ইয়াসমিন_রিমা #অসম_প্রেম #পর্ব_৪৪

0
390

#ইয়াসমিন_রিমা
#অসম_প্রেম
#পর্ব_৪৪

এদিকে রকিং চেয়ারে দুলছে hunter হাতে একটা ফোন ঘোরাচ্ছে আর বলছে, আমার মুখোশ তুই খুলবি হা হা হা হা। আমাকে ভিডিও করে রাখা হা হা হা হা।কারোর সাধ্য নেই আমাকে খুঁজে বার করবে ডেবিল মার্কা হাসি দিয়ে।যেমন তুই মরলি তেমন তোদের সবাই কে মারবো হা হা হা। খুব সখ ছিল না তোর hunter কে দেখার সখ মিটে গেছে।হা হা হা হা hunter কে কেউ খুঁজে পাবে না।

আবার ফোন দিল ওই লোকটার কাছে যে তার পাশের লোকটা কে মেরে ফেলেছে।,হ্যালো। ওই প্রান্তিক শাহারিয়ার কে চোখ বন্ধ করে মাঝ রাস্তায় ফেলে দে।
, yes boss ঠিক আছে তাই করব।

, good কেটে দিল

এদিকে প্রেমা প্রান্তিককের খোঁজ না পেয়ে ওকে খুঁজতে যাচ্ছিল। আদিত্য জানে না।

অনেক রাত হয়ে গেছে,প্রেমা গাড়ি চালাচ্ছে। তখন চোখ যায় চলন্ত একটা কালো গাড়ির দিকে। কিছু লোক একটা লোককে চোখ মুখ বেধে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে। তার সাথে সাথেই দূত চলে গেল।প্রেমা দূত ওদের ধরতে যাবে তখন ওই লোকটার কাছে গেল ।মুখোশ খুলে দেখে। অবাক হয়ে গেল।সে আর কেউ নয় প্রান্তিক। অজ্ঞান অবস্থায় আছে। গাড়ি থেকে পানির বোতল এনে পানি ছিটিয়ে দিল । একটু জ্ঞান আসতেই দেখে প্রেমা। সাথে সাথে ই প্রেমা বলে জরিয়ে ধরলো।
, প্রান্তিক কি হয়েছিল। তোমাকে ওরা এভাবে কেন ফেলে দিল।ওরা কারা ছিল।বলো আমাকে। আমি ওদের ছারবো না। অস্থির হয়ে।

, আমি কিছু বুঝতে পারছি না ওরা কারা কেন আমার সাথে এমন করলো।তবে আমি এটি বুঝতে পারছি যে আমাকে না অন্য কাউকে ভেবে নিয়ে গেছিল। আমি ঠিক আছি তুমি চিন্তা করো না।

, কি বলছ তুমি।

, আমার মনে হয় ওরা hunter এর লোক ছিল। তুমি সাবধানে থেকো।

, একদম চিন্তা করো না।চলো বাড়ি পৌছে দেয়ই।

, হুম।যান আমি প্রথম বার hunter এর কন্ঠ শুনেছি। কেমন একটা ফ্যাস ফ্যাসে।

, ওহ্। তুমি ক্লান্ত আছো বিশ্রাম নাও।

, হুম।

বলেই প্রেমার কাঁধে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে আছে।আর প্রেমা গাড়ি চালাচ্ছে।এক সময় প্রান্তিকের বাড়ি আসলে তাকে পৌঁছে দিয়ে নিজে বাড়ি চলে যায়।

এদিকে, প্রেমাকে ঘরে না পেয়ে সারা বাড়ি খুঁজল। কিন্তু পেল না।রাত ত কম হয়নি এখন আবার কোথায় গেল।এক সময়ে খুঁজতে খুঁজতে প্রেমার লাইব্রেরী রুমে চলে আসে যেখানে হাজারো বইয়ের সমাহার। অন্ধকারের মধ্যে তেমন কিছু দেখা যায় না। তবে হালকা কিছু ছিরে আলো আসছে।যার জন্য একটা একটা রকিং চেয়ার দুলছে দেখতে পাচ্ছে তার সামনে একটা টেবিল। টেবিলে দূর থেকে একটা ফোন দেখতে পেল। কৌতুক হল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।যেই না রকিং চেয়ার থামিয়ে ফোন ধরতে যাবে তখন প্রেমা এসে ওকে জড়িয়ে ধরে লিপ কিস করে দেয় আর আদি স্তব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।একদম বরফের মতো জমে গেছে। আদির মাথায় কিছু আসছে না।যখন সব বুঝতে পারলো তার আগেই প্রেমা সরে গিয়ে চলে যায়। আদির জ্ঞান আসার পর ও প্রেমার পিছু পিছু চলে যায়। খেয়াল করে নি ফোন টা আর ওই জায়গায় তে নেই।

