই রাখবে তাহলে এত মায় য় জরিয়ে ছিলে কেন। কেন আমায় সবার সামনে সেই দিন ছুঁয়ে ছিলে। তোমার ঠোঁটের ছোঁয়া য় আমার জীবন উলট পালট হয়ে গেছে। কেন আমাকে অগোছালো করলে। আঙ্গুল উঁচিয়ে তোমাকে আমি কারোর হতে দেব না। বলেই চলে গেল।
আদিত্য ক্লান্ত হয়ে আমার গায়ে পড়ে যাচ্ছিল ধরে ফেলি কিন্তু আদি অঙ্গান হয়ে যায়। কোনো ভাবেই রক্ত পড়া থামছে না। রুমে নিয়ে এসে ড্রেসিং করিয়ে দেই।একটু ঙান ফিরতেই দেখে পাসে বসা।দেখেই আস্টে পিস্টে জরিয়ে ধরলো।, আমায় ছেড়ে কোথাও জাবে না। আমি তোমার সব কথা শুনব। তুমি যা চাও তাই হবে। শুধু আমায় ছেড়ে যেওনা।
,ছারো হচ্ছে টা কি এইসব। রাতের খাবার খেয়ে নাও। তার পর ঔষধ খেয়ে নাও । এইসব নেকামি আমার সাথে চলবে না।
,প্রেমা প্লিজ আমাকে ছেড়ে যেও না। আমি তোমাকে ভালবাসি।
,সেত কত হাজার হাজার ছেলেই আমাকে ভালোবাসে। কিন্তু তুই ও আমার কাছে বাকিদের মতোন। বলেই ছিটকে সরে যায়। আদিত্য বিছানায় শুয়ে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে।
এরি মধ্যে প্রান্তিকের ফোন,
,হ্যালো বলো কেন এত রাতে ফোন দিয়েছ।
,প্রান্তিক, তুমি জানো কি হয়েছে উত্তেজিত হয়ে। অনেক নেতাদের মেরে ফেলেছে। Mafia bin hunter ।ওর লোক আমাকে ও হুম কি দিচ্ছে।যদি এবার কোনো গোলমাল হয়। রাজনীতিতে। অবস্থা খুব খারাপ হতে যাচ্ছে। শুনেছি ও নাকি তোমাকে ও মারবে।
, কি বলছো এই সব hunter আমাকে খুঁজছে। কেন।
, তুমি সাবধানে থেকো।ও hunter নাকি তোমার পরিবার কে ও আর বলতে পারলো না।
, বাঁকা হাসি দিয়ে আমি ত সেটা ই চাই।হা হা হা হা। সাথে সাথে ফোন কেটে গেল।
,,
Mafia bin hunter হলো দেশ ও বিদেশের সব থেকে নাম করা মাফিয়া।গ্যাংস্টার। hunter এর নজর যার জন্য উপর পরে তার জীবন ভস্ম করে দেয়।আজ অবধি তাকে কেউ দেখেনি।তার লোকেরা সব জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। হয়তো খুব কাছের কেউ। নয়তো আসে পাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সকল খোঁজ খবর hunter এর কাছে যায়। hunter খুব dangerous মানুষ।যাকে আজ অবধি কেউ খুঁজে বার করতে পারেনি। এই মাফিয়া কে সবাই ভয় পায়। hunter এর নাম শোনেননি এমন কেউ নেই। কিন্তু সে কতটা ভয়ংকর তা সবার জানা আছে।তাই কেউ কখনো hunter এর সাথে লাগতে যায় না।
এক সময়ের কেউ বলে উঠলো,
,Hunter,শিকারী কখনো তার শিকার ভুলে না হা হা হা হা হা। অট্ট হাঁসিতে মেতে উঠেলো ।আমার শুধু চাই,,,,,,,
চলবে,
Free MB diye deoyar chesta korlam