#ইয়াসমিন_রিমা
#অসম_প্রেম
#পর্ব_৫১
দুজনে কাছাকাছি চলে এলো।
সকালে ঘুম ভেঙ্গে গেল হঠাৎ প্রেমার । হঠাৎ মনে পড়ে গেল কাল রাতে কি হয়েছে।প্রেমা ভাবতে লাগলো,কে ছিল। প্রিয় না কি আদি ।কে ছিল প্রিয় হলে ঠিক আছে।আর যদি অন্য কেউ হয়। রেগে গেল।সব শেষ করে দিব।সব ধ্বংস করে দিব।
বিছানা ছেড়ে উঠে গেল। রুম থেকে বেরিয়ে প্রিয়কে খুঁজতে লাগলো। রুমে এসে দেখে রুম খোলা। কোথায় ও।
রিসিপশনে এসে জিজ্ঞেস করলে তারা বলে। প্রিয় কিছু কাজে গেছে।
সেখান থেকে আদির ঘরে আসলো দেখে আদি ঘুমিয়ে আছে।যাক বাবা হাফ ছেড়ে বাঁচল।
প্রেমা রেডি হয়ে অফিসে চলে গেল। দেশের বিভিন্ন জায়গায় অফিস আছে। বিদেশ থেকে কিছু বায়ার এসছে।প্রেমা মিটিং এ আছে।
এদিকে প্রিয় তার বসের সামনে বসা। প্রিয় আসলে একজন সিক্রেট cid অফিসার।ডেবিড কে খুঁজে বার করার দায়িত্ব ওর উপর দেওয়া হয়েছে।
,প্রিয়র বস,দেখ প্রিয় আমাদের খুঁজে বার করতে ই হবে। ওরা দেশকে রসাতলে পাঠিয়ে দিয়েছে। ওদের একটা মাথা ধরতে পারলেই হলো। তার সব ফাঁস।আর শুনেছি। আদিত্য শেহ্জাহান খান এর ভাগ্নিপতি শ্রাবন চৌকিদার। তাকে নিশংষ ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার শুরাহা এখনো হয়নি। উপর মহল থেকে নোটিশ এসছে তোমাকে এই কাজের সাথে এটাও হ্যান্ডেল করতে হবে।আর আমার কেমন জানি মনে হচ্ছে।এর প্রতেকটা একে অপরের সাথে জড়িত।শোনা ডেবিডের সাথে দেশের নাম করা ব্যাবসায়ী প্রেমা চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ থাকতে পারে।
,প্রিয় অবাক হয়ে গেল।ডেবিড একটা ক্রিমিনাল এর সাথে প্রেমার কেন যোগাযোগ থাকবে।, কি বলছেন স্যার এটা আমার বিশ্বাস হচ্ছে না।
, তুমি জানো প্রিয় প্রেমা চৌধুরী কত পাওয়ারফুল ওমেন । বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ব্যক্তি।যার স্থান ৪৬ তম। তুমি ভাবতে পারছো।এর কম একজনের সাথে ডেবিডের যোগাযোগ থাকা স্বাভাবিক নয় কি।
,প্রিয় ভাবতেই পারেনি প্রেমা এতদূর এত দিনে পৌঁছে গেছে।সেই চঞ্চল মেয়ে আজ পুরো একটা ব্যবসায় চালাচ্ছে।যাকে কিনা একটু ভয় দেখিয়ে ছিল বলে সারাবাড়ি মাথায় করে রেখেছে।কত ভিতু ছিল।আর আজ ।সময় কত কিছু ই না পারে। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
, ওকে স্যার আমি গোটা বিষয়টি হ্যান্ডেল করবো। আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন। আমি এই সব খুনি মাফিয়াদের খুঁজে বের করে ওদের প্রাপ্য শাস্তি টুকু দিব। আমি hunter অবধি পৌঁছানোর চেষ্টা করব। গোপন শুত্রে জানা গেছে ডেবিড হিরে পাচার করবে। ওকে ধরে ফেলতে হবে।আসছি স্যার।