প্রেমা রুমে এসেছে । আদি পিছু পিছু আসলো।

,আদি, তুমি কোথায় ছিলে আমি সব জায়গায় তোমাকে খুঁজে ছি। পাইনি। রেগে কোথায় ছিলে। তোমার গাড়ি ছিল না। কোথায় গিয়েছিলে।কি হলো বলছো না কেন।

, কোথাও না আমি এখানে ই ছিলাম না পেলে আমি কি করতে পারি হুম।

, তুমি ছিলে না। মিথ্যা কথা বলছ।

, প্রেমা হেসে চু মু খেয়ে কি মাথাটা গেছে হা হা হা হা। রোমান্টিক মুডে।

, তুমি কি লুকোচ্ছ

, সিম্পেল কিছু না। আমাকে জালানোর নতুন ছুতো না কি হুম। আমার ঘুম পাচ্ছে যাও গিয়ে নিজের রুমে ঘুমিয়ে পড়।

, আমি যাব না আমার উত্তর চাই

,ওহ।ঠেলতে ঠেলতে রুমে পাঠিয়ে দিল।

, তুমি আমার উওর কিন্তু দিলে না

, সময় আসলেই পেয়ে যাবে।

প্রেমা নিজের রুমে এসে ঘুমিয়ে পড়লো। সকালে প্রেমা আদি শ্রাবনের লা শ দেখতে মর্গ এ গেল। শ্রাবনের মুখের অবস্থা খুব খারাপ। ওকে কেউ খুব বাজে ভাবে মেরে ছে।দেখেই বোঝা যায় কোনো হিংস্র পশুর মত মেরেছে।যে মেরে সে হয়তো কোনো সাইকো।তা না হলে এভাবে মারে না। শরীরের প্রতিটি অঙ্গ থেঁতলে দিয়েছে।হাড় ভেঙে দিয়েছে। দেখলে বুক কেঁপে উঠে। কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ দেখতে পারবে না। পোস্ট মাটাম করে কোনো কিছু পেল না পুলিশ।যে করেছে সে কোনো ক্লু ছাড়েনি।

সেখান থেকে দু জনে চলে আসলো দুজনে ই দুজনের অফিসে চলে গেল। সন্ধ্যা হয়ে গেছে।

প্রেমার একটু জরুরি প্রয়োজনে তারাহুরো করে বের হলো। ভুল করে আদির গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে। কোনো লোক ছিল না শুধু একা প্রেমা।আজ একটা শুন্যতা অনুভব করছে। আলিশা শ্রাবন কে কত ভালোবাসে এখন হাড়িয়ে কতটা অসহায় হয়ে পড়েছে।প্রেমার খুব খারাপ লাগছে।এক সময় সেও কাউকে কতটা ভালোবাসত।বাসত বললে ভুল হবে এখনো বাসে।সেই সৃতি গুলো চোখের সামনে ভেসে উঠছে। অন্য মনস্ক হয়ে পড়লো।

হঠাৎ চার রাস্তার মোড়ে চলে আসলে তিন দিক থেকে তিনটি লরি চলে আসে কিছু বোঝার আগেই এসে প্রেমার গাড়ি ধাক্কা দেয়।এতে গাড়ির গ্লাস চুর্ন বিচূর্ণ হয়ে যায়।প্রেমার গায়ে কিছু কাঁচের টুকরো এসে লাগে । রক্ত বের হচ্ছে। গাড়ি উল্টে পাল্টে যাচ্ছে।প্রেমার মাথা ঘোরাচ্ছে।প্রেমা গাড়ি থেকে ছিটকে পাশের ঘাসের উপর পড়ে যায়।।আর গাড়িটা এক সময় ব্লাস হয়ে চারিদিকে আলো ছড়িয়ে পড়ে। আগুন ধরে যায়।

প্রেমার অবস্থা খুব খারাপ। সারা শরীর দিয়ে রক্ত ঝরছে।চোখের সামনে ঝাপসা হয়ে আসে। চোখ থেকে পানি কয়েক ফোঁটা বের হয়ে গেল। চোখ বন্ধ হয়ে গেল।চোখে শুধু প্রিয়র মুখ টা বার বার ভেসে উঠছিল।

#ফ্লাসব্যাক
প্রিয়,

চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here