প্রিয় পুরো দমে কাজে লেগে গেছে। এবার সব মাফিয়া গুন্ডাদের ধরে ফেলবে। এবার ইলেকশনের আগে অনেক নেতাদের মেরে ফেলেছে।আর কয়েক জনকে গুম ও করেছে।তা নিয়ে প্রচুর সবাই আতংকে আছে। hunter এর মাইন্ডসেট গেম এ সবার অবস্থা নাজেহাল করে রেখেছে। প্রিয়র ভয় লাগছে এই ভাবে hunter এর সাথে টক্কর দেয়া কি হচ্ছে। ওরাও তো পরিবার আছে। সবার কথাই তো ভাবতে হবে।ওর ওয়াইফ প্রেগন্যান্ট সে যেমনি হোক বরাবরই প্রিয়কে ভালোই রেখেছে। গ্রামের মেয়ে প্রিয়কে বড্ড বেশি ভালোবাসে। সারাক্ষণ শুধু প্রিয়র খেয়াল রাখে।এই মেয়ে টাকে পেয়ে প্রিয় নতুন করে বাঁচতে শিখেছে। সৃষ্টিকর্তা সব কিছু কেরেই নেন না বিনিময়ে ভালো কিছু ও উপহার দেন।এই ক বছরে সব কিছু ভালোই চলছিল কিন্তু হঠাৎ প্রেমার ফিরে আসা।ওর পাগলামী।বড্ড বেশি প্রিয়কে অবাক করেছে।প্রেমার প্রতিটা বিহেভিয়ার সাইকো ছাড়া আর কিছুর প্রমান দেয়নি। প্রিয় বুঝতে পেরে ছে প্রেমা এমন কেন হলো কারণ একাকিত্ব। ভালোবাসার মানুষ কে না পাওয়ার যন্ত্রনা প্রেমাকে এই পরিস্থিতিতে নিয়ে এসেছে।কি করবে প্রিয় বড্ড বেশি অসহায় লাগছে প্রেমাকে কোনো ভাবেই এ জীবনে প্রেমাকে জীবন সাথী বানানো সম্ভব নয়। কেন ও বিয়ে করলো না। কেন অপেক্ষা করে নিজেকে শেষ করে দিয়েছে।যে অনাগত সন্তান আসছে তার ভবিষ্যৎ কি হবে। আল্লাহ জীবন টা কে কেন এমন পরিস্থিতিতে নিয়ে আসে। অনেক মানুষ ত এমন ও আছে যারা ভালোবাসার মানুষ কে না পেয়ে পুরোপুরি পাগল হয়ে গেছে।প্রেমার জীবন টা যেন কখনো এমন না হয়। জীবন নামক জিনিস টা বড্ড বেশি জটিল।
জানা নেই এর শেষ কোথায় হবে।
প্রেমাকে খুঁজছে আদি একসময়ে অফিসে চলে এসে দেখে ও মিটিং এ আছে।কাল ও প্রিয়র সাথে কত পাগলামী করেছিল এখন একদম সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ।
কাঁচের দেয়ালে মাথা ঠেকিয়ে দেখে যাচ্ছে আর ভাবছে, কেন তুমি আমাকে বুঝলে না প্রেমা। আমি যে তোমায় ভীষণ ভালোবাসি।আমাকে বুঝতে পারলে ।আমার পৃথিবীটা তোমায় উৎসর্গ করে । আমি হয়ে যেতাম দেউলিয়া। আমি জানি মানুষ ভালোবাসে সেই ঘুড়ি ।যে তার নাটাই ছিড়ে উড়ে যাবে দূরে। চোখ থেকে দু ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়লো।
হঠাৎ পেছন থেকে কেউ আদির কাঁধে হাত দিল। আদি চমকে গেল।
চলবে,